নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

The best and most beautiful things in the world cannot be seen or even touched - they must be felt with the heart---Helen Keller

জুন

ইবনে বতুতার ব্লগ

জুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সেন্ডাই, ধ্বংসস্তুপ থেকে উঠে আসা জাপানী শহর -- আমার ছেলের চোখে

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৫



মানচিত্রে সেন্ডাই

১৯৪৫ সালের ৬ই অগাষ্ট দ্বীতিয় মহাযুদ্ধের সময়, হিরোশিমা আর নাগাসাকি জাপানের দুটি শহর মিত্র বাহিনীর আনবিক বোমার আঘাতে এক মুহুর্তে ধ্বংসস্তুপে পরিনত হয়েছিল, এটা সবার জানা।তবে আজ বলবো মানুষ সৃষ্ট বিপর্যয়ের কথা নয়,এটা প্রকৃতির সৃষ্টি । সমুদ্র থেকে ধেয়ে আসা জলোচ্ছাস একটি শহর কিভাবে ধ্বংসস্তুপে পরিনত করে এটা দেখেছে সেই জাপানবাসীরাই আরেকবার ২০১১ সালে।



বাসে করে সেন্ডাই শহর অভিমুখে

১১ই মার্চ ২০১১ স্থানীয় সময় ২.৪৬ জাপানের রাজধানী টোকিও থেকে ৪০০ কিমি দূরে সমুদ্রতীরবর্তি শহর সেন্ডাই। মানুষ যে যার মতন কাজে ব্যাস্ত।কল কারখানায় ব্যাস্ত শ্রমিক, বেচা বিক্রির পর দোকান পাটে চলছে দোকানীদের মধ্যানহকালীন খাবার পর্ব, জেলেরা সমুদ্রে মাছ ধরছে নিশ্চিন্তমনে। ঠিক এমনি সময় সারা শহরটি মনে হয় কেঁপে উঠলো।



সমুদ্র আর পাহাড়ের মাঝে সেন্ডাই

যদিও বহু আগে থেকেই তাদের এলাকাটি প্রায় টলে ওঠে হাল্কা ভাবে। কিন্ত এবার আর হাল্কা নয়, ১৩০ কিমি পুর্ব দিকে সমুদ্রে উৎপন্ন এক ৯ মাত্রার প্রচন্ড ভুমিকম্প আঘাত হানলো সেন্ডাই সহ তার আশেপাশের এলাকায় তার সর্ব শক্তি দিয়ে।যা ছিল ১৯০০ সালের পর পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ ভুমিকম্প আর জাপানের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ংকরতম।



বাসের জানালা থেকে তোলা সমুদ্র তীর

মোট আটটি প্লেটের উপর আমাদের মহাদেশগুলোর অবস্থান। এই প্লেটগুলো সবসময়ই তাদের স্থান পরিবর্তন করে চলছে।বিশেষজ্ঞদের মতে ভাসমান প্রশান্ত মহাসাগরীয় প্লেটটি উত্তর আমেরিকা এবং ইউরেশিয়ান প্লেটের নীচে এসে ধাক্কা দেয়ার ফলশ্রুতিই ছিল এই ভয়াবহ ভুমিকম্পের কারন।



কার যেন বাড়ী,সুনামীর ভয়াবহ স্মৃতি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে

ইউ এস জিওলজিক্যাল সার্ভের মতে সমুদ্র পৃষ্ঠের ২৪.৪ কি.মি গভীরে এই ভুমিকম্পের উৎপত্তি হয়। প্লেটগুলোর ঘর্ষনে সেখানে ছোট ছোট মাত্রার ভুমিকম্প হচ্ছিল অনেক আগে থেকেই। কিন্ত ১১ ই মার্চ জাপান উপকূলের অদুরে ৯ মাত্রার প্রচন্ড ভুমিকম্প সৃষ্টি হলে সমুদ্র থেকে ধেয়ে আসে সুনামী নামে পরিচিত সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস, আঘাত হানে প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলের সর্বত্র । কিন্ত লন্ডভন্ড করে দেয় জাপানের সেন্ডাই শহর।



সেন্ডাই শহর

পাহাড় সমান উচ্চতার সেই সামুদ্রিক ঢেউ সুনামী একের পর এক আঘাত হানতে থাকে আধখানা চাঁদের আকারের মত দেখতে সমুদ্রের দিকে ঢালু জাপানী ভুভাগ যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল সেই নিরিবিলি শান্তসিষ্ট শহর সেন্ডাই ।



প্রবল বেগে ধেয়ে আসছে সমুদ্রের গ্রাস

সর্বোচ্চ ৩৩ ফিট উচু এই জলোচ্ছাস ভাসিয়ে নিয়ে যায় প্রবল স্রোতে সমুদ্র বন্দর থেকে বিমান বন্দর।নিমিষে ভেঙ্গেচুড়ে ভাসিয়ে নিতে থাকে সমুদ্র তীর ঘেষে সৃষ্ট বনায়ন কর্মসুচীর গাছপালা থেকে বাড়ীঘর, কল কারখানা সেই সাথে মানুষ জন। একদা কর্মব্যাস্ত কোলাহল মুখর একটি শহর হয়ে পরে জঞ্জালের স্তুপ।



বাসের জানালা দিয়ে দেখা যাচ্ছে সুনামীর ক্ষত

সেন্ডাইএর নাটোরি নদীর মধ্যে দিয়ে প্রায় ১০ কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে পড়ে সমুদ্রের নোনা জল।লবনাক্ত হয়ে পরে সেখানকার বিস্তীর্ন এলাকা।সরকারী হিসাব মতে প্রায় ১০,০০০ এরও বেশি মানুষ মারা যায় এই ভয়ংকর সুনামী নামের প্রকৃতির নির্মম থাবায়।



সুনামীর স্মৃতি বুকে নিয়ে আস্ত বাড়ীটি উলটে পড়ে আছে

তবে বেসরকারী হিসেবে মৃতের সংখ্যা আরো অনেক বেশী। হাজার হাজার গৃহহীন আতংকিত সেন্ডাইবাসীরা যারা অপরূপ সুন্দর রুচিশীল ঘরবাড়ীতে বসবাস করে এসেছে যুগ যুগ ধরে, তারা এসে উঠলো সরকারী আশ্রয় কেন্দ্রে।



ধ্বংস স্তুপের মাঝে এক সব হারানো মেয়ের কান্না

খাবার, পানীয় জল, বিদ্যুত এবং যানবাহনের অভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে সমগ্র শহরবাসী।মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ে অনেকেই।



সমুদ্রগামী বিশাল জাহাজ চলে এসেছিল ডাঙ্গায়



সেই জাহাজ এখন ভয়ংকর সেই সুনামীর স্মৃতিস্মারক হিসেবে সংরক্ষিত

তবে এই সুনামীর আঘাতে সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটলো যেটা সেটা হলো সেন্ডাইএর কাছে ফুকোশিমুর দুটো নিওক্লিয়ার পাওয়ার স্টেশন ভয়ংকর ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া। যেখান থেকে এখনো তেজস্ক্রীয় বিকিরন চলছে যা এখনো বন্ধ করা সম্ভব হয়নি।যদিও সেখানে কর্মরত ইঞ্জিনিয়াররা বলছে এই চুইয়ে পড়া তেজস্ক্রীয় পদার্থ থেকে জানমালের কোন ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। কিন্ত এও কি বিশ্বাসযোগ্য!



সুনামীর স্মৃতি

মনুষ্য বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে পরিবেশ।দুষিত হয়ে পড়ছে খাবার পানি।ক্যান্সারের মত ভয়াবহ রোগের আশংকা বেড়ে চলেছে ক্রমাগত।শুধু তাই নয় সমুদ্র তীরবর্তী এই পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে সমুদ্রের পানিতে মিশে যাচ্ছে তেজস্ক্রীয় পদার্থ।ফলে হুমকীর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন সামুদ্রিক জীব যার উপর নির্ভর করে আছে সেন্ডাই এর বিপুল সংখ্যক জনগন যারা মাছ ধরা আর প্রক্রিয়াজাতকরনের সাথে জড়িত।



মাছ প্রক্রিয়াজাতকরনের সাথে জড়িত কিছু

এছাড়া সুনামীর আঘাত শহরের অধিকাংশ এলাকার ঘর বাড়ী গাছপালা উপড়িয়ে নিয়ে গিয়েছিল সমুদ্রে।সেই জঞ্জালের পাহাড় সমুদ্র আবার ফিরিয়ে দিয়ে গেছে সেন্ডাই শহরে।সেসব পরিষ্কার করাও জাপান সরকারের জন্য এক বিশাল চ্যালেঞ্জ।



সেন্ডাই এয়ারপোর্ট

সেই সাথে সেখানকার আতংকিত জনগনকে কি ভাবে আবার পুনর্বাসন করা যায় তা নিয়ে চলছে বিস্তর গবেষনা। কারো কারো মতে পুরো সমুদ্র তীর ধরে উচু দেয়াল বানিয়ে দিলে আর পরে এমন বিপদ হবে না।



দেয়ালে আঁকা ভয়াবহতার চিত্র বাসের জানালা দিয়ে

এই অবাস্তব প্রস্তাবে অনেকেরই আপত্তি বিশেষ করে সেখানকার সমুদ্রে মাছ ধরা জেলে সম্প্রদায়ের ।তাদের চাই খোলা সমুদ্র তীর।



খোলা সমুদ্র তীর

তাদের এই অভিনব এবং আজগুবী চিন্তা ভাবনার কথায় মনে পড়লো রবি ঠাকুরের জুতা আবিস্কার কবিতাটির কথা।যেখানে রাজার পারিষদরা রাজার পায়ে যেন ধুলো না লাগে তার জন্য অনেক চিন্তা ভাবনার পর বুদ্ধি দিয়েছিল সারা পৃথিবী চামড়া দিয়ে ঢেকে দেয়ার । তখন এক মুচীকে ডাকা হলে সে বলেছিল:

‘নিজের দুটি চরণ ঢাকো, তবে

ধরনী আর ঢাকিতে নাহি হবে’

তেমনি সেই রাজার পারিষদদের বুদ্ধি দেয়াল দিয়ে তীর ঘিরে ফেল আর সুনামী আঘাত করার পর হাতে ৬ মিনিট সময় পাবে।কিন্ত এই সংক্ষিপ্ততম সময়ে কত জন নিরাপদ আশ্রয়ে যাবার সুযোগ পাবে ?

এই সেই তিন স্তর বিশিষ্ট পাথুরে দেয়ালের কিছু অংশ

কেউ বা বলছে পাহাড়ের উপর জনগনকে ঘর বাড়ী বানিয়ে দেয়ার জন্য, অত উচুতে জলোচ্ছাস উঠতে পারবেনা।

নানা মুনির নানা মত চলছে এখনো।



ভেঙ্গে পড়ে আছে বিল বোর্ড

সেন্ডাই এর স্থানীয় জনগন অনেকের সাথে আলাপ করে আমার ছেলে জানতে পেরেছে তাদের অনেকেই এখনো সেই আতংক কাটিয়ে উঠতে পারেনি । স্থানীয় টাউন হলে কর্মরত সরকারী কর্মচারীরা সবাই সেই ভয়ংকর সুনামীতে ভেসে গিয়েছিল।একজনও বাচেনি সমুদ্রের রোষ থেকে।একজন কর্মচারী ঢেউয়ের তোড়ে ভেসে গিয়ে বিল্ডিং এর এক লোহার শিকে আটকে যায় । কিন্ত শেষ রক্ষা হয়নি। জ্যাকেটটা আটকে থাকে কিন্ত তাকে ভাসিয়ে নিয়ে যায় সেই তীব্র স্রোত।



লোহার শিকে আটকে থাকা এই সেই জ্যাকেট।

অনেকে ভয়ে সেই এলাকা ছেড়ে চলে যেতে চায়,যেতে চায় নিরাপত্তার জন্য,কিন্ত স্থানত্যাগের সরকারী অনুমতি মিলছে না।প্রিয়জনকে হারিয়ে কয়েকজন আত্মহত্যা করেছে বলেও শোনা যায় বিভিন্ন মাধ্যমে।



আবার আস্তে আস্তে জেগে উঠছে শহর পুরোনো রুপে

তারপরও জাপান সরকার আপ্রান চেষ্টা করছে ক্ষতিগ্রস্তদের পুরনো জীবনে ফিরিয়ে দেয়ার। কি ভাবে খুব শীঘ্রই তাদের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা যায় সেই কৌশল উদ্ভাবন করতে আলাপ আলোচনা করছে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের সাথে ।



ভেঙ্গে চুড়ে থাকা ঘর বাড়ী

সরকারের সাথে সেখানকার বিভিন্ন কল কারখানার কর্মকর্তারাও চেষ্টা করে যাচ্ছে সেখানকার জনগনের পুনর্বাসনের ব্যাপারে। উল্লেখ্য সেখানে জাপানের বেশ কিছু গাড়ী নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের নির্মান কারখানাও রয়েছে।ধ্বংস প্রাপ্ত সেই শহরের এক কর্মচারী দেখাচ্ছিল প্রকৃতির ভয়াবহ তান্ডবের স্থির চিত্র।



সেই বিল্ডিং এর উপর সমুদ্র থেকে উঠে এসেছিল জাহাজ

সেখান থেকে ঘুরে এসে আমার ছেলের মুখে শোনা সেন্ডাইবাসীর করুন কাহিনী আর তার তোলা ছবি দিয়ে আজকের ব্লগ।



সমুদ্র উপকূলে সামাজিক বনায়ন আজ ধ্বংসের মুখে





নিহতদের স্মরণে ফুল



১, ৭, ১০,১১,১৪,১৬ নেট থেকে, বাকি সব ছবি আমার ছেলের তোলা

মন্তব্য ৭৮ টি রেটিং +১৯/-০

মন্তব্য (৭৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন ,

বাহ... আগে দেখেছি ছেলের চোখে সমুদ্রের নিলীমা , আজ দেখছি আর এক সমুদ্দুরের ধ্বংশলীলার ছবি ।
সুন্দর , মা ও ছেলের এমোন জোড়াটি ।

ভালো থাকুন দু'জনেই ।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৯

জুন বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আহমেদ জী এস আপনি এত সুন্দর মন্তব্য করেন যে আমি ভাবতে বসি কি হবে এর যোগ্য উত্তর। হু ভালৈ বলেছেন মা ছেলের জুটি। দোয়া করবেন যেন এমনি আদর আর স্নেহে, শ্রদ্ধায় আর ভালোবাসায় আমাদের বাকী জীবন কেটে যায় ।
শুভেচ্ছা রাত্রির .....

২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪১

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আল্লাহ আমাদের সবাইকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে হেফাজত করুন, আমিন।

সেদিন বললেন ভিয়েতনাম বাদ দিয়ে চীনের দিকে... এখন দেখছি আপনার ছেলে জাপানেও, আল্লাহ জানে শেষ পর্যন্ত কোন দেশ থেকে বউ ঘরে আনবে, তবে সুবিধা হল, একই রকম রান্না শিখলেই মনে হচ্ছে চলে যাবে, এদের খাদ্যাভ্যাস এ খুব একটা তফাৎ নেই মনে হয়... ;) ;) :P :P

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৭

জুন বলেছেন: ঠিক বলেছো জহির আল্লাহ আমাদের সহায় হোউন।
যেখান থেকেই আনুক আমার আপত্তি নেই । আজ কাল বৌরা শশুর শাশুড়ীর সাথে থাকে না আর আমিও চাইনা ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধরে কাউকে ধরে রাখতে। তবে কথা হলো কি আমার ছেলের এখনো বিয়ে করার মত বয়স হয়নি। এখনো পড়াশোনা করছে । অতদিন বাচি কিনা সন্দেহ :(
অসংখ্য ধন্যবাদ সবসময় সাথে থাকার জন্য, শুভেচ্ছা জেনো :)

৩| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৮

সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: মন বিষণ্ণ হয়ে যায় ! :(

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৬

জুন বলেছেন: ঠিক বলেছেন তিতির। মুহুর্তে সর্বহারা হয়ে ভয় আর আতংকগ্রস্ত মানুষরা চরম অনিশ্চিয়তাময় এক জীবনের সামনে দাঁড়ানো ভাবতেই কষ্ট হয়।
অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য আর শুভেচ্ছা রাত্রির ......

৪| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৭

মামুন রশিদ বলেছেন: প্রলয়ংকরি সুনামীর ধ্বংসচিত্র দেখে বেদনার্থ হলাম ।


তবে পু্ত্রের চোখের সাথে মায়ের হাত মিলে দারুণ মননশীল হয়ে উঠলো লেখাটি । ছবির পাশাপাশি বর্ণনা অসাধারণ :)

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৮

জুন বলেছেন: দোয়া করো মামুন মা ছেলের বন্ধন যেন অটুট থাকে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য :)

৫| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন ,

বাহ... আগে দেখেছি ছেলের চোখে সমুদ্রের নিলীমা , আজ দেখছি আর এক সমুদ্দুরের ধ্বংশলীলার ছবি ।
সুন্দর , মা ও ছেলের এমোন জোড়াটি ।

ভালো থাকুন দু'জনেই ।


সত্যি দারুন।কবে যে বিয়ে করবোআর কবে নিজের সন্তান হবে ।আর সন্তানের চোখের দেখা নিয়েএমন ভাবে লিখতে পারতো। ধন্যবাদ মাতাজি। খুব ভাল লেগেছে।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২১

জুন বলেছেন: আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার মজার একটি মন্তব্যের জন্য। দোয়া করি শিজ্ঞির মহান আল্লাহতায়ালা আপনার মনের ইচ্ছা পুরন করুন :)

৬| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: লিখতে পারবো হবে ছরি। :)

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২১

জুন বলেছেন: 8-|

৭| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০১

টুম্পা মনি বলেছেন: ওয়াও! চমৎকার! অনেক ইনফরমেটিভ পোষ্ট। অজস্র ভালো লাগা।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৪

জুন বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ টুম্পামনি মন্তব্যের জন্য ।

৮| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১২

মুরশীদ বলেছেন: সেন্ডাই এ সুনামীর ধ্বংসলীলা দেখলাম ছেলের চোখে আর কাহিনী শুনলাম তার মা এর মুখে । সুন্দর পোষ্ট ভালোলাগলো অনেক, তবে অন্য কারনে।
++++++

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৭

জুন বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ পোষ্ট পড়া আর মন্তব্য করার জন্য ।

৯| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪২

রাতুল_শাহ বলেছেন: সেই সময়টাতে আমাদের এক স্যার জাপানেই ছিলেন। তিনি সুন্দর ছবি সহ সুন্দর একটা লেখা দিয়েছিলেন।

অনেক ভিডিও দেখেছি।

পোষ্টে ভাল লাগা রইলো।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৮

জুন বলেছেন: সবসময় সাথে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ রাতুল ।

১০| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১০

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: খুব চমৎকার আরেকটি পোষ্ট আপু !
প্রকৃতির নির্মম পরিহাস !

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:২৫

জুন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে স্বপ্নবাজ অভি ।

১১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১১

মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: চমৎকার একটি ছবি ব্লগ।
মা ছেলের অভাবনীয় উদ্যোগ।

জুনাপি, কবিতা নয় মিলের চেষ্টা করলাম আরকি। যারপরনাই চমৎকার। এরপরের পোস্টের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।

আর হ্যাঁ ভালো থাকবেন, সব সময়।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:২৬

জুন বলেছেন: দোয়া করবেন আমার ছেলের জন্য যেন একজন প্রকৃত মানুষ হয়, আর কিছু চাইনা সজীব।
অনেক শুভকামনা .....

১২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১৯

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
জাপানের এই প্রাকৃতিক ধ্বংসযজ্ঞ ব্যথা দিয়েছিল একটু বেশিই।
এই আমাদের দেশটায় তাদের বন্ধুর মত পাশে থাকা জেনে আসছি জন্ম থেকে। এ কারনেই জাপানের ভালো থাকাটা কামনা করি একটু বেশি।
পোস্ট ভালো লেগেছে।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:২৮

জুন বলেছেন: তা ছাড়াও অনাকাংখিত মৃত্যু সেটা যেখানেই হোক অনেক কষ্টদায়ক দুর্জয়।
মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ।

১৩| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪৪

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: সুন্দর পোস্ট!

সুনামির সময় কি আপনার ছেলে জাপানে ছিলেন?

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩২

জুন বলেছেন: না সুনামীর সময় নয় মাসুদ ও গিয়েছিল এ বছর অগাষ্টে। ইন্টারন্যাশনাল প্রোগ্রাম অফ সাস্টেনিবিলিটি প্রোগ্রামে টোকিও ইউনিভার্সিটি / নিশান কোম্পানীর আমন্ত্রনে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ।

১৪| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:১১

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: বলার অপেক্ষা রাখেনা এ এক ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ। অবাক হয়েছিলাম ডিজাস্টার পরবর্তী সেখানকার মানুষজনের ডিসিপ্লিন দেখে। চমৎকার লাইন ধরে ত্রাণ নিচ্ছে, উদ্বাস্তু শিবির গুলোতে সকলের কঠিন নিয়মানুবর্তিতা শৃঙ্খলা ও পরিচ্ছন্নতা দেখে। আমার ধারণা জাপানীরা বলেই এমনটা সম্ভব হয়েছিল নইলে অন্য কোন অঞ্চলে এমন বিপর্যয়ের পর এতটা শৃঙ্খলা কোনভাবেই থাকতো না।

মা ছেলের সম্মিলিত পোষ্টে অনেক ভালোলাগা :)

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৮

জুন বলেছেন: জাপানীরা অনেক ভদ্র অনেক সুশীল জাত। তবে প্রয়োজনে কিছু কিছু মানুষ কত হিংস্র হয়ে উঠতে পারে তা দেখা যায় দ্বীতিয় মহাযুদ্ধের সময়।
ভালোলাগার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ কুনো :)

১৫| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৪৬

মাহবু১৫৪ বলেছেন: আপা, আপনার পোস্টগুলো পড়ে কেমন ভাবে যেন হারিয়ে যাই আমি।

খুব মন খারাপ করে দেয়ার মত পোস্ট। সেন্ডাই বাসীর কষ্টের সীমা নেই।

তারপর ও এই ভয়াবহতা থেকে যানি তারাতারি উঠে দাড়াতে পারে সেই কামনাই করি।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫০

জুন বলেছেন: সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ মাহবু ১৫৪
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ।

১৬| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৫৮

প্রিন্স হেক্টর বলেছেন: সুনামী :|

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫১

জুন বলেছেন: হু সুনামী :(

১৭| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৩২

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:

প্রলয়ংকরি সুনামীর ধ্বংসচিত্র দেখে বেদনার্থ হলাম । :( :(

ছবির সাথে বর্ণনা অনেক সুন্দর করে দেওয়া হয়েছে। মা ছেলের সম্মিলিত পোষ্টে অনেক ভালোলাগা।


পোষ্টে ++++++++++


২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫২

জুন বলেছেন: প্রাকৃতিক বিপর্যয় সব সময়ের জন্য কষ্টদায়ক স্নিগ্ধ শোভন ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ।

১৮| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৪৩

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
খুব ভাল্লাগসে পোস্টটা ||

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫৩

জুন বলেছেন: স সময় সাথে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ইমরাজ কবির মুন

১৯| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪২

ড. জেকিল বলেছেন: আমাদের কখনো যেন এইরকম পরিস্থিতিতে পড়তে না হয়। সত্যি এই রকম পরিস্থিতি থেকে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা খুব কষ্টের। এমনও হয়তো আছে যে, তার সহায়-সম্বল, আত্নীয়-স্বজন সব কিছুই হারিয়ে ফেলেছে। এই কষ্ট মনে করাও অসম্ভব।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫৬

জুন বলেছেন: সত্যি অনেক দুঃখজনক ডঃ জেকিল। আমাদের দেশেও যত প্রাকৃতিক বিপর্যয় হয়েছে তার ক্ষত আমরা এখনো কাটিয়ে উঠতে পারিনি। আর সেই ভয়াবহতা লক্ষ লক্ষ মানুষ নির্মম মৃত্যুর শিকার যা মনকে ভারাক্রান্ত করে তোলে ।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ।

২০| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১২

সায়েম মুন বলেছেন: আপনার পোস্টের মাধ্যমে সেন্ডাই এর ঘটনা জানতে পারলাম। পোস্টে অনেক ভাললাগা রইলো। ভাল থাকবেন আপু।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০০

জুন বলেছেন:

এ ঘটনাটি টিভিতে দেখিয়েছে মুন। আমরা সারাদিন এত বিপর্যয় দেখি টিভিতে যে আমাদের এখন আর এসব মনে দাগ কাটেনা, অনুভূতিগুলো কেমন যেন ভোতা হয়ে গেছে।
তুমিও অনেক ভালো থেকো মুন।

২১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৩

কয়েস সামী বলেছেন: আপনার পোস্টগুলো পড়লে অনেক কিছু জানা যায়! ধন্যবাদ আপি!

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০০

জুন বলেছেন: আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ কয়েস সামী ।

২২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫২

তোমোদাচি বলেছেন: আপা, অনেক সুন্দর লিখেছেন!

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪০

জুন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ তোমোদাচি ভালোলাগার জন্য ।
আমার ছেলে জাপান যাবার আগে আমি আপনার কোন পোষ্টে মনে হয় বলেছিলাম একথা তাইনা ?
শুভেচ্ছা জানবেন :)

২৩| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৪

সরকার আলী বলেছেন: ঘটনার দিনক্ষণে ল্যাবে ছিলাম। ভূমিকম্প-প্রতিরোধী বিল্ডিংটাকে মনে হচ্ছিল যেন দোলায়মান বৃক্ষশাখা। এমন ভয় ও আতঙ্কগ্রস্থ হয়েছিলাম যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম প্রফেসরকে না বলে পালিয়ে দেশে চলে যাব।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪২

জুন বলেছেন: আমার ছেলে যখন সেন্ডাই এ অগাষ্ট মাসে তখনো একটা ভালো রকম ভুমিকম্পের অভিজ্ঞতা হয়েছে তাদের। যদিও জাপানের জন্য সেটা তেমন উল্লেখযোগ্য ছিল না :(
অনেক ধন্যবাদ সরকার আলী আমার ব্লগে আসা আর মন্তব্যের জন্য ।

২৪| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

অনবদ্য একটি পোস্ট। জুন আপু গ্রেট এবং আপনার ছেলের প্রতি নিরন্তর শুভকামনা রইল।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৪

জুন বলেছেন: কান্ডারীর জন্যও রইলো অনেক অনেক ধন্যবাদ পোষ্ট পড়া, মন্তব্য করা অর্থাৎ সবসময় সাথে থাকার জন্য :)

২৫| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৭

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: ফাটাফাটি ছবি ব্লগ ।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৫

জুন বলেছেন: প্রত্যাবর্তন@ মন্তব্যের জন্য আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ :)

২৬| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪২

শ্যামল জাহির বলেছেন: আনবিক বোমার আঘাত; জলোচ্ছ্বাস(সুনামি); ভুমিকম্প!
রাহু যেন গ্রাস করে আছে জাপানকে জোঁকের মত। তবুও; প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠার প্রচেষ্টা থেমে নেই ওদের।

ছবির সাথে সাথে সুন্দর বর্ণনায় ফুটে উঠেছে 'সেন্ডাই, ধ্বংসস্তুপ থেকে উঠে আসা জাপানী শহর'।

শুভ কামনা।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৭

জুন বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ শ্যামল জাহির । এত প্রতিকূলতা সত্বেও জাপানীরা অনেক এগিয়ে শীর্ষ ধনী দেশের একটি। অত্যন্ত সৎ আর পরিশ্রমী জাতি।
আপনার জন্যও রইলো অজস্র শুভকামনা।

২৭| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪২

অদৃশ্য বলেছেন:




জুনাপু

চমৎকার সব ছবি ও আপনার সাবলীল বর্ননায় লিখাটি দারুন লেগেছে... ব্যপারটা দারুন যে আপনার ছেলে সব দেখে এসে আপনার সাথে গল্প করলো, ছবি দেখালো... আর আপনি তা গভীরভাবে অনুভব করলেন সেইসাথে তার চমৎকার প্রকাশের মাধ্যমে আমাদের সাথেও শেয়ার করলেন...

সেন্ডাই এর ঘটনার পর অনেকদিন পর্যন্ত টিভি নিউজ আর খবরের কাগজের উপর চোখ রেখেছিলাম... বিশেষ করে নিওক্লিয়ার পাওয়ার স্টেশনের ঘটনাটা সারা বিশ্বেই ব্যপকভাবে আলোড়ন সৃষ্টি করে... কিছু মানুষ সম্ভবত ভেতরে আটকা পড়ে গিয়েছিলো তাদের শেষমেষ কি হয়েছিলো জানা নেই... আর একদল সাহসী গবেষক/ যোদ্ধা ধ্বংস হওয়া প্লান্টের ভেতরে প্রবেশ করেছিলো বা করতে চেয়েছিলো যেন নিওক্লিয়ার সেলগুলো কোনভাবে বেশি ছড়াতে না পারে তার ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য... এরকম আরও অনেক কিছুই...

তবে আপনার লিখাতে ওদের শেষের দিকের চিন্তাভাবনাগুলো উঠে এসেছে যা আমার একেবারেই জানা ছিলোনা... খুব সুন্দর উপস্থাপনা আপনার

শুভকামনা...

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৪

জুন বলেছেন: আমরাও দেখেছিলাম সেসময় তারপর স্মৃতির আয়নায় ধুলো পরে ফিকে হয়ে এসেছিল তা। কিন্ত এবার যখন আমার ছেলে গেল টোকিও ইউনিভার্সিটির আমন্ত্রনে এক ওয়ার্কশপে তখন ওর মুখ থেকে শুনলাম আবার আর ওর ক্যামেরায় তোলা ছবি দেখে । যে জাহাজটির ছবি দিয়েছি তার চারিদিকটা এখন পরিস্কার করে সেটা সুনামীর স্ম্বৃতি হিসেবে সাজিয়ে রেখেছে।
ওরা তো সেখানকার কমিউনিটির লোকজনের সাথে অন্তরঙ্গ আলাপ করার সুযোগ পেয়েছিল। তাই কিছু কিছু জেনেছিল তবে ভাষা সমস্যাটা বিরাট ছিল।
অনেক অনেক ধন্যবাদ অদৃশ্য সব সময় সাথে থাকার জন্য ।

২৮| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৬

নেক্সাস বলেছেন: চমৎকার সব ছবি ও আপনার সাবলীল বর্ননায় লিখাটি দারুন লেগেছে...

মা ছেলের জন্য শুভকামনা

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৭

জুন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ নেক্সাস। আপনার দ্রুত সুস্থতার জন্যও রইলো আমার আন্তরিক দোয়া আর শুভকামনা ।

২৯| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৭

অ্যানোনিমাস বলেছেন: পোস্টে ভালোলাগা রইলো জুনাপি :)

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:১৩

জুন বলেছেন: ভালোলাগার জন্য অ্যানোনিমাসকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আর শুভকামনা রাশি রাশি :!>

৩০| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৭

বাউন্ডুলে রুবেল বলেছেন: শেষের দিকের ফুলগুলো দেখে মনটা কেমন যেন কেঁদে উঠল। কেমন যেন একটা শূন্যতা। মানুষ এভাবেই মরে যায় তাই না? হঠাত করেই। বুঝে উঠার আগেই। কত অসহায় আমরা।

সুন্দর পোষ্ট আপু। আপনার ছেলেকেও ধন্যবাদ জানাবেন।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:১৭

জুন বলেছেন: আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ বাউন্ডুলে রুবেল ।যার মাঝে এত মানবতাবোধ সে কি করে বাউন্ডুলে হলো বুঝলাম না :(
সত্যি নিরপরাধ অসহায় মানুষ সে যে দেশেরই হোক করুন মৃত্যু সব সময় দুঃখজনক ।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আর শুভকামনা জানবেন ...।

৩১| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২১

শায়মা বলেছেন: কি ভয়ংকর!!!


প্লেন আর গাড়িগুলি মনে হচ্ছে খেলনার মত ।

চারিদিকে ভাংচুর। কি ভয়াবহ অবস্থা!!!

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:১৯

জুন বলেছেন: উপর থেকে তোলা ছবিগুলো দেখে সত্যি মনে হয় খেলনা শায়মা।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আর রাতের শুভেচ্ছা নিও....।

৩২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৩

আরুশা বলেছেন: আপু এই বিধ্বংসী সুনামীর ছবি দেখে মন খারাপ হয়ে গেল। তারপরও আপনার পোস্ট আর ছেলের জন্য রইল শুভকামনা .।।।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:২২

জুন বলেছেন: আপনাকেও অনেকদিন পর দেখে খুব ভালোলাগলো আরুশা।
প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মানুষের এ ভাবে করুন মৃত্যু সত্যি দুঃখজনক। আমাদের উপকুলেও এভাবে অনেক সাইক্লোনে লক্ষ লক্ষ মানুষ এক রাতের মধ্যে নিঃশ্চিনহ হয়ে গেছে। আর এখন সুন্দরবন ধ্বংস হলে তো আর কথাই নেই।
যাই হোক আপনাকে অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। শুভরাত্রি।

৩৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৭

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ‘নিজের দুটি চরণ ঢাকো, তবে
ধরনী আর ঢাকিতে নাহি হবে’।
তেমনি সেই রাজার পারিষদদের বুদ্ধি দেয়াল দিয়ে তীর ঘিরে ফেল আর সুনামী আঘাত করতে পারবে না। কেউ বা বলছে পাহাড়ের উপর জনগনকে ঘর বাড়ী বানিয়ে দেয়ার জন্য, অত উচুতে জলোচ্ছাস উঠতে পারবেনা।


-আমি তো সেই ছেলেবেলা থেকেই বলে আসছি জাপানিরা কেন জাপানেই থাকে। আরেকটা দেশে বা সমুদ্র থেকে আরো দূরে থাকতে পারে।

মাতা-পুত্রের যৌথ ব্লগ ভালো লাগলো বেশ।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:২৬

জুন বলেছেন: বুদ্ধিমান লোকের অভাব কোন দেশেই কম নেই। তারপর তারা বিভিন্ন বুদ্ধিমানদের বুদ্ধি নিয়ে যাচাই বাছাই করে সেখানকার লোকদের মতামত নিয়ে তারপর সবচেয়ে যেটা টেকসই সেটাই প্রয়োগ করে। আমাদের দেশের মত নয় জুলিয়ান সিদ্দিকী কু বুদ্ধির প্রয়োগ দেশ চুলোয় যাক নিজের আখের গোছাতে পারলেই হলো ।
আমরা কেন অন্য দেশে জন্ম হোলামনা বা সুন্দরবন কেন অন্য দেশে হলোনা এটাই আমার এক জিজ্ঞাসা ?
মন্তব্যের জন্য আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা রাত্রির.....

৩৪| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৩৮

কালীদাস বলেছেন: যেই লোকগুলানরে ভিত্রে রাইখা সিল কইরা দিছিল রিয়্যাক্টর এলাকা, এদের পরিণতি নিয়া পরে আর কোন কথা কুথাও পাই নাই।

রুপপুররে নিয়া ডরাই। এইটাও নাকি দুইটা প্লেটের জয়েন্টের উপরের এলাকা।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৩

জুন বলেছেন: এমন কিছু হলে তার জবাব কোনদিনও পাওয়া যায় না কালীদাস। সরকার তার ইমেজ বাচানোর জন্য নগন্য কিছু মানুষের জীবন মূল্যহীন।
মনে আছে নিশ্চয় ব্যারেন্ট সাগরে ডুবে যাওয়া সেই কুরস্কের হতভাগ্য নৌ সেনাদের কথা।
যাক অনেকদিন পর আপনাকে আমার ব্লগে দেখে অনেক ভালোলাগলো। আশাকরি অনেক ভালো আছেন। শুভেচ্ছা রইলো ..

৩৫| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৮

সিদ্ধার্থ. বলেছেন: জাপানিরা অদ্ভুত ।না আছে দারুন ইতিহাস ,না আছে প্রাকিতিক সম্পদ ,তবে বেশ কিছু প্রাকিতিক ভোগান্তি আছে ।তাও জাত টা তর তর করে এগিয়ে চলেছে ।এদের দেখলে আমার অবাক লাগে ।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২১

জুন বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন সিদ্ধার্থ। কাল ই আমার ছেলে বলছিল তাদের ওখানে যত জাপানী স্টুডেন্ট আছে তাদের প্রত্যেকে পড়ালেখা করছে সেই বিষয়েই যা তারা আগে থেকেই নির্ধারন করে রেখেছে সেটা কোথায় প্রয়োগ করবে। তাদের কে কতৃপক্ষ নজরে রেখেছে পাশ করা মাত্র তাদের নিয়োগ দেয়ার জন্য। অত্যন্ত পরিশ্রমী এবং বিনয়ী একটি জাতি।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। অনেকদিন পর আপনাকে দেখলাম মনে হলো। কিছু লিখছেন না কেন ?

৩৬| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৪

সুমন কর বলেছেন: শেষে বেশী সব গুলো সুন্দর !! তবে পড়ে মনটা খারাপ হয়ে গেল। এই নিয়ে একটা সুন্দর ইংলিশ ছবি আছে। দেখতে পারেন, ভাল লাগবে। আমি দেখেছি। আর আপনি যদি দেখে থাকেন, তাহলে তো হল। মুভিটির নাম: The Impossible (2012) ।
ভাল থাকবেন।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৯

জুন বলেছেন: আমি ফুকেটের উপর আঘাত করা সুনামী নিয়ে ছবিটা দেখেছি সুমন কর।
আপনারটা দেখতে হবে। তবে আপনি প্রথম লাইনটা কি লিখেছেন বুঝিনি।
মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ।

৩৭| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪০

সুমন কর বলেছেন: আমি খুবই দুঃখিত। ১ম লাইনটা ভুলে, ভুল পেস্ট হয়ে গেছে।
ওখানে শুধু সুন্দর হবে। ভালো থাকবেন।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৪০

জুন বলেছেন: আমিও দু:খিত সুমন কর এতদিন পর ভুল সংশোধনীটি চোখে পড়ার জন্য :`>

৩৮| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:০১

মলাসইলমুইনা বলেছেন: আমাদের রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প যেটার কথাটা চলছে রাশান সাহায্য নিয়ে করার -তার ব্যাপারে আমি এই ভয়টাই পাই | এখনকার মরা পদ্মা থেকেতো শুকনো মৌসুমে আর প্রয়োজনীয় পানিই হয়তো পাওয়া যাবে না এটমিক রিএক্টরগুলো কুল করার জন্য |তখন ফুকুসীমার মতো অঘটন না ঘটে যায় ! আপনার ছেলেকে বলবেন সে ফটোগুলো খুবই সুন্দর তুলেছে | আর ওকে বলবেন যেন আপনাকে বলে, আপনার লেখা ভালো হয়েছে |

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৬:২৬

জুন বলেছেন: আপনার আমার মত দেশের সবার মত যদি আমাদের কর্তাব্যাক্তিরা বুঝতো তাহলে তো কাজই হতো মলাসইলমুইনা। তবে তারা বোঝে না এটা বল্বো না , আসলে তারা ইচ্ছে করেই বোঝে না কারন নিশ্চয় আপনার অজানা নেই ।
অবশ্যই আমার ছেলেকে বলবো । দোয়া করবেন ওর জন্য যেন মানুষ হতে পারে ।
অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর এবং প্রাসংগিক একটি মন্তব্যের জন্য । আর একটাই কারন সেটা হলো খুব মনযোগী পাঠক আপনি ।
শুভকামনা সকালের ।

৩৯| ১৭ ই জুন, ২০১৯ রাত ৮:৫৫

রাকু হাসান বলেছেন:

জাপানের এই ভয়াবহ সুনামির কথা পড়েছি নানান মাধ্যমে । কিন্তু আমার সহ ব্লগার যে সেন্ডাই নিয়ে স্মৃতিচারণ মূলক ছবি ব্লগ লিখে রেখেছে জানতাম না । অস্বীকার করার সুযোগ নেই ,পৃথিবীর ইতিহাসে জাপানের েএই ভূমিকম্প থেকে সৃষ্ট সুনামি ভয়ঙ্কর তম ।
বর্ণনা + ছবিতে প্লাস না দিয়ে উপায় নেই । :) । স্বাস্থ্য কেমন আছেন দাদু B-)

১৮ ই জুন, ২০১৯ রাত ৯:৪৭

জুন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য রাকু হাসান ।

স্বাস্থ্য কেমন আছেন দাদু B-) B:-)
বুঝলাম্না কি বলতে চাইলেন :-*

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.