নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের সাধ্যমত অসহায়দের সাহায্য করা

জল ও ছবি

এসো মহৎ হতে চেষ্টা করি, সাধু হই কিন্তু সাধু সেজে না থাকি। অপদার্থ মানুষকে অনুসরণ করে নিজের মনুষত্বকে বিকিয়ে না দেই। অর্থ আর বড় বড় অট্টালিকার সামনে মাথা নত না করি, জন্মেছি যখন লড়াই করেই বাঁচবো।

জল ও ছবি › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্ত্রীশিক্ষা, আমাদের(পুরুষদের) বিরোধীতা এবং রোকেয়ার ব্যাঙ্গ

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৩

আমাদের পুরুষ তান্ত্রিক সমাজে এখনো নারীদের প্রতি রয়েছে সংর্কীর্ণ দৃষ্টি। আমাদের চিন্তা চেতনায় অনেকাংশে যা মনেকরি মেয়েদের বুদ্ধি বিবেচনা থাকার প্রয়োজন নাই। যেহেতু মেয়েদের অন্ন চিন্তা করতে হয় না, সম্পত্তি রক্ষার্থে মোকাদ্দমা করতে হয় না। মেয়েরা কেবল ঘরের কোণায় থাকবে, স্বামীর সেবা যত্ন করবে এবং প্রতি বছর সন্তান জন্ম দিবে। মেয়েরা উচ্চ শিক্ষা লাভ করবে কিসের জন্য ? অনেক বাবা মনেকরেন মেয়ে মানুষ তার আবার অতিরিক্ত পড়া লেখার দরকার কি সে তো আর জজ বেরিস্টার হবে না।
আমাদের স্ত্রী শিক্ষার প্রতি উদাসীনতা দেখে বেগম রোকেয়ার ব্যাঙ্গাত্বক উক্তি মনে পড়ে। "ভ্রাতৃগণ মনে করেন তাঁহারা গোটাকতক আলীগড় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলিকাতা ইসলামিয়া কলেজ ভর করিয়াই পুলসিরাত (পরলৌকিক সেতু বিশেষ) পার হইবেন, আর পার হইবার সময় স্ত্রী কন্যাকেও হ্যান্ডব্যাগে পুরিয়া লইয়া যাইবেন"। "বালিকা বিদ্যালয়ের জন্য চাঁদা চাহিলেই শুনি মুসলমান বড় দরিদ্র তাহাদের টাকা নাই। কিন্তু এ কথা কি বিশ্বাসযোগ্য। যাঁহারা ইসলামিয়া কলেজে হাজার হাজার টাকা অকাতরে দান করিয়াছেন তাঁহারা কি দরিদ্র ? তাঁহারা যদি শরিয়ত অর্থাৎ শাস্ত্র মানিতেন তাহা হইলে যিনি যত টাকা বালকদের শিক্ষার জন্য দান করিয়াছেন তাহারা অধ্যেক অবশ্যই বালিকা বিদ্যালয়ে দান করিতেন" এভাবে চাবুকের পর চাবুক মেরেছেন বেগম রোকেয়া স্থবির সমাজের বিবেককে নাড়া দেবার জন্য। "মুসলমানদের যাবতীয় দৈন্য দুর্দশার একমাত্র কারণ স্ত্রী শিক্ষায় অলস্য" বলে রোকেয়া সমাজকে দায়ী করেছেন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.