নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

The best and most beautiful things in the world cannot be seen or even touched - they must be felt with the heart---Helen Keller

জুন

ইবনে বতুতার ব্লগ

জুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

দিনগুলো মোর যায় চলে যায় এমন করেই যাক না

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:০৪

কালপুরুষ / অরিয়ন
অনেক বছর আগে যখন আমি কিশোরী, স্কুলে পড়ি তখন আমার খালার বাসা চিটাগাং এর মেহেদীবাগে বেড়াতে গিয়েছিলাম কদিনের জন্য। খালার বাড়ির ছাদের উপর বসে একটা তারা খচিত আকাশ দেখেছিলাম। আমার মনে হচ্ছিল আকাশের হাম হয়েছে। এত ঘন যে আকাশ দেখা যায় না। সেই পুঞ্জীভূত তারাদের মাঝে খুজে বের করেছিলাম কালপুরুষ, সপ্তর্ষি মন্ডল, গ্রেট বিয়ারদের। আমি গুনগুন করে সেই তারাদের দিকে তাকিয়ে গেয়েছিলাম "তুমি কি কেবলই ছবি! শুধু পটে লেখা , ঐযে সুদুর নীহারিকা যারা করে আছে ভীড় "---- কেন জানি জর্জদার (দেবব্রত বিশ্বাস) গাওয়া এই গানটাই আমার মনে পরছিল তখন।
এখন ছাদে উঠি, বৃষ্টি হলে আকাশতো পরিস্কারই থাকে তারপর ও কেন সেই আকাশভরা তারকারাশি আর দেখি না। অনেক দূরে দূরে এক একটা তারা নি:স্বংগ অবস্থায় স্থির। কি হলো ওদের সেই জমাট বাধা তারাগুলোর? ওরা কি অন্য কোথাও চলে গেছে!
গতকাল বিকাল থেকে আমার স্বামীর জ্বর। ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগে হলে গুরুত্ব দিতাম না। কিন্ত এখন এই ৩৮ ই আমার মাথা উনপঞ্চাশ। দুইটা নাপা খাওয়ালাম। তারপর বললাম গোসল করো। জ্বর নামলো ৩৭ এ। ড্রাইভার বাসায় চলে গিয়েছিল তাকে ডেকে আনলাম, কখন হাসপাতালে যেতে হয় কে জানে। আত্নীয় স্বজনের মধ্যে প্রচুর ডাক্তার। তাদের সাথে এই বিষয়ে ফোনে গুরুত্বপূর্ণ আলাপ আলোচনা হলো। কি হলে কি কর‍তে হবে ইত্যাদি।

আমার স্বামী মিন মিন করে জানালো সে অসুস্থ হলে ইউনাইটেড হসপিটালে ভর্তি হতে হবে কারণ এটা তাদের জন্য অফিসিয়ালি এনলিস্টেড। শুনে রাগে আমার গা জ্বলে গেল।কেন জানি এই হসপিটালের উপর আমার ভক্তি নেই। আমার পরিচিত যতজন ভর্তি হয়েছে তারা কেউ বেচে ফিরে নি।
অতএব আমি সাফ জানিয়ে দিলাম "অত ফুটানির দরকার নাই, সোজা কুর্মিটোলা ভর্তি হবে কারন ওইখানে লোকজন আছে"। আমার জাটাকে আসগর আলীতে ভর্তি না করে প্রথম থেকে কোভিডের চিকিৎসা দেয়া কুর্মিটোলায় ভর্তি করলে মনে হয় বাচতো। কারন আমার পরিচিত একজন ষাটোর্ধ ব্যাক্তি যার হেন কোন রোগ ছিল না তাকে আইসিউতে পর্যন্ত যেতে হয়েছিল কোভিডে। সেও বেচে ফিরেছে।
যাক সারারাত জেগে জীবন তেজপাতা করলাম। এখন আলহামদুলিল্লাহ তার জ্বর নেই, যা আশংকা করছিলাম তা বোধ হয় না। ড্রাইভারকে ছুটি দিলাম। সে রেস্ট নিক। আর উনি তো সকাল থেকে নাক ডাকিয়ে ঘুমাচ্ছে আর বেচারা আমি! আমি বুয়া চৌকিদারি করছি :-<

সিয়াম প্যারাগন
গতকাল ব্যাংককের হৃদয়ে ঠাই নেয়া নামকরা শপিং মল সিয়াম প্যারাগনে এক চৌদ্দ বছরের কিশোর বেপরোয়া গুলি করে দুজন মতান্তরে তিন জনকে হত্যা করেছে। পুলিশ তাকে অস্ত্র সহ গ্রেফতার করেছে। সে নাকি তার ভেতর থেকে আদেশ পেয়েছিল গুলি করার। এতে একজন চীনা মহিলা পর্যটক যিনি দুজন যমজ মেয়েকে নিয়ে এসেছিল শপিং করতে সে মৃত্যবরণ করেন, আরেকজন হচ্ছে মিয়ানমারের, তবে মিয়ানমারের মেয়েটি অবশ্যই বিক্রয় কর্মী হবে। কারণ মিয়ানমারের গরীব ঘরের ছেলে মেয়েরাই দেশ থেকে পালিয়ে থাইল্যান্ডে এসে আশ্রয় নেয় আর এই ছোট খাটো কাজগুলো তারাই করে থাকে।
আজ সিয়াম প্যারাগনের সর্বোচ্চ কর্মকর্তা এসে দু হাত জোড় করে সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে শোক প্রকাশ করেছেন। নতুন নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী আহত নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। মানুষ দুনিয়া জুড়ে এখন ভীত সন্ত্রস্ত। কোথাও শান্তি নেই।
এই মলে আমি কতবার গিয়েছি। সামনে যখন যাবো তখন গা ছম ছম করবে বৈকি।


ছবি নেট।

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ২:৩৮

শেরজা তপন বলেছেন: বিস্তারিত মন্তব্য করার সময় নাই- কিন্তু পড়েছি সেটা জানিয়ে গেলাম।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৬

জুন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে প্রথম মন্তব্যটি করার জন্য শেরজা তপন :)

২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৪:২৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: আসলেই এখন আর ছেলেবেলার মত তারা দেখা যায় না আকাশে। জ্বর হলেই মানুষ এখন ডেঙ্গুর ভয় পায়। থাইল্যন্ডের শুটিং এর ঘটনাটা খুবই দুঃখজনক। বন্দুক পেল কোথায় ঐ কিশোর ?

০৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:০২

জুন বলেছেন: আমিও তারা খুজি কিন্ত সেই রকম ঘন পুঞ্জীভূত তারকারাজি এখন দুর্লভ ঢাবিয়ান।
ডেংগুর ভয়ে তো বাসায় ২৪ ঘন্টা নেট লাগানো থাকে। কিন্ত আমরা তো বের হই :(
আজ থাইল্যান্ডের পেপারে দেখলাম পুলিশ তিনজনকে এরেস্ট করেছে এই কিশোর এর কাছে অস্ত্র বিক্রির জন্য। কি যে অবস্থায় দুনিয়ার। মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।

৩| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৫:০৬

শেরজা তপন বলেছেন: আহারে কতদিন হাড়কাঁপানো জ্বর আসেনা এমন করে গিন্নিরও যত্ন-আত্মি পাই না :)
দুলোভাই বড় ভাগ্যবান।
শেষবার এরকম তারা দেখেছিলাম বগা লেকের ধারে রাত্রিরে।

০৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:০৬

জুন বলেছেন: ভালো আছেন তো তাই ভালো লাগে না তাই না! গিন্নীর সেবা যত্নের সাথে সাথে মুখ ঝামটাও খেতে হতো বুঝলেন। "কই গেছিলা, কার সাথে আড্ডা দিছো এত রাত পর্যন্ত, জ্বর বাধিয়ে আসছো এখন আমারে জ্বালাইতেছো ইত্যাদি " X((
আমি শেষ বার কই দেখেছি মনে করতে পারছি না :(
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন :)

৪| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৫

বাকপ্রবাস বলেছেন: শয়তান ভর করার আর জায়গা পায়না, ভেতর থেকে আদেশ পাঠায় মানুষ মারার

০৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:০৮

জুন বলেছেন: হু এই রকম কত এক্সকিউজ যে দেয় তার সীমা পরিসীমা নেই বাকপ্রবাস। বেচারা ক্রেতারা বিনা কারনে প্রান দিল বেড়াতে এসে। ধন্যবাদ আপনাকে।

৫| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:১৯

কামাল১৮ বলেছেন: শহরে অনেক আলোর জন্য তারাদের প্রয়োজন নাই।আগে তারা দেখে রাতে পথ চলতো এখন জিপিএস সব বলে দেয়।
মানুষ এখন আর কোথাও নিরাপদ না।

০৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:১৪

জুন বলেছেন: ধ্রুব’ অর্থাৎ স্থির বা অটল। রাতের আকাশে উত্তর দিকে বহু নক্ষত্রের মাঝে স্বমহিমায় জ্বলজ্বল করছে একটি নক্ষত্র। এটিই ধ্রুবতারা। আর এই তারা দিয়েই প্রাচীন কালের বিশেষ করে নাবিকরা দিক নির্নয় করতো। জীবনানন্দ দাশের মত বলতে হয় "হাল ভেংগে যে নাবিক হারায়েছে দিশা "--- তাদের জন্য ছিল ধ্রুবতারা কামাল ১৮।
মানুষ এখন নিজ বাড়িতেও নিরাপদ না তা পেপার খুল্লেই চোখে পরে।
সব সময় সাথে সাথে থাকেন মন্তব্যে তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

৬| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:৪৭

শায়মা বলেছেন: ভেতর থেকে আদেশ পেয়ে গুলি! :(

পুরাই সিজোফ্রেনিয়া!

এই সব ভাবলে এমন ভয় লাগে। শপিং করতে গিয়েও পাগল ছাগলের হাতে মরতে হলো নিরপরাধ মানুষদেরকে। :(

০৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:১৯

জুন বলেছেন: এই সব ভাবলে এমন ভয় লাগে। শপিং করতে গিয়েও পাগল ছাগলের হাতে মরতে হলো নিরপরাধ মানুষদেরকে আসলেই শায়মা, এই সিয়াম প্যারাগনে আমি কতবার গেছি, এই জুন মাসেও গেলাম। কি সুন্দর দেখতে, ডেকোরেশন আর পরিস্কার ঝকঝকে। এবার যাবো কিন্তু ভয় ভয় লাগছে।
মন্তব্য পেয়ে অনেক খুশী হয়েছি। ভালো থেকো সব সময়।

৭| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:৫৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,




আকাশের কালপুরুষ থেকে গেলেন ঘরের পুরুষের কথায়, শেষে গিয়ে ঠেকলেন ব্যাংককে! :(
"রানু" ষ্টাইল ? :D
আপনার ঘরের মানুষ সুস্থ্য জেনে স্বস্তি পেলুম। উনি ভালো থাকুন।

আপনি ছাদে উঠে তারাদের খোঁজেন, এমন কথাতে আমার মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি দেখার কথা মনে পড়লো। ক'দিন আগে এক রাতে গিয়েছিলুম দেখতে। সে যে কি ভয়ঙ্কর কাহিনী। সময় পেলে লিখবো।

০৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:২৭

জুন বলেছেন: কালপুরুষ থেকে ঘরের পুরুষ তারপর পর পুরুষ মানে সিয়াম প্যারাগনের কিশোর :P

রানু স্টাইল মানে বুঝলাম না আহমেদ জী এস!
না আমার ঘরের মানুষ সুস্থ হয় নাই। তারপর ও আপনাদের মন্তব্যগুলোর জবাব দিতে আসলাম সময় বের করে।
আপনার মিল্কিওয়ের কাহিনীটা বইলেন তো। আমরা ইন্ডিয়ার ব্যাংগালোরে বিখ্যাত এক প্ল্যানেটোরিয়ামে নাকি সাইন্স সিটি মনে নাই সেখানে আকাশ দেখেছিলাম । অসাধারণ।
সব সময় মন্তব্যে থাকেন কিন্ত নিজে কিছুই লিখেন না। আশাকরি শীঘ্রই আমাদের জন্য চমকপ্রদ এক লেখা নিয়ে আসবেন। সেই প্রতীক্ষায় :)

৮| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি দুই একজনকে দেখতে গিয়েছিলাম ইউনাইটেড হাসপাতালে। একজনও বাঁচে নাই।

আমার মা মৃত্যুর কয়েকদিন আগে আমার বোনকে বলছিলেন যে আমাকে এই হাসপাতালে ভর্তি করবি (ইউনাইটেড হাসপাতাল না, এটাকে উত্তরায় বাংলাদেশ মেডিকাল বলে কোন কারণে। অন্য একটা নাম আছে। সম্ভবত আধুনিক হাসপাতাল হবে। ) । এখানে যেই ভর্তি হয় সেই মারা যায়। আমাদের বাসার খুব কাছে তাই সেখানে ভর্তি করা হয়েছিল। সত্যি সত্যিই ভর্তি হওয়ার পরের দিন আমার মায়ের মৃত্যু হয় ঐ হাসপাতালেই। একজন নার্স ইনজেকশন পুশ করার সময়ে দ্রুত পুশ করার কারণে এই ঘটনা ঘটেছিল বলে আমাদের একজন ডাক্তার আত্মীয় বলেছিলেন। আমরা কোন ঝামেলায় যাই নাই অবশ্য। কারণ শোকে আমরা কাতর তখন।

১৪ বছরের কিশোরের হাতে অস্ত্র আসলো কিভাবে এটাই বুঝে পাই না। সারা বিশ্বে ব্যক্তিগত অস্ত্রের ব্যাপারে আরও সতর্ক হওয়া উচিত।

০৯ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:২১

জুন বলেছেন: আসলেই সাড়ে চুয়াত্তর কার কপালে কোথায় যে মৃত্যু লেখা আছে তা ভবিতব্যই বলতে পারে। হাসপাতাল, ডাক্তার, নার্স একটা অছিলা।
ছোট বড় সবার হাতেই এখন আগ্নেয়াস্ত্র। আগেতো আত্নরক্ষার জন্য রাখতো আর এখন নিরপরাধ মানুষ মারার জন্য।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে। ব্যাক্তিগত কারণে জবাব দিতে দেরি হলো বলে দু:খিত আমি।

৯| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:০৭

রানার ব্লগ বলেছেন: আপনার প্রাণনাথ দ্রুত সুস্থ্য হয়ে উঠুন এটাই কামনা করি ।

থাইল্যান্ডের শপিং মলের ম্যানেজার যে কাজ করেছেন আপনি বাংলাদেশের কোন শপিং মলের ম্যানেজারের কাছ থেকে এমন আচরণ আশা করেন ?

১১ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:৪৮

জুন বলেছেন: দোয়া করেন যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠে। ব্যাপারটি নিয়ে বেশ চিন্তায় আছি রানার ব্লগ। অনেক দিন পর আপনাকে আমার ব্লগে দেখে খুব ভালো লাগলো।
থাইরা খুব পোলাইট হয়। প্রতিটি কথার আগে পিছে ছেলে থেকে বুড়ো ধন্যবাদ শব্দটি ব্যবহার করে।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন।

১০| ১২ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:২৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমি এখন ও গ্রামে গেলে রাতে খোলা আকাশে তারা দেখি।
আশা করছি ভাইয়া এখন সুস্থ্য। তবে সিজন টা খারাপ সবার বাসায় জ্বর সর্দি।

ভালোলাগা লেখায়।

১৮ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৮

জুন বলেছেন: গ্রাম এখন আর গ্রামের মত নেই মনিরা। বিজলী বাতির আলোয় সেও নগর হয়ে উঠেছে।
তোমার ভাইয়া মরনের মুখ থেকে ফিরে আসলো বলতে পারো। দোয়া কোরো আমাদের জন্য।

১১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:৫৪

রাতুল_শাহ বলেছেন: আপনি কি এখন থাইল্যান্ডে?

১৮ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:০০

জুন বলেছেন: এত মনে হচ্ছে সৌরবর্ষর অবস্থা, পৃথিবীর ৫০০ বছর মহাশূন্যের এক দিন। এক যুগ পরে ফিরে এসে এই কি একটা প্রশ্ন ছিল রাতুল /:)
আমি বর্তমানে দেশে তবে অচিরেই যাবো। তুমি ভালো ছিলে তো??

১২| ২১ শে অক্টোবর, ২০২৩ ভোর ৬:০৬

শার্দূল ২২ বলেছেন: কেমন আছো আপু? এত চাপ নিচ্ছো কেন? মরলে মরুক, কিছু মরতে দাও। এত হাজার কোটি মানুষ আমি তুমি সে তারা তাহারা না মরলেই হয়। হাহাহা মরার চেয়ে সুন্দর মানুষের জীবনে আর কিছু নেই, অন্তত পৃথিবীর এই অবস্থায়।

হুমায়ুন আজাদ স্যার বলেছিলো আমি হিংসা করি নতুন প্রজন্মকে, আমি বলি আমার কষ্ট হয় নতুন প্রজন্মের জন্য। পারমাণবিক বোম্ব যখন শরীরের মাংস মোজার মত টেনে খুলে ফেলবে তখন তা দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখতে হবে, এর চেয়ে মৃত্যুর দিকে ১০০ মাইলে বেগে দোউড়ালেই ভালো। হাহাহা

দেশের হাসপাতালের কথা আর কি বলবো। দুনিয়াতে মনে হয় আমরাই আছি স্বাস্থ্য আর খাদ্যে ভেজাল করি।

শেষ কথা- তুমি আমাদের এভারগ্রীন আপু, আজ্রাইলকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে দিবা, উল্টো দৌড় দিবে।

শুভ কামনা

২৬ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:৩৬

জুন বলেছেন: অনেক দিন পর জাবাব দিচ্ছি মন্তব্যের আশাকরি তার জন্য আমার প্রথম মন্তব্য দাতা আমার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে না। আসলে ব্যক্তিগত একটি ব্যাপারে এত দৌড়ের উপর ছিলাম। ভেবে রেখেছি আমার বাঘমামার আন্তরিক মন্তব্যের একটি আন্তরিক জবাব দেবো। তাই দেরি হলো।
তারপর সব খবর ভালো তো? পুরনো তাও যদি হয় প্রথম জনা তাকে নিজের ব্লগে মন্তব্যের ঘরে দেখলে কতটা ভালো লাগে তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না।
আজরাইলকে বুড়ো আংগুল ভালোই বলেছো :)
মনটা খারাপ ফিলিস্তিন যুদ্ধের নিরীহ মানুষগুলোর জন্য। ভালো থেকো সব সময়।

১৩| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:১৪

মেহবুবা বলেছেন: ফিলিস্তিনের বিষয়টি ভুলে থাকবার জন্য ব্লগে এসেও তাই।
এড়িয়ে যাও না হলে নিজে অসুস্থ হয়ে যেতে হবে, বেশী বেশী দোয়া করো।
এই জীবনে যে এমন মর্মন্তুদ ঘটনা প্রত্যক্ষদর্শী ( অনলাইনে হলেও) হব কোনদিন ভাবিনি।
আমার পরিচিত একটা ছেলে আছে, ও নিজে থেকে না বললে আমি জানতেও চাই না ওর পরিবারের সদস্যদের কথা; চিন্তা হয়।

ভালো থেকো।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:২৪

জুন বলেছেন: আসলেই মেহবুবা ফিলিস্তিনিদের কথা ভাবলে নিজেদের অবস্থার কথা চিন্তা করলে লজ্জা লাগে, কষ্ট হয়। দুই দশ টাকা জিনিসের দাম বাড়লে আমরা চিৎকার চেচামেচি হাহুতাশ করে দুনিয়া উদ্ধার করি। কিন্ত ওরা ওদের কি অবস্থা! খাবার, পানি, ঔষধ, মাথাগোজার ঠাই কিছুই তো নেই।
আপনিও ভালো থাকুন সব সময়। আমাদের জন্যও দুয়া করবেন।

১৪| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:২১

শার্দূল ২২ বলেছেন: জুন আপু হলো আমাদের ব্লগের শান্ত নদির মত, তোমার কোন কাজে কথায় কেউ কষ্ট পাবে বা মুখ ফিরিয়ে নিবে এমন সাহস কার আছে বলো?
ফিলিস্তিন নিয়ে প্রথম দিকে মানসিক ভাবে খুব বেশি কষ্ট পেয়েছিলাম। এখন এই ভেবে নিজেকে শান্ত রেখেছি যে আল্লাহ ফিলিস্তিনের প্রতিটা শিশুকে যেন এ্যনেস্থেসিয়া দিয়ে রেখেছেন না হয় ওরা. সহ্য করছে কিভাবে । যেন তারা যতই রক্তাক্ত হোক ব্যথা না পায়। এই ভাবনা করা ছাড়া আমাদের মত মানুষের আর কিবা করার আছে বলো আপু?

সব কিছু নিয়ে ভালো থাকো আপু

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:২৩

জুন বলেছেন: তোমার প্রিয় আপু বলে অনেক কিছুই বলো যা হয়তো সত্যি নয় বা অনেকে হেসেই উড়িয়ে দেবে।
যাইহোক তারপরও এত আন্তরিকতা নিয়ে যখন প্রিয় কেউ মন্তব্য করে তখন অনেক অনেক ভালো লাগে শার্দুল। আমি ভাবছি ফিলিস্তিন নিয়ে একটা পোস্ট দিবো। দেখতে লিখতে কষ্ট হয় তারপর ও।
শুভকামনা রইলো আমার :)

১৫| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৫

মেহবুবা বলেছেন: এখানে ভুলে তুমি করে সম্মোধন করে ফেলেছি ! আগে আপনি করে লিখতাম। আসলে ব্লগে মেয়ে/ মহিলা হলে অবলীলায় "তুমি" সম্বোধন করে ফেলি,অনেক সময় বুঝতে পেরেছি অনেকে বয়সে বড়!
ব্লগ বলে কথা, এখন থেকে তুমিই চলবে। আমাকেও "আপনি" বলা নিষিদ্ধ করা হোল !
ব্লগে সুরঞ্জনাকে অনেক মিস করি, আসে না একদম। তবে তোমাকে দেখে ওর কথা মনে হয়!

চারপাশের ভয়, ধ্বংস যজ্ঞ, আঘাত দৃশ্য, অনিয়ম, কলুষতা দেখেও আমরা হতাশ হই না, আমাদের স্বল্প আয়ুর জীবনে কিছু সুন্দর, কিছু মহানুভবতা, কিছু মানবতা আমাদের জাগিয়ে রাখে। সৃষ্টিকর্তা আমাদের কত ধরনের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে পার করছেন; পাশ করবার জন্য তাঁর সাহায্য চাই।
ভাল থেকো।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮

জুন বলেছেন: হায় মেহেবুবা সত্যি এত আপন করে একটা মন্তব্য করে গেছো আর আমি মুখপুড়ির তা নজরেই আসে নি। অনেক অনেক দু:খিত। সুরঞ্জনাকে আমি কত যে মিস করি বলার নয়। পুরনো ফোনটা হারিয়ে যাওয়ায় তার নাম্বারটাও হারিয়ে ফেলি। যেহেতু আর কোন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করি না তাই আর খুজে পাই না। অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে তার সাথে আমার। ছবি আপ্লোড করা শিখেছিলাম দুজন মিলে কাব্য আর দুরন্তচারীর কাছ থেকে। সারাদিন লেগেছিল তা শিখতে। সুরঞ্জনা তাও বিকালের মধ্যেই একটা ছবি দিতে পেরেছিল তার রাজপুত্র নাতির। আমি পারিই নি। তারপর কত জল গড়ালো এখন আমি কত ছবি দেই কিন্তু সেই দিনগুলো আর ফিরে পাই না। সুরঞ্জনার সাথে কথা হলে বোলো মেহেবুবা যে তাকে আমি অনেক মিস করি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.