নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফীড দেখে মনে হচ্ছে যে আড়াই লক্ষ হজ্ব যাত্রী যেতে পারছেন না হজ্বে তারা কিছু কিছু করে বন্যার্ত্যদের সাহায্যে এগিয়ে আসতে পারেন।
এবং আসন্ন কুরবানী ঈদে প্রতিবেশীর সাথে পাল্লা দিয়ে যারা বেশি দামে বড় বড় উট,গরু কুরবানী দিবেন বলে ভাবছেন তারা ও বন্যার্ত্যদের পাশে দাড়াতে পারেন। আপনি সন্তান হলে পরিবার অথবা বাবাকে বোঝানোর দায়িত্বটা ও আপনার। অর্ধেক বাংলাদেশ পানিতে ডুবে আছে।
ধরেন ঈদের দিন বিভিন্ন চ্যানেলে রকমারী অনুষ্ঠান দেখতে থাকা আপনার চোখে বিরতির ফাকে অনেক চ্যানেলের রিপোর্টে বানভাসি মানুষের আহাজারি মাখা ঈদ উদযাপন ভাসবে; আমি নিশ্চিৎ এ্যাজ এ হিউউম্যান তখন আপনার চকচকে দামী পোশাক আর বড় বড় পশু কোরবানীকে অত্যান্ত তুচ্ছ বলে মনে হবে। আট হাজার টাকার ড্রেস আপনাকে যে অনুভূতি দিতে পারেনা, ক্ষুধার্তের সামনে মেলে ধরা একপ্লেট ভাত কিংবা সুুনামগঞ্জের সন্তান হারা বৃদ্ধা বিধবা আমিনা বেগমের সামনে মেলে ধরা এক কেজি চালে তার চেয়ে কোটিগুন সুখানুভূতি পাওয়া যায়।
এখানে ও সমস্যা আছে, সমস্যা ১; হচ্ছে, এই রিলিফের মাল খেয়ে দিতে অভ্যস্ত যে কোনন বাঙ্গালী কিংবা প্রতিষ্ঠান, সংগঠনকেই আপনি বিশ্বাস করে আপনার টাকা পয়সা দিবেন নাহ, সুযোগ থাকলে সরাসরি কোন ভুক্তভোগী পরিবার, জনপদে গিয়ে স্বহস্তে বানের নৃসংশতা দেখতে দেখতে দিয়ে আসুন। এবারের আপনার পারিবারিক ঈদ ভ্রমণটা কক্সবাজার, ফয়েজ লেক, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক না হয়ে যদি বান আক্রান্ত কোন বাংলার জেলা হয, খুব একটা খারাপ লাগবে না বোধকরি ডুবে থাকা গ্রাম বাংলা। গেরস্থের পেটের হাড্ডি চামড়া মিশে গিয়েছে, গলা পানিতে দাড়িয়ে হাত পেতে নিতে যেমনি লজ্জা পাচ্ছে ঠিক তেমনি মুখের স্বলজ্জ হাসিটাও অজান্তেই আপনার হৃদয়ে গেথে যাবে! গ্রাম আর বাংলার তো শুধু দেবারই অভ্যেস। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষায় ওরাই তো দিয়ে যায় উজাড় করে।
সমস্যা ২; হচ্ছে, সারা বছর ধরে অপেক্ষাকরা কোরবানীর চামড়া লোভী মোল্লারা বলবে, কোরবানীই বড় ইবাদত,এ না করলে পরকাল ভেস্তে যাবে! তাতে সায় দিবে কিছু স্বার্থান্বেষী আর সরলমনারা।
সমাধান এক লাইনেই, সবার ঊপরে মানুষ সত্য যে ভায়া....
ধন্যবাদ, আবার আসবো।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: ব্যবসা। ব্যবসা ছাড়া বাঙ্গালী কিছু বুঝে না।