নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

The best and most beautiful things in the world cannot be seen or even touched - they must be felt with the heart---Helen Keller

জুন

ইবনে বতুতার ব্লগ

জুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাটসেপসুটস - প্রাচীন মিশরের ইতিহাস থেকে হারিয়ে যাওয়া এক রানী

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৯



রানী হাটসেপসুটস



সাত হাজার বছরের প্রাচীন সভ্যতার দেশ মিশর ভ্রমন আমার সারা জীবনের একটি স্বপ্ন ছিল। ছোট বেলা থেকেই বিভিন্ন বইতে পড়া সেই নীল নদ, প্রাচীন সপ্তাশ্চর্য্যের মধ্যে দুনিয়ার বুকে আজ পর্যন্ত টিকে থাকা সেই রহস্যময় পিরামিড, যার ভেতরে ফারাওদের মমি আর তাদের অভিশাপ নিয়ে কত জল্পনা-কল্পনার ডানা মেলা কাহিনী, বিখ্যাত ফারাও র‌্যামেসিস, আমেনহোটেপ, টুটেনখামুন এর বৈচিত্রময় জীবন, সেই দেশ যেখানে আজ তক সারা বিশ্বে আদর্শ বিশ্বসুন্দরীর প্রতীক হিসেবে চিন্হিত রানী ক্লিওপেট্রা।রোমান সেনাপতি মার্ক এন্টনীর সাথে উন্মাদনাময় জগৎবিখ্যাত কিন্ত ইতিহাস কুখ্যাত তার প্রেমকাহিনী। এছাড়াও আছে সেই প্রাচীন মিশরীয় দেব-দেবীদের নিয়ে কত পৌরানিক উপাখ্যান, কত ঐতিহাসিক কাহিনী পরতে পরতে জলের আখরে লেখা রয়েছে বুরুন্ডি থেকে আনুমানিক ৬,৬৯৫ কিলোমিটার পথ দুরন্ত বেগে পাড়ি দিয়ে আসা নদ নীলের বুকে , তার খবর আমরা কজনই বা রাখি!



আজ আর কারো গল্প নয়, আজ আমার এই কাহিনী শুধু একজনকে ঘিরেই আবর্তিত। তিনি হলেন অনেকের চেনা না চেনা, ইতিহাসে হারিয়ে যাওয়া এক রানী, নাম তার হাটসেপসুটস



ছবিতে আঁকা হারিয়ে যাওয়া রানী হাটসেপসুট



প্রাচীন মিশরের ইতিহাসে ফারাওদের রাজত্বকালগুলো বিভিন্ন রাজবংশের

শাসনে ভাগ করা। সে ইতিহাসের আঠারোতম রাজবংশের বিখ্যাত রাজা

ছিলেন প্রথম টুথমিস । খৃষ্টপুর্ব ১৫০৮ অব্দে তার ঔরষে প্রধান মহিষী আহমেস এর কোল আলো করে পৃথিবীতে আসেন তাদের কন্যা হাটসেপসুটস।দুই ছেলে দুই মেয়ের মধ্যে সবচেয়ে বুদ্ধিমতী এই কন্যাটি ছিল রাজার সবচেয়ে প্রিয়।রাজমহিষী আহমেসের গর্ভজাত দুই ছেলে যারা টুথমিসের রাজ্য পরিচালনায় সহায়তা করতেন তারা দুজনই রাজার জীবিত অবস্থায় অল্প বয়সে মারা যায়।ফলে ভগ্নস্বাস্থ্য টুথমিস রাজকাজে সাহায্যের জন্য তার প্রিয় কন্যা হাটসেপসুটসকে বেছে নেন। তিনি মনে প্রানে চাইতেন তার এই বুদ্ধিমতী কন্যাটি দেশের হাল ধরুক।কিন্ত সে সময় মিশরে নিয়ম ছিল কোন মহিলা এককভাবে সিংহাসনে বসতে পারবে না, যা আমরা পরবর্তীতে রানী ক্লিওপেট্রার সময়ও দেখেছি।



রাজা প্রথম টুথমিস

ফলে রাজা প্রথম টুথমিস তার রাজত্বের প্রায় শেষ দিকেএসে তার রক্ষিতা মূটনেফার্টের গর্ভজাত ২১ বছর বয়সী পুত্র ২য় টুথমিসের হাতে চব্বিশ বছর বয়সী কন্যা হাটসেপসুটসকে সম্প্রদান করতে বাধ্য হন। সাধারন রমনীর ঘরে জন্ম নেয়া ২য় টুথমিসেরও এছাড়া আর কোনভাবেই সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হওয়া সম্ভব ছিলনা। এর ফলে কন্যা হাটসেপসুটের রানী হওয়া যেমন নিশ্চিত হলো সেই সাথে নীলরক্তবিহীন দ্বীতিয় টুথমিসও সিংহাসনে বসার অধিকারী হলো। এর দশ সপ্তাহ পরে রাজা মারা গেলে দ্বীতিয় টুথমিস তার তার তিন বছরের বড় সৎ বোন তথা স্ত্রী হাটসেপসুটের সাথে যৌথ ভাবে মিশরের সিংহাসনে আরোহন করেন।



দ্বীতিয় টুথমিস

শারিরীক ভাবে পিতার চেয়েও লম্বা চওড়া হলে কি হবে প্রকৃতিগতভাবে ২য় টুথমিস ছিল মেয়েলী স্বভাব এবং দুর্বল চিত্তের অধিকারী।যোগ্যতা বলতে উল্লেখ করার মত তার কিছুই ছিলনা।ফলে সমস্ত রাজকীয় দায়িত্ব আর প্রশাসনিক কাজকর্মের সর্বময় কর্তৃত্ব ছিল তার সৎ বোন ও দৃঢ়মনা স্ত্রী হাটসেপসুটের হাতে ।দু একটি ছোট খাটো বিদ্রোহ দমন করা ছাড়া রাজা ২য় টুথমিস তার সুদীর্ঘ যৌথশাসন কালে বড় কোনও যুদ্ধে নেতৃত্ব দেননি যা ছিল সে সময় ফারাওদের জন্য এক ব্যাতিক্রমী ঘটনা।



দেবী হাথরের সাথে হাটসেপসুটের এই একটি ছবি যা ধ্বংসলীলার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে

রানী হাটসেপসুট আর দ্বীতিয় টুথমিসের মধ্যে সম্পর্ক খুব একটা ভালো ছিল না।ক্ষমতার লড়াই নিয়ে তাদের মধ্যে প্রবল প্রতিযোগীতা আর দ্বন্ধের কথা বিভিন্ন ঐতিহাসিকরা উল্লেখ করেছেন। প্রজ্ঞাবান রাজনীতিবিদ এবং কুশলী রাস্ট্রনায়কোচিত চরিত্রের অধিকারী স্ত্রী হাটসেপসুটকে স্বামী ২য় টুথমিস মনে প্রানে অপছন্দ করতেন। এদিকে হাটসেপসুটসও সবসময় বলতেন তার পিতার ইচ্ছা ছিল তার মৃত্যুর পর সেই হবে সিংহাসনের একমাত্র অধিকারী। হাটসেপসুটের বুদ্ধিমত্তা আর কৌশলের কাছে বয়সে ছোট ২য় টুথমিস অনেক পেছনে পরে থাকতেন।শারিরীক সামর্থেও হাটসেপসুট অনেক শক্তিশালী ছিলেন। এটা বলা হয় এ কারনে যে একবার তিনি একটি রাজকীয় উৎসবের অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত ক্রীড়া প্রতিযোগীতায় অংশ নিয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন ।

২য় টুথমিস এর এই দুর্বল চরিত্র অনেকেরই পছন্দ ছিলনা বলে মনে করা হয়। এ ধারনা করার কারন হল সে সময় একবার রাজ্যের প্রধান অমাত্যরা তার বিরুদ্ধে একটি সামরিক অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্র করেছিল।



লুক্সরে হাটসেপসুট নির্মিত মন্দিরের একটি চিত্রকলা



রাজত্বের সতেরতম বছরে রানী হাটসেপসুট নিজেকে মিশরের প্রকৃত শাসক প্রচার করার জন্য সেড নামে এক বিশাল জাকজমকপুর্ন রাজকীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। এই অনুষ্ঠানের পর তাদের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে এক সমঝোতা হলো যে তাদের ভবিষ্যত পুত্রই হবে মিশরের পরবর্তী ফারাও।কিন্ত দুর্ভাগ্যবশত তাদের ঘরে পুত্র সন্তানের বদলে দুটি কন্যা সন্তান জন্ম লাভ করে। একটি মেয়ের নাম ছিল নেফেরুরে যার অর্থ সৌন্দর্য্যময় সূর্যদেবতা। এতে সব পুরুষের মত ২য় টুথমিসেরও সকল বাৎসল্যরস ধাবিত হয় সাধারন ঘরে জন্ম নেয়া তার ২য় স্ত্রীর গর্ভজাত পুত্র মেনখেপরের প্রতি।যে কি না খুব অল্প বয়সেই কার্নাকের আমন রা এর মন্দিরের একজন পুরোহিত হিসেবে নিযুক্ত হন ।



চৌদ্দ বছর হাটসেপসুটের সাথে যৌথ রাজত্ব পরিচালনার পর দুর্বল স্বাস্থ্যের অধিকারী তিরিশ বছর বয়সী রাজা দ্বীতিয় টুথমিস ১৪৭৯ অব্দে মৃত্যুবরন করেন।রাজাদের উপত্যকায় তার বাবার কবরের কাছেই গোপনে তাকে সমাধিস্থ করা হয়।



লুক্সরে ফারাওদের শেষ আশ্রয়স্থল রাজাদের উপত্যকা



২য় টুথমিসের মৃত্যুর পেছনে হাটসেপসুটস এর হাত আছে বলেও অনেকে সন্দেহ করে থাকে। টুথমিস ২য় চেয়েছিল তার প্রিয় পুত্র মেনখেপরকে এককভাবে সিংহাসনে অধিষ্ঠিত করতে। এজন্য তিনি কার্নাকের মন্দিরের পুরোহিতদেরও এই ষড়যন্ত্রে কাজে লাগিয়েছিলেন বলে শোনা যায়।এটা রানী ও তার প্রিয়ভাজনদের মনে রোষের সৃষ্টি করে।

যেভাবেই দ্বিতীয় টুথমিস মারা যাক ৩৭ বছর বয়সী রানীর সাথে রাজত্ব পরিচালনার একমাত্র দাবীদার ছিল এই মেনখেপরে। কুশলী হাটসেপসুট চিন্তা করলেন তিনি যদি তার মৃত স্বামীর নয় বছরের এই নাবালক পুত্রের সাথে কন্যা নেফেরুরের বিয়ে দেন তবে তার নিজের সিংহাসন নিশ্চিত থাকলো। এমন অল্প বয়সী মেয়ের জামাই উপর খবরদারি করা তার জন্য সহজ হবে।এই চিন্তার ফসলই হলো মেনখেপরের সাথে তার প্রিয় কন্যার বিয়ে।



রাজা তৃতীয় টুথমিস

মেনখেপরে তৃতীয় টুথমিস নাম নিয়ে তার সৎ মা অর্থাৎ ফুফু তথা শাশুড়ির সাথে যৌথ ভাবে রাজ্য পরিচালনায় সহভাগী হলেন। বুদ্ধিমতী রানী হাটসেপসুট অত্যন্ত চতুরতার সাথে নয় বছর বয়সী তৃতীয় টুথমিসকে জনগনের সামনে রেখে নিজে আড়ালে থেকে শক্ত হাতে সাম্রাজ্য পরিচালনা করতে লাগলেন।৩য় টুথমিস যখন আস্তে আস্তে একটু বড় হয়ে উঠতে লাগলো তখন রানীর এই কর্তৃত্বপরায়নতা তাকে বিক্ষুদ্ধ করে তুলতে লাগলো।

এদিকে হাটসেপসুট রানী হলেও যে সে একজন মহিলা এটা তাকে সব সময় স্মরণে রাখতে হতো। বিভিন্ন ধরনের আকস্মিক বাধা আর প্রতিকুলতা মোকাবেলার জন্য তিনি সবসময় তৈরী থাকতেন।তার আরেকটি আশংকা ছিল জেদী এবং প্রতিহিংসাপরায়ন ভাতিজার অতর্কিত বিদ্রোহের সন্মুখীন হওয়া।আর এসব প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করার জন্য তিনি গ্রহন করেছিলেন নানারকম কূটকৌশল আর প্রচারনার।

এর একটি ছিল জনগন যাতে মহিলা হিসেবে তাকে দেখে যেন কোনভাবেই অসন্তষ্ট না হয় তার জন্য সে তাদের সামনে আসতো পুরুষের পোশাক পরে। এমনকি সে নকল দাড়িও ব্যবহার করতো। তার বেশিরভাগ মুর্তি ছিল পুরুষের পোশাক আর নকল দাড়ি লাগানো। সেগুলো দেখে মনে হয় তার শারিরীক গঠনও ছিল অনেকটা অল্প বয়স্ক পুরুষের মত।



পুরুষের বেশে রানী হাটসেপসুট



ইতিহাস থেকে দেখা যাচ্ছে হাটসেপসুটসের দীর্ঘ চব্বিশ বছর রাজত্বকালে কখনোই তিনি এককভাবে সাম্রাজ্য পরিচালনা করার সুযোগ পাননি ।তিন তিনবারই তাকে প্রথমে তার বাবা, পরে স্বামী এবং সবশেষে ভাইয়ের ছেলের তথা সৎ ছেলের সাথে যৌথ ভাবে রাজ্য পরিচালনা করতে হয়েছে। বাবার সাথে কয়েকমাস রাজত্ব করলেও তিনি স্বামী তথা সৎ ভাই ২য় টুথমিস এর সময়ের পুরোটা এবং ৩য় টুথমিসের রাজত্বকালের কিছু অংশ জুড়ে সর্বময় কর্ত্রী হিসেবে দোর্দন্ডপ্রতাপের সাথে রাজ্য পরিচালনা করেছিলেন।



দের এল বাহারীর মন্দিরের গায়ে আঁকা চিত্র



রানী হাটসেপসুট স্বয়ং নুবিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা করেন।এ ছাড়াও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন দেশের সাথে ব্যাবসা বানিজ্যর উপরও জোর দিয়েছিলেন।এ উদ্দেশ্যে তিনি পান্ট অর্থাৎ বর্তমান সোমালিয়া পর্যন্ত গিয়েছিলেন।সেখান থেকে তিনি আটটি জাহাজ ভরে মুল্যবান হাতির দাত, পশু, মশল্লা মুল্যবান ধাতু যেমন সোনা ছাড়াও মিশরীয়দের প্রিয় সুগন্ধী গাছ নিয়ে এসেছিলেন।সে যুগে নারী হিসেবে তার এই সুদুর প্রসারী চিন্তা ভাবনা দেশের অর্থনীতিতে প্রবল উন্নতির জোয়ার নিয়ে এসেছিল, তার প্রজারাও যুদ্ধ বিগ্রহ না থাকায় সুখে শান্তিতে ছিল।





দের এল বাহারি মন্দিরের গায়ে আঁকা চিত্রকলা

এই অগাধ সম্পদের বেশিরভাগটাই রানী হাটসেপসুট ব্যাবহার করেন তার রাজত্বের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সৌধ নির্মানে।তার মত এত সৌধ সে সময় আর কোন রানীর আমলে দেখা যায় নি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো নীল নদের অপর তীরে থিবসের এক পাহাড়ের ঢালে দের এল বাহারীর মন্দির।



গেটের কাছ থেকে তোলা হাটসেপসুট নির্মিত বিখ্যাত দের এল বাহারির মন্দির

বিশাল জায়গা জুড়ে তিন স্তর বিশিষ্ট অপুর্ব সুন্দর এই মন্দির যা নান্দনিকতায় একমাত্র গ্রীসের পার্থেননের মন্দিরের সাথেই তুলনীয়। রানীর প্রিয়ভাজন, প্রধান অমাত্য সেনমাটের করা নকশায় তৈরী এই মন্দির দেখতে হাজার হাজার পর্যটক প্রতিদিন ভীড় জমায় । মন্দিরটি উৎসর্গ করা হয়েছে প্রধানত দেবতা আমন রা এবং হাথরের উদ্দেশ্যে যাদের হাটসেপসুট তার পিতা মাতা বলে মনে করতেন। এই মন্দিরের কিছুটা অংশ তিনি দেবতা আনুবিসকেও উৎসর্গ করে ছিলেন।



এগিয়ে যাচ্ছি তিন ধাপে তৈরী মন্দিরের দিকে



আমরা রাতের ট্রেনে কায়রো থেকে রওয়ানা দিয়ে ভোরে পৌছাই লুক্সর। গাইড আমাদের ষ্টেশন থেকে পিক আপ করে নিয়ে গেল প্রথমেই বিলাশবহুল প্রমোদতরী এটনে।শীততাপ নিয়ন্ত্রিত রুম থেকে ফ্রেশ হয়ে আগুনে ঝাপ দিয়ে আরো বিদেশী পর্যটকদের সাথে রওনা হোলাম কার্নাকের মন্দির আর কিংস আর কুইনস ভ্যালী দেখতে সাথে বিখ্যাত দের এল বাহারির মন্দির। যেতে যেতে গাইডের মুখে শুনছিলাম হাটসেপসুটের কাহিনী। কি ভাবে এই কঠিন নামটা মনে রাখতে হবে তাও বুঝিয়ে দিচ্ছিল সে।





ডান দিকে আমাদের গাইড মন্দিরে প্রবেশের আগে বুঝিয়ে দিচ্ছে সব

পাহাড়ের ঢালে গড়া দের এল বাহারির মন্দির যার চারিদিক লোহিত বর্নের বালুরাশি থেকে আগুনের হল্কা উঠে আসছে। রোদে পুড়ে ছাই হয়ে আমাদের মত অসংখ্য পর্যটক ঘুরে ঘুরে দেখছে এর সৌন্দর্য্য। রানীর প্রেমিক সেনমাটের নকশায় অসাধারন নৈপুন্যে তৈরী সেই মন্দিরের দেয়ালে দেয়ালে আঁকা সব ছবি আমাদের আশ্চর্য্য করে দিচ্ছিল। গাইড বলে চলেছিল কি কি আছে এতে নাহলে হয়তো অনেক কিছুই আমাদের দেখার বাইরে বা বোঝা সম্ভব হতো না।

উঠে আসলাম তিনতালা ধাপ বিশিষ্ট সেই অপরূপ সৃষ্টিশৈলিতে নির্মিত মন্দিরের একেবারে উপরে যেখানে রয়েছে কলামের গায়ে লাগানো পুরুষ পোশাক পরিহিতা হাটসেপসুটসের একাধিক মুর্তি। ঘুরে ঘুরে দেখছি সবাই।



প্যাপিরাসে আঁকা রানী হাটসেপসুট লোহিত সাগর পাড়ি দিচ্ছেন



এই মন্দিরের এর দেয়ালে দেয়ালে আঁকা আছে তার রাজত্বকালের স্মরনীয় ঘটনাগুলো।এর মধ্যে নুবিয়াতে যুদ্ধ পরিচালনা ছাড়াও ব্যাবসায়িক উদ্দেশ্যে সোমালিয়া যাবার ঘটনারও উল্লেখ রয়েছে।রানীর মুর্তির পেছনে আকা রয়েছে কি ভাবে তিনি সোমালিয়া থেকে বিপুল সম্পদ এনেছিলেন তার বর্ননা।এখানে দেখা যাচ্ছে আটটি জাহাজ আর একটি নৌকাতে পান্ট অর্থাৎ সোমালিয়া থেকে পাওয়া জিনিসগুলো জাহাজে তোলা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে সুগন্ধী গাছের গুড়ি, প্রচুর জিনিসপত্র এবং কিছু বেবুনের পাল।লোহিত সাগরের কিছু বৈচিত্রময় মাছের চিত্রও আঁকা রয়েছে এখানে।



রানী হাটসেপসুটের উল্লেখযোগ্য নির্মা্নের মধ্যে আরো রয়েছে লুক্সরের কার্নাকের মন্দির আর মধ্য ইজিপ্টের বেনী হাসানে দেবী পাখেট এর উদ্ধেশ্যে উতসর্গ করা দুটি মন্দির। তবে এর একটির কাজ শুরু করলেও শেষ করতে পারেনি।যা পরবর্তীতে ৩য় টুথমিস শেষ করেন।



সুতীক্ষ শিলালিপি

এ ছাড়াও তিনি কার্নাকের সুউচ্চ স্তম্ভের আকারের শিলালিপি যাকে ইংরাজীতে ওবেলিস্ক বলা হয়ে থাকে সেগুলো তৈরী করান। শিল্পকলার এক চুড়ান্ত নিদর্শন সবচেয়ে বড় ওবেলিস্কটি অত্যন্ত দ্রুততার সাথে তৈরী হয়েছিল তার রাজত্বের ছয় বছরের সেড উতসব উদযাপনের সময় ।প্রাচীন মিশরের ফারাওরা তাদের বিভিন্ন রাজত্বের উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলোকে স্মরনীয় করে রাখার জন্য এই উৎসবের আয়োজন করতো।



কার্নাকে হাটসেপসুটের নির্মিত ভগ্ন মন্দির



অসম্ভব কূটনৈতিক জ্ঞ্যনসম্পন্না এক প্রজ্ঞাবান রাজনিতীবিদ রানী হাটসেপসুট সিংহাসনের উপর তার দাবী বা কর্তৃত্ব বজায় রাখার জন্য দুটি পথ বেছে নিয়েছিলেন । প্রথম দাবীটি ছিল তিনি হচ্ছেন জনপ্রিয় রাজা প্রথম টুথমিসের অন্যতম প্রিয় সন্তান।কেননা বাকী তিন পুত্র সন্তানের মধ্যে তার বাবা তাকেই সহকারী হিসেবে মনোনীত করেছিলেন।

তবে তার দ্বীতিয় দাবীটি ছিল খুবই রহস্যময়।সে দেবতা আমনকে তার পিতা বলে দাবী করতেন। তার মতে এক রাতে দেবতা আমন টুথমিসের বেশে তার মা আহমেস এর কাছে এসেছিলেন।তাদের ভালোবাসার ফসল হলো হাটসেপসুট। তিনি এই ঘটনাটিকে মনে প্রানে বিশ্বাস করতেন বলেই ধারনা করা হয়। যার জন্য তার নির্দেশে দের এল বাহারীর মন্দিরের দেয়ালে হেইরোগ্লিফিক ভাষায় ঘটনাটির বিস্তারিত বিবরন উৎকীর্ন করা আছে।দেবতা আমনের কন্যা হিসেবে নিজেকে প্রচার করায় হাটসেপসুটের অবস্থান শক্ত ভিত্তির উপর প্রতিষ্টিত হয়েছিল



তৃতীয় টুথমিসের নির্দেশে ভেঙ্গে চুড়ে দেয়া দেয়া কার্নাকের মন্দির, এখানে ছোট পিলারের উপর তাদের দেবতা খেপরের প্রতীক একটি গুবরে পোকা রয়েছে।গাইড জানালো এই পিলারের চারিদিক ঘিরে সাতবার হাটলে তার মনের আশা পুর্ন হবে

তৃতীয় টুথমিস যৌবনে পা দেয়ার সাথে সাথে তার উপর সৎ মায়ের অভিভাবকত্ব এবং কর্ত্রিত্ব অসহনীয় হয়ে উঠলো। বিশেষ করে চক্ষুশুল হয়ে উঠলো তার সৎ মা এর প্রধান উপদেষ্টা সেনমাট।আসওয়ানের শিলালিপি থেকে জানা যায় সাধারন ঘরে জন্ম নেয়া সেনমাট ছিলেন হাটসেপসুটের আশীর্বাদপুষ্ট ।লিপিতে আরো লেখা আছে তিনি ছিলেন রাজকন্যা নেফেরুরের শিক্ষক ,রানীর প্রিয়পাত্র, আমেনের মন্দির রক্ষক এবং আমেনের প্রধান স্থপতি, রাজকীয় সীল মোহর বহন কারী। সেনমাটকে রানীর হৃদয়রক্ষক বলেও এই লিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে।এই স্থপতি সেনমাট রানীর অনেকগুলো শিলালিপি তৈরী করেন।আসোয়ানের একটি শিলালিপিতে তাকে রানী হাটসেপসুটের সামনে দাঁড়ানো অবস্থায় দেখা যায় যা আমার দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল।



মাটিতে পরে থাকা হাটসেপসুট এর নির্মিত ২য় শিলালিপি যা প্রতিহিংসার বলি

এদিকে দক্ষ এবং শান্তি প্রিয় শাসক হিসেবে রানীর জনপ্রিয়তা চারিদিকে ছড়িয়ে পরতে লাগলো যা ছিল টুথমিসের কাছে অসহ্য। যুদ্ধ বিগ্রহ না থাকায় টুথমিসের অনুগত সৈন্যরাও বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠলো।এ সময় সিরিয়ায় বিদ্রোহ দেখা দিলে রানী হাটসেপসুট ৩য় টুথমিসকে এই বিদ্রোহ দমন করার জন্য সেনাপতি নিযুক্ত করলেন।১৪৭১ খৃষ্ট পুর্বে ৩য় টুথমিস প্রথম সিরিয়া অভিযান শুরু করেন। ইতিহাস থেকে জানা যায় প্রায় সাতবার তিনি এই সিরিয় বিদ্রোহ দমন অভিযান পরিচালনা করেন। খৃষ্টপুর্ব ১৪৫৮ তে ৩য় টুথমিস যখন সিরি্যা অভিযানে ব্যাস্ত সে সময় মিশরের সবচেয়ে জনপ্রিয় ৬০ বছর বয়সী রানী হাটসেপসুটস মৃত্যু্র খবর তার কাছে এসে পৌছায়।



রানী হাটসেপসুটের মমি



রানীর মৃত্যুর খবর পেয়ে টুথমিস দ্রুত রাজধানীতে ফিরে আসেন। অত্যন্ত বিচক্ষনতার পরিচয় দিয়ে ৩য় টুথমিস রানীর স্মৃতিতে গভীর সন্মান দেখান এবং তার নির্মিত সমাধি সৌধে তাকে সমাহিত করেন।এর একদিন পরেই তিনি নিজেকে মিশরের সার্বভৌম রাজা হিসেবে ঘোষনা দিয়ে সিংহাসনে বসেন। কিন্ত তিনি মৃত রানীর প্রতি সন্মান দেখালেও তার প্রিয়ভাজনদের ক্ষমা করেন নি।কিছু সংখ্যক পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও বেশিরভাগই তার হাতে মৃত্যু বরন করেছে বলে প্রচারিত রয়েছে। সিংহাসনে বসেই তিনি প্রথমেই রানীর প্রিয় অমাত্যদের নাম বিভিন্ন শিলালিপি থেকে মুছে দেয়ার নির্দেশ দেন। বিশেষ করে রানীর প্রিয়ভাজন সেনমাটের । প্রায় ১২০০ শ টুকরো করা ছিন্নভিন্ন হাটসেপসুটের হৃদয়রক্ষক সেনমাটের কারুকাজ খচিত শবাধারটির অবস্থা দেখে বোঝা যায় তার উপর টুথমিস ৩য় এর কি পরিমান ক্ষোভ ছিল।



টুথমিসের ক্ষোভের পরিনতি হাটসেপসুটের নির্মিত মন্দির

ব্যাক্তি জীবনে অত্যন্ত দয়ালু এবং সু -শাসক হিসেবে পরিচিত ৩য় টুথমিস ৫৩ বছরের দীর্ঘ রাজত্বকালের শেষ প্রান্তে এসে হঠাত তার মৃত সৎ মা ও তার সহভাগী রানী হাটসেপসুটসের উপর প্রতিহিংসাপরায়ন হয়ে উঠেন।হয়তো তার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়গুলো নষ্ট করার জন্য তিনি মনে মনে সবসময় তাকে দায়ী করতেন।যার ফলশ্রুতিতে তার নিষ্ঠুর খড়গহস্ত নেমে আসে রানীর নির্মিত বিভিন্ন নিদর্শনগুলোর উপর ।



কার্নাকের মন্দিরের সামনে আমি

তার ধ্বংসলীলায় ভেঙ্গে পড়ে স্থাপত্য কলার অন্যতম নিদর্শন কার্নাকের মন্দির, অপরুপ শিল্পকলা সমৃদ্ধ সুউচ্চ শিলালিপিগুলো, যার উপরের দিকে ধর্মের বানী খোদাই করা থাকার ফলে সেগুলো রেখে বাকি অংশ আস্তর দিয়ে ঢেকে দেয়ার নির্দেশ দেন। কিছু কিছু ভেঙ্গেও ফেলা হয়। বিভিন্ন জায়গায় প্রতিষ্ঠিত রানী হাটসেপসুটের মুর্তিগুলোকে ভেঙ্গে চুড়ে বিকৃত করা হয় তার নির্দেশে।



দের এল বাহারের মন্দির

এমনকি তার এই বিলম্বিত প্রতিহিংসার হাত থেকে রেহাই পায়নি পৃথিবীর অন্যতম সৌন্দর্য্যময় দের এল বাহারের মন্দিরটিও। এই মন্দিরের দেয়ালে দেয়ালে আঁকা হাটসেপসুটের নাম মুছে সেখানে তার এবং তার বাবা ২য় টুথমেসের নাম লেখা্র নির্দেশ দেন। তিনি চেয়েছিলেন ইতিহাস থেকে হাসেপসুটসকে চির জনমের মত মুছে ফেলতে। আর তার জন্য তিনি বিভিন্ন শিলালিপিতে রাজাদের নাম লেখার সময় টুথমিস ১, ২ ৩ পর পর লিখেছেন। হাসেপসুটসের নামের চিনহ রাখেন নি কোথাও। মনে হয় পুরুষশাসিত রাজবংশের মধ্যে এক রানীর অনুপ্রবেশ তার জন্য লজ্জাজনক ছিল হয়তো।এমনকি দের এল বাহারের মন্দিরের বাইরে পুরুষের বেশে নকল দাড়ি লাগানো হা্টসেপসুটের মুর্তিগুলোকেও তার বাবার মুর্তি বলে প্রচার করেন।



নকল দাড়ি লাগানো হাটসেপসুটের বিখ্যাত ভাস্কর্য্য



তৃতীয় টুথমিসের প্রতিহিংসার হাত থেকে এমনকি রেহাই পায়নি রানী হাটসেপসুটসের সমাধি সৌধ পর্যন্ত। রানীর ইচ্ছে ছিল রাজকীয় উপত্যকার ২০ নম্বর সৌধে এ তার পিতার যে সমাধি আছে সেখানেই হবে তার শেষ আশ্রয়স্থল।এ উদ্দেশ্যে তিনি এই সমাধি সৌধের আয়তন কিছুটা বড় করেন যাতে দুটি শবাধার রাখা যায়।কিন্ত হাটসেপ্সুটের মৃত্যুর পর ৩য় টুথমিস প্রথম তাকে সেখানে সমাহিত করলেও তার পিতার শবাধার সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে রাখেন ৩৮ নম্বর সৌধে। ক্ষুদ্ধ ও প্রতিহিংসাপরায়ণ ৩য় টুথমিস যখন সবকিছু থেকে রানীর নাম মুছে দিচ্ছিলেন সেসময় তিনি ২০ নম্বর সৌধ থেকে তার মমিটিও সরিয়ে ফেলেন । সেখানে শুধু থেকে গিয়েছিল তার আভ্যন্তরীন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ভরা কিছু পাত্র। যার একটিতে পাওয়া যায় হাটসেপসুটের যকৃত।



হাটসেপসুটের মমি পরীক্ষা করছেন বিশিষ্ট ইজিপ্টোলজিষ্ট জাহি হাওয়াস



হাটসেপসুটের প্রকৃত মমি নিয়েও কম বিভ্রান্ত হয়নি মানুষ। ২০০৭ সালের জুন মাসে কিছু কিছু প্রত্নতাত্বিকরা ঘোষনা করলেন যে ৬০ নম্বর সমাধির মাটিতে অযত্নে অবহেলায় পরে থাকা মমিটিই হাটসেপসুটের।তবে বিশিষ্ট পুরাতত্ববিদ, ইজিপ্টোলজিষ্ট জাহি হাওয়াসের মতে রাজকীয় উপত্যকার ৬০ নম্বর সমাধির শবাধারে রাখা মমিটিই রানী হাটসেপ্সুটের ।এভাবেই চব্বিশ বছর ধরে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে দেশ পরিচালনাকারী রানী হাটসেপসুটএর অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গিয়েছিল ইতিহাস থেকে । তৃতীয় টুথমিস সফল হয়েছিলেন ইতিহাসের পাতা থেকে তার নাম মুছে দিতে। যদিনা বর্তমান ইজিপ্টোলজিষ্টরা দীর্ঘদিন ধরে তাদের অনুসন্ধান চালিয়ে যেত।তখন হয়তো বা প্রথম টুথমিসের আদুরে কন্যা মিশরের রানী হাটসেপসুটের শেষ ঠাই হতো রাজাদের উপত্যকার ৬০ নম্বর সমাধির পাশের অন্ধকার একটি ঘরের মাটির মেঝেতে আরো দু একজন নাম না জানা সাধারন মমিদের সাথে অনাদরে অবহেলায়।এ কারনেই অনেকে তার সম্পর্কে বলেন দ্যা লষ্ট কুইন অফ ইজিপ্ট।





জার্মান দুই বিশেষজ্ঞ পরীক্ষা করছেন হাটসেপসুটের ব্যবহার করা লোশন



মমিটি দেখে বিশেষজ্ঞরা বলছেন মৃত্যুর সময় হাটসেপসুট ছিল স্বাস্থ্যবতী, মধ্যবয়স্কা, বিগতযৌবনা এক রমনী। ভাস্কর্যেরগুলোর মত মোটেও বালকোচিত শরীরের অধিকারী নয়। আধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে মমিটি পরীক্ষা নীরিক্ষার পর তাদের ধারনা রানী সম্ভবত ডায়বেটিস রোগে ভুগছিলেন সেই সাথে যকৃতের ক্যান্সারে।



তার মৃত্যু নিয়েও ছিল কিছুটা রহস্য। কারো মতে ৩য় টুথমিসের হাতেই সেনেমাট আর নেফেরুরের সাথে হাটসেপসুটও নিহত হয়েছিলেন। কেউ বলছেন তিনি হাড়ের ক্যান্সারে মারা গেছেন। শেষ পর্যন্ত এই বিতর্কের অবসান ঘটালেন জার্মানীর বিখ্যাত বন ইউনিভার্সিটির দুজন প্রফেসর । আর এই বিতর্কের সমাপ্তি টানলো রানী হাটসেপসুটের ব্যাবহার করা একটি লোশনের পাত্র যা কিনা দীর্ঘদিন ধরে সেন্টের শিশি বলেই সবার ধারনা ছিল। জার্মান প্রফেসর দুজন দুবছরের গবেষনার মাধ্যামে এটাই প্রমান করলেন যে এই লোশনটি তৎকালীন ইজিপ্টে চর্ম রোগ বিশেষ করে একজিমা বা সোরাইসিস চিকিৎসায় ব্যাবহার করা হতো।



হাটসেপসুটের লোশন এর জার



এর উপাদানগুলোর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন বাদামের তেল, ফ্যাটি এসিড। এছাড়াও রয়েছে ক্যন্সার সৃষ্টিকারী টার নামে তামাকজাত একটি উপাদান যা কিনা আলকাতরার মত কালো রঙের ঘন আঠালো একটি পদার্থ।এই টার সিগারেটের মধ্যেও রয়েছে।

জার্মান বৈজ্ঞানিক দুজন রানীর ব্যাবহার করা এই লোশন পরীক্ষার মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত প্রমান করতে সক্ষম হলেন যে এই কারসেনোজিনিক উপাদানে নির্মিত লোশন ব্যবহারের মাধ্যামেই তিনি ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

এর ফলে রানী হাটসেপসুটকে হত্যার মিথ্যা অভিযোগ থেকে চিরতরে মুক্তি লাভ করলেন তার সহরাজত্বকারী ভ্রাতুষ্পুত্র ৩য় টুথমিস।







হাটসেপসুটের নির্দেশে তৈরী অসাধারন কারুকার্য্যময় একটি ওবেলিস্ক





কিছু ছবি নেট আর কিছু ছবি আমাদের তোলা

মন্তব্য ১৩৮ টি রেটিং +২২/-০

মন্তব্য (১৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪২

মামুন হতভাগা বলেছেন: +++
এত বিষদ জানা ছিলনা।ধন্যবাদ আপনাকে

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১২

জুন বলেছেন: আমিও জানতামনা এত কিছু মামুন । সেখানে গিয়ে দেখে আর কিছু পড়ে জেনেছি এই ইতিহাসের হারিয়ে যাওয়া রানীর জীবনী । মনে হলো আপনাদের সাথেও কিছু শেয়ার করি । মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৪

অর্ণব আর্ক বলেছেন: সুন্দর পোস্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ। আপনার এই পোস্টে আগে মিশরের ডাইনী হিসেবে কুখ্যাত হটাসুর সম্পর্কে তেমন কিছুই জানতাম না বললে ভুল হবে। কিন্তু এতটা সুন্দরভাবে জানার সুযোগ করে দেয়াতে অনেক অনেক মোবারকবাদ। প্রফেসর জাহি হাওয়াস যখন তাঁর ফেসবুকে নিয়মিত ছিলেন আমাদের Archaeology? এবং Egyptology গ্রুপ দুটোতে এই ডাইনিকে নিয়ে কয়েকটা পোস্ট দিয়েছিলেন। বিশেষ করে এর চুল উঠে যাচ্ছিল একটা সময়ে। তখন মমিটা নিয়ে কাজ করে জোই গফার, বারবারা গ্রিফিন, জেনি হাওয়ার্থ এরা। আপনার পোস্টে এতো বিস্তারিত তথ্যের সাবলীল উপস্থাপনা দেখছি সেখানে নতুন করে বলার কিছুই নাই। বললে সেটা বেয়াদবি আর বান্দরামি হবে।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৫

জুন বলেছেন: যাক তবুও এসে তোমার মুল্যবান মতামত দিয়ে গেলে তার জন্য অনেক খুশী হোলাম অর্নব। বারবারা গ্রিফিন জেনী হাওয়ার্থ এদের কথা বার্তা নিয়ে আর কিছু লিখলাম না পোষ্ট এমনিতেই বড় হয়ে যাচ্ছিল বলে। আর পর্ব লেখার আমার ইচ্ছেও ছিলনা। তাই আমার নিজের চোখে দেখা আর কানে শোনা অনেক কিছুই বাদ দিয়ে গেছি।
অনেক অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য ।

৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৭

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: মোবাইল ভার্সনে গিয়া + দিলাম

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩১

জুন বলেছেন: + দিলে মাসুম অনেক খুশী হয়েছি ।
কিন্ত মোবাইলে কি পড়তে পেরেছো ?

প্লাস আমিও কাউকে দিতে পারছি না :(

৪| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৭

টুম্পা মনি বলেছেন: অসাধারণ পোষ্ট।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০২

জুন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ টুম্পামনি :)

৫| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৩

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট , ধন্যবাদ । ভালো থাকবেন । ভালো লাগা অনেক ।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৪

জুন বলেছেন: চেষ্টা করি নিজে যতটুকু জানি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে । ভালোলেগেছে জেনে অনেক ভালোলাগলো । আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম নাজমুল হাসান মজুমদার ।

৬| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: জুনাপি বরাবরের মতই অসাধারণ পোস্ট ।দারুণ। তথ্যবহুল উপভোগ্য ।অনেককিছু জানা গেল। +++++++++++++++++++++++++++++ সরাসরি প্রিয়তে।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:২৭

জুন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার আপনাদের ভালোলেগেছে জেনে। আমি যা একটু জানি তাই আপনাদের সাথে ভাগ করে নিতে চাই এটুকুই ।

এটাও প্রিয়তে ! আপনি তো আমার পোষ্ট দিয়েই একটা আর্কাইভ বানিয়ে ফেলবেন মনে হচ্ছে :)
সকালের শুভেচ্ছা রইলো।

৭| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৫

রিভানুলো বলেছেন: কিছুই জানা ছিল না । আপনার কল্যানে জানা হলো আজ +++++্

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪০

জুন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রিভানুলো মন্তব্যের জন্য।
শুভেচ্ছা জানবেন সকালের....।

৮| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১২

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: চমৎকার !! এক টানে পড়ে গেলাম। আর জানলাম ইতিহাস থেকে মুছে যাওয়া এক দোর্দন্ডপ্রতাপ এক রাণীর কথা।

কিন্তু "হয়তো তিনি তার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়গুলো নষ্ট করার জন্য সবসময় হাসেপসুটসকে দায়ী করতেন।"

এটা খুব ভাবালো।

যাই হোক পোস্টে প্লাস দিলাম।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৯

জুন বলেছেন: সত্যি তাকে মুছে ফেলার জন্য কম চেষ্টা হয়নি মহামহোপাধ্যায়। কিন্ত সব কিছু মুছে ফেলা যায় না এটাই তার প্রমান ।
ভাবিয়েছে শুনে খুব ভালোলাগলো কারন আমাকেও অনেক ভাবিয়েছিল তাই লেখা এ নিয়ে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ :)

৯| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৮

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম আজকে প্রথম।


পোস্টে বিশাল বড় ++++++++++++++

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৯

জুন বলেছেন: আমিও আপনাদের নিজে যা জানি তা থেকে কিছু কিছু জানাতে পেরে আনন্দিত ইরফান আহমেদ বর্ষন।সবসময় সাথে থাকা আর বিশাল লম্বা প্লাসের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

পারিবারিক কারনে উত্তর দিতে দেরী হওয়ার জন্য আন্তরিক দুঃখিত

১০| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: জানলাম অনেক কিছু। ধন্যবাদ জুন।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩২

জুন বলেছেন: আমিও সামান্য কিছু জানাতে পেরে আনন্দিত প্রফেসর শঙ্কু। আমার হাবিজাবি লেখাগুলো পড়ে মন্তব্য করেন আমি অনেক খুশী হই।
ধন্যবাদ অনেক অনেক ।

১১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১০

রুপ।ই বলেছেন: আমিও গিয়েছিলাম মিশরে , এর পর আরো অনেক দেশ ঘুরেছি নানা অজানা কালচার দেখেছি কিন্তু মিশরের তুলোনা নেই। আপনার ছবিগুলো দেখে আমার তোলা ছবিগুলো আবার দেখলাম। আজও মনে হয় সেই রিভার নাইল এর উপর দিয়ে শিপে করে লুস্কর যাওয়া ।
ধন্যবাদ জুন আপু কিছু ভুলে যাওয়া স্মৃতি ফিরিয়ে দেয়ায় ।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৮

জুন বলেছেন: হু রুপাই সত্যি আমিও ভুলতে পারি না সেই চারদিনের নাইল ক্রুজের কথা।কি শান্ত শিষ্ট নদী এমন কমই দেখেছি। প্রথম যখন যাত্রা করলো তখন আমরা খেতে বসেছি লাঞ্চ।কত দূর চলে এসেছি শেরাটনের জেটি থেকে তখন খেয়াল করলাম আমাদের শিপ টা চলছে।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য :)

১২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: দূর্দান্ত একটা পোষ্ট! প্রিয়তে নিলাম।!!

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৪

জুন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ কাল্পনিক- ভালোবাসা সবসময় সাথে থেকে উৎসাহ দেয়ার জন্য । ভিডিও টা দেয়ার জন্য আরেক দফা ধন্যবাদ :)
মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরী হওয়ায় আন্তরিক দুঃখিত।

১৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৭

আম্মানসুরা বলেছেন: মিসরের রাজা-রানির গল্প ভালো লাগে। খুব চমৎকার পোষ্ট। অনেক গুলো প্লাস।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৮

জুন বলেছেন: আসলেই আমি যখন খুব ছোট তখন আমার আব্বা খুব সুন্দর সুর করে পুথি পড়তে পারতেন। সেখানে শুনেছি আমাদের মুসা নবীর উপর ফেরাউনদের অত্যাচারের কাহিনী । এরপর বড় হয়ে কত পড়েছি মিশরের সব ফারাওদের কথা।
ভালোলাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে । মনে হয় এটাই আপনার প্রথম কমেন্ট আমার পোষ্টে। তার জন্যও আবারও ধন্যবাদ।

১৪| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২০

মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: কিছু বলার নেই, মাঝে মাঝে ভাবি আপনি এত সুন্দর ভাবে, এত গুছিয়ে কিভাবে লেখান?

জানা হলো অনেক অজানা কিছু। ভালো লাগলো। সব কিছু।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৭

জুন বলেছেন: এত্ত সুন্দর মন্তব্য তুমি কি করে করো সজীব আমিও মনে মনে ভাবি ।
অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্য আর ভালোলাগার জন্য।

১৫| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৪

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
দারুণ পোষ্ট!
সোজা প্রিয়তে...

+++

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৮

জুন বলেছেন: আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য আর প্রিয় পাঠের জন্য স্নিগ্ধ শোভন।

১৬| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৪

অ্যানোনিমাস বলেছেন: দূর্দান্ত!! অসাধারণ!! ++++++

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২১

জুন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আ্যনোনিমাস আপনার প্রশংসার জন্য :)
শুভেচ্ছা রাতের .।.।

১৭| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০১

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: পড়া যায় কিন্তু ছবি দেখা যায় না।

যে কোন লেখার লিংকের আগে m. লাগাইয়া নিলে মোবাইল ভার্সনে চলে যাবে, সেখানে একটা প্লাস সাইন আছে নিচের দিকে। সেটাতে ক্লিক করলেই কাজ হয়ে যাবে

Click This Link

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৩

জুন বলেছেন: মাসুম মোবাইল অপারেট করা আমার কল করা আর রিসিভ করা সেই সাথে দৌড় এস এম এস লেখা । এর বাইরে কিছুই পারি না :(

১৮| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৯

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
আরেকটি দূর্দান্ত পোস্ট।
আরেকবার মুগ্ধ, জুন আপু।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১১

জুন বলেছেন: দুর্জয় অনেক সময় ভাবি কি হবে এসব আবোল তাবোল লিখে। কিন্ত যখন তোমরা এসে বলো 'জুন আপা অনেক ভালোলাগলো' তখন আবার কি মনে করে যেন আরেকটা হাবিজাবি লেখা নিয়ে বসি।
অশেষ ধন্যবাদ প্রতিনিয়ত পাশে থেকে অনুপ্রেরনা জুগিয়ে যাবার জন্য।
শুভেচ্ছা যেন সকালের।

১৯| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,

আপনার তুলনা আপনি-ই । যেখানেই রাখেন পা , সেখান থেকেই তুলে আনেন কিছু না জানা মাটি ও মানুষের গন্ধ ।

ছবি আর লেখা নিয়ে হাযার বছর আগের ইতিহাসের অতল খুঁড়ে আজ তেমনি মাটি আর মানুষের গন্ধই যেন তুলে আনলেন ।

ভালো থাকুন আর ভেসে যান আবার অন্য কোথাও । আর আমরাও যেন পাই তার স্বাদ এমনি করে ।

শুভরাত ।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৩

জুন বলেছেন: আহমেদ জীএস আপনার মত একজন গুনী ব্লগার মন খুলে যখন মন্তব্য করেন আমার সমস্ত দোষ ত্রুটিগুলো এক পাশে সরিয়ে রেখে তখন আমার বিব্রত অথবা খুশী কোনটা হওয়া উচিত !
জানিনা কি তুলে আনি মাটি খুড়ে তবে সবসময় আপনার অকুন্ঠ প্রশংসা আমাকে আরো ভালো কিছু করার উৎসাহ জুগিয়ে যায় অবিরল বয়ে চলা পাহাড়ী এক স্রোতস্বীনির মত ।
আপনি বলছেন আবার ভেসে গিয়ে ডুব দিয়ে নিয়ে আসি আপনাদের জন্য কিছু শুক্তি যার বুকে লুকোনো গোলাপী আভা ছড়ানো মুক্তো । তখন যেন আবার বলে বসবেন না 'জুন এখন ঝিনুক থাক, সবুজ উপত্যকায় ফুটে থাকা ক্যামেলিয়ার সৌন্দর্য্যটা কেমন বলেন তো একটু খানি '?

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

২০| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫২

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: অসাধারণ পোষ্ট।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৯

জুন বলেছেন: আপনারা যখন আমার পোষ্ট পড়ে মন্তব্য করেন যার মধ্যে থাকে কিছু প্রশংসা থাকে উৎসাহ তখন সত্যি অনেক খুশি হই স্বপ্নবাজ অভি। ভালো থাকুন সবসময়।

২১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৮

রাখালছেলে বলেছেন: কামের কাম করেছেন । প্লাস দিলাম। এইরকম পোষ্ট আরও চাই ।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৮

জুন বলেছেন: কাজের কাজ আর কোথায় করতে পারলাম রাখালছেলে !! তারপরও আসেন, পড়েন আর শেষে উৎসাহব্যাঞ্জক একখানা মন্তব্য যা অনুপ্রানিত করে তোলে আমাকে।
অনেক শুভকামনা আপনার জন্য ।

২২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৯

তুষার কাব্য বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট।ঘুরতে ঘুরতে অনেক কিছু জানলাম আপু।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩১

জুন বলেছেন: কই ঘুরতে ঘুরতে তুষার কাব্য ? ডুয়ার্সের জঙ্গলে কি !!
তাও ভালো ময়ুর আর বাইসন দেখার ফাকে আমার পোষ্ট পড়া হলো সে আমার সৌভাগ্য।
অনেক ভালো থাকুন আর ঘুরে বেড়ান সুযোগ পেলেই। দেখবেন এর চেয়ে আনন্দ আর কিছুতেই নেই।
শুভকামনা.।.।

২৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:০৪

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: এতে সব পুরুষের মত ২য় টুথমিসেরও সকল বাৎসল্যরস ধাবিত হয় সাধারন ঘরে জন্ম নেয়া তার ২য় স্ত্রীর গর্ভজাত পুত্র মেনখেপরের প্রতি। :(

অসাধারন তথ্যসম্বলিত লেখা, অনেক কিছু জানলাম।+++++++++্
ভালো থাকবেন জুনাপু।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫২

জুন বলেছেন: স্বাগতম আমার ব্লগে রেজওয়ানা আলী তনিমা :)
আজ নয় এই ধারা চলে আসছে সেই আদিম যুগ থেকে ছেলে সন্তানের প্রতি এক ধরনের দুর্বলতা। মনে হয় ভবিষ্যত নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই এর উৎপত্তি। তবে মাতৃতান্ত্রিক সমাজে মনে হয় মেয়েদের কদর ছিল।
তবে এখানে হাটসেপসুটের বাবা প্রথম টুথমিসের কিন্ত মেয়ের প্রতি পক্ষপাতিত্ব ছিল।
আপনিও ভালো থাকুন, শুভকামনা থাকলো আপনার জন্য তনিমা

২৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৪৪

প্রিন্স হেক্টর বলেছেন: সরাসরি প্রিয়তে। আপনি কি জানেন আমি আপনাকে হিংসা করি?

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫১

জুন বলেছেন: হিংসা হেক্টর :|
আমিতো ট্রয়ের যুবরাজকে অনেক পছন্দ করি :)
অশেষ ধন্যবাদ ভালোলেগেছে জেনে ।
ভালো থাকুন সবসময় ....।

২৫| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৫২

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: নামগুলো সব দাঁতভাঙ্গা:)
অনেক তথ্য এক লেখায়। বেশ গবেষণা করেছেন!
মিশর ভ্রমণ করেছেন, আপনাকে হিংসা করে রাখলাম :)

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭

জুন বলেছেন: ঠিকই বলেছেন মাঈনুদ্দিন মইনুল তবে আমি যখন ছোটবেলায় রাশান বইগুলো পড়তাম তখন আর একটা দাতও মনে হয় আস্ত থাকতো না :)
আমি শুধুমাত্র ভ্রমনের জন্যই অনেক দেশে গিয়েছি। আপনি আমার পুরোনো ভ্রমন পোষ্টগুলোতে তা দেখতে পাবেন :!> :#>

অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্য আর সাথে থাকার জন্য ।

২৬| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:১৪

মামুন রশিদ বলেছেন: জুনাপুর আরেকটা অসাধারণ পোস্ট । ছবি আর ইতিহাসের বর্ণনায় যথারীতি মুগ্ধতা ।


প্লাস! প্লাস!

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯

জুন বলেছেন: কি আর করবো মামুন রশিদ গল্প যখন লেখাই হয়ে উঠছে না তখন এসব নিয়েই থাকা :(
সাথে আছেন সবসময় এ আমার সৌভাগ্য।
ভালো থাকুন অনেক এই কামনায় :)

২৭| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:২১

কয়েস সামী বলেছেন: আপনার পোস্ট পড়লেই অনেককিছু জানা যায়! থ্যাংকস!

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪১

জুন বলেছেন: তাই নাকি কয়েস সামী ? অনেক খুশী হোলুম আপনার কথা শুনে। আমি যা কিছু নিজের চোখে দেখি তাই আপনাদের কিছুটা জানাতে চেষ্টা করি এই আর কি। সাথে থাকেন, পড়েন এতেই আমার ভালোলাগে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

২৮| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫২

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
চমৎকারাত্মক !!

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৩

জুন বলেছেন:
চমৎকারাত্মক !
ইমরাজ কবির মুন এর একটি নতুন আবিস্কৃত শব্দ যা আমার অনেক ভালোলাগলো :)
অনেক ধন্যবাদ চমৎকার একটি মন্তব্যের জন্য ।

২৯| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫৪

বটের ফল বলেছেন: অসাধারন বর্ননাময় এবং ততোধিক তথ্যসমৃদ্ধ একটি পোষ্ট। অনেক কিছু জানলাম।

ভালোলাগা রইলো অনেক বেশী।

ভালো থাকবেন আর ভালো রাখবেন আপনার আশেপাশের সবাইকে - এই কামনা করছি।

ধন্যবাদ।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫১

জুন বলেছেন: বটের ফল
চমৎকার একটি মন্তব্য মানুষের অন্তরকে দুর্নীবার এক ভালোলাগার স্পর্শে আলোড়িত করে তোলে। আরো এগিয়ে যাবার স্পৃহা জাগায় তার সামান্য পুঁজি নিয়েই। অনেক অনেক খুশী হোলাম সাথে থাকবেন আশাকরি ভবিষ্যতেও এই কামনায়।
শুভেচ্ছা রাতের।

৩০| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১৫

আরুশা বলেছেন: অল্প কিছু জানতাম হাটসেপসুটের সম্পর্কে ।তবে যে এত বৈচিত্রপুর্ন সেটা আপনার পোস্ট না পরলে জানা হতোনা আপা । আপনার লেখার বিষয়গুলিও নতুন ধরনের । পড়তে ভালোলাগে ।

প্লাস বাটন কাজ করছে না।
তাই মন্তব্যের ঘরে অনেক প্লাস দিয়ে গেলাম +++++++

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৬

জুন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আরুশা সেই প্রথম থেকেই সাথে থাকার জন্য।
তার সম্পর্কে খুব কম মানুষই জানতো কারন তাকে মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল ইতিহাস থেকে। কিছুটা যে সফল হয়নি তা বলা যাবে না। কারন অনেকেই তার নাম জানতে পারেনি একারনে।
শুভরাত্রি।

৩১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৭

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: বরাবরের মত সুন্দর করে গুছিয়ে পোস্ট দিয়েছেন, পড়তে খুব ভাল লাগলো! সেই জানাও হল বেশ কিছু আনকোরা নতুন জিনিস।

এবং ভাবালো অনেক, তখনকার সম্পর্ক গুলো কেমন অদ্ভুত ছিল!

ভালো থাকবেন, আপনার পোস্ট পড়ে আমার মিশর যেতে ইচ্ছে করছে!

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০১

জুন বলেছেন: ৎঁৎঁৎঁ
অনেক ভালোলাগলো আপনাকে দেখে ঠিক আপনার কবিতাগুলোর মতই ভালোলাগা।
সত্যি তাদের সমাজের এসব রীতিনীতিগুলো আমাদের কাছে বিস্ময় সৃষ্টি করে।
খুটিয়ে খুটিয়ে পড়েছেন বোঝাই যায়। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। আগামীতেও সাথে থাকার প্রত্যাশায়।
শুভেচ্ছা

৩২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৩

মেংগো পিপোল বলেছেন: মিশর সংক্রান্ত আপনার আগের পোষ্ট গুলোও আগ্রহ নিয়ে দেখেছি। এই পোষ্টা টা তো আপু মেগা পোষ্ট, এক কথায় অনবদ্য।

ধন্যবাদ আপনাকে।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৪

জুন বলেছেন: মেংগো পিপোল প্রথমেই জানাই রাতের শুভেচ্ছা। অনেক দিন ধরে সাথে আছেন ক্লান্তির সাথে যে বিরক্ত হয়ে পরেননি তার জন্য অজস্র ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা।
ভালো থাকুন সবসময় :)

৩৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৮

ধুম্রজ্বাল বলেছেন: উচ্চারন হবে হিচ্যাপসুট

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১০

জুন বলেছেন: ধুম্রজ্বাল,
কৃতজ্ঞতা আপনার প্রতি প্রায় সময় এসে উকি ঝুকি দিয়ে কিছু ধুম্রজ্বাল সৃষ্টি করে যাবার জন্য।
আমিও জানতাম হ্যাসেপসুটস, এটন নামে আমাদের প্রমোদ তরীর সব পর্যটকই ছিল পশ্চিমা যার বেশিরভাগই ইউএসএ র। তারাও হ্যাসেপসুটসই উচ্চারন করছিল। কিন্ত আমাদের নাছোড়বান্দা ইজিপশিয়ান গাইড বার বার ভেঙ্গে ভেঙ্গে উচ্চারন করে শোনাচ্ছিল কি করে নামটা বলতে হবে। যেমন হাট- সেপ -সুট এ ভাবে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যর জন্য।

৩৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫২

সায়েম মুন বলেছেন: ২ নং ছবি দেখে ভাবলাম রানী আবার এত অসুন্দর কেন। পরে জানতে পারলাম কাহিনী ভিন্ন।
পুরুষের বেশে রানী হাটসেপসুট #:-S

আপনার কাছ থেকে মিশরের এত এত গল্প শুনে তো যেতে ইচ্ছে করছে বারবার। জীবনে একবার যেতে না পারলে জীবনটা অসম্পূর্ণ হয়ে যাবে যেন। :(

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১৬

জুন বলেছেন: ঠিকই বলেছো মুন ঐ ছবিটা আমাদের তোলা দের এল বাহারীর মন্দিরে।আমিও অবাক হচ্ছিলাম রানীর মুর্তি দেখে। তখন গাইড আমাদের ভুল ভেঙ্গে দিল কেন তার এই সাজ।
হু পারলে একবার ঘুরে এসো আর ব্ল্যাক এন্ড হোয়াইট ডেজার্ট সাফারিটা অবশ্য তালিকায় রেখ মুন।
ধন্যবাদ দিয়ে খাটো করবোনা ব্লগ জীবনের প্রথম থেকেই নানারকম উৎসাহ যুগিয়ে যাচ্ছো মন্তব্যের মাধ্যামা, শেষ পর্যন্তও থাকবে আশাকরি।
শুভেচ্ছা জেনো।

৩৫| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১৫

রাতুল_শাহ বলেছেন: পড়ে ভাল লাগলো।
রাণী তো সেইরকম বুদ্ধিমতী ছিল।

তবে রাণীর উপর টুথমিস ৩য় ক্ষোভটা স্বাভাবিক ছিল।

পরীক্ষা নিলে এখনই উত্তর দিতে পারবো।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩০

জুন বলেছেন: এমন বুদ্ধিমতী নাহলে তার বাবা কি তাকে লাইক দিত রাতুল_শাহ ? আর জামাই কি ডিসলাইক দিত । হু স্বাভাবিক ই বলা যায় ।
পরীক্ষা নিতে হবে কিছু দিন পর, এখন না রাতুল #:-S
অশেষ ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য :)

৩৬| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: দারুন লাগলো ...
অসাধারণ পোস্ট ...

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৪

জুন বলেছেন: অনেকদিন পর মনে হয় দিল্লী দর্শন হলো মনিরা সুলতানা :)
আছেন কেমন ?
পোষ্ট পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যাবাদ
শুভেচ্ছা নিরন্তর....।

৩৭| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৮

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: মাহমুদ ভাইয়ের কড়া একশান - ডাইরেক্ট প্রিয়তে :)

ছবি লিখা দুটাই চরম , একটানে পড়ে গেলাম ।
ভাল থাকবেন জুনাপু ।
শুভকামনা ।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৬

জুন বলেছেন: তাই নাকি ভয় পেলাম মাহমুদ০০৭ আপনার কড়া একশনে :)
অসংখ্য ধন্যবাদ ভালোলাগার জন্য ।
আপনার জন্যও শুভকামনা ....।

৩৮| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৪

শ্যামল জাহির বলেছেন: হাটসেপসুটস পড়ে মিশর যাওয়ার আগ্রহটা আবারও জাগলো।
শুনছি, যুদ্ধ হবে! যখনি যাই, নিদর্শন গুলো অক্ষত থাকবে কিনা..কে জানে!

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫০

জুন বলেছেন: স্বাগতম আমার ব্লগে শ্যামল জহির । পারিবারিক কারনে একটু ব্যাস্ত থাকার জন্য আপনাদের মন্তব্যের জবাবগুলো দিতে দেরী হওয়ায় অত্যন্ত লজ্জিত।
প্রথম বার হুসনী মুবারকের পতনের জন্য তাহরীর স্কয়ারে যখন তুমুল আন্দোলন চলছিল সে সময় আমিও আতংকিত ছিলাম পৃথিবীর সবচেয়ে সমৃদ্ধশালী ঐতিহ্যে ভরপুর মিশরের মিউজিয়াম নিয়ে । কারন তাহরীর স্কয়ারের সামনেই মিউজিয়াম আর তার কিছুদিন আগেই সেটা আমার দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল ।
আপনার চিন্তিত হওয়ার কারণ বুঝতে পারছি আমি।
আমার পোষ্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য অশেষ ধন্যবাদ ।
শুভকামনা থাকলো।

৩৯| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


প্রিয় বিষয় নিয়ে পোস্ট সরাসরি প্রিয়তে রইল।

+++++++++++++++++ অগণিত।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৪

জুন বলেছেন: ঘুরিয়ে ফিরিয়ে না নিয়ে সরাসরি প্রিয়তে নিয়েছো শুনে অনেক খুশী হোলাম কান্ডারী :!>
মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আর সেই সাথে অজস্র শুভাশীষ জেনো।

অগনিত প্লাস দিচ্ছো কি করে :-*
আমি তো কারো পোষ্টে ১টা প্লাসও দিতে পারছি না :(

৪০| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৩৫

বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর বলেছেন: এর উপাদানগুলোর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন বাদামের তেল, ফ্যাটি এসিড। এছাড়াও রয়েছে ক্যন্সার সৃষ্টিকারী টার নামে তামাকজাত একটি উপাদান যা কিনা আলকাতরার মত কালো রঙের ঘন আঠালো একটি পদার্থ।এই টার সিগারেটের মধ্যেও রয়েছে।

সিগারেট ছারা যে চলেইনারে আপু..!!!অনেক কিছুই জানলাম... মন ভালো নেই না হলে আরো কিছু বলার ছিল..শুভ কামনা আপু... মিশর একদিন যাবই ..................

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৮

জুন বলেছেন: সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ সিগারেট স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর তুহিন /:)
দেখলে লোশনের মধ্যে একটু টারই রানীর মৃত্যুর কারণ হয়ে দাড়িয়েছিল।
মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা যেন।

৪১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৫

শায়মা বলেছেন: হাটসেপসুটের নাম এই প্রথম শুনলাম মনে হয় তবে এই ছবিগুলি তো অনেক চেনা।


অনেক অনেক ভালো লাগা আপুনি।:)

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৬

জুন বলেছেন: শায়মা এই হারিয়ে যাওয়া অর্থাৎ মুছে ফেলতে চাওয়া রানীর নাম খুব কম মানুষই জানে। সুতরাং এটা নিয়ে চিন্তা করো না।

ভালোলাগার জন্য তোমাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আর শুভকামনা :)

৪২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৭

রাতুল_শাহ বলেছেন: একটা ব্যাপার মাথায় ঢুকে না, রাণী কেন পুরুষের পোশাক পড়তেন?
সবাই কি জানতো না যে তিনি একজন নারী?

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০১

জুন বলেছেন: রাতুল আবার এসেছো আর সাথে একটি চমক লাগানো প্রশ্ন । আমিও ঠিক বুঝতে পারছি না। মহিলার বেশে রানীকে দেখলে হয়তো অমাত্য বা দর্শনার্থীদের মাঝে একটি তাৎক্ষনিক একটি প্রতিক্রিয়া হতো সে কারণেই হয়তোবা এই বেশ ধারণ।
অনেক ধন্যবাদ রাতুল আমাকেও ব্যাপারটা নিয়ে চিন্তিত করার জন্য :)

৪৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০০

ভিয়েনাস বলেছেন: আপনার ঘুরতে যেমন ক্লান্তি নেই ,লিখতেও ক্লান্তি নেই আমাদের পড়তেও ক্লান্তি নেই। এক টানে পড়ে ফেললাম আপু :)

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৫

জুন বলেছেন: আমার ঘুরতেও ক্লান্তি নেই, দেখতেও ক্লান্তি নেই, তবে আপনারা আমার লেখা পড়ে পড়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন সেটা বুঝতে পারছি বেশ । আর এর জন্য আমি রীতিমত লজ্জিত বোধ করছি ভিয়েনাস :#> :!>
পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ, ভাল থাকুন আর সাথে থাকুন বরাবরের মতই :)

৪৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০২

রাতুল_শাহ বলেছেন: ভিয়েনাস ভাই বলেন তো গল্পে কয়জন টুথমিসের নাম উল্লেখ করা হয়েছে?

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৮

জুন বলেছেন: @ ভিয়েনাস ভাই এসে রাতুল শাহের উত্তর দেবে আশা করি #:-S

৪৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০৯

আমিনুর রহমান বলেছেন:




জুনাপু পেত্থুম প্লাসটা আমিই দিয়া গেসিলাম। ব্যস্ততার কারনে তখন আর মন্তব্য করা হয়ে উঠেনি। আর সত্যি বলতে আপনার পোষ্টে মন্তব্য করতে গেলে কিছু খুঁজে পাই না কি করবো ! মুগ্ধতায় অনেক সময় ভাষা হারিয়ে যায়। পোষ্ট বরাবরের মতই ভীষণ পচা :P এত সুন্দর বর্ণনা ও ছবি যেন সব কিছু জীবন্ত । অসাধারণ পোষ্ট। অজানা রানীকে জানা হল।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৮

জুন বলেছেন: আমারো পারিবারিক এক ব্যাস্ততা আর নেট সমস্যার জন্য সবার উত্তর দিতে দেরী হয়ে যাচ্ছে আমিনুর রহমান।
ভাষা হারিয়ে যাচ্ছে বলেন কি !! এতো দেখছি হারিয়ে যাওয়া রানী হাটসেপসুটের অবস্থা :!> না না হারিয়ে যাবেন না, অন্ততঃপক্ষে আমি যতদিন লিখবো সামুতে :P
অনেক অনেক ধন্যবাদ সাথে আছেন অনেকদিন ধরে :)
ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন
শুভেচ্ছান্তে....।

৪৬| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫২

যেড ফ্রম এ বলেছেন: নামগুলো খুবই সুন্দর: হাপুসটুপুস, টুথপিক !

আমি অনেকবার মিশর গেছি, কাজের চাপে কোনবারই ঘোরাঘুরি করা হয়নি।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫২

জুন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ যেডফ্রম । আপনি কি প্রথম আমার ব্লগে ? যদি তাই হয় তবে আমি অনেক খুশী হোলাম নতুন অতিথি দেখে।
সত্যি আমারও খুব মজা লাগে নামগুলো উচ্চারন করতে।
আর কাজ নয় একবার এমনি ঘুরে আসুন অনেক কিছু দেখার আছে সেখানে। যদি টিকে থাকে সেখানকার আন্দোলনের পর ।
শুভেচ্ছা জানবেন :)

৪৭| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১৯

মুদ্‌দাকির বলেছেন: ++++++ সুন্দর

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৩

জুন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ মুদাক্কির মন্তব্যের সাথে সাথে এত্তগুলো প্লাসের জন্য :)

৪৮| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩২

কালোপরী বলেছেন: :) :) :)

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৫

জুন বলেছেন: কি হলো কালোপরী এত হাসি খুশী !! কোন খুশীর খবর আছে কি ??
অনেক ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা :)

৪৯| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৫

ডঃ আলম বলেছেন: এই নাম গুলার উচ্চারণ কি মিশরে এই রকম নাকি বিলাতিদের দেয়া।
পোস্টে প্লাস

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০২

জুন বলেছেন: স্বাগতম আমার ব্লগে ডঃ আলম :)
আপনি তো আমাকে মহা চিন্তায় ফেলে দিলেন । সত্যিতো আসলেও কি এই নামের উচ্চারন কি এমনই ছিল নাকি !!
তবে সেখানকার ইজিপিশয়ান গাইড হাটসেপসুট আমেনহোটেপ, তুতেনখামুন, উচ্চারন টা এভাবেই করছিল । আর কায়রোর সুন্দরী গাইডকে যখন প্রশ্ন করলাম কে বেশি সুন্দরী ? নেফারতিতি না ক্লিওপেট্রা? সে গর্বভরে জানালো নেফারতিতি, কজ ক্লিওবাত্রা ওয়াজ নট আ ইজিপশিয়ান, শি ওয়াজ গ্রিক। নামগুলো এভাবেই ইজিপশিয়ানদের মুখে শুনে এসেছি ।
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য আর প্লাসের জন্য ।

৫০| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৪

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: আরেকটি জুনাপিও পোষ্টের সাথে ঘরে বসে ইতিহাসের লুকায়িত এক সাম্রাজ্য দেখে আসলাম। ইতিহাস থেকে হয় কিংবদন্তী আর সেই কিংবদন্তীরই একটা অংশ হয়ে যায় মিথ। এই কিংবদন্তী আর মিথের মাঝামাঝি রয়ে যাওয়া এক পরাক্রমশালী রাণী হাটসেপসুটস। অনেক ভালো লাগল। আর ওবেলিস্কের কথা মনে করিয়ে দেয়ার জন্য আরেকটা ধন্যবাদ :) ভাবছি ওবেলিস্কের উপর একটা পোষ্ট দেয়া যায় কিনা।


পোষ্টে অনেক ভালোলাগা, কিন্তু সামু আমার প্লাস সুবিধা হরণ করেছে, সামুকে তীব্র ধীক্কার :((

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৫৯

জুন বলেছেন: বিষয়টি বেশ ইন্টারেষ্টিং হবে বলে মনে হচ্ছে। তাড়াতাড়ি দিও বিস্তারিত ভাবে কেমন :)
মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ কিন্ত অগাষ্ট সংখ্যার কথা কি জানি বলেছো :(
শুভেচ্ছা সকালের ......।

৫১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৭

শোভন শামস বলেছেন: এখানে নেটে একটু সমসসা থাকার কারনে ঠিক মত আপনাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারছিনা।
মাঝে মাঝে ছবি দিতেও সমস্যা হচ্ছে।
আশা করি সাথে থাকবেন
সাউথ সুদান নতুন স্বাধীনতা পেল, আস্তে আস্তে এরা এগিয়ে যাবে।
প্রতিদিনই নতুন কিছুনা কিছু হচ্ছে।
ভাল থাকুন, সাথে থাকবেন
ধন্যবাদ

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৭

জুন বলেছেন: সুদানে আপনি কি শান্তি রক্ষী বাহিনীর সাথে আছেন ? নাকি জাতিসংঘের কোন সংস্থার সাথে ?সিদ্দিকি ভাই, টুই মাভানা এরা কি সেখানে আছে?
হু ওখানে থেকে আপনি যে ব্লগিং করছেন সেটাই তো অবাক হচ্ছি।
স্বাধীনতা আমাদের দেশের মত তৃতীয় বিশ্বের কোন দেশে সুফল বয়ে এনেছে কি না আমার জানা নেই। জানিনা তারা হয়তো সফল হতেও পারে । তবে জিম্বাবোয়ে বা সোমালিয়া মোজাম্বিক কেনিয়া এদের দশা তো দেখলাম।
আপনিও ভালো থাকবেন। অনেক ধন্যবাদ এত দূর থেকেও ভুলে যাননি বলে শোভন শামস:)

৫২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৭

অদৃশ্য বলেছেন:





আপনার লিখাটি পড়তে পড়তে স্রেফ তলিয়ে যাওয়া ছাড়া আর উপায় ছিলো কোন... কোথায় তলিয়ে গিয়েছিলাম তা আশাকরি বুঝে নেবেন...

হাটসেপসুটসের এই অনন্য সুন্দর গল্পটা জানা হলো আপনার মাধ্যমেই... দু'একটি ছবি সম্ভবত দেখেছিলাম কিন্তু আমার কাছে যেন মোড়ক খোলা প্রিয় চকোলেটের মতোই... খুবই তৃপ্তি সহকারে এর স্বাদ উপভোগ করলাম... পড়লাম আর মুগ্ধ হলাম...

নামটা মনের মাঝে মনে হয় গেঁথে গ্যাছে!

আপনার বা আপনাদের সৌভাগ্য এমন সুন্দরকে খুব কাছ থেকে বা স্পর্শ করে দেখাবার সুযোগ পেলেন বলে... আর আমার বা আমাদের সৌভাগ্য যে সেই অসাধারণ গল্পটা বা গল্পগুলো আপনার মুখ থেকে শুনতে পেলাম বলে...

জুনাপুর জন্য
শুভকামনা...

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০২

জুন বলেছেন: অদৃশ্য আপনার মন্তব্য পড়ে কিছুক্ষন চুপ করে রইলাম। আমার লেখা স্বার্থক মনে হয় যখন আপনারা প্রান খুলে তার প্রশংসা বা সমালোচনা করেন।
নামটা আমাদের মনে গাথার জন্য যে প্রশংসা তা সেই গাইডটার প্রাপ্য। কারন সে পাখি পরার মত আমাদের উচ্চারন করাচ্ছিল।
আমি দেখে এসেছি বলে লিখলাম। এটা যে কেউ দেখলেই লিখতে পারতো হয়তো । তারপর আপনাদের ভালোলেগেছে জেনে আমার নিজেরও অনেক ভালোলাগলো ।
সাথে থাকবেন সবসময় সেই আশায় থাকলাম।
শুভেচ্ছা......

৫৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৭

মুরশীদ বলেছেন: জুন আপনার ভ্রমন পোস্টগুলো পড়লে ভুলে যাওয়া অনেক কিছুই মনে পরে যায়, যা হয়তো স্মৃতির আড়ালেই চলে গিয়েছিল।
শুভেচ্ছান্তে.....

ভালোলাগা দিতে পারলাম না। তবে পোস্ট ভাললাগলো অনেক। বিশেষ করে ছবিগুলো ।
+++++

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০০

জুন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সবসময় উৎসাহ দিচ্ছেন লেখার ব্যাপারে । বিভিন্নভাবেও সাহায্য করছেন তার জন্য।
ভালো থাকুন সবসময় আর সাথে থাকুন নিরন্তর :)

৫৪| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০০

মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: আবারো চমৎকার একটা ভ্রমন পোস্ট। বরাবরের মতই অনবদ্য বর্ণনা।

শুধু একটা জায়গায় একটু খটকা লাগলো - "রাজা দ্বীতিয় টুথমিস ১৪৯১ অব্দে মৃত্যুবরন করেন" আমার জানামতে দ্বিতীয় টুথমিস খ্রীস্টপূর্ব ১৪৭৯ সালে মারা যান।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৭

জুন বলেছেন: আপনার প্রতি রইলো অশেষ কৃতজ্ঞতা আমার ত্রুটিটুকু ধরিয়ে দেয়ার জন্য। অনেক ঝুট ঝামেলা আর দোলাচলের মধ্যে আমার এই লেখা। বার বার ড্রাফটে নেয়া আর এডিট করা সেই সাথে দারুন ক্রিটিক্যাল ইজিপ্টের সে সময়ের ইতিহাস আমার মাথাটা এলোমেলো করে দিয়েছিল। আর নামগুলো একই হওয়ায় এটা আরো বেশি হয়েছিল।
আশা রাখি সবসময় সাথে থেকে ভুল ত্রুটি গুলো ধরিয়ে দেবেন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা মুদ্রা সংগ্রাহক :)

৫৫| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫২

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ব্যাপক পোস্ট আপু... :)

+++

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১০

জুন বলেছেন: তোমাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ জহির । তা এখন কি অবস্থা ? আর নতুন কোথাও যাওনি ? যেখানে আছো সে জায়গা নিয়েও তো একটা পোষ্ট দিতে পারো আমরা জানতে পারি কেমন আছো। সেই ব্লগার পুরাতনের মত পোষ্টগুলো । আচ্ছা পুরাতনের হলো কি ? অনেক দিন কোন খবর নেই।

৫৬| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৩

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: আমি আরো ভাবলাম আপনি রাণীরে মমিত্তে টাইনা উঠাইলেন কিনা ;) ;)

এত বড় পোস্ট আটল ব্লগের পাতায় ?

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫১

জুন বলেছেন: চেষ্টা করতে পারি তানিম তুমি যদি সাহস দাও। আমি কায়রো মিউজিয়ামে কত্ত যে মমি দেখলাম তার কোন ইয়াত্তা নেই।
আমিও তাই ভাবছি কি করে আটলো এই বিশাল পোষ্ট :)
ভালো থেক তানিম ।

৫৭| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৬

রাতুল_শাহ বলেছেন: আজকে একটি সেক্রেট সোস্যাইটি ও ব্ল্যাক ম্যাজিকের পর্বে রাণীর ব্যাপারে কথা শুনলাম। তিনি কি ব্ল্যাক ম্যাজিক বা মাইন্ড কন্ট্রোল এর সাথে যুক্ত ছিলেন?

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০২

জুন বলেছেন: রাতুল অনেক খুশী হোলাম আবার আসার জন্য। ব্ল্যাক ম্যাজিক সেই প্রাচীন যুগ থেকে মধ্য যুগ পর্যন্ত সব দেশেই বহুল প্রচলিত ছিল। ডাইনী তন্ত্র যাদু বিদ্যা এসবের ব্যাপক প্রচলন ছিল তখন। আসামের কামরূপ কামখ্যার কথা শুনতাম মানুষকে যাদু করে সেখানকার ডাইনীরা ভেড়া বানিয়ে রাখতো :P
সুতরাং প্রাচীন মিশরের ক্ষমতাশালী ব্যাক্তিবর্গ বা রাজা রানীরা তাদের ক্ষমতাকে ধরে রাখার জন্য ব্যাপক প্রচলিত এই বিদ্যার ব্যাবহার অসম্ভব কিছু নয়।
আবারও ধন্যবাদ :)

৫৮| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৪

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আপু, চাকরি নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। তাই লেখার মুড পাই না। কোথাও গেলে উইক এন্ডে কিছু একটা লিখে ফেলার চেষ্টা করি...

গত সপ্তাহে হামেদান গিয়েছিলাম। আশা করি কালকে লিখব সেটা নিয়ে। আর দিনপঞ্জি লেখার একটা করা যায়, কিন্তু দিন শেষে আর কিছু লিখার ইচ্ছে হয় না... :| :|

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৩

জুন বলেছেন: ব্যাস্ততার ফাকে ফাকেও আমাদের জন্য কিছু লিখো জহির। হামাদান এর গল্প শুনতে চাই :)

৫৯| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৮

ধুম্রজ্বাল বলেছেন: লেখা টা আবার পড়লাম। আমার হানিমুনের কথা মনে পড়লো।
কারনাক টেম্পলের লাইট এন্ড সাউন্ড শো টা খুব ভালো লেগেছিল।
ভালো লেগেছিল লুক্সর-আসওয়ান "নাইল ক্রুজ" পিরামিজা নামের একটা ফ্লোটিং ৫ তারকা'র হোটেলের পরিসেবা।

প্রায় প্রতিটা জায়গায় আমার স্ত্রী কে তারা ইজিপশিয়ান ভাবতো আর আমি পেতাম জামাই'র আদর।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৬

জুন বলেছেন: যাক আপনার হানিমুনের কথা মনে পরলো আমার লেখা পোষ্ট পড়ে শুনে খুব ভালোলাগলো। আর ইজিপশিয়ান ভাবীর কথা শুনেও খুব খুশী হোলাম। আমাদের জাহাজ টাও পাঁচ তারকা ছিল। সবই দেখেছি কিন্ত এতই বিভোর ছিলাম যে ব্লগের জন্য ছবি তোলার কথা সবসময় খেয়াল থাকে নি ।
অশেষ ধন্যবাদ ধুম্রজ্বাল আবার এসেছেন বলে ।আশা করি আপনার অভিজ্ঞতা নিয়েও কিছু লিখবেন সেই অপেক্ষায় রইলাম ।

৬০| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩২

ফারজুল আরেফিন বলেছেন: ৭ম ++++++++

মমি'র ছবি আর নাই?

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৯

জুন বলেছেন: আরো মমি দেখতে চাইলে নেটে দেখতে পারো আরেফিন। আমরা কায়রো মিউজিয়ামে অসংখ্য মমি দেখে এসেছি কিন্ত সেখানে ছবি তোলা বারন। কঠোর তল্লাসীর ভেতর দিয়ে ঢুকতে হয় যেন কেউ ক্যামেরা না নিতে পারে। তাই নেট ভরসা এই ক্ষেত্রে।
কি করে প্লাস দিচ্ছ ? আমি তো পারছি না :(
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।

৬১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫২

ফারজুল আরেফিন বলেছেন: প্লাসের সমস্যা আমার এখনো হয়নি! B-)

আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। :)

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৬

জুন বলেছেন: তাই নাকি আরেফিন আমিতো এই সমস্যায় জর্জরিত :(
ধন্যবাদ আবার আসার জন্য :)

৬২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৩

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: ওসাম!! ওসাম!! টুকটাক জানতাম পড়া সুত্রে, আজ এটা পড়ে তাই আরও ভালো লাগলো আপু ।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৩

জুন বলেছেন: সোনিয়া ফেবুতে না দেখলে ভাবতাম কোন অজানায় উড়াল দিলে বুঝি। আজ এসেছো আমি দারুন খুশী হয়েছি। আমার পোষ্ট তোমার ভালোলেগেছে জেনে অনেক খুশী হোলাম। লিখোনা কেন আর ? অনেক মিস করি তোমাকে ব্লগে ।

৬৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১৩

রাতুল_শাহ বলেছেন: ব্ল্যাক ম্যাজিক আর মাইন্ড কন্ট্রোল নিয়ে একটা পোষ্ট দেন।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫২

জুন বলেছেন: দেখবো চেষ্টা করে রাতুল।
আমি অনেকদিন আগে একবার ভেবেছিলাম এবিষয়টি নিয়ে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ :)

৬৪| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪০

মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: আপু - বয়সে আমি আপনার থেকে ছোট হব, আপনি না বলে তুমি বললে অস্বস্তি থেকে মুক্তি পাই।

যতবার মিশর যাওয়ার প্ল্যান করি, ততবারই কোন না কোন গন্ডগোল লেগে যায়। এখন ফেব্রুয়ারীতে'১৪ তে যাওয়ার প্ল্যান করছি। আশা করছি পরিস্থিতি অনেকটাই শান্ত হয়ে যাবে ততদিনে। আপাতত লোনলি প্ল্যানেট পড়ছি আর স্থান/ভ্রমন প্ল্যান/বাজেট ঠিকঠাক করছি।

নীলনদে যে ক্রুজ গুলো হয় তা দেখলাম ৩ ধরণের ১. ফেলুচ্চা, ২. বড় ক্রুজ শীপ আর ৩. দাহাবিয়া। লোনলি প্ল্যানেট/ট্রিপ অ্যাডভাইজার সবাই দেখলাম দাহাবিয়া কে বেস্ট অপশন বলছে। কারণ এটা পালবাহিত বলে কোন শব্দ নেই, রাতের বেলায় আইল্যান্ডগুলিতে মুরিং করে আর কিছু সরু সরু অংশে যেখান দিয়ে ক্রুজশীপ যেতে পারে না সেদিক দিয়ে যেতে পারে। অসুবিধা হল এরা ক্রুজশীপ এর মত অত ফাস্ট না আর বেশ এক্সপেন্সিভ। বড় একটা সুবিধা হল ক্রুজশীপের চেয়ে যেহেতু যাত্রী সংখ্যা অনেক কম তাই বিভিন্ন জায়গা দেখার জন্য ফিক্সড টাইম বেঁধে দেয়না আর বেশ ফ্লেক্সিবল। ক্রুজের মত রাত্রীকালীন কোন বিনোদনের ব্যবস্থা অবশ্য এতে পাওয়া যাবেনা। দাহাবিয়াতে আকাশের তারা দেখে আর কোলাহলবিহীন নদীর কোন একটা জায়াগায় বাতাসের গান শুনে কাটাতে হবে। এতে অবশ্য আমার কোন আপত্তি নেই। নীচে সনেসটা গ্রুপের দাহাবিয়া র লিংক দিলাম।

Click This Link

যেহেতু দাহাবিয়া বেশ এক্সপেন্সিভ, তাই শিওর হতে পারছিনা, এটা আসলেই ওয়ার্থ কিনা।

আপনি যদি এ ব্যপারে আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করতেন, খুব ভাল হত।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০০

জুন বলেছেন: আপনার লিঙ্ক দেখলাম মুদ্রা সংগ্রাহক।আমি যেহেতু সাতার জানিনা তাই কোন রিস্ক নেইনি, বড় ক্রুজ শিপেই গিয়েছি । এডভেঞ্চারের জন্য আপনার দাহাবিয়া খুব ভালো মনে হলো। তবে আমাদের শিপ যখন প্রথম বারের মত লুক্সরের শেরাটন হোটেলের জেটি ছেড়ে যায় তখন লাঞ্চ টাইম আমরা খাচ্ছিলাম।অনেক পরে টের পেয়েছি জাহাজটি চলা শুরু করেছে।
আমরাও লোনলি প্ল্যানেটের সাহায্য নিয়ে অনেক ট্যুর করেছি । তবে ইজিপ্টের ব্যাপারটা ছিল পুরোই অন্যরকম। এক হোটেল মালিকের সব প্ল্যান করা ছিল।

আপনার লাষ্ট পোষ্টে আমাদের শিপের ছবি সহ বিবরণ দিয়ে এসেছি একটু কাইন্ডলি দেখে নেবেন।

৬৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৫

দীপান্বিতা বলেছেন: অসাধারণ!......কবে এ সব দেখতে যাব! +++++ :)

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৬

জুন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ দীপান্বিতা মন্তব্যের জন্য । অনেক দিন পর পুরোনো মানুষ দেখে অনেক ভালোলাগলো :)
নিয়মিত লিখবে আশাকরি।

৬৬| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১২

সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: এখন ? এখন আমি তোমারে হিংসা করি ? প্রিয়তে না নিয়ে উপায় নাই সাথে গাদাগাদা হিংসা । X((

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৬

জুন বলেছেন: হিংসা তিতির :-* :-*
তুমি না ফেসবুকে আমাকে কত লাইক করো :| :|

অনেক অনেক ধন্যবাদ তোমাকে :)

৬৭| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৬

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: দারুণ লাগলো। অনেক সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন আর ছবিগুলোও চমৎকার। আপনার চোখ দিয়েই অনেক খানি দেখে এলাম।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:০৮

জুন বলেছেন: স্বাগতম আমার ব্লগে নাভিদ কায়সার রায়ান ।
শুনে খুব ভালোলাগলো আমার পোষ্ট আপনার ভালোলেগেছে জেনে।
ভবিষ্যতেও সাথে থাকবেন আশাকরি ।
শুভেচ্ছা রাত্রির .....।

৬৮| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৪

গোর্কি বলেছেন:
ছোটবেলায় সম্ভবত পঞ্চম শ্রেণীতে সমাজ বিজ্ঞান বইতে পিরামিড এর ওপর একটি প্রবন্ধ পাঠ্য ছিল আমার। সেই থেকে মাথার ভেতর মিশর নামক দেশটির কথা গেঁথে যায়। শেষমেষ আল্লাহর অসীম কৃপায় বড় বেলায় সুযোগ এসে যায় দেশটি ভ্রমণের। এটা একটা বিশাল সৌভাগ্যের ব্যাপার। আপনার মত আমিও সৌভাগ্যবানদের খাতায় নাম লিখিয়েছি। দেশটিতে ভ্রমণ অভিজ্ঞতা থাকায় বর্ণনা পড়ে এবং মনোমুগ্ধকর ছবিগুলো দেখে আরাম পেলাম। মনটা প্রশান্তিতে ভরে গেল। লুক্সর ভ্রমণকালীন নিজের তোলা কয়েকটি ছবি শেয়ার করলাম।


ভ্যালী অফ কিংস-এ প্রধান প্রবেশ পথ।

দেবরাজ আমন-রা কে উৎসর্গীত হাটসেপসুট মন্দিরের দুপাশে পাহাড়ের গুহার মধ্যে সন্ন্যাসীরা বসবাস করত।

মৃত নগরীর পশ্চিম থেকে নীল্ নদের ওপর দিয়ে পূর্বে পাড়ি দিচ্ছি।

বন্ধু পাহারাদার স্ফিংস-দের মধ্য দিয়ে কার্নাক মন্দিরের প্রবেশ পথ।

ঈদ মোবারক এবং আন্তরিক শুভেচ্ছা জানবেন। ভালো থাকবেন সবসময়।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৯

জুন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ গোর্কি আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য । আপনার দেয়া ছবির দেখে সেখানে তোলা আমাদের ছবিগুলোর কথা মনে পরে গেল । আবু সিম্বল নিয়ে আমার আলাদা একটা ছবি ব্লগই আছে । সময় করে দেখতে পারেন :)

Click This Link

৬৯| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৩

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: আমার লেখাটা দেয়ার আগে আপনার লেখাটা ফলো করার প্রয়োজন ছিল। আশা করি পরের লেখাগুলোতে চেস্টা করব আপনার লেখাগুলো তুলে আনতে।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:০৯

জুন বলেছেন: স্বাগতম আমার ব্লগেbashor_17 :)
কি যে বলেন আমার লেখা তুলে দেয়া !
আপনি যথেষ্ট ভালো লিখেন এতে কোন সন্দেহ ই নেই ।
মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.