নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা পড়িয়া রয় অবহেলায়, তাহা সমগ্রই আমার কী-প্যাডের, দূর্দান্ত গতি ছড়ায়। যদি কোন অন্ধ/বদ্ধ মনের দ্বার একবার খোলা যায়?\n

আসিফুজ্জামান জিকো

অাইন বিভাগ..

আসিফুজ্জামান জিকো › বিস্তারিত পোস্টঃ

এ তর্কের সময় নয়..

১৯ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১:২৮

মুস্তাফীজ আগের ওভারে দুটো চার খাইলো তখনো স্ক্রীনে বল অার রানের ব্যাবধান শো করার অার্জেন্সি পড়েনি। শেষ ওভার যখন ওর হাতে এলো তখন ১৮ বলে ৩৫ রান দরকার। ব্যাটসম্যান দ্বয় রানের জন্যে মরিয়া, বোঝাই যায় এমন সময় যে কখন ও ছয় হাকায়নি সে ও হয়তো ক্রীস গেইলের সমান দুরত্বের ছয় হাকায় দেয়; ইটস এ সিম্পল ক্যারেক্টার অফ এ গেম। সুতরাং ধরেই নেওয়া যায় অাগের ওভারে দুই চার এবং দুই সিঙ্গেলসে ১০ রান খরুচে মুস্তাফীজ এই ওভারে হয়তো ১০/১৫ রানই দিবে।
বাট ও অামাদের মতই ইন্ডিয়ান দুই ব্যাটারুকে হতাশ করলো পর পর চারটে ডট একটি লেগ বাই এবং একটি সিঙ্গেলে মাত্র ২টি রান দিয়ে।

এটা অাপনার কাছে হয়তো ক্রিকেটীয় সিম্পল ঘটনা, যা হর হামেশা হতে দেখি সব ম্যাচে তাই মনে হবে। অামি বলি এই সব মুহুর্তের সেই সমস্ত বোলারগণ যারা এক দুই রানে দুই চারটে ডট বল করে দেশ ও দলকে পুরোপুরি লক্ষের দিকে টেনে অানে, তারা শুধু তাদের খেলোয়ারী, উপস্থিত বুদ্ধিটাই কাজে লাগায়না। ওসবের সাথে থাকে অদ্ভূৎ এক অনুভূতি, যার নাম অামার জানা নেই, তবে তার স্বাদ অামার খুব পরিচিত, যা চাইলেই সবার থাকেনা, তাতে মিশে থাকে অদম্য শৈমবের স্মৃতিরা।

ফীজের ওভার শেষ হলে বল রইলো (১৮-৬)=১২টি; রান রইলো (৩৫-২)=৩৩টি.. রুবেল এলো বল হাতে, অাশ্বস্ত হলাম, রুবেল এর অাগে তিন ওভার বল করে ২ উইকেট নিয়ে মাত্র ১৩ রান দিয়েছিলো। এবং অামি জানি রুবেলের হাতে চমৎকার গতি মেশানো ইয়োর্কার এবং বডি লাইনে নিচু ও বাউন্সার বল রয়েছে যা থেকে ব্যাটসম্যান শুধু অাত্বরক্ষা মুলক সেইভ করে বলটি ক্রীজেই রেখে দ্রুত একটা রান ই পায়। ডেথ ওভারে টি২০'র অপরিহার্য এক কৌশল, যাতে রুবেল সিদ্ধহস্ত।
রুবেল বোলিং মার্কে যাচ্ছে বল হাতে আর বার বার স্টেডিয়ামের সাইড ক্রীণে নিজেরে দেখছে, বা হাতে চুল ঠিক ঠাক করে নিলো, ঘুরে দাড়ালো, দৌড় শুরুর অাগে রুবেল হোসেন ছোট্ট একটা খোট দিয়ে একটু নিচু হয়ে তারপর দৌড় শুরু করে, খোট দিয়ে দৌড় শুরুর অাগে রুবেল হোসেন শেষ বারের মতন স্ক্রীণ জোড়া নিজেকে কেমন লাগছে চোরা চোখে দেখে নিলো, ঠোটে ইষৎ হাসি...

অামার খটকা লাগলো, ঠিক এইসব মুহুর্তে বা একজন বোলারের বলিং মোমেন্টে বোলারের চোখ চুম্বকের মত ক্রীজ, ব্যাটসম্যানের ব্যাট ঠোকা এবং দেহের গতি প্রকৃতি শেষে ফিল্ডের পজিশনে অাটকে থাকে, এর অাগের ওভার গুলোতে ও রুবেলের এ্যাটেনশন ছিলো বোলিং এ; মুহুর্তেই তারে পেয়ে বসলো জনতার সামনে হিরো হবার সেই পুরোনো লোভে, ফলশ্রুতিতে অামাদের রুবেল হোসেন ৬টি বলের একটি ও ইয়োর্কার, বাউন্সার বা বডিলাইনের সেই রান চেকিং বল ডেলিভারি করার কথা একদমই ভুলে বসে থাকলো। যা অান্দাজ করলাম সেরকমই হচ্ছিলো, সৌম্যের মত ইরিগুলার স্লো বৈচিত্রহীন বোলারের বলে যেখানে ভাগ্যক্রমে বাউন্ডারী আসে, সেখানে রুবেল হোমেনের মত দূর্দান্ত গতিওয়ালার বল টেনে টেনে বিরাট বিরাট দূটি ছক্কা দুই চার হাকিয়ে ২২ রান নিয়ে যায়!

এখানেই পার্থক্য, অনুভুতিতে গড়মিল, ইচ্ছাশক্তির সাথে মেশেনি সেই মুহুর্তের করনীয় ছোটখাট পরিবর্তন। বরং আগের বলটি হাকালে পরের বলটি ও সেই একই লাইনে অারো গতি বাড়িয়ে ডেলিভারী করে অামাদের রুবেল সহ বাকি অন্যান্য সেসব অাছেন যারা।

রুবেলের দোষ অামি দিতে অাসিনি, আবার রুবেল কে ডিফেণ্ড ও করতে পারবেন না কেউ। কারন হলো, ওউ সব মুহুর্তের রুবেল হোসেন যদি কোন একদিন ভালো করে থাকেন, সেইটা হঠাৎ করেই হয়েছিলো বলতে হবে। কারন ধারাবাহিক ভাবে রুবেল হোসেনরা আজকের মতই সব হিসেব নিকেশ পাল্টে দেয় কোন অাত্বঘাতী গোল দাতারর মতই..

গোলের জন্যে মনে পড়লো ফুটবলের কথা।
দেখবেন কেউ গোল করে হাইলাইটস হতে অাবার কেউ কেউ গোল করে, গোল করায় দেশ, দলকে টিকিয়ে রাখতে। এক্ষেত্রে লক্ষ্যণীয় শো ডাউনার গুলা হুটহাট অনেনেক গোল পেলে ও গোল পায়না যখন দলের অন্তুিম সময়। অাবার মুস্তাফীজ বা মাশশরাফীরা ত্রাণ কর্তা হয়ে গেলে ও দল মুখ থুবড়ে পড়ে থাকে রুবেল হোসেন বা সমমনা অনেক এ্যাটেনশন সীকারদের জন্যে।

অামি বলবোনা জয় অথবা পরাজয়ে ওদের ভালো অথবা খারাপ লাগেনা তা কিন্তু নয়।
অামি বলবো দলে জায়গা পেতে যদি যোগ্যতার সর্বোচ্চ পরিক্ষা দিয়ে কাঠখড় পুড়িয়ে অন্তর্গত করা হয়, তবেই দলে টিকে থাকার জন্যে হলে ও অনেকেই দক্ষতার সাথে অনূভূতি মিশিয়ে খেলতে অারম্ভ করবে।

ইচ্ছাটি নিজের ভিতর জন্মায়, কেউ বললে অাসলে তা অাসেনা ভিতরে। খেলার মাঠের সত্যিই চৌকস গুলো ভিড়ুক বাংলাদেশ ক্রীকেট দলে, কোন ২+২ এ চার মিলিয়ে এ প্লাস পেলো যারা তারা নয়।

খেলা হচ্ছে শর্তহীন নিবিড় এক সমর্থন।
যা ভীষণ একরোখা জেদি এক ভালোবাসা ও বলা যায়।
অামি জানি তবু ও বলি খেলা ভীষণ পচা!
খুব সত্যিটা যদি মতবিরুদ্ধ হয়, তবে চারপাশে শুধুই হেটার, নিন্দুক বাড়তে থাকে; চরাচরে ভীষণ অনীহা জন্মায়...

সব ছাপিয়ে এটা বাঙ্গালীর দোষারোপের সময় নয়।
এটি একটি ইঙ্গিত, ২০১৫ সালের মত ১৮ সালটা ও অসম্ভব গুলো সম্ভব করে করে বাংলাটীম অাবারো অনন্যানুভূতি দেবে ঘরমুখো ক্লান্ত শ্রান্ত জাতির অনেক কালচে সন্ধ্যায়...

#RiseOfTheTiger

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


ব্যাখ্যাটা সঠিক। রুবেল মনযোগ দিয়ে প্ল্যানিং করেনি

২| ১৯ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: ঠিক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.