নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্মৃতিকাতরতাঃ একটি অপ্রেরিত চিঠি

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫১

পাখি,
আমার এখানে এখন দুপুর তিনটে বাজে। তোমার ওখানে রাত তিনটে। আমাকে এ সময় চিরাচরিত দিবানিদ্রায় পেয়ে বসে। আজও আমার দু’চোখ ভরে ঘুম নেমে আসছে। তুমিও এখন এই মধ্যরাতে নিশ্চয়ই গভীর ঘুমে নিমজ্জিত। হয়তো কিছু স্বপ্ন তোমায় ঘিরে রেখেছে, হয়তো নয়। এই সেদিনও এ সময়ে তুমি আমার সাথেই ঘুমাতে, আমার ঘাড়ে কিংবা বুকে মাথা রেখে। আমি গান শুনতে শুনতে ঘুমাতে ভালবাসি, তুমিও। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, তোমার যেখানে ছড়া কিংবা রাইমস শুনে ঘুমানোর কথা, তুমি সেখানে আমার পছন্দের নির্দিষ্ট কিছু গান না শোনানো পর্যন্ত কিছুতেই ঘুমাতে না। এভাবেই মাত্র তিন বছর বয়সেই তোমার অনেকগুলো রবীন্দ্র সঙ্গীতের কলি মুখস্থ হয়ে গেছে। তুমি ভালবাসতে “সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে” শুনতে এবং সেই সাথে নিজেও গানের কথাগুলো বলতে, না বুঝেই। আমি চাইতাম বন্যার কন্ঠে শুনতে, তুমি ল্যাপটপে শাহানা বাজপাই এর ছবির উপর ছোট্ট তর্জনীটা বসিয়ে ওর কন্ঠেই গানটা শুনতে চাইতে। ‘আমি কান পেতে রই’ গানটাও তুমি শাহানা বাজপাই এর কন্ঠেই শুনতে চাইতে। তোমার তো নয়ই, তোমার বাবার প্রজন্মেরও কেউ হয়তো অখিল বন্ধু ঘোষের নামটাও শুনেনি, হয়তো তোমার বাবাও না। কিন্তু তুমি ঠিকই তার কিছু গান শুনতে চাইতে আমার ল্যাপটপে, যেগুলো আমিও শুনতাম। Rabindra Sangeet instrumentalist V. Balsara এর গীটারে বাজানো ‘ওরে গৃহবাসী’ গানটা এলেই তুমি আমার ঘাড়ে মাথা রেখে চাইতে যেন গানের সুরে সুরে তোমাকে কোলে নিয়ে আমি মৃদু লয়ে নাচি। সেই ছন্দের দোলায় তুমি নিমিষে ঘুমিয়ে পড়তে। এভাবে কখনো দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মৃদু ছন্দে নেচে আবার কখনো বুকে নিয়ে শুয়ে পিঠে হাত বুলিয়ে বুলিয়ে তোমায় ঘুম পাড়াতাম। আজ শুধু তোমার ছোট্ট বালিশ আর কোল-বালিশটাই আমাদের শয্যায় রয়েছে, তুমি নেই। বিছানায় শুয়ে শুয়ে জানালা দিয়ে আমরা দু’জনে কত প্লেন দেখতাম। আজও প্লেন উড়ে যায়, আমি দেখি, তুমি নেই! দখিনের বারান্দার রেলিঙে ঝুলে থাকা গোল গোল মুক্তোর মত বৃষ্টির ফোঁটাগুলোকে আমরা দু’জনে মিলে ভেঙে ফেলতাম। আজও বৃষ্টি হলে অনেক ফোঁটা ঝুলে থাকে। আজ সেগুলো ঝুলতে ঝুলতেই বাতাসে শুকিয়ে যায়, ভাঙবার কেউ নেই!

তোমরা যেদিন মাঝরাতে উড়ে যাবে, সেদিন সন্ধ্যা থেকেই তোমার মা বাবা প্যাকিং নিয়ে খুব ব্যস্ত ছিল। তুমি মাঝে মাঝে এসে তাদের কাজে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছিলে। এশার নামাযের পর আমি তোমাকে নিয়ে তোমার চিরপরিচিত পার্কটাতে গেলাম। আমার মন খুবই ভারী হয়ে ছিল। কারণ এর মাত্র ৫/৬ ঘন্টা পরেই প্লেন ধরার জন্য তোমাদের বিমান বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হবার কথা। কি কারণে যেন তুমিও সে রাতে খুব ছটফট করছিলে। খুব গরম পড়েছিলো, তাই বেশীক্ষণ সেখানে থাকতে পারিনি। ফিরে আসার সময় তুমি কিসের সাথে যেন হোঁচট খেয়ে পড়ে গিয়েছিলে। একটু কেঁদেও ছিলে। আমার ভারী মনটা আরো ভারী হয়ে উঠেছিলো। এর আগে কোনদিন পড় নাই, আর বিদায়ের সেই দিনই তোমাকে হোঁচট খেয়ে পড়তে হবে? সেদিন ব্যথাটা তোমার চেয়ে আমিই বেশী পেয়েছিলাম। মাঝরাতে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে যাওয়াতে বিমান বন্দরে তুমি বিরক্তবোধ করছিলে। ইমিগ্রেশন কাউন্টার পার হয়ে যখন শেষ চোখাচোখি হবার পালা, বাই বাই দেয়ার পালা, তখন তুমি অঝোরে কান্না শুরু করলে, বোধ হয় সেই বিরক্তি থেকেই। তোমার বাবা মা তাড়াতাড়ি তোমাকে আমাদের চোখের আড়াল করলেও, আমাদের ভেতরেও এক চাপা কান্না শুরু হয়ে যায়।

বিদায়ের কয়েকদিন আগে একদিন দুপুরেও আমি তোমাকে আমাদের সেই চির পরিচিত পার্কটাতে নিয়ে গিয়েছিলাম। তুমি আমার আঙুল ধরে হাঁটাপথ ধরে চলছিলে। পেছন থেকে তোমার আরেক দাদাভাই (আমার বন্ধু) আমাদের হাত ধরে হাঁটার একটা ছবি তুলে আমাদের বন্ধুদের “হোয়াটস এ্যাপ” গ্রূপে “জীবনের জার্নাল” নামে ছাপিয়ে দেয়। তোমার মনে আছে কিনা জানিনা যে “জীবনের জার্নাল” নামে আমার একটা স্মৃতিকথার বই আছে, সেটার প্রচ্ছদটাও তোমার আমার হাত ধরে হাঁটার সেই দৃশ্যটার মতই, প্রায় একই রকমের। তুমি মাত্র দেড় বছর বয়সের সময় তোমার মা বাবা আর নানুর সাথে বইমেলায় গিয়ে সবাই মিলে বইটা কিনেছিলে। আমি এখনো মাঝে মাঝে সে ছবিটার দিকে তাকিয়ে থাকি। তুমি যাওয়ার মাত্র তিনদিন আগে তোমাকে নিয়ে ঘুরতে ঘুরতে আমার আরেক বন্ধুর বাসায় গিয়েছিলাম। সেখানে তোমার আরেক দীদা তোমাকে অনেকগুলো চকলেট দিয়েছিল। সেখান থেকে তুমি দু’টো চকলেট হাতে তুলে নিয়েছিলে। একটা সেখানেই খেয়েছিলে, আরেকটা হাতে রেখেছিলে। বাড়ী ফেরার সময় তুমি গাড়ীতে ঘুমিয়ে পড়েছিলে। তোমার মুঠো শিথিল হয়ে চকলেটটা আমার কোলে পড়ে গিয়েছিল। আমি সেটা সযত্নে রেখেছিলাম। ভেবেছিলাম, পরদিন সকালে তোমাকে দিব। কিন্তু ব্যস্ততার ডামাডোলে সেটা আর তোমাকে দেয়া হয়ে উঠেনি। এরই মধ্যে তুমি চলে গেলে। আমি সেই চকলেটটার দিকে তাকাই, আর তোমার কথা মনে করি, তোমার কচি মুঠোর স্পর্শ অনুভব করি। একদিন, দুইদিন, তিনদিন করে বহুদিন চলে গেল। এর মধ্যে আমি সাত দিনের সফরে সিঙ্গাপুর ঘুরে এসেছি। চকলেটটা আমার হাতব্যাগেই ছিল।কয়েকদিন সেটা খোলার জন্য হাতে নিয়েছি, পারিনি। সিঙ্গাপুর ঘুরে হাতব্যাগেই সেটা আমার ঘরে ফিরে এসেছে, এবং আজও সেটা আমার টেবিলে।

প্রায় ছত্রিশ ঘন্টার দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে তোমার অনেক কষ্ট হয়েছে। তোমার মা বাবারও খুব কষ্ট হয়েছে। ঐ ছত্রিশ ঘন্টা আমরাও খুব কষ্টে আর চিন্তায় ছিলাম। আমি যখন ঈদুল আযহা’র জামাতে যোগ দেয়ার জন্য বাসা থেকে বের হয়েছি, ঠিক তখনই দেখলাম টার্কিশ এয়ারলাইনস এর তোমাদের সে প্লেনটা আমাদের মাথার উপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছে। এর আগে ছাদে অনেকক্ষণ ধরে অপেক্ষা করছিলাম প্লেনটাকে দেখার জন্য। কিন্তু সেটা আধা ঘন্টা দেরী করে ওড়ার জন্য জামাত মিস হবার ভয়ে আমি রওনা দিয়ে ফেলি। যেইনা রওনা দিলাম, অমনি ওটা উড়লো। নামাযে বসেই দোয়া করতে থাকি, হে আল্লাহ! তুমি আমাদের পাখিটাকে ওর মা বাবাসহ নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দিও! নামাজের পর থেকে অন্য সবকিছু বাদ দিয়ে গুগল ফ্লাইট রাডারে ফ্লাইট নং টিকে ৭১৩ এর গতিবিধির ওপর সার্বক্ষণিক নজর রেখেছি। ঈদের দিনটা সারাদিন ধরে তোমাদের কথা ভেবেছি। বিকেলে যখন তোমার বাবার কাছ থেকে ট্রাঞ্জিট বিমানবন্দরে পৌঁছার একটা ছোট্ট মেসেজ পেলাম, কেবল তখনই মনটা একটু শান্ত হলো। ঢাকা থেকে প্লেনটা আধা ঘন্টা দেরী করে ছাড়াতে চিন্তায় ছিলাম, দশ ঘন্টা ওড়ার পর কানেক্টিং ফ্লাইট ধরার জন্য তিন ঘন্টা ট্রাঞ্জিট সময় তোমাদের জন্য যথেষ্ট নাও হতে পারে। সেখান থেকে আবার দশ ঘন্টা ওড়ার পর আরেকটা তিন ঘন্টার কানেক্টিং ফ্লাইট ধরে তবে তোমাদের নতুন নীড়ে পৌঁছতে হবে। শরীরের ওপর দিয়ে খুবই ধকল যাবার কথা, তাই খুবই দুশ্চিন্তায় ছিলাম। যাইহোক, যখন তোমার বাবার কাছ থেকে তোমাদের নতুন নীড়ে পরের দিন সেখানকার মধ্যরাতে পৌঁছাবার খবরটা পেলাম, তখন আমি ও তোমার দীদাও ওড়ার জন্য ঢাকা বিমান বন্দরের স্কাই লাউঞ্জে বসা। তোমাদের পৌঁছার খবর পেয়ে আমরাও স্বস্তির সাথেই সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হ’লাম।

তুমিহীন এই শূণ্য ঘরে মন টিকাতে পারবোনা বলেই তুমি যাওয়ার পরের দিনই কয়েকদিনের জন্য একটু ঘুরে আসার পরিকল্পনা আগেই করে রেখেছিলাম। ঘুরে এসে আবার শূণ্য ঘরে, খুবই খারাপ লাগছিল। সেই শূণ্যতা নিয়েই আজও আছি। যখন তোমার মা বাবার সাথে মেসেঞ্জারে ভিডিও চ্যাট করি, তখন চোখটা পড়ে থাকে তোমারই দিকে। কিন্তু কি এক অজানা কারণে যেন তুমি তোমার নতুন নীড়ে গিয়ে লাজুক হয়ে গেছ। আমাদের সাথে কথা বলতে কেন যেন খুব লজ্জা পাচ্ছো। শুনেছি তোমাকে অভ্যস্ত করে তোলার জন্য তোমার মা বাবা তোমাকে কয়েক ঘন্টার জন্য ডে কেয়ার সেন্টারে রেখে যায়। তুমি সেখানে কেন্দ্রা নামে তোমার সমবয়সি নতুন এক কানাডিয়ান বান্ধবী পেয়েছো। তোমাদের মুখের ভাষা পৃথক হলেও মনের ভাষা অভিন্ন। সে তার ভাষায় কথা বলে, তুমি তোমার। কিন্তু এজন্য তোমাদের কোন কিছুই বুঝতে অসুবিধে হয়না। যতক্ষণ ও সেখানে থাকে, ততক্ষণ তুমি নিজের বাসায় ফিরতে চাওনা। এটা জেনে আমরা খুশী হয়েছি। আমরা জানি, তুমি সেই ছোট্টবেলা থেকেই কতটা বন্ধুবৎসল। বন্ধু পেলে তুমি নাওয়া খাওয়া ভুলে যাও। বন্ধুদের সাথে নিজের খেলনা ভাগ করে নিতে কখনোই তোমার কোন আপত্তি ছিলনা। সেখানেও তাই। খুব ভাল, তুমি মা, বাবা আর বন্ধুদের নিয়ে সারাদিন হাসি খুশীতে দিন কাটাও, এটাই আমরা চাই। কিন্তু এখন আরেকটা দুশ্চিন্তা আসছে। শীতকালে আমাদের দেশে শীতের দেশ থেকে পরিযায়ী পাখিরা হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে উড়ে আসে কিছুটা উষ্ণতার জন্য। শীত চলে গেলে ওরা আবার নিজ দেশে উড়ে যায়। কিন্তু তুমি শীত আসার ঠিক আগে আগে আমাদের উষ্ণ দেশ থেকে পরিযায়ী পাখি হয়ে উড়ে গেলে শীতের দেশে। আর কিছুদিন পর থেকে সেখানে তাপমাত্রা শূণ্যের দিকে নামবে। তারপর ধীরে ধীরে শূণ্যের অনেক নীচে চলে যাবে। তখন তোমার কি হবে, সেকথা ভেবে আমি অস্থির!

ভাল থেকো পাখি! সারাদিন মা বাবার চোখে চোখে থেকো, তাদের চোখের মনি হয়ে থেকো। ভবিষ্যতের পথে তোমার পদযাত্রা যেন নিরাপদ হয়, মসৃণ হয়, সেকথা ভেবেই আমরা আমদের নিজেদেরকে বুঝ দিয়ে রেখেছি। একদিন আবার আমরা অন্ততঃ কিছুদিনের জন্য একসাথে হবো, সে আশায় বুক বেঁধে আছি। নতুন নীড়ে তোমার মা বাবাকে শূণ্য থেকে শুরু করতে হচ্ছে। খুশী হ’লাম জেনে যে ইতোমধ্যে তোমাদের ঘরে কিছু নতুন আসবাবপত্র এসেছে। আজ দেখলাম নতুন টিভির সামনে তুমি নেচে নেচে গান গাচ্ছো। শুনলাম, তোমার বাবা একটা নতুন গাড়ীর ডেলিভারী নিতে এইমাত্র বেরিয়ে গেছে। আল্লাহ রাব্বুল ‘আ-লামীন এর কাছে প্রার্থনা করি, প্রবাসে তোমাদের গৃহ নিরাপদ হোক, তোমাদের গাড়ী নিরাপদ হোক, তোমরা তাঁর রাহমাতে, বারকাতে, হেফাযতে, মাগফিরাতে, হেদায়াতে, সালামাতে থাকো। প্রতিটি মুহূর্তে আল্লাহ সুবহানু ওয়া তা’লাহ তোমাদের সহায় থাকুন! আমীন!


তোমাদের প্লেন ভেবে এ ছবিটা তুলেছিলাম। পরে বুঝেছি, এটা তোমাদের প্লেন ছিলনা, এর পরেরটা ছিল। কিন্তু তখন আমি ঈদের নামাযের জামাতে সামিল হবার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গেছি, তাই তোমাদের প্লেনের ছবি তুলতে পারিনি।


দখিনের বারান্দার রেলিঙে ঝুলে থাকা গোল গোল মুক্তোর মত বৃষ্টির ফোঁটাগুলোকে আমরা দু’জনে মিলে ভেঙে ফেলতাম। আজও বৃষ্টি হলে অনেক ফোঁটা ঝুলে থাকে। আজ সেগুলো ঝুলতে ঝুলতেই বাতাসে শুকিয়ে যায়, ভাঙবার কেউ নেই!

ঢাকা
১৭ অক্টোবর ২০১৭
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

https://www.youtube.com/watch?v=HSY95KLv5cA - গীটারে রবীন্দ্রসঙ্গীতের সুর

মন্তব্য ৫২ টি রেটিং +১৯/-০

মন্তব্য (৫২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


কাছে মানুষ দুরে গেলে মনোকষ্ট হয়, আবারো দেখা হবে; সকল কষ্টের লাঘব হবে।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, তাই যেন হয়!
মন্তব্যে মন ভাল হয়েছে।

২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:২৮

দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: এই ব্লগ কিন্তু আমাদেকে অনেক সঙ্গ দেয় , আপনিও আমাদের সঙ্গী হয়ে ভাল থাকুন ।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন, এই ব্লগ আমাদেকে অনেক সঙ্গ দেয়, এবং আমরাও এই ব্লগে অনেক সময় দেই। ব্লগারদের সৌহার্দ্য অনেক সময় অনেক দুঃখকে ভুলিয়ে দেয়। আমিতো আপনাদের সঙ্গী হয়েই আছি গত দু'বছর ধরে।
সৌহার্দ্যমূলক মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা জানবেন।

৩| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৩৪

শায়মা বলেছেন: পাখিটার জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা ভাইয়া!

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:২৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথম প্লাসের জন্য এবং পাখির প্রতি এ ভালবাসার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
ভাল থাকুন, শুভেচ্ছা রইলো।

৪| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৩১

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:




পাখিটা মনে হচ্ছে আপনার নাতনী । চোখের আঙ্গিনা ছেড়ে চলে যাওয়া মানে হৃদয়ের কোণে কিছু বিস্বাদ ঘূনিভুত হওয়া । বাস্তবতা আমাদের এমনি অনিশ্চিত করে রাখে । তবুও সময় চলে যায়, তাকে চলে যেতে হয়, হৃদয়ের খেয়াল তার মধ্যে নেই ! আপনার স্মৃতিকাতরতা এবং ভালবাসা বেশ ভাবে ফুটে উঠেছে । ওরা ভালো থাকুক ওপারে, পাখিটা জীবনকে সুন্দরভাবে শিখুক । পাখি মানে শুধু উড়ে যাওয়া নয়, সাথে করে আরো পাখিকে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া সুন্দর পৃথিবী গড়তে ।

বেশ ভাল লাগলো ।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:২১

খায়রুল আহসান বলেছেন: জ্বী, পাখিটা আমার তিন বছরের নাতনি। ও একাই আমার ঘরটাকে আলোময় করে রাখতো।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। প্লাসে অনুপ্রাণিত।

৫| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:১৯

সুমন কর বলেছেন: আমরা জানি, "পাখিটি আর কেউ নয়, আপনার প্রাণপ্রিয় নাতনী।" আপনার অপ্রেরিত চিঠি আমাদের কাছে পৌঁছে গেছে এবং চিঠির ভাজে ভাজে স্মৃতিকাতরতা চমৎকার ভাবে প্রকাশ পেয়েছে। এবং মনকে ভারী করার মতো চিঠি। +।

অ.ট.: আমার মেয়ে, চলে এসেছে।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:৩৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: "পাখিটি আর কেউ নয়, আপনার প্রাণপ্রিয় নাতনী" - আপনার অনুমান সম্পূর্ণ সঠিক। ভারী মন নিয়ে লিখেছি বলেই হয়তো চিঠিটা পাঠকের মনকেও ভারী করে দেয়।
আপনার মেয়ে আপনার কাছে চলে এসেছে শুনে ভাল লাগছে। মায়া একটা সাংঘাতিক অনুভূতি, মানুষের মনকে তোলপাড় করে ফেলে।
মন্তব্যে অভিভূত হ'লাম। প্লাসে অনুপ্রাণিত।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!...

৬| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:০৪

নীলপরি বলেছেন: মায়াসিক্ত চিঠিটা পড়ে মন ভিজে গেলো । +++++++

অনেক শুভকামনা রইলো ।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:১৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: মায়াসিক্ত চিঠিটা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। প্লাসে অনুপ্রাণিত।
মহীয়সী সুন্দর আবৃত্তি করেছেন। আপনার পরের মন্তব্যটা মুছে দিয়েছি।
ভাল থাকবেন, শুভেচ্ছা...

৭| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৫৭

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: যখনই দীর্ঘ সময়ের জন্য কোথাও যেতো, থকতাম শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত।। দৃষ্টির আড়াল হতেই বুকটা অকারনেই খালি হয়ে জমা হতো একধরনের ক্রোধ।। যার ভিত্তিই থাকতো না।।
এমনই অনেক না বলা কথা/অভিযোগ থাকে, স্বভাবতঃই অনেকের জীবনে।। কেউ বুঝে, কেউ না।।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:১৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: এমনই অনেক না বলা কথা/অভিযোগ থাকে, স্বভাবতঃই অনেকের জীবনে।। কেউ বুঝে, কেউ না - চমৎকার বলেছেন।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন, শুভেচ্ছা...

৮| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৭:৫২

জুন বলেছেন: খায়রুল আহসান,
কাল রাত দশটা হবে ফোনে সামুতে আসি। সেখানেই মন্তব্যের ঘরে চোখে পড়লো আপনার একটি লেখা শিরোনামে একটি অপ্রেরিত চিঠি। চিঠি লেখালেখি যুগের মানুষ আমরা, সেই ভালোবাসা থেকে স্বভাবতই কৌতুহলী আমি ঢুকে পড়লাম আপনার হাত থেকে ছুটে যাওয়া ক্ষুদে এক মুঠির অধিকারী ছোট্ট আনাইয়ার কাছে লেখা সেই বেদনা বিধুর চিঠির জগতে। কয়েকবার করে পড়লাম আপনার কষ্টের সেই অনুভুতি , যা নিয়ে লিখেছেন তা অনুভব করতে পারছি আমিও। প্রিয়জনরা যখন দূরে চলে যায় তখন যে কি কষ্ট যার হয়নি সে বুঝবে না হয়তো ।
আপনার প্রিয়জনরা ভালো থাকুক, সুখী থাকুক আর যেটা সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন আমার কাছে তা হলো আমাদের মনে রাখুক, এখনকার দিনে এটাই বিশাল পাওয়া বলে মনে করি । আপনিও ভালো থাকুন সপরিবারে । আমাদের জন্য ও একই দোয়ার প্রত্যাশা রইলো।
শুভেচ্ছা সকালের ।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:২৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: চিঠি লেখালেখি যুগের মানুষ আমরা, সেই ভালোবাসা থেকে স্বভাবতই কৌতুহলী আমি ঢুকে পড়লাম আপনার হাত থেকে ছুটে যাওয়া ক্ষুদে এক মুঠির অধিকারী ছোট্ট আনাইয়ার কাছে লেখা সেই বেদনা বিধুর চিঠির জগতে - কি সুন্দর করে বললেন কথাগুলো! আনায়ার নামটা মনে রেখেছেন এখনো, এতেও ভীষণ মুগ্ধ হ'লাম। অনেক অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
বলাই বাহুল্য, মন্তব্যটা মন ছুঁয়ে গেছে।

৯| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:৫১

মলাসইলমুইনা বলেছেন: একটি অপ্রেরিত চিঠি তার প্রাপকের কাছে না গিয়ে আমার ঠিকানায় এলো যেন | কিছু বলার নেই | এই ভাবেই কিছু দিয়ে, তার থেকেও বেশি বোধহয় ছিনিয়ে নিয়েই জীবন চলে| থেমে থাকে না |আমরাও কেমন যেন মানিয়েও নেই মনে হয়,না মানতে চাইলেও | সবাই ভালো থাকুক সে দোয়াই করি |

২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:১১

খায়রুল আহসান বলেছেন: একটি অপ্রেরিত চিঠি তার প্রাপকের কাছে না গিয়ে আমার ঠিকানায় এলো যেন - চমৎকার বলেছেন! খুব ভাল লাগলো কথাটা।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!

১০| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৩৯

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রিয় কবি ভাই,
নিপূন হাতের আলতো ছোঁয়ায় কাগজের বুকে যেন বুনে দেয়া অন্যরকম আবেগ! চিঠি পড়ে মন ভিজে গেলো ।

শুভকামনা অন্তহীন। আপনার পরিবারের সকলের জন্য।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:১২

খায়রুল আহসান বলেছেন: চিঠি পড়ে মন ভিজে গেলো - কথাটা আপনার সংবেদনশীল মনের পরিচয় দিয়ে গেল!
কবিতা পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভাল থাকুন, শুভেচ্ছা রইলো...

১১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৪৫

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: চিঠি পড়তে আমার যেমন ভাল লাগে ঠিক তেমনই লিখতেও অনেক ভাল লাগে।
তবে আপনার এই চিঠিটি পড়তে পড়তে বুকের ভেতরটা ভার হয়ে উঠল।
প্রার্থনা করি আপনার ছোট্ট পাখিটি যেখানেই থাকুক অনেক ভাল থাকুক।
আর আপনার মত একজন সুন্দর মনের মানুষ হয়ে বেড়ে উঠুক।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৫১

খায়রুল আহসান বলেছেন: চিঠি পড়তে আমার যেমন ভাল লাগে ঠিক তেমনই লিখতেও অনেক ভাল লাগে - ভালো চিঠি লিখতে পারাটা ভাল শিল্পকর্ম সৃষ্টির মতই। বিশ্বের অনেক চিঠি শ্রেষ্ঠ সাহিত্যের মর্যাদা পেয়েছে।
অপ্রেরিত চিঠিটি পড়ার জন্য এবং সেটা পড়ে নিজের ভাবনাটুকু এখানে রেখে যাওয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ। প্লাসে অনুপ্রাণিত।

১২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:০৩

করুণাধারা বলেছেন: আল্লাহ রাব্বুল ‘আ-লামীন এর কাছে প্রার্থনা করি, প্রবাসে তোমাদের গৃহ নিরাপদ হোক, তোমাদের গাড়ী নিরাপদ হোক, তোমরা তাঁর রাহমাতে, বারকাতে, হেফাযতে, মাগফিরাতে, হেদায়াতে, সালামাতে থাকো। প্রতিটি মুহূর্তে আল্লাহ সুবহানু ওয়া তা’লাহ তোমাদের সহায় থাকুন! আমীন!


ভাল থাকুক ছোট পাখি।

আপনার মন খারাপ বুঝতে পারছি। তবু বলি, বাবুটার জন্য এটা ভালই হল। জানি এদেশে তার এমন কিছুরই অভাব ছিল না যা পাবার জন্য প্রিয় দাদা আর অন্যদের ছেড়ে তাকে বিদেশ যেতে হল। এখানে তার মা বাবার সবই ছিল। কিন্তু ভাবুনতো, এদেশের শিক্ষাব্যবস্থা অনুযায়ী আর কদিন পরই তাকে (২+) মা বাবার সাথে স্কুলে ভরতি হতে যেতে হত। সেখানে তাকে আলাদা করে ইন্টার্ভিউ নিত, মাবাবার ইন্টার্ভিউ নিত, মাবাবার সামাজিক অবস্থান, শিক্ষাগত যোগ্যতা,আয় ইত্যাদি তথ্য নিত আর এসবকিছুর পর সে নামী স্কুলে পড়ার যোগ্যতা অর্জন করত। তিন বছর বয়স থেকেই শুরু হত ঘুম চোখে সকালে ওঠা, জ্যামে অস্থির হওয়া।

আমার এই শিক্ষা ব্যবস্থা খুব খারাপ লাগে, খুব বৈষম্যমূলক।

এখন কি হবে, সে একটা সুন্দর শৈশব পাবে, পাঁঁচ বছরে স্কুলে যাবে, আনন্দমময় স্কুল। শুধু এই একটা কারনেই আমি এভাবে চলে যাওয়াটাকে সাপোর্ট করি। মাথা ঠিক কাজ করছে না, যা লিখতে চাইছি পারছি না। আশাকরি বুঝবেন।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: তবু বলি, বাবুটার জন্য এটা ভালই হল - এটা ভেবেই তো বুক বেঁধে আছি!
ওর বয়স এখন তিন বছর দুই মাস। ওকে ওর মা বাবা প্রি-স্কুলে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু ওরা বলেছে, ৪+ এর আগে নো স্কুলিং!
আমার এই শিক্ষা ব্যবস্থা খুব খারাপ লাগে, খুব বৈষম্যমূলক - আমিও তাই মনে করি। আমাদের সমাজপিতারা শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে মোটেই কোন কিছু ভাবেন না, কারণ তাদের সে গরজই নেই।
আপনার মন্তব্যের বাকী কথাগুলো পড়ে খুব ভাল লাগলো।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রেরণা দিয়ে গেলেন। আন্তরিক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা!

১৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪২

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: চিঠি লেখালেখি যুগের শেষ দশকের মানুষ আমি। আপনাদের মত করে না হলেও আমি বেশ বুঝি চিঠির স্পর্শ,গন্ধের সাথে প্রেরক আর প্রাপকের আবেগ। আর সাদা কাগজে কালো কালির অক্ষরগুলোর কি অসীম ক্ষমতা!

২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৩৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনাদের মত করে না হলেও আমি বেশ বুঝি চিঠির স্পর্শ,গন্ধের সাথে প্রেরক আর প্রাপকের আবেগ। আর সাদা কাগজে কালো কালির অক্ষরগুলোর কি অসীম ক্ষমতা! - খুবই চমৎকার করে বলেছেন এ কথাগুলো। দুঃখের বিষয়, এখন চিঠি লেখালেখির যুগ শেষ। যদি থাকতো, তবে আপনি চিঠি লিখেই অনেকের মন জয় করতে পারতেন, একথা নির্দ্বিধায় বলতে পারি। :)
লেখাটা পড়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। যদিও এটা একটা অপ্রেরিত চিঠি, তথাপি লেখার মূল বিষয়বস্তু কিন্তু চিঠি নয়।
মন্তব্যে প্রীত হ'লাম, প্লাসে অনুপ্রাণিত।

১৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৬

তারেক ফাহিম বলেছেন: অতি কাছের কেউ বিদায় নিলে একটু কষ্ট হবে স্বাভাবিক।
আবার মিলন ঘটলে সব কষ্ট ভুলে যায়।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: সহমর্মী মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা জানবেন।

১৫| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৪

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: কষ্টগুলো দারুণ রূপায়ণ

২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেকদিন পরে এলেন। অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

১৬| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৩৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আহা রে মায়া !
আহা জীবন !
হায়রে বাস্তবতা ।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: ছোট্ট ছোট্ট তিনটি বাক্য, কিন্তু কত গভীর! কত মায়াময়!
অশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি এ সহমর্মী মন্তব্য এবং প্রেরণাদায়ক প্লাসের জন্য।
ভাল থাকবেন, শুভেচ্ছা রইলো।

১৭| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৫২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হৃদয় ছিড়ে খুড়ে লেখা হৃদয়ের যতনা কাহন...

পাঠকদের হৃদয়ও ছিড়ে খুড়ে দিল!
কারো অতীত তো কারো ভবিষ্যত-ভাবনায় টালমাটাল :)

আপনার প্রার্থনায় সহমত। ভাল থাকুক পাখি।

++++

২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:২৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: পাখির প্রতি আপনার এ প্রার্থনা ও শুভকামনার জন্য অন্তর থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
মন্তব্যে এবং প্লাসে মন ভাল হয়ে গেল।
শুভেচ্ছা...

১৮| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:০৪

ধ্রুবক আলো বলেছেন: কাছে দূরে! এই হচ্ছে জীবনের খেলা।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪১

খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার বলেছেন। জীবনের দর্শন!

১৯| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:০৬

ধ্রুবক আলো বলেছেন: মোস্তফা সোহেল ভাইয়ের মন্তব্যটা ভালো লাগলো।

সত্যি অপ্রেরিত চিঠি টা হৃদয় ভারী করে তুললো...!

২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য উভয়কে ধন্যবাদ। প্লাসে অনুপ্রাণিত।

২০| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:০২

কালীদাস বলেছেন: আহ! সহানুভূতি থাকল আপনার জন্য।

এই ফ্লাইট ট্রাকিং-এর কাজটা আমার মাও করে। আমি লম্বা মেয়াদে দেশ ছাড়ার আগেও অনেকবার বাইরে গেছি, তবুও ওদের রেডি করতে পারিনি এটার জন্য; এটা পারার জিনিষ না। শুনেছি পরে, আমার প্লেনটা যখন রাজশাহীর কাছাকাছি বর্ডার ক্রস করে তখন নাকি আম্মার কান্না কেউ থামাতে পারছিল না। এখনও যখন ইউরোপের ভেতরে বা বাইরে ফ্লাই করি, আমার মা আমাকে এখনও ট্রাক করে ল্যান্ড করার আগ পর্যন্ত পুরা টাইম।

নেন, আমার উইকনেস শেয়ার করে ফেললাম ওপেন ব্লগে আপনার সাথে। এইবার কান্দাকাটি থামান ;)

২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: সহানুভূতি জানানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আমার মা আমাকে এখনও ট্রাক করে ল্যান্ড করার আগ পর্যন্ত পুরা টাইম - এটা নারীদের নাড়ির বাঁধন।
নেন, আমার উইকনেস শেয়ার করে ফেললাম ওপেন ব্লগে আপনার সাথে। এইবার কান্দাকাটি থামান - এ সহমর্মী মন্তব্য এবং প্রেরণাদায়ক প্লাসের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

২১| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৩০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: পোস্টের দ্বিতীয় ছবিটা খুব সুন্দর।
দেশ ছাড়ার আগের অনুভূতি প্রতিবার নতুন বেদনাদায়ক এক অনুভূতির জন্ম দেয়। আপনার ব্যাপারটা ফিল করতে পারছি।
সকালে কমেন্ট করতে গিয়ে অটো লগ অফ হয়ে যাচ্ছিলাম।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০০

খায়রুল আহসান বলেছেন: জীবন বহমান। চলবে এমন করেই, আপন গতিতে, হাসি কান্নার মাঝ দিয়েই।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইলো...

২২| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:১১

জাহিদ অনিক বলেছেন:


আপনার হাহাকার বুঝতে পারছি। হাহাকারটা কেবল আপনার একার; ব্যক্তিগত। এই হাহাকার আমরা কেউ কমিয়ে দিতে পারব না। কেবল আপনার প্রিয়জনেরাই পারবে যাদের থেকে অনেক দূরে আছেন।

যেহেতু এটা আপনার ব্যক্তিগত হাহাকার তাই এটা আমাকে ছোঁয়ার কথা না; কিন্তু ছুয়ে গেল। কেন গেল জানি না।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১০

খায়রুল আহসান বলেছেন: কিন্তু ছুয়ে গেল। কেন গেল জানি না - কারণ আপনার একটা কবি-মন আছে।
মন্তব্যে এবং প্লাসে স্পর্শিত! ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা...

২৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৮

রাতু০১ বলেছেন: স্মৃতিকাতরতা এসে যায়। সমাধান চোখের জল।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:৫২

খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার মন্তব্য।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা...

২৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৯

আখেনাটেন বলেছেন: ভীষণ আবেগী স্মৃতিচারণ। মন ভারী হয়ে যায়।

ভালো থাকুক পাখিরা আর কিচিরমিচির করে চারপাশ উদ্বেলিত করে তুলুক উচ্ছ্বল চঞ্চলতায়।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:৫১

খায়রুল আহসান বলেছেন: আবেগী স্মৃতিচারণ টি পাঠ করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
মন ভাল করা মন্তব্যে প্রীত হ'লাম। প্লাসে অনুপ্রাণিত।

২৫| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৫৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান ,




পৃথিবী একেবারেই ফুড়িয়ে যায়নি । স্নেহ-মায়া-মমতা-বাৎসল্য- ভালোবাসা এখনও কারো কারো মনের অলিন্দে পাখির মতো বাসা বেঁধে থাকে । অপ্রেরিত এই চিঠিতে তেমন একটি পাখির বাসার দেখা মিললো । কাগজে কলমে চিঠিটি হয়তো অপ্রেরিত থেকে গেছে কিন্তু কে জানে , চিঠির মর্মকথা হয়তো বাতাস হয়ে কোনও এক ছোট্ট "আয়ানা"র কানে কানে কিছু বলে গেছে ! হয়তো দূর দ্বীপবাসীনি সেই ছোট্ট পাখিটিও এই পৃথিবীর আরেক প্রান্তে পড়ে থাকা এক তৃষিত হৃদয়কে পাঠিয়েছে চিঠি - ইথারের তরঙ্গে তরঙ্গে ! স্মৃতিকাতরতা নিয়ে পড়ে থাকা সেই তৃষিত হৃদয়ে ঝড় তুলবে তা । পরশ বুলিয়ে যাবে তাঁর গায়ে ! তখন তার মনে পড়বে এই গানখানি ----" আয় খুকু আয় .................."

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:০৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: পৃথিবী একেবারেই ফুড়িয়ে যায়নি । স্নেহ-মায়া-মমতা-বাৎসল্য- ভালোবাসা এখনও কারো কারো মনের অলিন্দে পাখির মতো বাসা বেঁধে থাকে । অপ্রেরিত এই চিঠিতে তেমন একটি পাখির বাসার দেখা মিললো - কি চমৎকার করেই না বলতে পারেন আপনি! অভিভূত হ'লাম।
হয়তো দূর দ্বীপবাসীনি সেই ছোট্ট পাখিটিও এই পৃথিবীর আরেক প্রান্তে পড়ে থাকা এক তৃষিত হৃদয়কে পাঠিয়েছে চিঠি - ইথারের তরঙ্গে তরঙ্গে - ইস, আপনার এ লাইনটা পড়ে মনটা মোচড় দিয়ে উঠলো!
হৃদয়স্পর্শী মন্তব্য। অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা, অন্তর থেকে...

২৬| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:০০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: এই রকম বৃষ্টির ফোঁটা ঝুলতো আমার নানুবাড়ির জানালার শিকগুলোয়। সামনের ঝোঁপে কচকচে সবুজ কচুপাঁতার উপরে স্ফটিক স্বচ্ছ পানির বিন্দু। মনে পড়ে গেলো আরও কিছু।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:২৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতা পড়ে নিজস্ব স্মৃতির কথা বলে গেলেন, অশেষ ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.