নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মিজান আহামেদ

কালের সময়

সকলে ভালো থাকুন

কালের সময় › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেখুন এই গরমে কিভাবে আপনি সুস্থ থাকবেন ।

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৪৫


আসসালামুয়ালাইকু ওয়ারাহমাতুল্লাহে ।
ব্লগে ও ব্লগের বাইরে থাকা সকল প্রিয় ভাই বোনদের প্রতি আমার সালাম ও ভালোবাসা এবং অনেক অনেক শুভেচ্ছা থাকল ।
আশা করি সকলেই এই অফুরন্ত গরমের সকালে ভালই আছেন । চলুন সকলে মিলেমিশে আলোচনায় চলে যাই । তবে হ্যা আরেকটি বিষয় আগে বলে নিচ্ছি আমি কিন্তু কোন ডাক্তার কবিরাজ না সূতারং আমাকে যত কম প্রশ্ন করবেন ততয় আমার স্বাস্থের জন্য ভালো । বরং আমাকে প্রশ্ন না করে আশে পাশে ভালো কোন ডাক্তার থাকলে তার কাছ থেকে ভালো কোন পরামর্শ নিতে দ্বিধাবোধ করবেন না । একদিকে গরম আসতে না আসতেই শুরু হয়েছে পানির সমস্যা ।অন্যদিকে বিদুৎ এর সমস্যাতো আছেই। সব মিলিয়ে এই গরমে আসলে মানুষের শরীর সুস্থ রাখা দায় হয়ে দাঁড়ায় ।
আর এবার শুরুতেই যে গরম রিটিং মানে পড়তে শুরু করছে তাতে মনে হচ্ছে লোড শেডিংও তেমনি হবে । আর এই লোড শেডিং এর জন্য রাতবিরাতে যখন তখন ঘটে যেতে পারে যে কোন বড় ধরনের বিপদ । সে ক্ষেত্রে আমাদের এসব বিপদ এড়াতে কিছু সতর্ক থাকতে হবে । যেমন বিশেষ করে আপনার হাতের কাছে সব সময় একটি চার্জিং লাইট রাখুন বা হাতে সব সময় একটি টর্চ লাইট রাখুন । তাও সম্ভব না হলে একটি দশ বা বিশ টাকা দামের মোমবাতি ও একটি ম্যাছ রাখুন । উপরক্ত বিষয় গুলো একটু মাথায় রাখলে তাতে লোড শেডিং হলে অন্ধকারে বিপদ ঘটার হাত থেকে ১০০% নিরাপদ থাকার সম্ভব হবে । উপরক্ত ওই জিনিসগুলো শুধু গরমেই নয় বরং মেঘ বৃষ্টি বর্ষা বাদলা দিনেও আপনার অনেক উপকারে আসবে ।
আর এই গরমের দিনে পারলে ফ্রিজের ঠান্ডা পানি হতে একশত মাইল দূরে থাকুন । না হলে শাররীক ক্ষতি হবে । আসলে গরমের কিছু স্বাস্থ্যবিধি আছে যা আমাদের মেনে চলতে হবে বা মেনে চললে আমাদের জন্য মঙ্গল । পাশাপাশি কিছুটা রূপচর্চাও করা অতি জরুরী তবে তা আবহাওয়ার সাথে মানানসই করে । বেশি গরম পড়লে আমরা অনেকেই অল্পতেই হাঁপিয়ে উঠি । আবার দেখা যায় অনেকের হিট র্যাশও ফুড পয়জনিং হয় । তাই এই গরমে সুস্থ থাকতে হলে প্রাথমিক কিছু প্রস্ত্ততি নেয়া প্রয়োজন ।
যেমন বাড়িতে ও বাড়ির বাহিরে খাবারের বিষয়ও সতর্ক থাকতে হবে বা খুব নিয়ম মত খেতে হবে । বিশেষ করে গরমে তেলে বাজাপুরা যত কম খাবেন ততই আপনার স্বাস্থের জন্য উপকার ।এ গরমের সময় যত
পারুন হালকা সহজ খাবার খাবেন । পাশাপশি পযপ্ত পরিমান পানি খাওয়া প্রয়োজন । আমাদের একটি কথা ভালোভাবে মাথায় রাখতে হবে এই গরমে যদি আমরা শুধু পানি খাবোই না বরং পারলে পযপ্ত পরিমান পানি পান করার অভ্যাস গড়ে তুলবো, আর তাতে কিন্ত এই গরমে সুস্থ থাকার জন্য আমরা এক ধাপ এগিয়ে গেলাম ।এই গরমে আমাদের একেক জনের প্রতিদিন কমপক্ষ্যে তিন থেকে চার লিটার
পানি পান করা উচিৎ । বেশি বেশি পানি জাতিয় খাবার খেতে পারেন । যেমনঃ বাটার মিল্ক,লেবু দিয়ে চিনির শরবত,ডাবের পানি,ইত্যাদি নিয়ম করে খাওয়া যেতে পারে । তাতে করে আমরা অন্তত ডিহাইড্রেশনের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পারি । আবারো বলছি আমি কিন্তু কোন ডাক্তার না সূতারাং একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন ।
এই গরমে আমরা যখন কোন কাজে বাহিরে বের হই তখন যেন হাতে করে কিছু গ্লুকোজ বা ওরসেলাইন মিশিয়ে পানি সঙ্গে রাখতে পারি । কেননা গরমে শরীর ঘেমে ঘামের সঙ্গে যে পরিমান পানি ও লবন আমাদের শরীর থেকে বের হয়ে যায় তা সেলাইন বা গ্লুকোজে পূরণ করা সম্ভব ।বিশেষ করে তার জন্যই গরমে এত পানি পান করা উচিৎ ।
তাছাড়াও কিন্তু এই গরমে শরীরে আলেদা এনার্জি বা শক্তি সঞ্চয় রাখতে আমরা নিয়ম করে কিছু ফল খেতে পারি ।গরম কালে যে ফলগুলো আমরা হাতের কাছে পাই যেমনঃ আম, জাম, কাঁঠাল, জামরুল, তরমুজ, ডাব, পেঁপে,নানান ধরনের ফল আমরা বেশি করে খাবো তাতে আমাদের স্বাস্থ ভালো থাকা ছাড়াও শরীরের ভিটামিনের অভাব দূর হবে এবং ওয়াটার ইনটেক বাড়াতেও অনেক সাহায্য করবে । গরম পড়লে আমাদের অনেকের খাবারের রুচি কমে যায় তাই আমরা অনেকেই নিয়মিত খাবার খাই না, যা
আমাদের স্বাস্থের জন্য মোটেও ঠিক না ।বিশেষ করে সকালের নাষ্টা কোন ভাবেই বাদ দেয়া যাবে না । কেননা সকালের নাষ্টা সারাদিন আমাদের মন ও স্বাস্থকে চাঙ্গা ও ফ্রেস এবং তরতাজা রাখতে অনেক ভূমিকা রাখে বা সহয়তা করে ।একটি কথা আমাদের মাথায় রাখতে হবে নাষ্টা মানেই কিন্তু পেটভরে খাবার না এটা আপনার আমার রুচি অনুযায়ী খাবার । আর বিশেষ করে গরমের সময় অবশ্যয় নাষ্টার টেবিলে ফল রাখলে ভালো তাছাড়াও নাষ্টা হিসেবে আমরা যেমনঃ আটা রুটি সাথে যে কোন সবজি, দই দিয়ে চিড়া মুড়ি বা খই খেতে পারি ।
আর গরমে বেশি তেল ও মশলাযুক্ত এবং ফ্রিজ রাখা খাবার যেন আমরা না খাই । বরং যতটুকো পারি বেশি বেশি সিদ্ধ খাবার খাই ।
আর অবশ্যয় গরমে মাখন জাতিয় খাবারগুলো বর্জন করা উচিৎ কারন এ জাতিয় খাবারগুলো বেশি খেলে এরা প্রথমেই হজমে সমস্যা করে থাকে । তাছাড়াও শরীরে একটা অস্থির ভাব গড়ে তুলে ।পেট ফাঁপা লেগে থাকতে পারে । এছাড়াও বেশি মশলাযুক্ত খাবারগুলো খেলে আমাদের হাইপার অ্যাসিডিটির সমস্যাও দিতে পারে ।
গরমের সময় ঠান্ডা হয়ে যাওয়া খাবারগুলো বার বার গরম করে খাবার থেকে আমাদের বিরত রাখতে হবে ।কেননা তাতে খাবারের পুষ্টি ও গুনাগুন কমে যায় বরং ক্ষতির সম্ভবনাই বেশি ।গরমে আরো পারলে টম্যাটোর সাথে অলিভ বা অন্য কিছু মিলেয়ে স্যালাড করে খাবারের সঙ্গে খেতে পারি ।
আরেকটি বিষয় গরমে এক সঙ্গে অনেকগুলো খাবার খেতে আমাদের অনেক কষ্ট হয় তাই একেবারে না দিনে পাঁচ থেকে ছয়বার আমরা খেতে পারি ।এতে মন ও শরীর দুটোই সুস্থ থাকবে ।আর যতটা পারা যায় আমরা যেন গরমে বাহিরের খাবার বর্জন করে ঘরের তৈরি খাবার বেশি খাই ।
তাহলে আজ এ পযন্তই শেষ করছি । এই গরমে সকলের মন ও শরীর সুস্থ ও চাঙ্গা ফ্রেস থাকুক সেই শুভকামনায় বিদায় নিলাম ।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৫৬

বিজন রয় বলেছেন: বাহ! কাজে লাগবে।
আপনাকে ধন্যবাদ।

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৪৫

কালের সময় বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।

২| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:১১

দিশেহারা আমি বলেছেন: ভাল।
গরম আসুক তারপর দেখা যাবে, আমি এখনও কম্বলের নীচে।

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৪৬

কালের সময় বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।আপনি মনে হয় হিমালয়ে আছেন । =p~

৩| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৪৫

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ভালো বলেছেন

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:১৯

কালের সময় বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.