নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিতর্ক করি ও খেতে ভালোবাসি।

আনাছ আল জায়েদ

আনাছ আল জায়েদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দর্শন ও বিজ্ঞান

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২১


আপাতদৃষ্টিতে দর্শন ও বিজ্ঞান পরস্পর বিসদৃশ মনে হলেও প্রকৃত প্রস্তাবে এদের মধ্যকার পারস্পরিক সম্পর্ক খুবই নিকট ও নিবিড়। দর্শন ও বিজ্ঞানের মাঝে এই নিবিড় সম্পর্ক বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা পেতে হলে উভয়ের স্বরূপ সম্বন্ধে আমাদের পরিষ্কার ধারণা থাকা প্রয়োজন।

বিজ্ঞানের স্বরূপ

ব্যাপক অর্থে যা অজ্ঞানের অতীত তাই বিজ্ঞান। এ মতে যে বিষয়ের জ্ঞান সুনিয়ন্ত্রিত, এলোমেলো বা ইতস্তত বিক্ষিপ্ত নয় তাকেই বলে বিজ্ঞান। বিজ্ঞান বস্তু বা ঘটনা রাশির প্রকৃত জ্ঞান লাভ করতে চায়। আর এই উদ্দেশ্যে সে প্রকৃতির বুকে পরীক্ষা- নিরীক্ষা চালিয়ে সুশৃঙ্খল, সুনির্দিষ্ট ও সুসংহত জ্ঞান লাভে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে চলছে। নিরপেক্ষ দৃষ্টি ও ক্রমিক সত্য আবিস্কারের প্রচেষ্টা বিজ্ঞানের একটি অপরিহার্য বৈশিষ্ট্য। বিজ্ঞানের অন্য একটি বৈশিষ্ট্য হল সে শুধু তত্ত্ব প্রচার করেই ঝিমিয়ে পড়ে না, মানুষের জীবন- যাত্রায়ও যে আমূল পরিবর্তনের চেষ্টা করে। এতেই বিজ্ঞানের সত্যিকার সার্থকতা।

দর্শন ও বিজ্ঞানের সাদৃশ্য

সভ্যতার ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায় অতীতে এমনও সময় ছিল যখন দর্শন ও বিজ্ঞানের মধ্যে আদৌ কোন সীমারেখা ছিল না। দর্শন ও বিজ্ঞান তখন একই আসনে অধিষ্ঠিত ছিল। পদার্থ বিজ্ঞানের (Natural Philosophy) নামে অভিহিত করা হতো। এই কিছুদিন আগেও মনোবিজ্ঞানও দর্শনের আওতাভুক্ত ছিল। আজকের রাজনীতির বিষয় “রাষ্ট্রবিজ্ঞান” পূর্বে “রাষ্ট্রদর্শন” নামে পরিচিত ছিল।
এর কারণ হচ্ছে, দর্শন ও বিজ্ঞানের বিষয়বস্তু মূলত এক ও অভিন্ন। দর্শন ও বিজ্ঞান উভয়ের জীবন ও জগতের রহস্য উদঘাটন করতে চায়। জটিল বিষয়কে সহজ করা, অজানা বিষয়কে জানা, দুর্বোধ্য বিষয়কে সুবোধ্য করা উভয়ের লক্ষ্য। উভয়ের মূলে রয়েছে সত্যানুসন্ধানের অপ্রতিহত বাসনা । তাই জগত ও জীবনের ব্যাখ্যা হিসেবে দর্শন ও বিজ্ঞান একই পথের যাত্রী।

দর্শন ও বিজ্ঞানের মাঝে পার্থক্য

আলোচ্য বিষয়, লক্ষ্য ও উদ্দ্যশ্যের দিক থাকে দর্শন ও বিজ্ঞান একই পথের যাত্রী হলেও যাত্রার বাহনে, অর্থাৎ পদ্ধতি ও পরিণতির দিক থেকে তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয়ে পার্থক্য রয়েছে।

এক. দর্শনের দৃষ্টিভঙ্গি হল অখণ্ড বা সার্বিক। কিন্তু বিজ্ঞানের দৃষ্টিভঙ্গি হল খণ্ডিত বা বিশেষ। দর্শন সমগ্র বিশ্বজগৎ নিয়ে আলোচনা করে। মানবজীবনের সকলদিক দর্শন আলোচনা ক্রে।কিন্তু বিজ্ঞান বিশ্ব জগতের এক একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করে।


দুই. পদ্ধতিগত দিক থেকেও দর্শন ও বিজ্ঞানের মধ্যে পার্থক্য বিদ্যমান। দর্শনের পদ্ধতি হল যৌক্তিক ও বিশ্লেষণধর্মী। বিজ্ঞানের পদ্ধতি হল অভিজ্ঞতা ভিত্তিক। পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষণ ও আরোহী পদ্ধতির সাহায্যে বিজ্ঞান তাঁর আলোচ্য বিষয়বস্তু ব্যাখ্যা করে।


তিন. দর্শন বস্তুর পরিমাণগত ও গুণগত দিক নিয়ে আলোচনা করে কিন্তু বিজ্ঞান কেবল বস্তুর পরিমাণগত দিক নিয়ে আলোচনা করে।দর্শন বস্তুর গুণগত দিক নিয়ে আলোচনা করে বলেই সে মূল্যায়নধর্মী। আর পরিমাণগত দিক নিয়ে বিজ্ঞান আলোচনা করে বলে বিজ্ঞান বর্ণনাধর্মী।

চার. যে কোন দার্শনিক সিদ্ধান্ত সর্বজনীন ও সুনির্দিষ্ট নয়। কিন্তু বৈজ্ঞানিক সিদ্ধান্ত সর্বজনীন ও সুনিশ্চিত।দার্শনিক ব্যাখ্যায় সত্যতা পরীক্ষা- নিরীক্ষা দ্ধারা যাচাই করা যায় না।

পাঁচ. বিজ্ঞান মানবমনকে পরিতৃপ্ত করতে পারে না। কিন্তু দর্শন সত্য, সুন্দর এবং মঙ্গল এই প্রতিটি আদর্শ নিয়ে আলোচনা করে বলেই সে মানবমনকে পরিতৃপ্ত করতে পারে।


মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৫

শাহিন-৯৯ বলেছেন: আমি দর্শন বা বিজ্ঞান কোনটাই ভাল বুঝি না, তাই শুধু পড়লাম ভাল-মন্দ মন্তব্য করতে পারলাম না।

২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি তালগোল পাকিয়ে ফেলেছেন, দর্শন সব বিজ্ঞান মাতা

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২৯

আনাছ আল জায়েদ বলেছেন: আমি তুলনামূলক আলোচনা করেছি। আমি অনুগ্রহপূর্বক আবার পড়ুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.