নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

The best and most beautiful things in the world cannot be seen or even touched - they must be felt with the heart---Helen Keller

জুন

ইবনে বতুতার ব্লগ

জুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বার্মা এক নৃশংস জাতির দেশ

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৮


মুন্ডুবিহীন ধ্যানমগ্ন বুদ্ধ মুর্তি, একই ধর্মের অনুসারীর হাতে সংঘটিত।
ইতিহাসে পড়লে বোঝা যায় একদা বার্মা বর্তমান মায়ানমার সব সময়ই মনে হয় এক নিষ্ঠুর হিংস্র জনগোষ্ঠির বিচরনভুমি। এক সময়ের স্বাধীন রাজ্য আরাকানকে দখল করে সেখানকার জনগনের উপর দীর্ঘদিন ধরে কি নির্মম অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে মায়ানমার প্রশাসন তা ইলেকট্রনিক আর প্রিন্ট মিডিয়া খুললেই বিশ্ববাসী দেখছে । নাগরিক অধিকার হরণ করে রাখা এই লোকগুলিকে ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদই শুধু নয় খুন, ধর্ষন, অত্যাচার ছাড়াও তাদের বাড়ি ঘর জ্বালিয়ে দেশ থেকে তাড়িয়ে দিচ্ছে সরকারী মদদপুষ্ট বর্মী জান্তাবাহিনী সাথে বৌদ্ধ ভিক্ষুরাও সামিল। বার্মার নির্যাতিত এই জাতি বিশ্বে রোহিংগা জাতি হিসেবে পরিচিত। আত্মীয় পরিজন হারিয়ে প্রানটুকু সম্বল করে আজ তারা আমাদের দেশের আশ্রয়প্রার্থী। আমাদের ছোট দেশ, সম্পদও অল্প তাই হয়তো আমরা তাদের সেভাবে জায়গা দিতে পারছি না । কিন্ত তাদের চোখের জলে আমাদের হৃদয় ভেসে যাচ্ছে।

বর্মী বাহিনীর হাতে ধ্বংস হয়ে যাওয়া প্রাচীন রাজধানী আয়ুথিয়ার কিছু ক্ষত চিনহ
বার্মিজরা নরম প্রতিবেশী পেলে বিনা কারনে বা সামান্য অজুহাতে আক্রমন করে বসে যার প্রমান দেখি থাইল্যান্ডের ইতিহাসে। একদা থাইল্যান্ডের অর্থাৎ শ্যামদেশের রাজধানী এক জৌলুসময় সম্পদশালী সমৃদ্ধ নগরী আয়ুথিয়া মোট দুই দুইবার বর্মীদের আক্রমনের শিকার হয়।প্রথমবার ১৫৪৭ সনে আর দ্বিতীয়বার ১৭৬৫ খৃষ্টাব্দে। দ্বিতীয়বার আক্রমনের পরে আয়ুথিয়া রাজের সন্ধির আমন্ত্রন প্রত্যাখান করে এই হিংস্র বর্মী বাহিনী ১৭৬৭ এর ৭ই এপ্রিল অবরুদ্ধ আয়ুথিয়ার লক্ষ লক্ষ ক্ষুধার্ত জনগনসহ সমস্ত স্থাপনাসমুহ জ্বালিয়ে পুড়ে ছারখার করে দিয়েছিল। এই ঘটনা আজও এই দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে একটি গভীর কালো দাগ রেখে গেছে।

রাজপ্রাসাদের একাংশ।
এই ইতিহাসটা আমাদের জানা হতো না যদি না মাস দুয়েক আগে এক থাই বন্ধুকে আমাদের সাথে মায়ানমার সফরের আমন্ত্রন জানাতাম । আমাদের কথা শোনার সাথে সাথে তার স্বভাবের বাইরে গলার স্বর তুলে দৃঢ় ভাবে বল্লো,
“না না আমি বার্মা যেতে চাইনা, ওরা বর্বর, আমাদের দেশ আক্রমন করেছে, আমাদের দেশের মানুষকে মেরেছে এবং সবার ওপরে তারা আমাদের গড লর্ড বুদ্ধার মুর্তিগুলো ধ্বংস করে দিয়ে গেছে”।

একটি ধর্মীয় স্থাপনার সামনে মাথাবিহীন তিনটি বুদ্ধ মুর্তি।
এই ব্যাপারটাই আমার কাছে বিস্ময়কর লেগেছিল ২০১৬ র ফেব্রুয়ারীতে আয়ুথিয়া নগরী সফর করতে গিয়ে। বর্তমান প্রত্মতাত্মিক এলাকা হিসেবে ঘোষিত এই নগরীর ধ্বংসস্তুপের মাঝে রয়েছে লাল ইটের অসংখ্য স্থাপনা যার ভেতরে আছে রাজপ্রাসাদ ও বিভিন্ন মন্দির, মঠ। দু একটা মন্দির দেখলাম কিছুটা সংস্কার করছে এবং বেশ কিছু বুদ্ধ মুর্তির মাথা পুনস্থাপন করেছে। সেসব মন্দিরে বুদ্ধ ধর্মের প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল থাই জনগন পুজা অর্চনা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্ত রাজকীয় প্রাসাদ ও তার আশেপাশের স্থাপনাগুলো পুরোই ধ্বংসস্তুপে পরিনত। এসব স্থাপনার চারিদিক ঘেষে অজস্র বুদ্ধের মুর্তি যার বেশিরভাগই মাথা নেই।

লাল দেয়ালের গা ঘেষে সার সার মাথাবিহীন বুদ্ধের মুর্তি
এ বিষয়ে বলতে গিয়ে গাইড তার চোখেমুখে সামান্য ক্রোধের চিনহ ফুটিয়ে তুলে আমাদের জানিয়েছিল এটা বর্মী বাহিনীর নৃশংসতার প্রতীক। অবাক হয়ে ভাবছিলাম যুদ্ধের রীতি নীতি অনুযায়ী এক দেশ অন্য দেশকে আক্রমন করে ধ্বংস করতে পারে, সৈন্যদের মেরে ফেলতে পারে, কিন্ত সাধারন জনগনকে না খাইয়ে মেরে ফেলা এবং একই ধর্মের অনুসারী হয়ে তাদেরই পুজনীয় ইষ্ট দেবতার মুর্তির উপর আঘাত ও ধ্বংস করাতেই বোঝা যায় তারা ভেতরে ভেতরে কতটা পাশবিক আর হিংস্র একটি জাতি।
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া নেত্রীও যে কতটা নিষ্ঠুর নৃশংস হতে পারে তার প্রমান সেদেশের অং সান সুচী ।

মাটির গভীরে প্রথিত হয়ে যাওয়া বুদ্ধের মাথাটি অশোক গাছের শেকড়ে জড়িয়ে আবার উঠে এসেছে ধরায়

মন্তব্য ১২৪ টি রেটিং +২৯/-০

মন্তব্য (১২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


জলদস্যুর বাচ্চারা মানুষ নয়, জল্লাদ

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩১

জুন বলেছেন: আসলেই চাঁদগাজী ঠিকই বলেছেন আপনি ।

২| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৬

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: বার্মায় লাল রঙ্গের সন্ত্রাসী আছে। তাদের দৌরাত্ব বিশ্ব এখন প্রত্যক্ষ করছে।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৩

জুন বলেছেন: তাদের দৌরাত্ব বিশ্ব এখন প্রত্যক্ষ করছে।
আশাকরি বিশ্ববাসী শুধু প্রত্যক্ষই নয় সোচ্চারও হবে শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া)।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

৩| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৭

শ্রোডিঙ্গার বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। এদের ব্যাপারে জানতাম না। ঐতিহাসিকভাবেই তাহলে তারা অসভ্য?

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৪

জুন বলেছেন: শুধু অসভ্যই নয় তারা যে কত রকম নীতিহীন কাজ করতে পারে তা কড়গুনে শেষ করা যাবে না ।
তাদেরই জাতির হুনশা থাই লাওস আর বার্মা বর্ডারে গড়ে তুলেছিল বিশাল মাদক সাম্রাজ্য গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গল। লক্ষ লক্ষ তরুনের জীবন ধ্বংস করেছিল যা বর্তমানে ইয়াবা দিয়ে আমাদের দেশে করছে ।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ শ্রোডিঙ্গার ।

৪| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন ,




আপনার এই ঐতিহাসিক লেখাটি এই ক্রান্তিকালে একটি দলিল হয়ে থাকবে সেই সব মানুষের কাছে যারা একটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর উপর বার্মার পৈশাচিক হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে সোচ্চার ।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০২

জুন বলেছেন: আহমেদ জী এস ,
অসংখ্য ধন্যবাদ সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য । এখানে বলা প্রাসংগিক হবে তাই বলছি। গত মায়ানমার সফর করার সময় সেখানকার গাইডসহ ট্যুর কোম্পানীর কিছু মেয়ের সাথে পরিচিত হই যা শেষে ফেসবুক পর্যন্ত আসে । তারা আমাকে বোন বলে ডাকে তাদের দেশে আবার বেড়াতে যাবার জন্য সবিনয় অনুরোধ করে । আমিও যথারিতী নরম মনের বলে তাদের প্রতি যথেষ্ট সহানুভুতিশীল হই । আরেকবার যাবারও চিন্তা ভাবনা করি। এমনকি গত রোহিঙ্গা উচ্ছেদের সময়ও আমি বলেছিলাম সব বার্মিজ না, কিছু কিছু মানুষ ভালো । কিন্ত এবার আমার সেই ফেসবুক বন্ধুদের উগ্র, হিংস্র এবং রোহিংগা ও বাংলাদেশ বিশেষ করে মুসলমান বিরোধী নোংরা বক্তব্যে আমি বিস্মিত হই । তারমানে তারা যে আমাদের আপ্যায়ন করছে সেকি শুধুই তাদের পর্যটন ব্যবসার খাতিরে !
আবারও ধন্যবাদ ।

৫| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩১

আবিদা সিদ্দিকী বলেছেন: অথচ সুচি নিয়মিত চুলে ফুল গোঁজে...

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৪

জুন বলেছেন: সাথে সনেকাও মাখে মহিলা X((
আমার ব্লগে সাদর আমন্ত্রন রইলো আবিদা সিদ্দিকী ।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ।

৬| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩১

জাহিদ অনিক বলেছেন: ভয়াবহ এক জাতি।

অনেক অজানাকে জানালেন। ধন্যবাদ জুন আপু।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৭

জুন বলেছেন: সত্যি ভয়াবহ আপনি উপরে আহমেদ জি এসের মন্তব্যের প্রতি উত্তর পড়লে বুঝতে পারবেন তারা কি ভয়ংকর ।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।

৭| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মগের মুল্লুক কথাটা তো এমনি এমনি বলা হয় না। বার্মিজরা স্বভাবগতভাবেই হিংস্র জাতি।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৩০

জুন বলেছেন: আবুহেনা ভাই আপনার কথার সাথে সহমত উগ্র হিংস্র মগ । তবে সব বার্মিজরা মনে হয় মগ জাতি না । তাদের প্রায় ১৮ /১৯ টি জাতি আছে যারা স্বাধীন হতে চায় । এর মধ্যে কাচিন আর শানরা নিষ্ঠুরতা আর হিংস্রতায় অতুলনীয় ।
ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য । ভালো থাকবেন ।

৮| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১২

উম্মে সায়মা বলেছেন: ওদের দেশের আলো বাতাসেই কিছু আছে নাকি কে জানে যা তাদেরকে এমন হিংস্র করে তোলে!
তারা যে থাইল্যান্ড আক্রমণ করেছিল তা জানা ছিল না। ধন্যবাদ জুন আপু এ ইতিহাস জানানোর জন্য। এটা হচ্ছে তাদের অহিংস নীতি!

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৩৯

জুন বলেছেন: তাই মনে হয় উম্মে সায়মা । তারা থাইল্যান্ড অর্থাৎ সেসময়কার শ্যাম দেশে আক্রমনই নয় তাদের রাজধানী আয়ুথিয়াকে জালিয়ে পুড়িয়ে খাক করে দিয়েছিল । এমনই অহিংস নীতি । আমি মায়ানমারের বিভিন্ন জায়গায় দেখেছি বৌধ্য সন্নাসী বিশেষ করে যুবকরা মোবাইলে গেম খেলছে, সেলফি তুলছে সানগ্লাস পরে, হাসাহাসি করছে যা আমি আর কোন দেশে দেখিনি।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন সাথে সকালের শুভেচ্ছা ।

৯| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৮

আখেনাটেন বলেছেন: বর্বর জাতি।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৪০

জুন বলেছেন: সঠিক বলেছেন আখেনাটেন ।
পোষ্টটি পড়া ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

১০| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪১

জাহিদ অনিক বলেছেন: আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মগের মুল্লুক কথাটা তো এমনি এমনি বলা হয় না। - যথাযথ বলেছেন।

জীএস ভাইয়ার মন্তব্যটাও পড়লাম।

ধন্যবাদ

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৪২

জুন বলেছেন: আরেকবার আসার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন জাহিদ অনিক ।
৪ নং মন্তব্যের জবাবে আমি যা লিখেছি তারপর থেকে আমি পুরো জাতিটির প্রতি আমার ঘৃনা রইলো ।

১১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৯

সুমন কর বলেছেন: অনেক কিছু জানতে পারলাম। ধন্যবাদ।

শুধু ঘৃণাই থাকল, ওদের প্রতি।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩০

জুন বলেছেন: আমার সামান্য জানা বিশেষ করে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাটুকু আপনাদের সাথে শেয়ার করে কিছুটা ভালোলাগছে সুমন কর ।
ঘৃনা থাকলো তাদের প্রতি। মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ ।

১২| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৫

রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: মগের মুল্লুক বলে কথা।
এই একটা জাতিকে সন্ত্রাসী কার্যক্রম ছাড়া বিশেষ কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৫

জুন বলেছেন: মগের মুল্লুক বলে কথা
ঠিকই বলেছেন রায়হানুল এফ রাজ । তবে ঐদেশে অনেকগুলো জাতি গোষ্ঠি রয়েছে তাদের মধ্যে মগ একটি । তবে তাদের সমস্ত জাতিই নৃশংস হিংস্র ।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ ।

১৩| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৯

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: দাদারা নাকি বার্মা সেনাবাহিনীর সাপোর্ট করছে?

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৬

জুন বলেছেন: দাদারা প্রচন্ড স্বার্থপর । স্বার্থ ছাড়া তারা এক কদমও আগায় না ।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ প্রশ্নবোধক (?)

১৪| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২৪

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: এই মগ বা বর্মিরা জেনেটিক্যালি জলদস্যু। মুঘল আমলে ও তার অাগে দক্ষিন বাংলা ও পুর্ববাংলায় শতাব্দিব্যাপি লুটতরাজ, খুন, ধর্ষণ সহ কি নাই সব করেছে, বৃটিশ আমলে গিয়ে সেটা থেমেছিলো। ঢাকার মগবাজার তাদের লুটতরাজের একটা কেন্দ্র ছিলো। আজকের মগবাজার সেইসময় মূল ঢাকার অনেক বাইরে ছিলো।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৮

জুন বলেছেন: সম্পুর্ন সহমত আপনার বক্তব্যের সাথে মেঘনা পাড়ের ছেলে । মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ।

১৫| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৪৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ মুল্যবান সচিত্র তথ্য পরিবেশনের জন্য ।
সঠিক কথাই বলেছেন বার্মা এক নৃশংস জাতির দেশ ।
দস্যুবৃত্তিতে মগদের কুখ্যাতির জন্যই "মগের মুল্লুক" কথাটি বাংলাদেশে পরিচিত।
পোষ্টের লেখা থেকেও বুঝা যায় বার্মাকে যে মগের মুল্লুক বলা হয় তা এমনি বলা হয় না।

বার্মিজদের নৃশংস ইতিহাসের সাথে সাথে বর্তমান মিয়ানমার এলাকায় অবস্থিত এক সময়কার স্বাধীন
আরাকান রাজ্যের গৌরবময় ইতিহাস, আরাকানে মুসলমানদের রাজ্যত্ব বার্মিজদের হাতে কিভাবে
দখল ও ধংসপ্রাপ্ত হয়েছে ও এখনো হয়ে যাচ্ছে সে সাথে আরাকানের প্রাচীনতম একটি জনগোষ্টি
রোহিঙ্গাদেরকে নির্মুল করার জন্য বার্মিজরা যে রকম তান্ডব ও বর্বর হত্যা যজ্ঞে মেতে উঠেছে তার
সচিত্র ইতিহাস সকলের কাছে আপনার মত একজন ইতিহাসবিদের হাতে সুন্দরভাবে কোন এক লেখায়
উঠে আসবে বলে বিশ্বাস রাখি । সে লেখাটি দেখার অপেক্ষায় থাকলাম

পোষ্টটি প্রিয়তে গেল ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।



১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৩

জুন বলেছেন: আরাকান রাজ্যের গৌরবময় ইতিহাসের সাথে একাত্ম ছিল আরাকান রাজসভায় বাংলা সাহিত্যের উজ্জ্বল রত্ন দৌলত কাজী, আলাওল, কোরেশী মাগন ঠাকুর, মরদন, আব্দুল করিম খোন্দকর প্রভৃতি সাহিত্যিকদের সাহিত্য রচনা ।
আরাকানে কিন্ত দুটি গোষ্ঠি এক আরাকানি আর এক রোহিংগা । বহু যুগ আগে থেকেই স্বাধীন এই আরাকান রাজ্যে বাঙ্গালী বিশেষ করে চট্টগ্রামের বাসিন্দারা বসতি স্থাপন করে। তবে আদিতে রোহিঙ্গারা সেখানকার বাসিন্দা ছিল কি না তা একটু দেখতে হবে। যতটুকু জানি তাই শেয়ার করলাম আপনার সাথে ডঃ এম আলী । তবে ইতিহাসে পড়েছি আরাকানি গোষ্ঠি কিন্ত প্রচন্ড শঠ এবং নৃশংস প্রকৃতির যার নমুনা আপনি মুঘল সম্রাট শাহজাহানের তৃতীয় পুত্র শাহ সুজার ইতিহাসে দেখতে পাবেন। কিভাবে তাকে আওরংজেবের আক্রমনের হাত থেকে রক্ষার জন্য আশ্রয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কতখানি শঠতার পরিচয় দিয়েছিল আরাকান রাজ। বিশাল এর ইতিহাস কখনো এ নিয়ে কথা হবে হয়তো ।
আমার সামান্য পোষ্টটি পড়া এবং মন্তব্য ভালোলাগা ও প্রিয়তে নিয়ে সন্মানিত করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

১৬| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ২:০৩

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

Ong Bak নামের এক মুভিতে দেখেছি এই বার্মিজদের ভয়াবহতা.... থাইল্যান্ডের ব্যাংককে এরা সেই মধ্যযুগে প্রচন্ড বর্বরতা চালিয়েছিল। এরা আজো মানুষ হয়নি.... এদের শিক্ষা দেওয়া উচিৎ....

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৮

জুন বলেছেন: ভ্রমরের ডানা আন্তরিক ধন্যবাদ মন্তব্যে । শুধু থাই অর্থাৎ সেসময়কার শ্যামদেশেই নয় মুঘল সম্রাট শাহজাহানের তৃতীয় পুত্র শাহ সুজাকে আশ্রয় দেয়ার কথা বলে তার সাথে কি আচরন করেছিল আরাকানের রাখাইন রাজ সেটা একটু দেখেন । প্রসঙ্গত আরাকানের প্রধান দুটি গোষ্ঠির একটি হলো রাখাইন আরেকটি রোহিঙ্গা ।

১৭| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৩৫

কানিজ রিনা বলেছেন: অসাধারন সময়উপযোগী একটা পোষ্ট দিয়েছেন
মায়ানমার বর্মীরা শত শত বছর ধরে বর্বর
অসভ্য জাতী। রহিঙ্গাদের হাজার বছরের মাতৃ
ভূমিকে নাগরিকত্ব নিশিদ্ধ করে রেখেছে।
শত শত বছর ধরে রহিঙ্গা নিপীরন বর্বর
জাতীর প্রমান মিলে। এবার ওদের বর্বরতার
সীমা ছেড়েছে সারা পৃথিবী জুড়ে ঘৃনার ঝড়
ওরা উপেক্ষা করে অসভ্য নির্লজ্জতার পরিচয়
দিয়েছে এই অসভ্যজাতী।
আপনার লেখায় এই সত্য তুলে ধরার জন্য
অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৭

জুন বলেছেন: মন্তব্য ও একাত্মতা প্রকাশের জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ কানিজ রিনা ।

১৮| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৪৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: মানুষ মানুষের উপর এতোটা নিষ্ঠুর কিভাবে হতে পারে তা ভাবতেও পারি না।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৯

জুন বলেছেন: ভাবনার বাইরেও কত কিছু ঘটতে পারে তা আমরা দেখেছি আমাদের দেশেই ১৯৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধে।
মন্তব্যের জন্য আন্তরক ধন্যবাদ সাদা মনের মানুষ ।

১৯| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৩১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বর্বরতার সকল সীমা এরা অতিক্রম করে ফেলেছে ; ঐতিহাসিক সত্য জানলাম আজকে ,বর্তামান ভয়বহতা তো দেখতে পাচ্ছি ।
এদের জন্য চরম শিক্ষা দরকার ।
ধন্যবাদ আপু পোষ্ট এর জন্য !

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২১

জুন বলেছেন: এদের জন্য চরম শিক্ষা দরকার
কিন্ত কথা হলো তাদের এই চরম শিক্ষাটা দেবে কে ? স্বার্থ না থাকলে কোন জাতি এক পা এগিয়ে আসে কি না সন্দেহ ।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।

২০| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৪২

সোহানী বলেছেন: ছোটবেলায় মনে হয় অনেক ছড়া পড়েছিলাম বার্মার দস্যুবৃত্তির উপর.... দিনের পর দিনতো আর এমন ছড়া মানুষের মুছে ছড়াইনি... তাদের কার্যকলাপ দেখেই এমন হয়েছে।

হেনা ভাই ঠিকই মনে করিয়েছে... মগের মুল্লুক।

ধন্যবাদ জুনাপু তাদের সত্যিকারের রুপ মনে করিয়ে দেবার জন্য...............

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৫

জুন বলেছেন: সোহানী, আমারও জানার বাইরে থাকতো যদি না কিছু বর্মী আমার ফেসবুক বন্ধু তালিকায় না থাকতো । রোহিঙ্গা তথা বাংলাদেশের প্রতি কি যে ঘৃনা উপচে পড়ছে সেটা তাদের স্ট্যটাস না দেখলে বোঝা যেতো না । সত্যিকারের রূপ এই পরিপ্রেক্ষিতে আমারো দেখা হলো ।
সবসময় পাশে থেকে মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ ।

২১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:০৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বার্মা থেকে আরাকান রাজ্যের বেড় হয়ে যাওয়া উচিত। স্বাধীন আরাকান রাজ্য একটা সমাধান হতে পারে। সুকির নোবেল মেডেল কেড়ে নেয়া উচিত । তুরস্কের ফার্স্ট লেডি শান্তি তে নোবেল পুরস্কারের জন্য সুখীর চেয়ে শতগুন বেটার। সুন্দর পোষ্ট ।+

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩২

জুন বলেছেন: বার্মা থেকে আরাকান রাজ্যের বেড় হয়ে যাওয়া উচিত।
সেলিম আনোয়ার একটি তথ্যে জানতে পারলাম বৃটিশ শাসন থেকে পাক ভারত সহ বার্মা যখন মুক্ত হয় তখন আরাকান বাংলাদেশ অর্থাৎ পাকিস্তানের সাথে যুক্ত হতে চেয়েছিল । অথবা স্বাধীন রাজ্য । কিন্ত এ ব্যাপারে দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত র‍্যাডক্লিফ ঘুমের ঘোরেই নাকি নেশার ঘোরেই সীমানারেখা টেনেছিল এটা এখনো কেউ চুড়ান্ত ভাবে বলতে পারছে না । অথবা বৃটিশ নীতি ডিভাইড রুলের শিকার তাই বা কে জানে।
সুচীর নোবেল প্রাপ্তি সত্যি অপাত্রে ঘি ঢালা। এরপর নোবেল কমিটির এই পুরস্কারের জন্য আর কারো আগ্রহ থাকা উচিত না বলে মনে করি ।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার।

২২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৩

ফয়সাল রকি বলেছেন: ইতিহাস কথা বলে!

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৩

জুন বলেছেন: ইতিহাস কথা বলে ফয়সাল রকি কারন ইতিহাস চির সত্য ।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ ।

২৩| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১২

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: আমানুল্লা যখন গুলি খেয়ে জিরো পয়েন্টে কাতরাচ্ছে
শাহপুরীর তীরে যখন গুলবাহারের লাশ ভেসে উঠেছে
সাতদিনের অনাহারি মন্তাজ মিয়ার মা'হারা বাচ্চাগুলো যখন কুতুপালংএর
লঙ্গরখানার দীর্ঘ লাইনে অধীর প্রতিক্ষায়.................
মহান শান্তির নেত্রী সুচি তখন রেড ওয়াইনের গেলাসে চুমুক দিয়ে ধমকাচ্ছেন
তার রাজ খানসামাকে,লাঞ্চের প্লেটে ভাজা শুয়রের মাংসে চর্বি বেশি হওয়ায়,,,
এদের কারো কোনো খেয়াল নেই তার স্বাস্থ্যের প্রতি,বেচারীরতো বয়েস হয়েছে নাকি?
সারাটা জীবন কষ্টই করে গেলেন.............আর কত!!!
আচ্ছা সুচি,
মহান নেত্রি আমার,
ভাজা শুয়রে কি গুলবাহারের পঁচা মাংসের গন্ধ পেয়েছিলে?
কিংবা রেড ওয়াইনে আমানুল্লার রক্তের?
কিংবা তোমার লাঞ্চের প্লেটে কি ভেসে উঠেছিলো ক্ষনিকের জন্য মন্তাজ মিয়ার মা'হারা বাচ্চাদের মুখ?
কে জানে?হওয়াই স্বাভাবিক।তোমারতো আবার খালি মায়া আর মায়া............এমনি এমনিতো আর
নোবেল পাওনি?
ধ্যাত্তেরিকা................ছাড়োতো এসব বাপু!
এত কিছু খেয়াল করলে চলে?
দু'চারটে গেঁয়ো রোহিংগা ভুত মরলে কিইবা এসে গেলো কার?
মিয়ানমারের মহান নেত্রি তুমি।
দেশকে বিশ্বকাতারে এগিয়ে নেয়ার সময় এখন।
পিছু চাওয়ার সময় কোথা অত??

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৯

জুন বলেছেন: কি করি আজ ভেবে না পাই আপনার অত্যন্ত মর্মস্পর্শী কবিতাটি পড়ে মনটি আদ্র হয়ে উঠলো ।
কিন্ত এখন নরম হওয়ার সময় নয় । গুলবাহাররা নিজেদের ইজ্জত সহ স্বামী পুত্র ভিটে মাটি সব হারিয়ে আজ তারা অন্যের দুয়ারে আশ্রয় প্রার্থী । তাদের একটি টেকসই সাহায্যের মাধ্যমে পুনর্বাসন করার ব্যবস্থা করা উচিত বিশ্ব মোড়লদের । শুধু পুশব্যাক করে তাদের ঠেলে সীমান্ত পার করে দেয়াই যেনো আমাদের কাজ না হয় ।
আমি যাচ্ছি শীঘ্রই আপনার ব্লগ বাসায় শান্তি পুরস্কার দেবীর মুখে একদলা থুথু ছিটিয়ে আসতে ।
পোষ্টের সাথে সঙ্গতিপুর্ন কবিতাটি রেখে যাবার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ কি করি।

২৪| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৩

সনেট কবি বলেছেন:





জুনের ‘বার্মা এক নৃশংস জাতির দেশ’ পোষ্টে মন্তব্য-

বিশ্বের চিরকালিন সেরা অমানুষ
জাতির দৃষ্টান্ত হলো মায়ানমারের
সেই বর্গি জাতি যারা আমাদের দেশে
নিষ্ঠুর দস্যু পনায় হামলা চালাত।
এখন সে অসভ্যরা নিজের দেশের
নাগরিক বিতাড়নে এমন নিষ্ঠুরতা
দেখাচ্ছে ,যা বিবেকের চরম ঘৃণার
উৎগিরনে প্রকাশে, তাদের পশুত্ব।

জুন আপনার পোষ্ট সত্যের প্রকাশে
আলোক বর্তিকা হয়ে জানোয়র জাতি
সম্পর্কে নয়া প্রজম্মে অবগত করে।
ওদের বিনাশে আজ বড় প্রয়োজন
সভ্য দুনিয়ার ঐক্য, নতুবা পশুরা
কখন কি করে সেটা বুঝা মুশকিল।


১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৩

জুন বলেছেন: বিশ্বের চিরকালিন সেরা অমানুষ
জাতির দৃষ্টান্ত হলো মায়ানমারের
সেই বর্গি জাতি যারা আমাদের দেশে
নিষ্ঠুর দস্যু পনায় হামলা চালাত।


সত্যি বলেছেন আপনি কবি , অসংখ্য ধন্যবাদ কবিতায় মন্তব্যের জন্য ।

২৫| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১২

তারেক ফাহিম বলেছেন: আর যাই হোক ওরা মানুষ বলে মনে হচ্ছে না।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৬

জুন বলেছেন: অল্প কথায় অনেক ওজনদার একটি মন্তব্য তারেক ফাহিম । আন্তরিক ধন্যবাদ পোষ্টটি পড়ার জন্য ।

২৬| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৯

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:




ঐতিহাসিকভাবেই তারা বর্বর। আপনার লেখা থেকে তাই বেরিয়ে আসলো। তাই তাদের বর্তমান বর্বরতা তাদের জন্য স্বাভাবিক ব্যাপার। তাদের হৃদয় বলে কিছু নেই । যদি থাকতো তারা এমন বিচ্ছিরি নির্যাতন চালাতে পারতো না । মেরে ফেলার পর সেই লাশকেও রেহাই দিচ্ছে না।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৯

জুন বলেছেন: ওদের একাধিক জাতি গোষ্ঠির মাঝে কারেন কাচিন শানরা যে কি নৃশংস তা তাদের ইতিহাস পড়লেই জানা যায় । সহমত প্রকাশ এবং মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে ।

২৭| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৩

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: সহতম আপনার সাথে
আপনার তথ্যমূলক পোষ্টটি পেয়ে ভালো হল, জানতে পারলাম অনেক ভালোভাবে।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০০

জুন বলেছেন: আমার সামান্য লেখাটুকুর সাথে একাত্নতা প্রকাশের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ নয়ন ।

২৮| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৫

পুলহ বলেছেন: "দ্বিতীয়বার আক্রমনের পরে আয়ুথিয়া রাজের সন্ধির আমন্ত্রন প্রত্যাখান করে বর্মী বাহিনী ১৭৬৭ এর ৭ই এপ্রিল অবরুদ্ধ রাজধানী আয়ুথিয়ার লক্ষ লক্ষ ক্ষুধার্ত জনগনসহ সমস্ত স্থাপনাসমুহ জ্বালিয়ে পুড়ে ছারখার করে দিয়েছিল।"-- লাখ লাখ মানুষসহ জ্বালিয়ে দিয়েছিলো আগুনে?? !!!!!

সংক্ষিপ্ত হলেও শক্তিশালি পোস্ট। শুভকামনা জানবেন জুন আপু !

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৩

জুন বলেছেন: অনেক অনেকদিন পর আপনাকে দেখে খুব ভালোলাগলো । কোথায় ছিলেন এতদিন ?
ছোট হলেও আমার পোষ্টটি আপনার নজর কেড়েছে দেখে অশেষ ধন্যবাদ পুলহ ।

২৯| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৭

জাহিদ হাসান বলেছেন: মায়ানমার একটা অসভ্য, বর্বর জাতির দেশ এই কথা আমিও বলি।
তাই আমাদের উচিত স্থলসীমান্তটা খোলা না রেখে স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া ।
আর দেশের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করা ।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:১০

জুন বলেছেন: তাই আমাদের উচিত স্থলসীমান্তটা খোলা না রেখে স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া । কিন্ত এটা করলেতো মায়ানমারের আমাদের দেশে ইয়াবা পাচার বন্ধ হয়ে যাবে। গোল্ডেন ট্রায়ঙ্গালের মাধ্যমে মিয়ানমার এক সময় ভয়ংকর মাদক সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিল । সেটা উচ্ছেদের পর এখন তাদের টার্গেট বাংলাদেশ ।
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া হচ্ছে মানবিক কারনে । সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করা কি সমাধান ! যাদের পেছনে চীনের প্রাচীর দাঁড়িয়ে আছে মাথা তুলে । সম্প্রতি আমাদের বড় ভাইও গিয়ে বলে এসেছে তারা মিয়ানমারের পাশে আছে বরাবরের মত ।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জাহিদ হাসান।

৩০| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মারাঠা বর্গী মগ দের নিয়ে সেই ভয়া দেখানি ছড়াতো এমনি আসেনি

ছেলে ঘুমালো পাড়া জুড়ালো বর্গী এলো দেশে
বুলবুলিতে ধান খেয়েছে খাজনা দেব কিসে?

‘মগের মুলুক’ বাংলাদেশে একটি সুপরিচিত বাগধারা। বাংলা একাডেমি এর অর্থ লিখেছে—১. ব্রহ্মদেশ বা আরাকান রাজ্য। ২. অরাজক রাষ্ট্র, যে রাজ্যে আইনের শাসন সুপ্রতিষ্ঠিত নয়, যেখানে যথেচ্ছাচার হয়। বার্মিজরা ঐতিহাসিকভাবেই বর্বর, নিষ্ঠুর। মানুষের গলায় দড়ি বাঁধা, হত্যা, ধর্ষণ, বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া রাখাইনদের পুরনো অভ্যাস। ‘ইস্ট ইন্ডিয়া ক্রোনিকলস’-এর বর্ণনায় জানা যায়, ১৭১৮ সালে বার্মার রাখাইন রাজা দক্ষিণবঙ্গ তছনছ করে অন্তত এক হাজার ৮০০ জন সাধারণ অধিবাসীকে ধরে নিয়ে যান। বন্দিদের রাজার সামনে হাজির করা হলে রাখাইন রাজা সেখান থেকে বেছে বেছে এক দলকে তাঁর নিজের দাস বানান, আর অবশিষ্টদের গলায় দড়ি বেঁধে ক্রীতদাস হিসেবে বাজারে বিক্রি করে দেন। মগের মুলুক বলতে জোর যার মুলুক তার। এ বাগধারা মিয়ানমারের মগদের বর্বরতা ও দস্যুপনা থেকেই এসেছে।

সপ্তদশ শতাব্দীর প্রথমাংশে তখনকার বাংলা বা বঙ্গদেশ খুব সমৃদ্ধ ছিল। ওই সময় দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ‘মগ’ জাতির দস্যুরা বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে খুব লুটপাট ও ডাকাতি করত। বর্তমানে যারা রোহিঙ্গাদের ওপর বর্বর আক্রমণ করছে, তাদের বলা হচ্ছে রাখাইন উপজাতি। এ রাখাইন উপজাতির আগের নাম মগ। সেই মগরাই ৪০০ বছর আগেও অত্যাচার ও লুটপাট চালাত। তখনকার আমলের মোগল সাম্রাজ্যের রাজধানী দিল্লি থেকে নিযুক্ত, তৎকালীন বাংলা-প্রদেশের রাজধানী ঢাকায় অবস্থানকারী শাসনকর্তা বা সুবেদার, পরিস্থিতি সামলাতে না পেরে পালিয়ে গিয়েছিলেন। মগরা যা ইচ্ছা তাই করেছিল। অর্থাৎ তখন সরকার ছিল না, মোগলদের পরিবর্তে দেশের মালিক হয়ে গিয়েছিল মগ দস্যুরা। মুলুক শব্দটির অর্থ দেশ বা এলাকা ইত্যাদি। পর্তুগিজ নৌ-দস্যুদের সঙ্গে যখন আরাকানি বৌদ্ধরা হাত মিলিয়ে বাংলার উপকূলীয় এলাকায় সম্ভ্রমহরণ-লুণ্ঠন-হত্যার মতো জঘন্য কর্মে লিপ্ত হয় তখন থেকেই ‘মগ’ ও ‘মগের মুলুক’ জাতি ও দেশবাচক শব্দ দুটি অরাজকতার নামান্তররূপে ব্যবহৃত হতে থাকে। (তথ্যসূত্র : বঙ্গে মগ-ফিরিঙ্গি ও বর্গির অত্যাচার, মুহম্মদ আবদুল জলিল, বাংলা একাডেমি, পৃষ্ঠা ২৫)

অত্যাচারীরা ধ্বংস হোক।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:১৩

জুন বলেছেন: আপনার সাথে কন্ঠ মিলিয়ে আমিও বলি অত্যাচারীরা ধ্বংস হোক। বিদ্রোহী ভৃগু ।
তথ্যসুত্রটির জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে ।

৩১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৫

গেম চেঞ্জার বলেছেন: এদেরকে উচিত শিক্ষা দেওয়া দরকার! X(( আমার মনে হয় এরা মানবজাতির সবচেয়ে ঔর্স্ট পার্ট!

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:১৪

জুন বলেছেন: আমার মনে হয় এরা মানবজাতির সবচেয়ে ঔর্স্ট পার্ট!
ঠিক বলেছেন গেম চেঞ্জার । অনেকদিন পর আপনাকে ব্লগে দেখে ভালোলাগছে ।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ ।

৩২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪৪

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: বার্মা কেন নিজেদেরকে এভাবে পরিচিত করছে বিশ্বের সামনে? ত্রিশ লাখ রোহিংগাদের নাগরিকত্ব দিয়ে বিষয়টি সুরাহা করলেই হয়। তখন যদি কোন সন্ত্রাসী আক্রমন ঘটে তার মোকাবেলার জন্যে বাংলাদেশও সহায়তা দিতে পারে। কিন্তু সবার আগে প্রয়োজন রোহিংগাদের মানবিক এবং নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হওয়া।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:২১

জুন বলেছেন: তিরিশ লাখ রোহিঙ্গাদের মধ্যে অধিকাংশই যে মুসলিম উম্মু আবদুল্লাহ । তাদের বিরুদ্ধে মায়ানমারের সংখাগুরু বৌদ্ধ সম্প্রদায় থেকে তাদের ভিক্ষু এবং সামরিক সরকার পর্যন্ত । তাই বৌদ্ধ ভিক্ষুদের চটিয়ে এত সহজে রোহিঙ্গাদের চাওয়া পাওয়াকে মেনে নেবে বলে মনে হয়না ।
বার্মায় অনেকগুলো ভয়ংকর জাতি গোষ্ঠি আছে যারা স্বাধীনতা চায়। এটা হলে বার্মা ভেঙ্গে তিন চার টুকরো হয়ে যাবে।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ।

৩৩| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ মুল্যবান তথ্য সমৃদ্ধ প্রতি মন্তব্যের জন্য । রোহিঙ্গাদের আদিবাস সম্পর্কে কিছু তথ্য দেয়া হল । অবশ্য ইতিহাসবিদ হিসাবে আপনার এ বিষয়ে ভাল জানা আছে বলে বিশ্বাস , তবু কখনো যদি এ বিষয়ে কিছু লেখেন তাহলে কিছুটা কাজে দিতে পারে তথ্যগুলি ।

অস্টম শতাব্দীতে আরাকান রাজ্য নামে যে একটি স্বাধিন রাজ্য ছিল তা আপনার কথাতেও সুস্পষ্ট ভাবে জানা যায় । আর এ রাজ্যেই ছিল রোহিঙ্গাদের বাস। আরাকানের প্রায় দু মিলিয়ন জনসংখ্যার মধ্যে সংখ্যার দিক থেকে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের পরেই মুসলমান সম্প্রদায়ের অবস্থান। মুসলমান সম্প্রদায়টি চারটি দল যথা তামবুকিয়া, তুর্ক-পাঠান, কামাঞ্চি এবং রোহিঙ্গ্যা নামে পরিচিত। তামবুকিয়াদের ইতিহাস শুরু হয়েছে আট শতক থেকে যখন তাদের পূর্বপুরুষরা রাজা মহা তায়িং চন্দ্রের (৭৮৮-৮১০) শাসনামলে আরবদেশ থেকে দক্ষিণ আরাকানে এসে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে থাকে। তুর্ক-পাঠানরা আরাকানের সর্বশেষ রাজধানী ম্রোহং-এর শহরতলি এলাকায় তাদের প্রধান নিবাস গড়ে তোলে। আরাকানি রাজা মীন সোয়া মুয়ং ওরফে নরমিখলা (১৪০৩-৩৩) বাংলার সেনাবাহিনীতে কর্মরত তাঁর পূর্বপুরুষদের সহায়তায় রাজক্ষমতা পুনর্দখল করে। তামবুকিয়াদের মতো তারা রাজার অনুমোদনক্রমে আরাকানে স্থায়ী নিবাস গড়ে। কামানঞ্চিদের পূর্বপুরুষ এসেছিল শাহ সুজার বংশধরদের মধ্য থেকে। বাংলার গভর্নর শাহ সুজা (১৬৩৯-৫৯) তাঁর ভাই আওরঙ্গজেব কর্তৃক পুনরায় সিংহাসন দখলের পর সপরিবারে আরাকানে আশ্রয় গ্রহণ করেছিলেন। বার্মীজদের শঠতায় সুজার দশা যে কি হয়েছিল তা অআপনার লেখা হতে জানা যায় । সুজার বংশধরদের অনেককেই রমরী দ্বীপে দেখা যায় বলে জনশ্রতি রয়েছে । আপনি যতার্থ বলেছেন রোহিঙ্গ্যাদের বংশধররা চট্টগ্রাম থেকে আসা মুসলমান এবং বর্তমানে তাদের বসবাস প্রধানত উত্তর আরাকানে কেন্দ্রীভূত।

তবে এখানে উল্লেখ্য যে বর্তমান মিয়ানমারের "রোসাং" এর অপভ্রংশ "রোহাং" (আরাকানের মধ্যযুগীয় নাম) এলাকায় এ জনগোষ্ঠীর বসবাস। আরাকানের প্রাচীন নাম রূহ্ম জনপদ। ইতিহাস ও ভূগোল বলছে, রাখাইন প্রদেশে পূর্ব ভারত হতে প্রায় খৃষ্টপূর্ব ১৫০০ বছর পূর্বে অষ্ট্রিক জাতির একটি শাখা "কুরুখ" নৃগোষ্ঠী প্রথম বসতি স্থাপন করে, ক্রমান্বয়ে বাঙালি হিন্দু (পরব্রতীকালে ধরমান্তরিত মুসলিম ), পার্সিয়ান, তুর্কি, মোগল, আরবীয় ও পাঠানরা বঙ্গোপসাগরের উপকূল বরাবর বসতি স্থাপন করেছে। এ সকল নৃগোষ্ঠীর শংকরজাত জনগোষ্ঠী হলো এই রোহিঙ্গা। রাখাইনে দুটি সম্প্রদায়ের বসবাস দক্ষিণে বামার বংশোদ্ভুত ‘মগ’ ও উত্তরে ভারতীয় বংশোদ্ভুত ‘রোহিঙ্গা’।

রোহিঙ্গাদের উৎস স্থলের কথা বলতে গেলে প্রসঙ্গক্রমে আবার দক্ষিন এশিয়ার একটি বড় আদিবাসি উপজাতি ওঁরাও এর কথা চলে আসে । ওঁরাও, দক্ষিণ এশিয়ার একটি বড় উপজাতি। ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্য, ছত্রিশগঢ়, মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশ্যা এবং পশ্চিমবঙ্গে এঁদের বাস। এছাড়া, ভারতের বাইরে বাংলাদেশেও এঁরা বাস করেন যারা সাওতাল নামে পরিচিত । ওঁরাও রা যে ভাষায় কথা বলেন, তার নাম কুরুখ ভাষা। তাদেরকে কুরুখ জাতিও বলা হয়। ওরাওঁ আদিবাসীরা নৃতাত্ত্বিক বিচারে আদি-অস্ট্রেলীয় (প্রোটো-অস্ট্রেলীয়) জনগোষ্ঠীর উত্তর পুরূষ। ভারতীয় নৃতাত্ত্বিক সোসাইটির মতানুসারে কুরুখ জাতি বা ওঁরাওদের আদিবাস ছিলো কঙ্কন অঞ্চলে ( দাক্ষনাত্যের উপকুলীয় অঞ্চল যেখান থেকে তারা অভিবাসিত হয়ে উত্তর ভারতে চলে আসে এবং যেখান হতে পর্যায়ক্রমে বর্তমান মিয়ানমারের আরাকান তথা রোসাংগে গমন করে । তাই রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের চট্টগ্রাম এলাকা হতে রোসাং বা আরাকানে গিয়েছে বললে এ বিয়য়ে প্রয়োজনে ভারত তার দায় এরাবার যুক্তি বের করে নিতে পারে ।

এখানে আরো উল্লেখ্য যে , ইতিহাস হতে জানা যায় যে মধ্যযুগে আরাকান রাজসভার বাংলা সাহিত্যের লেখকরা ঐ রাজ্যকে রোসাং বা রোসাঙ্গ রাজ্য হিসাবে উল্লেখ করেছেন। রোসাঙ্গ রাজ্যের রাজভাষা ফার্সী ভাষার সাথে বাংলা ভাষাও রাজসভায় সমাদৃত ছিল যা আপনার প্রতিমন্তব্যে সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে । স্কুলে আমাদের সময়ে বাংলা আবশ্যকীয় পাঠ্য পুস্তকে ‘আরাকান রাজসভায় বাংলা সাহিত্য ‘ নামে একটি বিশদ প্রবন্ধ অন্তর্ভুক্ত ছিল । সেখান থেকেই আরাকানীদের অনেক ইতিহাস আমরা স্কুল জীবনেই জানতে পেরেছিলাম । তবে তার সবগুলি বিষয় এখন আর তেমন মনে নেই । ধন্যবাদ বিষয়গুলির কিছু আপনার লেখায় তুলে ধরার জন্য ।

ইতিহাস হতে আরো জানা যায় যে, ১৪৩০ থেকে ১৭৮৪ সাল পর্যন্ত ২২ হাজার বর্গমাইল আয়তনের রোহাঙ্গা যে স্বাধীন রাজ্যটি ছিল তা মিয়ানমারের রাজা বোদাওফায়াদখল করার পর চরম বৌদ্ধ আধিপত্য শুরু হয়। যখন এ ভূখণ্ড ব্রিটিশদের দখলে আসে তখন তারা বড় ধরনের ভুল করে, এটা তাদের ইচ্ছাকৃত ভুল কিনা সে টা আজ এক জলন্ত প্রশ্ন । তারা মিয়ানমারের ১৩৯টি জাতিগোষ্ঠীর যে তালিকা প্রস্তুত করে তার মধ্যে রোহিঙ্গাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করেনি । এ ধরনের বহু ভূল করে গেছে ব্রিটিশ শাসকরা। যার খেসারত দিতে হচ্ছে আজ রোহিঙ্গাদেরকে । বর্মি সরকার অভিযোগ উত্থাপন করে যে, রোহিঙ্গারা ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে সদ্য অভিবাসিত একটি উপজাতি। অতএব তাদেরকে স্থানীয় আদিবাসী গণ্য করে বর্মি শাসনতন্ত্র অনুযায়ী বার্মার নাগরিকত্ব দেওয়া যায় না। ১৯৭৮ সালের মার্চে বর্মি সরকার ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করলে বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গ্যা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। তার পরের কথা আমরা সকলেই কম বেশী অবহিত । কিন্তু এটা যে নিকট অতীতের কোন ঘটনা নয় বরং রোহিঙ্গারা প্রায় ৭/৮শত বছর ধরে স্থায়ীভাবে বর্তমান মিয়ানমারের আরাকানে বসবাস করে আসছে তা বিশ্ববাসির কাছে জোরে সোরে তুলে ধরতে হবে । এ কাজে ইতিহাস বিদেরা এগিয়ে আসলে ভাল হয় ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।


১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:২৫

জুন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ডঃ এম আলী । সামান্য পরিসরে রোহিঙ্গা তথা আরাকানিদের বিশাল ইতিহাস তুলে ধরার জন্য । আপনার তথ্য সম্বলিত মন্তব্য সবসময়ই আমার অপুর্ন লেখাকে পরিপুর্ন করে তোলে ।
যদি ভবিষ্যতে কিছু লিখি তবে অবশ্যই আপনার এই পান্ডিত্যপুর্ন মন্তব্য আমাকে বিপুলভাবে সাহায্য করবে বলে মনে করি ।
সাথে থাকবেন বরাবরের মতই ।

৩৪| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৯

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: বৌদ্ধ ধর্মে তো জীব হত্যা মহাপাপ। তাহলে ওরা কি ভাবে এত নির্মম ভাবে মানুষ হত্যা করছে?
এই হত্যায় বার্মারা সরাসরি দায়ী। কিন্তু এই হত্যাকান্ডের জন্য কি পুরো পৃথিবীবাসিও কম দায়ী?
জাতীসংঘ কি করছে? মায়ানমার তো একটা ছোট দেশ তাদেরকে কেন চাপ দিচ্ছে না বড় দেশ গুলো।
সমস্যা মনে হয় আরও ভেতরে।আরাকান বাসীরা মুসলিম।তাই হিহুদীরা এই নৃসংশ হত্যাকান্ডে নিরব থাকলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
সুচিকে হাজার ধিক।সুচি তুই ও একদিন মরবি।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৩৫

জুন বলেছেন: ভেজ আর নন ভেজ নিয়ে বৌদ্ধ ধর্মে দুই রকম মত রয়েছে মোস্তফা সোহেল। তেরোভেদা মতাবল্মবীরা ননভেজ । তাদের মতে বুদ্ধ তাদের প্রানীজ মাংস খেতে বলে গেছেন । তবে সেই পশ যেন তাদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গকৃত না হয় । কিন্ত মহাযান মতানুসারীরা পুরোপুরিই নিরামিষাশী । আর জীব হত্যা মহাপাপ অর্থাৎ একটি পিপড়েকেও যারা মারে না আজ তারা হাজার হাজার মানুষ মারছে।
বড়দেশগুলো চাপ দিবে কেন ? বাংলাদেশের চেয়েও অনেক বড় স্বার্থ জড়িত সেখানে । অঢেল প্রাকৃতিক সম্পদ আর বিশাল দেশের সাথে থাকা অনেক লাভ তাদের জন্য ।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।

৩৫| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:২৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: বর্মীরা কখনো সভ্য ছিল না!

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৩৭

জুন বলেছেন: তাতো বটেই, সভ্য থাকলে কি আর এই অবস্থা হয় গিয়াস উদ্দিন লিটন ?
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে ।

৩৬| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০২

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: মহামতি গৌতম বুদ্ধ বলেছেন, হিংসার দ্ধারা কখনো হিংসা প্রশমিত হয় না ! এরকম অনেক নীতিকথা গৌতম বুদ্ধ বলেছেন। মানবতাবাদী হিসেবে জগৎসংসারে তিনি বেশ খ্যাতিও কুড়িয়েছেন....।বর্তমানে রোহিঙ্গা মুসলিম নিধন মানুষের উপর বর্বরতা ছাড়া আর কিছুই নয়। এখানে আমি কোন ধর্মকে ছোট করে দেখছি না। বরং উল্টা এই অসভ্য জন্তু ও জানোয়ার বার্মা লোকদের দিকেই আঙ্গুল তুলছি। কিন্তু আজকাল দেখা যাচ্ছে লোকজন গৌতম বুদ্ধকে গালি দিচ্ছে ! এটা ঠিক না,কারণ প্রতিটি ধর্ম মানুষকে ভালো জিনিষটা শিখায় । আসলেই বার্মা এক নৃশংস জাতির দেশ। এখন যে সংকট চলমান বাংলাদেশে আসা কয়েক লাখ শরনাথী রয়ে গেছে রোহিঙ্গা তারপরেও নতুন আসছে ! এ সমস্যার সমাধাণের পথ খোজা দরকার, যাতে আর কোন রোহিঙ্গার হত্যা না হয় ।।বাংলাদেশর মানবধিকারগুলো কিছুটা পশ্চিমাদের দিকে তাকিয়ে থাকা; তারা কি বলবে তারপরে তারা বক্তব্য দিবে । তাদের ঘরের পাশে কি হচ্ছে তা তাদের খেয়াল নেই..... । রোহিঙ্গা হত্যা অনেকদিন ধরে চলছে ।
এখন শেষ কথা হচ্ছে যে এই রোহিঙ্গা হত্যাযজ্ঞ বন্ধ হোক।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৫

জুন বলেছেন: এখন শেষ কথা হচ্ছে যে এই রোহিঙ্গা হত্যাযজ্ঞ বন্ধ হোক।
সহমত শাহরিয়ার কবির । তাদেরকে মেনে নিতে হবে রোহিংগারা তাদের নাগরিক । তাদের পুর্ন অধিকার দেয়া হোক সেটাই প্রত্যাশা আমাদের ।

৩৭| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪২

মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: অসভ্যতার চূড়ান্ত রুপ দেখাচ্ছে ওরা, শুরু থেকেই এমন, এ জাতি কোন কালেও শোধরাবে না।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৮

জুন বলেছেন: এ জাতি কোন কালেও শোধরাবে না।
কিন্ত আমরা আশা করি তারা নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসুক ।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ

৩৮| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:১৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আফসোস! এদেরকে যদি উপযুক্ত শিক্ষা দেয়া যেত!! কি বর্বর একটি জাতি!!

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৭

জুন বলেছেন: কাল্পনিক মন্তব্যের মাধম্যে একাত্মতা জানানোর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।

৩৯| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৭

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: মানবজাতির ইতিহাসই বর্বরতার ইতিহাস। কোন না কোন দেশ ফসল উৎপাদনকারী দেশে হামলা করেছে, এটাই সত্য।

যা হোক, আপনার জন্যে সুখবর আছে। ইনবক্সে আইসেন।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০১

জুন বলেছেন: তারপর মানুষ ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয় না ।যুগে যুগে যার শক্তি বেশী সে সবসময়ই অন্যদের উপর অন্যায় আক্রমন করে গেছে । এ এক চলমান প্রক্রিয়া । কয়েক বছর আগেই সার্বরা কি বর্বোরোচিত আক্রম করলো বসনিয়ানদের উপর । কত নিরীহ মানুষ শুধুই প্রান দিল অকারনে ।
সুখবরের কথা জেনে খুশী হোলাম তানিম । ভালো থেকো অনেক অনেক ।

৪০| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৬

মহসিন ৩১ বলেছেন: ওদের আচরন সন্দেহজনক। বহিরাগতরা ঐতিহাসিক ভাবে ক্রমাগত চেষ্টার পরও তাদের সাথে সভ্যতার দন্দে জড়িয়ে পড়েছে অবশেষে। দ্বিতীয় বিসসাজুদ্ধ কালীন জাপানীদের দখলে যায় এবং পরে ব্রিটিশদের বিজয়ের পরও তাদের আচরনে কোন সুনিদ্রিস্ট জাতীয়তাবাদ দেখা দেয় নাই। অতপর সর্বশেষ কাণ্ডকারখানা গুলি ওইসব প্রাচীনতম বর্বরতাকেই প্রমান করছে ;যেগুলো সভ্যতা নয়।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০৯

জুন বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানীরা বার্মা দখল করেছিল । এখানে আমি একটা কথা যোগ করতে চাই সেটা হলো জাপানী সৈন্যরা ছিল তখন চরম নিষ্ঠুর । তাদের প্রভাবে হিংস্র জাতি গোষ্ঠি বার্মা এখন আরো ভয়ংকর হয়েছে । আর জাপান সেই ভয়ংকরকে মুছে ফেলে পৃথীবীর অন্যতম সভ্য একটি দেশে পরিনত হয়েছে । আমার ছেলে তার জাপানী রুমমেটকে প্রশ্ন করেছিল তোমরা আরিগাতো আরিগাতো ( ধন্যবাদ) এত মাথা ঝুকাও কেন সব সময়" ? রুম মেটের উত্তর ছিল, ২য় মহাযুদ্ধের পর জাপানের রাজাসহ শাসকগোষ্ঠি নিজ দেশ সহ সারা বিশ্বে তাদের জাতির বর্বরতা আর হিংস্রতার ইমেজ ভুলিয়ে দিতে পরিকল্পিতভাবে এই সৌজন্য অভ্যাসের চর্চা শুরু করে । কিন্ত বার্মায় তা হয়নি । তাই হিংস্রতা তাদের রক্ত মজ্জায় মিশে আছে এখনো।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন মহসিন৩১। উত্তর দিতে দেরী হয়ে গেল তার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী ।

৪১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:২৭

শামছুল ইসলাম বলেছেন: বার্মিজরা দেখছি বহু আগে থেকেই নৃশংস । আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম ।
সেদিন ঢাকা ফোরাম নামে একটা ব্লগে পড়লাম ।
চট্টগ্রাম, খুলনা, ঢাকা - বেশ কয়েকবার তারা জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দিয়েছে ।
রোমহর্ষক অত্যাচারে বর্ণনা !!!

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:১২

জুন বলেছেন: জি শামসুল ইসলাম তারা একটি হিংস্র জাতি গোষ্ঠি । আপনার মাধ্যমে ঢাকা ফোরামের সংবাদটি জানা হলো । মন্তব্য আর সাথে থাকার জন্য অশেষ ধন্যবাদ ।

৪২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৪৫

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: বর্গী আর মগদের কথাতো প্রায় সবাই জানি।। সুতরাং আর কিছু বলাই বাহুল্য।।
তবে আপনার লেখাটা ইতিহাসটা জানতে অনেক সাহায্য করবে।।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:১৪

জুন বলেছেন: আমার সামান্য জানাটুকু অর্থাৎ এই সব টুকরো ইতিহাসই একদিন বড় করে কেউ লিখবে সেই প্রত্যাশায় সচেতনহ্যাপী ।
মন্তব্যের জন্য আমার আন্তরিক শুভকামনা থাকলো ।

৪৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৫

আরিফ রুবেল বলেছেন: ব্লগার জুনকে ধন্যবাদ এমন একটি তথ্যবহুল ব্লগ পোস্ট করার জন্য। পোস্ট এবং এর মন্তব্যগুলোর জন্য চোখ বন্ধ করে শোকেসে রেখে দিলাম।

এথনিক ক্লিনজিং এর শিকার হবার কারনেই রোহিঙ্গাদের সাথে আমাদের একাত্মবোধ করার কথা। আপনার থাই বন্ধুর মন্তব্যটা মনে দাগ কেটে গেল। কি অনায়াসে বার্মা যেতে সে অস্বীকৃতি জানালো তাদের সাথে বার্মার পূর্ব ইতিহাসের কারনে। অথচ বাংলাদেশে ১৯৭১ এর এপোলজিস্টের অভাব নাই যারা ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী সামরিক বাহিনী এবং তাদের দালালদের কর্মকাণ্ডের সাফাই গাইবে।

পুনশ্চ, আপনার কাছে একটা তথ্য জানার ছিল, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ - পাকিস্তান যুদ্ধে রোহিঙ্গাদের কোন ভূমিকার কথা কি ইতিহাসে উল্লেখ আছে ? কোন সোর্স উল্লেখ করতে পারলে ভালো হয়।

পুনশ্চ ২, রোহিঙ্গাদের স্বাধীন আরাকান রাষ্ট্র আন্দোলন নিয়েও যদি কোন লেখা থাকে জানাবেন।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৪৯

জুন বলেছেন: স্বাগতম আমার ব্লগে আরিফ রুবেল। পোস্টটি তথ্যবহুল কিনা বুঝতে পারছি না, আমি শুধু আমার পাঠকদের সাথে শেয়ার করতে চেয়েছি বর্মীর যে যুগে যুগে কালে কালে পাত্রে পাত্রে কত নৃশংস একটি জাতি তা বোঝাতে ।
আপনার থাই বন্ধুর মন্তব্যটা মনে দাগ কেটে গেল। কি অনায়াসে বার্মা যেতে সে অস্বীকৃতি জানালো
আপনি দেখেন সেই প্রায় আড়াইশো বছর আগের স্মৃতিকেও তারা ভুলে যায়নি । আর আমরা কত স্বল্প সময়েই পাকিস্তানীদের নির্মমতার কথা ভুলে গেছি । তার উপর রোহিঙ্গাদের উপর এই বর্বর অমানুষিক হামলার সময় যখন আমরা বিশ্বের দরবারে বিচার চেয়ে চেয়ে ঘুরছি ঠিক তখনই আবার তাদের সাথে ব্যাবসা বানিজ্য করার জন্য সেদেশে যাচ্ছি । জাতি হিসেবে আমরা কিরকম দুমুখো এটাই তার প্রমান । চাল উৎপাদনকারী আর কোন দেশ কি বিশ্বে ছিল না !
ভাই আপনার পুনশ্চের জবাবে হ্যা বলতে পারলে আমি অত্যান্ত খুশি হোতাম কিন্ত না তেমন কোন সোর্স বা তথ্য আমার বর্তমানে জানা নেই । জানতে পারলে আমি অবশ্যই জানাবো ।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন এবং ভবিষ্যতেও আমার লেখার সাথে থাকবেন সেই প্রত্যাশায়



৪৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৪

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: দোষ আসলে ধর্মের নয়, ধর্মের অনুসারীদের।

আগে একবার এসে দেখে গিয়েছিলাম। সময়াভাবে পড়তে পারিনি। আজ পড়লাম।

অনেক নতুন তথ্য জানতে পেরেছি। আপনার লেখার সূত্র ধরে উইকিতে গিয়ে পড়লাম কিভাবে চীনের হস্তক্ষেপে সমস্যার সমাধান হয়েছিলো। আমার ফেবুতে একটি ছবি শেয়ারও করেছি।

অনেক ধন্যবাদ।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৩

জুন বলেছেন: দোষ আসলে ধর্মের নয়, ধর্মের অনুসারীদের সহমত সত্যপথিক শাইয়্যান ।
আমিও সময়াভাবে উত্তর দিতে পারিনি তার জন্য আন্তরিক দুঃখিত ।
চীন হস্তক্ষেপ করেছিল বলে শুনি নি ,আমি জানি সে সময় চীন বার্মা আক্রমন করেছিল আর তাই থাইল্যান্ড থেকে তাদের সৈন্য সরিয়ে নেয়া।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে ।

৪৫| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৪৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ওদের দ্বারে সভ্যতার আলো পৌঁছায়নি!

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৩৮

জুন বলেছেন: সহমত সাধু ।
একই মন্তব্য দুটো আসায় একটি মুছে দিলাম ।

৪৬| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫১

মলাসইলমুইনা বলেছেন: আমি প্রচন্ড ঘরকুনো স্বভাবের মানুষ | ইতিহাসের অল্প কজন মানুষের সাথে আমার সাইকিক শত্রুতা বোধয় আছে | তাদের একজন ইবনে বতুতা |কেন নিশ্চয় বুঝেছেন ? কিন্তু ইবনে বতুতার ব্লগ দেখেও হাজার বছরের শত্রুতা ভুলে ঢুকলাম এবং মুগ্ধ হলাম আপনার লেখাটা "বার্মা এক নৃশংস জাতির দেশ" পড়ে | থাইল্যান্ডের প্রাচীন আয়ুথিয়া সম্পর্কে আমি তেমন কিছু জানতাম না | পড়ে খুবই ভালো লাগলো | বার্মা থেকে শুরু করে থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া এই দেশগুলোতে যদিও বুদ্ধ ধর্ম খুব প্রভাব বিস্তার করেছিল কিন্তু এদের ইতিহাস খুব শান্তি পূর্ণ নয় কখনোই | খুবই ধ্বংসাত্মক ইতিহাসেরই সাক্ষ্য দেয় এদের আর্কিটেকচারাল রুইনগুলো | আপনার দেয়া ফটোগুলো থেকে সেটা আবারো মনে হলো | খুবই ভালো লাগলো আপনার লেখাটা | অনেক ধন্যবাদ |

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩০

জুন বলেছেন: মলাসইলমুইনা।।
প্রথমেই আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই আপনার হাজার বছরের শত্রুতা তথা আলসেমী ঝেড়ে আমার ব্লগ বাড়ীতে আসার জন্য । সুচিন্তিত মন্তব্যে অনুপ্রানীত ।আমার এই লেখাটি বর্মীদের দ্বারা আয়ুথিয়া নগরী ধ্বংসের উপর এক ক্ষুদ্র ইতিহাস । বার্মা,ক্যাম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড (বর্তমান আবাসস্থল), ভ্রমণ করে আমি এদেশগুলোর উপর অনেক ব্লগ লিখেছি আপনি কষ্ট করে দু একটা পাতা উল্টালে দেখতে পাবেন । সেখানে আমার স্বচক্ষে দেখা সব স্থান যেমন বার্মার বাগান নগরী ও তার মন্দিরসমুহ,
সুপ্রাচীন মান্দালয় ও রাজা মিন্দনের প্রাসাদ, তার নির্মিত বিশ্বের বৃহদাকার বই ছাড়াও রেঙ্গুন নগরী ও শান প্রদেশের ইনলে লেক দেখা। ক্যম্বোডিয়ায় পলপটের টর্চার সেল তোল স্লেং কারাগার ও বধ্যভুমি ছাড়াও সিয়ামরেপের বিখ্যাত এংকরভাট , বেয়ন মন্দির, এঞ্জেলিনা জোলির টুম্ব রাইডারের বিখ্যাত তা প্রহম সহ আরো অনেক কিছু নিয়ে লেখা আছে। থাইল্যান্ডের উপরেতো আছেই। সাথে রয়েছে আমার নিজ হাতে তোলা প্রতিটি স্থান ও স্থাপনাগুলোর ছবি । শত্রুতা ঝেড়ে কোন এক সময়ে চোখ বুলিয়ে
সেই প্রত্যাশায় । শুভেচ্ছা রাত্রির ।

৪৭| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৮

মলাসইলমুইনা বলেছেন: জ্বি, আমার এখনো আপনার সব লেখায় একবার করে চোখ বুলানোও হয় নি | সময় করে নিশ্চই দেখবো | আপনার লেখাটা পড়তে পড়তে আমি এমনকি এটাও ভেবেছিলাম যে আপনাকে লিখি এনকগোর ওয়াট (Ankgor Wat) নিয়ে একটা পোস্ট দিতে | অনেক ধন্যবাদ লেখা পড়ার আমন্ত্রনের জন্য | সময় করে নিশ্চই পড়বো | টেক কেয়ার |

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৫

জুন বলেছেন: প্রতি মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে মলাসইলমুইনা ।
শত বছর ধরে অরন্যে হারিয়ে যাওয়া বিশ্বের এক বিস্ময় সেই এংকরভাট আমার চোখে।
অবশ্যই সময় পেলে দেখবেন সেই প্রত্যাশাই রইলো ।

৪৮| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:০৪

নীলপরি বলেছেন: তথ্য সমৃদ্ধ পোষ্ট । আমারই পড়তে দেরী হয়ে গেলো । ++++++

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৩

জুন বলেছেন: পোষ্টটি আপনার দৃষ্টি আকর্ষন করেছে তার জন্য অনেক ধন্যবাদ নীলপরি ।
দেরী হওয়াটা কোন ব্যাপার না ।

৪৯| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৮

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: বোমা মারা দরকার। :-B

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৬

জুন বলেছেন: স্বাগতম আমার ব্লগে । এটাই যদি সমাধান হতো তাহলে তো কাজই হতো মোহেবুল্লাহ অয়ন। সারা বিশ্বে এত যে বোমা মারা হচ্ছে তারপর ও তো কোন সমাধান হচ্ছে না সমস্যার।

৫০| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমাদের ছোট দেশ, সম্পদও অল্প তাই হয়তো আমরা তাদের সেভাবে জায়গা দিতে পারছি না । কিন্ত তাদের চোখের জলে আমাদের হৃদয় ভেসে যাচ্ছে -- কোমলমনা বাঙালীরা বিদ্যমান পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা মুসলমানদের জন্য যেটুকু সম্ভব, করছে এবং বিশ্ববাসীও তা দেখছে। সরকারও তার সদিচ্ছার কথা জানিয়েছে, তবে এক্ষেত্রে সরকার আরেকটু বেশী সহায়ক ভূমিকা পালন করলে বাঙালীরা আরো বেশী করে সাহায্যের হাত প্রসারিত করতে পারতো। অনেকের মনে আশঙ্কা রয়েছে এসব দরিদ্র মুসলমান জনগোষ্ঠী জঙ্গীবাদের দিকে ঝুঁকে পড়তে পারে, এ আশঙ্কার কারণে বাঙালী অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা, এমনকি কিছু মুসলমানরাও রোহিঙ্গাদেরকে সাহায্যের ব্যাপারে ততটা স্বতঃস্ফূর্ত নয় বলে আপাতঃদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:১৮

জুন বলেছেন: কোমলমনা বাঙালীরা বিদ্যমান পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা মুসলমানদের জন্য যেটুকু সম্ভব, করছে এবং বিশ্ববাসীও তা দেখছে।
আপনার এই কথা প্রসংগে একটু বলি । আমার পরিচিত একজন বলছিল "বাংলাদেশের উচিত ছিল আগেই সীমান্তে বেড়া দেয়া আর নাফ নদীতে টহল বাড়ানো যেন কোন রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকতে না পারে "। আমি আতকে উঠে বললাম তাহলে তো ওরা মারা যেত । তার উত্তর "মরতো কিন্ত আমাদের তো কোন ঝামেলা হতো না"। আমি কিছুতেই তার এই বক্তব্য মেনে নিতে পারিনি খায়রুল আহসান । আসলে কোমল মন আমাদের সামগ্রিক ক্ষতি করলেও মানবিকতাকে হারাতে পারে নি ।
আমার মনে হয় বিনা কারনে কেউ জঙ্গী হয়না শখের বশে । আপনি ইতিহাস ঘাটলে দেখবেন নির্যাতিতরাই ঐ পথে গিয়েছে । সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ।

৫১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:২৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: মাটির গভীরে প্রথিত হয়ে যাওয়া বুদ্ধের মাথাটি অশোক গাছের শেকড়ে জড়িয়ে আবার উঠে এসেছে ধরায় - অসাধারন একটা ছবি দেখার সুযোগ করে দেয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
আপনার ট্রাভেলগ পড়ে পড়ে এবং আমার কিছু পোস্টে আপনার মন্তব্য পড়ে আমি একটু বিস্তারিতভাবে মায়ানমার সফরের উদ্যোগ কয়েকবারই নিয়েছি, কিন্তু প্রতিবারই কোন না কোন কারণে আমার সে উদ্যোগ ভন্ডুল হয়েছে। এখন ভাবছি, যা হয়েছে ভালই হয়েছে। এমন একটি বর্বর দেশে যাইনি, ভালই করেছি। এর পরিবর্তে আমি দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার অন্য কয়েকটা দেশ ঘুরে এসেছি। আপনার পোস্ট পড়ে আমার মনে বার্মিজদের সম্পর্কে উচ্চ ধারণা সৃষ্টি হয়েছিল, যা আপনার এই পোস্টটা পড়ে এবং সাম্প্রতিক ঘটনাবলী দেখে আবার ধূলিস্মাৎ হলো

০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৬

জুন বলেছেন: মাটির গভীরে গেথে যাওয়া মাথাটি শেকড় বেয়ে উঠে আসা কিন্ত সত্যি বিস্ময়কর খায়রুল আহসান ।
আমি যেই ট্যুর কোম্পানীর সাথে গিয়েছিলাম তাদের সাথে আমাদের এখনো যোগাযোগ আছে, আমরা এই সেপ্টেম্বরের শেষের দিকেই যাবার পরিকল্পনা করছিলাম। এমনকি মালিক বাগান নগরীতে তার নতুন হোটেলে আমাদের কমপ্লিমেন্টারি দুদিন থাকার ব্যবস্থাও করেছিল। গতবারও তারা আমাদের এত আপ্যায়ন করেছিল যে চিন্তার বাইরে । কিন্ত আরাকানের রোহিঙ্গাদের হত্যার পর আমরা আর কোন যোগাযোগ করি নি। আমার কোন ফেসবুক নেই , কিন্ত আমার স্বামীর ফেসবুকে তাদের স্ট্যাটাস দেখার পর প্রশ্নই উঠেনি যাবার।
যাই হোক কই কই ঘুরলেন তার একটি বিস্তারিত ভ্রমণ কাহিনী দেখার অপেক্ষায় রইলাম ।
আরেকবার আসা ও মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ।

৫২| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৬

হুমায়রা হারুন বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট। বর্মীদেরকে ছোটবেলা থেকে জানতাম দস্যু। আমি কখনো ইতিহাস পড়িনি কিন্তু কিভাবে যে এই কথাটা জানতাম তা মনে করতে পারিনা। কিন্তু ছোটবেলায় বর্মী মানেই বুঝতাম ‘দস্যু।‘

০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৪

জুন বলেছেন: আমার সামান্য পোষ্টটি আপনার এত ভালোলেগেছে জেনে ভীষন খুশী হোলাম হুমায়রা হারুন । সেই বর্মী বা মগ জলদস্যুদের নৃশংসতার কাহিনী মনে হয় না কখনো কেউ ভুলবে।
আমাকে মনে রেখেছেন তার জন্য কৃতজ্ঞতা । ভালো থাকুন সতত সেই প্রত্যাশায় :)

৫৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৭

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: কথায় আছেনা মগে মুলূক। এরা হিংস্র হায়েনা।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৭

জুন বলেছেন: অনন্য দায়িত্বশীল আমি আপনি ঠিকই বলেছেন মগে মুলূক। এরা হিংস্র হায়েনা।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ ।

৫৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৪১

খায়রুল আহসান বলেছেন: যাই হোক কই কই ঘুরলেন তার একটি বিস্তারিত ভ্রমণ কাহিনী দেখার অপেক্ষায় রইলাম - ঘুরেছি মালয়েশিয়ার লাংকাউই, পিনাং, ক্যামেরন হাইল্যান্ডস আর কুয়ালালামপুর। ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা, বান্দুং, বড়বুদুর, বালি, লম্বক আর যোগজাকার্তা। ছোট্ট দেশ সিংগাপুরেও এক সপ্তাহ থেকে এসেছি। এর মাঝে অবশ্য ভূটানের থিম্পু, পুনাখা, পারোতেও গিয়েছি। এর মধ্যে শুধু শেষোক্ত দেশের উপর দুটো সিরিজ এ ব্লগে লিখেছি, আরও দুটো লিখবো বলে ঠিক করেছিলাম, কিন্তু দেয়ার মত ছবি ছিলনা বলে লিখতে ইচ্ছে করেনি। আমার ছবিতে সব মানুষের মুখ, সবার অনুমতি ছাড়া ব্লগে দেয়া যায়না। আবার ভালোভাবে ছবি ক্রপ করাও শিখিনি, তাই এ বিপত্তি।
যাই হোক, আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে দশ রাত এগার দিনের জন্য থাইল্যান্ড যাব ইন শা আল্লাহ। আপনি তো থাইল্যান্ড এক্সপার্ট। দশ দিনে কী কী দেখা যায়, কোথায় কোথায় যাওয়া যায়, তার একটা শর্টলিস্ট করে সাজেশন দিলে উপকৃত হ'তাম। থাইল্যান্ডে এর আগেও দু'বার গিয়েছিলাম, সে বহু যুগ আগে। প্রথম ১৯৮৬ সালে, পরের বার ২০০১ সালে। এর মাঝে চাও ফ্রায়া দিয়ে বহু জল বয়ে গেছে। তাই এবারের সফরটাও নতুন দেশ দেখার মতই হবে বলে মনে করি। আপনি যদি চান, এখানেও জানাতে পারেন অথবা মেইলেঃ [email protected]

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৪

জুন বলেছেন: আপনার আন্তরিক মন্তব্যটির জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ খায়রুল আহসান । অনেক দেশ ঘুরেছেন এর মাঝে ইন্দোনেশিয়াটি অনেকবার চেষ্টা করেও নানা রকম পারিবারিক ও স্বাস্থগত বাধার কারনে যাওয়া হয়নি । বালির সমুদ্র সৈকতে যাবার ইচ্ছে করেনি কখনো । কিন্ত যেতে চেয়েছিলাম বোর্নিওর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যময় কোটাকিনাবালু আর ঐতিহাসিক বোড়বদুর । জানিনা আল্লাহতায়ালা ভাগ্যে কি রেখেছে । এখন শুধু রোগী নিয়ে দৌড়াচ্ছি ।
আপনি যখন আসবেন তার অনেক আগেই আমি এখান থেকে চলে যাচ্ছি ভাই । দশদিনের জন্য যখন আসছেন তখন অনেক জায়গাতেই প্ল্যান করে ঘুরে আসবেন আশাকরি । এদের ডে ট্রিপ আছে সেগুলো আপনি নিতে পারেন । তবে এর মাঝেই আপনি চিয়াং মাই ও ফুকেট ঘুরে আসতে পারেন তিন দিন তিন দিন ছয় দিনের ট্রিপে । ব্যংককে যদি আপনি ঐতিহাসিক কিছু দেখতে আগ্রহী হন তবে আয়ুথিয়া, সামার প্যালেস এসব একদিনেই দেখতে পারবেন । সাফারী ওয়ার্ল্ডে গেলে একদিন । এক টিকিটেই সি লাইফ মাদাম তুঁসো দেখে রাতে ছাও প্রায়া নদীর ডিনার ক্রুজ করতে পারবেন। সকালে গ্র্যান্ড প্যালেস আর মিউজিয়াম দেখে বিকেলে ছাও ফ্রায়া নদীর পারে একদা ডাচ ব্যবসায়ীদের গোডাউন এশিয়াটিক দেখতে পারেন। আপনি বিটিএস ধরে সাথন পিয়েরে নেমে ফ্রি নৌকায় সেখানে যেতে পারবেন যেই ভ্রমণ এবং স্থানটি সত্যি সুন্দর। সব চেয়ে ভালো হয় আপনি কোন ট্যুর অপারেটরের সাথে কথা বললে । ওরাই সব গুছিয়ে প্ল্যান করে দেবে ।
আর ভাবী যাবে কিছু না কিছুতো শপিং করবেনই তাই না ? কিংস হোটেলের বেসমেন্ট আর আশপাশ জুড়ে জামা কাপড়ের বিশাল হোলসেল মার্কেটের নাম বোবে মার্কেট । আর প্রাতুনাম কাপড় চোপড় ছাড়াও সুন্দর সুন্দর ব্যাগ স্যান্ডেল জুয়েলারি দোকান রয়েছে যা একই জিনিস বিভিন্ন মলে দ্বিগুন দামে বিক্রি হয়। বিশেষ করে ফাহুরাতে ব্যাগ স্যন্ডেল ইমিটেশন জুয়েলারি ছাড়াও ড্রাই ফ্রুটসের অনেক দোকান পাবেন । এসব জায়গায় আপনি ট্যাক্সিতে যাবেন । যদি ব্র্যান্ডেড কিনতে চান তাহলে টার্মিনাল ২৯ , সেন্ট্রাল ওয়ার্ল্ড, আর শিয়াম প্যারাগনতো রয়েছেই। মধ্যবিত্ত স্টাইলে কিনতে হলে এম বি কে আর তার পাশেই টোকিওতে সব রকম ব্র্যান্ডের জিনিস পাবেন । আমি দেখেছি বিশেষ করে এমবি কে তে ফাহুরাত থেকে আনা জিনিসই দ্বিগুন দামে বিক্রী করে ।
আশাকরবো আমার এই বিশাল ফর্দটি সামান্য হলেও যেন কাজে লাগে আপনার ।
ভালো থাকুন আর বেরিয়ে এসে জানান । আর এখন থেকে ব্লগে দেয়ার জন্য পরিচিত কারো ছবি ছাড়াই ছবি তুলে আনবেন ।
ধন্যবাদ ।

৫৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:১১

কালীদাস বলেছেন: বার্মাকে একটা শিক্ষা দেয়া উচিত। যেমন ধরেন, এখানে সুলভ মুল্যে গম বিক্রি হয় টাইপের এড ইয়াহুতে দেয়া যায়, যেখানে ফোন নাম্বার থাকে সুচির :D অথবা, তিন চার লাখ পলিটিকাল ক্যাডারকে বার্মায় পুশইন করা যায়। বন্যেরা বনে সুন্দর.... টাইপের ঘটনা হবে :P

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৪৩

জুন বলেছেন: ভালো বুদ্ধি দিয়েছেন কালীদাস । তবে এতে কি কিছু শিক্ষা হবে সুচীর !
উনিতো মনে হয় সব রকম ধরাছোয়ার বাইরে গৃহবন্দীই আছেন মনে হয় ।
দেখলেন না জাতিসংঘের অধিবেশনেও যোগদান করেনি ।
অসংখ্য ধন্যবাদ আমাকে মনে রেখেছেন বলে :)

৫৬| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:০৬

রাতুল_শাহ বলেছেন: দুনিয়া বিচিত্র। মানুষ হিংস্র।
তাদের সাথে কখনও বর্বরতা করা হয় নি মনে হয়, তাই হয়তো মানবতার ব্যাপারগুলো তাদের মাঝে নেই।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৩

জুন বলেছেন: তাদের সাথে বর্বরতা কে করবে রাতুল ! তারাই তো প্রতিবেশী প্রাচীন থাইল্যান্ড যখন এখনকার মত শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ ছিলনা সেই সময় সেখানে চুড়ান্ত বর্বরতা দেখিয়েছে। আর এখন আমাদের মত গরীব দেশের সাথে লাগতে আসে। আরেক প্রতিবেশি ভারত আর চীনের সাথে লাগতে যাক তখন বুঝবে ।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।

৫৭| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৮

প্রামানিক বলেছেন: মগেরা জন্মগতভাবেই হিংস্র। এদের প্রতি সদয় হলে এরা নির্দয় আচরণ করে।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৭

জুন বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন প্রামানিক ভাই । এদের প্রতি সদয় হলে এরা নির্দয় আচরণ করে। আপনার এই বক্তব্যটি নিয়েই সামনে একটি পোষ্ট দেবো ভাবছি ।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

৫৮| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৩০

নতুন নকিব বলেছেন:



পাষন্ড বর্বর খুনী মগ দস্যুদের সচিত্র ইতিহাস তুলে ধরায় অভিনন্দন।

বর্তমান পৃথিবীর সবচে' বর্বর জাতির তালিকায় এই বর্মী মগগোষ্ঠীই বোধ হয় নাম্বার ওয়ান। এদের দোসর হিসেবে নিরব-নিশ্চুপ দর্শকের ভূমিকায় রয়েছে চীন-রাশিয়ার পরীক্ষিত খুনীচক্র আর সাম্রাজ্যলোভী ভারতের অসুর শক্তি। বাকি পৃথিবীর পারমানবিক শক্তির অধিকারী লুটেরাগন মনে হয় গোটা আরাকানজুড়ে ফিনকি দিয়ে ছড়িয়ে পরা মানব লহুর বিচিত্র রং উপভোগে লিপ্ত।

উপরওয়ালার বিচার ছাড়া এই দুর্ধর্ষ জঙ্গী-দস্যু-তস্করদের শিক্ষা দেয়ার কে আছে?

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৬:২০

জুন বলেছেন: উপরওয়ালার বিচার ছাড়া এই দুর্ধর্ষ জঙ্গী-দস্যু-তস্করদের শিক্ষা দেয়ার কে আছে?
নতুন নকিব আমরা মুসলমানরা সেই দিকেই চেয়ে আছি । আল্লাহর রহমত নাযিল হোক বিশ্বের সকল মুসলমানদের উপর ।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে । আপনার বাইতুল্লাহ দেখা নিয়ে দ্বীতিয় পোষ্টটি দেখেছি কিন্ত । মহান আল্লাহ রাব্বুল আল আমীন যেন সেখানে যাবার তৌফিক দেন শীঘ্রই । কারন শারিরীক ভাবে অক্ষম হয়ে পরছি বড্ড দ্রুতলয়ে ।
শুভকামনা জানবেন ।

৫৯| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৫৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক কষ্ট করে একটা লম্বা ফর্দ দিয়েছেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
আপনার ২০১২ সালের পোস্ট (৩১ মার্চ) নয়নাভিরাম ফুকেটে চারদিন ও তার কিছু ছবি পড়ে সেখানে একটা মন্তব্য রেখে এসেছি।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৮

জুন বলেছেন: জী আমি অবশ্যই দেখবো আপনার মন্তব্যটি । আমার ফর্দটি যদি আপনার কাজে লাগে তাহলে খুবই খুশী হবো ।

৬০| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:১৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার উল্লেখিত জায়গাগুলোর নাম এবং সেখানে যাওয়ার পদ্ধতি নোট করে নিয়েছি। অনেক ধন্যবাদ এসব হেল্পফুল টিপসের জন্য।
ভাবছি, ব্যাংকক বিমানবন্দরে নেমে ব্যাংকক শহরে না গিয়ে বিমানবন্দর থেকে বাসে পাতায়া কিংবা রেয়ং চলে যাব। শুনেছি ঘন্টা দুয়েকের পথ। কোন ধারণা দিতে পারবেন?
ব্যাংকক থেকে নাকি ট্রেনেও চাং মাই যাওয়া যায় এবং ট্রেনের মানও খারাপ নয়। এনি আইডিয়া?

২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪২

জুন বলেছেন: ব্যংককের প্রধান এয়ারপোর্ট সুবর্নভুমিতে যদি আপনি নামেন তবে সেখান থেকে সরাসরি পাতায়া বা রেয়ং বাসে করে যেতে পারেন কিনা আমার জানা নেই খায়রুল আহসান। পাতায়া ঘন্টা দুয়েকের পথ ঠিক আছে কিন্ত রেয়ং আমি যাইনি তবে নেটের তথ্য অনুযায়ী ৫ ঘন্টা ১০ মিনিটের পথ রেয়ং । আর এয়ারপোর্ট থেকে এয়ারপোর্ট লিংক ট্রেন ধরে ব্যংককের কেন্দ্রস্থলে দ্রুতই আসতে পারেন ।
আর ব্যাংকক থেকে কিভাবে ট্রেনে চিয়াং মাই যাবেন তা আমার চিয়াং মাই এর পথে পোষ্টেই লিখেছি বিশদ করে। আমাদের দেশের সাথে তুলনা করলে কোন যানবাহনের অবস্থাই খারাপ নয় ।
আশাকরি বেড়িয়ে এসে জানাবেন সব কিছু । অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ।

৬১| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:০৮

ইমরান আশফাক বলেছেন: ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় পূর্ব পাকিস্হানের সাথে আসাম, কালাপানি ( আন্দামান ও নিকোবার ) এবং আরাকান দিয়ে দিতে চাচ্ছিলো বৃটিশ সরকার। কিন্তু জিন্নাহ সাহেব কলকাতা ভিন্ন বাংলার প্রতি কোন আগ্রহ নেই বলে জানালেন। দিক্কার এই শুয়রের বাচ্চারে।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:২৮

জুন বলেছেন: জিন্নাহতো হঠাৎ গজিয়ে ওঠা রাজনীতিবিদ । বাংলাদেশের সুযোগ সুবিধা নিয়ে তার কোন মাথাব্যাথা ছিল কিনা সেটা বেচে থাকলে সেই ভালো বলতে পারতো । তবে তার কার্যকলাপ দেখে মনে হয় না ইমরান আশফাক ।
অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ।

৬২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:২১

বলেছেন: প্রায় পাঁচশ' বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও মগ হার্মাদদের স্বভাবের এতটুকু বদল হয়নি। বরং আরো দুর্বিনীত, আরো অভব্য হয়ে উঠে এসেছে। সাম্প্রতিককালে বার্মার মগ সেনারা যেভাবে আরাকান রাজ্যের রোহিঙ্গাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে,
তাতে মগদের চরিত্র বা স্বভাব নিয়ে মন্তব্যে আর কি কি শব্দ ব্যবহার করা যায় কে জানে।[/sb


শক্তিশালি পোস্ট

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৮

জুন বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন ল স্বভাব যায়না মলে , ইজ্জত যায় না ধুলে। বর্মীদের এই নৃশংসতা তাদের রক্তের মধ্যে লুকানো । আজীবন তারা এই করে এসেছে । পোষ্টটি পড়া ও সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.