নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা পড়িয়া রয় অবহেলায়, তাহা সমগ্রই আমার কী-প্যাডের, দূর্দান্ত গতি ছড়ায়। যদি কোন অন্ধ/বদ্ধ মনের দ্বার একবার খোলা যায়?\n

আসিফুজ্জামান জিকো

অাইন বিভাগ..

আসিফুজ্জামান জিকো › বিস্তারিত পোস্টঃ

রসহীন

২৮ শে মার্চ, ২০১৭ ভোর ৪:৫২

আমি সু তার্কিক নই, তবে লাজ ভাঙ্গলে আমি সু বক্তা হয়ে যেতে পারি।

গতকাল সবার উক্তির উত্তর দিতে গিয়ে মনে হচ্ছিলো তর্কেও আমি সহজেই জিততে পারি, যদি একটু দেখে ভাবিয়া বলি :) ( ভাবনার অবসর'ই পায়না এই মতিনবাবু দের মেসে.. :'(

এটা ভালো, অনেক জায়গা থেকে সত্য জেনে ও তর্ক ভয়ে আমি সরে অাসি। আবারো আসবো, কলহে মোহ নেই, তবু ও কিছু অকপটে বলার মত বিষয় আসে যা থেকে সরাটা অনুচিৎ, মানবদেহ অভিশপ্ত হয় সে সব উপেক্ষায়। আমার কোন দল নেই, সঙ্গ কিংবা একগুচ্ছ ঝোক ওয়ালা বন্ধুবান্ধব। তবুও রোজ রোজ অনেকে এসে জমা হয় হুট করে লেখা বিভিন্ন পাতায়।

সবাই অপরিচিত, তবে চিন্তা মিলে যায়।

আমাদের একটা প্রকট সমস্যা হচ্ছে, নিজেদের ধারনা, বিশ্বাস উপলব্ধি ভুল হলে ও তার পক্ষেই গলা ছুড়ে যাওয়া। খুব শিক্ষিত কিংবা অশিক্ষিত সবার মাঝেই এটা প্রকট। যার যার জায়গায় অনড় থাকবে, হোক সে যতই ভুল, এতে করে প্রায়ই সত্যিটা হেরে যায়।

যেমন প্রায়ই নাকি কোর্ট কাচারীতে যার ক্ষমতা টাকা বেশা তার পক্ষে রায় যায়, অথচ ব্যাপ্যার্টা কিন্তু মিথ্যা।

আমার খুব খারাপ লাগে যখন ব্যাপ্যারটা দিনের আলোর মত সত্যি জেনে ও তাকে প্রমাণে নামতে হয়।

৭১ এ শহীদের সংখ্যা ত্রিশ লক্ষ্য কিংবা তার দুই লক্ষ্য কমম কিংবা বেশী হতে পারে। পাক্সতান সরকারের মতই কিছু বাঙ্গালী প্রমাণ করতে বলে?

ধরেন আমি বললাম ট্রাফিক ঘুষ খায়!
সেইটার প্রমাণ কেউ চাইছে আমার কাছে, আসলে ট্রাফিকটা সেই প্নমাণ চাওয়া লোকটাকে টাকা পয়সা দেয়নি তার হয়ে ওকালতির জন্যে; আদতে লোকটা হয়তো আমার চেতনার ঠিক বিপরীত মতাদর্শের।
তাই সত্যি কি মিথ্যা সেইটি আলোচ্য নয় তার কাছে,
তার প্রয়োজন আমাকে ভুল প্রমাণ করা।
আমরা মুল বিষয় থেকে সরে আসি, ফলশ্রুতিতে ফাক তালে ঘুষখোর ট্রাফিক ঘুষ খেয়েই যায়।

রাস্তায় দেখবেন দুজন রিকশাওয়ালা কিংবা প্রাইভেট গাড়ীর দুই ড্রাইভার বাধিয়ে দিয়েছে হাতাহাতি মারামারি। স্কুল কলেজ ছুটি, পাচ মিনিট দশ মিনিট ওরা লেগেই যাচ্ছে নিজেরা। ওদের জন্যে গাড়ী আটকে এপাশে আসাদ গেইট থেকে ওপাশে ধানমন্ডি ১৫ পর্যন্ত চৈত্র মাসের রৌদ্রে মানুষ পুড়ছে! তাতে ওদের কি আসে যায়?

আমার কিন্তুু সহ্য হয়না, অমানুষিক কোন বিষয় আসলে শান্ত শিষ্ট আমি হুট করে জলন্ত হই মুহুর্তেইই।
ফেরার সময় অবশ্য লজ্জা ও লাগে সবাই ঘুর ঘুরিয়ে যে চাউনী দিচ্ছে তাতে। সেসব চাউনীর ভালো/মন্দ/বাউন্ডুলে/ মস্তান/পাগলা এরকম কয়েক প্রকার বক্তব্য থাকে। অখচ সবাই সরল পথে চিন্তা করবে নাহ যে আমাদের সকলের ভোগান্তি নিবৃত্তে হঠাৎ কানের নীচে বাজিয়ে সৎবিৎ ফেরানো..

ধরেন আমি একটা মস্ত বড় কিংবা এ্যামিবা সম ক্ষুদ্র ভুল বা অন্যায় করিয়া ফেলেছি। সেক্ষেত্রে একটা স্কুলের বাচ্চা কিংবা তালপাতার সেপাহী মতিন দা যদি বলে ওঠে, ওই জিকো ভুলটা কেনো হলো?

- আমি গায়ে শক্তি পাইনা, ওরা হতে পারে আমা হতে অনেক দূর্বল তবু ও পরিবার, পরিবেশ তথা শৈশবের বিকাশ কালে আমাকে বলা হয়েছে,
যদি হয় ভুল,
সেথা তুমিই অপরাধী,
তর্কটা আহামরী,
ক্ষমাতীত আরেক ভুল,
শুধরে নাও,
অন্যথা সাজা নির্ভুল..

কিছুক্ষণ আগে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়া এক সুদর্শন আধুনিকা ( সপ্তম/অষ্টম শ্রেণীর) মেয়েকে তার মা কোন ছেলের বাসা থেকে উদ্ধার করে নিয়ে গাড়ীতে বসাতে বসাতে একটা চড় দিলো ( ছোয়ানো টাইপের)

বালিকাটি চার গুণ জোরে তা ফেরৎ দিলো!
মায়ের চোখ আমাদের দেখে ফেলায়, ফিরতি আরেকটা ( একটু জোরে) , মেয়ে এবার আরো জোরে, মা চিল্লানী দিয়ে আরেকটা দিতেই মেয়ে সরে হাত চালালে মায়ের চোখে মুখে আচড় লাগলো! মেয়ে গাড়ীর বাইরে বেরিয়ে গট গট করে রাস্তা পেরিয়ে গেলো!

( আমার খুব অসহায় বোধ হচ্ছিলো, মা টার দিকে তাকিয়ে দেখি ফ্যাল ফ্যাল করে রাস্তার ওপারে মেয়েটাকে দেখার চেষ্টা করছে, চোখে পৃথিবীর সমস্ত অসহায়ত্ব জড় হয়েছে )

এই শহরে আমি চাইলেই সব করতে পারিনা!
পারলে মেয়েটাকে ধরে নিয়ে ওর মার কাছে বসিয়ে দিতাম :'(

বাংলার সামনে বড় দুঃসময়, ভয় হয়।
এদের ঘরে বসে অনলাইনে গেমসে হাতে খড়ি হচ্ছে,
শহর কিংবা গ্রাম অনলইনের নেগোটীভের জয়জয়াকার। বিশ বছর যে দৃশ্য আমার কল্পনায়, এরা সপ্তম শ্রেণীতে এসে প্রাক্টিকাল করার সময় গ্নেপ্তার হয়।
হাসবেন্নাহ মোটে ও, কি ভয়াল আথুনিকতা?

এদের কে জিগেস করলে টেনে টেনে বলবে, আমি বাংলা ভালো পারিনা!
এরা যে ইংরেজীতে ও খুব পাকা তা কিন্তু নাহ :'(

এদের পিতা-মাতার অজ্ঞতাই এদের ধ্বংস করছে।
কিছু অসাধু অমনোযোগী সুবিধাভোগী মানুষ টাকা হাতাইবার জন্যে একটা প্রথা আবিষ্কার করলো।
সেইটা হচ্ছে ইংলিশ মিডিয়াম।
বাবা মা জানেইমই না এ মাধ্যমে ভারতীয় কিছু বই হুবহু নকল করে এরা অাধুনিক সাজিয়াছ। তবুও সাথে যদি ভারতীয় শিক্ষা ব্যাবস্থাটুকু ও ফলো করতো।
সেইটা বোঝার জন্যে কিছু নিজের ভিতরে ও কিছু থাকা চাই? এই ইংরেজীতে তিন বারে এনট্রান্স পাস করা পিতা মাতা এতোটাই ভীত যে, ইংলিশ মিডিয়াম নাম শুনিবা মাত্রই ইংরেজ ভাষায় সন্তাত পাকাইতে চায়।

এ্যাডজেকটিভ বলতে এরা বইয়ের পাচ ছয়টা অনুশীলনী জানে, প্রিপজিশন, টেনস কিংবা সব কিছুতেই অতটুকু ই শুরু হয়ে শেষ..

ওদের স্যার/ ম্যামেদের নির্দেশ বইয়ে যা আছে তা হুবহৃ না দিলে মার্কস পাবেনা। ধর্ম আর শিক্ষা ব্যাবসায়ী উভয়ই ভণ্ড; ক্ষমার অযোগ্য তাহারা।

ইদানীং প্নায়ই শিক্ষক কে ধর্ষক বেশে দেখি!
কারন কি?

উপরে বলাই আছে, ওর তো যোগ্যতাই নাই,
ও তো ধান্দা বাজ, জীবনের খেই পেতে প্রতারণায় নেমেছিলো। সেই জালে ডাক্তার, সচিব, তথা সমাজের শীর্ষ স্থানীয় মেধাবী মানুষের বাচ্চা ছেলে মেয়ে গুলো গাদি গাদি করে সকালে তিন তলার ইঃ মিডিয়ামে, বিকালে স্কুল ঘর খুলে প্রাইভেট হয় বিকেলের শেষ হতে সন্ধ্যা বুজিয়া রাত্রির অন্তিমে ও গাড়ী বহর দেখা যায়:'(

কি ভীষণ ব্যাস্ত পিতা মাতা ব্যাংক ব্যালেন্সে।
হুজুরে মূর্খকে পীর ভেবে সন্তান টিকে ছাড়িয়া দেয় নোংড়া হাতে :'(
টনক নড়ে যখন,
তখন ইটস ঠু লেইট...

প্রায় মূর্খ মানুষের যখন টাকা পয়সা হয়, তখন তাহারা বিজাতীয়ের বিষ্ঠা ও কিনে খেতে চায়। এদের সাথে তাল দিতে গিয়ে মধ্যবৃত্ত শ্রেণীর টান টান বেতনের সংসারে আরো চাপাচাপি বাড়ে, সন্তান যে তাহার ইংলিশ মিডিয়ামে বিজাতীয় পড়ে!

আমার অাফসোস হয় সে সমস্ত পিতামাতাদের জন্যে যাদের সন্তানেরা বাংলা জানে বলে দেয় অকপটে; ওদের জন্যে, জোর করে বৃদ্ধাশ্রমে বাধ্য করবে বার্ধ্যক্যে!
( ব্যাক্ষাতীত ব্যাপ্যার গুলো বিশ্রী ধাচের সত্যি)

আপনি SSC, HSC'র বোর্ড পরীক্ষার মেধা তালিকার অাশে পাশে কিংবা ইউনিভার্সিটি ভর্তি তালিকার তলানীতে, নতুবা বিসি এস পরীক্ষা কেন্দ্রের কয়েক মাইলের ভিতরে এ সমস্ত ব্যাঙ্গের মুত্রে গজানো ছাতির মত দাড়িয়ে থাকা ' ই ন জা রি ' মিডিয়ামীদের টিকিটার কোন হাদিস পাইবেন নাহ!

দেখবেন অমুক প্রাইমারীর ছেলেটা ফাইভে সেরা।
অমুক আদর্শ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্নেণী জুনিয়র বুত্তিতে দেশের সেরা। শোনা যাবে এবার মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকে যথাক্রমে কুমিল্লা ও যশোর বোর্ড প্রথমস্থানের অধিকারী হয়। ঢাকা ইউনিভার্সিটির অধিকাংশই মফস্বলাগত!

আমেরিকা কিংবা বাংলাদেশের প্রাইমারী স্কুল গুলোর সামনে সুবিশাল একটা করে মাঠ কেনো থাকে জানেন?

শিশুর পাঠ শেষ হলে ভো দৌড়ে হেসে খেলে মাথা আর মন পরিষ্কার করবে। ক্লাস রুমের নীতি শিক্ষাটা মাঠে পরিষ্কার হয়ে যায়। নেতৃত্ব, ভাতৃত্ব, ভালোবাসা, সহমর্মিতা, একত্রীকরণের সুবিধা শিশুকে মাঠ হাতে কলমে শেখায়।

পাঠ্য বই পড়লেই যে কোন সময় জানতে পারে বিষয় গুলো, তবে শৈশবের বিকাশ কাল ফুরিয়ে গেলে আপনার শিশুর মানুষ হবার প্রথম শর্তটার অপূর্ণ থেকে যাায়।

শারীরিক মেরুদণ্ডের মতই মানসিক একটা দণ্ড থাকে,
তা ছাড়া জীবনের মূল্য পরিমাপ করা যায়না।

আমাদের পাঠ্যপুস্তক ই প্রাথমিক স্তর থেকে ধাপে ধাপে শিশুকে ব্যাকরন /গ্রামার/সূত্রানুযায়ী প্রতিট বিষয়ের আধুনিক এবং শেষ স্তরে নিয়ে পৌছে দিতে পারে।
প্রত্যেক দেশেরই সে দেশের সরকারী পাঠ্যক্রম তৈরী করা থাকে, যেটা হাজার গবেষণার শ্রেষ্ঠ ফল..

#নিরস তবে পানাহারে বর্ধিত হইবে রক্তের চলা-চল :)

আমি ইহা লিখিতে আসিনি মোটে ও :'(
আমি বলতে এসেছিলাম;
আমি গ্রামের মতই নরম,
সরল থাকতে দিও মোরে;

এটা শেষ করে এ্যাস্যাইনমেন্ট লিখতে বসার কথা ছিলো..

সত্যি শ্রদ্ধা বের হয় যেখানে,
আর কথা বললেই যার জন্যে এক বর্ণ করে ভালোবাসা বড় হবে, সেই প্রিয় মির্জা বাড়ির বর্তমান এবং একমাত্র মির্জা Mirza Adwit স্যারের এ্যাস্যাইন মেন্ট লেখার কথা। টপিক্সস দিয়েছিলেন, ৭ই মার্চ... ( কয়েক কোটি হার্টস টপিক্সেই স্যার পায়)

স্যার মারুক, বকুক যাই করুক, হুট করে অনেক দিন বাদে অপ্রস্তুত অবস্থায় ডিপার্টমেন্ট হয়রানীতে যখন বেহাল দশা তখন পিছন থেকে ভরাট কন্ঠে - এইইই জিকো, একটা ডাক শুনে পিছু ফিরতেই রাজ্যের বিভ্রান্তির বোঝা নেমে যায়। অনাহুতের মত টো টো করা ক্ষরায় পোড়া হৃদয় ক্ষতে সামান্য ভালোবাসার প্রলেপ লাগে। বালক ফিরে যায় মুহুর্তে প্রিয় মাতৃঅঞ্চলের ফ্লাশব্যাকে। ঝামেলা হোক, স্যার তো আছে?

মুখচোরা আমার শেষমেষ স্যারকে কিছুই বলা হয়না..
তবু ও স্যার তো আছেন, কি সমস্যা?

love you মির্জা sir ( মার্বেন লজ্জা দিয়েন্না :'( )
স্যার অয়ময় নাটকের মির্যা বাড়ির ওই একই মির্যা না আপনারা? ( কিউরিসিটি জাস্ট, না বললে বলবেন নাহহ, তবে মনে মনে রাগবেন নাহ কিন্তু )

হেটার্সরা ভাববে এ্যাসাইনমেন্ট জমা দেবার ডেইট বুঝি মিস করেছি :(
নিন্দুকের মুখে পড়ুক গরম ফুল্কি ওয়ালা ছাই :p

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো কিছু লিখুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.