নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

পিছু ফিরে দেখাঃ “মেরা জীবন কোড়া কাগজ...”

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫১

১৯৭৫ সালের শেষের ক’টা দিন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সদ্য কমিশন লাভ করে ঢাকার একটা ইউনিটে যোগদান করেছি। পাকিস্তান প্রত্যাগত অফিসারদের দেশে ফিরিয়ে আনাতে তখন আবাসন সংকট চলছিল। জরুরী ভিত্তিতে আবাসনের ব্যবস্থা করার জন্য তখন সেনানিবাসের এখানে সেখানে “রূপসা” প্রকল্পের অধীনে কিছু ব্যাচেলর অফিসার্স কোয়ার্টার্স (বিওকিউ) তৈরী করা হয়েছিল। সদ্য বিবাহিত কিংবা ছোট পরিবারের জন্য দুই কক্ষ বিশিষ্ট কিছু ম্যারেড অফিসার্স কোয়ার্টার্সও নির্মিত হয়েছিল। ইটের হাল্কা গাঁথুনী, উপরে টিনের ছাদ- একেক সারিতে কোথাও ছয়টি, কোথাও আটটি কক্ষ নিয়ে এরকম কয়েকটি সারি বানানো হয়েছিল। অবস্থান, তৎকালীন ব্রিগেড মেস (বর্তমানে অবলুপ্ত, এএইচকিউ মেস এবং সিগন্যাল্স মেস এর মধ্যবর্তী স্থানে) এর বিপরীতে রাস্তার উলটো দিকে। এই বিওকিউ এর সর্ব উত্তরের সারিতে সর্ব পশ্চিমের কক্ষটি আমি বরাদ্দ পেলাম। পশ্চিমের জানালা দিয়ে দেখা যায় সবুজ ধানক্ষেত, ভাসানটেক যাওয়ার পায়ে চলা পথ। পথটি আমার কক্ষের সামনে দিয়ে একেবারে প্রায় গা ঘেঁষে প্রধান সড়কের সাথে মিলিত হয়েছে। এই পথ দিয়ে ভাসানটেকের লোকজন সেনানিবাসে প্রবেশ করতো। বেশীরভাগ পথচারীই ছিল সেনাবাহিনীর সদস্য এবং তাদের পরিবারের লোকজন। সেখানে তারা স্টেশন সদর দপ্তরের অনুমতিক্রমে ঘর ভাড়া নিয়ে “আউট লিভিং” থাকতো।

প্রথম প্রথম বেশ কিছুদিন আমি একাই সেই কক্ষটিতে থাকতাম, কারণ কক্ষটি আমার নামেই বরাদ্দ হয়েছিল। আসবাবপত্র বলতে এমইএস এর কাঠের ফ্রেমে বেত লাগানো দুটো ইজি চেয়ার, মাঝখানে একটা সেন্টার টেবল। স্টীল ফ্রেমে ফিতের টাইট গাঁথুনী দেয়া একটি “খাট”, পাশে একটি ছোট বেড সাইড টেবল। আর ছিল একটি কাঠের আলনা এবং কাপড় চোপড় রাখার জন্য তিন ড্রয়ার বিশিষ্ট একটি কাঠের চেস্ট অভ ড্রয়ার্স। ব্যস, এই ছিল আমার একার সংসার। আমি খাওয়া দাওয়া এবং মেস সম্পর্কিত যাবতীয় অনুষ্ঠানাদির জন্য সিগন্যাল্স মেস এর সাথে এটাচড ছিলাম। তখন ছিলাম সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট, তাই মেসের বাকী সবাই আমার সিনিয়র ছিলেন। সদ্য কমিশন পাওয়া আমার মত এরকম একটা “মুরগা” কে (সেনা কথ্যভাষায় সদ্য কমিশন পাওয়া সেকেন্ড লেফটেন্যান্টদেরকে এ নামেই ডাকা হতো) সামনে পেলে সিনিয়ররা পোশাকের “টোকাই” করার জন্য (ভুল ধরা) হামলে পরতেন। সেইফ থাকার জন্য প্রথম প্রথম রাতে স্যুটেড বুটেড হয়েই ডিনারের জন্য রাস্তাটা পার হয়ে হাঁটতে হাঁটতে মেসে যেতাম। দুপুরে অফিস থেকে ফেরার সময় ইউনিফর্ম পরেই লাঞ্চ সেরে আসতাম।

ইউনিটে জয়েন করার প্রথম দিনেই সুবেদার মেজর সাহেব আমাকে জিজ্ঞেস করলেন আমি ব্যাটম্যান (ফুট ফরমায়েশ খাটার জন্য সাহায্যকারী) নিয়ে এসেছি কিনা। আমি না বলাতে তিনি বললেন, ঠিক আছে স্যার, আমি বিকেলের মধ্যে একটা ব্যটম্যান ঠিক করে আপনার রুমে পাঠিয়ে দেব। বেতনের ব্যাপারে কিছু বলতে হবেনা। অন্য সবাই যা দেয়, আপনিও তাই দেবেন। বিকেলে গেমসে যাবার সময় দেখি রুমের সামনে সিঁড়ির উপর একটা ১৫/১৬ বছরের ছেলে বসে আছে। সে জানালো, তাকে সুবেদার মেজর সাহেব আমার কাছে পাঠিয়েছেন। আমি ঘুমুচ্ছিলাম ভেবে সে আমাকে ডাকেনি কিংবা দরজায় করাঘাত করেনি। তার এই সৌজন্যবোধ দেখে চমৎকৃত হ’লাম। তার হাতে রুমের চাবি দিয়ে আমি গেমসে চলে গেলাম। বললাম, ফিরে এসে তার সাথে বাকী কথা বলবো। তখন অপরিচিত ব্যাটমেনদেরকেও সহজে বিশ্বাস করা যেত। গেমস থেকে ফিরে এসে দেখি সে ইতোমধ্যে আমার বুট চমৎকারভাবে ওয়াটার পালিশ করে রেখেছে, ওয়েব বেল্টের পিতলের অংশটুকু সুন্দরভাবে ব্রাসো দিয়ে পালিশ করে রেখেছে, কাঁধের সবেধন নীলমনি ‘পিপস’টিও তার হাতের সযত্ন ছোঁয়ায় চকচক করে হাসছে। পরে ছেলেটির সাথে কথায় কথায় জানলাম, ওর নাম শ্যামল। আমাকে ছোটবেলায় আমার কিছু আত্মীয় স্বজন এবং বন্ধু বান্ধব ‘সবুজ’ নামে ডাকতো। কালক্রমে অবশ্য সে নামটা আমার হারিয়ে গেছে, তবে শুধু একটি পরিবারের সবাই আমাকে এখনো ঐ নামে ডাকে। ওর নামটা শুনে মনে মনে ভাবলাম, বাহ! ভালই তো নামের মিল। নাম শুনে ওকে প্রথমে আমি হিন্দু ভেবেছিলাম। কিন্তু দু’দিন পর ও জানালো যে ও খৃষ্টান। সামনে বড়দিন, কিন্তু সে আমার কাছে এসেই কি করে ছুটি চাবে, এ কথা ভেবে বিব্রত। ওর বাড়ী কাছেই ছিল, পূবাইলের উলুখোলায়। অনেক সাহস করে সে আমার কাছে শুধু বড়দিনের জন্য ছুটি চাইলো। আমি ওর মনের আশা আঁচ করতে পেরে বড়দিনের আগে পিছে আরো একদিন করে যোগ করে মোট তিন দিনের ছুটি মঞ্জুর করলাম।

সেই “রূপসা” বিওকিউ এর কক্ষটিতে ভালই চলছিল আমার একার সংসার। কিছু নেই, তবুও কেন যেন সেই একলা কক্ষটিতে নিজেকে একটু রাজা রাজাই মনে হতো। কিন্তু আমার সে সার্বভৌমত্ব বেশীদিন টিকলোনা। ইতোমধ্যে তৎকালীন জাতীয় রক্ষী বাহিনীর অফিসারগণ সেনাবাহিনীর সাথে ‘আত্মীকৃত’ (absorbed) হয়েছেন। তাদের জন্যেও আবাসনের ব্যবস্থা করতে গিয়ে একজন অফিসারকে আমার কক্ষটিতে সহাবস্থানের জন্য কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিলেন। তিনি উত্তরবঙ্গের লোক, আমার চেয়ে সামান্য সিনিয়র। কিন্তু তখনও সেনাবাহিনীতে জুনিয়রদের উপর সিনিয়রদের প্রিভিলেজগুলো কী কী, সে ব্যাপারে তিনি সম্যক অবহিত ছিলেন না। তাছাড়া, কক্ষটির প্রাথমিক বরাদ্দ ছিল আমার, উনি পরে এসেছেন। তাই শুরু থেকেই উনি আমার সাথে একটু বুঝে শুনেই কথা বলতেন। কিন্তু তার সরলতার কারণে আমরা অচিরেই খুব ফ্রেন্ডলী হয়ে গেলাম। তখন তিনি অবসর সময়ে তার নিজস্ব স্টাইলে তৎকালীন হিন্দী সিনেমার জনপ্রিয় সব গান গাইতেন (তার কন্ঠ মোটেই শ্রুতিমধুর ছিলনা, কিন্তু গানের কথাগুলো তিনি নিখুঁতভাবেই মুখস্থ করেছিলেন)। তিনি প্রায় প্রতিদিনই আমাকে বলতেন, ভারতে প্রশিক্ষণকালীন সময়ে তিনি প্রতি সপ্তাহান্তে হিন্দী “বই” দেখতে যেতেন। তার মধ্যে সবচেয়ে প্রিয় ছিল হেমামালিনী অভিনীত ‘শোলে’ এবং জয়া ভাদুরী অভিনীত ‘কোরা কাগজ’ ছবিদুটো, যা তিনি হলে গিয়ে বহুবার দেখেছেন। প্রায় প্রতিদিন আমাকে ঐ দুটো ছবির মধ্যে যেকোন একটির কাহিনী সবিস্তারে শুনতে হতো। পরের ছবিটির কাহিনী বলার সময় তিনি অবশ্যই প্রতিবার বেসুরো গলায় ‘মেরা জীবন কোরা কাগজ কোরা হি রেহ গ্যায়া’ গানটি গাইতেন এবং গানের শেষাংশে জয়া ভাদুড়ী আর বিজয় আনন্দের মধ্যকার সেই বিখ্যাত কথোপকথন- “কামিজ কা বাটন টুঁটেঁ হ্যায়ঃ বাটন কিঁউ, সব কুছ ভি টুঁট গ্যায়া” (স্মৃতি থেকে, উদ্ধৃতি হুবহু ঠিক নাও হতে পারে) আবেগভরে এককাভিনয়ের মাধ্যমে আমাকে বুঝাতেন। আমি তখনো একটিও হিন্দী ছবি দেখিনি, আমাদের দেশে ভিসিআর/ভিসিপি এসেছিল আরো পরে। তবে, রেডিওতে ‘আকাশবাণী কার্সিয়াং’, ‘আকাশবাণী বিবিধ ভারতী’ আর ‘রেডিও সীলন’ (বর্তমানে শ্রীলঙ্কা রেডিও) শুনে শুনে হিন্দী গান সম্পর্কে আমি সম্যক অবহিত ছিলাম। বিশেষ করে ‘বিনাকা গীতমালা’ (অনুরোধের আসর) অনুষ্ঠানটি শোনার জন্য রেডিওর সামনে লাইন পড়ে যেত। তাই মেরা জীবন কোরা কাগজ গানটি আমারও পরিচিত, প্রিয় এবং মুখস্থ ছিল। তবে সিনেমার কাহিনী আমি জানতাম না, তাই ওনার মুখে আমি সে কাহিনী মন্ত্রমুগ্ধের মত শুনে যেতাম এবং নানাকিছু নিজের মত করে ভাবতাম। হায়রে, কোথায় গেল সেই সোনালী দিনগুলো!

এতক্ষণ ধান ভানতে শীবের গীত গাইলাম, কারণ আজ সকালে কিছু লেখাযোখার সময় ইউ টিউবে গান শুনতে শুনতে কোন একটা ক্রমিকে এসে ঐ গানটা কানে এলো। লেখা বন্ধ করে ইউ টিউবে মনোনিবেশ করলাম। বিস্তীর্ণ মাঠের সুদূর প্রান্ত দিয়ে কালো কয়লার ইঞ্জিনে টানা রেলগাড়ী দেখে সাদা শাড়ী পরিহিতা জয়া ভাদুড়ীর উক্তি ‘এই গাড়ী প্রতিদিন এই সময়ে না জানি কত মুসাফিরকে কোথা থেকে কোথায় নিয়ে যায়! একইভাবে এটা আমাকেও একদিন আমার দুঃখকে সাথে করে এখানে নিয়ে এসেছে!’- শুনে সব লেখালেখি থামিয়ে গানটাকে আবার নতুন করে দেখা ও শোনার ইচ্ছে হলো। সাথে মনে পড়লো আমার সেই সিনিয়র কাম বন্ধুর আবেগমাখা অভিনয় এবং বেসুরো গানের স্মৃতি...‘মেরা জীবন কোরা কাগজ কোরা হি রেহ গ্যায়া’।

এবং আরও কত কিছু….


মেরা জীবন কোরা কাগজ......

ঢাকা
১৪ আগস্ট ২০১৭
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

(লেখাটি ইতোপূর্বে অন্যত্র প্রকাশিত হয়েছিল)

মন্তব্য ৭১ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৭১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪০

শকুন দৃিষ্ট বলেছেন: কে হায় হৃদয় খুঁড়ে,
বেদনা জাগাতে ভালবাসে - জীবনানন্দ দাশ

আপনার “রূপসা” প্রকল্পের ব্যাচেলর অফিসার্স কোয়ার্টার্স (বিওকিউ) - এর স্মৃতিচারণ পড়ে ভাল লাগল খায়রুল ভাই।

"মেরা জীবন কোরা কাগজ কোরা হি রেহ গ্যায়া" - গানটির একসময় তুমুল জনপ্রিয়তা ছিল।

ভাল থাকুন, ধন্যবাদ।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথম মন্তব্য, প্রীত ও অনুপ্রাণিত!
জীবনানন্দ দাশ এর কবিতা থেকে যথার্থ উদ্ধৃতি পোস্টটির পরিপূরক। অনেক ধন্যবাদ, এ উদ্ধৃতিড় জন্য।
অনেক অনেক শুভকামনা--- ভাল থাকুন!

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার পুরনো পোস্ট প্রসংগ: আপনার ডান হাত যখন কাটা পড়েছে(রাইট কন্টেক্সট মেনু ডিজেবলড) পড়ে গতকাল সেখানে একটা মন্তব্য রেখে এসেছি। আশাকরি, একটু সময় করে দেখে নেবেন।

২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৪

শামচুল হক বলেছেন: স্মৃতিচারণ ভালো লাগল।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। অনুপ্রাণিত হ'লাম।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার লেখা কিছু এলোমেলো ছবি পোস্টটা পড়ে একটা মন্তব্য রেখে এলাম। তাজা মাছের ছবিটা ভাল লেগেছে।

৩| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৪

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: পড়তে পড়তে হঠাৎ দেখি মন্তব্য ঘরেরে উপরে এসে পড়েছি। তখন বললাম,আরে! লেখাটা শেষ হয়ে গেল!

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ, মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম।

৪| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৬

কালীদাস বলেছেন: আপনার রুমে রক্ষিবাহিনীর রকস্টার ঢোকার আগ পর্যন্ত পড়তে খুব ভাল লাগছিল। এরপর যে জিনিষপত্রের কথা বলেছেন, ঐ ভাষা বুঝিনা, ঐ ভাষার কোন সিনামা সম্পর্কেও খুব ভাল ধারণা নাই।

আপনি ৭৫ এ কমিশন্ড হলে, আপনার ট্রেনিং ৭৩-৭৫ হওয়ার কথা, তখনকার রুলস কেমন ছিল জানিনা অবশ্য। আপনি তখনকার সেনাবাহিনীর অবস্হা সম্পর্কে পোস্ট করলে অনেক জিনিষ জানা যেত। সে, ব্যাটম্যান জিনিষটা সম্ভবত ৭৫ এর লাস্টে উঠিয়ে দেয়া হয় ৭নভেম্বরের পর। রক্ষিবাহিনী সম্পর্কেও একমাত্র অন্ধ দলকানা লীগাররা ছাড়া কেউ ভাল কোন মত পোষণ করেনা, এদের আর্মিতে মার্জ করার পর রেগুলার মেম্বারদের অপিনিয়ন কেমন ছিল? যতদূর মনে পড়ে, ৭৬-৭৭ সালে অনেক সৈণ্যকে ফাঁসি দেয়া হয়েছিল বিদ্রোহের কারণে, সেসম্পর্কে লিখতে পারেন।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমাদের সময়ে ঐ গানটা একটা হিট গান ছিল, সিনেমাটাও একটা হিট সিনেমা ছিল।
ব্যাটম্যান সিস্টেমটা এখনো আছে। আগে ছিল পোষাকধারী সৈনিক, এখন বেসামরিক ব্যক্তি।
আপনার অন্যান্য প্রশ্নগুলোর উত্তর যদি কোনদিন বই লিখি, তখন সেখানে দেওয়ার চেষ্টা করবো।
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য ধন্যবাদ।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২০

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার পুরনো পোস্ট মেগাসিরিয়াল: ঢাকা কলেজ এবং আমরা .........পর্ব৭ পড়ে একটা মন্তব্য রেখে এসেছিলাম।
আজ এর পরেরটাও পড়ছি।

৫| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৩

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:



এভাবে জীবনের হৃদয়গুলো একে একে পেরিয়ে যায় সময়ের কারিগরীত্বে । কিন্তু সময় কী হৃদয়কে তার সাথে নিয়ে যেতে পারে মৃত্যু বিনে ! না, পারে না । যদি পারতো স্মৃতিনামক অমৃতসুধা থাকতো না !

খুব ভাললাগা তারুণ্যের স্মৃতিগাঁথা ।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০২

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি সঠিক উত্তরই দিয়েছেন, না, পারে না। যদি পারতো স্মৃতিনামক অমৃতসুধা থাকতো না
চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। প্লাসে অনুপ্রাণিত।

৬| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫৩

মাইনুল ইসলাম আলিফ বলেছেন: আপনি তাহলে এখনো গান শোনেন!!
আমিও শুনি,মিউজিক ছাড়া,কারন ইসলাম মিউজিক সমর্থন করেনা।

যাই হোক স্মৃতি কথা ভাল লাগল।অনেক সময় রোমন্থন করতে বেশ ভাল লাগে।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:০৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: স্মৃতিকথা ভাল লেগেছে জেনে খুশী হ'লাম। অনেক সময় স্মৃতি রোমন্থন করতে বেশ ভাল লাগে, আবার অনেক সময় লাগেনা।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৭| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৫২

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আজ সময় শেষ।। কাল আবার আসবো।। শুভকামনা রইলো।।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: কাল আবার আসবো - আচ্ছা, ঠিক আছে। মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকলাম।

৮| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ ভোর ৪:০৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এক টানে পড়ে গেলাম। আরো কিছু যোগ করা যেত। ধন্যবাদ...

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৩২

খায়রুল আহসান বলেছেন: আরো কিছু যোগ করা যেত - তা যেত বৈকি!
একটা গান শুনে সে গানের স্মৃতির সাথে জড়িয়ে থাকা একজন সহকর্মীর মুখ মনে ভেসে উঠেছিল, সে কথাটাই একটু সবিস্তারে বলে গেলাম আর কি।

৯| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ ভোর ৬:৪১

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: খুব ভালো লাগলো | আপনার সেনা জীবনের রোমাঞ্চকর কিছু নিয়ে লেখা আশা করছি |

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:০৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: টুকটাক স্মৃতিকথা স্মরণ করতেই বেশী ভাল লাগে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইলো...

১০| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:১৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: স্মৃতি চারন সবসময়ে বেশ আনন্দ দায়ক আমার কাছে , কারন তাতে পাশাপাশি উইন্ডোতে আমার নিজের গল্প ও মুখে হাসি এনে দেয় । চমৎকার স্মৃতি ভাইয়া ।

শুভ কামনা ।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:২২

খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যটাও চমৎকার।
স্মৃতিচারণা আমারও ভাল লাগে। আগে ভাল লাগতো শুধু পড়তে ও শুনতে, এখন করতেও।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। অনুপ্রাণিত।

১১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৩২

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ভাইয়া,আপনার স্মৃতিচারন পড়ে অনেক ভাল লাগল।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০২

খায়রুল আহসান বলেছেন: স্মৃতিচারণ পড়ে অনেক ভাল লেগেছে জেনে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা---

১২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:০১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: রকস্টার রক্ষী সাহেবের কর্মকান্ডে আমোদ পাচ্ছিলাম। শ্রিলংকা ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনের রেডিও সিলন আমিও অনেক শুনেছি।
কালীদাস এর কথার পুরাবৃত্তি করছি- আপনি রক্ষীবাহিনীর কর্মকান্ড নিয়ে লিখলে বেশ উপভোগ্য হবে।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ, মন্তব্যে অনুপ্রাণিত।
আমার রুম মেট হয়ে যিনি এসেছিলেন, তিনি ভাল মানুষ ছিলেন, সহজ সরল প্রকৃতির।

১৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:২৭

প্রামানিক বলেছেন: আপনার স্মৃতিচারণ পড়ে সেই সময়ের অনেক কথা মনে পড়ে গেল। পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝে আপনার স্মৃতিচারণগুলি প্রকাশ করতে থাকেন, পাঠক হিসাবে আমরা আপনার সাথে আছি।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১২

খায়রুল আহসান বলেছেন: ভাল কথা বলেছেন। আপনার কথাগুলো মনে রাখবো।
পাঠক হিসাবে আমরা আপনার সাথে আছি - অনেক ধন্যবাদ, সাথে থাকার জন্য। শুভেচ্ছা জানবেন।

১৪| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৩৬

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: স্মৃতিচারণ টি ভাল লাগল

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: স্মৃতিচারণ টি ভাল লাগল -- আমারও অনেক ভাল লাগলো এ কথাটি জেনে।
অনেক, অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা!

১৫| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:২৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: বাবার সেনাবহিনী চাকরি সূত্রে মোটামুটি আর্মিদের সম্পর্কে অনেককিছুই জানি।

সবচেয়ে ভাল লাগে তাদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা। সবুজায়ন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সৃষ্ঠিতে ভূমিকা পালনসহ, সময় জ্ঞান, নিয়মানুবর্তিতা আরও অনেক কিছু।

ভাল লাগলো আপনার লেখা।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: ভাল লাগলো আপনার লেখা - লেখা ভাল লাগার সাথে সাথে আরও অন্যান্য যে ভাল লাগার কথাগুলো জানালেন, তার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
ভাল থাকুন, শুভেচ্ছা রইলো---

১৬| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৭

তারেক ফাহিম বলেছেন: স্মৃতিচারণে লেখকের পরিচয় পাওয়া গেলো।

স্মৃতিচারণ ভালো লাগল, দাদা ভাই।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:০০

খায়রুল আহসান বলেছেন: স্মৃতিচারণটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। ভালো লেগেছে জেনে প্রীত হ'লাম।

১৭| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার জীবনের অনেক সুখ-স্মৃতি আছে

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:১৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: ঠিক ধরেছেন। জীবনের সুখের স্মৃতিগুলোই কেন জানি বার বার ঘুরে ফিরে মনে আসে।
আবার, দুঃখের স্মৃতিগুলোও কেমন করে জানি সুখের স্মৃতিতে পরিণত হয়ে যায়।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন।

১৮| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩০

সুমন কর বলেছেন: আপনার স্মৃতিচারণ পড়ে ভালো লাগল।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: স্মৃতিচারণ পড়ে ভালো লেগেছে জেনে খুশী হ'লাম। আমার (এবং আরো অনেকেরও) সব লেখা পড়ে মন্তব্য রেখে যান, এতে ভীষণ অনুপ্রাণিত হই।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!!

১৯| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: স্মৃতিচারণ পড়ে ভালো লাগলো।


ধন্যবাদ ভাই খায়রুল আহসান।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: স্মৃতিচারণ পড়ে ভালো লেগেছে জেনে খুশী হ'লাম। মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!!

২০| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৮

জেকলেট বলেছেন: দেখতে দেখতে জীবনের অনেক সময় এইভাবে চলে যায়। আপনার কাছে আরো অভিজ্ঞতার গল্প আশা করি।
পরিশেষে সুন্দর এবং গোছানো স্মৃতিচারণের জন্য ধন্যবাদ

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: পনার মন্তব্যটাও সুন্দর এবং গোছানো। অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা---
আমার কোন পোস্টে আপনি এই বুঝি প্রথম এলেন। আমার পোস্টে আপনাকে সুস্বাগতম!

২১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২১

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আপনার স্মৃতিচারণ জন্মের আগের হলেও বর্ণনাতে যেনো দেখে যাচ্ছিলাম সেই সময়কার সবকিছু। আসলে গল্প যদি ভাস্তবতার নিরিখেই সাজানো হয় তা আকৃষ্ট না করে কি পারে? ভাল থাকবেন সবসময় প্রিয় শ্রদ্ধেয় ব্লগার।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৪৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: আসলে গল্প যদি ভাস্তবতার নিরিখেই সাজানো হয় তা আকৃষ্ট না করে কি পারে? -অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, লেখাটা পড়ে এমন প্রেরণাদায়ক একটা মন্তব্য এখানে রেখে যাবার জন্যে। অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম।
ভাল থাকুন, শুভেচ্ছা...

২২| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৫০

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: স্মৃতিচারন এমনই সুন্দর গোছানো হওয়া উচিৎ।। যা একটানে পড়ে একটা দীর্ঘশ্বাসের সাথে বলা যায়, আহ্, কতই না মধুর ফেলে আসা দিনগুলি!!
মনে পড়ে, স্কুলে পড়ার সময় মনে হতো কলেজের ছাত্রদের কত সুখ।। আবার কলেজে পড়ার সময় ভার্সিটি পড়ুয়াদের।। তারপর দৃষ্টি আরো আগে, বিয়ে, পিতা হওয়ার।। তারপর আর আগানোর কিছু নেই।। এরপর শুধু পিছনে ফিরে তাকাবার।। রোমন্থন করা ফেলে আসা দিনগুলির।।
কোথায়, কোন গহীনে যেন একটু টোকা লাগলো।।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:২০

খায়রুল আহসান বলেছেন: স্মৃতিচারন এমনই সুন্দর গোছানো হওয়া উচিৎ - পুনরায় ফিরে এসে এমন চমৎকার একটা মন্তব্য করে গেলেন, সেজন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
তারপর আর আগানোর কিছু নেই।। এরপর শুধু পিছনে ফিরে তাকাবার।। রোমন্থন করা ফেলে আসা দিনগুলির - খুবই বেদনাদায়ক অনুভূতি! আচ্ছন্ন করে গেলো!
প্রতিশ্রুতিমত ফিরে এসে দ্বিতীয় মন্তব্য করে গেলেন, অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভেচ্ছা রইলো...

২৩| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৫০

ফারহানা শারমিন বলেছেন: অনেকদিন পর আপনার লেখা পড়লাম।অনেক ভাল লাগল।শুভ কামনা রইল।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেকদিন পরে এলেও, লেখাটা পড়লেন, মন্তব্য করলেন, প্লাস দিয়ে গেলেন, লেখাটা ভাল লেগেছে বলে জানিয়ে গেলেন, এতেই অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম।
অনেক, অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা---

১০ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:২৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার পুরনো পোস্ট প্রতীক্ষার অবসান হলে পরে - পড়ে একটা মন্তব্য রেখে এসেছিলাম। আশাকরি, এক ফাঁকে সময় করে দেখে নেবেন।

২৪| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০৯

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: আপনার স্মৃতিচারণ পড়ে ভাল লাগল।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১২

খায়রুল আহসান বলেছেন: স্মৃতিচারণটা পড়ে ভাল লেগেছে জেনে খুশী হ'লাম। মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত।

২৫| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৯

নীল-দর্পণ বলেছেন: খুব ভাল লাগল স্মৃতিচারণ।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:২১

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার এ স্মৃতিচারণটা আপনার ভাল লেগেছে জেনে আমিও খুশী হ'লাম। মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত।

২৬| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৫

করুণাধারা বলেছেন: মনের গহীন কোণে ঘুমিয়ে থাকা স্মৃতি হঠাৎ কোন পরিচিত শব্দ বা দৃশ্যে জেগে ওঠে, মনের মধ্যে মন কেমন করা ভাব জাগিয়ে তোলে। গান শুনে আপনার সুপ্ত স্মৃতি জেগে ওঠার বর্ণনা পড়তে খুব ভাল লাগল। পড়া শেষে গানটা শুনতে শুরু করলাম, আর গান শুনে আমারও একটা পুরানো স্মৃতি মনে পড়ল।
 সেটা '৭৮/৭৯ সাল, আমার মামা আমাকে গাড়িতে থাকা ছোট কাজিনদের দেখে রাখতে বলে ফল কিনতে গেছেন। হঠাৎ কানে এল কেউ বুক ভরা হাহাকার নিয়ে গাইছে,

মেরা জীবন কোরা কাগজ.....
গায়ক যখন গাইছেন, 'না পবন কি না চমন কি, কিসকি হ্যায় ইয়ে ভুল', তখন আমি আমার দায়িত্বের কথা ভুলে গাড়ি থেকে নেমে প্রায়ান্ধকার বাজারের পথে হাটতে থাকলাম। মামা দেখতে পেয়ে ডাক দিলেন, আমি যেতে যেতেই বললাম, 'কে গাইছে আমাকে দেখতেই হবে।' মামা বললেন, 'আরে ওতো একটা মেথর, মাতাল হয়ে গান গাইছে।' আমি ফিরে এলাম। একটা মানুষ কিসের দুঃখে মাতাল হয়ে এমন গান গায় আর জানা হল না, হয়ত মেথর শব্দটাই ফিরিয়ে নিয়ে এল!

চমৎকার স্মৃতিচারণমূলক পোস্টটি আমার একটি স্মৃতি জাগিয়ে তুলেছে, তাই শেয়ার করলাম।
পোস্টে লাইক।


১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: আর গান শুনে আমারও একটা পুরানো স্মৃতি মনে পড়ল - অনেক ধন্যবাদ, আমার লেখাটা পড়ে আপনার স্মৃতিটা এখানে শেয়ার করার জন্য।
একটা মানুষ কিসের দুঃখে মাতাল হয়ে এমন গান গায় আর জানা হল না - মানুষের দুঃখবোধ তার একান্ত নিজস্ব। অন্যরা শ্রোতা বা দর্শক হতে পারে, অংশীদার হতে পারেনা।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। প্লাসে অনুপ্রাণিত।

২৭| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১১

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

গানটা আমারও ভালো লেগেছিলো। এখনও লাগে। ছোটবেলা অনেকবার শুনেছি।

ভিসিআর/ভিসিপি তখনও আসে নি... রেডিও সামনে শ্রোতার লাইন... এসব পড়ে ভাবছি কত প্রাচীন সময়ের কথা বলছেন। আপনার সেনা অভিজ্ঞতার সামান্যই দেখতে পেলাম। এবিষয়ে আরও পড়ার ইচ্ছে আছে।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৫৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: ভিসিআর/ভিসিপি তখনও আসে নি... রেডিও সামনে শ্রোতার লাইন... এসব পড়ে ভাবছি কত প্রাচীন সময়ের কথা বলছেন -- এখনকার কম্পিউটার প্রযুক্তির সর্বগ্রাসী আগ্রাসনের তুলনায় সে সময়টাকে প্রাচীনই মনে হয়। মনে পড়ে, আমাদের দেশে প্রথম ভিসিআর এসেছিল ১৯৮০ সালে। প্রথম প্রথম মূল্য ছিল তখনকার মুদ্রায় লক্ষ টাকার মত। সুতরাং, একেবারে উচ্চবিত্তদের দখলে। তারপর আসা শুরু হলো চৈনিক ভিসিআর/ভিসিপি, দাম কমতে কমতে মধ্যবিত্তদের নাগালে চলে এলো। সে সময়টা থেকেই মধ্যবিত্তদের ঘরে ঘরে হিন্দি সিনেমা দেখা শুরু হলো।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। অনুপ্রাণিত।

২৮| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:১৭

অলিউর রহমান খান বলেছেন: ফেলে আসা স্মৃতিগুলো যেমন মধুর বয় তেমনি
কষ্টের পরশ দিয়ে যায়।

চমৎকার লিখার কৌশল। ভালো লাগলো জনাব পাঠ করে।
আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো।
সবার মাঝে বেঁচে থাকুন হাজার বছর।
শুভ কামনা রইলো।
-ধন্যবাদ জনাব।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আপনার কথাগুলো প্রেরণাদায়ক।
শুভেচ্ছা---

১৭ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার “রম্য সংবাদপত্র পাঠ - বিপিএল ২০১৭” পড়ে একটা মন্তব্য রেখে এসেছিলাম।

২৯| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০১

আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান ,




জীবনের খানিকটা সময়ের ডিটেইল্ড স্মৃতিচারণ , সামরিক কায়দায় মার্চ করে করে গেছে ।
তবে শিরোনামটি " মেরা জীবন কোড়া কাগজ...। " হলে মানানসই হতো ।

করুণাধারার মন্তব্যে স্মৃতিচারণটুকুতে কোথাও যেন মোচড় দিয়ে উঠলো ।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:১৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথমেই, চমৎকার একটি মন্তব্যের জন্যে আন্তরিক ধন্যবাদ!
আসলে... শিরোনামের ব্যাপারটা তাহলে খুলেই বলি। ইউ টিউবে গান শুনতে শুনতে যখন কানে "মেরা জীবন কোড়া কাগজ..." গানটা ভেসে এলো তখন মনের পর্দায় ভেসে উঠেছিল আমার সেই সহকর্মীর মুখ, গানের শেষের দিকের সেই বিশেষ মুহূর্তটিতে এসে তার ডায়ালগ প্রক্ষেপনের অভিব্যক্তিটুকু। তিনি তার বেসুরো গলায় খুবই দরদ দিয়ে গানটি গাইতেন এবং গানের শেষাংশে জয়া ভাদুড়ী আর বিজয় আনন্দের মধ্যকার সেই বিখ্যাত কথোপকথন- “কামিজ কা বাটন টুঁটেঁ হ্যায়ঃ বাটন কিঁউ, সব কুছ ভি টুঁট গ্যায়া” (স্মৃতি থেকে, উদ্ধৃতি হুবহু ঠিক নাও হতে পারে) আবেগভরে এককাভিনয়ের মাধ্যমে আমাকে বুঝাতেন। তার অভিব্যক্তি আর সেই ডায়ালগের কথা মনে করেই শিরোনামটা ওভাবে লিখেছিলাম - “কামিজ কা বাটন টুঁটেঁ হ্যায়"।
আপনার মন্তব্যটা পড়ে শিরোনাম নিয়ে দ্বিতীয়বার ভেবে দেখলাম। আপনি বিদগ্ধজন। মনে হলো, আপনার সাজেশন মত শিরোনামটা পালটে দিলে খুব বেশী হের ফের হবে না, বরং হয়তো মানানসই হবে। তাই শিরোনামটা বদলে দিলাম।
সাজেশনের জন্য ধন্যবাদ। বিজয়ের শুভেচ্ছা জানবেন।

৩০| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৩

মলাসইলমুইনা বলেছেন: খায়রুল ভাই, আপনার ব্লগের লেখা আমরা যারা ব্লগে আছি আমাদের খুব প্রিয় | সবসময় প্রিয়ই থাকবে | কিন্তু কালিদাসের মন্তব্যটা পরে মনে হলো আসলেইতো আপনি বাংলাদেশের খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিছু ইতিহাসের সন্ধিক্ষণের সাক্ষী | সেগুলো খুব কাছ থেকে দেখার অভিজ্ঞতা আপনার হয়েছে | সেই সময়গুলো নিয়ে আপনি একটু লিখুন না |ব্লগে না লিখলে বই হিসেবেই লিখুন | আমি শিওর আপনার সেদিনের অভিজ্ঞতার বর্ণনা আমাদের দেশের ইতিহাসের জন্যও প্রয়োজনীয় রেফারেন্স হবে |

আমার বড় ভাই, কিশোর কুমারের "মেরা জিওয়ান কোরা কাগজ করা হয় রায় গ্যায়া" এই গানটা খুব পছন্দ করতেন | আর বলতেন এটাই কিশোরের সেরা গান | ছোটবেলায় ভাইয়ার এই কথাটা খুব বুঝতে পারতাম না | কিন্তু বড় হয়ে আমি যখন শুনি গানটা তখন প্রথমবারেই আমার খুব ভালো লেগে গিয়েছিলো | অনেকদিন গান শোনা হয়না | কিন্তু আমি জানি এই গানটা শুনলে এখনো আমার ভালো লাগবে | আপনার পুরোনো দিনের স্মৃতিচারণ পড়তে ভালো লাগলো |

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৫৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: সাক্ষী হলেও, সব কথা সবসময় সবখানে বলা যায় না। তবুও আপনাদের অনুরোধটা মনে থাকবে। সময় সুযোগমত হয়তো যেকোন দিন লেখা শুরু করবো।
গানটা শুনে একটা স্মৃতির কথা মনে পড়ে যাওয়াতেই স্মৃতিচারণ করতে বসেছিলাম।
পুরনো পোস্টে মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
শুভকামনা---

৩১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:২৬

ধ্রুবক আলো বলেছেন: কোথায় গেল সেই সোনালী দিনগুলো!
সত্যি যে দিন একবার চলে যায় সে দিন আর ফিরে আসে না, নদীর স্রোতের মত!

স্মৃতিচারণ খুব ভালো লাগলো।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:১৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: দেরীতে হলেও, স্মৃতিচারণটা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
সত্যি যে দিন একবার চলে যায় সে দিন আর ফিরে আসে না, নদীর স্রোতের মত - একটি চিরন্তন সত্য কথা! এ দার্শনিক মন্তব্যটা খুব ভাল লাগলো।
প্লাসে ও মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!

৩২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৫০

শকুন দৃিষ্ট বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার পুরনো পোস্ট প্রসংগ: আপনার ডান হাত যখন কাটা পড়েছে(রাইট কন্টেক্সট মেনু ডিজেবলড) পড়ে গতকাল সেখানে একটা মন্তব্য রেখে এসেছি। আশাকরি, একটু সময় করে দেখে নেবেন

হা হা হা ... বিষয়টা এমন যে, ইমেল করে রিসিভারকে জানিয়ে দেয়া যে, ভাই আমি আপনাকে একটা মেইল করেছি, সময় করে পড়ে নিয়েন।:)

সামুর নোটিফিকশন ফিচারটি যথাযথ ফাংশন না করায় (নোটিফিকশন না পাওয়া বা ভুল নোটিফিকেশন পাওয়ার বিব্রতকর ব্যাপার দুটির জন্য) এমন বলতে হল।

জ্বী ভাই, আমি দেখেছি এবং প্রতিমন্তব্যও করেছি যদিও দেরিতে আর দেরি হওয়ার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। সেইসাথে, নোটিফিকেশন-জনিত বাগ দুটির আশু সমাধান প্রত্যাশা করছি কর্তৃপক্ষের কাছে।

ভাল থাকবেন খায়রুল ভাই, শুভকামনা সবসময়।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: দেখুন, কি একটা অবস্থা! ঠিক একই কারণে আপনার এ মন্তব্যটি আমার নজরে আসতে আড়াই বছরেরও বেশী সময় লেগে গেল! বিষয়টা এমন যে, ইমেল করে রিসিভারকে জানিয়ে দেয়া যে, ভাই আমি আপনাকে একটা মেইল করেছি, সময় করে পড়ে নিয়েন - ঠিকই বলেছেন, সেরকমই অবস্থা চলছে দীর্ঘদিন ধরে, এর কোন সুরাহা আর দেখে যেতে পারবো বলে মনে হচ্ছে না।
আপনি কি স্বেচ্ছা নির্বাসনে গিয়েছেন? বহুদিন আপনার দেখা পাই না। আশা করি, ব্লগে ফিরে এলে একবার আমার পাতায়ও ঢুঁ মেরে যাবেন।

৩৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৫১

ধ্রুবক আলো বলেছেন: আগেই পড়তাম, দেরি হলো কারণ, আপনার পোষ্টএর লিঙ্কটা বুকমার্ক করে সেভ করে রেখেছিলাম। ধীরে সুস্থে পড়বো ভেবে ভেবে আর পড়াই হচ্ছিলো না। আর কয়েকজনের পোষ্টও পড়া হয়ে উঠেনি।

মাঝে মাঝেই এরকম স্মৃতিকথা পোস্টে করবেন। আমাদের অনেক কিছুই শেখার আছে। এটা আমার একান্ত অনুরোধ :)

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: মাঝে মাঝেই এরকম স্মৃতিকথা পোস্টে করবেন - আচ্ছা, স্মৃতিকথাই তো এখন সম্বল!
আপনি কেমন আছেন, কোথায় আছেন? আগের জবেই আছেন, নাকি নতুন কোন জবে যোগ দিয়েছেন? বই পড়া চালিয়ে যাবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.