নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নাস্তিক ও রাজাকার মুক্ত ব্লগ

আমি তুমি আমরা

লেখার সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।আমার অনুমতি ছাড়া এই ব্লগের লেখা কোথাও প্রকাশ করা যাবে না।

আমি তুমি আমরা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্যবসায় সফল হওয়ার মূলমন্ত্র কি?

১২ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৫

গতকাল quora.com-এ লগইন করলাম বহুদিন পর।দেখি সজেশানে একটা প্রশ্ন আছে। এক ভদ্রলোক জানতে চেয়েছেন, ব্যবসায় সফল হওয়ার মূলমন্ত্র কি?

যদিও আমি নিজে কোন ব্যবসায়ী নই বা ব্যবসা প্রশাসনের ছাত্র ছিলাম না, তবুও মনে হল উত্তর দেই। বলে রাখা ভাল, উত্তরটি বাস্তব অভিজ্ঞতা বা কোন থিওরীর ওপর বেসড নয়, পুরোটাই লেখা নিজের কমন সেন্স থেকে। যেহেতু গত একমাসে সামুতেও কোন পোস্ট দেয়া হয়নি, তাই এখানে উত্তরটা পোস্ট করে দিলাম আরেকটু মডিফাই করে।

পাঠক চাইলে এ ব্যাপারে নিজের চিন্তাভাবনা শেয়ার করতে পারেন। আলোচনার ফ্লোর উন্মুক্ত।

ব্যবসায় উন্নতি করার জন্য আপনার প্রধানত দুটি জিনিস প্রয়োজন।

১.সততা।

২. লেগে থাকার মানসিকতা তথা অধ্যবসায়।

সততাঃ ধরে নেয়া যাক, আপনি এমন কোন পণ্য বা সেবা বিক্রি করেন যা বাজারে থাকা অন্যকোন সাপ্লায়ার বা ব্যবসায়ীর কাছে নেই অর্থাৎ মনোপলি। এখন ক্রেতা যদি অর্ডার করে আপনার কাছ থেকে সঠিক সময়ে পণ্য না পান বা মানসম্পন্ন পণ্য না পান কিংবা আপনি পেমেন্ট নিয়ে পণ্য সাপ্লাই না করেন, সেক্ষেত্রে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই মার্কেটে অসৎ ব্যবসায়ী হিসেবে আপনার বদনাম ছড়িয়ে পড়বে, আপনি ক্রেতা হারাবেন এবং একসময় ব্যবসা বন্ধ করতে বাধ্য হবেন।

একই কথা আপনার সাপ্লায়ারের জন্যও প্রযোজ্য। তাদের কাছ থেকে পণ্য নিয়ে যদি সঠিক সময়ে বা সঠিক পরিমাণে আপনি পেমেন্ট না করেন-সেক্ষেত্রেও সাপ্লায়াররা আপনার সাথে ভবিষ্যতে আর ব্যবসা করবে না। অর্থাৎ আপনি মার্কেট থেকে আউট হয়ে যাবেন।

উভয়ক্ষেত্রেই দেখবেন মার্কেটে আপনার অবস্থান যত দূর্বল হচ্ছে, মার্কেটে ততই নতুন প্রতিযোগীর উদ্ভব হচ্ছে আর আপনার বায়ার আর সাপ্লায়াররা তার কাছেই যাচ্ছে কেনা-বেচার জন্য।

তাই প্রত্যেক ব্যবসায়ীর উচিত তার ব্যবসার সাপ্লাইচেনের উভয়দিকেই সততা বজায় রাখা।আপনার আশেপাশের মানুষ যখন বুঝবে আপনি সৎ, তখন কাস্টমার এবং সাপ্লায়ার- দুদিক থেকেই আপনি পজিটিভ রেসপন্স পাবেন।

সততার ক্ষেত্রে আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আইনের মধ্যে থেকে ব্যবসা করা। ধরা যাক, আপনার সাপ্লাইচেনের উভয়দিকেই আপনি পণ্য সাপ্লাই বা পেমেন্ট সঠিক সময়ে, সঠিক পরিমাণে করছেন, কিন্তু আপনার ব্যবসার মূল পণ্যটাই আইনত দেশে নিষিদ্ধ। সেক্ষেত্রে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নজরদারিতে পরলে ব্যবসা বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি জেল জরিমানারও ভয় আছে।আবার আপনার পণ্যটি হয়ত বৈধ, কিন্তু ভ্যাট-পরিশোধে আপনার গড়িমসি, বিপদ হতে পারে সেক্ষেত্রেও।

এবার আসি অধ্যবসায় তথা পরিশ্রমের এর ব্যাপারে। ধরুন, আপনি সততার সাথেই অনেকদিন ধরে ব্যবসা করছেন, কিন্তু যে সাফল্য আপনি আশা করেছেন, সেটা ধরা দিচ্ছে না।হতাশ হয়ে আপনি ব্যবসা বিক্রি করে দিলেন আরেকজনের কাছে। তিনি হয়ত ব্যবসা শুরুর অল্পদিনের মধ্যেই হু হু করে বিক্রি বেড়ে গেল, ব্যবসা ফুলেফেঁপে উঠল।

এজন্যই হতাশ হয়ে মাঝপথে ব্যবসা ছেড়ে না দিয়ে মাটি কামড়ে পড়ে থাকা উচিত। চেষ্টা করা উচিত সমস্যা চিহ্নিত করে তার সমাধানের ব্যবস্থা করা। সেক্ষেত্রে আজ হোক, কাল হোক, সাফল্য আসবেই, ইন শা আল্লাহ। নিজে সমস্যা খুঁজে না পেলে এক্সপার্ট তথা প্রফেশনাল কনসালট্যান্ট এর সাহায্যও নেয়ার সুযোগ আছে।

অধ্যবসায়েরই একটা অংশ ডেডিকেশন। ব্যবসা যে পর্যায়েই থাকুক না কেন লেগে থাকতে হবে।অনেক প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী একসময় কর্মচারীদের হাতে ব্যবসা ছেড়ে দেন বলে শেষ পর্যন্ত তাদের পতন ঘটে।ডেডিকেশনের অভাবেই মূলত এক প্রজন্মের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসা পরেএ প্রজন্মে গিয়েই মুখ থুবড়ে পড়ে। এই ব্যাপারটার সবচেয়ে ভাল উদাহরণ মনে হয় অনিল আম্বানি। বাবা ধীরুভাই আম্বানির রিলায়েন্স গ্রুপের বিশাল সাম্রাজ্য ভাগ হয়েছিল দুইভাই মুকেশ আর অনিলের মধ্যে। মুকেশ আম্বানি তার পরিশ্রম দিয়ে ভারতের তথা এশিয়ার শীর্ষ ধনী (বর্তমানে দ্বিতীয়) হতে পারলেও অনিল হয়েছেন দেউলিয়া। বিরাট আকারের লোন নিয়ে ডুবিয়েছেন ইয়েস ব্যাংক। অনেকে অবশ্য এর মধ্যে মানি লন্ডারিং এর কথা বলেন, তবে সেটা ভিন্ন আলোচনা।

সবার শেষে দরকার উদ্ভাবন এবং নতুন কিছুকে স্বাগত জানানোর মানসিকতা, সময়ের প্রয়োজনের সাথে নিজেকে মানিয়ে নেয়ার ক্ষমতা। ২০০৭ সালে এপল যখন টাচস্ক্রীন আইফোন নিয়ে আসে, নকিয়া তখনও তাদের সিম্বিয়ান বাটন ফোনগুলো নিয়েই বাজার মাত করবে বলে বিশ্বাস করত।এমনকি এপলের কাছে আমেরিকার মার্কেট হারানোর পরও আমেরিকার মার্কেট পুনরুদ্ধার না করে নোকিয়া তার ইউরোপ-এশিয়ার মার্কেট শেয়ার নিয়েই খুশি ছিল।শেষ পর্যন্ত নোকিয়া তার অতিআত্মবিশ্বাসের চড়ামূল্য দিয়েছে নিজেদের ফোন ডিভিশন মাইক্রোসফটের কাছে বিক্রি করে।

ব্যবসায় সফল হওয়ার ক্ষেত্রে আরও অনেককিছুই প্রয়োজন। যেমনঃ এফিশিয়েন্ট প্রোডাকশন প্রসেস ও সাপ্লাই চেইন, সফল মার্কেটিং ইত্যাদি। তবে সততা আর অধ্যবসায় থাকলে বাকিগুলো অর্জন করতে আর সমস্যা হয় না।

সবার শেষে একটা কুইজ।এখানে একটা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাও শেয়ার করি। এক সিনিয়র কলিগ একবার গল্পচ্ছলে জানতে চাইলেন, ধরে নিন, আপনি একটা কোম্পানির বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। ক্রমাগত লসের মুখে আপনারা কোম্পানির সিইও-কে ইতিমধ্যেই বরখাস্ত করেছেন।

আজ চলছে সিইও ক্যান্ডিডেটদের ইন্টারভিউ। মোট দুজন ক্যান্ডিডেট। ধরা যাক, একাডেমিক ও প্রোফেশনাল কোয়ালিফিকেশন এবং অভিজ্ঞতা দুজনেরই সমান কিংবা কাছাকাছি। তাই নিয়োগ প্রক্রিয়া পুরোটাই ডিপেন্ড করছে আজকের ইন্টারভিউর ওপর।

দুজন ক্যান্ডিডেটের কাছেই আপনি একই প্রশ্ন করলেন। এই ডুবতে থাকা কোম্পানিকে বাঁচানোর জন্য তার পরিকল্পনা কি?

প্রথমজন জবাব দিলেন, তিনি প্রথমেই ব্যয় সংকোচন নীতিতে যাবেন। প্রয়োজনে অফিসের কর্মবল কমিয়ে ফেলবেন।

দ্বিতীয়জন জবাব দিলেন, তিনি প্রোডাক্ট ডাইভার্সিফিকেশনের দিকে হাঁটবেন।

প্রিয় পাঠক, আপনি কাকে সিলেক্ট করবেন? কেন?

মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪০

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সুন্দর পোস্ট

আমি ২য় সিলেক্ট করব।

১২ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৫

আমি তুমি আমরা বলেছেন: কেন? বুঝিয়ে বলুন।

২| ১২ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৭

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: পুরনো অভিজ্ঞরা চলে গেলে ব্যবসার ক্ষতি হবে আরো বেশী।

১২ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:২৮

আমি তুমি আমরা বলেছেন: এটা একটা সম্ভাবনা। তবে এভাবেও দেখতে পারেন ব্যাপারটাকে, এখন যারা আছেন, তারা অদক্ষ বলেই প্রতিষ্ঠান লসে আছে।সেক্ষেত্রে পুরনোদের ছাটাই করে নতুন কর্মচারী নিয়োগ দেয়াটাই কি বুদ্ধিমানের কাজ নয়?

১২ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:৩০

আমি তুমি আমরা বলেছেন: আরেকভাবে ব্যাপারটাকে দেখতে পারেন। বিদ্যমান কর্মচারীদের ছাটাই করে অপেক্ষাকৃত নতুন কর্মী নিয়োগ দিলেন তুলনামূলক কম বেতনে। সেক্ষেত্রে বেতন-ভাতা খাতে প্রতিষ্ঠানের সাশ্রয় হবে। তাই না?

৩| ১২ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১১

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

১২ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:৩০

আমি তুমি আমরা বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ১২ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৪

শেরজা তপন বলেছেন: নিজে সফল ব্যবসায়ী না হয়ে সফলতার মুলমন্ত্রটা দেয়া একটু কঠিন বটে!
বেশীরভাগ ব্যাবসায়ী থিউরিটিক্যাল প্লানিং-এ সফল হয় না।

দুরদর্শীতা ব্যাবসায় সফললার মুল চাবিকাঠি বলে আমার বিশ্বাস।

১২ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:৩৪

আমি তুমি আমরা বলেছেন:  নিজে সফল ব্যবসায়ী না হয়ে সফলতার মুলমন্ত্রটা দেয়া একটু কঠিন বটে!

সত্যি।তবে এদেশের মোটিভেশনাল স্পিকারদের কথা চিন্তা করুন। নিজে কোন নির্দিষ্ট প্রফেশনে না থেকেও তারা সকল বয়সের, সকল প্রফেশনের লোকজনকে জ্ঞান দিয়ে চলেছেন।আমার কাছে খুব অদ্ভুত লাগে ব্যাপারটা।

১২ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:৩৬

আমি তুমি আমরা বলেছেন: বেশীরভাগ ব্যাবসায়ী থিউরিটিক্যাল প্লানিং-এ সফল হয় না।

একমত। আসলে প্রতিটি ব্যবসার, প্রতিটি ব্যবসায়ীর চারপাশের বাস্তবতার রূপ ভিন্নভিন্ন। স্বাভাবিকভাবেই তাদের সাফল্যের চাবিকাঠিও ভিন্ন হবে। পৃথিবীর প্রতিটি পরিস্থিতি কভার করার মত কোন থিওরি আসলে দাড় করানো সম্ভব না।

১২ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:৪১

আমি তুমি আমরা বলেছেন: দুরদর্শীতা ব্যাবসায় সফললার মুল চাবিকাঠি বলে আমার বিশ্বাস।

অনেকাংশে একমত, তবে পুরোপুরি নই। ধরুন, আপনি একজন অভিজ্ঞ শেয়ার ব্যবসায়ী। আপনার কাছে মনে এই মুহূর্তে একটি শেয়ারে ইনভেস্ট করা ঠিক হবে না, তাই আপনি করলেন না। অথচ সেই একই শেয়ারে আরেকজন নতুন ব্যবসায়ী রিস্ক নিয়ে ইম্ভেস্ট করলেন এবং আপনার প্রেডিকশানকে পালটে দিয়ে বিশাল লাভ করে ফেললেন। অসম্ভব কি?

৫| ১২ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৫

অপু তানভীর বলেছেন: আমাদের সমাজের একটা প্রচলিত বিশ্বাস হচ্ছে লেগে থাকলে পরিশ্রম করলেই সফলতা আসবে । এটা আসলে ভুয়া কথা । সফলার জন্য পরিশ্রম অবশ্যই দরকার । কিন্তু সেই সাথে একটা কথা মনে রাখতে হবে যে সবাইকে দিয়ে সব কিছু হয় না আর সবাই সব কিছু পারবে না । লেগে থাকলেই ব্যবসা সফল হবে কিংবা সৎ হলেই ব্যবসা সফল হবে এমন ট ম্যান্ডাটরি নয় !

তপন ভাই যেটা বলেছে, দুরদর্শীতা ব্যবসায়ে সফল হওয়ার জন্য মুল চাবিকাঠি !

১২ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:৪৯

আমি তুমি আমরা বলেছেন: সবাইকে দিয়ে সবকিছু হয় না

অনেকাংশে একমত, পুরোপুরি নই। ধরুন, আপনি আমাকে এই মুহূর্তে জয়নুল আবেদিনের মত একটা ছবি আঁকতে বললেন বা শার্লক হোমসের মত গোয়েন্দা কাহিনী লিখতে বললেন। সহজাত প্রতিভা না থাকলে সেটা সম্ভব নয়। কিন্তু যদি আমাকে বললেন, সারাদিন দোকানে বসতে, কাস্টমারকে তার পছন্দমত পণ্য বিক্রি করে টাকার হিসাব রাখতে, সেটা কি একজন এভারেজ মানুষের পক্ষ্র অসম্ভব?

ব্যবসার জন্য অবশ্যই দূরদর্শিতার প্রয়োজন, সেই দূরদর্শিতা অর্জনের জন্য আপনাকে বহু দিন লেগে থেকে ব্যবসা করতে হবে। দূরদর্শিতা আসে অভিজ্ঞতা থেকে, এটা অর্জনের কোন শর্টকাট পথ নেই।

৬| ১২ ই জুন, ২০২২ রাত ১০:০৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: আমি তুমি আমরা,



এখন- এই সময়ে ব্যবসায় সফল হতে সততা আর অধ্যাবসায় লাগেনা। লাগে শেয়ালের মতো মুরগী ধরা জনিত দুরদর্শী জ্ঞান ও প্রতারণার কৌশল জানা।
একটা অন লাইন ব্যবসা খুলে বসুন। আর কাষ্টমারদের কয়েকশো কোটি টাকা পাঁচার করে ধরা পরার আগেই বেগম পাড়ায় চলে যান। সাফল্যই সাফল্য। :P ভুড়ি ভুড়ি উদাহরণ আছে এমন।

১২ ই জুন, ২০২২ রাত ১১:৪৮

আমি তুমি আমরা বলেছেন: ভাই, ওটাতো আর ব্যবসা হবে না, হবে সহজ বাংলায় প্রতারণা। আমি ধরে নিচ্ছি, একজন সত্যিকার অর্থেই ব্যবসা করতে চান। সেটা উৎপাদন খাতে হতে পারে, পণ্য বা সেবা কেনাবেঁচা হতে পারে। সফল হতে হলে তার মধ্যে কি কি গুণ থাকতে হবে, কোন পথে হাঁটতে হবে তাকে?

৭| ১২ ই জুন, ২০২২ রাত ১০:২৩

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: লেখক বলেছেন: এটা একটা সম্ভাবনা। তবে এভাবেও দেখতে পারেন ব্যাপারটাকে, এখন যারা আছেন, তারা অদক্ষ বলেই প্রতিষ্ঠান লসে আছে।সেক্ষেত্রে পুরনোদের ছাটাই করে নতুন কর্মচারী নিয়োগ দেয়াটাই কি বুদ্ধিমানের কাজ নয়?
-- অদক্ষদের বেশী দিন টিকে থাকা অসম্ভব। কর্পোরেটে সবাই নিজ যোগ্যতায় টিকে থাকে।


লেখক বলেছেন: আরেকভাবে ব্যাপারটাকে দেখতে পারেন। বিদ্যমান কর্মচারীদের ছাটাই করে অপেক্ষাকৃত নতুন কর্মী নিয়োগ দিলেন তুলনামূলক কম বেতনে। সেক্ষেত্রে বেতন-ভাতা খাতে প্রতিষ্ঠানের সাশ্রয় হবে। তাই না

--- দেখুন প্রতিযোগীতার মার্কেট। ভালো কোম্পানি গুলো যোগ্যদের বেশী বেতনে নিয়োগ দেয়। কম বেতনে কি একজন দক্ষ কর্মী কাজ করবে ? প্রোডাক্টিভিটি এবং রেভিনিউ বাড়ানোর দিকে নজর দিতে হবে।

১২ ই জুন, ২০২২ রাত ১১:৫০

আমি তুমি আমরা বলেছেন: -- অদক্ষদের বেশী দিন টিকে থাকা অসম্ভব। কর্পোরেটে সবাই নিজ যোগ্যতায় টিকে থাকে

কিছুক্ষেত্রে ব্যতিক্রম থাকে। এদের হয়ত ক্যারিয়ার গ্রোথ কম হয় কিংবা একেবারেই হয় না, তবে তেলাপোকার মত অফিসের এককোণ্র ঠিকই টিকে থাকে এরা।

১২ ই জুন, ২০২২ রাত ১১:৫৩

আমি তুমি আমরা বলেছেন: - দেখুন প্রতিযোগীতার মার্কেট। ভালো কোম্পানি গুলো যোগ্যদের বেশী বেতনে নিয়োগ দেয়। কম বেতনে কি একজন দক্ষ কর্মী কাজ করবে ? প্রোডাক্টিভিটি এবং রেভিনিউ বাড়ানোর দিকে নজর দিতে হবে।

ভাল বলেছেন।

৮| ১২ ই জুন, ২০২২ রাত ১১:১৪

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

এদেশে মুরগী হোন নাহয় মুরগী বানান; বানাতে শিখলেই ব্যবসা আপনার পকেটে।

১২ ই জুন, ২০২২ রাত ১১:৫৪

আমি তুমি আমরা বলেছেন: সেটাতো ভাই, ব্যবসা হবে না, হবে প্রতারণা।

৯| ১৩ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:১১

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: সঠিক পরিকল্পনা ও কঠোর পরিশ্রম এটাই হয়তো ব্যবসার মূলমন্ত্র যদিও আমি ব্যবসায়ী না।

২৩ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:১৮

আমি তুমি আমরা বলেছেন: আপনার সাথে একমত। তবে সততার কথা কোনভাবেই ভুলে যাওয়া চলবে না।

দেরীতে প্রত্যুত্তর দেয়ায় কিছু মনে করেননি আশা করি।

ভাল থাকুন। শুভকামনা রইল।

১০| ২১ শে জুলাই, ২০২২ ভোর ৬:৫৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: ব্যবসায়ে সফল হতে হলে উদ্ভাবন, তথা নতুন কিছুকে স্বাগত জানানোর মানসিকতা একটি অত্যন্ত জরুরি আবশ্যকীয়তা। অনেকে তাদের মনে 'পরিবর্তন' এর প্রতি এক সহজাত অনীহা পোষণ করে চলেন। এটা ব্যবসায়ে সাফল্য লাভের বিরুদ্ধে একটি প্রধান অন্তরায়।

এর সাথে সততা, সময়ানুবর্তিতা এবং সঠিক সময়ে সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণে ও বাস্তবায়নে পারদর্শিতা যুক্ত হলে ব্যবসায়ে সাফল্য লাভ অনিবার্য হয়ে পড়ে।

২৩ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:১৯

আমি তুমি আমরা বলেছেন: অনেকে তাদের মনে 'পরিবর্তন' এর প্রতি এক সহজাত অনীহা পোষণ করে চলেন। এটা ব্যবসায়ে সাফল্য লাভের বিরুদ্ধে একটি প্রধান অন্তরায়।

একমত। জ্বলজ্যান্ত উদাহরণ হল নোকিয়া।

২৩ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:২১

আমি তুমি আমরা বলেছেন: সাথে সততা, সময়ানুবর্তিতা এবং সঠিক সময়ে সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণে ও বাস্তবায়নে পারদর্শিতা যুক্ত হলে ব্যবসায়ে সাফল্য লাভ অনিবার্য হয়ে পড়ে।

একেবারে ঠিক বলেছেন।

১১| ২১ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:০১

নতুন বলেছেন: ব্যবসার সফল হতে হলে কিছু জিনিস লাগে সেটাকে অনেকে ভাগ্য বলে ( আসলে ভাগ্য না সঠিক সময়ে সঠিক কাজটা করা বলতে পারেন) অনেকে অভ্যগতার কারনে সেটা পারে অনেকে ঐ অবস্থানে ছিলো বলে সেই সুযোগটা পায়।

আমি নিজে কয়েকটা ব্যবসার চেস্টা করেছি। ২টা তে ধরা খেয়েছি। কিন্তু আমার ব্যাবসায়ীক আইডিয়া যে ঠিক ছিলো সেটা পরে প্রমান পেয়েছি কিন্তু পারিপার্শিক অবস্থার কারনে ঐ সময় আমার আইডিয়া বাস্তবায়ন করতে পারিনাই।

অনেক মানুষ কোন ভালো যোগ্যতা ছাড়াই সফল ব্যবসায়ী হয়েছে। অনেকে চেস্টা করেও সফল হচ্ছে না। হয়তো ঠিক মতন চেস্টা করছেনা।

কিন্তু ব্যবসা শুরুর পরে একবার ব্রেকইভেন পয়েন্টে আসতে পারলে সততা, সময়ানুবর্তিতা এবং সঠিক সময়ে সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণে ও বাস্তবায়নে পারদর্শিতা যুক্ত হলে ব্যবসায়ে সাফল্য লাভ অনিবার্য হয়ে পড়ে। ( যেমনটা খায়রুল ভাই বলেছেন)



২৩ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:২৩

আমি তুমি আমরা বলেছেন: ব্যবসা শুরুর পরে একবার ব্রেকইভেন পয়েন্টে আসতে পারলে সততা, সময়ানুবর্তিতা এবং সঠিক সময়ে সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণে ও বাস্তবায়নে পারদর্শিতা যুক্ত হলে ব্যবসায়ে সাফল্য লাভ অনিবার্য হয়ে পড়ে।

মূল চ্যালেঞ্জ হল ব্রেক ইভেন পর্যন্ত মাটি কামড়ে প্রতিযোগিতার মাঠে টিকে থাকা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.