নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জরীফ উদ্দীন

জরীফ উদ্দীন

মন জোগাতে নয় জাগাতে

জরীফ উদ্দীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মধ্যবিত্ত অতঃপর

২৫ শে মে, ২০১৫ রাত ১২:০৪

-----------চার-----------
ঘুম থেকে থেকে জেগে উঠলাম রাত ১২.২৫ মিনিটে। এপাশ ওপাশ করছি ঘুম ধরতেছে না। দরজা খুলে বারান্দায় বেড়িয়ে আসলাম। বাবা বারান্দায় চেয়ারে বসে। উদাস মনে কি যেন ভাবছে।
বাবা। বাবা চমকে উঠে। না ঘুমিয়ে বসে আছো?
বিছানায় শুয়ে ছিলাম। ঘুম ধরছে তাই ভাবলাম বারান্দায় একটু বসি।
মা ঘুমাচ্ছে?
মেঘ।
হুম।
তোর মায়ের উপর তোর এত রাগ কেন?
বাবা, তুমি যদি আমার অবস্থানে থাকতে তাহলে বুঝতে।
পাগল!
তুমি শুনলে না, মা আমাকে কি বলল? আমাকে না কি মেরে ফেলত!
তোর মা তোকে খুব ভালবাসে।
ভালবাসে ছাই! দরদ থাকলে এভাবে বলত না।
তুইতো তোর মাকে সহ্য করতেই পারিস না। আমি কিছু না বলে দাড়িয়ে আছি।বাবা আবার বলা শুরু করে। আমি ও তোর মা তোকে কতক্ষণ ভাত খাওয়ার জন্য ডাকলাম। তুই শুনলিই না। যা এখন খেয়ে নে।
ছোট ভাইয়া এসেছে?
না।
তুমি খেয়েছ?
তোর মা সহ খেয়ে নে।
মা খায়নি?
না।
আমি খাইনি জন্য। তুমি তাহলে একা খেয়েছ? বাবা, তুমি খুব স্বার্থপর। বাবা হাসল।
কেন এমন মনে হল?
আমাকে ছেড়ে খেয়েছ।
তোকে কে বলল? পাগল কোথাকার, তোকে ছাড়া আমি কোনদিন খেয়েছি নাকি?
বাবা, চলো খাব।
যা তোর মাকে ডেকে নিয়ে আয়। এবারো না ডেকে এসে বলবি। রাতে খাবে না। দুষ্টু কোথাকার? বাবা হাসলেন। মাকে ডাকতেই উঠে এলো। মনেই হলো না কয়েক ঘন্টা আগে কিছু হয়েছে। মা ছোট ভাইয়ার কথা জিজ্ঞাসা করল। ছোট ভাইয়া আদিল আহমেদ আদি। একসময় ভালো ছাত্র ছিল। এখন লেখা-পড়া নামে মাত্র। ছাত্র রাজনীতি করে। যদি এতে সীমাবদ্ধ থাকত ভালোই হত। ইদানীং বাড়িতে আসে দেরি করে। আগে না আসা পর্যন্ত খাবার নিয়ে বসে থাকতাম। এখন তা নেই। রান্না ঘরে বড় একটা টেবিল। চারদিকে আটটা চেয়ার। রাতে খেতে বসে তেমন কোন কথা হল না। যে যার মত খেয়ে নিচ্ছি। আমার খাওয়া শেষ হলে ঘূমাতে গেলাম। বিছানায় উঠতেই বাবার উঁচু গলার আওয়াজ শুনতে পেলাম। বাইরে গিয়ে দেখি ছোট ভাইয়া দাঁড়িয়ে আছে। বাবা বলছে,
এত রাতে বাইরে কি? ভাইয়া নিরব। মা ভাইয়ার হাত ধরে রান্না ঘরে নিয়ে যাচ্ছে। বাবা আবার বলতে শুরু করল,
তুমি ওকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছ? আমার বাড়িতে এসব চলবে না। কোন ভদ্র ছেলে রাত ১টায় প্রয়োজন ছাড়া বাইরে থাকে? লেখা-পড়ায় কাঁচকলা, খাওয়া আর সারাদিন আড্ডাবাজি। শুনলাম মারামারি কর, চাঁদাবাজি কর, মেয়েদের রাস্তাঘাটে ডিস্টার্ব কর। এগুলোকে রাজনীতি বলে না। ভালো হও। তা না হলে এ বাড়িতে খাওয়া এবং থাকা দুটাই বন্ধ। বাবা বলেই চলছে। ভাইয়া মার হাত থেকে নিজের হাতটা টেনে নিয়ে ঝড়ের বেগে রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করল। মা এবং আমি এত ডাকলাম দরজা খুলল না। আমি এসএমএস দিলাম
Vaia uthe ay. vat na kheye ghumabi na.
রিপ্লে দিল
Tu ghuma. baba ghumale kheye nibo.
রিপ্লে দিলাম
ok.
একটু পরে মোবাইলে ২৯টাকার ফ্লেক্সিলোডের ম্যাসেজ। একটু পর আবার ভাইয়া ম্যাসেজ দিল
Ja tor message e dui taka khoroc korechp tai toke 29 taka dilam.
আমি রিপ্লে দিলাম
Thanks amar misti vaia. আমার সিমে শুক্রবার ও শনিবার ১টাকার কথা বললে ৫০ এমবি ডাটা, ৫০ টি এসএমএস পাওয়া যায়। তা আর ভাইয়াকে বললাম না।
ghuma ar message dibe na. sokale amar sathe dekha kore college jabi.
মা বাবা কিছুই বুঝল না। মাকে ভাইয়ার প্রথম ম্যাসেজ দেখিয়ে বাবাকে নিয়ে রুমে যেতে বললাম। তারা চলে গেল। বাড়িটা স্তব্ধ হয়ে গেল।
(চলবে)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.