নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইসলামি চিন্তাবিদ

ইসলামি চিন্তাবিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাদিয়ানী বনাম অকাদিয়ানী বিতর্ক ( শেষ পর্ব)

১৬ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৭:০২



...... চন্দ্র সূর্য গ্রহনের ভন্ডামী প্রুফ ///---
কাদিয়ানীদের মূল বিশ্বাসটি যে প্রধান দুটি ধারনার উপর প্রতিষ্ঠিত তার একটি হল- চন্দ্র ও সূর্য গ্রহন লাগার হাদিসের বাস্তবায়ন যা সম্পুর্নরুপে একটি ভন্ডামীর উপর প্রতিষ্ঠিত হলেও উপমহাদেশের মূর্খ্য মুসলমান আর ইউরোপের অমুসলিমদের জন্য তা বুঝা সত্যিই কঠিন ছিল কিন্তু নূন্যত্তম জ্ঞান থাকা মূসলিম মাত্রই তাদের এই ধরনের ধোকাবাজি বুঝতে সক্ষম হবার কথা। যেমন তাদের দাবী হল ঈমাম মাহদীর সত্যতার নিদর্শনে একই রমজানে চন্দ্রগ্রহন ও সূর্য্যগ্রহন হবে। কিন্তু সুন্নীদের মাঝের বেশিরভাগ মুসলিমই উক্ত হাদিস মানেই না অর্থাৎ কাদিয়ানীরা যে হাদিসটির দ্বারা দলিল দেয় তা জাল হাদিস বলে চিহ্নিত হয়েছে এছারাও চন্দ্র-সূর্য্য গ্রহন সম্বলিত আরও কিছু হাদিস আছে যেগুলোর সনদও দূর্বল তাই শুরুতেই গলত কেননা যার উপর ভিত্তি করে কাদিয়ানীদের মুল বিশ্বাস দ্বারিয়ে আছে সেই হাদিসই নাকি জাল এবং কিছু দূর্বল অর্থাৎ নবী সাঃ এমন কথা বলে গেছেন এর নিশচয়তাও কম তারপরও যদি ধরে নেয়া যায় যে এমন কথা তিনি ঠিকই বলে গেছেন তারপরও হাদিসে গোজামিল সহ সত্যিকারের চন্দ্র-সূর্য্য গ্রহনের ক্ষেত্রেও কাদিয়ানীদের অসংখ্য ভন্ডামী ধরা পরে যেমন- দূর্বল সনদে উল্লিখিত একটি হাদিসে এসেছে যে উক্ত রমজান মাসের মধ্য দিকে হবে সূর্য্যগ্রহন আর শেষের দিকে হবে চন্দ্রগ্রহন যা কিনা সম্পূর্ন রুপে প্রকৃতির নিয়ম বিরোধী অর্থাৎ স্বাভাবিকভাবে মধ্যমাসেই হয় চন্দ্রগ্রহণ আর শেষের দিকে হয় সূর্য্যগ্রহন যদিও একই মাসে একই সাথে চন্দ্র ও সূর্য্যগ্রহন হওয়া একটি অসাধারন ঘটনা হলেও তা কিন্তু পূর্ব হতেই অনেক ঘটেছে, আবার তা যেহেতু রমজান মাসেই তবে তা কিন্তু আরেকটু অসাধারন ঘটনা। তবু কিন্তু এটিও কয়েকবার পূর্বে হয়েছে, কিন্তু আরেকটি হাদিসে এসেছে যেটি কিনা কাদিয়ানীরা প্রচার করে থাকে যেখানে উল্লেখ আছে ১ম রাতেই হবে চন্দ্রগ্রহন আর মধ্য রমজানে হবে সূর্য গ্রহন এটি কখনই সংঘটিত হয়নি, যেমন-“নিশ্চয় আমাদের মাহ্‌দীর সত্যতার এমন দু’টি লক্ষণ আছে, যা আকাশমন্ডল ও পৃথিবী সৃষ্টি অবধি আজ পর্যন্ত অন্য কারও সত্যতার নিদর্শন স্বরূপ প্রদর্শিত হয়নি। একই রমযান মাসে প্রথম রাতে চন্দ্র গ্রহণ হবে এবং মধ্যম তারিখে সূর্য গ্রহণ হবে”। (দারকুতনী-১৮৮ পৃঃ) উক্ত হাদিসের তথ্য অনুযায়ি এ পর্যন্ত পৃথিবীর বুকে কোথাও এমন গ্রহণের ঘটনা ঘটেনি আজ অবধি তবে কাদিয়ানীরা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীকে মাহদী সাজাতে উক্ত হাদিসে বিভিন্ন গোঁজামিল দিয়ে থাকে যা কিনা সরাসরি ভন্ডামী যেমন- উক্ত হাদিসের বর্ননাকারী আহলে বায়াতের ইমাম যিনি এই হাদিসটি রাবির কাছে বর্ননা করলে তা শুনে রাবি বললেন- এটা কিভাবে সম্ভব যেখানে সর্বদাই আমরা দেখে আসছি যে মধ্য মাসেই হয় চন্দ্র গ্রহণ আর শেষের দিকে হয়ে থাকে সূর্য গ্রহণ, এ কথা শুনে ইমাম বললেন ইমাম মাহদীর ক্ষেত্রে এমন অস্বাভাবিক ঘটনা আল্লাহ সুবঃই ঘটাবেন তবে আমি যতটুকু জেনেছি ততোটুকুই বললাম উক্ত ঘটনা বাস্তবে পরিনত করার দায়িত্ব আল্লাহর হাতে আমাদের উচিৎ শুধু বিশ্বাস রাখা। মোট কথা হাদিসের বর্ননা কারী যা বলেন তাতে খুব ভালভাবেই বুঝা যায় যে উক্ত ঘটনা হবে একটি অস্বাভাবিক ঘটনা কেননা ইমাম মাহদি কেয়ামতের কাছাকাছি সময়ে আবির্ভুত হবেন সাথে সাথে ঈসাঃ ও তাই কিয়ামতের পূর্বে যেহেতু স্বয়ং সূর্যই পশ্চিম আকাশে উঠবে তাই ঈমাম মাহদীর সময় চন্দ্র সূর্য গ্রহনের নিয়ম বিপরীত হওয়া তো আরও যুক্তিযুক্ত তাছারা হাদীসের ১মেই কিন্তু ভালভাবেই উল্লেখ আছে যে -নিশ্চয় আমাদের মাহ্‌দীর সত্যতার এমন দু’টি লক্ষণ আছে, যা আকাশমন্ডল ও পৃথিবী সৃষ্টি অবধি আজ পর্যন্ত অন্য কারও সত্যতার নিদর্শন স্বরূপ প্রদর্শিত হয়নি। তাই এ থেকেও যে কেউই এটা বুঝতে পারবে যে ইমাম মাহদীর সময়ে অস্বাভাবিক নিয়মেই গ্রহণ হবে কিন্তু কাদিয়ানী ভন্ডরা গো আ কাদীয়ানীকে মাহদী প্রমান করতে হাদিসের মূল তথ্যটাই বিকৃত করে সাধারন মানুষদের ধোকায় ফেলতে তারা প্রচার করে থাকে যে উক্ত গ্রহণ হবে সাধারন গ্রহণ কোন আসাধারন গ্রহণ নয়, তাহলে আর হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ি ইমাম মাহদীর লক্ষন প্রকাশের বিশেষ নিদর্শন হল কিভাবে? তারা এমনভাবে গোজামিল ঢুকিয়ে দিয়েছে যে যে কারুরই মাথা ঘুরতে বাধ্য হবে কিন্তু একটু ভালভাবেই লক্ষ্য করলে তাদের মিথ্যাচারিতা ধরা যায়।
১মতঃ- তারা শুধু এই একটি হাদিসই প্রচার করে থাকে যেখানে গোজামিল দেয়া ভালভাবে সম্ভব হয় কিন্তু আরেকটি হাদিসে যে এসেছে মধ্য রমজানেই হবে সূর্য গ্রহন আর শেষ রমজানে হবে চন্দ্রগ্রহন এই হাদিসটা তো তারা ভুলেও প্রচার করেই না আর সবচেয়ে বড় ভন্ডামী হল তারা এই হাদিসের শুধুই সাধারন অর্থ প্রকাশ করে ব্রাকেটে ভূল ব্যাখ্যা সহকারে কিন্তু হাদিসের সাথে হাদিসের বর্ননাকারীর এবং রাবীর কথোপকথোনের মাধ্যমে যে সঠিক ব্যাখ্যাটাও চলে এসেছে যেটার উপরে শিয়া সুন্নী উভয়েরই ঐক্যমত রয়েছে তা তারা কখনই উল্লেখ করে না এমনকি আম শ্রেনীর কাদিয়ানীরাও জানে না এই তথ্য কেননা তারা হাদিসের মূল গ্রন্থ না পড়ে শুধুমাত্র তাদের আলেমরা কি কি বই লিখল তাই পড়ে থাকে কিন্তু এই হাদিস গুলো যেসব মূল গ্রন্থ হতে নেয়া হয়েছে সেখানেই কিন্তু সঠিক তথ্যও দেয়া হয়েছে তা কিন্তু অনেক সাধারন কাদিয়ানীরা জানেও না( উপরে হাদিসের নিচে দ্রষ্টব্য) সুতারাং ধূর্ত কাদিয়ানী আলেমরা হাদিস গ্রন্থের উক্ত অংশ না প্রচার করে ইমাম মাহদীর আলামত প্রকাশের চন্দ্র-সূর্য গ্রহনের অস্বাভাবিকতাকে স্বাভাবিক বলে প্রচার করে থাকে আর এজন্য তারা যে গোজামিল দেয় তা সত্যিই উল্লেখ করার মত যেমন- ১মত তারা বলে উক্ত গ্রহণদ্বয় যা ঘটে গেছে তা স্বাভাবিক এবং সাইন্স বিরোধী নয় ২য়ত বলে- আসলে অস্বাভাবিকতা বলতে যা বুঝানো হয়েছে তা হল স্বাধারনত চন্দ্রগ্রহন হয়ে থাকে ১৩,১৪,১৫ তারিখেই বেশি কিন্তু ইমাম মাহদীর ক্ষেত্রে ১৩ তারিখেই হয়েছে অর্থাৎ চন্দ্রগ্রহণ স্বাভাবিকভাবে যে তিনটি রাত্রে হয়ে থাকে তার ১ম রাত্রেই হয়েছে সুতারাং হাদিসে আসলে সেই ১ম তারিখ বলতে চন্দ্রগ্রহনের ১ম রাত্রি বা ১৩ তারিখ বুঝানো হয়েছে তাই তারা উক্ত হাদিস লেখার সময় সর্বদাই ব্রাকেটে এই তথ্য দিয়ে পাঠকের মাথা ঘুরিয়ে দিয়ে নিজেদের ভুল ব্যাখ্যার দিকে প্ররোচিত করে ঠিক একই ভাবে তারা সূর্য গ্রহনের ক্ষেত্রেও স্বাভাবিক গ্রহণই ধরে আর এক্ষেত্রেও তারা বলে যে আসলে সূর্য গ্রহনও স্বাভাবিকভাবে শেষের তিন তারিখের মাঝেই হয় আর এই গ্রহন যেহেতু মধ্য দিনে হয়েছে তাই হাদিসে আসলে মধ্যম তারিখ বলতে সূর্য গ্রহনের স্বাভাবিক নিয়মের তিনটি তারিখের মধ্যম দিনকে বুঝিয়েছে, আর এই তথ্যটাও তারাও সর্বদাই ব্রাকেটে লিখতে ভুল করে না। এখন সবচেয়ে আশ্চর্য্যের বিষয় হল তারা গো আ কাদিয়ানীকে মাহদী প্রমাণ করতে সর্বদাই ইমাম মাহদীর অস্বভাবিক নিদর্শনকে স্বাভাবিক চন্দ্র-সুর্য গ্রহনের নিয়মের সাথে মিলিয়ে দিচ্ছে কেননা তাদের ভন্ড মাহদী যখন নিজেকে ইমাম মাহদী দাবী করে তখন উক্ত স্বাভাবিক চন্দ্র-সূর্য গ্রহনটি ঘটে থাকে যা কিনা একটি সাধারন গ্রহন কেননা একই রমজানে এমন নিদর্শন আরও ঘটেছে যা নাসার অয়েব সাইট হতে যে কেউই দেখতে পারে সুতারাং তারা যে ভন্ড গো আ কাদিয়ানীকে মাহদী প্রমান করতে সত্যিকারের মাহদীর চন্দ্র-সুর্য গ্রহনের অস্বাভাবিক নিদর্শনকেই স্বাভাবিক নিদর্শন বলে নিজেরা নিজেরাই ফাঁদে পরে যাচ্ছে তা কিন্তু তারাও বুঝতে পারছে না। কেননা ওদের প্রচারিত আংশিক হাদিসেই উল্লেখ আছে যে, নিশ্চয় আমাদের মাহ্‌দীর সত্যতার এমন দু’টি লক্ষণ আছে, যা আকাশমন্ডল ও পৃথিবী সৃষ্টি অবধি আজ পর্যন্ত অন্য কারও সত্যতার নিদর্শন স্বরূপ প্রদর্শিত হয়নি। অথচ গো আ কাদিয়ানীর সময় যে চন্দ্র-গ্রহন হয়েছিল তা কিন্তু আস্বাভাবিক কোন নিদর্শন নয় বরং এরকম আরও অনেকবারই হয়েছে এমনকি একই রমজান মাসেও হয়েছিল। আর সবচেয়ে বড় কথা হলে উক্ত হাদিস উল্লেখের পরে স্বয়ং হাদিসের বর্ননাকারী ১২ ইমামের একজন ইমাম যিনি কিনা স্পষ্ট করেই বলেছেন যে ইমাম মাহদীর সময় যে গ্রহন হবে তা অবশ্যই অস্বাভাবিক গ্রহন অথচ গো আ কাদিয়ানীর ক্ষেত্রে দেখা যায় হয়েছে স্বাভাবিক গ্রহন কেননা স্বাভাবিকভাবেই ১৩,১৪,১৫ এর মাঝেই স্বাভাবিকভাবে চন্দ্রগ্রহন হয়ে থাকে, তাই ১৩ তারিখে হয়ে কি এমন অস্বাভাবিক নিদর্শন হয়েছে? তাছারা কাদিয়ানীরা কিন্তু চন্দ্র-মাসের ১ম তারিখেই চন্দ্র বা সূর্য গ্রহণ একদমই সম্ভব নয় এবং বিজ্ঞান ও প্রকৃতি বিরোধী বলে উক্ত হাদিসের তারা ভুলভাবে ব্যাখ্যা করে কিন্তু ২০২২ সালে শাওয়াল মাসের ঈদুল ফিতরের ১ম চাঁদ দেখে আফগানিস্তানে আর সেই খবর পেয়ে সারাবিশ্বের যারা কুরান-হাদিস অনুযায়ি গ্লোবাল আরবী ক্যালেন্ডারে বিশ্বাসি তারা সকলেই ঈদ উদযাপন করে এবং তার পরের দিন সৌদির চাঁদ দেখা অনুযায়ি অনেকেই গ্লোবালী ঈদ করে ৩য় দিন নিজ নিজ দেশের চাঁদ দেখে উপমহাদেশের বেশিরভাগ মানুষ ঈদ করে আর সবচেয়ে আশ্চর্য্যের বিষয় হল আফগানিস্তানের চাঁদ দেখা অনুযায়ি যারা গ্লোবাল আরবি ক্যালেন্ডার মেনে চলে তাদের হিসেব মতে কিন্তু শাওয়াল মাসের ১ম তারিখেই সূর্য্য গ্রহণ ঘটে গত ২০২২ সালেই তাহলে উক্ত ঘটনা কিন্তু কাদিয়ানীদের পূর্বের চ্যালেঞ্জ যে “জীবনেও ১ম তারিখে গ্রহন সম্ভব না” তা একেবারেই ভেংগে দিয়েছে এমনকি গ্রহণের ক্ষেত্রে তাদের কথিত সেই বিজ্ঞান ভিত্তিক বিশ্বাসকেও ভেঙ্গে দেওয়ার পাশাপাশি ইমাম মাহদীর সময়ে যে সত্যি সত্যি এভাবেও অস্বভাবিক নিদর্শনে চন্দ্র-সূর্য্য গ্রহন ঘটার ইংগিত বহন করে তা কিন্তু প্রমান হয়ে গেছে আর ২০২২ সালে এমন একটা ঘটনা ঘটবে যেটা কিনা কাদিয়ানীরা কল্পনাও করেনি সুতারাং চন্দ্রমাসের ১ম তারিখে শুধু চন্দ্র-গ্রহনই নয় সূর্য গ্রহনও সম্ভব হচ্ছে তাছারা আরেকটি হাদিসে এমনও এসেছে যে ১ম তারিখেই হবে সূর্য গ্রহণ তাই ২০২২ সালে সেটি হয়ত শাওয়াল মাসে হয়েছে কিন্তু সত্য ইমাম মাহদীর সময়ে কিন্তু সেই গ্রহণ রমজান মাসেই হবে ইনশাহ আল্লাহ যদি গ্রহণের উক্ত হাদিসটি সত্যিই নবী সাঃ এর মুখ হতে বের হয়ে থাকে ।
২০২২ সালের শাওয়ালের ১ম তারিখে সূর্য্য গ্রহন কাদিয়ানীদের মুখে চপোটাঘাত আনলেও তাদের লজ্জা নাই তাই তারা বলবে সৌদীতে বা ইন্ডিয়াতে তো তখনও রমজান মাসের শেষ দিক অর্থাৎ শাওয়াল শুরুই হয়নি কিন্তু হাদিসে স্পষ্টই উল্লেখ আছে যে ইমাম মাহদীকে পাঠানো হবে মানুষের মাঝে চরম মতভেদ কালে, আর একই দেশে বসে মুসলিমরা ৩ দিন আলাদা আলাদা ভাবে ঈদ উদযাপন করছে আর সকলেই ভাবছে তাদেরটাই ঠিক, এর চেয়ে বড় ধরনের মতভেদ আর কি হতে পারে তাছারা এটা গেল শুধু একটি বিষয় কিন্তু আরও অসংখ্য ব্যাপারে মুসলিমদের এত মতভেদ যে খুব সহজেই বুঝা যায় ইমাম মাহদীর সময় সন্নিকটে যদিও ইমাম মাহদী এসে ইনশাহ আল্লাহ তাদের এসব সব মতভেদ দূর করে দিবেন, উদাহরণস্বরুপ- যেভাবে সকল মূসলিম কিবলার দিকের ক্ষেত্রে মক্কার একই দিকে নামাজ পড়ে একইভাবে তখন ক্বিবলা হতে চাঁদ দেখে সারাবিশ্বে সংবাদের ভিত্তিতে একটাই গ্লোবাল আরবী তারিখ মানাতে বাধ্য করানো হবে ফলে এই মতভেদ দূর হবে। সুতারাং ইমাম মাহদির নিদর্শনে গ্লোবাল আরবী তারিখ অনুযায়িই হয়ত ১ম রমজানেই গ্রহন সংঘটিত হয়ে নিদর্শন প্রকাশ পেতে পারে যা কিনা হাদিসে উল্লেখিত হুবহু শাব্দিক অর্থের সাথে মিলে যাবে আর তখনই কাদিয়ানীদের ভন্ডামীও পরিপূর্নভাবে প্রকাশ পাবে তবে কাদিয়ানীরা যদি ধর্মের সাথে অন্ধের মত প্রচলিত ব্যাকডেটেট বিজ্ঞানকে না মিলিয়ে শুধুমাত্র হাদিসের শাব্দিক অর্থে থাকত তবে কিন্তু তারা আজ ভন্ড গো আ কাদিয়ানীকে মাহদি হিসেবে বিশ্বাস করে জাহান্নামের চৌরাস্তায় থাকত না। কাদিয়ানীরা সরাসরি হাদিসের শাব্দিক অর্থে থাকবেই বা কি করে গো আ কাদিয়ানীসহ সকল কাদিয়ানীর প্রধান কাজই হল কুরান হাদিসের বেশিরভাগ শাব্দিক অর্থকেই বিকৃত করে রুপকভাবে নিজেদের মনমত ব্যাখ্যা করা আর তারা যেভাবে সবকিছুকেই রুপক ভাবে পেঁচিয়ে বুঝানোর চেষ্টা করে সেই তরিকায় কিন্তু যে কোন নগন্য মানুষকেই ইমাম মাহদী বা ঈসা আ বানিয়ে কুরান-হাদিসের দলীল দ্বারাই প্রমান দেখানো সম্ভব। যদিও কুরান হাদিসের ভবিষ্যৎবানীমূলক তথ্যগুলো বেশিরভাগই রুপক হয় তবে তারও একটা সীমা-পরিসীমা আছে তারা সর্বদাই গো আ কাদিয়ানীকে মাহদী সাজাতে সেই সীমা অতিক্রম করে থাকে । তাছারা সবচেয়ে বড় কথা হল এখন পর্যন্ত কুরান-হাদিসের অনেক ভবিষ্যৎবানীমূলক তথ্যই কিন্তু হুবহু শাব্দিক অর্থেই বাস্তবায়িত হয়েছে, তাই গনহারে সব ভবিষ্যৎবানীমূলক তথ্যই রুপক এমন কিন্তু নয় বিশেষ করে কাদিয়ানীরা তাদের ভন্ড গো আকে মাহদী সাজাতে যেভাবে রুপক বলে প্রচার করে থাকে সেভাবে তো নয়ই। তাছারা ইমাম মাহদী সংক্রান্ত যতগুলো সহী হাদিস আছে শুধুমাত্র সেগুলোই যদি কোন কাদিয়ানী নিরপেক্ষ দৃষ্টিভংগিতে পড়ত তবে সে কখনই গো আ কাদিয়ানীকে ইমাম মাহদীর চরিত্রের সাথে মেনে নিতে পারত না কারন ইমাম মাহদী আঃ একজন যোদ্ধা এবং সরাসরি তরবারীর মাধ্যমে মুজাহিদ আর সেখানে গো আ কাদিয়ানী যুদ্ধ আর তরবারী ছাড়া আরাম আয়েশে থেকে মানুষের মাঝে এমন ভূল যুক্তি, ভুল রুপক বর্ননা আর কু-তর্কের মাধ্যমে নিজেকে মুজাহিদ হিসেবে তুলে ধরেছিল যাতে করে তৎকালীন সময়ে বৃটিশদের বিরুদ্ধে জিহাদরত অনেক মুসলিম যুদ্ধের মূল জযবাহ হারিয়ে বৃটিশদের গোলামী বরণ করে এবং নিজেদের গ্লোবাল আইডিন্টিটি “মুসলিম” বাদ দিয়ে “আহমদী” মুসলমান পরিচয় দিয়ে বৃটীশদেরই এজেন্ডা বাস্তবায়নে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। সত্যিকারের মাহদীর সাথে ইসলামের শত্রু ইহুদী-খ্রীষ্টানদের যুদ্ধ চলবে যার নাম হচ্ছে মালহামা/আরমেডিগন/৩য়বিশ্বযুদ্ধ আর ভন্ড মাহদীর দল কাদিয়ানীদেরকে আজও ইসলামের শত্রু ইহুদী-খ্রীষ্টানরা প্রতিপালন করে আসছে ইসলামের ক্ষতি করতে।
২য়তঃ বর্তমানে যে কেউই নাসার অয়েব সাইটে গিয়ে দেখতে পারে যে গো আ কাদিয়ানীকে বৃটিশরা ইমাম মাহদী সাজাতে ১৮৯৪-৯৫ সালে যে চন্দ্র ও সূর্য গ্রহণকে পত্র-পত্রিকায় প্রচার করেছিল আসলে সেই চন্দ্র-সূর্য্য গ্রহণ কিন্তু কখনই পূর্ন চন্দ্র-সূর্য গ্রহণ ছিল না বরং তা ছিল আংশিক গ্রহণ মাত্র। আর তখনকার মূর্খ্য মুসলিমরা বৃটিশদের প্রচার প্ররোচনার মাঝে এই সূক্ষ ধোঁকাবাজি ধরতে পারেনি বলে অনেকেই হতাশও হয়েছিল কিন্তু বর্তমানে ইন্টারনেটের কল্যানে কাদিয়ানীদের এসব ছলচাতুরি অনেকেই বুঝতে পারছে। একটু ভালভাবেই চিন্তা করলে বুঝা যায় ইমাম মাহদীর মত একজন ব্যাক্তিত্বকে মানব সমাজে পরিচিত করিয়ে দিতে মহান স্রষ্টা পূর্ন গ্রহণ না ঘটিয়ে সামান্য আংশিক গ্রহণ ঘটিয়েই ছার দিলেন ? স্রষ্টা কি পূর্ন গ্রহণ ঘটাতে অক্ষম ছিলেন নাকি গো আ কাদিয়ানীই ভন্ড ? এসবের উত্তর ভালভাবে বুঝা যাবে তখনই যখন তৎকালীন সময়ে কাদিয়ানীদের একমাত্র পৃষ্ঠপোষক বৃটিশদের ক্ষমতা ও বাটপারি সম্পর্কে জানা যাবে, এটা সবারই জানা যে বৃটিশরা বিশ্ব শাষনের সময় হতেই বিজ্ঞান ও জোতির্বিজ্ঞানে বেশ উন্নত ছিল তাই তারা বছরের পর বছরের পূর্ব হতেই হিসাব করে জানতে পারত যে কত সালে এসব চন্দ্র-সূর্য গ্রহনের ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে বর্তমানে তো কোথায় কখন কি পরিমানে বৃষ্টিপাত হবে সেটাও জানা যায়, সুতারাং তারা অনেক বছর পূর্ব হতেই জানত এমন পিকুইলিয়র একটা গ্রহনের কথা এবং তারা সর্বদাই বছরের পর বছর পরে কি কি করবে তার প্লানও আগেই করে রাখত তাই তারা যখনই বিজ্ঞানের সহায়তায় দেখল যে ১৮৯৪ সালে যে রমজান মাস আসছে তাতে আংশিক চন্দ্র-সূর্য গ্রহন ঘটবে আর সেটি যদিও হুবহু হাদিসে উল্লেখিত ভাবে না হলেও যেহেতু রমাজান মাসেই তা ঘটতে যাচ্ছে তাই ঐ গ্রহনটাকে তারা বিভিন্নভাবে গোজামিল দিয়ে হাদিসের সাথে মিলিয়ে আম মুসলিমদের মাথা ঘুরিয়ে দিবে এছারাও বৃটিশরা মুসলিমদের উসমানি খিলাফত ধ্বংস করে এর বিকল্পে ফলস খিলাফত রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তান বানানোর পরিকল্পনা করে আর এর পূর্ব হতেই খলিফার বিকল্প হিসেবে গো আ কাদিয়ানীকে ১মে ইমাম মাহদী এরপরেও অনেকেই না মানলে ঈসা আঃ বানিয়ে প্রচার করে সবশেষে নবী-রসুল হিসেবে আখ্যা দিয়ে ইলহাম নাম দিয়ে ওহি নাজিলের ধোঁকাবাজি করে উপমহাদেশের মুসলমানদের অনেককেই বোকা বানায় যাদের বংশধররাই আজকের গো বেচারা কাদিয়ানীরা। বৃটিশরা এমনি চালাক যে ১মেই কিন্তু তারা গো আ কাদিয়ানীকে ইমাম মাহদী হিসেবে দাড় করায়নি বরং ১মে মুসলিমদের মাঝে জনপ্রিয় করে তুলতে তাকে দিয়ে অনেক ইসলামি বই লিখিয়ে মুজাদ্দিদ হিসেবে পরিচিত করায় এরপর যখনই জ্যোতিষী হিসাব অনুযায়ি রমজান মাসে চন্দ্র-সূর্য গ্রহণের সময় কাছাকাছি চলে আসে তখনই তাকে ইমাম মাহদি হিসেবে দাবী করায় এবং বেশ কিছু ভক্তও তৈরী করে ফেলে। তারা এসব করত বৃটিশদের সহযোগিতায় এখনও করেই চলছে এর বড় উদাহরণ হল কাদিয়ানীদের প্রধান নেতা আজও বৃটেনে থাকে এবং ওরাই কাদিয়ানীদের লালন পালন করে কারন একমাত্র কাদিয়ানীরাই এমন ভাবে ইসলাম ধর্ম প্রচার করে যে ইসলাম শুধু নামাজ, রোজা আর মসজিদের মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকবে কখনই সামগ্রিক আর রাষ্ট্রীয় ব্যাপারে দ্বীন ইসলাম পুর্নাংগ জীবন ব্যাবস্থা হলেও বড় বড় ক্ষেত্রগুলোতেই ইসলাম ধর্ম মোটেও নাক গলাবে না আর সমাজ-রাষ্ট্র সমস্ত কিছুই বৃটিশ আমেরিকা ইহুদী খ্রিষ্টানরা নিয়ন্ত্রন করবে আর অতীত থেকেই ইসলামের শত্রুরা এইধরনের সুফিবাদী ইসলামকেই সর্বদা প্রোমট করে আসছে।
মোটকথা গো আ কাদিয়ানী যে একজন ভন্ড ছিল এবং ইমাম মাহদির কোন যোগ্যতাই তার ছিল না এটি খুব ভালভাবেই বুঝা যায় কারন ইমাম মাহদী একজন সংস্কারক হবেন এবং তাঁর আমলে ইসলামের সকল ভেদাভেদ দূর হয়ে সকলেই এক কাতারে চলে আসবে এবং বিশ্বে মুসলিমদের খিলাফত এমনভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে যে মুসলিমরাই তখন বিশ্ব শাষন করবে আর সারাবিশ্বে তখন আবারও শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে। অথচ গো আ কাদিয়ানী মুসলিমদের কোন মতভেদই দূর করতে পারেনি বরং আরও ফিতনার সৃষ্টি করে গেছে, ইসলাম ধর্মের মাঝে মুসলিমরা যেসব সমস্যা সৃষ্টি করেছে এসবের কোন সংস্কারই সে করেনি আর গো আ কাদিয়ানী বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা তো দূরের কথা সে আসার পরে বিশ্বে আরও অশান্তি দ্বিগুন আকারে বেড়েছে যেমন- পর পর দুটি বিশ্ব যুদ্ধ ঘটে যায়, মহামারিসহ আরও অসংখ্য অশান্তির সৃষ্টি হয় আর গো আ কাদিয়ানী ইমাম মাহদী দাবীর সময়েই ইসলাম ধর্ম বিশ্বে সবচেয়ে মজলুম ধর্মে পরিনত হয়, আর কাদিয়ানীরা বিশ্ব শাষন তো দূরের কথা বরং তারাই আরও ইসলামের শত্রুদের পেটের ভিতর ঢুকে আছে।
( বিঃ দ্রঃ আমি শুধুমাত্র প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ি সত্য তুলে ধরছি কিন্তু এটা কখনই বলতে পারব না হলফ করে যে কে ভন্ড আর কে একশতভাগ সত্য। মহান আল্লাহ সুবঃই তা ভাল জানেন , আর আমাদের শুধু প্রার্থনা করা উচিত তিনি যেন আমাদের সত্য চেনার তৌফিক দেন )

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুন, ২০২৩ রাত ৯:৩০

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: প্রথম পর্ব হতে পুরো বিতর্ক পড়তে এই লিংক এ ক্লিক করুন- Click This Link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.