নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুখ কিংবা দুঃখ!হাসি কিংবা কান্না!জীবনের এপিঠ-অপিঠ!আমি সেই জীবন নামক খেলায় পরাজিত একজন।

আংশিক ভগ্নাংশ জামান

আমি মানুষটার পরিচয় নিয়ে বলার খুব বেশী কিছু নেই। পরিবারের জন্যে উৎসর্গীত বড়ো ছেলে। একজন প্রবাসী।

আংশিক ভগ্নাংশ জামান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি আমার গল্পটির ভিলেন ছিলাম

২৬ শে জুলাই, ২০১৭ ভোর ৫:২১

আমি ছোট থাকতে বড়ো ভাইয়াদের বউ দেখে অনেক জেলাস ফিল করতাম।আর আম্মুকে নাকি বলতাম আমার জন্যে ভাবিদের চেয়েও সুন্দরী বউ লাগবে।
আমার কথা শুনে নাকি আম্মু হেসে বলতো,আমার ছেলের জন্যে শুধু সুন্দর হলেই হবেনা।হতে হবে রাজকন্যা।যে হবে রূপে-গুণে অতুলনীয়।
তখন সেই ছোট বয়সে রূপ আর গুণ কি জিনিস বুঝতাম না।বড়ো হলাম।বুঝলাম।

নিজেই ঠিক করলাম নিজের রাজকন্যাকে নিজেই খোঁজে বের করবো।আম্মু শুধু বললেন,আমার উপর তার বিশ্বাস আছে।শুধু আমি যেনো কখনোই কোনো ভুল না করি।আর যাই করি তা যেনো আম্মুকে বলি।অনেকেই জীবনে আসলো আর গেলো।কাউকেই সেই রাজকন্যার আসনে বসাতে পারলাম না।
যখন হতাশাই ভেঙ্গে পড়েছি তখন ঘটনাক্রমেই রাজকন্যার দেখা পেলাম।হয়তো আল্লাহ তায়ালাই চেয়েছিলেন।কারণ সেদিন আমার সেই জায়গাই থাকার কথাই ছিলোনা।যাই হোক রাজকন্যার দেখা পেলাম।খুশীর অতিশয্যে সেদিন আম্মুর কাছ থেকে টাকা চেয়ে নিয়ে আর নিজের বেতনের টাকা দিয়ে বন্ধুদেরকে প্রিন্সের মতোই ভোজনবিলাস করালাম।

একদিন খেলার মাঠে খেলা করার সময় এক বন্ধু কল দিয়ে জানালো এক জায়গাই যেতে হবে।জরুরী প্রয়োজনে।
ছুটে গেলাম।
কথা যেহেতু দিয়েছি।গেলাম।
জায়গা মতো যাওয়ার পর বললো আমার রাজকন্যা এই রাস্তা দিয়েই যাবে।আমি তার সাথে কথা বলার একটা সুযোগ পেতে পারি।
যাই হোক।কথা বলতে গিয়েই বুঝলাম মেয়েদের সাথে যতোই মিলামিশা থাকুক কিংবা আমি যতোই সাহসী হয় না কেনো!রাজকন্যার সামনে গিয়ে আমার গলা দিয়ে আওয়াজ বের হচ্ছেনা।বুকের ভিতর হৃদপিন্ডটা পাগলা ঘোড়ার মতো লাফঝাপ শুরু করেছে।যেনো বের হয়ে যাবে।হাতের তালু ঘামছিলো ভীষণ।
যাই হোক রাজকন্যাকে মনের কথা জানালাম।

জানতাম রাজকন্যার মন পাওয়া এতো সহজ না।তাকে রাজকন্যা থেকে রাণীর আসনে বসাতে হবে।তবেই মিলবে ভালোবাসা।তাই শুধু মনে মনে শপথ নিলাম অপেক্ষা করবো আমার রাজকন্যার জন্যে।নিজেকে তৈরী করবো সেভাবে।সময় কাটতে লাগলো।আমার শুধু চেষ্টা ছিলো নিজেকে তার মনের মতো করে তৈরী করা।কারণ প্রথমদিনের দেখাতেই রাজকন্যার সামনে নিজেকে ভীষণ রকম নগন্য মনে হয়েছিলো।

সময়ের জেরে রাজকন্যার দেশ ছেড়ে চলে এলাম অনেক দূরে।আরব্য রজনীর দেশে এলেও আরবের হুররাও ভুলাতে পারেনি আমার মনের রাজকন্যাকে।কারণ ততোদিনে সে আমার মনের সিংহাসনে আসীন।দিন রাত স্বপ্ন ছিলো রাজকন্যাকে ঘিরে।রাতে আকাশের চাঁদের দিকে তাকিয়ে আমার রাজকন্যার সাথে অনেক গল্প করতাম।ভবিষ্যতের গল্প।

সময় কাটতে লাগলো।রাজকন্যার ভবিষ্যতের কথা ভেবে রাজকন্যাকে দূরে সরিয়ে দিলাম।তারপর একদিন রাজকন্যা ফিরে এলো আবার।কিন্তু তার মনের রাজকুমারকে সঙ্গে নিয়ে।

আমি একনিমেষেই ধ্বসে গেলাম।রাজার আসন থেকে নেমে চলে এলাম রাখালকুমারের কাতারে।তবু চেষ্টা করলাম।আবার যদি রাজকন্যার মনের আসনটা দখল করতে পারি!কিন্তু সময়ের সাথে বুঝলাম সম্ভব না।তার মনের রাজপুত্র আমি কখনোই হতে পারবোনা।
তারপরেই সিদ্ধান্ত নিলাম আমার মনের রাজকন্যা আমার না হোক।অন্তত তার মনের রাজপুত্র তার হোক।

আর সেই চেষ্টাই আমি রাখালকুমার এখন নিজের স্বপ্নের বিনিময়ে আমার রাজকন্যার সাথে তার মনের রাজপুত্রের স্বপ্ন কিনতে ব্যস্ত।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুলাই, ২০১৭ ভোর ৫:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


মনে হচ্ছে, জীবনের সন্ধানে বের হওয়ার দরকার এখুনি

২| ২৬ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:০৫

আংশিক ভগ্নাংশ জামান বলেছেন: তাদের ভালোবাসার পাওনাটুকু শুধু তাদের বুঝিয়ে দেওয়ার বাকি।তারপরেই শুরু হবে জীবনের সন্ধানে যাত্রা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.