নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুখ কিংবা দুঃখ!হাসি কিংবা কান্না!জীবনের এপিঠ-অপিঠ!আমি সেই জীবন নামক খেলায় পরাজিত একজন।

আংশিক ভগ্নাংশ জামান

আমি মানুষটার পরিচয় নিয়ে বলার খুব বেশী কিছু নেই। পরিবারের জন্যে উৎসর্গীত বড়ো ছেলে। একজন প্রবাসী।

আংশিক ভগ্নাংশ জামান › বিস্তারিত পোস্টঃ

অপেক্ষার প্রহর

০৮ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৮

ঝট করে বিছানায় উঠে বসলো ছেলেটি।ঘোরের মধ্যেই যেনো খাট থেকে নামলো।টেবিল থেকে চশমাটা তুলে নিলো।চশমার কাঁচের ভিতরে নিজের প্রতিবিম্ব দেখে চমকে উঠে ছেলেটি।চোখ মুছে চারপাশে ভালো করে তাকায়।অস্থির হয়ে কাউকে খুঁজে বেড়াই চারপাশে।



একসময় ক্লান্ত হয়ে ধপ করে বসে পড়ে মাটিতে।মুখের বিমর্ষ ভাবটা দেখে বুঝা যায় যা খুঁজেছিলো তা পাইনি।

বুঝতে পারলো স্বপ্ন দেখেছে সে।স্বপ্নেই শুধুমাত্র এরকম একটা অলীক কল্পনা সম্ভব।



ছেলেটা কাঁদছে!!

দুই ফোটা জল ছেলেটার গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়লো।তারপর বাঁধভাঙ্গা চোখের জল ঝরঝর করে ঝরতে লাগলো।

বুঝাই যায় স্বপ্নটা ছেলেটির কোন পুরানো ক্ষত আবার জাগিয়ে তুলেছে।হয়তো ছেলেটির খুব প্রিয় কোন মানুষের স্মৃতি।



হারিয়ে যাওয়া মানুষটির সাথে সাথে হারানো স্বপ্নগুলোকে এখনো প্রতিদিন খুঁজে বেড়াই ছেলেটি।ইনবক্স হাঁতড়ে চলে যাওয়া প্রিয় মানুষটির পাঁঠানো মেসেজ গুলো দেখে।অনুভব করে অদৃশ্য কারো উপস্থিতি।

দিন গুনে অসম্ভব একটা আশায়।প্রতিদিন চলার পথে শত তরুণীদের কড়া মেকাপে মোড়ানো সুন্দর মুখ ছেলেটিকে আকর্ষণ করতে পারেনা।চলে যাওয়া মানুষটির চেহারা চোখে নিয়ে ছেলেটি প্রতিরাতে ঘুমাই।

সেই বন্ধ চোখের পাতার ফাঁক দিয়ে হয়তো খুব নিংশব্দে গড়িয়ে পড়ে এক ফোঁটা জল।

মাঝরাতে কখনো ঘুম ভেঙ্গে গেলে ডুকরে কেঁদে উঠে হয়তো নিজের অজান্তেই।



সকালে জেগে উঠে সেই কষ্টভরা অনুভূতি নিয়ে।কিন্তু খুব দ্রুতই নিজেকে ঠিক করে নেয়।ছেলেদের চোখে কান্নার জল মানায় না।

তাই ছেলেটা মুখ থেকে মুছে ফেলে সব কষ্টের ছাপ।হাসিমুখে শুরু করে নতুন একটা দিন।



অনুভূতিগুলো আড়াল করার চেষ্টা করে প্রতিনিয়ত।কারো সাথে শেয়ার করতে পারেনা।পাছে কারো বিদ্রুপের শিকার হতে হয়।সবার কাছে নিজেকে শক্ত প্রমাণ করতে ব্যস্ত থাকে।সবাই যাতে ভাবে ছেলেটা বদলে গেছে।

কিন্তু যার মনে ভালবাসা একবার নীড় করেছে সে চাইলেও বদলাতে পারেনা।

অব্যক্ত কষ্টগুলো প্রতিনিয়ত কুরে কুরে খায়।যন্ত্রনার চোরাবালি প্রতিনিয়ত একটু একটু করে শুষে নিতে থাকে ছেলেটিকে।

যে হ্নদয়টা একদিন পরিপূর্ণ থাকতো শুধু ভালোবাসায়।সে হ্নদয় এখন আশ্রয় খোঁজে নিকোটিনের বিষাক্ত ধোয়ায়।

প্রিয় মানুষটি যখন সুখের আশায় নিজের ভবিষ্যৎ গড়তে ব্যস্ত,ছেলেটি তখন একটু একটু করে ডুবে যাচ্ছে অনিশ্চিত অন্ধকার ভবিষ্যতের চোরাবালিতে।

সুখ,স্বাধীনতার মুক্ত আকাশে উড়ার অজুহাতে ভালবাসার মানুষটি যখন ছেড়ে চলে যায় ছেলেটি তখন হয়তো মনে মনে শুধু বলে,সুখে থেকো।



হ্যা।সুখটাই তো এখন ভালোবাসা নামক বিনিয়োগে বড় পুঁজি।সুখে-দুঃখে এখন আর ভালোবাসা হয়না।

হ্নদয়ের অল্প পুঁজিতে যে ভালবাসা হয় তা শুধু সুখের পিছনে বিনিয়োগ করা হয়।

দুঃখের সময় সেই বিনিয়োগে ধ্বস নামে।আর সামান্য ভুলের অজুহাতে সেই ভালোবাসা পিছনের দরজা দিয়ে পালায়।



সেই ফেলে যাওয়া ভালোবাসাকে আঁকড়ে ধরে হাসিমুখে দিন পার করে কিছু মানুষ।



ছেলেটি ছাইছাপা কষ্ট বুকে চেপে রাখতে শিখে গেছে।

শিখে গেছে কিভাবে আবেগকে লাগাম দিয়ে রাখতে হয়।



কিন্তু শিখতে পারেনি কিভাবে প্রিয় মানুষটিকে ভুলে যেতে হয়।



ভালো থাকুক ছেলেটি।ভালো থাকুক প্রিয় ভালোবাসার মানুষটি।ফিরে আসুক স্বপ্নগুলো।

ভুল করে হলেও ভুল পথে ভুল সময়ে স্বপ্নগুলো আর একবার রঙ্গীন হোক ছেলেটির চোখে।



দীর্ঘজীবী হোক জগতের সব পবিত্র ভালোবাসা।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভালো থাকুক ছেলেটি।ভালো থাকুক প্রিয় ভালোবাসার মানুষটি।ফিরে আসুক স্বপ্নগুল
দীর্ঘজীবী হোক জগতের সব পবিত্র ভালোবাসা।

লেখা ভালো লেগেছে ...

২| ০৮ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৫

ধূসরছায়া বলেছেন: আর সর্বোপরি ভালো থাক ভালোবাসা...!
সুন্দর লিখেছেন।

৩| ০৮ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫২

আংশিক ভগ্নাংশ জামান বলেছেন: সুলতানা আপুকে ধন্যবাদ মূল্যবান মন্তব্যের জন্যে।
ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।

৪| ০৮ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:০০

আংশিক ভগ্নাংশ জামান বলেছেন: প্রেরণামূলক মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ধূসরছায়া আপু।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.