নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইসলামি চিন্তাবিদ

ইসলামি চিন্তাবিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নাস্তিক ও ইসলামবিরোধীদের প্রশ্নোত্তর

২৫ শে জুন, ২০২৩ রাত ৯:৪৩


পর্ব-২১
নাস্তিকঃ- এই বিজ্ঞানের যুগে সেই ধর্মীয় গ্রন্থকে কিভবে বিশ্বাস করব যেখানে বলা হচ্ছে- সূর্য্য পংকিল জলাশয়ে ডুবে যায়। সুরা কাহাফ।

আস্তিকঃ- আল্লাহ সুবঃ এখানে বলেননি সূর্য জলাশয়ে ডুবে বরং বলেছেন জুলকারনাইন এমনটি দেখেছিলেন। এর মাধ্যমে সামদ্রিক এলাকা বুঝানো হয়ছে, যেমন কক্সবাজারের লোক সারাজীবনই সূর্য জলাশয়ে ডুবতে দেখবে কিন্তু আমরা দেখব না। মানুষ প্রকৃতিতে যা দেখছে আসলেই কি তাই হচ্ছে নাকি এমন কিছু হচ্ছে যা মানুষের চোখে দেখা সম্ভব নয়। এজন্যই আল্লাহ সুবঃ বলেছেন তারাই মুমিন যারা অদেখা বিষয়ে বিশ্বাষ করে।

প্রশ্নঃ- ঈশ্বর বিভিন্ন ধর্ম গ্রন্থে বিশেষ করে কুরানে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা নিজেই নিজের এত প্রশংসা কেন করেছেন? এর মাধ্যমে কি বুঝা যায় না যে ঈশ্বর খুবই স্বার্থপর ।
উত্তরঃ-স্বার্থ আসলে দুই প্রকার - ১ম প্রকার হল খারাপ, যেমন- আমি একজনের সেবা করছি কারন এই সেবার ফলে সেও আমার কোনক্ষেত্রে উপকার করবে এটা ভেবে সেবা করা আর যদি আমি জানতাম সে আমার কোন উপকারেই আসবে না তবে আমি তার কোন সেবাই করতাম না । ২য় প্রকারের স্বার্থ হল ভাল যেমন- আমি একজনের সেবা করছি এজন্য যে আমার সেবা করতে ভাল লাগে বা মনে প্রশান্তি পাই, এতে সে ব্যাক্তি আমার পরে উপকার করুক বা না করুক শুধুমাত্র আমার ভাল লাগার স্বার্থেই আমি তার সেবা করব। এই ধরনের স্বার্থকে আমরা ভাল স্বার্থ বলে অবিহিত করি, আসলে অকারনে বা প্রয়োজন ছারা কোন কিছু করাও এক ধরনের বোকামী। যাইহোক আসল কথায় আসা যাক ভাল লাগার স্বার্থেই এরকম সেবা করে খুবই কম লোক এমনকি যদি বুঝা যায় শুধুই ভাল লাগার স্বার্থে যার সেবা আমি করছি পরে সে অবশ্যই আমার ক্ষতি করবে তবে কিন্তু খুব কম লোকই আছে যে ঐ ধরনের ব্যাক্তির সেবা করে যাবে অথচ ঈশ্বর যদিও জানে অধার্মিক লোক ঈশ্বরের কথা মত চলবে না এবং তাঁরই অন্নান্য সৃষ্টিকে আবার কষ্টও দিবে তারপরও কত যত্নে সেসব শিশুকে তার মায়ের দ্বারা লালন পালন করান আবার প্রাকৃতিক সুবিধাও অন্য সবার মতই পায় আর দুনিয়াতে ভোগ বিলাশও সবসময়ের জন্যই ধার্মিক লোকদের চেয়ে তাদেরই বেশি ব্যাবস্থা করে দেন।তিনি এমন করেন কারন ঈশ্বর হিসেবে তাঁর এরকমই ভাল লাগে, তাছারা শুধু তাঁর ইবাদত যারা করবে তাদেরকেই শুধু তিনি সুখ ভোগ করান এমন নয় বরং তিনি সবাইকেই সুখ-আনন্দ দান করেন এর মাঝে কেউ নেয় ক্ষনস্থায়ী জীবনের সুখ কেউ নেয় পরকালের চিরস্থায়ী জীবনের সুখ এমনকি দুঃখ দূর্দশাও সকলকেই পরীক্ষার জন্য দিয়ে থাকেন তবে কিভাবে ঈশ্বরকে স্বার্থবাদী(খারাপ অর্থে) বলা যেতে পারে ?
আর তিনি নিজেই নিজের প্রশংসা করেন এর অনেক কারণ আছে এরমধ্যে কয়েকটি কারন আমরা খুব সহজেই বুঝতে পারি যেমন-১) দুনিয়াতে জন্মগ্রহনের পর মানুষের সৃতিতে অতীতের কোন কিছুই থাকে না যে তারা নিজে নিজেই ঈশ্বরের করুনা, অবদান এগুলো অনুধাবন করতে পারবে তাই ঈশ্বরই নিজে থেকে নবী রসুলদের মারফত তা আবার সৃতি-স্বরণ করান ফলে এখানে ঈশ্বরকে নিজের করুনা, অবদান, মাহত্ম্য নিজেকেই বর্ননা করতে প্রশংসা করতে হয়। ২) ঈশ্বর এমন একজন সত্তা যে তাঁর তুলনা শুধু তিনিই এমনকি তাঁকে কেউ কোন দিন দেখেওনি কিন্তু তার কন্ঠ সরাসরি ঠিকই শুনতে পেয়েছে সবাই ইত্যাদি আরও অনেক কারনে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দেয়া হতে শুরু করে প্রশংসা এসকল কিছুই এমন ধরনের হতে হবে যা শুধু মাত্র ঈশ্বরের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হয় এখন কেউ যদি ঈশ্বরকে ভালবেসে তাঁকে চুমা দিতে চায় বা কোলে তুলে আদর করতে চায় অথবা প্রশংসা করে এমন কথা বলে ফেলল যা মোটেও ঈশ্বরের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় বরং তা অন্য সৃষ্টির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য তাহলে সেটা তো সঠিকভাবে প্রশংসা হল না তাই ঈশ্বরের ব্যাপারে একমাত্র ঈশ্বরই ভালভাবে জানেন তাই তিনি নিজে থেকেই নিজের গুন বর্ননা করেন তাছারা আমাদের তাঁর সম্পর্কে জানার উপায় নাই।ইত্যাদি আরও অনেক কারন আছে যার ফলে ঈশ্বর নিজের প্রশংসা নিজেই করে শিক্ষকের ন্যায় প্রশংসা করাও শিক্ষা দেন বান্দাদের যা কিনা নাস্তিকদের কাছে আবার ইলজিক্যাল মনে হয় অজ্ঞতার কারনে।


নাস্তিকঃ- আপনারা ঈশ্বরের কোন জোরালো উদাহরণ ছাড়া কোন যুক্তিতে ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন? তাছারা সম্পূর্ণ নিরাকার একটি সত্তা এটা কিভাবে সম্ভব? শুধুমাত্র অন্ধভাবেই তাকে বিশ্বাস করে আসছেন অথচ আপনি তাকে দেখেননি, তার আওয়াজ শুনেননি, তাকে স্পর্শ করেননি, তার স্বাদ জানেন না, তার গন্ধ জানেন না। অথচ মানব মস্তিষ্কের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট হল এটি তার পারিপার্শিক অবস্থাকে বিচার বিশ্লেষনের মাধ্যমে সেটিকে ছবি, শব্দ, গন্ধ, স্পর্শ, স্বাদ ইত্যাদি রূপে স্মৃতি বানানো এবং তা সংরক্ষণ করা।

আস্তিকঃ- আপনার মতে ঈশ্বরের উদাহরন বুঝাতে ঈশ্বরের মতই অন্য কোন সত্তার উদাহরন দেয়া উচিত যা তার সমমানের । এইখানেই নাস্তিকদের স্বল্প বুদ্ধিতার প্রমান পাওয়া যায় , কারন যার মত আর একটিও নেই , যে সত্বার সমকক্ষ কোন সত্বার উদাহরন নেই তিনিই হলেন অতুলনীয় ঈশ্বর, তাঁর তুলনা শুধু তিনিই , আর কেউ নয় , সুতারং যুক্তিনুযায়ি আমাদের তাঁকে চিনতে হলে তাঁরই দেয়া তথ্যের উপর নির্ভর করতে হবে বা সৃষ্টিকে পর্যবেক্ষন করে স্রষ্টাকে চেনার চেষ্টা করতে হবে , তাই পার্থিব উদাহরন ছারা গতি নেই । ১মে বলে নেই আপনারা আল্লাহ সুব এর অস্তিস্ত্ব সম্পর্কে যা জানেন তাও ভুল ও কুরান সুন্নাহ বহির্ভুত । যেমন – কে কি বলল বা কি ব্যাখ্যা দিল সেদিকে আমাদের কান না দিয়ে দেখতে হবে কুরান আর সহী হাদিস কি বলছে , কুরান বলছে আল্লাহ সুবঃ এর আকার আছে , চেহারা আছে , হাত আছে , পা আছে কিন্তু তাঁর শরীর শুধু তাঁর মতই আর কারো মত নয় এবং কল্পনাতেও আসা সম্ভব না । এবারে আসছি আপনার যুক্তিতে নিচের কমেন্টে যে, তাহলে কিভাবে সৃষ্টি দিয়েই স্রষ্টাকে চেনা যুক্তিযুক্ত হবে যেহেতু সৃষ্টি তো আর আল্লাহ না বা তাঁর মতও কিছু না ???
আসলে সৃষ্টির সাথে স্রষ্টার আকারগত দিক দিয়ে মিল না থাকলেও কিছু কিছু ব্যাপারে স্রষ্টার অনেক গুনই সৃষ্টির মধ্যে তিনি দিয়ে দিয়েছেন , যেমনঃ আল্লাহর জ্ঞান আছে , মানুষেরও জ্ঞান আছে কিন্তু তাঁর তুলনায় গোটা সুমদ্রের পানির মধ্যে এক চামচ পানির চেয়েও কম , আবার আল্লাহ সুবহানাতায়ালার দয়া আছে আবার মানুষ বা অনেক প্রানীরও দয়া আছে কিন্তু সেই দয়া , তাঁর তুলনায় গোটা সুমদ্রের পানির মধ্যে এক চামচ পানির চেয়েও কম , ঠিক একই ভাবে রাগ , ক্রোধ , খুশি হবার প্রবনতার ক্ষেত্রেও তাই , আবার স্রষ্টার আকার আছে আমাদেরও আকার আছে কিন্তু আমাদের আকার ও তাঁর আকারের মধ্যে রয়েছে বিশাল পার্থক্য । আবার আমরা সকল জীবই খাদ্য গ্রহন করি, ক্লান্ত হই , ভুল করি ও অন্যের মুখাপেক্ষী কিন্তু তিনি এসব থেকে মুক্ত । আসলে আমাদের দেখা সৃষ্ট বস্তু সুমহের মাঝেও তাঁর কিছু গুনাগুন ও বৈশিষ্ট বিদ্যমান আছে বলেই আমরা সেগুলোর মাধ্যমে ঈশ্বরের অস্তিত্ব বুঝতে সক্ষম হই । যেমনঃ- আপনার কথানুযায়ি মানব মস্তিষ্কের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট হল এটি তার পারিপার্শিক অবস্থাকে বিচার বিশ্লেষনের মাধ্যমে সেটিকে ছবি, শব্দ, গন্ধ, স্পর্শ, স্বাদ ইত্যাদি রূপে স্মৃতি বানানো এবং তা সংরক্ষণ করা। তাই কেউ যদি আপনার কাছে এমন শহরের কথা বর্ননা করে যে যে শহরের ঘরবাড়িগুলো এত বড় যে দুচোখ দিয়ে ঘরগুলোর ছাদ দৃষ্টিগোচর সম্ভব না এবং ঐ শহরের মানুষ গুলোর চেহারা ও হাত পা এমনি যা আপনার দেখা মানুষের সাথে কোনকিছুতেই মিল নেই কিন্তু তাদের আকৃতি ঠিকই আছে । তখন কিন্তু আপনি আপনার আশেপাশে সাধারন ঘরবাড়ি থাকায় এবং সাধারন চেহারার লোক থাকায় আপনি ঐ ধরনেরও লোক ও ঘরবাড়িকে বিশ্বাস করতে মোটেও কষ্ট হবে না কিন্তু তাদের কোন ধরনের ছবি আপনার মনে ভাসালে সেটা অবশ্যই ভুল ছবি হবে কারন আপনি মানুষ ও ঘরবাড়ি দেখলেও ঐ ধরনের কিছু দেখেননি তাই আপনার মন যে আনুমানিক ছবি তৈরী করবে তা অবশ্যই ভুল হবে কিন্তু তাদের অস্তিত্ব ঠিকই বিশ্বাস হবে । ঠিক ঈশ্বরের ব্যাপারটাও তাই , তার ছবি আমাদের মনে ভাসলে তা ভুল হবেই কিন্তু তার অস্তিত্ব যে আছে তা আশপাশের সৃষ্টি দেখেই বিশ্বাস জাগবে । আর বাস্তবতা হল পরকালে সাবাই ঈশ্বরের শুধু পা দেখলেও একমাত্র জান্নাতিরাই তার চেহারাও দেখার সৌভাগ্য লাভ করবে । এখন আপনিই একটু চিন্তা করুন এত সুন্দরের পাশাপাশি কুৎসিত আর হরেক রকম জিনিস যিনি বানিয়েছেন তার চেহারা আসলে কেমন হওয়া উচিত বা সেই ধরনের স্রষ্টার আকার আসলে দুনিয়াতে কোন মানুষের পক্ষে কল্পনা করা সম্ভব হবে কিনা ? সুতারাং পার্থিব উদাহরন দিয়ে তাঁর অস্তিত্ব যে থাকা সম্ভব তা বুঝতে পারলেও তার আকার কল্পনা সম্ভব না কিন্তু আকার যে আছে সে বিশ্বাস করা সম্ভব ।
আবার আপনি বলছেন-আপনি তাকে দেখেননি, তার আওয়াজ শুনেননি, তাকে স্পর্শ করেননি, তার স্বাদ জানেন না, তার গন্ধ জানেন না। এগুলো কিন্তু মানুষের ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে লাভ করার জিনিস , এখন যিনি আপনার স্রষ্টা তিনিই কিন্তু এইসব ইন্দ্রিয়গুলো তৈরী করেছেন । এখন তিনি যদি আপনাকে ঐ ইন্দ্রিয় এখন না দেন যে ইন্দ্রিয় দিয়ে আপনি তাকে কল্পনাতেও আনতে পারেন , তবে আপনার কিছু করার নেই উদাহরণস্বরুপ আপনি থ্রি ডাইমেশন ওয়ার্লড এর প্রানী হয়ে ফোর ডাইমেশন এর জিনিস দেখতে পারেন না , আবার – ব্যাথা বা শব্দের মত জিনিসের কিন্তু কোন স্বাদ , গন্ধ , রঙ নেই তাই বলে কি সেগুলো অস্তিত্বহীন বা অবিশ্বাস্য ?









নাস্তেকঃ-একজন অনুসন্ধিৎসু মনের মানুষ দীর্ঘদিন কোরআন বোঝার চেষ্টা করলে মনে যে প্রশ্নগুলো তৈরি হয়, তারসাথে মিলিয়ে তাফসীর ও সিরাত শরীফ পড়লে, মনের দ্বিধা কেটে যায়। সে আর কোনভাবেই বিশ্বাসী থাকতে পারে না, পারবে না।একটা উদাহরণ দিলে বুঝতে সহজ হবে। সুরা তাহরীম, তার তাফসীর ও সিরাতে সে সময়ে মোহাম্মদের জীবনের ঘটনাবলী পড়ুন। তখন কোন বইকে আর ঐশ্বরিক বলে মনে হবে না। এমন উদাহরণ বহু দেওয়া যাবে।আল জাজিরার রিপোর্ট অনুযায়ী মধ্যপ্রাচ্য থেকে প্রতিবছর প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষ ইসলাম ত্যাগ করছে যারা আরবী ভাষাভাষী। কোরআন বোঝার ক্ষেত্রে তাদের তো বাঙালির মতো শব্দের অর্থ বোঝা বা ব্যাকরণগত সমস্যা নেই। তাহলে সমস্যা কোথায়? সেটাও ভাবতে হবে।


মুমিনঃ- সুরা তাহরীম এ নবী সাঃ অতীতের বিধান অনুযায়ি ইজতিহাদি ফতোয়া দিয়ে মধুকে হারাম করেছিলেন কারন নিজের স্ত্রীদের কাছ থেকে তিনি ১টি ভুল ইনফোরমেশন পেয়েছিলেন যে মধু খেলে দূর্গন্ধের সৃষ্টি হয় আর তিনি জানতেন যে সকল দূর্গন্ধ বিশিষ্ট জিনিসই ক্ষতিকর আর সব ক্ষতিকর বস্তুই আল্লাহ হারাম করেছিলেন তাই তিনি সাময়িক ভুল বশত মধু নিষিদ্ধের মতামত দিয়েছিলেন কিন্তু নবী-রসুলরা ফাইনালী ভুলের উপর থাকে না তাই সাধারন মানুষ সে কথার অনুসরন শুরু করার পূর্বেই আল্লাহ সুবঃ ভুল সংশোধনে সুরা তাহরীম নাজিল করেন। আর সম্ভবত আপনি সহ অনেক মুসলমানরাই নবীদেরকে নূরের তৈরী এবং উনাদের কোন ভুল হতে পারে না, উনারা ফেরেশতা বা ঈশ্বর সমতূল্য ইত্যাদি কুসংস্কারে থাকেন কিন্তু একমাত্র আল্লাহ ছাড়া সকলেরই ভুল হতে পারে তবে আমাদের নবী সাঃ এর পাপ বা কোন অপরাধ ছিল না কিন্তু ভুল ঠিকই হত এমন অনেক হয়েছে এমনকি সাহাবী সহ সাধারন মানুষও উনাকে ভূল ধরিয়ে দিয়েছেন এবং তিনি হাসিমুখে তা মেনেও নিয়েছেন। নবীদের আল্লাহ সুবঃ ইচ্ছে করেই ভুল করিয়েছেন যাতে উনাদেরকে আল্লাহর সমতূল্য মনে করে শিরক না করে আর এতে রয়েছে অনেক হিকমতপূর্ন শিক্ষাও। কিন্তু কাঠ মোল্লারা নবী মাত্রই ভূলের ঊর্ধে এই প্রচারণার কাজটিই বেশি করেছে। পরে যখন আপনারা বা অনেক খুঁত অনুসন্ধিৎসু মনের মানুষ শানে নুযুল ছাড়া কুরান পড়ে বা কিছু তাফসিরগ্রন্থ হতে নবী সাঃ সম্পর্কে হুজুরদের দেওয়া নবীর বর্ননার সম্পূর্ন বিপরীত চরিত্রের(নবী সাঃ কে কুরানে সাধারন মানুষের মতই বলা হয়েছে) নবীকে দেখতে পায় তখনই তারা ঈমান হারায়। তাছারা মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় সবদেশেই ইসলামের বিপরীতে বর্তমানে রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে বৃটিশ সরকাররা আর যাদের ক্ষমতায় বসায় তারা প্রায় সকলেই হল- "গ্রেইট লুইচ্চা" এইসব লুইচ্চারা সেসব দেশে তাদের লুইচ্চামি অব্যহত রাখতে পা চাটা আলেমদের দিয়ে সেদেশের আরব মুসলিমদের ওহাবী সালাফীজম টাইপ ইসলাম দ্বারা ব্রেইন ওয়াশ করায় যার ফলে তারা শুধুমাত্র ধর্মগ্রন্থের শাব্দিক অর্থ ফলো করে কিন্তু কুরানের মর্মার্থ বুঝতে ব্যার্থ হয় (কেননা কুরান হল কবিতার ন্যায় অনেক কিছু রুপকভাবে এবং অলংকৃত করে বলা হয়েছে যেগুলোর শাব্দিক অর্থ স্বয়ং গাঁধাও করবে না কিন্তু সৌদী আর দুবাই- কাতারের ইসলামিক ইসকলাররা কিন্তু তাই করে) তখন তারা ভাবে কুরানে আছে পৃথিবী সমতল আর বাস্তবতা হল পৃথিবী রসগোল্লার মত! তাই পশ্চীমা মিডিয়ার দ্বারা ব্রেইন ওয়াশড আরবদের অনেকেই ইসলাম থেকে বেড়িয়ে নাস্তিক হয় আর নিজেদের মেয়েদেরকে বেলি ড্যান্সার বানায়, তাদের বেলী ড্যান্স দেখে আবার অনেক লুইচ্চা এরোবিক ঈমান হারায়। তবে আপনার দেয়া জরীপ অনুযায়ি লক্ষ লক্ষ এরাবিয়ান ইমান হারায় এটা যেমন ভুল ইনফোরমেশন ঠিক একইভাবে আপনি যেসব তাফসির পড়ে ইমান হারিয়েছেন সেসব তাফসির গ্রন্থ গুলোতেও রয়েছে ভূল ইনফোরমেশন যেগুলো কিনা উচুস্তরের নাস্তিক কর্তৃক আপনাদের জন্য অনুমদিত করা হয়েছে এমনভাবে যে এসব পড়ে বর্তমান জেনারেশনের মুসলিমরা পর্যন্ত নাস্তিকে রুপান্তরিত হতে বাধ্য হবে।
বিঃদ্রঃ যেকোন তাফসির গ্রন্থই নবী সাঃ, সাহাবী রাঃ , তাবে-তাবেঈন ব্যাতীত অন্য কোন সাধারন ব্যাক্তির হাতে করা ব্যাক্তিগত কুরানের ব্যাখ্যা, যেখানে অনেক বিষয় যেমন সঠিক রয়েছে ঠিক তেমনি রয়েছে অসংখ্য ভূলের সমাহার কিন্তু আল কুরান আর তার একমাত্র প্রধান তাফসির হল হাদীস ভান্ডার আর সহী হাদিস গুলোরও কোন ভুল নেই।তাই তাফসিরের উপরে কুরান ও সহী হাদীস রাখতে হবে তবে ভুল বুঝার সম্ভাবনা কম।

নাস্তিকঃ- -একমাত্র আল্লাহই সৃষ্টিকর্তা যদিই হন তাহলে পৃথিবীতে মনুষ্যজাতি আসার হাজার বছর পর কেন নিজের অস্তিত্তের জানান দিলো বা কুরান কেন পরে আসলো আগে কেন আসলো না? গোটা সৃষ্টিই যখন তার তাহলে তার মতবাদ শুধুমাত্র আরবদেশে আর আরবীতেই কেন শুরু করা হল?

আস্তিকঃ- আপনার যুক্তিনুযায়ি অনার্সের বই প্রাইমারিতে দেয়া হল না কেন ? যেহেতু আপনি বলছেন-কুরান কেন পরে আসলো আগে কেন আসলো না।আসলে এটা বুঝা খুবই সহজ যেমন- কুরানে অতীতের সব নবীর এবং পেছনের সব শিক্ষামূলক ঘটনার ইতিহাস লেখা আছে , তবে পেছনে ঐসব ঘটনাগুলো আগে তো ঘটতে হবে তার পরেই না আসবে অতীত হতে শিক্ষামূলক নির্দেশনা। আর চুরান্ত সমাধান সবশেষে আসবে এটাই স্বাভাবিক। আপনার এমন ধারনা হবার পেছনে প্রধান কারন হল হয়ত আপনি ভাবছেন অতীতে হয়ত ঈশ্বর এইধরনের কোন সমাধান পাঠাননি, এটি এক ধরনের বড় অজ্ঞতা কেননা অতীত হতেই যুগে যুগে তিনি সমাধানসহ নবী-অবতার পাঠিয়েছেন তাদের সকলের মূল বক্তব্য ও বেসিক শিক্ষা প্রায় একই আর সেই যুগের সমাধান বা ঈশ্বরের বানী সেই যুগের জন্য ছিল সকল সমস্যার একমাত্র সমাধান আর কুরান হল শেষ যুগের সকল সমস্যার সমাধান এবং ঈশ্বরের চুরান্ত নির্দেশনা যা শুধুমাত্র শেষ যুগের জন্যই প্রযোজ্য এখন শেষ যুগের সমাধান কেন অতীতের যুগে আগেই পাঠাবেন? এটা অনেকটা শিশু শ্রেনীর ক্লাসে অনার্স মাষ্টার্সের বই দিয়ে শিশুদের মানষিক ভাবে নির্যাতনের মত ব্যাপার।
সর্বশেষ ধর্ম শুধুমাত্র আরবদেশেরকেন শুরু করা হল? এটিরও অসংখ্য কারন রয়েছে যেমন-এমন সময় ঈশ্বর বিশ্ববাসির জন্য শুধুমাত্র আরব হতেই এক ধর্মই ঠিক করলেন, যখন সারাবিশ্বে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি শুরু হয়েছে।আর তা আরব দেশে শুরু হয়েছে কারন এটা হল মধ্যপ্রাচ্য আর কোনকিছু পুরো জায়গায় অল্পসময়ে পৌছাতে মধ্য হতেই শুরু করা উচিত। তাছারা তিনি কিয়ামতের দ্বারা সবকিছু একসাথে ধংসের পুর্বে সবাইকে আবারও তিনি ঐক্যে আনতে চেয়েছেন অথচ পুর্বের মত বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন নবী পাঠালে এই ঐক্য আনা সম্ভব হত না। আর সর্বশেষে বড় ধরনের মানব জাতির এই ধরনের ঐক্য শুধুমাত্র এক নবীর মাধ্যমেই বেশি উত্তম হয়।তাছারা মানুষগুলোও এই পর্যায়ে পৌঁছেছে যে তারা নিজেদের ভাষা সহ আরেকটি ভাষাও আয়ত্ব করতে পারে সহজেই অর্থাৎ বর্তমানে যে কেউই নিজের মাতৃভাষা সহ মোট ২টি ভাষা আয়ত্ব করতে সক্ষম (যেমনঃ ইংরেজিকে অনেক দেশে সেকেন্ড ল্যঙ্গুয়েজ হিসেবে ইউজ করে)কিন্তু তারপরেও মনে হতে পারে যে বিশ্বে আরও ভাষা থাকতে শুধু আরবীই কেন সর্বেশেষ ধর্মীয় ভাষা করা হল আর শুধুমাত্র মধ্যপ্রাচ্যের ছোট একটি এলাকার একজন মানুষের মাত্র ২৩ বছরের জীবনের ঘটনাবলী হতেই কিভাবে ভবিষ্যতের সকল অঞ্চলের সকল প্রকার মানুষের সকল সমস্যার সমাধান সম্ভব? এর অনেক কারন থাকলেও সাধারনত কয়েকটি প্রধান কারনে তা সত্যিই সম্ভব
১মত) সকল রক্ত-মাংসের মানুষেরই জৈবিক ও মানুষিক ব্যাপারগুলো প্রায় একই ধরনেরই তাই সকল মানুষের জন্য আলাদা আলাদা করে সমাধান নাজিল না করে কোন একজন আদর্শ মানুষের সব সমাধান দিতে পারলে দেখা যাবে সারাবিশ্বের সকল মানুষেরই বেসিক সমস্যার সমাধান হয়ে যায় এরপরও কিছু ব্যাতিক্রম থাকে যেমন- মহিলা মানুষ, দাস শ্রেনীর খুব গরীব মানুষ বা ধনী মানুষ, খুবই খারাপ মানুষ এবং অস্বাভাবিক মানুষ এদের সম্পর্কে আলাদা করে অতিরিক্ত নির্দেশনা নাজিল করলেই দেখা যায় সকলেরই সমাধান দেয়া হয়ে যায়।
২য়ত) সকল নবী আঃ দেরই পুরুষ করে প্রেরন করা হয়েছে নারীদের সমাধানসহ কিন্তু কোন নারীকে নবী করা হয় নাই কারন নারীরা শুধুমাত্র এক্স ক্রোমোজোমই বহন করে কিন্তু পুরুষরা এক্স ক্রোমোজোম এবং ওয়াই ক্রোমোজোম দুটোই বহন করে ফলে একজন পুরুষ নিজেদের ব্যাপারে ভালভাবে বুঝার পাশাপাশি নারীদের ব্যাপারেও ভালভাবেই বুঝে কিন্তু নারীরা নিজেদের ব্যাপারে বুঝলেও পুরুষের ব্যাপারগুলো ইচ্ছে থাকলেও বুঝতে পারবে না। এভাবে মানষিক ব্যাপার ছারাও শারীরিক আরও অনেক ব্যাপার আছে যার কারনে সর্বদাই নবী, কর্তা, শাষক, যোদ্ধা ইত্যাদি পুরুষদেরই হতে হয় আর নারী-পুরুষ দৈহিকভাবে আলাদা হলেও দু-জনেই মানুষ হওয়ায় বেশিরভাগ ব্যাপারগুলো উভয়েরই কমন হয় তাই পুরুষ নবীর সকল সমস্যার সমাধান করলে দেখা যায় এর মাধ্যমে নারীদেরও অধিকাংশ সমস্যার সমাধান হয়ে যায় আর বাদবাকী যেগুলোর সমাধান বাকী থাকে সেগুলো সম্পর্কে আলাদাভাবে সমাধান নাজিল করা হয় আর এভাবেই সকলেরই সমাধান হয়।
৩য়ত) সারবিশ্বের মানুষকে ভালভাবে খুব দ্রুত হেদায়েত করতে হলে যাকে প্রেরন করা হবে তাকে অবশ্যই পৃথিবীর মধ্যভাগে প্রেরন করলে দ্রুত সকলের কাছে সংবাদ পৌছানো সম্ভব আর আল্লাহ সুবঃ নবী সাঃ কে মধ্যপ্রাচ্যেই প্রেরন করেছেন এমনকি ক্বাবা শরীফের মত এমন আন্তর্জাতিক স্থানে জন্ম গ্রহন করিয়েছেন যে সেখানে ধর্মীয় কারন ছারাও সারাবিশ্বের বিভিন্ন জাতির যাতায়াত ছিল এমনকি কুরাইশদের নেতা বনু হাশিম বংশে জন্ম গ্রহনের মাধ্যমে নবী সাঃ এর প্রচার প্ররোচনা ও মানুষের মাঝে আলোচিত বেশি হত। মোট কথা পুরো বিশ্বকে এক জায়গা হতে আলোকিত করতে হলে অবশ্যই কেন্দ্র হতেই আলোকিত করতে হয় উদাহরণস্বরুপ- কেউ যদি চায় মাত্র একটি বাতি দিয়েই পুরো ঘরকে সমানভাবে আলোকিত করবে তবে তাকে অবশ্যই সেই বাতিটিকে ঘরের একদম মাঝখান কেন্দ্র বরাবর রাখতে হবে।
৪র্থত) সারাবিশ্বের সকল জাতিকে হেদায়েত করতে হলে সকল জাতির জন্য আলাদা আলাদা নবী প্রেরন না করে কোন একটি নির্দিষ্ট ঘুনে ধরা জাতির মাঝে রিভুলিউশন আনতে পারলে তা সকল জাতির জন্য আদর্শ হয়ে যায়। আর তাই দেখা যায় যে নবী সাঃ দ্বারা ১মে আরব জাতির সংস্কার হয়ে পরবর্তীতে অন্নান্য জাতিরও সংস্কার হয় যেমন ২য় খলিফা উমর রাঃ এর দ্বারা পারস্য জাতির। আর নবী সাঃ মক্কার নিপীড়িত মানুষদের নিয়ে প্রথমে মদিনায় ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠন করে তা ধীরে ধীরে সারাবিশ্বব্যাপী প্রসারিত করতে থাকেন যা কিনা সর্বযুগের সকল ধরনের মানুষের জন্য এক আদর্শ।
৫মত) আল্লাহ সুবঃ বিশ্ব নবীকে শুধুমাত্র আরব দেশে প্রেরন এবং সর্বশেষ ধর্মীয় জ্ঞান আরবী ভাষায় নাজিল করার মাধ্যমে আরও বেশী বিশ্বায়ন এবং আন্তর্জাতিকীকরণ সহজ করেছেন কারন বিশ্বের মাঝে একমাত্র আরবি ভাষাই হল একমাত্র শুদ্ধ এবং সবচেয়ে আদি ভাষা এমনকি দুনিয়ার বুকে মানব জাতির ১ম ভাষাও এটিই। শুধু তাই নয় এই ভাষা ১ম এবং পরিপূর্ন শুদ্ধ হওয়ায় পরকালেও ইন্টারন্যাশনাল ল্যাংগুয়েজ হিসেবে সকলেই ব্যাবহার করবে তাছারা মানব জন্মের পূর্বেও সবাই এই ভাষাই ব্যাবহার করেছে। আর সবচেয়ে বড় কথা হল একমাত্র আরবি ভাষাই হল পৃথিবীর বুকে সবচেয়ে সহজ ভাষা তাই অন্য যেকোন ভাষাভাষির মানুষ খুব সহজেই এই ভাষায় প্রত্যাবর্তন করতে পারে। এসব ব্যাপার ভাল বুঝবে যারা ভাষাবিদ তারাই তাছারাও যাদের একসংগে আরবী ভাষাসহ আরও কয়েকটি ভাষা জানা আছে তারাও বুঝতে পারবে যে ইহুদী-খ্রীষ্টানরা ইন্টারন্যাশনাল ল্যাঙ্গুয়েজ ইংলিশ না করে যদি আরবী ভাষা করত তবে সাধারন মানুষের কষ্ট অনেক কম হত কেননা আরবী ভাষার গ্রামাটিক্যাল নিয়ামাবালী একদম ম্যাথমেটিকসের মত সুশৃংখল এবং খুব সহজেই আয়ত্বে আসে ইত্যাদি বিভিন্ন কারনে আরবী ভাষায় যে কেউই ছন্দে ছন্দে কবিতা তৈরী করতে পারে কিন্তু অন্নান্য ভাষার গ্রামাটিক্যাল নিয়ামাবালী বিশৃংখলায় ভরপুর তাই সর্বসাধারন সহজে কবি-সাহিত্যিক হতে পারে না হলেও উচ্চ শিক্ষা নিয়ে ভাষায় গোজামিল দিয়ে কবিতা সহিত্য রচনা করতে হয়, আর একমাত্র আরবি ভাষাতেই বড় বড় মনের ভাব খুব অল্প শব্দে প্রকাশ সম্ভব হয় বলে সময়ের অপচয় কম হয় এজন্য মনে মনে এই ভাষায় চিন্তা-গবেষনাও অনেক দ্রুত করা যায় আর বানান করে উচ্চারণের ক্ষেত্রেও ভুল হবার সম্ভাবনা একদমই কম কিন্তু অন্নান্য ভাষার ক্ষেত্রে অনেক শব্দেরই বানান সহ মুখস্ত রাখতে হয় আর আরবি ভাষাতে মানুষের সকল ধরনের মৌলিক স্বরতন্ত্রই ব্যাবহার হয় বলে কন্ঠের অনুশীলন এমনিতেই হতে থাকে তাই কন্ঠও সুন্দর হয় তাছারা এমনিতেই আরবি ভাষা সকল ভাষার মাঝে সবচেয়ে সুন্দর ও শ্রুতিমধুর।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.