নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুখ কিংবা দুঃখ!হাসি কিংবা কান্না!জীবনের এপিঠ-অপিঠ!আমি সেই জীবন নামক খেলায় পরাজিত একজন।

আংশিক ভগ্নাংশ জামান

আমি মানুষটার পরিচয় নিয়ে বলার খুব বেশী কিছু নেই। পরিবারের জন্যে উৎসর্গীত বড়ো ছেলে। একজন প্রবাসী।

আংশিক ভগ্নাংশ জামান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাওয়াশ!ক্রিকেটীয় রাজনীতির জবাব।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৪৮

পাকিস্থানি রমিজ রাজা বলেছিলেন, আমরা অর্ডিনারী টিম।তিনি সৌম্য সরকারের নামটিকে বিকৃত করে সামিয়া সরকার উচ্চারণ করেছিলেন ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত ভাবে।

আজকের ঐতিহাসিক দিনটিতে আমার সবচেয়ে বেশী মনে পড়ছে এই বাচাল ও অর্বাচীন মানুষটির কথাগুলো।

আজকে রমিজ রাজা কিংবা ইউনুছ

কিংবা শহীদ আফ্রিদির চেহারার অভিব্যক্তিটা দেখতে খুব ইচ্ছা করতেছে।জানতে ইচ্ছা করতেছে সাধারণ দলটার বিপক্ষে পাকিস্থানের বাংলাওয়াশের পর তাদের আর কি বলার আছে!



বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম এবং সৌম্য সরকার তার বাচালতার জবাব খেলার মাধ্যমেই নিপুণভাবে দিয়েছে।আমরা প্রমাণ করেছি আমরা কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী।

ক্রিকেট শক্তিগুলো বরাবরই বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমকে অবজ্ঞার দৃষ্টিতে দেখে।

মাঝখানে কিছু দাম্ভিক খেলোয়ারেরর কাছ থেকে বাংলাদেশের টেষ্ট স্ট্যাটাস কেড়ে নেওয়ার দাবিও উঠেছিলো।



আমরা তবু হাল ছাড়িনি।বাঙ্গালী জাতি হাল ছাড়তে শিখেনি।কিংবা গুটি গুটি পায়ে ইতিহাস গড়ার পথে এগিয়ে চলা বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম যাদের আমরা ভালোবেসে বাংলার বাঘ বলে ডাকি তারা কেউ হাল ছাড়েনি।



আমরা আজকে পাকিস্থানকে বাংলাওয়াশ করেছি।তাদের শত সমালোচনার শক্ত জবাব দিয়েছি।

দেখিয়ে দিয়েছি বাংলাদেশের ক্রিকেট মোটেও হেলাফেলা কোন বিষয় নয়।



পাকিস্থানকে আমরা যথার্থই পাড়ার ক্রিকেট দলে পরিণত করেছি।তামিম,সৌম্য,মুশফিক এদের সাবলীল ব্যাটিং দেখে একবারো মনে হয়নি আমরা আমাদের উপরের সারির একটা দলের সাথে খেলছি।

প্রত্যেকটা ম্যাচেই আমরা উন্নতি করছি।



বিশ্বকাপে তামিমের ব্যাটিংয়ে ছিল গড়পড়তা।প্রচুর সমালোচনা ছিল তাকে নিয়ে।তাকে দল থেকে বাদ দেওয়ার দাবিও উঠেছিল।

দুই ম্যাচে শতক করে কি চমৎকার ভাবেই না তামিম সব সমালোচনার জবাব দিলেন।করেছেন বাংলাদেশের হয়ে সিরিজের সর্বোচ্চ রান।



অবশ্য বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে টানা তিনটি শতক করে রেকর্ড করা মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ পুরো সিরিজেই ছিলেন নিস্প্রভ।



আর মুশফিক যেন দিনদিন বাংলাদেশের ব্যাটিং স্তম্বে পরিণত হচ্ছেন।একজন উঁচু মানের খেলোয়ারের মতোই দলের প্রয়োজনে ধারাবাহিক রান করছেন।



সাকিব বোলিং কিংবা ব্যাটিং দিয়ে নিজের অপরিহার্যতা প্রতিনিয়ত প্রমাণ করছে।



অধিনায়ক মাশরাফি যৌগ্য নেতৃত্ব দিচ্ছেন।লড়াকু সেনাপতির মনোভাব নিয়ে দলকে পথ দেখাচ্ছেন সামনে থেকে।



মাশরাফি তাসকিন,রুবেলরা প্রমাণ করেছেন বাংলাদেশের পেস বোলিং এখন বিশ্বমানের।তারা পেস বোলিং লাইনআপকে যোগ্যতর করেছে।দেখিয়ে দিয়েছে ক্রিকেট বিশ্বের যেকোন ব্যাটিং লাইনআপকে চ্যালেন্জ জানানোর সামর্থ্য রাখে তারা।



ইলিয়াস সানি,নাসির নিজেদের স্পিন বোলিং দিয়ে বাংলাদেশের বোলিং লাইনআপকে সমৃদ্ধ করেছে।



সর্বোপরি বাংলাদেশ এখন ১১ জনের দল হয়ে উঠেছে।

পাকিস্থানের বিপক্ষে আমরা যেভাবে খেলেছি এভাবে খেলতে পারলে খুব বেশী দেরী নেই যেদিন বাংলাদেশ ক্রিকেট বিশ্বের পরাশক্তি হিসেবে গণ্য হবে।



বাংলাদেশ ক্রিকেটের দিকে আঙ্গুল তোলা হাতের মালিকরা আমাদের জয় দেখে হাততালি দিতেই ব্যস্ত হয়ে উঠবে।



বাঘের গর্জনে প্রকম্পিত হবে পুরো ক্রিকেট বিশ্ব।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৪৪

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:

শুভকামনা মাশরাফি বাহিনীর জন্য।

২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:২৯

আংশিক ভগ্নাংশ জামান বলেছেন: শুভকামনা।
ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.