নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দয়া করে বাজারের অল্প দামের বই, ইজতিহাদ কারি মুফতি নয় বা আলেম নয় এমন কারো বই, বা ঢাকা আরিচায় পাওয়া বই পড়ে ইমান নস্ট করবেন না।

জ্বালো ইসলামের আলো

দয়া করে বাজারের অল্প দামের বই, ইজতিহাদ কারি মুফতি নয় বা আলেম নয় এমন কারো বই, বা ঢাকা আরিচায় পাওয়া বই পড়ে ইমান নস্ট করবেন না।

জ্বালো ইসলামের আলো › বিস্তারিত পোস্টঃ

তার কাটা মানুষ - অনলাইনে ও বাস্তব সমাজে থাকা যেসব মানুষের মাথার তার কাটা

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৭

আমাদের সমাজে কিছু লোক আছে যাদের আশ্চর্য ব্যবহার, আচরণ, বৈশিষ্ঠ এর কারণে আমি তাদের তার কাটা বলে অভিহীত করি, তবে তা প্রচার করিনা মনে মনে রেখে দিই |

………..

ভাববেন না আমি সমালোচনা মুলক ব্লগ লিখছি, এটা ভাবলে শুধু অপবাদ ই দিলেন |

……….. আমার এই লেখার উদ্দেশ্য হলো, মানুষ তো ভূলের উর্ধে নয়, তাই আমি যে কারণে কিছু লোক কে তারকাটা বলি, এই লেখার পাঠক দের কারো ভেতর যদি সেই অভ্যাস গুলো থাকে তবে যেন পরিবর্তন করার সুযোগ পায়, অথবা যদি কারো ভেতর নিচে লিখিত বৈশিষ্ঠ গুলো দেখলে তাদের ব্যপারে সতর্ক ও নিরাপদ থাকতে পারে, এটুকু উপকার উদ্দেশ্য ||

…….

কারণ নং ১ – উপদেশ গ্রহন না করার মানসিকতা, নিজেকে জ্ঞানী ভাবা, সবজান্তা ভাবা, সুন্দর ভাবা | এগুলো প্রকাশ্য অহংকার |

……..এগুলো কারা করে তা বুঝতে হলে আগে আপনাকে জানতে হবে কি কাজ করিলে নিজেকে জ্ঞানী ভাবা হয়? কারণ তা না জানলে যদি কেউ আপনার উপকারের জন্য উপদেশ দিতে আসে তাকে বলে বসবেন “নিজেকে জ্ঞানী ভাবা ঠিকনা” | ভাই ও বোনেরা, আপনি বুঝতেই পারেননি যে আপনি তার উপদেশ প্রত্যাক্ষান করে প্রমান করলেন নিজেকে আপনি জ্ঞানী ভাবেন, যে উপদেশ দিতে এলো তার উপর হিংস্র ভাবে ক্ষেপে যাওয়া , এগুলো তারকাটা পাবলিকের পরিচয় |

………কারণ নং ২ -ব্লগ হোক আর যে কোন বই হোক, ভাল করে না পড়ে বা না বুঝে একটা খারাপ মন্তব্য করা | ধরুন এক খুতবায় ইমাম কুরআনের একটা আয়াত নিয়ে এক ঘন্টা আলোচনা করছে “কাক এর গোশত খাওয়া তখন জায়েজ হবে যদি কেউ গভীর জংগলে বা গভীর সমুদ্রে ক্ষুধায় নেতিয়ে যাওয়া অবস্হা হয় এবং তার কাছে একটা মরা কাক পড়ে থাকে, ও যতটুকু তার ক্ষুধা নিবারণ করতে পারে তার বেশি খেতে পারবেনা”|এখানে তারকাটা পাবলিকরা কি করবে? যে কোন ১ মিনিটের একটা আংশিক কথা প্রচার করে ইমামের বদনাম করবে | যেমন “ইমাম বলেছে কাকের গোশত খাওয়া জায়েজ, এই ফিতনাবাজ ইমামকে এড়িয়ে চল”

…..

কারণ নং ৩ – মহাগ্রন্হ আল কুরআনে বহু জায়গাতে উল্লেখ আছে, “জ্ঞানী রা উপদেশ গ্রহন করে থাকে” … এখন তারকাটা পাবলিক রা তো আপনার উপদেশ তো নিবেইনা, তার কাছে গেলেই আপনাকে নানা ভাবে অপমান করার চেষ্টা করবে | এরা পরকালে বিশ্বাস করেনা, ধর্মের বালাই নাই, ইসলামের নাম শুনলেই মুখ কালো হয়ে যায় (সুরা লোকমান, ৬ নং আয়াত )



ব্যবহার স্বভাব স্বগোত্রের সাথে ভালো তবে ভালদের সাথে খারাপ ব্যবহার, “কেয়ামতে অবিশ্বাসীরা নিকৃষ্ট প্রকৃতির হয়ে থাকে” (সুরা নাহল, ৩২ ) *এদের সর্বদা এড়িয়ে চলতে আল্লাহ উপদেশ দিয়েছেন (ফুরকান ৬৩. নিসা ১৪০, নাজম ২৯ আয়াত}

…………..

কারণ নং ৪ – পড়াশুনা করে জজ ব্যরিষ্টার হচ্ছে কিন্তু তার নামাজ, রোজা নাই, এই শিক্ষার মুল্য “০”

. . . . . . . . . শিক্ষা সম্পর্কে একটি কথা আছে শিক্ষা হলো ৪ টি R এর সমন্বয় Read, wRite, aRethmatic, এবং Religion.

যাদের ভেতর ৪র্থ R রিলিজিওন (ধর্ম) থাকেনা তার ভেতর আরেকটি ৫ম R এসে যোগ হয়, তা হলো Rabish অথবা Raskel.

এই রাসকেল রাই সমাজে যত বিশ্রিংখলার মুর কারিগর, মদ গাজাখোর সন্ত্রাসী দের চাইতে এদের স্বভাব খারাপ এবং তারকাটা | এরা ভাল মানুষদের খারাপ বলে আখ্যা দেয়, সমাজ মেনে চলে চলেনা | একটি কুকুর বিড়াল ও তো মানুষের ভেতর পয়খানা করেনা, বাগানে বা গোপনে করে, সমাজ মেনে চলে, আর রাসকেল রা এর চেয়ে খারাপ!কোথায় কিভাবে চলতে হবে তা দেখেনা | ভাল নাম,আব্দুর রহমান,আব্দুল করিম,মোঃ ইমরান হোসাইন ইত্যাদি, ভেতরে নামাজ পড়ার নাম নাই, কুরআনের কথা শুনলে তো মাথায় আগুন ধরে এরা মুসলিম?. . .

……….

কারণ নং ৫ – একটি বিষয়ে না জেনে কথা বলা,অথবা কেউ একটা বিষয় বললে সে বিষয়ে সঠিক কথা না জেনে তাকে ভুল বলা, ব্লগ পড়েই কপি পেস্ট বলা ইত্যাদি |

…………

এতক্ষনে আমি কিছু পাবলিক কে তারকাটা মনে করার মাত্র ৫ টি কারণ উল্লেখ করলাম , যা ইসলাম সম্মত ও |

আসুন আমরা তারকাটা প্রতিরোধ করি, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ি |

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.