নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সঙ্কোচ নয়,প্রয়োজন সচেতনতার

জুলিয়া সুলতানা ছোঁয়া

blogger

জুলিয়া সুলতানা ছোঁয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

সেই রাত্রি।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:২৭

মেয়েটিকে ছেলেটির কোনো এক শপিং মলে দেখেই ভালো লেগে যায়।তারপর থেকেই ছেলেটি শুধু ওই মেয়েটির পিছেই ঘুরে বেড়ায়।ছেলেটির মা-বাবা কে সে জানায় যে ওই মেয়েকে সে যে করে হোক বিয়ে করবে।খুব বেশি দিন সময় লাগেনি,ছেলেটি অবশেষে মেয়েটিকে পেয়েছিলো এবং তাও গার্জিয়ান দের অনুমুতি তেই।
আসলো সেই শুভ দিন।তাদের বিয়ে হলো।সংসার খুব সুখেই কাটাচ্ছিলো।তাদের ঘরে দুটো ফুটফুটে বাচ্চাও হয়ে ছিলো।একটা মেয়ে আর একটা ছেলে।
কিন্তু মেয়েটি বড়ই অভাগা,কারণ স্বামীর সুখ তার কপালে সয়নি।সেই স্বামী যে কিনা,তার জন্যে পাগল ছিলো, আজ সে অন্য মেয়ের জন্যে পাগল।মেয়ে বলতে সেলিব্রিটি কোনো এক মেয়ের জন্যে পাগল।ওই মেয়েকে এখন তার চাই।কিন্তু এত বড় গায়িকাকে(মিলা) সে কি করে পাবে।!তার পরিবার,তার বউ তা বোঝাতে লাগলো।তাকে যতই বোঝানো হচ্ছে,সে ততই ওই গায়িকার দিকে অগ্রসর হচ্ছে।এক পর্যায়ে সেই স্বপ্ননের গায়িকাকে না পেয়ে ছেলেটি আত্ম্যহত্যা করলো।
ছেলেটি একবার ও ভাবলো না,তার বউ আর সন্তান্দের কি হবে।ও ছাড়া যে এই তিনটা প্রাণী অচল।যাই হোক,ছেলেটি মরে যাওয়ার পর ওর বউ সেই মেয়েটি অনেক ভেঙে পড়েছিলো।শ্বশুর বাড়ি কখনও, কখনো বা বাবার বাড়ি করে দিন কাটে মেয়েটির।পরে সেই মেয়েটি ঠিক করে সন্তানদের নিয়ে সে শ্বশুর বাড়ির গ্রামে থাকবে।মেয়েটি গ্রামের ওই বাড়িতে যায়,ওখানেই বসবাস শুরু করে।কিন্তু "অভাগা যেখানে যায়,সেখানেরই জল শুকায়"-বলে একটা প্রবাদ আছে না!মেয়েটির অবস্থাও সেই একই রকম।
কারণ টা বলছি-গ্রামেও মেয়েটির শান্তি মেলেনি।আজ ওই বাড়ির ছেলেটি পথ আটকায়,তো কাল ওই বাড়ির বুড়ো বিয়ের প্রস্তাব দেয়।মেয়েটি তার শ্বশুর বাড়ির লোকদের সব জানাল, তারা গ্রামের বাড়িতে যায়,যেই বাড়িতে মেয়েটি এখন থাকে।মেয়েটি এখন বুঝতে পারে যে সে শ্বশুরবাড়ির লোকদের জানিয়ে কি ভুল করেছে।এখন তারাও মেয়েটিকে জোর করেই বিয়ে দিতে চায়।মেয়েটি কি করবে বুঝতে পারে না।একদিন রাতে মেয়েটিকে ছেলে পক্ষ দেখতে আসে,মেয়েটির ইচ্ছার বিরুদ্ধেই এংগেজমেন্ট হয়।বিয়েও দিন ও ধার্য করা হয়।মেয়েটি খুব সাহস নিয়ে বিয়ের দিন রাতেই ওই গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে আসে দুই সন্তানকে নিয়ে মা-বাবার বাড়িতে।
জানিনা মেয়েটি এখন কেমন আছে,সেই লঞ্চে বসে পরিচয়। -এভাবেই বললেন আমার মামা।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০৫

SRH Robin বলেছেন: ঘটনা কি সত্যি? আমার কাছে কেমন কাল্পনিক ঠেকছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.