নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মিজান আহামেদ

কালের সময়

সকলে ভালো থাকুন

কালের সময় › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ লেখকের শেষ উপহার বিষও মৃত্যু

০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৪:১৪



কবে কখন থেকে লেখার জীবণে আগমনের শুরু করেছিলেন অতটা খেয়াল নেই তবে খুব বেশি মনে হয় তার জীবনের কাল ছিল তার মনের ভাবনাগুলো যার পরিনাম ছিল শেষ পযন্ত কারো না কারো জীবনে কষ্ট ভোগ করা অশুভ সে মৃত্যুর দৃষ্টি অবশেষে মৃত্যুর যন্ত্রনায় ছটফট করতে করতে মৃত্যুর কুলে ঢুলে পড়া । আফজাল সাহেব তার থিম থেকে যত বই লিখতেন সবই শুরু থেকেই হিট করে চলতো । তবে তার বইগুলো হিটের যেমন একটা শুরু থাকতো এর শেষ ছিল না ।
ওরকম অসংখ্য জীবনি তিনি লেখেছেন ।যেমন শেষ লেখাটি রুদ্ররয়কে নিয়ে লেখেছিলেন রুদ্ররয় সেও আরেক বিচিত্রময় লেখক। যেন তার মনের ভাবনাগুলোর সাথে সরাসরি ঈশ্বরের মনও ভাব বা হাত থাকতো ।রুদ্ররয় উনার শেষ বইটিতে অভিনেতা তরুকে নিয়ে লিখেছিলেন আর সেটা যে ভাবে আফজাল সাহেব তার ডাইরীতে লেখে রেখেছিলেন ।লেখক রুদ্ররয়ের সব থেকে প্রিয় অভিনেতা তরুর কথা ।রুদ্ররয়ের একজন প্রিয় অভিনেতা ছিল তরু ।
তরুর অভিনিত এমন কোন সিনেমা ছিল না যা রুদ্ররয় দেখেননি । আর পরিচালক ফিরোজ খানও রুদ্ররয়ের সে বাল্য কালের বন্ধু । আর তাদের এই বন্ধুত্বের কারনেই তরুর ছবি দেখতে দেখতে ওর সাথে সরাসরি পরিচয় হওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল । বেচারা ফিরোজ একটি সুটিং শেষে বাড়ি ফেরার পথে হঠাৎ রোড দূরঘটনায় মারা যান । প্রতি বছরেই জুলাই মাসের ষোল তারিখে ফিরোজের মৃত্যু বাষিকী পালিত হয় । আর এবারও পালিত হবে সে ব্যাপারেই কথা বলার জন্য কয়েকদিন আগে তরুর সাথে কথা বলার সময় কেন যেন বার বার মনে হয়েছে খুব শিগ্রই আমাকে পরিচালক ফিরোজের মত একজন প্রিয় অভিনেতাকেও হারানোর শোক সহ করিতে হবে । ঘটনা ক্রমে কয়েকদিনের ভিতরেই সেটা বাস্তবে পরিণত হল । তরুর সাথে শেষ কথার দিন সাতেকের মাথায় একদিন প্রতিদিনের মত সেদিনও রুদ্ররয় সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে অফিসে যাওয়ার প্রস্ত্ততি নিতেছিলেন এমন সময় টিয়েন্টির সেই বিশাল দেহের পিতলের তৈরি ফোনটি ক্রিং ক্রিং শব্দ করে বেজে উঠলো ।দৌড়ে ফোনের হ্যান্ডেলটি উঠিয়ে কানে লাগাতেই ফোনের ওপ্রান্ত থেকে কানে ভেসে এল তরুর মৃত্যুর দূর সংবাদ ।
রুদ্ররয় অফিসে আর না যেয়ে তরুর ওখানে চলে যান আর তরুর শেষ সমাধী করে রাতে বাড়ি ফিরেন ।তরু মৃত্যুর আগে রুদ্ররয়ের নামে একটি চিঠি লিখে রাখেন । যে চিঠিতে তরু তার একটি ডাইরী রুদ্ররয়কে উপহার দিয়ে যান ।আর রুদ্ররয়কে বলা হয়েছে তরু সুটিং এর পাশে অবসর সময় নিজে পরিচালনা করবে এমন একটি মুভি নিয়ে ওই ডাইরীতে সে কাহিনীটা লিখেছেন তবে পুরোটা লিখে যেতে পারেননি ।
যেটুকো বাকি আছে ওইটুকো রুদ্ররয়কে লিখে শেষ করে মুভির কাজটিও সম্পর্ণ করতে বলেছেন ।রুদ্ররয় তরুর মৃত্যুর আগে লেখে যাওয়া ডাইরীতে তার শেষ ইচ্ছে অনুযায়ী ডাইরীর ভিতরে লেখা প্রথম কয়েক লাইন পড়েই বুঝে গেলেন আসলে এ মুভিটি একটি থ্রিলার টাইপের মুভি হবে । তাই রুদ্ররয় তার জীবনে তার ভাবনা চিন্তার জন্য পিঁছু এ পযন্ত ঘটে যাওয়া সব দূরঘটনাগুলোকে একে একে মনে করতে থাকলেন আর নিজের ভাবনাগুলোকে অভিশপ্ত জীবনের ভাবনা বলে ঘৃর্ণা করছিলেন ।
রুদ্ররয় কোন ভাবেই চাননি তার জন্য নতুন কোন দূরঘটনা তার ফ্যামেলীর কারো জীবনে ঘটুক । তাই তরুর লেখাটি এমন ছিলঃ
একজন মা একজন নবজাতক সন্তানের মা হবেন । তবে আশ্চর্যের বিষয় হল সে মায়ের কুলে একজন মানুষ সন্তানের পরিবর্তে একটি বিষাক্ত সাপের জম্ম হবে । আর সে বিষাক্ত সাপের জর্ম্মের সময় তার মায়ের মৃত্যু ঘটে আর মাস কয়েক এর ভিতরে তার বাবারও মৃত্যু হয় ।
আর এ থ্রিলার কাহিনীর মুভিটি তৈরি করতে হলে রুদ্ররয়কে আরো ভাবতে হবে আরো গভীর থেকে মুভির থিম তুলে আনতে হবে । আর রুদ্ররয়ের ভাবনা মানেই নতুন কোন দূরঘটনা হয়ত বা কারো মৃত্যু ।আরো সব থেকে মজার কথা হলো তখনও পযন্ত রুদ্ররয়ের বিয়ের বয়স সাত চলছিল আর দুঃখজনক কথা হল তখনও সে বাবা হতে পারেননি । তাই সে তরুর লেখা কাহিনীকে নিজের জীবনের সাথে কেমন জানি মিলে যাওয়ার একটা দূর চিন্তায় মগ্ন থাকতেন ।
আর বিষয়টি রুদ্ররয় বেশ মানসিক টেনশন বা দূরচিন্তায় তার শরীর ও মনবল বেশ দূর্বল হয়ে পরে আর সে জন্য রুদ্ররয় ডঃ বোশ এর সাথে দেখা করে ডঃ বোশকে সব ঘটনা খুলে বলেন ।
ডঃ বোশ হলেন একজন মানসীক বিশেষজ্ঞ ।
ডঃ বোশ তার মুখে বিস্তারিত শুনে তাকে বললেন আরে মিয়া রুদ্র তুমি এযুগের ছেলে পুলে হয়েও সে আদিম যুগে পরে আছো ।আসলে রুদ্র এগুলো তোমার মনের ভুল ধারনা তোমার ভাবনার জন্য কারো কোন দূরঘটনা বা মৃত্যু ঘটেনি হয়ত তাদের ভাগ্যে মৃত্যু বা দূরঘটনা লেখা ছিল যে কারনে তাদের যা ভাগ্যে লেখাছিল তাই ঘটেছিল ।শুধু শুধু ওসব মিছে ভাবনায় নিজেকে অসুস্থ করার কোন মানে নাই রুদ্র ।
সূতারাং তুমি মন থেকে ওসব দূরচিন্তা ছাড়ো । আর দূরচিন্তা বাদ দিয়ে তরুর লেখা মুভির সুটিং এর কাজে হাত লাগাও দেখবে ঈশ্বরের কৃপায় তোমার ভুল গুলো ভাঙ্গবে তরুর এবং তোমার যৌথ লেখা মুভিও হিট হবে ।

ডঃ বোশের চেম্বারে বসে থাকতেই থাকতেই রুদ্ররয়ের বাসা থেকে ফোন ।বাসা থেকে রুদ্ররয়ের মা ফোন করে রুদ্রকে বাসায় যেতে বললেন বৌমা কেন যেন হঠাৎ করে মাথা গুরিয়ে পড়েগেছে । কয়েকবার বমি বমি ভাবও করছিল। পরে হাত মুখে জল দেয়া হয়েছে ।এখন ভালই আছে ।তবু ওকে একবার হাসপাতালে নেয়া দরকার ।রুদ্ররয় মাকে বললো ঠিক আছে আমি ডঃ বোশকে সঙ্গে নিয়েই আসছি ।ফোনটা কেটে ডঃ বোশ কে সঙ্গে নিয়ে রুদ্ররয় বাড়ি যান ।
সেখানে ডঃ বোশ রুদ্ররয়ের শ্ত্রীকে দেখে আনন্দের সাথে হাসি উজ্জল মুখে রুদ্ররয়কে বললেন রুদ্র খুশির সংবাদ মাসি মা কোথায় তাকে ডাক দে পুরো বাড়িতে মৃষ্টি মুখ করাতে বল ।ঈশ্বর এবার তোর দিকে ফিরে তাকিয়েছেন
তুই বাবা হবি।রুদ্ররয় এ সংবাদ শুনে যেন বিশ্বাস করতে পারছিল না । বিয়ের দীর্ঘ সাত বছর পরে সন্তানের বাবা হতে যাওয়া রুদ্ররয় মাকে ডেকে বাড়ির সকলকে মৃষ্টি মুখ করাতে বললেন । রুদ্ররয় বাবা হবেন সে খুশীতে ডঃ বোশকে বলে দিলেন বোশ আমি সে মুভিটা তৈরি করবো আর তার জন্য আগামী কয়েকদিনের ভিতরেই সুটিং এর কাজে হাত লাগাবো । ঠিক আছে রুদ্র মুভির কাজ শুরুর আগে ফোন দিয়ে জানিয়ে দিছ তোর প্রথম মুভি বলে কথা যদি পাশে থেকে কোন সহযোগীতার প্রয়োজন হয় করবো ।আজ তাহলে রুদ্র উঠলাম ।

রুদ্ররয় বাবা হতে যাচ্ছে সে সংবাদের সাথে তার প্রথম মুভির বিষয়টিও বা সে সুসংবাদটিও সকলকে জানিয়ে দিলেন ।
দিন দশেক পর রুদ্ররয় প্রায় দুইশত বিশজন কলাকৌশল নিয়ে তরুর লেখা কাহিনী মুভিটির কাজ শুরু করলেন ।দীর্ঘ নয় মাস পোনের দিন সময় এবং দুইশত বিশ জন কলাকৌশলিদের বিনিময় মুভির কাজ সম্পর্ণ হল ।এবার মুভিটি মুক্তির শুভ দিনখনও ঠিক করা হল ।ঠিক যে দিন মুভিটি মুক্তি দেয়া হবে সেদিনই তার শ্ত্রীও সন্তান পশ্রব করবেন ।ডাক্তার বোশ সহ আরো কয়েকজন কলা কৌশল মিলে মুভিটি মুক্তি দিল যেদিন সেদিন মুভিটি দেখার জন্য সিনেমা হলে যান । আর রুদ্ররয় তার শ্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে যান । প্রথম শোতেই মুভি ফুল হিট । সকলের মুখে একই কথা এর এরকম থ্রিলার মুভি এর আগে কেউ তৈরি করেননি সেদিক দিয়ে অভিনেতা তরুর লেখা কাহিনী মুভি গল্পঃ লেখকের শেষ উপহার বিষও মৃত্যু হিট ।একদিকে সকলের মুখে আলোচিত মূখর হয়ে উঠলো মুভি গল্পঃ লেখকের শেষ উপহার বিষও মৃত্যু ।সুনাম খ্যাটি পূর্ণ আলোচনার ঝড় বয়ে চলছে ও মুভি নিয়ে প্রথম শো থেকেই আর অন্যদিকে মুভির পরিচালক রুদ্ররয়ের বুকে
হাসপাতালের ব্রেডে সাপ জম্ম দিয়ে শ্ত্রীর মৃত লাশকে সামনে নিয়ে ব্যাথা আর বেদনার ঝড় চলছে ।এখনো মুভি শেষ হতে কয়েক মিনিট বাকি আছে এমন সময় সিনেমা হলে ডঃ বোশের মোবাইল ফোন বেঁজে উঠলো । ডঃ বোশ খুব মনের আনন্দে ফোন রিসিভ করলেন । উনি ভাবলেন নিশ্চিত রুদ্ররয় কোন সুখবর দিবেন । কিন্তু ভাগ্য কি নির্মম ডঃ বোশ ফোন রিসিভ করতেই রুদ্ররয় কান্না গলায় বলে উঠলো ডঃ বোশ সব শেষ । সব শেষ মানে ? এই রুদ্র কি বলছিছ ? এই রুদ্র কি হয়েছে ? রুদ্র কান্না থামা ।মুভি শেষ হতে এখন কয়েক মিনিট বাকী আছে তা সত্তেও ডঃ বোশ সিনেমা হল থেকে বেরিয়ে চলে গেলেন হাসপাতালে আর সেখানেই রুদ্ররয়ের মুভিতে শেষ যে দৃশ্য ছিল তা বাস্তব্যে অনুভূতি করলেন ।
রুদ্ররয়ের শ্ত্রী সাপ পশ্রব পরে মারা যাওয়ার
মাস তিনের মাথায় রুদ্ররয় একদিন হঠাৎ মাঝ রাতে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন তার শ্ত্রী সহ এ
পযন্ত যারা তার ভাবনায় মারা গেছেন সকল
মৃত মানুষগুলোর একটি মিছিল যেন তার ঘরের
ভিতরে প্রবেশ করে রুদ্ররয়কে বার বার একটি কথা বলছে রুদ্ররয় আমরা সকলে তোমার ভাবনার শিকার ।আমরা তোমার ভাবনার নির্মম পরিহাস । আর আমাদের সকলের মৃত্যুর জন্য রুদ্র তুমি দায়ী । রুদ্র তুমি তোমার এ অভিশপ্ত ভাবনার জীবন ছেড়ে আমাদের এ দুনিয়াতে এসে পড় ।যাতে নতুন করে তোমার অভিশপ্ত ভাবনা চিন্তায় আর কাউকে শিকার না হতে হয় ।শেষ পযন্ত রুদ্ররয় যে টেবিলে বসে লেখালেখী করতো যেখানে বসে রুদ্র নানা ধরনের হর গল্প ও রূপকথার গল্প লেখতো সে টেবিলের সামনে বসলো এবং টেবিলের ড্রয়ের থেকে একটি বিষের বোতল বের করে নিল ।হাতে তুলে নিল কাগজ কলম আর সে কাগজে বিষ পাণে তার মৃত্যুর কথা লিখে রুদ্ররয় বিষ পাণ করল এবং ওখানেই তার জীবনের সমাপ্তি ঘটল ।লেখক রুদ্ররয়ের ডাইরীর শেষ দিকের ছেড়া পাতাগুলো এমন কথাই বলে লেখকের শেষ উপহার বিষও মৃত্যু ।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:২৬

সায়ান তানভি বলেছেন: ভালো লিখেছেন ।শুভ কামনা ।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:১৮

কালের সময় বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া ।

২| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৪১

বিজন রয় বলেছেন: সার্থক গল্প। আপনার লেখার হাত অনেক ভাল।
++++

০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:১৯

কালের সময় বলেছেন: ধন্যবাদ বিজন রয় ভাইয়া ।

৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৯

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার গল্প লেখার হাত কালের সময় ।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:০৯

কালের সময় বলেছেন: ধন্যবাদ ।ভালো থাকবেন ।

৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:১১

আমি মিন্টু বলেছেন: ভালো লিখেছেন

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:১০

কালের সময় বলেছেন: ধন্যবাদ ।ভালো থাকবেন ।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:১০

কালের সময় বলেছেন: ধন্যবাদ ।ভালো থাকবেন ।

৫| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:১৩

ঝালমুড়ি আলা বলেছেন: ভালো লাগল গল্প ।

৬| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৪৯

সুমন কর বলেছেন: গল্প দ্রুত এগিয়ে গেছে। তবে ভালো হয়েছে।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৪৭

কালের সময় বলেছেন: ধন্যবাদ ।ভালো থাকবেন ।

৭| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:০৭

ক্থার্ক্থা বলেছেন: @সুমন কর বলেছেন গল্প দ্রুত এগিয়ে গেছে। তবে ভালো হয়েছে।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৪৭

কালের সময় বলেছেন: ধন্যবাদ ।ভালো থাকবেন ।

৮| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৪৬

শুভ্র শাহরিয়ার বলেছেন: ভাল লিখেছেন। শুভ কামনা। :-)

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:০৯

কালের সময় বলেছেন: ধন্যবাদ ।ভালো থাকবেন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.