নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা পড়িয়া রয় অবহেলায়, তাহা সমগ্রই আমার কী-প্যাডের, দূর্দান্ত গতি ছড়ায়। যদি কোন অন্ধ/বদ্ধ মনের দ্বার একবার খোলা যায়?\n

আসিফুজ্জামান জিকো

অাইন বিভাগ..

আসিফুজ্জামান জিকো › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাঙ্গালী সাহসি জাতি- ছোটবেলায় ট্রান্সিলিশনে পড়ে সত্যি ভাবতাম, সব অসত্য..

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৪:০১

টি এস সির মত জায়গায় চার পাচ জনে কোপায় চলে যাচ্ছে নির্বিঘ্নে! কোপাইতে ও চার পাচ মিনিট সময় নিলো।

সামনে এবং পিছনে সারি সারি বইমেলা ফেরৎ মানুষ হেটে যেমনি যাচ্ছে তেমনি আরেকদল সারি সারি মানুষ উল্টোদিক থেকে অাসছে। ফুটপাতের ঠিক শেষে হাটু পর্যন্ত উচু করা সিড়ির মত কয়েক ধাপে বিভিন্ন জায়গা থেকে এসে জড় হয়ে আড্ডা দিচ্ছে; তিল ধারনের ঠাই নাই, তাই ভাগ ভাগ হয়ে বন্ধুমহলেরা দাড়ায়ে, মাটি অথবা ঘাসের উপর বসে অাড্ডা দিয়েই যাচ্ছে। টি এস সি বলে কথা, কেউ হলে থাকে তাই বাধ্য হয়ে আসে, তাদের সাথে জুড়ে যায়য় বিভিন্ন জায়গা থেকে অাসা একটু ভাবিস্ট অাম জনতা। বিকেল থেকে রাত বারোটা পর্যন্ত ওটুকুতে পাশের বন্ধুর সাথে কথা বলতে ও গলার সবটুকু জোর লাগাতে হয়।
নেতা ছাড়া অাড্ডা জমেনা সেখানে, নেতার নেতামীর জন্যে ছাত্র অাবশ্যক, ছাত্র ডাকে ওর পুরোনো বন্ধু শুঁভাকাংখীদের, নেতার সামনে ছাত্রের লোকবল শো করার একটা ব্যাপার থাকে। প্রেমিকের সাথে প্রেমিকারা না পারতে কারো হাত ছাড়েনা, একেবারে অাড়ষ্ট হতে শুরু করে সন্ধ্যে হবার অাগে থেকেই, কবি চায়ের অাড্ডায় ডাকে কিছু দালাল এবং কিছু ক্ষুধার্তদের, ভবিষ্যতেরা গায়কেরা অন্যের প্রেমিকা দেখলেই বগল দাবা করে রাখা গিটারের তারে আঙ্গুল ছোয়ায়, গায়কের চ্যালা তখন একটু অাধারে বসে কল্কের গাজা কুচি করে করে কাটে, ভীড়ের ভিতর সুযোগ পেলেই কারো প্রেমিকার দেহে স্পর্শ করা বখাটেরা ঘুর ঘুর করে, দোকানী তখন বেচা বিক্রি ভুলে ফ্যাল ফ্যাল করে জটলা দেখছে, রিকশা আসছে চলে যাচ্ছে নামিয়ে, কেউ কেউ অবস হওয়া পেশি আর মানুষের ঢল দেখে ট্রীপে বিরতি দিয়ে বিড়ি সিগারেট ফুকছে, সব মিলিয়ে প্রায় লক্ষাধিক মানুষে গিজ হিজ করে শাহবাগ থেকে নীলক্ষেতের মোড় দিয়ে এস এম হল দিয়ে ওপাশের বুৃয়েট-মেডিকেল ছাড়িয়ে চানখার পু্ল পর্যন্ত।

এই লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষের ভীড়ে ওরা কয়েকটি লোহার চাপাতি দিয়ে যাকে তাকে কুপিয়ে স্পট ডেড করে চলে যাচ্ছে! বাহ, কেমন রুপকথা বা হলিউডি কোন সিনেমার দৃশ্যের মত শোনায় না জিনিসটা?

প্রথমত এত্ত মানুষের ভীড়ে এরকম হত্যার পরিকল্পনাটা অাসে কেমনে? যেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসের ছাত্রেরা গিজ গিজ করছে!

সাধারণ শিক্ষিত মানুষের মেলা, ছাত্র-ছাত্রীরা, যেখানে দাড়ায় সেখানে শাসকের সেনাবাহিনী ও অপারগ হয়।
আর আমরা বাঙ্গালী এমন যে ওই খুনীরা জানে কেউ আসবেনা, জিগেস ও করবেনা, কার অত দায়?

আমরা বাঙ্গালী শহর কিংবা গ্রামে সবাই এই মানসিকতা বহন করি। সেজন্য প্রায়ই কোন বৃদ্ধ পিতাকে বলতে শুনি তার চার ছেলে কেউ ভাত দেয়না তাই এই বয়সে রিকশা চালাতে হচ্ছে!

অত্ত মানুষের কেউ একজন ও কিছু বলেনি !
কেউ এগিয়েই আসেনা, উল্টো মুহুর্তে মিছিলের মত ঢল একদম ফাকা। অামি আবার চিনিনা এই শহরের মানুষ আর রাস্তার বৈরীতা!

ইশশ অভিজিৎ রয়কে কুপিয়ে ফেলে রেখে যাবার পর কেউ যদি একটু বলতো, ওদের ধর?
এই হুমজিক্যাল বাঙ্গালীরা একটা দুটো তিনটে করে যেতে যেতে পরিন্থিতিটা এমন ও হতে পারতো, যে ছেলেচা কোনদিন একটি পিপড়ে ও মারেনি সে ও গণ ধোলাইয়ে তুমুল উৎসাহে অংশ গ্রহণ করছে।
একটু অাগের জীবনভিতী একটু সাহসে উৎসবে রুপ নেয় এদেশে।

বাঙ্গালীর মানসিক বিকাশ দরকার!
শুধু অভিজিৎ রয় প্রসঙ্গে নয়।
অাপনি যেদিন সংকটাপন্ন হবেন রাস্তায় সেদিন বুঝবেন মানুষের কি অভাব হাজার হাজারের ভীড়ে!

হুমায়ুন অাজাদ অথবা অভিজিৎ রয়কে অালকায়দা অথবা তালেবান নয় এদেশের বিশ্বাসে যারা ভাইরাস চালান করেছিলো, তাদের মাস্টার মাইন্ডে মুখ থুবড়ে মরতে হয়।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৬:৪২

রানার ব্লগ বলেছেন: এক রাশ হতাশা রেখে গেলাম !!!!

২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:১১

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: বাঙালিরা ভয়ঙ্কর হিংস্র জাতির পরিচয় দিয়েছে অনেক আগে থেকেই, তাই একাত্তরে বাঙালি জাতিরই একটি অংশ রাজাকার/আলবদররা পাক হায়েনাদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বাঙালি নিধনে অংশ নিতে পেরেছে | তবে ইদানিং এরা আরো ভয়ঙ্কর হয়ে গেছে - দেশজুড়ে গুম, অপহরণ, বিডিআর সিপাহী কর্তৃক অফিসার হত্যা, নারায়ণগঞ্জে র্র্যাব কর্তৃক সাত খুন, ব্লগার জবাই, মানুষকে কেটে কেটে টুকরা করে ফেলা, এসব কিছুই একটি জাতির চরম অধঃপতন এবং হিংস্রতার পরিচয়ই বহন করে |

৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: আমার ভাবতে ভালো লাগে- একদিন সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৫১

আখেনাটেন বলেছেন: এটা সাহসী বা ভীতু জাতির ব্যাপার না। এই রকম পরিস্থিতে এগিয়ে গিয়ে সাহায্য করা হচ্ছে 'অলট্রুইজম'। নিজের ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি নিয়ে অন্যকে সাহায্য করা। এটা সকল জাতি, সকল মানুষের ক্ষেত্রেই কঠিন একটি কাজ।

অতি ভ্দ্র জাতি পশ্চিমাদের দেশেও এই অবস্থায় সাহায্যকারীর সংখ্যা পাওয়া দুষ্কর। এটা মানুষের একটি অাচরণগত বৈশিষ্ট্য। তবে এটা ঠিক যে দেশে আইনের শাসন থাকলে এই অলট্রুইস্টিক মানুষের সংখ্যা বেশি হত। সেটা নেই বলেই আমরা নানা কারণে হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকতে বাধ্য হই।

নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর মানুষের সংখ্যা দিনে দিনে কমে যাচ্ছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.