নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

The best and most beautiful things in the world cannot be seen or even touched - they must be felt with the heart---Helen Keller

জুন

ইবনে বতুতার ব্লগ

জুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

পিশাচ গল্প, কিছু সত্যি, কিছু কল্পনা

১৯ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:৩২



বেশ কয়েক বছর আগের কথা সদ্য বিবাহিত এক যুগলের ঢাকার অদুরে প্রত্যন্ত এক গ্রামে কাজের সুত্রে স্বল্পকালীন বসবাস করতে হয়েছিল। জনবসতিহীন দিকশুন্যপুর গ্রামের এক ধারে ধু ধু খালি মাঠ আর তারই কিনার ঘেষে কিছুটা জায়গা জুড়ে ছিল অফিসটি। সেখানে যেতে হলে তখন পদযুগলই ছিল ভরসা। জমিটির মাঝখান জুড়ে ছিল একটি মাঝারী আকারের পুকুর যার পানি রান্না থেকে শুরু করে সব কাজেই ব্যবহার হতো। সেই পুকুরের একদিকে চার পাঁচটা টিনের রুম যার একটি ছিল অফিস, বাকিগুলোতে চার পাঁচ জন অফিস কর্মী থাকতো। পুকুরের অপর পাড়ে দুই না বলে দেড় কামরা বলাই ভালো এক ছোট্ট টিনের ঘরে বাস ছিল সেই তরুন দম্পতির। আজন্ম শহরে বাস করা পানি বিদ্যুতের মত নুন্যতম নাগরিক সুযোগ সুবিধাবিহীন এই নির্বান্ধবপুরে সংসার পেতে বসাটা তাদের দুজনার কাছে যেন এক চরম এডভেঞ্চারের মতই ছিল।

বিকেল হলে নিয়ম অনুযায়ী মেয়েটির স্বামীসহ অফিসের সবাই দূর দুরান্তের গ্রামে চলে যেতো । সমিতির মিটিং শেষ করে প্রায়ই তাদের ফিরতে রাত দশটা বেজে যেত। গ্রাম দেশ, সুর্য্যটা পশ্চিমে ঢলে পরার সাথে সাথেই চারিদিকের তল্লাট জুড়ে দম বন্ধ করা এক ঝুম অন্ধকার নেমে আসতো। মেয়েটির কাছে সেই রাত দশটাকে মনে হতো যেন মাঝ রাত। সেই একলা সময়টিতে মেয়েটি ছাড়া আরেকজন মাত্র মানুষই থাকতো সেখানে , সে হলো সেই অফিসেরই পুরনো রাঁধুনী লোল চর্ম কুঁজো মতন এক বৃদ্ধা যাকে সবাই নানী বলে ডাকতো।

সন্ধ্যা থেকেই অফিস ঘরের খানিকটা পেছনে ছন আর বাঁশের বেড়া দিয়ে তৈরী কালিঝুলি মাখা এক রান্নাঘরে কুপির টিমটিমে আলোয় মাটির চুলোয় সবার জন্য রান্না করতে বসতো নানী । একাকী থাকতে থাকতে হাঁফিয়ে ওঠা মেয়েটি অনেক সময় রান্নাঘরে বৃদ্ধার পাশে গিয়ে বসতো । মাঝে মাঝে শুনতো কি যেন বিড় বিড় করে নিজ মনে বকে চলেছে বৃদ্ধা। সে সময় তার উপস্থিতিটা যে পছন্দ করতো না তা বুঝতে পেরে মেয়েটি চেষ্টা করতো পারতপক্ষে তার কাছে গিয়ে না বসতে।

ভাদ্রমাসের এক নিস্তব্ধ রাত্রি, মেয়েটি হারিকেন জ্বেলে নির্জন ঘরে একাকী বসে আছে। সেই রাত্রিতে চারিদিক জুড়ে ঘুট ঘুটে অন্ধকার নেমে এসেছিল। রাত নেমে আসা মাত্রই দেখা যায় আশে পাশের জঙ্গলে জোনাকি পোকাদের শরীরের বাতিগুলো জ্বলছে আর নিভছে আজ কি এক অজানা কারনে তারা আলো নিভিয়ে বসে আছে।
হারিকেনের আলোয় ঘরে পোঁকা মাকড় আসবে তাই মেয়েটি উঠে দরজা জানালা বন্ধ করে দিলো। কিছুক্ষনের মধ্যেই প্রচন্ড ভ্যাপসা গরমে ঘেমে নেয়ে ঊঠলো মেয়েটি। বাইরের সাথে তাল মিলিয়ে ঘরের ভেতরেও যেন এক সুচীভেদ্য অন্ধকার যা সরাতে হারিকেনটি তার সামান্য আলো নিয়ে প্রানপন চেষ্টা করছে। চালের উপর নুয়ে পরা বাঁশের ঝাড় যে কিনা সামান্য বাতাসেও শব্দ করে সেও যেন আজ বড্ড নীরব। এত অন্ধকার আর নীরবতায় মেয়েটির দম বন্ধ হয়ে আসছিল যেন।

হঠাৎ করেই পঁচা মাংসের এক তীব্র কটু গন্ধ ছড়িয়ে পড়লো ঘর জুড়ে। আঁচলে নাক চেপে ধরতেই মেয়েটি অনুভব করলো গা শিউরে ওঠা বরফ শীতল এক শিরশিরে হাওয়া যেন হাত বুলিয়ে দিচ্ছে তার সারা শরীরে।
কাঠের দরজা-জানলাগুলো ক্যাচ ক্যাচ শব্দ করে উঠতেই আতংকে ফ্যাকাশে হয়ে ওঠা মেয়েটি হারিকেনের মৃদু আলোয় তাকিয়ে দেখে ঘরের দক্ষিন পশ্চিম কোন জুড়ে ঘন কুচ কুচে কালো এক অন্ধকার আস্তে আস্তে বিশাল এক কিম্ভুত কদাকার শরীরের আকৃতি লাভ করছে। সেই বীভৎস আকৃতির ভেতর এক ভয়ংকর দানবের মুখ বসানো আর তার মাঝে সাদা এক জোড়া বিশাল চোখ।

কালো সেই অন্ধকারটি ফুলে ফেপে এবার যেন আরো বড় হয়ে গড়িয়ে গড়িয়ে আসছে মেয়েটির দিকে । তার সেই রক্তহীন চোখ মেয়েটির চোখের উপর এমন ভাবে নিবদ্ধ যেন একজোড়া চুম্বক। দৈত্যাকৃতি অজগর যেমন তার শিকারকে এক অমোঘ আকর্ষনে বিবশ করে ফেলে। তেমনি করে এবার আতংকে অবশ হয়ে আসা মেয়েটিকে সেই অশরিরী অন্ধকার যেন এগিয়ে এসে তার শরীরের মাঝে সবলে গ্রাস করে নিচ্ছে।
ঘোর কাটিয়ে ঝটকা দিয়ে উঠেই মেয়েটি কাঁপা হাতে কোন রকমে হারিকেন নিয়ে খোলা দরজা দিয়ে বের হয়ে আসে পাগলের মত। কিন্ত সেই অশরিরী বস্তুটি যেন তার সাথে সাথে এসে পিঠের উপর চেপে বসতে চাইছে ক্রমশ যেন ভারে নুয়ে পড়ছে শরীর। তাই নিয়েই মেয়েটি পুকুরের পাড়ের ঝোপঝাড়ের ভেতর দিয়ে দৌড়ে রান্নাঘরের দিকে যেতে চেষ্টা করতে লাগলো। সেই সাথে চিৎকার করতে গিয়েও দেখে তাঁর গলা দিয়ে কোন আওয়াজই বের হচ্ছে না ।

হঠাৎ করেই সেই অন্ধকার বস্তটি পিঠের উপর থেকে নেমে পরলো, তারপর অত্যন্ত দ্রুত গতিতে মেয়েটির চারপাশ ঘুরে ঘুরে আস্ঠে পৃষ্ঠে বেধে ফেলতে লাগলো। সেই অদৃশ্য চাপে মেয়েটির মনে হচ্ছে তার সারা শরীরের হাড়গোড় যেন ভেংগে চুরমার হয়ে যাচ্ছে। আস্তে আস্তে নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে, মনে হচ্ছে এবার বুঝি সে মরে যাবে। ঠিক এমন সময় অবশ হয়ে আসা হাত থেকে হারিকেনটা পরে গিয়ে ঠিন ঠিন আওয়াজ তুলে কাঁচটা ভেঙ্গে পড়লো, কেরোসিন গড়িয়ে পড়লো চারিদিকে তারপর বেশ খানিক্ষন দপ দপ করে নিভ গেল সলতে্টা। সাথে সাথে শরীরটা যেন হালকা হয়ে আসলো আর অনেক কষ্টে এবার এক চিৎকার করে মাটিতে উপুর হয়ে পড়লো মেয়েটি । জ্ঞ্যন হারাবার আগে কানে ভেসে আসলো রান্নার বুড়িটার খোনা গলার আওয়াজ। তার পাশে দাঁড়িয়ে হি হি করে হেসে হেসে কাকে যেন বলছে, ‘কিঁরে একা ঘরে পাঁইয়াও পারলি না মাইঁয়াটারে তুইলা নিয়া যাইতে’!

তারপর আর কিছু মনে নেই মেয়েটির। এরপর চোখ মেলতেই সে দেখে তাদের ঘরে বিছানায় শুয়ে আছে। জানালা দিয়ে রোদের আলো এসে তেরছা করে মেঝেয় পরে আছে। ঘরের ভেতর তার স্বামী ও দু একজন অফিস সহ-কর্মী। মেয়েটি অবাক হয়ে দেখলো গেরুয়া বসন এক সন্ন্যাসীও বসে আছে বিছানার পাশেই কাঠের চেয়ারে। মেয়েটি জানলো তার খবর শুনে দুরের গ্রাম থেকে নিজেই চলে এসেছে। চোখ বন্ধ করে অনেকক্ষন বসে থাকার পর তার স্বামীকে শুধু বললো ,
“আপনি ভাগ্যবান যে আপনার স্ত্রীকে ফিরে পেয়েছেন, কিন্ত সবাই এমন ভাগ্যবান হয়না”। কারনটি জানার জন্য মেয়েটির স্বামী অনুরোধ করলে সন্ন্যাসী থেমে থেমে জানালো গতরাতে তার স্ত্রীকে এক ভয়ংকর পিশাচ ধরেছিল যার হাতে পরলে একমাত্র পরিনতি ভয়ংকর মৃত্যু।
এক সময় এ জায়গাটি ছিল শশ্মান কিন্ত নদী সরে যাবার পর এলাকাটি এখন পরিত্যক্ত। আজ থেকে বহু বছর আগে এক প্রেত সাধক তান্ত্রিক এই শশ্বানে বসে প্রেত সাধনা করেছিল তাকে বাধ্য করে কাজে লাগানোর জন্য। সাধনার সময় এক অমাবশ্যার রাতে সেই পিশাচের হাতেই তান্ত্রিকের মৃত্যু হয়। আজও সে শুধু অমাবশ্যার রাত্রিতেই বের হয়। আর গতকালই ছিল সেই কাল অমাবশ্যা।
“কাঁচ ভেঙ্গে হারিকেনের আগুন বাইরে এসে পরায় সে আপনার স্ত্রীকে ফেলে গিয়েছিল। যত দ্রুত পারেন তাকে এখান থেকে সরিয়ে দিন, পরের বার ভাগ্য এত সুপ্রসন্ন নাও হতে পারে। খেয়াল করেছেন নিশ্চয় গ্রামের কেউ আপনাদের অফিসের আশপাশ দিয়ে দিনের বেলায়ও চলাফেরা করে না”।
মেয়েটি সেই রান্নার বুড়ির কথাটি আর উল্লেখ করলো না। সে পরিস্কার তার পরিচিত গলা শুনেছিলো, কিন্ত চোখে তো দেখেনি। তাই হয়তো কেউ বিশ্বাস নাও করতে পারে। এর কিছু দিন পরেই তারা সেখান থেকে বদলী হয়ে চলে এসেছিল।


মন্তব্য ৯৮ টি রেটিং +২১/-০

মন্তব্য (৯৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:০৮

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আমার এই সব দেখতে খুব ইচ্ছে হয়।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:৩১

জুন বলেছেন: আমার না শাহদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) :-&
আমি এদের ভয় পাই সাংঘাতিক ।
প্রথম মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ :)

২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:২৯

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: অনেক দিন পরে ভৌতিক গল্প পড়লাম।
তবে মনে হলে খুব বেশি জমলা না।
জুনাপু কেমন আছেন?
আপনার নতুন ভ্রমন কাহিনি পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৫

জুন বলেছেন: গল্প জমে ক্ষীর হয়নি সত্য, তারপর ও যে পাতলা পায়েশ খেয়েছেন তার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ মোস্তফা সোহেল।
আপনি কেমন আছেন ? আমরা আছি চলছে আরকি নানা ঘাত প্রতিঘাতে মিলিয়ে আনন্দে বেদনায় :)
আমার নতুন ভ্রমন নিয়ে খুব শীঘ্রই লিখবো । এটা ধরতে পারেন এখনো জীবিত আছি মার্কা পোস্ট =p~
শুভেচ্ছা রাত্রির ।

৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৪

চেংকু প্যাঁক বলেছেন: হুম
++++++++++

১৯ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৮

জুন বলেছেন: এই ধরনের কাহিনীতে হুম বলাটাও কিন্ত ভয়ের ব্যাপার চেংকু প্যাঁক :)
এত্ত গুলি প্লাস দিছেন হাজারে হাজার, সুমার করিয়া দেখি কিছু নাই তার /:)
প্লাস থাক এই পচা গল্পে যে পদার্পন করেছেন তার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে ।

৪| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: মেয়েটির আক্রান্ত হওয়ার বিবরণ আরো হরর হলে জমতো ভাল।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৬

জুন বলেছেন: গিয়াস লিটন আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যে অনেক ভালোলাগা রইলো ।
আসলে এটি ছিল একটি ফরমায়েসী গল্প । তারা বলে দিয়েছিল একটি নির্দিষ্ট অক্ষরের মধ্যে হতে হবে । তাই ইচ্ছে এবং জানা থাকা সত্বেও এর আকার বাড়িয়ে গা ছম ছমে এক আতংকজনক গল্প লিখে উঠতে পারি নি :(
শুভকামনা রইলো ।

৫| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:০৮

নতুন বলেছেন: ঐ নারী একা থাকে সেটা অনেকেই জানে...

হতে পারে কোন মানুষ ঐ সময় এসেছিলো হয়তো চুরি বা অন্য কোন উদ্দেশে...

কিন্তু তিনি দৌড়ে ঘর থেকে বের হয়ে যাবার কারনে ঐ মানুষ তার পিছু নেয়নাই।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৫

জুন বলেছেন: আপনার পয়েন্টটিও খুবই গুরুত্বপুর্ন নয়ন । তবে ঐ এলাকার আশপাশ দিয়ে কেউ কখনো চলাফেরা করতো না এটা শুনেছি ।
একটা ভুতের গল্প লেখার ইচ্ছে ছিল তাই লিখলাম আর কি ;)
আপনারা পড়েছেন, মতামত জানিয়েছেন দেখে খুব ভালোলাগলো ।
শুভকামনা জানবেন ।

৬| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: এসব আমি থোরাই কেয়ার করি । #:-S

১৯ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৫১

জুন বলেছেন: হু হু থোরাই কেয়ার করেন না বলেতো ফেললেন বীরের মত । পরতেন যদি এদের পাল্লায় তখন বুঝতেন কত ধানে কত চিটা ;)
যাই হোক আমার এই অখাদ্য লেখাটি পড়ে আবার একটি ছোট মন্তব্যও করেছেন তার জন্য অশেষ ধন্যবাদ কবি সেলিম আনোয়ার :)

৭| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৯

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: ভূতের গল্প পড়তে ডর লাগে ! তারপরেও পড়লাম ! গল্প সুন্দর হয়েছে !


ভালো থাকুন জুন আপু ।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৫৩

জুন বলেছেন: আমারও ভয় করে শাহরিয়ার কবীর :-& তারপর ও লিখলাম কিন্ত যতবার ছবিটা দেখি ততবারই ডরাইতেছি :-&
=p~
গল্পটি পড়া, মন্তব্য ও প্রশংসা করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন :)

৮| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: দারুন ভয়াল পিশাচের গল্প । এধরনের গল্প বেশ ভাল লাগে পাঠে তাই লেখাটি প্রিয়তে গেল ।
গল্পের গাথুনী , কাহিনী ও প্রকাশশেলী অপুর্ব হয়েছে । এটি পাঠে আমার স্মৃতিকেও নিয়ে গেছে অনেক পিছনে ।

চাকুরী জীবনের একদম প্রথমদিকে গ্রামীন অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের উপর একটি গবেশনা প্রকল্পের আওতায় বেশ কিছুদিন দেশের উত্তরাঞ্চলে থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে হয়েছিল । সেই সুবাদে রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলা সদরে ( সে সময় ওটা থানা ছিল ) সরকারী ডাকবাংলোতে দিন কয়েক কাটিয়েছিলাম । বাংলোটি ছিল বিশাল জায়গা নিয়ে প্রায় জঙ্গলের মত জায়গার মধ্যভাগে । পাশ দিয়ে একটি হাটা পথ ছিল । বিদ্যুত তখনো সেখানে পৌঁছেনি। দিন কয়েকের মধ্যেই থানার প্রথম শ্রেণীর বেশ কিছু অফিসারের সাথে জানাশুনা হয়ে গিয়েছিল । রাতের বেলায় বাংলোয় বসে তাদের সাথে আড্ডা চলত । একদিন রাতে সকলে মিলে তাস খেলছিলাম , ।ঐটাই প্রথমদিন সেখানে তাস খেলা । হঠাত দেখা গেল ইয়া লম্বা একটি কাল হাত জানালা গলে ঘরে ঢোকে হারিকেনের নব ঘুরিয়ে দিয়ে তা নিবিয়ে দিয়েছে । সবাই আষ্চর্য হয়ে বেশ ভয় পেয়ে গেল । সেরাতে আর খেলা হলোনা , বন্ধুরা যে যার ঘরে চলে গেল । আমিউ ঘরের দরজা জানালা সব বন্ধ করে ঘুমিয়ে গেলাম । সকালে ঘুম থেকে জেগে দেখি ঘরের দরজা জানালা সব খোলা । অবাক হলামভেবে এটা কিভাবে হল । পরের দিনও প্রায় একই রকম । বিষয়টা জানার জন্য বেশ কোতুহলী হলাম । বাংলোর কেয়ার টেকারের কাছে জানতে চাইলাম বিষয়টা কি । সে বলল এখানে এমন প্রায়ই ঘটে । তাই কেও এখানে রাতে থাকেনা , লোকজন আসে কিছু সময় কাটায় তবে সন্ধার পরে সবাই যার যার ঘরে ফিরে যায় , আর আমি নাকি এ কারণে্ই ডাকবাংলোটা খালী পেয়েছি । ছোট থেকেই ভুত প্রেতে তেমন ভয় পাইনা , তাই ভাবলাম সুযোগ যখন পেয়েছি তখন বিষয়টা ভাল করে দেখে যাব ।

বদরগঞ্জ এলাকায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে একটি সাওতাল পল্লী আছে । সেই সাওতাল পল্লীর বেশ কিছু তরুনী ডকবাংলোর পাশের পায়ে হাটাপথ ধরে তিস্তা নদী ও তার অাশে পাশে শিকার ধরতে যেত । তারা নদী হতে কাকরা , ঝিনুক ও মাছ ও জঙ্গলহতে সাপ বেজী নেউল ও ভোদর শিকার করে ঘরে ফিরত । আমি অনেক সময় খেয়াল করে দেখতাম সাওতাল নারীরা বাংলোর পাশ দিয়ে পথ চলার সময় কেমন যেন ভয়ে ভয়ে জানালার দিকে মুখ করে আমাকে দেখত আর কিসব বলাবলি করত । সাওতালদের ভাষা বুজিনা বলে কিছুই বুঝতে পারতমনা । তাই একদিন বাংলোর কেয়ারটেকারের কাছে সাওতালরা আমাকে নিয়ে কি বলাবলি করে তা জানতে চাইলাম । তার কাছে হতে যা জানতে পারলাম তা শুনে চক্ষু ছানাবড়া হয়ে উঠল । সে জানাল মুক্তি যুদ্ধের সময় হানাদারেরা এই ডাকবাংলোতে থেকে অনেক সাওতাল নারীর উপর নির্যাতন করেছে । তারো আগে বৃটিশ আমলে এখানে এক অফিসারের অত্যাচারে একজন সাওতাল মেয়ে বাংলোর কাছে গাছে ঝুলে অাত্ন হত্যা করেছে । সেকাহিনী অনেক লম্বা পুরোটা বলতে গেলে একটি পুরা পুস্টের আকার হয়ে যাবে । যাহোক ইত্যাদি বিবিধকারণে হয়তবা ডাকবাংলোটির উপরে অসরিরী আত্মার আছর পরে , যা আমি দিন কয়েক থেকে প্রত্যক্ষ করেছি ।

বিয়টা নিয়ে সে সময়কার স্থানীয় এমপি চৌধুরী সাহেবের সাথে কথা বলেছি । তিনি বললেন এখান খেকে ৫ মাইল দুরে তার গ্রামের বাড়ী বিঞ্চুপুরে থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে পারব । তিনি তার নীজের হাতির পিঠে চড়িয়ে তার গ্রামের বাড়ীতে নিয়ে গেলেন । বিশাল জমিদার বাড়ী , তার বড় সর একটি কাচারী ঘরে থাকার ব্যবস্থা হল । তিনি বললেন কষ্ট করে গ্রামে হেটে হেটে তথ্য সংগ্রহ করতে হবেনা । তিনি তার কাচারী ঘরে বারান্দায় প্রতিদিন সন্ধায় একটি টিভি বসিয়ে সকলকে তা দেখার সুযোগ করে দিলেন । সন্ধায় গ্রামের সকল লোক জর হত তা দেখার জন্য । আমি্‌উ আরাম মতে তাদের সাথে কথা বলে তথ্য সংগ্রহ করে নিতাম । কিন্তু দিন কতেকের মধ্যেই ঘটে গেল মহা বিপত্তি । ছৌধুরীবাড়ীর ছোট ছোধুরীর মেয়েকে ধরেছে ভুতে । তার অবস্থা সিরিয়াস , দুরের গ্রাম হতে ভুত তারানোর জন্য ওজা ডেকে আনা হলো । সে ই ওজা জারফুক দিয়ে মেয়েটির কনিষ্ট অাঙ্গুল ধরে মেয়েটির উপর আছর করা ভুতকে জিজ্ঞেস করল তুই থাকিস কোথায় , মেয়েটি পরিস্কার বাংলায় বলল বাইরের ঐ কাচারী ঘরে আমি থাকি । আমার মাথায় যেন বাজ পড়ল কারণ সে ঘরে আমি ছাড়া আর কেও থাকেনা । মনে পড়ল দিন দুয়েক আগে আমাকে খাদ্য পরিবেশন করানোর সময় ঐ ভুতে ধরা মেয়েটি জানতে চেয়েছিল আমি কি বিবাহিত কিনা । আমার বুঝতে বাকী রইল না ভুতে ধরার কারণ কি , সবাই যদি ধরে বসে তবে ঐ বিদেশে কি গতি হবে, তাই তরি ঘরি করে সেই যে গরুর গাড়িতে করে চৌধুরী বাড়ির কাচারী ছাড়লাম , আর কোন দিন সে মুখী হয় নাই । ভুত আর পিশাচের গল্প আর কি বলব ।

অনেক ধন্যবাদ সাথে শুভেচ্ছা রইল ।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:২২

জুন বলেছেন: ডঃ এম এ আলী আপনার মন্তব্য পড়ে আমার মত ভুত কাতুড়ে মানুষ ভয় পাবো কি হাসতে হাসতে শেষ =p~
কিন্ত একটা জায়গা কনফিউজড হোলাম সেটা হলো প্রথম ঘটনা যা তাস খেলার সময় অর্থাৎ ঐ বাংলোতে ঘটেছিল সেই বিশাল হাতের অধিকারিনী আর কাচারী ঘরের জন কি একই ব্যাক্তি ??

কাচারী ঘরের কেস আমারো একটি জানা আছে । আমার পরিচিত একজন অফিসের ডাটা সংগ্রহের কাজে এমনি এক গ্রামে গিয়েছিল দুই সপ্তাহের জন্য । সপ্তাহ খানেক পর বিকেলে একজন গ্রামের চেয়ারম্যান সাহেবের লোক পরিচয় দিয়ে জানালো রাতে তার চেয়ারম্যান সাহেবের বাসায় দাওয়াত । গ্রাম দেশ আমাদের পরিচিত ব্যাক্তি সন্ধ্যার সাথে সাথেই রওনা দিলেন ।
গন্তব্যের কাছাকাছি আসতেই চারিদিক অন্ধকারের মধ্যে জঙ্গল ঘেষে হারিকেন হাতে দাঁড়িয়ে একজন তাকে ফিস ফিস করে ডাকছে। উনি কাছে এগুতেই এক মেয়ে এগিয়ে এসে বল্লো 'আমি চেয়ারম্যান সাহেবের মেয়ে এদিক দিয়ে আসেন'। ওনার আবার এইসব ফাদে ফেলার কাহিনী অনেক শোনা ছিল। ভদ্রলোক সেই সুন্দরীর আহবানে সাড়া না দিয়ে উল্টো দিকেই ঘুরেই কাপুরুষের মত মাঠ ঘাটে উপর আছাড় পিছাড় খেতে খেতে হাত পা কেটে ছড়ে হাপাতে হাপাতে বাসায় এসে হাজির । তারপর দিনই গাট্টি বোছকা নিয়ে স্থান ত্যাগ ;)
আপনার সুদীর্ঘ এবং সরস মন্তব্যে অনেক অনেক ভালোলাগা রইলো । সব সময় সাথে আছেন তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা :)

৯| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৪

নতুন বলেছেন: ডঃ এম এ আলী :- <<<<< আমার বুঝতে বাকী রইল না ভুতে ধরার কারণ কি ,

আমিও তেমনি মনে করি। এই সবের পেছনে কিছু কারন থাকে।

২০ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:৫২

জুন বলেছেন: ডঃ এম আলী ভাই এর উত্তরের অপেক্ষায় সাগ্রহে তাকিয়ে থাকলাম নতুন :)

১০| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫২

ক্লে ডল বলেছেন: আমি ভীতু মানুষ। জুনাপুর ভুতের গল্প পড়ে ভয় পেয়েছি! :|

আর ডঃ এম এ আলীর ভুতের গল্প পড়ে হাসতে হাসতে শেষ! =p~

২০ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:৫৬

জুন বলেছেন: ক্লে ডল, আপনি পড়ে ভয় পাইছেন আমি শুনেই ভয়ে আধমরা :-&
আমিও খুব হেসেছি আলী ভাই এর বাস্তব অভিজ্ঞতার গল্প শুনে =p~
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ।

১১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:০৪

ধ্রুবক আলো বলেছেন: পড়ে ভালো লাগলো। +

ভুতের গল্প আমি পড়ি না, ভুত আমি একদম বিশ্বাস করি না। কোনো মতেই না। ভুত বলতে কিছুই নেই।
ভুত যেটা বুঝায় সেটা হলো অতিতকাল।

২০ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:৫০

জুন বলেছেন: ভুতের গল্প আমি পড়ি না, ভুত আমি একদম বিশ্বাস করি না। কোনো মতেই না। ভুত বলতে কিছুই নেই:-* B:-)
পড়ে ভালো লাগলো :-B
এটাই আসল ব্যাপার ধ্রুবক আলো :) বিশ্বাস খুব কম মানুষই করে কিন্ত পড়ে মজা পায় ।
অসংখ্য ধন্যবাদ আমার হাবিজাবি গল্পটি পড়া ও মন্তব্যের জন্য :)

১২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:১৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন ,




মন্তব্য করতে গিয়ে নীচে নামতেই দেখি সহব্লগার এম আলীর মন্তব্য । তাঁর যে বুঝতে বাকী রইলোনা ভুতে ধরার কারন কি, তেমনি আমারও মনে হলো আপনার গল্পের নায়িকারও তেমন কিছু "বুঝতে বাকী " রয়ে গেছে । হা...হা...হা...

শিরোনামে বলেছেন ----" .....কিছু সত্যি, কিছু কল্পনা...।" সত্যিটা হলো, মেয়েটি অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলো আর "পিশাচ" এর আবির্ভাব কি আপনার নিজের কল্পনা ? নাকি লোকমুখে শোনা ?

বরাবরের মতোই টানা লেখা । এবার হরর গল্পে ভ্রমন করিয়ে আনলেন । তবে আরো ঘন করে লেখার সুযোগ ছিলো ।


২০ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:০০

জুন বলেছেন: আহমেদ জী এস,
সহব্লগার ডঃ এম আলীর রসালো সাথে মজাদার মন্তব্যটি পড়ে কাল থেকে আমি অনেকবার হেসেছি :)
আমারও মনে হয়েছে ব্যাপারটি কাল্পনিক ( ভালবাসা না কিন্ত ;) )
হাতে হারিকেন নিয়ে মেয়েটির একাকী অন্ধকার ঘরে থাকা পর্যন্ত ঠিক আছে , এরপর ভয় পাওয়াটাও সত্য মনে হয়, কিন্ত বাকিটা মনে হয় লেখিকার কল্পনা । শব্দের বাঁধাধরা নিয়ম না থাকলে কল্পনার গরুকে হয়তো গাছেও চড়ানো যেত । আরো জমিয়ে গা শিরশির করা এক জমজমাট পিশাচ কিচ্ছা লেখা যেত :-&
কিন্ত তা আর হলো কই :(
যাক তারপরও বরাবরের মত সাথে থেকে মন্তব্যের মাধ্যমে উৎসাহিত করছেন এটাই তো এক বিশাল পাওয়া আপনাদের কাছ থেকে :)
আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা বরাবরের মতই ।

১৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:২৬

সুমন কর বলেছেন: বর্ণনা ভালো ছিল। তবে জী এস ভাইয়ের সাথে সহমত, আরো ঘন করে লেখার সুযোগ ছিলো।

কেমন আছেন? অনেক দিন পর, পোস্ট দিলেন।

২০ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:০৭

জুন বলেছেন: বর্ণনা ভালো ছিল বলছেন শুনে অনেক অনেক খুশী হোলাম সুমন কর ।
আরো ঘন করে লেখার সুযোগ ছিলো। জি কোন রকম নিষেধাজ্ঞা না থাকলে এটাকে জমিয়ে ক্ষীর নয় একেবারে খেজুরের মুচি গুড় বানিয়ে ফেলা যেত :) কিন্ত পারলাম না :( তার উপর এটা হলো হাজিরা পোস্ট । অর্থাৎ এখনো জীবিত আছি মার্কা ;)
আছি একরকম সুমন কর, চলছে চলে যাচ্ছে দিনকাল । আপনি কেমন আছেন ? মন্তব্যে দেখা মেলে কিন্ত লেখালেখিতে নেই যে ?
ভালো থাকবেন । অনেক অনেক ধন্যবাদ :)

১৪| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:২৯

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: যদিও সমসাময়িক হরর প্লট । তবুও আপনি লিখেছেন বলে চমৎকার লেগেছি । হালকা হালকা ভয় পাচ্ছি, পরিবেশটা কিন্তু কবিতা লেখার জন্য যুতসই !!!

২০ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৩২

জুন বলেছেন: আপনি ঠিকই ধরেছেন কথাকেথিকথন :)
একটা হরর গল্প লেখার নিস্ফল চেষ্টা বলতে পারেন :(
কবিতা তেমন লিখতে পারলে তো লিখতামই ।
কিন্ত স্বরস্বতী দেবী যে আমার উপর ভর করে না /:) তাই পিশাচ নিয়ে আসলাম :-&
তারপরও হাল্কা হাল্কা ভয় যে পেয়েছেন এটা জেনে মনে হচ্ছে লেখাটি কিছুটা হলেও স্বার্থক মনে হচ্ছে :)
অসংখ্য ধন্যবাদ পোস্টটি পড়া ও মন্তব্যের জন্য । সাথে থাকুন বরাবরের মতই ।

১৫| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:


ছোট প্লটে সুন্দর কাহিনী।

২০ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৩৪

জুন বলেছেন: চাঁদগাজী, আপনি খেয়াল করলে দেখবেন আমার সব লেখাগুলোই কিন্ত ছোট ছোট । কিন্ত অন্যান্য লেখায় প্রচুর ছবি ব্যাবহারের কারনে অনেক দীর্ঘ মনে হয় :)
সুন্দর অর্থাৎ ভালোলাগার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ।

১৬| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:

ড: এম এ আলী লিখাছেন,

"মনে পড়ল দিন দুয়েক আগে আমাকে খাদ্য পরিবেশন করানোর সময় ঐ ভুতে ধরা মেয়েটি জানতে চেয়েছিল আমি কি বিবাহিত কিনা । আমার বুঝতে বাকী রইল না ভুতে ধরার কারণ কি , সবাই যদি ধরে বসে তবে ঐ বিদেশে কি গতি হবে, তাই তরি ঘরি করে সেই যে গরুর গাড়িতে করে চৌধুরী বাড়ির কাচারী ছাড়লাম , আর কোন দিন সে মুখী হয় নাই । ভুত আর পিশাচের গল্প আর কি বলব । "

-আপনি মেয়েটির আর খবর নেননি?

২০ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৩৬

জুন বলেছেন: আশাকরি ডঃ এম আলী সাহেব খুব শীঘ্রই আপনার প্রশ্নের উত্তর দিবেন । যদি ওনার নজরে পড়ে আপনার মন্তব্যটি ।
এই ব্যপারে আমিও প্রচন্ড কৌতুহলী :P

১৭| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:১৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভুতের গল্পে যুক্তি নাই! খালি ভয়কাতুরে হল কিনা দেখলেেই হল!!!! ;)

দারুন ভুতুরে গল্প! ছোট্ট হলেও জম্পেস :)

++++

২০ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৩৯

জুন বলেছেন: আপনি খালি ভুত ভুত করছেন কেনো বিদ্রোহী ভৃগু X(
শিরোনামে দেখেন নাই লিখেছি পিশাচ গল্প :-&
হা হা হা দারুন ভুতুরে জম্পেশ গল্প শুনে খুব ভালোলাগলো ।
আপনার আন্তরিক মন্তব্যখানির জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন :)

১৮| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৪৬

বিদগ্ধ বলেছেন: হাহাহা। সবগুলো ভয়ের বিষয় একসাথে যুক্ত করেছেন। দারুণ চেষ্টা। ভূত প্রেত খুন খারাপি পর্ন পিশাচ আর ভয়ের গল্পগুলোর সাহিত্যমান যা-ই হোক অন্যরকমের আকর্ষণ থাকে।

২০ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৪২

জুন বলেছেন: আমার ব্লগে স্বাগতম বিদগ্ধ ।
সবগুলো ভয়ের বিষয় একসাথে যুক্ত করেছেন। দারুণ চেষ্টা সত্যি বলতে কি আমি আপনার এই বক্তব্যটি ভালো করে বুঝতে পারি নি। যদি পারেন তো একটু ক্লিয়ার করবেন :)
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ ও শুভকামনা থাকলো ।

১৯| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:০৭

অপু তানভীর বলেছেন: ভ্রমনকারী আজ দেখি ভুতুড়ে গল্পের লেখক হয়ে গেছে । যাই হোক এই থিমে আমার নিজের একটা গল্প লিখতে ইচ্ছে করছে । দেখা যাক লেখা যায় কি না ! :)

২০ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:১৮

জুন বলেছেন: অপু তানভীর, যে রাঁধে সে কি চুল বাঁধে না :-/
ভাবলাম ঘুর ঘুর কাহিনি বাদ রেখে সবাইকে একটি ভয়ানক ভুতের গল্প শুনাই :-&
ওমা, সবার মন্তব্য পড়ে মনে হচ্ছে কেউ একটুও ভয় পায় নি :(
যাক তারপর ও অনেকেই পড়েছেন মন্তব্যও করেছেন দেখে খুব ভালোলাগলো ।

তারপর কেমন আছেন ? এখন আর সংকলন করেন না ? আমি দেখেছি এই সংকলন করতে গেলে নিজের লেখা আর হয়ে ওঠে না। আপনার ছোট ছোট প্রেমের গল্পগুলো কিন্ত অসাধারন এবং ঝরঝরে পড়তে ভালোলাগে ।
ভালো থাকবেন আর সাথে থাকবেন । শুভেচ্ছা রাত্রির ।

২০| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:৫১

আখেনাটেন বলেছেন: ভয় পেলুম পড়ে। আমি নিজেও কিছু ভূতের গল্প জানি। :) গুরুজনের কাছথেকে জানা। তারা বলে সত্য ঘটনা। :||

ভালো লাগল পড়ে।

২১ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:২৫

জুন বলেছেন: যাক একজন অন্তত পাওয়া গেলো যে ভয় পেয়েছে আমার কাঁচা হাতের লেখা ভুতের গল্প পড়ে আখেনাটেন ;)
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে :)
আপনার জানা ভুতের গল্পগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করবেন আশাকরি । বিশ্বাস করি না করি কিন্ত এসব পড়তে আমার খুব ভালোলাগে । তারা বলে সত্য ঘটনা। :``>> হতেও পারে কি বলেন ?
শুভকামনা জানবেন এবং সাথে থাকবেন অবশ্যই :)

২১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:৫৫

বিদগ্ধ বলেছেন: আখেনাটেন বলেছেন: ভয় পেলুম পড়ে। আমি নিজেও কিছু ভূতের গল্প জানি। :) গুরুজনের কাছথেকে জানা। তারা বলে সত্য ঘটনা। -হাহাহা!

২১ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:২৭

জুন বলেছেন: @আখেনাটেন #:-S

২২| ২০ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:০১

চেংকু প্যাঁক বলেছেন: পিশাচ গল্প, কিছু সত্যি, কিছু কল্পনা
কিছু সত্যি বলতে কতটা সত্যি?

২১ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:৩০

জুন বলেছেন: পিশাচ গল্প, কিছু সত্যি, কিছু কল্পনা :||
আমার ধারনা অর্ধেক অর্ধেক চেংকু প্যাঁক :`>
=p~

২৩| ২০ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:১৮

মেঘের সাথী বলেছেন: রাত ১২ঃ১৬। আজ আর ঘুমানো হবেনা। :((
ভয় পাই জেনেও পড়েছি, লোভ সামলানো গেলনা।
যাই হোক ভাল লেগেছে পড়ে।

২১ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:৩৩

জুন বলেছেন: আজ আর ঘুমানো হবেনা :'(
খুবই খারাপ লাগছে জেনে যে আমার এই পানশে ভুতের গল্প পড়েও ঘুমাতে পারেন নি :(
ভালোলাগার কথা শুনে অনেক ভালো লাগলো :)
শুভেচ্ছা সকালের ।

২৪| ২০ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:১৯

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: বিশ্বাসে মিলয়ে বস্তু, তর্কে বহুদুর!! গল্প হিসাবেই গ্রহনযোগ্য।।

২১ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:৩৭

জুন বলেছেন: ঠিকই বলেছেন সচেতনহ্যাপী তর্কে বহুদুর । জলজ্ব্যান্ত পিশাচটাকে তর্ক করে আমরা ভয় না পেয়ে উলটো তাকে ভাগিয়ে দিচ্ছি :P
এটা ঠিক না /:)
আমাদের একটু হলেও ভয় পাওয়া উচিত ;)
যা লিখি অখাদ্য কুখাদ্য সাথে থেকে উৎসাহিত করেন তার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞ আপনার কাছে ।
সুস্থ থাকুন আর ভালো থাকুন এই কামনায় ।

২৫| ২০ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:৫৭

আলো_ছায়া বলেছেন: দারুন!!!!
আরো লিখুন। আমরাও পড়ে মজা আর ভয় পাই!!
ভালো থাকুন।

২২ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:০২

জুন বলেছেন: স্বাগতম আমার ব্লগে আলো _ছায়া :)
আরো লিখবো বলেন কি ! এটা পড়লেইতো আতংকে আমার হাত পা জমে আসে :-&
আপাতত আর না বাপু

২৬| ২০ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:২৭

চি র কু ট বলেছেন: কল্পনা অথবা সত্যি যেটাই হোক, গল্পটা পড়তে ভাল লাগছে!

২২ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:০৪

জুন বলেছেন: আপনাকেও স্বাগত জানাই আমার ব্লগ বাড়ীতে চি র কূ ট ।
গল্প ভালোলাগার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে :)
শুভেচ্ছা বিকেলের ।

২৭| ২০ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৩০

রানা সাহেব বলেছেন: বাস্তব নাকি কল্পিত?

২২ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:০৮

জুন বলেছেন: রানা সাহেব আগেও এসেছিলেন কি না মনে করতে পারছি না :( না এসে থাকলে স্বাগতম :)
আমিতো শিরোনামেই বলেছি কিছুটা সত্য, কিছুটা কল্পিত । আপনার কোন অংশটি সত্য মনে হলো আর বাকিটা কল্পিত সময় থাকলে জানাবেন আশাকরি :)
অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য ।

২৮| ২০ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:০২

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

অনেক ভয় লাগাবার চেষ্টা করেছেন।

আমার এক আত্মীয় ছিলেন, যিনি বেশ বিশ্বাসযোগ্যভাবে ভূত-পেরেত-জিনের কিচ্ছা বলতে পারতেন। আমরা সবাই হা করে গলাধকরণ করতাম। কিন্তু রাতে বাইরে গেলে হ্যারিকেন এবং দেহরক্ষী নিয়ে যেতাম।

২২ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:১৪

জুন বলেছেন: জী চেষ্টার ত্রুটি রাখিনি ভয় পাওয়াতে কি বলেন মাঈনুদ্দিন মইনুল ;)
ছবিটা দেখেছেন কি ভয়ংকর :-& আমিও রাতের বেলা ছবির কথা মনে হলে কি যে ভয় পাই তা কহতব্য না :`> গল্পের নায়িকার মত আমাকেও যদি রাতের বেলা আধ মাইল দুরে বাইরে যেতে হতো ভাবতেই গা শিউড়ে ওঠার ইমো মিস করছি । ওক্কে এইটা দেই তাইলে বুঝবেন :-&
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ । পরেরবার থাইল্যান্ড আসলে বৈলেন । যদি থাকি তো দেখা হবে :)

২৯| ২০ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৩২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ওরে শুনেই জমে যাচ্ছি ।
লেখায় ভালোলাগা জুনাপু !

২২ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:১৯

জুন বলেছেন: আর বোলো না মনিরা আমি নিজের গল্প নিজে পড়েই ভয়ে এমন জমে আছি যে তোমাদের উত্তর দিতেও আমার দেরী হলো :`>
ভালোলাগার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় মনিরা । কতকাল হয় তুমিও কিছু লিখো না । বার বার গিয়ে হতাশ হয়ে এখন যাওয়া ছেড়ে দিয়েছি । বাচিয়া আছো প্রমানের জন্য আমার মত এমন আউল ফাউল কিছু লিখলেও তো পারো । অন্তত রাইটার্স ব্লকটাতো কাটবে :)
শুভকামনা অজস্র ।

৩০| ২০ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৫৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন ,




আসতেই হলো ।
" আরো জমিয়ে গা শিরশির করা এক জমজমাট পিশাচ কিচ্ছা লেখা যেত :-& কিন্ত তা আর হলো কই ..."
কেন ..কেন .. ? হলো না কেন ? আপনাকেও কি ভুতে ধরে ছিলো ? লিখতে গিয়ে ভয়ে হাত-পা'য়ে খিল লেগে গিয়েছিলো কি ? :( নাকি আপনি নিজেও ভয়ে চিৎপটাং হয়েছিলেন ? :||

"....কিন্ত বাকিটা মনে হয় লেখিকার কল্পনা । "
এটাও তো মনে হয় ভুতে পাওয়া বাক্য । মনে হবে কেন ? কোনটা কল্পনা আর কোনটা সত্যি, লেখিকার নিজের উপর কি তেমন আস্থা নেই ? ভেরী ব্যাড .. ভেরী ব্যাড B-) :D

২২ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৬

জুন বলেছেন: আরেকবার আসার জন্য এক ট্রাক ধৈন্যাপাতা ;)
কেন লিখতে পারি নাই এক মহা জমজমাট ক্ষীরের মত পিশাচ কাহীনি তা উপরে মন্তব্যের উত্তরে বলেছি । আবারো বলছি এটি এক অর্ডারী লেখা । বলে দিয়েছে এত শব্দ । সুতরাং ইচ্ছা থাকা সত্বেও :((
তাছাড়া চাইনি এমন গল্প লিখি যা আপনাদের বুড়ো হাটুতে ঠকাঠক বাড়ি খেয়ে খিল ছুটে যাক ;) তাই একটু রয়ে সয়ে লিখতে হলো আর কি ।
চিৎপটাং না হলেও ঐরকমই অবথা গপ্প শুনে । পানি না মেশালে কি শরবত হয় ? তাই একটু হাল্কা পাতলা :)
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার স্বভাবসিদ্ধ এক মজাদার একটি মন্তব্যের জন্য আহমেদ জী এস

৩১| ২০ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:১৩

শায়মা বলেছেন: জুন আপুনি তোমার মেইল আইডিটা অনেক অনেক দরকার আমার ! :)

২২ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪০

জুন বলেছেন: মেইল আইডি টাইডি বহু বচ্ছর আগেই ডিলিট করেছি । কি করবে আইডি দিয়ে শায়মা ? চিঠি পাঠাবে ;) ?

৩২| ২১ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:০৩

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: বাহ চমৎকার গল্প।
ছোট বলে চট করে পড়ে ফেললাম।
ভাল থাকবেন।

২২ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫০

জুন বলেছেন: আপনার ব্লগ দেখলেই বোঝা যায় আপনার জীবন বড় ব্যস্ত । ছোট ছোট কবিতায় তুলে ধরেন আমাদের সমাজের গভীর দুঃখগুলোকে ।আমার সামান্য লেখাটি পড়েছেন দেখে যৎপরোনাস্তি প্রীত হয়েছি ।
ভালোলাগার জন্য অশেষ ধন্যবাদ ।

৩৩| ২১ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:১৩

তাশমিন নূর বলেছেন: ভয়ে একেবারে নীল হয়ে গেলাম... যদিও লেখা ভালো লেগেছে। মাঝে মাঝে বানান ভুলগুলো একটু বিরক্ত করছিল অবশ্য।

২২ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৮

জুন বলেছেন: আপনি কি আমার ব্লগে প্রথম আসলেন ? যদি তাই হয় তবে স্বাগত জানাই আপনাকে তাশমিন নূর ।
আপনি অন্তত ভয়ে নীল হয়ে গেছেন শুনে লেখাটি কিছুটা হলেও স্বার্থক হয়েছে বলে মনে হচ্ছে :)
মাঝে মাঝে বানান ভুলগুলো একটু বিরক্ত করছিল অবশ্য। মাঝে মাঝে কোন ভুল বানান আপনাকে বিরক্ত করছিল জানলে সাথে সাথে শুধরে দিতে চেষ্টা করতাম । আসলে আগাগোড়া ইংলিশ মিডিয়মে পড়া লেখা করার দরুন বাংলায় আমার বেশ ঘাটতি তা আমি বুঝি । তারপর ও লেখালেখি করার অদম্য স্পৃহা আমাকে এখান থেকে সরতে দেয় না :(
তারপর ও কষ্ট করে পড়েছেন, মন্তব্য করেছেন দেখে অনেক ভালোলাগলো :)
শুভেচ্ছা রাত্রির ।

৩৪| ২১ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৬

সামিয়া বলেছেন: প্রথমেই অভিনন্দন জানাই সফল একটি ভৌতিক গল্প লেখার জন্য, গল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত চমৎকার আকর্ষণ কাজ করেছে, আপনি একজন সফল গল্পকার আপু। চমৎকার হয়েছে। + + + + +

২২ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৪২

জুন বলেছেন: যাক শেষ পর্যন্ত আপনি বললেন সফল ভৌতিক গল্প :)
শুনে আমারও খুব ভালোলাগছে ইতি সামিয়া ।
যেমন হোক মায়ের কাছে সব সন্তানই আদরের ।
তেমনি আমাদের মত ছোটখাটো ব্লগ লেখকদের লেখাও তাদের কাছে সন্তানতুল্য ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ । শুভেচ্ছা রাত্রির ।

৩৫| ২২ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ২:০৫

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: গল্পপাঠে ভাল লেগেছে। গল্পে সাসপেন্স ক্ষনিকজুড়ে হয়েছে আরেকটু যদি হতো মেয়েটির অবস্হ্যাটুকু বাড়ানো যেতো ভুত ঠিকি স্কীনে চলে আসতো। ধন্যবাদ আপুনি গল্পটির জন্য। ভাল থাকবেন সবসময়।

২২ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৪৭

জুন বলেছেন: মাহমুদুর রহমান সুজন আপনার মন্তব্য আমার কাছে সব সময়ই খুব আন্তরিক এবং প্রেরনাদায়ক মনে হয় ।
জি লেখায় শব্দ নিয়ে কিছু বাধ্যবাধকতা ছিল । তাই ইচ্ছা থাকা সত্বেও পিশাচের আগমন থেকে শেষ পর্যন্ত আরেকটু বড় করতে পারি নি । অর্থাৎ সাসপেন্স শুরু হওয়ার আগেই শেষ :(
তারপর ও পড়েন, মন্তব্য করেন দেখে ভীষন ভালোলাগে । ভালো থাকবেন আপনিও, শুভকামনা সব সময় ।

৩৬| ২২ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:৫৯

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চমৎকার ভৌতিক গল্প। তবে এগুলোতে আমার বিশ্বাস একেবারেই নেই।






ভালো থাকুন নিরন্তর। ধন্যবাদ।

২২ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৫৩

জুন বলেছেন: বিশ্বাস না থাকলেও এবং প্রচন্ড ভয় পেলেও আমার কিন্ত ভুতের গল্প পড়তে ভালোই লাগে দেশ প্রেমিক বাঙালী ।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ । ভাল থাকুন আপনিও আর আগামীতেও সাথে থাকুন সেই প্রত্যাশায় :)

৩৭| ২২ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:২৬

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

এমা... আপনি বুঝি থাই হয়ে গেছেন?! তবে তো এমনিতেই যেতে পারি, ঝুনাফাকে দেখার জন্য। কী বলেন না... এতে জানাবার কী আছে।
শুনুন থাইল্যান্ডে বর্তমানে আমাদের আঞ্চলিক কার্যালয়। কাজেই যেকোন সময় যেতে পারি। খানাপিনা যেন প্রস্তুত থাকে...হুম!

২২ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৯

জুন বলেছেন: আশি টাকার নাস্তা :-&
ওকে আসেন । আমি অবশ্য দু একদিনের মধ্যে বাংলাদেশে ফিরে আসছি :`>

৩৮| ২২ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:২৮

সামিয়া বলেছেন: আপু এভাবে বলেন কেনো?? একটা সুন্দর গল্পকে কি ভালো রাইটারকে সফল বলা যাবেনা? আপনি তো আমার প্রিয় রাইটার এটা সব সময় বলি।। সরি যদি কষ্ট দিয়ে থাকি।

২২ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:২০

জুন বলেছেন: ইতি সামিয়া । আমি ক্ষমাপ্রার্থী আপনার কাছে যদি আপনার মন্তব্যের উত্তরে আমার মন্তব্যে কষ্ট পেয়ে থাকেন । আমি ঠাট্টা করে বলেছি কারন আমার প্রিয় ব্লগার ছাড়াও আমার আত্মীয় বন্ধুরা যারা আমার লেখার পাঠক তাদের অনেকেই বলেছে ভয় পায় নি । এখন ভুতের গল্প লিখলাম কিন্ত কেউ ভয় পেলো না এটা কেমন কথা ! তাই আপনি বলাতে একটু সাহস পেলাম :)
আপনিও আমার প্রিয় লেখক । আপনার সর্বশেষ লেখাটিও পড়েছি কিন্ত মন দিয়ে মন্তব্য করবো বলে অপেক্ষায় আছি। ভালো থাকবেন আর সাথে থাকবেন । খুব শীঘ্রই ভ্রমন বহির্ভুত একটি লেখা নিয়ে আসছি । শুভেচ্ছা রাত্রির :)

৩৯| ২২ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:৪৬

নীলপরি বলেছেন: রাতে হলেও গল্পটা পড়েই ফেললাম । আর গল্পে +++++++++++

২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৪১

জুন বলেছেন: জানেন নীলপরি এ গল্পটা যখন লিখেছিলাম তখন ভয় হয়নি কিন্ত ছবিটা সংযোজনের পর আমি বেশ কিছুদিন পরে পোষ্টটা দেই সাহস সঞ্চয় করে ।
পড়া ও ভালোলাগার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ :)

৪০| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:২৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: হাহাহা আপু বেঁচে আছি জানান দিতেই মন্তব্য করা ;
আর তোমার মত আউল ফাউল লিখতে পারলে সেলিব্রেটি হওয়া কে ঠেকাত বল ? এভাবেই লিখে যাও আমাদের জন্য !

ও হ্যাঁ যাওয়া ছেড়ে দিয়েছ বলেই আমার শেষ কবিতায় তোমাকে পাইনি ।
অনেক অনেক শুভ কামনা আপু :)

২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৪৫

জুন বলেছেন: তোমার মত আউল ফাউল লিখতে পারলে সেলিব্রেটি হওয়া কে ঠেকাত বল
প্রিয় মনিরা তোমার মত কবিতা লিখতে পারলে আমি সব লেখা ছেড়ে দিতুম এটা নিশ্চিন্ত থেকো । কি অসাধারন তোমার কবিতাগুলো তা মনে হয় তুমি নিজেও অনুধাবন করতে পারো না । তাই হয়তো কলমের কালি ঝেড়ে ধুয়ে মুছে তাকে উঠিয়ে রেখেছো ।
নতুন কবিতা লিখেছো তাহলে? অবশ্যই যাবো । শুভকামনা রইলো তোমার জন্যও :)

৪১| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:০৬

সোহানী বলেছেন: ওরে বাপরে.... ভুতের গল্প মিস.............. পড়া উচিত ছিল আমাবস্যার রাতে। যাহোক দিনের আলোয়ই পড়লাম ও ভালোলাগলো আপনার নতুন কিছু লিখা...............

২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৩২

জুন বলেছেন: ভালোলাগার কথা জেনে খুব ভালোলাগলো সোহানী :)
প্রতিনিয়ত আপনাদের উৎসাহে কিছু না কিছু নিয়ে ব্লগ পাতায় হাজির হবার সাহস পাচ্ছি এটাই তো আমার জন্য বিশাল পাওয়া :)
ভালো থাকবেন সবসময় । রাত্রির শুভেচ্ছা আপনার জন্য :)

৪২| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:১৩

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: 'ওরা'-রা কাছে আসলে কিন্তু, পচা গন্ধ হয় না। এটা একটা ভুল ধারণা, আপু।

বরং, মিছরি'র মত একটি সুগন্ধ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। হাল্কা বাতাসে তখন মনটা বেশ চনমনে হয়ে উঠে।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:০১

জুন বলেছেন: ওনাদের গন্ধ সম্পর্কে আমার কোন ধারনাই নেই সত্যপথিক । আমি যেমনটি শুনেছি ঠিক তেমনটিই লিখেছি । তাদের বিষয়ে গুরুত্বপুর্ন তথ্যটি জানানো ও আন্তরিক মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ ।

৪৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৪৮

জেন রসি বলেছেন: এসব গল্প পড়তে হয় মাঝরাতে। আলো নিভিয়ে। এবং একা একা। আমি অবশ্য এখনই পড়ে ফেললাম।

অমবস্যার রাতে আমি দুএকবার শ্মশানে বসে ছিলাম কি হয় দেখার জন্য। যদিও ভূত বা পিশাচের দেখা পাইনি। মাদক ব্যবসায়ীদের দেখা পেয়েছিলাম। :P















৩১ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:০৬

জুন বলেছেন: আমি পড়ি দিনের আলোয় জনসমাবেশে ;) কারন আমি ওনাদের ভীষন ভয় পাই জেন রসি :-&
বলেন কি এত সাহস আপনার :-* আমিতো যাবার কথা ভাবলেই অজ্ঞান হয়ে যাবো মনে হয় ।
যাক যখনই হোক পড়েছেন মন্তব্যও করেছেন তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।

৪৪| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৬

আটলান্টিক বলেছেন: জুন আপু গো শুনেছি আগে নাকি গ্রামে-গঞ্জে জিনভূত প্রতিদিনই দেখা যেত।এখন মনে হয় ভূত ব্যাটাদের আর ভয় দেখাতে ভাল লাগেনা।তাই আর ভূত দেখা হলো না।তোমার গল্পটা পড়ে অত্যন্ত ভাল লেগেছে।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৫

জুন বলেছেন: ধন্যবাদ আটলান্টিক গল্পটি পড়ার জন্য। গাও গেরামে এখন বিদ্যুৎ এসেছে তাই ভুতেরা পালিয়েছে ।

৪৫| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫৭

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: ভালো লাগল গল্পটা ।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৭

জুন বলেছেন: স্বাগতম আমার ব্লগে নুর-ই -হাফসা ।
গল্পটি ভালোলাগায় অনেক ধন্যবাদ :)

৪৬| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৭

যূথচ্যুত বলেছেন: ঢাকার অদূরে ওই প্রত্যন্ত গ্রামটির ঠিকানা-টা কি কনফিডেন্সিয়াল? মানে ওটা পেলে আমার অনেক দিনের পুরনো একটা শখ চরিতার্থ করা যেত আর কী! ;)

তবে ডঃ এম এ আলী বলা থেকে খানিকটা রশদ পাওয়া গেল! :P

জেন রসি বলেছেন: এসব গল্প পড়তে হয় মাঝরাতে। আলো নিভিয়ে। এবং একা একা। আমি অবশ্য এখনই পড়ে ফেললাম।

আম্মো একমত।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৭

জুন বলেছেন: আপনার শখ চরিতার্থ করতে না পারার জন্য যারপরনাই দুঃখ প্রকাশ করছি যুথচ্যুত । কারন ঐ গ্রামে এখন বিদ্যুতের নহর বইছে সাথে কারিয়া পিরেত সহ সব ভুত প্রেত এখন গাও গেরামের শ্যাওড়া আর তেতুল গাছ ছেড়ে শহরের ভাংগা দালানে আশ্রয় নিয়েছে :(
আর এই ভুয়া গল্পটি পড়ার কোনো টাইম টেবল নাই । যখন খুশী তখনই পড়তে পারেন । নো চিন্তা :)
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই

৪৭| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩৬

আমি তুমি আমরা বলেছেন: গল্পটা ভালই। কথা হল, বুড়িটার কি হল? তাকে নিয়ে কি আর কোন পর্ব হবে?

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০৪

জুন বলেছেন: গল্পটা ভালোলেগেছে জেনে আমারও ভালোলাগলো আমি তুমি আমরা :)
বুড়িটাকে নিয়ে কি আরেকটি পর্ব লেখা উচিত কি না বুঝতে পারছি না ।
দেখবো চিন্তা করে , সাথে আপনার পরামর্শ পেলে ভালো হয় ।

৪৮| ২৯ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১:২৩

সিগন্যাস বলেছেন: হাই আল্লাহ ঘটনা তো সত্য মনে হচ্ছে?
বাস্তব ঘটনার উপর ভিত্তি করে লিখেছেন?

২৯ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৩১

জুন বলেছেন: হায় হায় খুজে খুজে আমার এই পচা ভুতের গল্পটা পড়েছেন সিগন্যাস :|
তবে যাই বলেন আপনার লেখা গল্পের ধারে কাছেও নেই আমি :(
আন্তরিক ধন্যবাদ রইলো গল্পটি পড়ে একটি মন্তব্য রেখে যাবার জন্য :)

৪৯| ৩০ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:০১

সিগন্যাস বলেছেন: কি করবো বলুন আপনার ২৬২ টা পোষ্টের মাঝে অন্য ভৌতিক গল্পগুলোতো খুঁজে পাচ্ছি :(

০১ লা জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:১৩

জুন বলেছেন: কোনটা কোনটা ভৌতিক গল্প বলেন তো সিগ্ন্যাস :-*
কারন আমি নিজেই ভুলে গেছি গত আট বছর ধরে কি ছাইপাঁশ লিখে চলেছি :)

আরেকবার এসেছেন তার জন্য অশেষ ধন্যবাদ ও শুভকামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.