নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

The best and most beautiful things in the world cannot be seen or even touched - they must be felt with the heart---Helen Keller

জুন

ইবনে বতুতার ব্লগ

জুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে সেক্টর ২ রণাঙ্গনে সক্রিয় অংশগ্রহনকারী এক বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বহস্তে লেখা দিনলিপি। (মহান স্বাধীনতা দিবস এর শুভেচ্ছা সবাইকে )

২৫ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:৩১



আমাদের দেশের বর্তমান তরুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ দেখে নি। দেখার কথাও নয় তাদের। মাঝে কেউ কেউ হয়তো শুনেছে জেনেছে শুধু স্বাধীনতা তথা পাক বাহিনীর হাত থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য আমাদের সেই সব তরুন যুবক যুবতীদের দৃপ্ত কঠোর কঠিন সংগ্রামের কথা । এখন তারা গভীরভাবে জানতে চায় আমাদের এই মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সঠিক ইতিহাস টুকু । সে সময়কালের বাঙালী মননে এই স্বাধীনতার আকাঙ্খা কতোখানি তীব্র হয়ে উঠেছিল । তারাও অনুভব করতে চায় সে আকাঙ্খার গভীরতা, তীব্রতা, সেই সময়কার গৌরবজ্জ্বল পাক সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনা সেই সব মুক্তি পাগল সেনাদের মত করেই ।

মহান স্বাধীনতা এই দিবসকে সামনে রেখে মনে হল , সে আকাঙ্খার একটি ছবি যদি আমি এঁকে দিতে পারি আমাদের তরুন প্রজন্মের চোখে তবে হয়তো তারা কিছুটা বুঝবে কিসের বিনিময়ে আমাদের এই অর্জন,আমাদের গর্ব, আমাদের এই স্বাধীন বাংলাদেশ ।

এই লেখাটি আমার নিজের লেখা নয় । সেই এক তরুন মুক্তিযোদ্ধা, যিনি আজও জীবিত। আমার অনেক দিনের অনেক অনুরোধে অনেক ব্যস্ততার মাঝেও তিনি তাঁর জীবনের গৌরবজ্জ্বল এই অধ্যায়টি লিপিবদ্ধ করেছেন। যার একটি হরফও হেরফের না করে আমি শুধু ব্লগের জন্য টাইপ করে গিয়েছি এই আশায় যে, আমার মতো আরও কেউ কেউ ওরা আসবে বলে সবকটি জানালা খুলে দেবেন, যে যার সাধ্যমতো ব্লগের পাতায় বা অন্য কোথাও লিখে লিখে।
আমি আজ যার গৌরবগাথা তুলে ধরছি তিনি হচ্ছেন গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ১৭৯০৪৫ নম্বর সনদ প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা মনসুরুল আজীম, পিতা মোঃ আবদুল আজীম, গ্রাম খিলগাঁও,পোষ্ট অফিস খিলগাঁও, থানা রমনা, জেলা ঢাকা।

মুক্তিযোদ্ধা মনসুরুল আজীমের নিজ হাতে লেখা স্বাধীনতা সংগ্রামের নয় মাস ব্যাপী যুদ্ধে তাঁর গৌরবজ্জ্বল ভুমিকার দিনলিপি :-

আমার নাম মনসুরুল আজীম তবে আপনজনরা আমাকে শফিক নামেই চেনে। ছোটবেলা থেকেই আমার খেলাধুলার প্রতি প্রচন্ড আগ্রহ ছিল। কিন্ত লেখাপড়াটাও যে জীবনের জন্য ভীষন প্রয়োজন একজন শিক্ষক পিতার সন্তান হিসেবে সে উপলব্ধিটুকু আমার সে সময় ততটা ছিল না। তবে পড়ালেখায় যে একদম অমনোযোগী ছিলাম তাও বলা যাবে না। এভাবেই হেসে খেলে জীবন চলছিল আমার।

স্কুল জীবন প্রায় শেষ পর্যায়ে, তখন হঠাৎ করেই বিশেষ করে পরিবেশগত কারনে একটা রাজনৈতিক ধারণা মনে স্থান করে নেয়। মনের ভেতর কেমন একটা বিদ্রোহী ভাব জমাট বাঁধে । বিশেষ করে একটা শ্লোগান জানিনা কখন কি ভাবে আমার মনে প্রচন্ড নাড়া দিয়ে যায়। সেই শ্লোগানটি ছিল ‘কেউ খাবে কেউ খাবে না, তা হবে না তা হবে না’। সে সময় কমিউনিজম এর এক ব্যাপক প্রভাব আমাদের দেশের মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের উপর প্রচন্ডভাবে আলো ছড়াচ্ছিল। অনেক শিক্ষিত এবং ধনী ঘরের সন্তান এই রাজনৈতিক ধারায় নেতৃত্বসহ বিভিন্ন স্তরে গভীরভাবে জড়িয়ে পড়েছিল। আর তারই ফলশ্রুতিতে আমিও ধীরে ধীরে সেই আলোতে আলোকিত হয়ে জড়িয়ে পড়লাম সক্রিয় রাজনৈতিক বলয়ে।
উনসত্তুরের গন-আন্দোলনের জোয়ারে সকল ধারার রাজনীতি এক হয়ে বাঙ্গালীর মনে যে স্বাধীনতার বোধ জন্ম দিয়েছিল তা আমাকেও গ্রাস করেছিল। যার ফলশ্রুতিতে ভারতে পাড়ি জমিয়েছিলাম দেশকে মুক্ত করার এক দৃপ্ত শপথ নিয়ে।
আমি তখন ঢাকা কলেজের ইন্টারমিডিয়েট এর প্রথম বর্ষের ছাত্র।বয়স ১৮ এর কাছাকাছি।প্রথম বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা চলছিল, অর্ধেক পরীক্ষা শেষ না হতেই বেজে উঠলো মুক্তিযুদ্ধের দামামা।আমিও নিজেকে ধরে রাখতে পারলাম না। মানসিকভাবে তৈরী হোলাম মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহনের জন্য।
কিন্ত বল্লেইতো আর যাওয়া যায়না,বাসায় জানানো মাত্র সবাই নিশ্চুপ হয়ে গেল।আমি ছিলাম চার ভাই এক বোনের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ,সবার আদরের। কিন্ত আমার মা সেই পরিস্থিতিতে আমাকে ভীষন ভাবে সহযোগীতা করেছিলেন। সেই সাথে আমার বড় দুই ভাই সার্বিক এবং বিশেষ করে অর্থনৈতিক সহযোগীতা্র হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন বলেই হয়তো সেদিন আমার সেই মুহুর্তে মহান মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ার স্বপ্ন সফল হয়েছিল। আর হয়ে গেলাম বাংলার সর্বাপেক্ষা গৌরবময় ইতিহাসের একজন সক্রিয় সাক্ষী।

মা সব ব্যাপারে প্রচন্ড সাহসী এক মহিলা বলে পরিচিত ছিলেন। মনে আছে আমার কথা শুনে মা বলেছিলেন, “ঘরের কোনায় ইদুরের মত মৃত্যু বরণ করার চেয়ে দু চারটা পাকিস্তানি মেরে মরে যাওয়াটাও অনেক সন্মানজনক”।
বলতে গেলে পরিবারের এই ইতিবাচক ভুমিকার কারনেই আমি দেশকে হানাদার বাহিনীর হাত থেকে মুক্ত করতে সক্রিয় ভুমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছিলাম। এর প্রথম ধাপ হিসেবে আমি প্রথমেই মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহনের জন্য ভারত থেকে একবার ঘুরে আসা এক বছরের সিনিয়র বন্ধু ( মুক্তিযুদ্ধের সেকটর কমান্ডার) আবদুল্লাহ হেল বাকী এবং তার সঙ্গী বাবুলের সাথে যোগাযোগ করি । তাদের উপর আদেশ ছিল আরো মুক্তিযোদ্ধা সংগ্রহ করে নিয়ে যাওয়ার। তারই ফলশ্রুতিতে আমি ও আমার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু মোস্তাকউদ্দিন লুলু মে মাসের কোন এক দিনে (তারিখটা স্মরণে নাই )বাকী ও বাবুলের সাথে ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা হই।
ঢাকা থেকে সে সময় চার জন তরুনের এক সাথে বের হওয়াটা বিপদজনক ছিল।তাই আমরা দুজন দুজন করে নিজেদের ভাগ করে নিলাম, এবং যাবার পথ নিয়ে নিজেদের মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা করে ঠিক করে নিলাম কি ভাবে কোন পথে যাবো । সকালে চারজন একত্রিত হোলাম এবং আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কিছুটা বিরতির ব্যবধানে যাত্রা হলো শুরু।

প্রথমে রিকশায় গুলিস্তান আসলাম এরপর যতদুর মনে পড়ে নারায়নগঞ্জের লঞ্চ ঘাট পৌছালাম।সেখান থেকে লঞ্চে করে নরসিংদী। এরপর সেই নরসিংদী থেকে একদম সোজা আগরতলা সীমান্তের দিকে হাটতে শুরু করলাম । প্রথমদিন যে জায়গাতে রাত হয়েছিল তার নাম নবীনগর।গ্রামের এক বাড়ীতে রাত কাটলো। তাদের সেই আন্তরিক আপ্যায়নের বর্ননা করা সম্ভব নয়।মনে আছে খাওয়া দাওয়ার পর তাদের দেয়া বিছানাতেই ভীষন ক্লান্ত আমরা শোয়া মাত্রই ঘুমিয়ে পরেছিলাম।খুব সকালে অন্ধকার থাকতে থাকতেই তাদের দেয়া চা ও মুড়ি খেয়ে রওনা হয়ে গিয়েছিলাম।কারণ লক্ষ্যে পৌছাতে তখনো অনেক পথ বাকি।

যা হোক হাটছি তো হাটছিই চলার আর বিরাম নাই। সত্যি বলতে কি এমন হাটার অভ্যাস তো কখনই ছিল না । সকাল গড়িয়ে দুপুর, দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যা, সারাদিনে এক মুঠো খাবারও জোটে নি।শুধু মনে আছে পথের মাঝে এক টিউবওয়েল পেয়ে চারজনই পানি পান করেছিলাম। বিশ্রাম নেয়ার কোন উপায় নেই, কারণ আমাদের তখনো অনেক পথ পেরুতে হবে।বাকী বারবার তাগাদা দিচ্ছিল জোরে চলার জন্য কিন্ত আমরা আর পারছিলামনা। ক্ষুধা আর ক্লান্তিতে শরীর যেন ভেঙ্গে আসছে। পা ফুলে উঠেছে। তারপর ও দেশকে মুক্ত করার এক গভীর প্রত্যয় নিয়ে হেটে চলেছি গন্তব্যের দিকে।
হঠাৎ দেখি বর্ডার আমাদের দৃষ্টিসীমার মধ্যে। সাথে সাথে সারা শরীরে একটা ভয়ের শিহরণ বয়ে গেল। কারণ আমাদের ক্ষুদ্র বুদ্ধিতে মনে হচ্ছিল সেখানে হয়তো পাকবাহিনী আছে এবং তারা দেখা মাত্রই আমাদের গুলি করবে। আবার ভারতের সৈন্যরাও তো সীমান্ত পাহারা দিচ্ছে, তাদের পক্ষেও তো আমাদের পরিচয় বোঝা সম্ভব নয়। তাদের লক্ষ্য বস্তুতেও তো পরিনত হতে পারি । সেই দোদুল্যমান ভয়ানক পরিস্থিতিতে অসম্ভব সাহসী সেই তরুন মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ্‌ হেল বাকী আমাদের প্রচন্ড সাহস যুগিয়েছিল যা ভাষায় ব্যাক্ত করা আজ আমার পক্ষে সম্ভব নয়।তারই অনুপ্রেরণায় আমরা আবার দ্বিগুন উৎসাহ নিয়ে চলতে লাগলাম এবং এক সময় ভারতের নিরাপদ মাটিতে নিজেদেরকে আবিস্কার করলাম।

যেখানে পৌছালাম সেটা বেশ বড় এক পাহাড়ের উপরিভাগ এবং সেখানে একটি কাঁচা বাজারও রয়েছে।সময় তখন যতদুর মনে পড়ে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার মত। বাকী তখন জানালো এখন আর আমাদের পাকিস্তানী ফৌজের ভয় নেই। শুনে মন থেকে এক বিশাল বোঝা যেন নেমে গেল।

প্রচন্ড ক্লান্ত আমরা চারজন শুধু চারটে ইট যোগাড় করে মাথায় দিয়ে গভীর ঘুমে ঘুমিয়ে পরেছি। সেদিনের কথা আর কোন কিছু মনে নেই।
খুব সকালে ঘুম ভাঙ্গলো লোকজনের ধাক্কাধাক্কিতে। বলছে “উঠো, উঠো আমাদের দোকান বসাতে হবে”।আস্তে আস্তে চোখ খুলে দেখি মাছের বাজারে শুয়ে আছি।
তাড়াতাড়ি উঠে নিজের ছোট্ট ব্যাগটা হাতে নিয়ে আমরা চারজন বাজার থেকে বের হয়ে দেখি আগরতলা শহরের বেশ কাছাকাছি পৌছে গেছি। ক্লান্তি এবং ক্ষুধায় তখন দাঁড়িয়ে থাকতেও পারছিলাম না।কোথা থেকে একটু পানি এনে মুখটা ধুয়েছিলাম। বাকীকে বললাম খাবারের ব্যবস্থা করতে। আমাদের সবার কাছেই কিছু কিছু টাকা ছিল কিন্ত সেতো পাকিস্তানি টাকা। সে টাকা কি এখানে ভাঙ্গানো যাবে ? না হলে কি উপায় হবে ? খোজ নিয়ে জানলাম সেই টাকা চলবে শুনে মনে আনন্দের সীমা রইলোনা।
সেই টাকায় মুড়ি আর ঘুগনি কিনে খেয়ে খোলা আকাশের নীচে ঘাসের উপর শুয়ে আবার ঘুমিয়েছিলাম প্রায় ঘন্টা দুয়েকের মত।
ঘুম থেকে উঠে এবার আমরা চারজন আগরতলা কলেজে যে মুক্তিযোদ্ধা রিক্রুট ক্যাম্প করেছিল সেখানে উপস্থিত হই। সেখানে চলছিল দুপুরের খাবারের আয়োজন। তা দেখে ক্ষুধার্ত আমরা চারজনও সেই লাইনে বসে পড়ি।কিছুক্ষন পর সবার সামনে একটা করে কাঁসার থালা দিয়ে গেল, একটু পর তাতে ভাত দিয়ে যায় একজন। বেশ কিছুক্ষন অপেক্ষার পর ডাল নামে এক বাটি পানি আসলো। এরপর তরকারী আর সেটা ছিল একটা ডিমের চার ভাগের এক ভাগ আর ছোট দু টুকরা আলু।সেই খাবারই যে কত তৃপ্তি নিয়ে খেয়েছিলাম তা আজ লিখে বোঝাতে পারবো না।
সেদিনই আমাদের রিক্রুটের জন্য একজন একজন করে ডাক পরে।আমাকে যেখানে ডাকা হয় সেখানে ছিলেন চার খলিফা নামে পরিচিত ছাত্রনেতার দুজন আঃসঃমঃ আবদুর রব এবং আবদুল কুদ্দুস মাখন।যথারীতি প্রথমদিকেই বাকীর ডাক পড়ে এবং তাকে কমান্ডার ইন চীফ গ্রুপে নিয়ে নে্যা হলো। এরপর আমার পালা।কিন্ত যেহেতু আমি ভাসানী গ্রুপের আদর্শে বিশ্বাসী তা শুনে আমাকে বাতিল করে দিল অর্থাৎ সিএনসি গ্রুপে ঢোকার যোগ্যতা হারিয়ে ফেললাম। কারণ তারা শুধুমাত্র তাদের আদর্শের তরুনদেরই প্রাধান্য দিচ্ছিল। পরবর্তীতে বাকী বহুত দেন দরবার করে ফজলুল হক মনি ভাই এর সহযোগীতায় আমাকে রিক্রুট করতে সক্ষম হয়।

এবার আমাদেরকে এনে রাখা হয় বিএস এফ ৯১ এ যেখানে আগে থেকেই আসা অনেক ছেলে ছিল। আমরা কেউই জানতাম না কোথায় আমাদের নিয়ে যাওয়া হবে আর কোথায়ই বা ট্রেনিং ক্যাম্প।সন্ধ্যায় সবার ডাক পড়লো জড়ো হবার জন্য। কাতার ধরে দাড়ালাম সবাই।সেখানে কিছু বাঙ্গালী অফিসার আমাদের উদ্দ্যেশ্যে কিছু বক্তব্য দিলেন এবং জানালেন যথাসময়ে জানানো হবে ট্রেনিং ক্যাম্প সম্পর্কে। এ ব্যপারে মনে হয় গোপনীয়তা বজায় রাখছিল তারা।আমাদের সাত আটজনের জন্য বরাদ্দ ছিল এক একটি রুম এবং সেই সাত জনের জন্য বরাদ্দ ছিল মাত্র একটি ফৌজী কম্বল।
খাবারের জন্য যেতে হবে এক কিঃমিঃ দূরে পাহাড়ের উপর এক লঙ্গরখানায়। সন্ধ্যার পর পরই সেখানে গিয়ে একটি টিনের থালা হাতে নিয়ে লাইনে দাড়াতে হতো। সেই লাইনে প্রায় হাজার খানেক লোক ছিল।খাবার ছিল মোটা চালের ভাত তাতে কখনো শুধু ডাল বা সব্জী, কখনো শুধু শুটকীর ঝোল।এই ভাবেই চলতে লাগলো দুবেলার খাওয়া।

চলবে :-
২য় পর্ব

মন্তব্য ৫৮ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (৫৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:৪৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপা
একজন সম্মানিত মুক্তিযোদ্ধা আমাদের গৌরবের সাক্ষী । উনার নিজের স্মৃতি চারন আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

মহান স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা।

২৫ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:০১

জুন বলেছেন: মনিরা সুলতানা আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ মুক্তিযুদ্ধের গৌরবজ্জল এক কৃতি সন্তানের দিনলিপি পড়তে শুরু করার জন্য ।

মহান স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা।

২| ২৫ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:৪৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুব চমৎকার একটা পোস্ট দিয়েছেন আপু। ভালো লাগছে। আপাতত চোখ বুলিয়ে গেলাম। যতটুকু পড়েছি ভালো লেগেছে।

আপু শিরোনামটা মনে হয় এমন হবেঃ

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে সেক্টর ২ রণাঙ্গনে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী এক বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বহস্তে লেখা দিনলিপি

যাই হোক কাজ শেষ করে আবার ফিরে আসছি।

২৫ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:২৫

জুন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ কাল্পনিক । শিরোনামে ভুলটা কোথায় হলো খুজে পাচ্ছি না যে :(
ধরিয়ে দিলে সুবিধা হতো । ওকে এসে পারলে একটু বলে যেও । এমন একটা পোষ্টে ভুল থাকা ঠিক না ।

৩| ২৫ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৩৪

কলমের কালি শেষ বলেছেন: চলুক মুক্তিযুদ্ধের কাহিনী শব্দের আলিঙ্গনে....

২৫ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:২৯

জুন বলেছেন: মাত্রতো শুরু ককাশে । এই স্বাধীনতার মাসেই শেষ করবো ইনশাল্লাহ :)
সাথে থাকার জন্য অশেষ ধন্যবাদ ।

৪| ২৫ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:০৮

সোহানী বলেছেন: অনেক অনেক ভালোলাগা আপু....... সাথে আছি....চলুক

২৫ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:১২

জুন বলেছেন: আপনার ভালোলেগেছে জেনে অনেক ভালোলাগলো সোহানী । অনেক দিন ধরে লেখা ছিল । না দিলে তাঁর কাছে বড্ড ছোট হয়ে যেতে হতো তাই ।
অনেক বানান বা শব্দের বিন্যাসে ভুল রয়ে গেছে হয়তো । ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৫| ২৫ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:১৬

অজানাবন্ধু বলেছেন: খুব চমৎকার একটা পোস্ট
চলুক মুক্তিযুদ্ধের কাহিনী শব্দের আলিঙ্গনে....
অনেক অনেক ভালোলাগা.................................
মহান স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা।

২৫ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:১৬

জুন বলেছেন: স্বাগতম আমার ব্লগে অজানা বন্ধু ।
সেই সব গৌরবময় দিনগুলোর সাথে জড়িয়ে থাকা মহান লোকদের কিছু কথা ভালোলাগারই তো কথা ।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ।

৬| ২৫ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:১৬

কলমের কালি শেষ বলেছেন: বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে সেক্টর ২ রনাঙ্গনে সক্রিয় অংশগ্রহনাকারী এক বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বহস্তে লেখা দিনলিপি।

;) ;)

২৬ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:৪৬

জুন বলেছেন: অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আমি দুঃখিত ককাশে । ধরিয়ে দেয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।

৭| ২৫ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৪৬

আমিনুর রহমান বলেছেন:




জুন আপু আপনাকেও স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা।


চমৎকার ধারাবাহিক একটা পোষ্ট হবে আশা রাখি। সেই সব বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বের কথা এদেশের তরুণদের দেশ প্রেমে প্রেরনা জাগায়।

২৬ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:০৩

জুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমি চেষ্টা করবো আমিনুর ওনার কথাগুলো যথাযথ ভাবে তুলে ধরতে ।
অবশ্যই যদি সত্যিকারের ইতিহাস কেউ তুলে ধরতে পারে ।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ মুক্তিযোদ্ধা মনসুরুল আজীমের পক্ষ থেকে ।

৮| ২৫ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:০১

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ আপু। মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের গৌরব অহংকার। প্রেরণা।

সাথে আছি। চলুক।

২৬ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:০৪

জুন বলেছেন: মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের গৌরব অহংকার। প্রেরণা।


অসাধারণ একটি মন্তব্যের জন্য আজীম ভাইএর পক্ষ থেকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিশেহারা

৯| ২৫ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:১৯

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী একজন সক্রিয় মুক্তিযোদ্ধার দিনলিপি তরুণ প্রজন্মের জন্য তুলে ধরায় আপনাকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। এই ধরণের উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। কারণ তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানানোর দায়িত্ব আমাদের সকলের।
মুক্তিযোদ্ধা মনসুরুল আজীমকে আমার শতকোটি সালাম। শ্রদ্ধা জানাচ্ছি তাঁর পরিবারের সদস্যদের, যারা তাকে মুক্তিযুদ্ধে যাবার উৎসাহ জুগিয়েছিল। বিশেষ করে তাঁর মাকে। এমন সাহসী এবং দেশপ্রেমিক মা বাংলার ঘরে ঘরে এখনো দরকার।
দিনলিপির প্রথম পর্বটা পড়লাম। কত কষ্ট আর ত্যাগ স্বীকার করেছে আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা তারই কিছু নমুনা উঠে এসেছে এই পর্বে। সামনের পর্বগুলোতে আরও বিস্তারিত অনেক কিছু জানা যাবে। অপেক্ষায় রইলাম। অনেক ধন্যবাদ লেখাটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। শুভ কামনা রইলো জুন।

২৭ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:০১

জুন বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ সেই বীর মুক্তিযোদ্ধার পক্ষ থেকে তার নিজ মুখে সেদিনের কথাগুলো শোনার জন্য বিদ্রোহী ।
আশাকরি উনি আপনাদের শুভেচ্ছা বার্তাগুলো দেখবেন ।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ।

১০| ২৫ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:৪৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন ,




হ্যা, নতুন প্রজন্মকে জানতে হবে; কতোটুকু মমতায় এবং কি প্রবল দেশপ্রেম নিয়ে স্বাধীনতার স্বপ্নকে সেদিনের মানুষ সব বাঁধা অতিক্রম বুকে ধারন করেছিলো । সে সময়কালের বাঙালী মননে এই স্বাধীনতার আকাঙ্খা কতোখানি তীব্র হয়ে উঠেছিল ? সেদিনের সকল বাঙালীর “মাইন্ড সেটআপ” যদি এই প্রজন্মের মানুষ কারো স্মৃতিচারন সকর্ণে শুনে বা স্বচক্ষে কোনও লেখা দেখে হৃদয়ে ধারন করতে পারে তবে এতোদিন যে বিভেদের জাল তাদের মন ও মননকে ঢেকে রেখেছিলো তা সরে যেতে পারে । যে দ্বিধা-দন্ধ তাদের বিচার বুদ্ধিকে আচ্ছন্ন করে রেখেছিলো তা দুর হতে পারে । তরুন প্রজন্ম তখন বুঝবে কিসের বিনিময়ে আমাদের এই অর্জন, আমাদের এই স্বাধীনতা ।

আমার নিজের জীবন থেকেই ছোট্ট একটা উদাহরন টানছি –

তখন সবে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করে ফেলেছি । ৭০ এর উত্তাল দিনগুলোতে আমাদের দল হাটে বাজারে গণসঙ্গীত গেয়ে বেড়াচ্ছি তখন। ২৫ মার্চের সন্ধ্যেবেলা আমার শহরেই শুরু হওয়া এমনি একটি গণসঙ্গীত আসর শেষে রাত ১০ টায় খেতে গেছি হোটেল গুলবাগ এ । ওখানে বসেই জানতে পারলাম ঢাকাতে পাক-আর্মি রাজারবাগ পুলিশ লাইন আক্রমন করেছে । গুলবাগ এর মালিক সকলের প্রিয় হক ভাই জানালেন খবরটি । হক ভাইকে অস্থির দেখাচ্ছে । আমাদের ডেকে বললেন, বাড়ী যা সবাই যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে । গান গাইলে হবেনা , রেডী হয়ে যা সবাই ।
আমরা বাসায় ফিরতে ফিরতে প্লান করে ফেললাম, সকালেই যে যার মতো করে এলাকার লোকজন নিয়ে পুলিশ লাইনের রাইফেল লুট করতে হবে । ২৬ শে মার্চ’ ১৯৭১ সালের সকাল আনুমানিক ৭ টার দিকে আমার তিন বন্ধু ( একজন আমাদের গণসঙ্গীত দলের সদস্য ) এলো অনেক দুরের তাদের বাসা থেকে সাইকেলে করে । অর্থাৎ আমাদের মতো তরুনদের সবার মাঝেই চল চল , যুদ্ধে চল ভাব । আমাকে নিয়ে যেতে এসেছে প্লান মোতাবেক পুলিশ লাইনে । পরে গেলে আর পাওয়া যাবেনা । আমার বাসা থেকে শ’খানেক গজ রাস্তা পেরিয়ে সদর রোডে পড়লেই বাদিকে ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান । দেখি সেখানে হৈ-হৈ কান্ড । আমাদের এলাকার সংসদ সদস্যের নির্দেশে লোকজন ব্যাংক লুট করছে । যুদ্ধের জন্যে আর্মস কিনতে হবে তাই ।সবাই টাকা লুট করতে ব্যস্ত । আমাদের তখন , ধ্যাত্তেরি তোর টাকা ; অবস্থা । রাইফেল চাই, রাইফেল । স্বাধীনতা আনতেই হবে । ব্যাংক থেকে মুখ ঘুরিয়ে আধ মাইল দুরের পুলিশ লাইনের দিকে সাইকেলে দৌড় ....দৌড়...দৌড় । গিয়ে দেখি পুলিশ লাইন শুনসান । কি ব্যাপার ? পরিচিত হাবিলদার আকবর আমাদের দেখে বললো , তোরা এ্যাহোন আইছো ? রাইফেল তো পাড়ার বড় বড় পোলাপাইনে লুট কইররা নেছে হেই ভোর রাইতে ।
সব আকাঙ্খা আর ইচ্ছেরা চুপসে যাবার কথা । যায়নি । রাইফেল পাইনি তো কি হয়েছে ? রাইফেল যারা নিয়েছে তাদের সাথে সাথেই তো থাকা যায় । কই গেছে তারা , বড় ভাইয়েরা ? জানলাম একদল গেছে ইস্টিমার ঘাটের দিকে আর একদল চাঁদমারীর দিকে । আবার সাইকেলে দৌড় । ইস্টিমার ঘাটে গিয়ে দেখি দুটো বালির বস্তার উপরে থ্রী নট থ্রী (৩০৩) রাইফেল বাগিয়ে কয়েকজন বড় ভাই । আমরা যেতেই বললো , এই পোলাপান তোরা এহানে কি চাও ? বললাম , “আর্মস পাই নাই, আম্নেরা নিয়া আইছেন । আমরাও থাকমু আম্নহেগো লগে ।“ থাকার অনুমতি মিললো ।
তখন আমাদের সে কি যোশ । পারলে থ্রী নট থ্রী রাইফেল দিয়ে এক্ষনি পাক-নেভীর গানবোট উড়িয়ে দেই । একজন তার রাইফেল আকাশের দিকে তাক করে আছে, ফাইটার প্লেন গুল্লি দিয়ে ফেলে দেবে । তখন কি আর জানি যে, যাদের কাছ থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনবো তাদের কাছে এই মহার্ঘ্য থ্রী নট থ্রী রাইফেল গুলতি বাঁশের সমান ?
তারপরেও এই অসম যুদ্ধে এক অসীম স্বপ্ন বুকে নিয়ে নয়টি মাসের ইতিহাস লেখা .....

লিখুন , সাথে আছি ।



২৭ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:১০

জুন বলেছেন: আহমেদ জীএস নিজের অভিজ্ঞতাটুকু শেয়ার করলেন বলে বীর মুক্তিযোদ্ধা মনসুরুল আজীমের পক্ষ থেকে প্রথমেই ধন্যবাদ জানিয়ে রাখি । আপনি ইন্টারমিডিয়েট পাশ করে ফেলেছিলেন আর উনি প্রথম বর্ষের ছাত্র , বয়সে খুব একটা ফারাক নেই । আপনার কথা অজানা রইলো, কিন্ত অত্যন্ত অভিজাত বনেদী এবং ধনী ঘরের কনিষ্ঠ সন্তান মায়ের কোল পোছা আদরের ধন এই কিশোর /যুবকের সন্ধিখনে থাকা সেই জন । সমস্ত বিলাসিতা, আদর আহল্লাদ পেছনে ফেলে দেশ মাতৃকার টানে সেই কঠোর জীবন বেছে নিয়েছিলেন কোন কিছু পাওয়ার আশায় নয়। যেমন আপনি ব্যংক লুটের দিকে না গিয়ে টাকার লোভে নিজেকে বিলিয়ে না দিয়ে গিয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধে । সত্যি আপনাদের জন্য গর্ব হয় ।
প্রাসঙ্গইক একটি সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আশাকরি আপনার অভিজ্ঞতাটুকুও সবার জন্য শেয়ার করবেন । শুভকামনা রইলো ।

১১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:০৪

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন:
কমেন্টে আমহেদ জি এস ভাইয়ের কাহিনীটা কিশোর বয়সের আবেগ নিয়ে মুগ্ধ হয়ে পড়ছিলাম। দেশের প্রতি ভালোলাগা কেউ শিখিয়ে দেয়না, স্বতস্ফুর্তভাবেই আসে। হ্যাটস অফ আহমেদ ভাই।

২৭ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:১২

জুন বলেছেন: কমেন্টে আমহেদ জি এস ভাইয়ের কাহিনীটা কিশোর বয়সের আবেগ নিয়ে মুগ্ধ হয়ে পড়ছিলাম। দেশের প্রতি ভালোলাগা কেউ শিখিয়ে দেয়না, স্বতস্ফুর্তভাবেই আসে
আপনার উক্তিটি সর্বাংশে সত্যি শতদ্রু । অশেষ ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধার পক্ষ থেকে।

১২| ২৫ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:১৯

দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনিঃশেষ শুভকামনা মুক্তিযোদ্ধা মনসুরুল আজীম।

আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ আমরা।

আপনাদের অবিস্মরণীয় ত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন দেশ।

শ্রদ্ধা জানবেন।

একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার কথা তুলে ধরার কাজে মনোনিবেশ করার জন্য শ্রদ্ধা আপনার প্রতিও জুন। অনেক।

শুভেচ্ছা।

ভালো থাকবেন। সবসময়।

২৭ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:১৫

জুন বলেছেন: আশাকরি আপনার অসাধারন মন্তব্যটি আমাদের শ্রদ্ধেয় মনসুরুল আজীম ভাইএর দৃষ্টিগোচর হবে দীপংকর চন্দ।

আমি জানিনা কতটুকু তুলে ধরতে পারবো তবে আপনাদের শুভেচ্ছা আমাকে পথ দেখাবে বলেই আমার বিশ্বাস ।
অনেক ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য ।

১৩| ২৫ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:২৪

দীপংকর চন্দ বলেছেন: শ্রদ্ধা রইলো মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ জী এস।

আপনার প্রতি শ্রদ্ধা আরো বৃদ্ধি পেলো সমৃদ্ধ জীবনকাহিনীর সামান্য অংশ জেনে।

লিখুন অপ্রকাশের অবগুণ্ঠনে ঢাকা জীবনের ঘটনাগুলো।

সত্যের সাথে পরিচয় হোক সকলের।

অনিঃশেষ শুভকামনা জানবেন।

ভালো থাকবেন। সবসময়। অনেক।

২৭ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:১৬

জুন বলেছেন: @আহমেদ জীএস । আশাকরি দীপংকর চন্দের মন্তব্য আপনার চোখে পরবে ।

১৪| ২৫ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৪৪

ফারিয়া বলেছেন: আপু আপনাকে ধন্যবাদ এমন একটা লেখা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আমাদের বীরদের ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা খুব বেশি লেখা নেই, খুব বেশি পড়ার সুযোগ হয়নি। আশা করছি প্রতিটি পর্বে নতুন কিছু শেখার সুযোগ হবে।

২৭ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:১৮

জুন বলেছেন: আমাদের বীরদের ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা খুব বেশি লেখা নেই
সত্যি এটা দুঃখজনক ফারিয়া । অনেক দেশে অনেক সামান্য ঘটনা কত ভাবে কত মহিমাময় করে তোলে তাদের জাতির সামনে । আর আমরা কি রেখে যাচ্ছি আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য ? এক বিকৃত ইতিহাস ছাড়া ।
মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ মনসুরুল আজীম ভাই এর পক্ষ থেকে । রাতের শুভেচ্ছা জানবেন ।

১৫| ২৫ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৪৬

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেললাম। ডাল নামে এক বাটি পানি... আর ডিমের চারভাগে এক ভাগ....হাহাহা!


//মা সব ব্যাপারে প্রচন্ড সাহসী এক মহিলা বলে পরিচিত ছিলেন।আমার কথা শুনে বলেছিলেন “ঘরের কোনায় ইদুরের মত মৃত্যু বরণ করার চেয়ে দু চারটা পাকিস্তানি মেরে মরে যাওয়াটাও অনেক সন্মানজনক”।//

মহিয়ষী মাকে জানাই হৃদয়ের শ্রদ্ধা!


গা চমচম করা গল্প। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম, জুনাপা :)

২৭ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:২২

জুন বলেছেন: ডাল নামে এক বাটি পানি... আর ডিমের চারভাগে এক ভাগ....হাহাহা!
আপনি হাসলেন মইনুদ্দিন ? উনি এবং সহযোদ্ধা বাকি ভাই অনেক স্বচ্ছল পরিবারের সন্তান । তারপরও পাক হানাদারদের হাত থেকে দেশকে মুক্তির জন্য অনেক কষ্টের জীবন যাপন করেছেন হাসি মুখে আর এটা তাদের কাছে গর্বের ছিল বলে উনি আমাকে বলেছেন । সত্যি ওনার আম্মার সাহসিকতা সত্যি গর্বের মত ।
মন্তব্যের জন্য মুক্তিযোদ্ধা ভাই এর পক্ষ থেকে অজস্র ধন্যবাদ ।
পরের পর্ব খুব শীঘ্রই আসছে ।

১৬| ২৬ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ৮:১৩

জাফরুল মবীন বলেছেন: এটা শুধু একজন মুক্তিযোদ্ধার দিনলিপি নয় বরং মুক্তিযুদ্ধের এক নির্ভেজাল প্রামাণ্য দলিল।মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানার এটাই এখন শেষ সম্বল।জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের উচিৎ তাদের নিজ নিজ ৭১এর দিনলিপি লিখে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে তুলে ধরা।তাঁদেরকে এ কাজে সহায়তা করতে পারে তাঁদের আশেপাশে থাকা সচেতন মানুষগুলো,যেমনটি আপনি করেছেন।প্রয়োজনে “মুক্তিযোদ্ধাদের ৭১এর দিনলিপি” নামে পেজ/ব্লগ খোলা যেতে পারে।আমরা সবাই চেষ্টা করলে এরকম অনেক তথ্যসমৃদ্ধ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণে ভরে উঠতে পারে পেজ/ব্লগটি।নতুন প্রজন্ম সরাসরি মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে খুঁজে নিতে পারবে তাদের শেকড়ের সন্ধান,পাবে দেশ মাতৃকার জন্য করণীয়’র দিক নির্দেশনা;সর্বোপরি রক্ষা পাবে মুক্তিযুদ্ধের বিকৃত ইতিহাস থেকে।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সম্মানিত মুক্তিযোদ্ধার দিনলিপি শেয়ার করার জন্য।

স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

ভালো থাকবেন বোন।

২৭ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৩৮

জুন বলেছেন: এটা শুধু একজন মুক্তিযোদ্ধার দিনলিপি নয় বরং মুক্তিযুদ্ধের এক নির্ভেজাল প্রামাণ্য দলিল।
আসলেই জাফরুল মবীন এর মধ্যে এক বিন্দুও রঙ চড়ানো হয়নি , প্রকৃতই নির্ভেজাল ।
“মুক্তিযোদ্ধাদের ৭১এর দিনলিপি” নামে পেজ/ব্লগ খোলা যেতে পারে।আমরা সবাই চেষ্টা করলে এরকম অনেক তথ্যসমৃদ্ধ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণে ভরে উঠতে পারে পেজ/ব্লগটি।নতুন প্রজন্ম সরাসরি মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে খুঁজে নিতে পারবে তাদের শেকড়ের সন্ধান,পাবে দেশ মাতৃকার জন্য করণীয়’র দিক নির্দেশনা;সর্বোপরি রক্ষা পাবে মুক্তিযুদ্ধের বিকৃত ইতিহাস থেকে।
এমন ভাবনা আমিও ভেবেছি বিশেষ করে আহমেদ জীএস, দীপংকর চন্দ , শতদ্রু সহ আরো অন্যান্যদের মন্তব্য থেকে । হলে সত্যি খুবই ভালো হতো ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ এই বীর মুক্তিযোদ্ধার পক্ষ থেকে ।
শুভেচ্ছা আপনার জন্যও রইলো ।

১৭| ২৬ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:৪০

দীপান্বিতা বলেছেন: মহান স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা ....খুব ভাল লাগল...

২৭ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৩৬

জুন বলেছেন: দীপান্বিতা স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা আপনার জন্যও মনসুরুল আজীম ভাই এর পক্ষ থেকে । মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।

১৮| ২৬ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:১৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন ,





আপনার এই “সবকটি জানালা খুলে দাওনা…….” জাতীয় পোষ্টের দারুন প্রয়োজন আজ ।

বর্তমানে কথিত মুক্তিযোদ্ধাদের নাম শুনে বা তাদের কার্য্যকলাপ দেখে নতুন প্রজন্মের মনে “মুক্তিযুদ্ধের চেতনা” সম্পর্কে একটা বৈরী আর নেতিবাচক ভাব তৈরী হওয়াই স্বাভাবিক । মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তিগুলোও এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে বিভ্রান্ত করছে আজকের প্রজন্মকে । মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভেতরে লাভক্ষতির হিসেবে ঢুকিয়ে দিয়ে যাবতীয় ফায়দা লুটছে ।

আজকের প্রজন্মের কাছে আমার শুধু এই বার্তাটুকুই পৌঁছানো যে, সেদিন আপামর সাধারন মানুষ , আই রিপিট – “আপামর সাধারন মানুষ” কোনও নিজস্ব লাভক্ষতির দিকে তাকায়নি। তাদের একটাই চেতনা ছিলো – পাকিস্তানের উপনিবেশিক নিষ্পেষন থেকে মুক্তি , পাকিস্তানের দাসবৃত্তি থেকে নিস্কৃতি । মুক্ত স্বদেশে মুক্ত বাতাস বুক ভরে টেনে নেয়ার আকুতি । এই চেতনা কোনও ক্রমেই কারো উস্কানিতে হয়নি , হয়েছে স্বতঃষ্ফুর্ত ভাবেই । তাই ফায়দা লোটার জন্যে আপনি আজ সেদিনের “আপামর সাধারন মানুষ” কে মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকেট নেয়ার লাইনে পাবেন না । আগেও ছিলেন না । তারা সার্টিফিকেটের জন্যে বসে নই, প্রয়োজনও নেই । বরং তারা বর্তমান প্রজন্মকে একটি স্বাধীন দেশের মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে পারার সার্টিফিকেট দিয়ে গেছেন নিজেদের জীবন বাজী রেখে । যেমন দিয়ে গেছেন এই পোষ্টের লাজুক এক মুক্তিযোদ্ধা,মনসুরুল আজীম, । নিজের নামের পাশে “মুক্তিযোদ্ধা” এই ছাপটি লাগাতেও যার আনীহা ।
এরকম নিভৃতচারী মুক্তিযোদ্ধা আপনারা পাবেন প্রতিটি ঘরে ঘরে । আজ যদিও তাদের সংখ্যা ক্ষয়িষ্ণু তারপরেও তারা অমর , জীবনে মরনে ।

ব্লগার শতদ্রু একটি নদী এবং দীপঙ্কর চন্দকে বলি – আমি আপনাদের ধারনার রাইফেল হাতের মুক্তিযোদ্ধা নই । সেদিন বাঙলার সকল মুক্তিকামী মানুষের মধ্যে আমিও একজন । আজও তাই । এই হোক আমার পরিচয় ।

ধন্যবাদ আপনাকে জুন , এতো কথা বলার একটি জানালা খুলে দিয়েছেন বলে ।

২৮ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:২২

জুন বলেছেন: জী এস আপনি ঠিকই ধরতে পেরেছেন উনি এক নিভৃতচারী মুক্তিযোদ্ধা যার নিজের অংশগ্রহন করা গৌরবের কথাটুকুও বের করার জন্য আমাকে জোর করতে হয়েছে বিশেষ করে পরবর্তী পর্বে কয়েকটি অপারেশনের কথা।
আপনিও একজন মুক্তিযোদ্ধা জেনে অনেক ভালো লাগলো আশাকরি আপনিও আপনার অভিজ্ঞতার কথা লিখে জানাবেন সত্যিকারের ইতিহাস এই প্রজন্ম সহ পরবর্তী প্রজন্মকেও ।
অসাধারন এক মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।

১৯| ২৬ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:৩৩

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: রাইফেল হাতের মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার দরকার নাই। সবাই মুক্তিযোদ্ধা হইতে হবে এমন কোন কথা নাই। দেশের জন্য অকৃত্তিম টান ছিলো এইটাই বড় ব্যাপার।

দেশে মানুষ ছিলো ৭ কোটির বেশি, ১ কোটি চলে গেছিলো ভারতে, সার্টিফাইড মুক্তিযোদ্ধা মনে হয় ২-৩ লাখ ছিলো। তার মানে এই না যে বাকীরা দেশের স্বাধীনতার জন্য কিছু করেনাই। ধরেন কেউ জানতো মুক্তিযোদ্ধারা এখন কই আছে, রাজাকারেরা জিজ্ঞেস করার পর সে ভুল তথ্য দিয়া বিভ্রান্ত করলো। সেও কিন্তু সেইসব দিনের সংগ্রামের একটা পার্ট।

ধন্যবাদ।

২৯ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:৫০

জুন বলেছেন: শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: রাইফেল হাতের মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার দরকার নাই। সবাই মুক্তিযোদ্ধা হইতে হবে এমন কোন কথা নাই। দেশের জন্য অকৃত্তিম টান ছিলো এইটাই বড় ব্যাপার।


আপনার কথাটি অত্যন্ত খাটি শতদ্রু । অনেকেরই হয়তো প্রচন্ড ইচ্ছে ছিল কিন্ত সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহন করতে পারে নি বিভিন্ন কারনে । তবে তাদের প্রতি রইলো অশ্রদ্ধা যারা এই গোরবময় সংগ্রামকে নিজেদের সুযোগ সুবিধার জন্য অপব্যবহার করছে ।
মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ সেই মনসুরুল আজীম ভাই এর পক্ষ থেকে ।

২০| ২৬ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:৫০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আপনাকেও স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জুনাপি। চমৎকার শেয়ার । দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অনেক মুক্তিযুদ্ধা নিদারুন অবহেলায় ।তাদের ইতিহাস হয়তো বিলুপ্তির পথে । অথচ দেশের স্বাধীনতা লাভে তাদের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ।

২৯ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:৫৬

জুন বলেছেন: তাদের সেই অবদানকে সামনে আনতে হবে সন্মান জানাতে হবে তাদের গৌরবজ্জ্বল ইতিহাস আজকের প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে হবে সেলিম আনোয়ার যার যার অবস্থান থেকেই । তারা সবাই যে সার্টিফিকেট দিয়ে অন্যায় সুযোগ সুবিধা নিচ্ছে না সেটা তুলে ধরতে হবে ,
মন্তব্য আর সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ । সাথে থাকুন আগামীতেও ।

২১| ২৭ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৩:৪৩

মহান অতন্দ্র বলেছেন: খুব চমৎকার পোস্ট আপু।

২৯ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:৫৭

জুন বলেছেন: পোষ্টটি পড়া আর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ মহান অতন্দ্র ।
সাথে থাকুন আগামিতেও সেই আশায় .।.।।।
শুভেচ্ছা সকালের ।

২২| ২৮ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৩

ঢাকাবাসী বলেছেন: খুব সুন্দর ভাল লাগার পোস্ট। আপনাকে ধন্যবাদ।

২৯ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:৫৯

জুন বলেছেন: ভালোলাগলো জেনে আমারও অনেক ভালোলাগছে ঢাকাবাসী ।
সাথে থাকুন ভাই । অনেক ধন্যবাদ

২৩| ২৯ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:৫৫

এহসান সাবির বলেছেন: ২য় পর্বে গেলাম আপু।


++++++

২৯ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:০০

জুন বলেছেন: আচ্ছা সাথে থেকো সাবির সামনের পর্বগুলোতেও ।
শুভেচ্ছা জেনো সেই বীর মুক্তিযোদ্ধার পক্ষ থেকে ।

২৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:২৫

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ভাল লাগল আপু, শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:২২

জুন বলেছেন: জহির তোমাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের এই সব সুর্য সন্তানদের ইতিহাস পড়ার জন্য । শুভকামনা রইলো বাড়ীর সবার জন্য ।

২৫| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:৫৫

সুমন কর বলেছেন: উনার দিনলিপিটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। তরুণ প্রজন্মদের এসব সত্যিকার মুক্তিযোদ্ধাদের কাহিনী জানতে হবে।

মনে আছে আমার কথা শুনে মা বলেছিলেন, “ঘরের কোনায় ইদুরের মত মৃত্যু বরণ করার চেয়ে দু চারটা পাকিস্তানি মেরে মরে যাওয়াটাও অনেক সন্মানজনক”।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:৩৮

জুন বলেছেন: পোষ্টটি পড়া আর মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ সুমন কর ।

২৬| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


"সে সময় কমিউনিজম এর এক ব্যাপক প্রভাব আমাদের দেশের মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের উপর প্রচন্ডভাবে আলো ছড়াচ্ছিল। "

-কম্যুনিজম সম্পর্কে উনার ধারণা ছিল না; উনি হয়তো 'সোসয়ালিজমের' কথা বলতে চেয়েছিলেন।

০৫ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:২৬

জুন বলেছেন: হয়তো স্যোশালিজম চাঁদগাজী। আশাকরি পুরো ৫টি পর্ব পড়বেন ধৈর্য ধরে সেই আশায় থাকলাম। আর আপনাদের মত সুর্যসন্তানদের মন্তব্যে আর সমৃদ্ধ হয়ে উঠুক লেখাটি এই প্রত্যাশায়।

২৭| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:



" এবার আমাদেরকে এনে রাখা হয় বিএস এফ ৯১ এ যেখানে আগে থেকেই আসা অনেক ছেলে ছিল। "

-এখান থেকে আমাদের বাহিনীর জন্য গোলা-বারুদ এনেছি আমরা।

০৫ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:২৭

জুন বলেছেন: অনেক ভালোলাগলো জেনে চাঁদগাজী। সত্য জানুক এ প্রজন্ম।

২৮| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৪১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বাকী সম্ভবত ধরা পড়েছিলেন পাকিবাহিনীর হাতে, না?

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৪৬

জুন বলেছেন: না বাকী ভাই পাক বাহিনীর হাতে ধরা পড়েনি, পড়েছে হানাদারদের দোসর রাজাকারদের হাতে।
আমার প্রিয় একটি পোষ্ট পড়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন।

২৯| ২৬ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:৪৫

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: জুন আপু! লেখা পড়লুম!
কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছিলাম!
ইশ্! আমি যদি যোদ্ধা হতুম!!;)

সে সময় কমিউনিজম এর এক ব্যাপক প্রভাব আমাদের দেশের মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের উপর প্রচন্ডভাবে আলো ছড়াচ্ছিল।
--ঠিক!
ঐ সময়ে ঢাবির বেশীরভাগ ছাত্র কমিউনিজমে বিশ্বাসী ছিল!:)

২৬ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:৫৫

জুন বলেছেন: লেখাটি পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ মন্ডল সাহেব । পুরো চারটি পর্বই পড়েছেন আশাকরি ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.