নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুখ কিংবা দুঃখ!হাসি কিংবা কান্না!জীবনের এপিঠ-অপিঠ!আমি সেই জীবন নামক খেলায় পরাজিত একজন।

আংশিক ভগ্নাংশ জামান

আমি মানুষটার পরিচয় নিয়ে বলার খুব বেশী কিছু নেই। পরিবারের জন্যে উৎসর্গীত বড়ো ছেলে। একজন প্রবাসী।

আংশিক ভগ্নাংশ জামান › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বপ্নভাঙ্গার কান্না

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:১২

আজকে মানুষটি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে আর কথা হবেনা।যোগাযোগ সেতো অনেক দূরের ব্যাপার।
কারণ তার পরিবার জেনে গিয়েছে সে আমার সাথে কথা বলে।
আমি কে!কিভাবে জানলো!কি এমন কথা বললাম যার জন্যে এমন নিষেধাজ্ঞা!এসব কোনো প্রশ্নই আমার মাথায় এলোনা।

প্রথমে যে কথাটি মাথায় এলো সেটি হচ্ছে এই সন্দেহ তাকে বিপদে ফেলতে পারে।তার পরিবারের কাছে সে ছোট হয়ে যাবে।তার পড়ালিখার জন্যেও ব্যপারটা ক্ষতিকর।নিজের স্বার্থের জন্যে তাকে বিপদে ফেলবো এমনটা ভাবতেই চাইলাম না।তার সাথে কথা না বলে থাকতে কষ্ট হবে খুব।কিন্তু এছাড়া উপায়ও নেই।
আমি এখনো তার পরিবারের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত নয়।

তার সাথে আমার কথা হতো শুধুই ফেসবুকে।কথা বলতে চ্যাট হতো।তার নাম্বার ছিলোনা আমার কাছে।নাম্বার খোজার কথাও কখনো মাথায় আসেনি।সেও কখনো দেওয়ার আগ্রহ দেখাইনি।জানিনা ওর মনে কি ছিলো।
কিন্তু আমার জন্যে তার দেওয়া ২-১টা মেসেজই অনেক বিরাট কিছু ছিলো।

তার মধ্যেই হঠাৎ এই ব্যাপার।নিজের কষ্টের কথা ভুলে আনফ্রেন্ড করলাম তাকে।ইচ্ছা ছিলো পরিস্থিতি একটু ভালো হলেই আবার যোগাযোগ করবো।
সময় বদলাই।সাথে বদলে গেলো সেও।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলো।কিন্তু সে আর স্বাভাবিক হলোনা।
এরমধ্যেই খবর পেলাম কারো সাথে তার সম্পর্ক চলছে।পাগলের মতো হয়ে গেলাম।তার সাথে যোগাযোগ করার অনেক চেষ্টা করলাম।কিন্তু আমার কোনো চেষ্টাই সফল হলোনা।যোগাযোগ করার কোনো রাস্তাই সে খোলা রাখেনি।

দিশেহারা হয়ে গেলাম।
কতো রাত নির্ঘুম কেটেছে তা শুধু আমি জানি আর আমার উপরওয়ালা জানে।কেঁদেছি পাগলের মতো।আহাজারি করেছি।আর নিষ্ফল চেষ্টা করেছি তার সাথে যোগাযোগ করার।কিন্তু পারিনি।

প্রতিটা দিন তার ফেসবুক আইডিটা চেক করি।তার পোষ্টগুলো দেখি।তার কমেন্টগুলো পড়ি।
বুঝতে পারি অনেক বদলেছে সে।
আমার ইমোশনকে পাত্তা দেওয়ার মতো সময় তার হবেনা আর কখনোই।সে এখন ব্যস্ত অন্যে কারো সাথে।অন্য কারো ইনবক্সে ভরপুর তার মেসেজ।
অন্যে কারো স্বপ্ন সাজাতে সে ব্যস্ত ভাইয়া।ভীষণ ব্যস্ত।

-এতোটুকু বলেই থামলো আমার সামনে বসে থাকা ভীষণ রকমের আবেগী ছেলেটা।অন্তত আমার কাছে ছেলেটাকে সেরকমই মনে হলো।এতো অল্প পরিচয়ে যে একটা মেয়েটা এতোটা ভালোবাসতে পারে সে হয়তো হতে পারে ভীষণ আবেগী অথবা বোকা।
পরাজিত একটি মুখ।চোখের নিচের কালি দীর্ঘ রাতজাগার স্বাক্ষী।ভঙ্গুর একটা কাঠামো।মুখে দীর্ঘদিনের না কামানো খোঁচা খোঁচা দাড়ি।

দুঃখিত হলাম তার কাহিনী অথবা নিষ্ঠুর বাস্তবতার কাহিনী শুনে।কিন্তু জানি অস্বাভাবিক নয়।আমি নিজে তার স্বাক্ষী।

ভালোবাসা ভীষণ রকমের অবুঝ হয়।বুঝালেও বুঝেনা।রঙ্গীন স্বপ্নের ফানুস উড়ে মনের আঁকাশজুড়ে।বৃষ্টিমাখা দিনে প্রিয় মানুষটির হাতে ধরে কল্পনাই হেটে বেড়ানো।
রাতের ঘুমে সুখস্বপ্নে বিচরণ।
দিনগুলো ভীষণ রকমের সুন্দর।

কিন্তু বাস্তবতা বড়োই কঠিন।আমরা ভালোবাসি প্রাণ উজাড় করে।কিন্তু আমরা ভালবাসার সেই মানুষগুলোকে বুঝাতে পারিনা আমরা তাদের কতোটা চাই।
অথবা বুঝলেও তারা পাত্তা দেইনা।আমরা তাদের ভালো অথবা মঙ্গল চিন্তাই এতোটাই বিভোর থাকি যে বুঝতেই পারিনা কখন তৃতীয় কারো আগমনে তারা বদলে যায়।

যখন বুঝতে পারি তখন অনেক দেরী হয়ে যায়।তাদের জগতে তখন আমাদের অস্তিত্ব বিলুপ্ত।

কিন্তু কিছুই করার থাকেনা।
একাকীত্ব আর বিষাদ দখল করে নেই আমাদের জগতটা।তৃতীয় কারো সাথে নিজের ভালোবাসার মানুষটিকে সুখী হতে দেখে কান্না চিবিয়ে খাওয়া শিখতে হয়।
বিশেষ দিনে প্রিয় মানুষটিকে অন্য কারো সাথে দেখে কষ্টের ঘুড়িগুলোকে নিয়ন্ত্রনে রাখার চেষ্টা করতে হয়।
পুরো পৃথিবী তখন আমাদের বুঝিয়ে দেয় আমরা ভীষণ একা।
সুখস্বপ্নগুলো অন্তরীন হয়। দুঃস্বপ্ন দেখে রাত কাঁটে।চোখের নিচের কালি স্বাক্ষী দেয় রাতজাগার।
একাকীত্ব আমাদের চিরসঙ্গী।

তবু আমরা বেঁচে থাকি।
দুঃখ-কষ্টে বিবর্ণ ছেলেটি বেঁচে থাকে।
আমি বেঁচে থাকি।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


ওটা ছিল শরতের মেঘ, শরতের মেঘে বৃস্টি হয় না।

২| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:২২

আংশিক ভগ্নাংশ জামান বলেছেন: চোখের জলটা বর্ষার।অঝোরে ঝড়ে।ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.