নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এসো মহৎ হতে চেষ্টা করি, সাধু হই কিন্তু সাধু সেজে না থাকি। অপদার্থ মানুষকে অনুসরণ করে নিজের মনুষত্বকে বিকিয়ে না দেই। অর্থ আর বড় বড় অট্টালিকার সামনে মাথা নত না করি, জন্মেছি যখন লড়াই করেই বাঁচবো।
মোত্তালেব মামা, আমার মায়ের চাচাতো ভাই আমার ক্লাস ফ্রেন্ড। মোত্তালেব মামার সাথে অনেক দিন পর দেখা হওয়ায় দুজনে বসে জীবনের অনেক জমানো কথা বলার সুযোগ পেলাম। মামার কাছে জানতে চাইলাম মামি কেমন আছেন, ছেলে মেয়ে কত জন ? মামার কথা শুনে হতবাক হয়ে গেলাম। মামা বলল বাবা তোর মামিকে মেরে ফেলতে ধরছিলাম। প্রথম সন্তান মেয়ে বয়স ৫ বছর, পরে একটা ছেলের আশায় আবার সন্তান নেই। তোর মামি যখন ৭ মাসের অন্তসত্তা তখন ডাঃ এর কাছে নিয়ে আল্টাসনোগ্রাম করি, ডাঃ রিপট দেখে বলে মেয়ে সন্তান হবে। ডাঃ এর কথা শুনে মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ল। তখন থেকে তোর মামির প্রতি অবহেলা শুরু করে দেই। যেদিন তোর মামির সন্তান প্রসব হবে সেদিন স্থানিয়এক দাইকে ডেকে বলি সন্তান মায়ের কি হয় হবে বাড়িতে প্রসব হবে এক টাকাও খরচ করতে পারব না। দাই অনেক কষ্টে সন্তান বাড়িতে প্রসব করান। যখন দাই এসে বলে একটা সুন্দর ফুটফুটে ছেলে সন্তান হয়েছে কিন্তু মা ছেলে দুজনের অবস্থা আশংকাজনক তখন আমি আমার কানকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। কি করব না করব ভেবে যখন অস্থির তখন আমার বড় বোন এসে বলে মা ছেলেকে বাঁচাইতে চাইলে এখনে মেডিকেল নিয়ে যা। তারাতারী রংপুর মেডিকেলে নিয়ে যাই, প্রায় ৩০ হাজার টাকা খরচ। এখন প্রায় দুজনে সুস্থ্য আছেন।
কন্যাশিশুদের প্রতি এখনো যে বৈষম্য, বঞ্চনা, অবহেলা হয় তার বাস্তব উদাহরণ মোত্তালেব মামা। আমাদের সমাজের অনেকেই মনেকরেন কন্যা সন্তানের জন্ম মানেই একটা দুর্ভাগ্যের বোঝা এবং এর জের চলতে থাকবে জীবনভর।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
হাজার হলেও উনি মামা, কিছু বলা ঠিক নয়; তবে, মামার মাথায় মগজ কম।