নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা পড়িয়া রয় অবহেলায়, তাহা সমগ্রই আমার কী-প্যাডের, দূর্দান্ত গতি ছড়ায়। যদি কোন অন্ধ/বদ্ধ মনের দ্বার একবার খোলা যায়?\n

আসিফুজ্জামান জিকো

অাইন বিভাগ..

আসিফুজ্জামান জিকো › বিস্তারিত পোস্টঃ

দ্বিধা..

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৬:৪০

লেখাটি অত্যান্ত দুঃখের সাথে লিখছি কোনরুপ পরিকল্পনা ছাড়াই। বহুদিন বাদে পাসওয়ার্ড রিকোভার করে গতকাল পোস্ট করেছিলাম।
লেখাটা এক প্রকার নেশা। যাই হোক পোস্টের মুল বক্তব্য ছিলো, চলতি পথে ক্ষুধার্ত বাবা-মা হারা পথশিশু কিংবা জারয গুলোকে একটু সহানুভূতি দেখাবেন পারলে।
( মাত্রই একটি মন্তব্য দেখলাম- ওদের খাবার টাকা থাকেনা, তবে নেশার টাকা থাকে) কেমন যেনো খারাপ লাগলো, তাই আসা...

ওর নাম মারুফ, ঠিকানা, কলাবাগান ফুটপাত, জন্মসুত্রে যারজ; টোকাই বইল্লা যারে গালী দেই আমরা! ও ডেনড্রাইটার আডা হুঙ্গে ; করলাম পাকড়াও, ক্যাম্পাসের ভিত্রে পুইরা বললাম হেতু কি মারুফ মিঞা? এগুলা কেডায শিখাইছে? কইলো বড় টোকাইয়েরা.. কিল্লাই হিখলি নেশা? দিমু থাবড়া একটা...

কইলো দেন, আডার কৌটাডা ও দেন?
কই্লাম তোর তো বিরাট সাহস, অই স্যাচ্যা।দে তো এরে? কইলে দেতে হয় দেন; তার আগে আডার কৌটাডা দেন?
প্যাড জল্তাছে ক্ষুধায়?

কইলাম তাইলে আবার এডি টানোস ক্যা খাবার না খাইয়া?
কইলো ৩২ টেকার আডা হুখলে সারা দিন ক্ষুধাত ধরেরা, টোকাইয়া পাই পুচ্পান্ন টেকা, পথে পথে ঘুর্তি ঘুর্তি ৩২ টিকা এ থাহেনা কাছে, ক্ষিধার্তে বাচতিই আডা হুঙ্গি বাহে!

ওর পেটের চামড়া হাড়ের সাথে লাগা, স্বাস চলছেনা, জন্ডিসের মত হলদেটে চোখ, এই শীতেও ফিনফিনে ছেড়া একটা গেঞ্জী পরা, তততক্ষণে মারুফের চেয়ে ছোট বড় মিশেলের পাচ সাতটা অতি উৎসুক হয়ে ফ্যাল ফ্যাল করে চাইছে আমাদের দিকে, প্রত্যেকের হাতে ডেনড্রাইট আঠা পলিথিনে মুড়িয়ে পেছনে ধরা!

এই নেশা ক্ষুধা ভুলানিয়া, এই নেশায় আভিজাত্য নেই, নাই কোন টাল-মাতাল অবস্থা...
আমি বলছি না জারয মারফ যার বাবা মা জন্মের পরে ধানমন্ডি লেকে ফে্লে রেখে জীবনের সব দায়িত্ব প্রতৃতির উপর ছেড়ে চলে গেছে তারে আপনাকেই খাওয়াইতে হবে! আমি বলতে এসেছি আমাদের জীবন পরিক্রমায় একটু অবসরে, চোখের সামনে স্রষ্টা ওরকম।কোন ক্ষুধিতরে আনি যদি ছাড়ে তবে সময় সুযোগ বুঝে আপনি ওর পেটের একবেলার সুখ হয়ে দেখতে পারেন, কথা দিচ্ছি ওর পরম মমতার দৃষ্টি তে যে রকম সুখ আপনার প্রাণ ছুয়ে যাবে, তা হাজার কোটি টাকাতেও কোথাও আপনি ধরতে পারবেন না জনাব।

এইটা ও সমস্যা নাহ, সমস্যাটা মানসিকতায় ভাই, আমরা কোন পজিটিভ কথার ভিতরে ও নেগেটীভ চালান দিযেসতবেই সুখ পাই।


ওর নাম মারুফ, ঠিকানা, কলাবাগান ফুটপাত, জন্মসুত্রে যারজ; টোকাই বইল্লা যারে গালী দেই আমরা! ও ডেনড্রাইটার আডা হুঙ্গে ; করলাম পাকড়াও, ক্যাম্পাসের ভিত্রে পুইরা বললাম হেতু কি মারুফ মিঞা? এগুলা কেডায শিখাইছে? কইলো বড় টোকাইয়েরা.. কিল্লাই হিখলি নেশা? দিমু থাবড়া একটা...

কইলো দেন, আডার কৌটাডা ও দেন?
কই্লাম তোর তো বিরাট সাহস, অই স্যাচ্যা দে তো এরে?
কইলো দেতে হয় দেন; তার আগে আডার কৌটাডা দেন?
প্যাড জল্তাছে ক্ষুধায়?

কইলাম তাইলে আবার এডি টানোস ক্যা খাবার না খাইয়া?
কইলো ৩২ টেকার আডা হুখলে সারা দিন ক্ষুধাত ধরেনা, টোকাইয়া পাই পুচ্পান্ন টেকা, পথে পথে ঘুর্তি ঘুর্তি ৩২ টিকা এ থাহেনা কাছে, ক্ষিধার্তে বাচতিই আডা হুঙ্গি বাহে!

ওর পেটের চামড়া হাড়ের সাথে লাগা, স্বাস চলছেনা, জন্ডিসের মত হলদেটে চোখ, এই শীতেও ফিনফিনে ছেড়া একটা গেঞ্জী পরা, তততক্ষণে মারুফের চেয়ে ছোট বড় মিশেলের পাচ সাতটা অতি উৎসুক হয়ে ফ্যাল ফ্যাল করে চাইছে আমাদের দিকে, প্রত্যেকের হাতে ডেনড্রাইট আঠা পলিথিনে মুড়িয়ে পেছনে ধরা!

এই নেশা ক্ষুধা ভুলানিয়া, এই নেশায় আভিজাত্য নেই, নাই কোন টাল-মাতাল অবস্থা...
আমি বলছি না জারয মারফ যার বাবা মা জন্মের পরে ধানমন্ডি লেকে ফে্লে রেখে জীবনের সব দায়িত্ব প্রতৃতির উপর ছেড়ে চলে গেছে তারে আপনাকেই খাওয়াইতে হবে! আমি বলতে এসেছি আমাদের জীবন পরিক্রমায় একটু অবসরে, চোখের সামনে স্রষ্টা ওরকম।কোন ক্ষুধিতরে আনি যদি ছাড়ে তবে সময় সুযোগ বুঝে আপনি ওর পেটের একবেলার সুখ হয়ে দেখতে পারেন, কথা দিচ্ছি ওর পরম মমতার দৃষ্টি তে যে রকম সুখ আপনার প্রাণ ছুয়ে যাবে, তা হাজার কোটি টাকাতেও কোথাও আপনি ধরতে পারবেন না জনাব।

এইটা ও সমস্যা নাহ, সমস্যাটা মানসিকতায় ভাই, আমরা কোন পজিটিভ কথার ভিতরে ও নেগেটীভ চালান দিতেই সুখ পাই!
পদ্মা সেতুটি হলে তিন ঘণ্টায় বাড়ি থেকে যাওয়া আসা হয়ে যাবেবে ঢাকাতে দক্ষিণ বঙ্গের মানুষের; কি মহৎ একটা কাজ।
অথচো এই কাজের প্রস্তাবনার কাজ আসলে ক্ষমতাসীনেরা ভাবলো কে কে কোন কোন খাতে কত বাচাইতে পারবে?
আর বিরোধীরা ভাবছে মাইরা তো খাচ্ছেই, আগের সব ব্রীজ তো আমগো হাতেই করা ; আমরা কি জানিনা কোথায় কোথায় করতাছো ধান্দা? সবুর করো সামনের মাসেই রড কেলেংকারীতে চুন কালি মাখিয়ে সেতুর কাজ বন্ধ করে দিবো, তখন খাইয়ো নবডঙ্কা?

এমন কেনো আমরা?
কারো আর সেতুর কথা মনে থাকেনা, রোডের বিলের দিকেই মনোযোগ, এক সপ্তাহ পরের বৃষ্টিতেই পীচ ধুয়ে লালচে ইটের শুরকি গোটা রাস্তা... নষ্ট রাজত্বে মনুষ্যত্ববোধ টুকুন ও ক্রমাগত বিলীন হয়ে যাচ্ছে মানবদেহ থেকে..
ভুল ত্রুটি মার্জনীয়..





মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.