নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের সাধ্যমত অসহায়দের সাহায্য করা

জল ও ছবি

এসো মহৎ হতে চেষ্টা করি, সাধু হই কিন্তু সাধু সেজে না থাকি। অপদার্থ মানুষকে অনুসরণ করে নিজের মনুষত্বকে বিকিয়ে না দেই। অর্থ আর বড় বড় অট্টালিকার সামনে মাথা নত না করি, জন্মেছি যখন লড়াই করেই বাঁচবো।

জল ও ছবি › বিস্তারিত পোস্টঃ

এক অপেক্ষমান যুবতী

১২ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৪২

শায়লা আমার মামাতো বোন। বয়স ষোলর কোঠায়। মামা হঠাৎ শায়লার বিবাহ ঠিক করে কোন এক যুবকের সাথে। যুবক বললে ভূল হবে এক আধা বয়স্বী ছেলের সাথে। এখানে শায়লার পছন্দ অপছন্দ বলে কোন কথা নেই, ছেলে পক্ষের পছন্দ হয়েছে তাই চূড়ান্ত। শায়লা ছাত্রী ভালো, গায়ের রং উজ্জ্বল, ভবিষ্যৎ সামনে থাকলেও পড়াশুনা ও অন্য সকল সাধনার সমাধি ঘটতে যাচ্ছ, কারন একটি পাত্র শায়লার অভিভাবকদের চাহিদা অনুযায়ী মিলেছে, তাও আবার মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে। এ যেন বাংলাদেশের হাজারো মেয়ের জীবনের বাস্তব চিত্র। শায়লার মত মেয়েদের জন্মই যেন কোন এক যুবকের আশ্রয়ে যাবার জন্য। তাদের প্রেম-ভালোবাসা, পছন্দ-অপছন্দ কোন মূল্য নেই এই সমাজে। শায়লারা অসময়ে ঝরে গেলে সমাজের কারো কিছু লোকসান নেই। শায়লাদের উপর শরিয়তের নামে শোষণ, দোররামারা, তালাক কত কিযে চলে। আজ শায়লারা যেন এক পণ্যদ্রব্য। যৌতুকের পাল্লায় তাদেরকে ওজন করা হয়। চাহিদা না মেটালে হয় তালাক না হয় যন্ত্রনাদায়ক মৃত্যু। শায়লাদের টাকার বিনিময়ে কোন যুবকের আশ্রয়ে দেয়া হয় বিবাহ নামক শব্দটি তাদের নামেন সঙ্গে সংযুক্ত হবে বলে।
পৃথিবী আজ জ্ঞান বিজ্ঞানে অনেক এগিয়ে যাচ্ছ। অথচ বাংলাদেশের পটভূমিতে মেয়েরা অত্যাচার, নিরাপত্তাহীনতা ও সর্বস্তরে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের লক্ষ্যে সুশীল সমাজের কর্তব্যবোধ, বিবেক জাগ্রত করা এবং সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির আমূল পরিবর্তন একান্ত বাঞ্চনীয়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.