নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা পড়িয়া রয় অবহেলায়, তাহা সমগ্রই আমার কী-প্যাডের, দূর্দান্ত গতি ছড়ায়। যদি কোন অন্ধ/বদ্ধ মনের দ্বার একবার খোলা যায়?\n

আসিফুজ্জামান জিকো

অাইন বিভাগ..

আসিফুজ্জামান জিকো › বিস্তারিত পোস্টঃ

লিওনেল মেসির জন্যে অারেকটু বাধা হয়ে দাড়ালো রোমেরোহীন অার্জেন্টিনার রাশিয়া বিশ্বকাপ মিশন: তবু লিওর জন্যে অসম্ভব ভাবতে পারিনা, বিশ্বাসে জিতে যাক ছেলেটা, বিশ্বাসের জয় হোক...

২৪ শে মে, ২০১৮ ভোর ৫:৪৭






২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনালে হারলো অার্জেন্টিনা, যদি না হারতো মেসির সাথে সার্জিও রোমেরোর হার না মানা মনোভাব'ই সবার মনে থাকতো।

লিও মেসিকে এবার শতভাগ চাপ নিয়ে খেলতে হবে।এই দোষ মেসির। ওর ক্লাব এবং জাতীয় দল যে দুটো জায়গায় ও খেলে সবার অভ্যেস হয়ে যায়, সবাই যেনো একটু রিলাক্সড থাকে, ধুরর মেসি তো অাছেই, স্কোর করে জেতাবেই, নয়তো দারুন পাস করবে অামরা শুধু কফিনে পেরেক ঠোকার মত গোল করবো; চিন্তা কি?

ওদের মনেই থাকেনা প্রতিপক্ষ্য টীমের কোচেরা হাজার হাজার বার নিয়ম করে লিও মেসির খেলা দেখে দেখে কোথায় কিভাবে অাটকাতে হবে তার জন্য দুজন জাদরেলকে সানিয়ে যাচ্ছে।

সবাই দেখে খেলা হয় অার্জেন্টিনা/বার্সেলোনা ভার্সেস অমুক দলের। বিপক্ষ দলের কোচ আর প্লেয়ারেরাই শুধু জানে খেলাটা হয় লিও মেসিকে অাটকে রাখা ভার্সেস অামরা!

শুধু লিও কোন মুখস্থ গতানুগতিক খেলোয়ারের মতত নয় বলেই দুদলের মাঝে মাঝে রক্ষে হয়। লিও কিচ্ছু মানেনা দুজন, চারজন, ছ'জন দলের প্রয়োজনে সবকিছু ছাপিয়ে মাঠে শৈশবের অদম্যপনা নামায়।
কে কি করবে তার জন্যে অপেক্ষা নয়, ছোট্টবেলার লা মাসিয়া থেকে বার্সার কিশোর একাদশের সতীর্থেরা মাঠের যে কোন একটি প্রান্তে লিও মেসিকে বলটি পাস করেই হেসে হেসে দৌড় বাদ দিয়ে শুধু দেখে যেতো সাপের মত একেবেকে কোথা থেকে কোথায় সবাইকে টেনে নিয়ে ঠিকই বলটি কারো পায়ের ফাক গলিয়ে বের করে দেহটিকে টানা হ্যাচড়া থেকে কোনরকম বাচিয়ে ও গোল করে দুটি হাত উচিয়ে অাকাশের দিকে তাকিয়ে হাসিমুখে ফিরে অাসছে।
প্রতিপক্ষের সবাই অবাক হয়ে অভূতপূর্ব ক্ষমতাবান এই সমবয়সীর হেটে ফিরে যাওয়া দেখছে, কিছুটা দুঃখ এবং অনেকটা ভালোবাসায়। কি অদ্ভুত ভালো খেলতে পারে ছেলেটা, হোক সে অামার প্রতিপক্ষ, ওর জন্যেই হেরে যাবে চলমান ম্যাচটি তা সত্বেও ওদের চোখে ভালোবাসার বিচ্ছুরণ কমেনা একফোটা..

বড় হতে হতে পেশাদারিত্ব চলে যখন অাসে তখন অনেক দায়িত্ব, জবাবদিহিতা, সতীর্থের মনরক্ষা, দলকে টেনে তোলার চাপ এবং নিজের পা বাচিয়ে রেখে দলের হয়ে পরবর্তী ম্যাচ খেলতে ইদানীং লিও কে অনেক অনেক বল এখন গোলের খুব কাছ থেকে অন্যদের পাস করতে দেখি। অথচ যে ছেলের অভ্যেস হচ্ছে মাঠের ঠিক মধ্যে থেকে টেনে একাই জালে জড়িয়ে ফিরে অাসা। তিন-চারটে মৌসুম হয়েছে লিও স্বমহিমায় খেলার চেয়ে প্রাধান্য দিচ্ছে দলের হয়ে কোচ নির্দেশিত উপায়ে খেলে কিছু করার। তাতে কখনো ভালো ফল অাসলে ও মাঝে মাঝে লিও স্বমহিমায় চলে অাসে যখন বার বার সুযোগ তৈরী করে দিলে ও কেউ যখন পারছেনা, ঠিক তখনই। মাঝে মাঝে সামান্যের জন্যে উভয় প্রকার চেষ্টাতে ও ফলাফল অাসেনা। যেটা খেলার অনন্য এক বৈশিষ্ট, কিছুটা অদৃষ্ট ও বলা যায়, যার খণ্ডণ করা যায়না বোধহয়।

লিও মেসি এই বিশ্বকাপে অাবারো ২০০৮/৯/১০/১১/১২/১৩/১৪ 'র মত একক, ক্ষীপ্র এবং স্বাধীন খেলবে। অার এমন হলে রাশিয়া বিশ্বকাপ ২০১৮ হয়ে যেতে পারে ভীষণ একতরফা। যদি ওর পা ঠিক ঠাক থাকে বিপক্ষের ইচ্ছা-অনিচ্ছার বাজে ট্যাকল গুলোতে। লিও না চাইলে ও ওর একাই খেলতে হবে, স্কোর করতে হবে, বল তৈরী করে দিতে হবে প্রয়োজনে প্রতিপক্ষের কাছ থেকে বল কেড়ে একটু পিছিয়ে পড়া দলকে মাঠের মধ্যে অাবারো ছন্দে ফেরাতে হবে। এইতো অার্জেন্টিনার বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের শেষ ম্যাাচে পেরুর সাথে না জিতলে বিশ্বকাপ ২০১৮ খেলতে পারবেনা অার্জেন্টিনা, সেই ম্যাচে মাঠের ১১ জনের ভিতর দল অার দেশের জন্যে একমাত্র লিও মেসিকেই পাওয়া গেলো। তার উপর এই চাপের মধ্যে খেলা শুরুর চল্লিশ সেকেণ্ডেই অার্জেন্টাইনেরা গোল হজম করে বসলো, বাকি উননব্বই মিনিটে লিও মেসিই তিন-তিনটে গোল করার পর বারবার ওরা উচ্চারণ করলো, Leo Messi Saves Argentina Again.
How Many times He saves His country?
Oh Leo, Impossible Nothing For You.
Go Russia And Win This Title Please Leo..

সার্জিও রোমেরোকে মিস করবে লিও মেসি ভীষণ,
ওর অভাবে মনে মনে একটু ভয় অার চাপ বাড়বে বুকে। ও সময়ের সেরা কোন গোলকীপার নয়। তবে লিও মেসির অার্জেন্টিনার জন্যে সার্জিও রোমেরোকে নিশ্ছিদ্র প্রহরীর মত অসম্ভব হতে দেখেছি।
সার্জিও রোমেরোকে মেসির মত মিস কেউ করবেনা।

ফুটবল একজনের খেলা নয়। নব্বই মিনিট জীবনের দম বাজি রেখে দৌড়ে যায় দুই দলের ২২ জন, তাই অন্ধের মত কোন দল অথবা সুনিদৃষ্ট কোন খেলোয়ারের ভাগ্য নিয়ে কিছু বলা যায়না কখনোই।

তবু ও লিও মেসি এমন ফুটবল খেলে খেলে অামাদের অবাস্তব কোন চিন্তাকে বিশ্বাসের সর্বোচ্চ স্তরে পৌছে দিয়েছে যে, অামরা ভাবতেই পারিনা লিও মেসির বিপক্ষ কোন দল অার কারা, অামাদের নিরপেক্ষ ফুটবল মন বলে লিও খেললে তারে কেউ হারাতে পারবেনা। তবুও অনেক অনেক ম্যাচ পরে হঠাৎ খেলার স্বভাবসুলতায় হারতে হয়। তাতে দুঃখ লাগেনা, লিও তো হারেনা, শুধু বারবার ভাবি, এই বিশ্বকাপের পাচটি ম্যাচের একটি ও না হারুক লিও মেসি অথবা অার্জেন্টিনা।

অারেকবার ১৮-১৯ বছরের ঝাকড়া চুলো লিও মেসি নামবে মাঠে; ছিন্নভিন্ন করা সেই মেসিকে চাই, সেই মেসি...

We Will Miss You #Romero_1
Win This Title #Leo #WC_2018
#Putins_Land



মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মে, ২০১৮ ভোর ৬:৫০

মাহফুজ বলেছেন: Romeror onuposthiti vabnay fele diyeche.

২| ২৪ শে মে, ২০১৮ সকাল ৮:০২

আকিব হাসান জাভেদ বলেছেন: কষ্ট পাইলাম ভিষন, রোমোরো আর মেসি দুজনের নামটাই মনে আটকে আছে । রোমেরোহীন মেসি কিছুটা সমস্যা হলেও মেসি ঝলক তো থাকবে্ই আগের মতো । মেসি মেসি মেসি আর আর্জেনটিনা। আর ভাবছি না কিছু।

৩| ২৪ শে মে, ২০১৮ সকাল ৮:২৮

শিমুল_মাহমুদ বলেছেন: বাছাই পর্বের মত মুল পর্বও আর্জেন্টিনার জন্য খুবই কঠিন হবে। সবাই তাকিয়ে মেসির দিকে দেখা যাক ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে মেসি আর্জেটিনাকে বের করে আনতে পারেন কিনা? সুন্দর উপস্থাপনা।

৪| ২৪ শে মে, ২০১৮ সকাল ৯:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: আর্জেন্টিনা ফাইনালে যেতে না পারলে খুব মন খারাপ হবে।

৫| ২৪ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:০৯

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আর্জেন্টিনার জন্য শুভ কামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.