নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্মৃতিচারণঃ ময়মনসিংহ

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৯

আমার জন্য এক স্মৃতিময় শহরের নাম ময়মনসিংহ। আর মোমেনশাহী নামটা তো গেঁথে আছে একেবারে হৃদয়ের গভীরে। আশৈশব নানাবাড়ী দাদাবাড়ী যেতাম ট্রেনে, সপরিবারে, ময়মনসিংহ রেলওয়ে জংশন এর উপর দিয়ে। আমরা ভাই বোনেরা জানালা দিয়ে মুখ বের করে দেখতে থাকতাম হাঁক ডাক করে ঘুরে বেড়ানো ফেরীওয়ালাদের। আম্মা কোন চা ওয়ালাকে ডাকতে বললে খুব খুশী হয়ে আমরা সবাই মিলে সোৎসাহে চা ওয়ালাকে ডাকতাম গলা ছেড়ে।

কৈশোর পরবর্তী জীবনেও বহুবার বাড়ী যেতে হয়েছে ময়মনসিংহ জংশনের উপর দিয়ে। তখন অবশ্য সকালের ১১ আপ "দ্রুতযান এক্সপ্রেস" যোগে নয়, রাতের ৭ আপ "নর্থ বেঙ্গল মেইল" যোগেই বেশী যাওয়া পড়তো। ট্রেন কমলাপুর ছেড়ে আসার পর জানালা দিয়ে বাহিরে তাকিয়ে দেখতে দেখতে টঙ্গী পৌঁছানোর আগেই ঘুমিয়ে পড়তাম। ঘুম ভাংতো আবার সেই ফেরীওয়ালাদের হাঁক ডাকেই। বুঝতে পারতাম, ময়মনসিংহে এসে গেছি। তখন ট্রেনটা ময়মনসিংহে পৌঁছতো রাত প্রায় দু’টোয়। কান খাড়া রাখতাম ফ্যাসফ্যাসে গলায় এক চা ওয়ালার ডাক শোনার জন্য। বহু বছর ধরে আমি তার "গরম চা... চা গরম" ডাক অবধারিতভাবে শুনতে পেতাম। চোখ রগড়াতে রগড়াতে এক কাপ গরম চা খেয়ে রাতের ব্যস্ত ময়মনসিংহ স্টেশনের নানা খুঁটিনাটি বিষয় লক্ষ্য করতাম। সেখানে ঢাকা থেকে আসা আমাদের ট্রেনটা দু'ভাগে ভাগ হয়ে যেত। এক ভাগ যেত বাহাদুরাবাদ ঘাটে, আরেক ভাগ জগন্নাথগঞ্জ ঘাটে। বাহাদুরাবাদ ঘাটের ওপাড়ে ছিল তিস্তামুখ ঘাট (বৃহত্তর রংপুর, দিনাজপুর আর বগুড়া জেলার যাত্রীদের জন্য), আর জগন্নাথগঞ্জ ঘাটের ওপাড়ে ছিল সিরাজগঞ্জ ঘাট (বৃহত্তর পাবনা ও রাজশাহী জেলার যাত্রীদের জন্য)।

একবার এই সেপ্টেম্বর মাসেই আমরা তিন বন্ধু মিলে ময়মনসিংহ গিয়েছিলাম, মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি'র ফরম সংগ্রহের জন্য। এদের মধ্যে একজন প্রয়াত মেরিন ইঞ্জিনীয়ার আলী মুনীর রানা, আরেকজন শরীফ হাছান, আজকের প্রখ্যাত প্লাস্টিক সার্জন। আমার বায়োলজী ছিলনা, তাই আমি মেডিক্যালে ভর্তির অযোগ্য ছিলাম। আমি গিয়েছিলাম কেবলই ফাও-নিজের আনন্দের জন্য আর বন্ধুদের সঙ্গ দেয়ার জন্য। ২/৩ দিন ছিলাম, ফিরে এসেছিলাম ০৫ই সেপ্টেম্বর তারিখ বিকেলে। তারিখটা মনে আছে কারণ, যখন ফিরে আসি, তখন ময়মনসিংহ রেল স্টেশনের এক চায়ের দোকানে উচ্চস্বরে এক রেডিও বাজছিল। সেই রেডিওর খবরেই শুনেছিলাম যে প্রখ্যাত পল্লীগীতি শিল্পী আব্দুল আলীম সেদিন সকালে মারা গিয়েছিলেন। সে সময় এক বিকেলে ব্রহ্মপুত্রের তীর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে শরিফ হাছান আমাকে রবীন্দ্রনাথের নৃত্যনাট্য "শ্যামা" থেকে অনেকটা অংশ মুখস্ত শুনিয়েছিল। ওর এই ভিন্নমুখী প্রতিভার পরিচয় পেয়ে আমি সেদিন ভীষণ মুগ্ধ হয়েছিলাম, যদিও সে মুগ্ধতার কথা কথায় কথায়ও আজ অবধি ওকে বলা হয়নি। সন্ধ্যার আযান পড়াতে পুরোটা শুনতে পারিনি, তাড়াতাড়ি করে ঘরে ফিরে আসতে হয়েছিল (ঘর মানে ঐ দু'জনের এক জনের চাচার বাসায়, কার সেটা মনে নেই, চরপাড়ার যে বাসায় আমরা তিনদিনের জন্য আতিথ্য গ্রহণ করেছিলাম, সে বাসায়)।

চাকুরী জীবনে এই একুশ শতকের প্রথম দিকে আবার ময়মনসিংহে তিন বছর কাটিয়েছি। আমার অফিসটা তখন ছিল ব্রহ্মপুত্রের তীর ঘেঁষে। যাওয়া আসার পথে বহুদিন গাড়ী থেকে নেমে যেতাম, উদ্দেশ্যহীনভাবে নদীর তীর ধরে হাঁটতে হাঁটতে জেগে ওঠা চরে কাশফুল আর নানারকমের পাখপাখালি দেখার জন্য। ময়মনসিংহের কৃষ্ণা কেবিন আমার একটা প্রিয় জায়গা ছিল। অন্যান্য জায়গার চেয়ে ময়মনসিংহে মিষ্টি বেশ সস্তা ছিল, সুস্বাদুও ছিল। মুক্তাগাছার মন্ডা বহুযুগ ধরে প্রসিদ্ধ ছিল, কিন্তু আমাকে সেটা সেভাবে টানেনি। তবে স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মুক্তাগাছার রাজবাড়ীতে আতিথ্যে থাকাকালীন মুক্তাগাছার মন্ডা খেয়ে প্রশংসা করেছিলেন, সেকথা ঐ মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিকের বংশধরেরা আজও বেশ গর্ব ভরে বলে থাকে। ময়মনসিংহের গাঙ্গিনার পাড়ের একটা চায়ের দোকানের কথাও বেশ মনে পড়ে। সেখানকার গরম সিঙাড়া খুব উপাদেয় ছিল। মুক্তাগাছা রোডে খুবসম্ভবতঃ খাগডহর নামক একটা জায়গার একটা বড় মাসজিদে প্রায় নিয়মিতভাবে জুম্মার নামায পড়তে যেতাম, নয়তো কখনো কখনো কাঁচিঝুলি'র ঈদগাহ মাসজিদে।

ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকমাস কাটিয়েছিলাম। কৃষি প্রকৌশল বিভাগের ডাকসাইটে ডীন মজিবর রহমান বিশ্বাস স্যারের কথা মনে পড়ে। এরতাজুল ইসলাম স্যার রসায়ন পড়াতেন। খুবই ভদ্র, অমায়িক এবং নরম মনের পন্ডিত মানুষ ছিলেন তিনি। আমরা উচ্চ মাধ্যমিক ক্লাসে তার লেখা রসায়ন বই পড়ে পরীক্ষা দিয়েছিলাম। প্রখ্যাত রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী ফাহমিদা খাতুন তখন ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণীবিদ্যা পড়াতেন। উনি ভাল পড়াতেন, তবে ঠিকভাবে ক্লাস সামলাতে পারতেন না। তাঁর প্রথম ক্লাসেই যশোর কুষ্টিয়া অঞ্চল থেকে আগত এক শ্মশ্রুমন্ডিত ছাত্র তাঁর প্রতি ক্রাশ খেয়ে হাঁ করে তাঁর দিকে তাকিয়ে ছিল। তিনি এতে একটু অস্বস্তি বোধ করে তাকে তার হাঁ করা মুখটা বন্ধ করতে বলেছিলেন। ক্লাসে হাসির রোল পড়ে গিয়েছিল। পরে সে সহজ সরল ছাত্রটি আমাদেরকে জানিয়েছিল, তিনি ক্লাসে এলে সে তাঁর থেকে চোখ ফিরাতে পারতোনা। এছাড়া ছিলেন স্ট্যাটিস্টিক্সের খোদা দাদ খান স্যার, ওনার লেখা বইও আমরা উচ্চ মাধ্যমিকে অধ্যয়ন করেছিলাম। কৃষি অর্থনীতি বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র বকুল মামা ছিলেন শরীফ হাছানের আপন মামা, সেই অর্থে আমারও মামা। তিনি ভাল হকি খেলতেন, আমাকে একদিন খেলতে ডেকে নিয়ে গেলেন। খেলা দেখে বলেছিলেন রেগুলার বিকেলে তার সাথে মাঠে নামতে। বিকেল বেলা খেলাধুলা শেষে নিকটবর্তী ব্রহ্মপুত্রের চরে নানা জাতের রংবেরং এর পাখি দেখতাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে যাওয়া সুতিয়াখালী রোডের মোড়ে একটা ভাল চায়ের দোকান ছিল। সেই দোকানের মালাই (ঘন দুধের সর) এখনো মুখে লেগে আছে। রাতের বেলা বিছানার পাশের জানালা দিয়ে দ্রুতবেগে ছুটে চলা ট্রেনের দিকে তাকিয়ে থাকতাম। দ্রুত অপসৃয়মান খোপ খোপ জানালার আলো দেখতে খুব ভাল লাগতো। ভেতরের যাত্রীদের কথা ভাবতাম। একবার এক শীতের রাতে যাত্রাগানের আয়োজন করা হয়েছিল। যাত্রায় তেমন আকৃষ্ট না হলেও, বন্ধুদের সাহচর্য আর গল্পগুজব উপভোগ করার জন্য গভীর রাত পর্যন্ত জেগে ছিলাম। ময়মনসিংহে একবার “সুজন সখী” সিনেমার শুটিং হয়েছিল। সে উপলক্ষে নায়ক ফারুক আর নায়িকা কবরী সেখানে এসেছিলেন। শম্ভুগঞ্জ ব্রীজ থেকে নায়িকা কবরীর ঝাঁপ দিয়ে নীচে পড়ার একটা দৃশ্য ছিল। খুব সম্ভবত একজন স্থানীয় ‘ডামী’ সে দৃশ্যে অভিনয় করেছিলেন। এ ছাড়াও ফারুক কবরী ব্রহ্মপুত্র নদে গান গেয়ে নৌকো বেয়েছিলেন বলে মনে পড়ে। সেসব এখন শুধুই স্মৃতি! স্মৃতিচারণ সতত সুখময়!

(আজই দুপুরে ব্লগার আব্দুল্লাহ আল মামুন এর আমার মোবাইলের চোখে আমার শহর (ময়মনসিংহ শহর, ময়মনসিংহ বিভাগ) শীর্ষক একটি স্মৃতিচারণামূলক লেখা পড়ে আমার স্মৃতিময় ময়মনসিংহ শহরের কথা মনে পড়ছিল। সাথে সাথেই মনে পড়া কিছু স্মৃতির কথা লিখে ফেললাম)।


ঢাকা
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮

মন্তব্য ৭২ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৭২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪০

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২২

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, প্রীত হ'লাম। :)

২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৮

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ভাইয়া আপনি স্মৃতিচারন বরাবরই ভাল লেখেন।
এবারের স্মৃতিচারনও অনেক ভাল লাগল।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪১

খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!

৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুন্দর স্মৃতিচারণ । মনোমুগ্ধকর । ++++


বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা আপনাকে ।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২২

খায়রুল আহসান বলেছেন: স্মৃতিচারণের প্রশংসায় প্রীত হ'লাম, প্লাসে অনুপ্রাণিত।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা---

৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৪

পদ্মপুকুর বলেছেন: সম্প্রতি মনে হয় ময়মনসিংহে গিয়েছিলেন। যেভাবে লিখেছেন তাতে করে পুরোনো জায়গাকে ফিরে পাওয়ার আবেগ রয়েছে। স্মৃতিচারণার ভেতরে এক ধরণের বিষণ্নতা থাকে। আপনার লেখায়ও সেটা ভালোভাবেই বিরাজমান। আমার পুরোনো এলাকা নাটোরে যাওয়া নিয়ে একটা লেখা দিয়েছিলাম অনেক আগে, পড়ে দেখতে পারেন, যেহেতু আপনি পুরোনো লেখা পড়েন। আপনার এই স্মৃতিচারণা পড়তে গিয়ে আমার নাটোরের কথা মনে পড়ছে খুব।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: সম্প্রতি মনে হয় ময়মনসিংহে গিয়েছিলেন। যেভাবে লিখেছেন তাতে করে পুরোনো জায়গাকে ফিরে পাওয়ার আবেগ রয়েছে - না, সম্প্রতি ময়মনসিংহে যাইনি, তবে আজই দুপুরে আব্দুল্লাহ আল মামুন এর আমার মোবাইলের চোখে আমার শহর (ময়মনসিংহ শহর, ময়মনসিংহ বিভাগ) শীর্ষক একটি স্মৃতিচারণামূলক লেখা পড়ে আমার স্মৃতিময় ময়মনসিংহ শহরের কথা মনে পড়ছিল।
নাটোর নিয়ে লেখা আপনার স্মৃতিচারণামূলক লেখাটাও পড়বো ইন শা আল্লাহ।

৫| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


ট্রেন-স্টেশনের চা-ওয়ালাদের কথা সব সময় মনে পড়ে; সেইসব চা-ওয়ালাদের ছেলেমেয়েরা কি সুখী হতে পেরেছিলো, নাকি তারাও চা বিক্রয় করছে ষ্টেশনে, কে জানে!

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার মন্তব্যে সমাজের সুবিধা বঞ্চিত শ্রেণীর প্রতি একটা আন্তরিক সহমর্মিতার অভিব্যক্তি প্রাকাশ পেয়েছে। ধন্যবাদ জানাচ্ছি সেজন্যে।

৬| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৪

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
চাঁদগাজী বলেছেন: 
ট্রেন-স্টেশনের চা-ওয়ালাদের কথা সব সময় মনে পড়ে; সেইসব চা-ওয়ালাদের ছেলেমেয়েরা কি সুখী হতে পেরেছিলো, নাকি তারাও চা বিক্রয় করছে ষ্টেশনে, কে জানে!


চাঁদগাজী ভাইদের মত আমরা এখনো আফসোস করে ওদের দিকে থাকাই! কারণ, এদের জীবনে উন্নয়নের পৃষ্ঠা যে রাখা হয়নি!

স্টেশনগুলোর উন্নয়ন হয়েছে, কিন্তু এদের নিয়ে কেউ ভাবে না!

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: ব্লগার চাঁদগাজীকে যে কথাটা বলেছি, সে কথাটা আপনার জন্যেও প্রযোজ্য।
সুবিবেচিত মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা জানবেন।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার পোস্ট "একটি শোক সংবাদ! (কবি রহিমা আফরোজ মুন্নির ২০ বছরের মেয়ে শিল্পী আফ্রিদা তানজিম আর নেই)" পড়ে একটা মন্তব্য রেখে এসেছি। নোটিফিকেশন যায় না, তাই এখানে জানিয়ে গেলাম। একবার সময় করে পড়ে নেবেন। :)

৭| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৫

কোলড বলেছেন: Nostalgia is a sentiment of loss and displacement, but it is also a romance with one’s own fantasy.

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০১

খায়রুল আহসান বলেছেন: It is a sentiment of loss in the sense that it can only reminisce and recapitulate, it cannot bring back the lost days or obliterated scenes. It is evoked by “a wistful or excessively sentimental yearning for return to or of some past period or irrecoverable condition”.
I am particularly impressed by the second part of your comment- “it is also a romance with one’s own fantasy" – a succinct observation that is perfectly pertinent to the post.
Very well said, COLD! Thank you.

৮| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৭

ওমেরা বলেছেন: আপনি যখন এই লিখা গুলো লিখেন তখন নিশ্চয় আপনি তখন সেই সময়টাতে চলে যান, সেই সময়ের চিত্রগুলো চোখের সামনে ভেসে উঠে নিশ্চয় তখন খুব ভাল লাগে — তাই না ভাইয়া ?

খুব ভাল লাগল ধন্যবাদ ভাইয়া।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১২

খায়রুল আহসান বলেছেন: হ্যাঁ, ঠিক তাই।
সেই সময়ের চিত্রগুলো চোখের সামনে ভেসে উঠে বলেই তো চট করে লিখে ফেলতে পারি। কোন কিছু ভাবার প্রয়োজন পড়ে না।
আশাকরি ভাল আছেন, ভাল থাকুন। শুভকামনা....

৯| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১০

গায়েন রইসউদ্দিন বলেছেন: প্রিয় লেখক খায়রুল আহসান, আপনার লেখা খুব সুন্দর। আপনার লেখায় প্রকৃতির প্রতি আপনার সৌন্দর্যবোধ ফুটে উঠেছে সুন্দরভাবে। সবুজ-সুন্দর বাঙলার সংগে আপনার জীবনের এক অপূর্ব মেলবন্ধন উপলব্ধি করতে পেরে, আপনার প্রতি একটা শ্রদ্ধাবোধ তৈরি হ'ল। আপনি এভাবে লিখতে থাকুন। প্রিয় বাঙলাদেশের অনেক কথা আরও জানতে চাই। বাঙলাদেশে যদি কখনও আপনার সঙ্গে দেখা হয়, আমার অনেক ভাল লাগবে।...আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, ভারত থেকে রইসউদ্দিন। আমার ই-মেলে আপনি আপনার কোনও প্রয়োজনীয় বার্তা পাঠাতে পারেন। ই-মেল[email protected] শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শেষ করলাম।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩১

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার কোন লেখায় আপনি এই বুঝি প্রথম এলেন, - সুস্বাগতম!
আপনার মন্তব্য পড়ে আপনার প্রতিও আমার মনে একটা শ্রদ্ধাবোধ তৈরি হলো।
প্রিয় বাঙলাদেশের অনেক কথা আরও জানতে চাই - আমাদের সবার প্রিয় বাঙলাদেশ নিয়ে অনেকেই এই ব্লগে লিখে থাকেন, ছবি দিয়ে থাকেন। আমারও অনেক স্মৃতিকথা আছে স্বদেশকে নিয়ে।
বাঙলাদেশে যদি কখনও আপনার সঙ্গে দেখা হয়, আমার অনেক ভাল লাগবে - যখন বাংলাদেশে আসবেন, জানাবেন। দেখা হওয়াটা অসম্ভব কিছু নয়।
আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে আপনি কতদিন ধরে আছেন? কী করেন সেখানে?

১০| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩৯

রাকু হাসান বলেছেন:

আপনার পোস্ট পড়ে ময়মনসিংহের স্মৃতির কথা মনে পড়লো । একবার পুরো শহর খুঁজলাম মুন্ডার জন্য । কিন্তু যে সময়ে গিয়েছিলাম সে সময়ে আসল মুন্ডা পাইনি । তারপর মুক্তাগাছা এনেছিলাম । সবাই আসল স্বাদ পেয়ে খুব প্রশংসা করেছিল । :) :)

সমৃদ্ধ ঐহিত্য বাংলাদেশের । আর খুব সম্ভবত না ‘‘খাগডহর’’ নামটি । মানে আপনি বলেছেন তাই । :)

০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: মুক্তাগাছার মন্ডা দেশের বাইরেও অনেক প্রসিদ্ধ ছিল। এখন যা পাওয়া যায় তা আমার কাছে অতি মিষ্টি মনে হয়।
পোস্টে প্রথম প্লাসের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম।

১১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫২

ঢাবিয়ান বলেছেন: ভাল লেগেছে স্মৃতিচারন। জন্ম ও বেড়ে ওঠা যদিও ঢাকায় তারপরেও শৈশবের স্মৃতির কথা মনে পড়লে কেন যেন দেশের বাড়ীর কথাই বেশী মনে পড়ে। আমাদের জেলা শহড়গুলোর আকর্ষন একেবারেই অন্যরকম।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:০২

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত হ'লাম।
আপনার কোন জেলাশহর নিয়ে সুখময় স্মৃতি থাকলে তারাতাড়ি একটা স্মৃতিকথা লিখে ফেলুন!

১২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৯

সনেট কবি বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন ।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:০৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
ভাল থাকুন, শুভেচ্ছা!

১৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো লাগল ময়মনসিংহের গল্প।
আমি গিয়েছি ময়মনসিংহ শহরে।।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: তা জেনে প্রীত হ'লাম। আপনার অভিজ্ঞতার কথাও লিখুন।

১৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: বাকৃ‌বি, আমার প্রিয় ক্যাম্পাস।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: এক সময় গর্ব করার মত প্রতিষ্ঠান ছিল সেটা। ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ফিলিপিন্স থেকে ছাত্ররা আসতো আমাদের এই কৃ্ষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী নিতে। তখন আমাদের প্রফেসরগণ ছিলেন তাদের নিজ নিজ বিষয়ে বিশ্বমানের। এখন সে গৌরব আমরা হারিয়ে ফেলেছি।
আপনার মালয়েশিয়ার পর্যটন আকর্ষণঃ পেনাং পাহাড়ের ট্রেন পোস্টটা পড়ে একটা মন্তব্য রেখে এসেছিলাম।

১৫| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪১

সোহানী বলেছেন: আহ্ চমৎকার স্মৃতি চারন। সে দিন, সেই ট্রেন জার্নি, সেই ভালোলাগা...............। সবার জীবনেই এমন কিছু জার্নি ভালোলাগা ভালোবাসা থাকে।......... কিছু মনের গহবরে তলিয়ে যায়, কিছু অনেক দূর থেকে ভেসে উঠে। আপনি এখন যে সময় কাটাচ্ছেন সে সময়ে সে সব স্মৃতি বার বার উকিঁ দেয় কারন আপনার হাতে কিছুটা সময় আছে স্মৃতিচারনের জন্য। আর এ স্মৃতিগুলোকে লিখার অক্ষরে ফুটিয়ে তোলায় মুন্সিয়ানা অসাধারন প্রিয় লেখক। বাবা কে বার বার বলি কিছু লিখতে। কিন্তু মা চলে যাবার পর বাবা কেমন যেন কিছু করতে চায় না। এতো দূরে থাকি যে কিছু করতেও পারি না চাইলে।

কোলড এর প্রতিউত্তরে যা লিখেছেন আমি পড়ে মুগ্ধ। এতো কঠিন ভাষা রপ্ত করতে আমার আরো অনেক সাধনা দরকার।

সবসময়ই ভালো থাকেন প্রিয় লেখক।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:০১

খায়রুল আহসান বলেছেন: কিছু মনের গহবরে তলিয়ে যায়, কিছু অনেক দূর থেকে ভেসে উঠে - খুব সুন্দর করে বললেন কথাটা। নদীভ্রমণের সময় শুশুক কে যেমন দেখা যায়, অনেক দূরে জল থেকে ভেসে উঠে খেলাচ্ছলে একটা লাফ দিয়ে আবার জলের অতলে ডুবে যায়, আমাদের স্মৃতিগুলোও যেন তেমনি, মাঝে মাঝে মনের গভীর থেকে ভেসে উঠে আমাদের সাথে খেলা করে আবার হারিয়ে যায়।
আপনার বাবার নিঃসঙ্গ জীবনেও নিশ্চয়ই এমন অনেক স্মৃতি মাঝে মাঝে লুকোচুরি খেলে যায়।
আন্তরিক মন্তব্যে এবং প্লাসে অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম। ভাল থাকুন, শুভকামনা---

১৬| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪২

সুমন কর বলেছেন: আপনার স্মৃতিচারণ ভালো লাগল। খোদা দাদ খানের বই খুব কম পড়ানো হতো। আমিও পড়েছিলাম, আপনার লেখা পড়ে সেটা মনে পড়ল।
+।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:১২

খায়রুল আহসান বলেছেন: স্মৃতিচারণ পড়ার জন্য ধন্যবাদ। বরাবরের মতই অনুপ্রাণিত হ'লাম, মন্তব্যে এবং প্লাসে।
খোদা দাদ খানের বই উচ্চমাধ্যমিকে আমাদের পাঠ্য ছিল।

১৭| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



বাহ! চমৎকার স্মৃতিচারণ। কখনো ময়মনসিংহ যাওয়া হয়নি। আপনার লেখা পড়ে একবার ঘুরে আসতে মন চায়। সময় সুযোগে একবার যাব ভাবছি।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: যদিও রাস্তাঘাট এখন অনেক প্রশস্ত হয়েছে, তবুও আমি বলবো যে ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ যেতে ট্রেনই উত্তম ব্যবস্থা। তিন ঘন্টার মত লাগে, কারো সাথে গল্প করতে করতে চলে যাওয়া যায়।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। প্লাসে অনুপ্রাণিত।
শুভকামনা....

১৮| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৪২

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: সুন্দর।। কিছু কিছু জিনিস আজো আছে।।। কৃষ্ণা কেবিন।। ভার্সিটির সুতিয়াখালি শেষ মোড়ে বিখ্যাত মালাই চা। আর এখনো আছে অনেক কিছু কালিবাড়ি রোডে সেই মিষ্টি দোকান। ।। আসবেন একদিন। ভালোবাসা রইলো।।

আপনি তো তাহলে আমাদের পুরাতন অতিথি +আত্মীয় ।।।। আমাদের ময়মনসিংহ এর।।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪১

খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্টে আসার জন্য ধন্যবাদ। আপনার একটা ব্লগ পড়েই আমার এ লেখার জন্ম হয়েছে, সে কথা পোস্টের শেষে উল্লেখ করে দিয়েছি।
আমন্ত্রণের জন্য অনেক ধন্যবাদ। যদি এর পরে কখনো যাই, আর যদি মনে থাকে, তবে যাবার আগে অবশ্যই আপনাকে জানাবো।

১৯| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৮

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: তবে ট্রেন গুলোর নাম এখন পরিবর্তন হয়ে গেছে। শুধু যারা মুরুব্বি আছে। তদের মুখে শুনি।। আমাদের এক আংকেল ছিলো। তার চাকরি থেকে অবসর নিয়েছে। তিনি ৭১ থেকে চাকরি করেন। আব্বুর অফিসে এম এল এস এস ছিলো। তার কাছে শুধু গল্প শুনতে যেতাম। আজ নাই ১১আপ ও নাই। সেভেন আপ ও নাই। শুধু বোতলে পাওয়া যায়। পান করার সেভেন আপ।
অনেক কিছু বদলেছে।।।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: নম্বর হয়তো বদলে গেছে, কিন্তু দ্রুতযান এক্সপ্রেস এখনো চালু আছে বলে শুনেছি। এতা পাকিস্তান আমল থেকে চালু ছিল। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সময় তার ক্যাবিনেটের সিনিয়র মন্ত্রী মশিউর রহমান যাদু মিয়া চালু করেছিলেন একতা এক্সপ্রেস। সুবিধাজনক সময়ে চলাচল করতো বলে ট্রেনটা ভীষণ জনবান্ধব ছিল এবং ব্যাপকভাবে জনগণ কর্তৃক সমাদৃত হয়েছিল। সেটাও এখনো টিকে আছে। এরশাদ সাহেবের আমলে চালু হয়েছিল তিস্তা এক্সপ্রেস, সেটাও চালু আছে। আর সবশেষে এসেছে লালমনি এক্সপ্রেস এবং নীলসাগর এক্সপ্রেস, এগুলোও উত্তরাঞ্চলের জনগণের জন্য বেশ জনপ্রিয় ট্রেন। শেষোক্ত ট্রেন দুটো কবে থেকে চলাচল শুরু করেছে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত নই, কারণ যমুনা সেতু চালু হবার পর থেকে ুনেকদিন ধরে আর ট্রেনে করে বাড়ী যাওয়া হয়না।

২০| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৫০

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: শ্যামা নামে একটা রোড আছে শ্যামা চরণ রোড।। আরো আছে বিপিন পার্কের ১২ স্বাদের চা। তেতুল চা। থেকে মরিচ চা। ককটেল চা।।।।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:২২

খায়রুল আহসান বলেছেন: শ্যামাচরণ রায় রোডে থাকতো আমার বন্ধু ডঃ শরীফ হাছান। ওর বাবা ইনকাম ট্যাক্স অফিসার ছিলেন। আর সেই বিপিন পার্কেই হাঁটতে হাঁটতে ওর মুখে শুনেছিলাম শ্যামা নৃ্ত্যনাট্যের আনুপুঙ্খিক বর্ণনা।

২১| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:১২

রক বেনন বলেছেন: চমৎকার সৃতিচারণ। পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল আপনার সাথেই সেই সময়ে হেঁটে চলেছি।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩১

খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যে প্রীত হ'লাম। সৃতিচারণের প্রশংসায় অনুপ্রাণিত।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা---

২২| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:০২

জুন বলেছেন: চমৎকার সৃতিচারণ খায়রুল আহসান । ময়মনসিংহ আমার অনেকবার যাওয়া হয়েছে বেড়ানোর উদ্দেশ্যে । যতবার গিয়েছি ততবারই ব্রম্মপুত্র নদের পাড়ে বিকেল সময়টা অবশ্যই কাটিয়েছি । আপনার লেখায় অপর পাড়ের কাশের বন চোখের সামনে যেন চামর দুলিয়ে গেল । মানসচোখে ভেসে উঠলো শম্ভুগঞ্জ ব্রীজটাও।
মুক্তোগাছার মন্ডা সম্পর্কে আমার একই অভিমত । কেন জানি এই বিখ্যাত মিষ্টিটাকে ভালোলাগাতে পারি নি সাথে চমচমকেও :(

চায়ের কথায় মনে পড়লো আমরা দিল্লী যাচ্ছি কলকাতা থেকে ট্রেনে । খুব ভোরে বিহার আসলো আর শুনতে পেলাম এক তরুনের করুন কন্ঠ " আগেয়া ভাইয়া রামু আগেয়া , সবসে খারাব চা লে কর রামু আগেয়া " সাথে সাথে অনেকেই হেসে উঠলো কারন সবাই তো নিজেদের চা কে বলে " আইয়ে বহুত বড়িয়া চায়ে" ;)
লেখায় অনেক ভালোলাগা রইলো ।
+

০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪১

খায়রুল আহসান বলেছেন: রামুর মার্কেটিং স্কিল ভাল, সেজন্যেই সে নিজের প্রোডাক্টকে ইচ্ছে করেই "সবসে খারাব" বলে ঘোষণা দিচ্ছিল, যেন মানুষ কৌতুহলী হয়ে পরখ করতে চায়, চা টা আসলেই কতটা খারাপ। আর সেটা করলেই তো ওর ব্যবসা সফল হয়ে যায়। শুনেছি, আমাদের দেশে "পঁচা সাবান" নামে একটা সাবান পাওয়া যায়, যা আসলে খুব ভাল। মান ভাল হওয়া ছাড়াও, নামের কারণেও সাবানের বিক্রী বেশী হয়। এখানেও এমন নাম রাখার পেছনে একই উদ্দেশ্য কাজ করে থাকে।
মুক্তাগাছার মন্ডা আর টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ীর চমচম, এই দুটো প্রসিদ্ধ জিনিস চিরকালই আমারও ভাল লাগার বাইরে ছিল।
ছোটবেলায় শম্ভুগঞ্জ ব্রীজটাকে আমরা অনেক দূর থেকেই সনাক্ত করতে পারতাম।
ময়মনসিংহে যে তিন বছর ছিলাম, খাওয়া দাওয়ার দিক দিয়ে বেশ আরামে ছিলাম। ক্ষেত থেকে তুলে আনা শিশিরভেজা শাক পেতাম, সতেজ, কীটনাশকমুক্ত তরিতরকারি, যা দেখলে চোখ জুড়িয়ে যেত, নিয়মিত কিনতে পারতাম, দামও খুব সস্তা ছিল। মাঝে মাঝে মোহনগঞ্জ বা কুলিয়ারচরে গেলে সেখান থেকে সদ্য ধৃত মাছ কিনে আনতাম।
লেখাটা পড়েছেন, পড়ে নিজের স্মৃতির কথা তুলে ধরেছেন- খুশী হ'লাম। প্লাসে অনুপ্রাণিত।
ভাল থাকুন, শুভকামনা...

২৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:১৬

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: বাহ! চমৎকার স্মৃতিচারণ। আমারও কিছু স্মৃতি আছে এই শহর নিয়ে। আমার নানাবাড়ি ওদিকেই। জগন্নাথগঞ্জ ঘাটের সাথেই। এক্সপ্রেস ট্রেন আসার আগে মেইল ট্রেনের শেষযুগে অনেক ট্রেনে চড়েছি। রাতের স্টেশনের যে ছবি বর্ণনা করেছেন তা বেশ চেনা আমার।
তবে আমার শৈশব কৈশর যৌবনের পুরোটাই কেটেছে রাজশাহীতে। রাজশাহী নিয়ে স্মৃতি নেই আপনার?

০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:০৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: রাজশাহী নিয়েও অনেক স্মৃতি আছে আমার। বয়স তো আর কম হলোনা, অনেক ঘাটে আমার তরী ভিড়েছে, অনেক জায়গারই স্মৃতি জাগরূক হয়ে আছে মনে। তবে রাজশাহীতে শৈশব আর কৈশোরের কোন স্মৃতি নেই, আছে যৌবনের আর প্রৌঢ়ত্বের।
রাজশাহীতে আমি প্রথম গিয়েছিলাম ১৯৭৮ সালে। সরদহ (সারদা নামে এখন অধিক পরিচিত) পুলিশ একাডেমীতে অশ্বারোহণের প্রশিক্ষণ নিতে। পার্বতীপুর থেকে ট্রেনযোগে এসে আব্দুল্লাহপুর নামে একটা রেলওয়ে জংশনে অনেকক্ষণ ধরে একটা কানেক্টিং ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে করতে বিরক্তির একেবারে শেষ সীমায় পৌঁছে গিয়েছিলাম। যাক শেষ পর্যন্ত একটা ঝিকির ঝিকির মার্কা লোকাল ট্রেন এলে সেটাতে উঠেছিলাম। মাত্র কয়েকটা স্টেশন পরেই সরদহতে নেমেছিলাম। স্টেশনের বাইরে এসে দেখি ঘোড়ার গাড়ী টমটম ছাড়া অন্য কোন বাহন নেই। সেটাতেই চড়ে গন্তব্যে পৌঁছেছিলাম। সেখানে একমাস ছিলাম। সপ্তাহান্তে নাটোর কিংবা রাজশাহী শহরে চলে আসতাম। মনে আছে রাজশাহী শহরে বর্ণালী নামে একটা সিনেমা হলে সে সময়ের তুমুল জনপ্রিয় ইংরেজী সানফ্লাওয়ার ছবিটি দেখেছিলাম।
পরে অবশ্য আত্মীয়তার সূত্রে রাজশাহীতে অনেকবার যাওয়া হয়েছে। এখনো নিয়মিত আমের নিমন্ত্রণ পাই, কিন্তু এখন আর যাওয়া হয়না। চাঁপাইনবাবগঞ্জেও বহুবার গিয়েছি।

২৪| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:০৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: স্মৃতি সবার ই থাকে, চমৎকার উপস্থাপন ক'জন পারে ?
মনোরম উপস্থাপনা।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৩২

খায়রুল আহসান বলেছেন: এত চমৎকার করে আপনি একজন লেখককে উৎসাহিত করতে জানেন! প্রায় সবার লেখায় আমি আপনাকে মনযোগী পাঠ এবং ইতিবাচক মন্তব্য করতে দেখে থাকি।

২৫| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:২৮

আখেনাটেন বলেছেন: আপনার এই ধরণের লেখাগুলো বেশ টাচি হয়। লেখায় ভালোলাগা রইল।

কিছুদিন আগে একটি কাজে বাকৃবি'তে গিয়েছিলাম। জীবনের প্রথমবার। সুন্দর জায়গা। শহরটাকে কিছুটা অগোছালো মনে হয়েছে। রাস্তাঘাটের অবস্থাও খুব একটা ভালো অবস্থায় নেই। তবে নদীর পাড়ে একটি পার্কে গিয়েছিলাম। ঐ জায়গাটা বেশ ভালো লেগেছে। নতুন নতুন বড় বড় অানফিনিশড বিল্ডিং দেখে বুঝা যায় কিছু মানুষের বেশ উন্নতি হয়েছে, হচ্ছে। ভালো। ওভার অল বেশ ভালো লেগেছে।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৪০

খায়রুল আহসান বলেছেন: তবে নদীর পাড়ে একটি পার্কে গিয়েছিলাম - হ্যাঁ, ঐ পার্কটার নামই বিপিন পার্ক
আপনার এই ধরণের লেখাগুলো বেশ টাচি হয় - এ ধরণের লেখাগুলো লিখতে আমিও খুব ভালবাসি। খুব সহজে আসে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হয়েছি।

২৬| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:২৮

প্রামানিক বলেছেন: ময়মনসিংহের কিছু স্মৃতি আমারও আছে তবে আপনার মত এত নয়। স্মৃতিচারণ এক টানেই পড়ে ফেললাম। খুবই ভালো লাগল।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৫৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: স্মৃতিচারণ এক টানেই পড়ে ফেললাম - অনেক ধন্যবাদ। জেনে খুবই ভালো লাগলো। আমিও একটানেই এটা লিখে ফেলেছিলাম।

২৭| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৩

করুণাধারা বলেছেন: ময়মনসিংহ শহর নিয়ে এমন চমৎকার স্মৃতিচারণ- খুব আগ্রহ নিয়ে পড়লাম। আমার শৈশবের কিছু দিন কেটেছে ময়মনসিংহে, যদিও স্মৃতিগুলো তেমন উজ্জ্বল নয়। আপনার স্মৃতিচারণ পড়ে কিছু কিছু জিনিস আবার মনে পড়লো। চরপাড়া যেতাম, মামা ছিলেন মেডিকেল কলেজে ডাক্তার। সেখানে যাবার পথেই পড়ত (মনে হয়) মেয়েদের ক্যাডেট কলেজ। সেটা তখন তৈরি হচ্ছিল। আমরা থাকতাম সাহেব কোয়ার্টারে, কাছেই ছিল নদী। মাঝে মাঝে নদীর পাড়ে ঘাসের উপরে বসে থাকতে খুব ভালো লাগতো। ২০০৫ সালে আরেকবার গেছিলাম, নদীর পাড়ে গিয়ে দেখি অনেক বেঞ্চি বানানো হয়েছে, অনেক মানুষ... চিপস.. কোক... চা...

ভালো লাগে নি সেদিন। আজ আপনার স্মৃতিচারণ পড়ে ময়মনসিংহকে নতুন করে ভালো লাগলো।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার এ স্মৃতিচারণটুকু এতটা আগ্রহ নিয়ে পড়েছেন জেনে খুব ভাল লাগলো।
চরপাড়া যেতাম, মামা ছিলেন মেডিকেল কলেজে ডাক্তার। সেখানে যাবার পথেই পড়ত (মনে হয়) মেয়েদের ক্যাডেট কলেজ - আমার ঐ দুই বন্ধুর একজনের চাচা ডাক্তার ছিলেন এবং তিনি চরপাড়ায় সরকারী বাসায় থাকতেন। আমরা তাঁর বাসায়ই উঠেছিলাম। আর হ্যাঁ, শহর থেকে চরপাড়া যেতে ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজ অতিক্রম করে যেতে হয়।
আমার অফিসটাও ছিল সাহেব কোয়ারটার্সেই। একেবারে ব্রহ্মপুত্রের তীর ঘেঁষে। সাহেব কোয়ারটার্সে তো ডিসি, এসপি, জজ হাকিমদের নিবাস- আপনার বাবাও বোধহয় তাদেরই মত একজন ছিলেন? ঈদগাহ ও মাসজিদ অতিক্রম করে সেখানে যেতে হয়। আমি ২০০৪ পর্যন্ত সেখানে ছিলাম।
মনযোগী পাঠ, মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। অনুপ্রাণিত হ'লাম।

২৮| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৩

নতুন নকিব বলেছেন:



মুগ্ধতা ছুঁয়ে গেল। পোস্টে +++

০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, পোস্ট পড়ে এ মুগ্ধতার কথাটুকু এখানে জানিয়ে যাবার জন্য। প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম।

২৯| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আমার প্রাণের শহর; অনেকগুলো বছর কাটিয়েছি এখানে। আপনার স্মৃতিচারণ পড়ে অনেক কথা মনে পড়ে গেল।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:১১

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার এ স্মৃতিচারণ ময়মনসিংহ নিয়ে আপনার স্মৃতিকে জাগিয়ে দিয়েছে জেনে প্রীত হ'লাম। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা....

৩০| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৩

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: পুরোনো স্মৃতি গুলো স্মরণ করার নামই ভালোবাসা।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: পুনঃমন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

৩১| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:২০

তারেক ফাহিম বলেছেন: আগে প্রিয় লেখকের স্মৃতিচারন পরে কাজ ;)

অাপনার স্মৃতিচারনগুলো আমার বেশ ভালোলাগে শ্রদ্ধেয়।

পোষ্টে ++

০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত হ'লাম।
শুভেচ্ছা...

৩২| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৭

ঢাকার লোক বলেছেন: ময়মনসিংহ জীবনে একবারই গিয়েছিলাম আরো দুই বন্ধুর সাথে, এক প্রিয় বন্ধু মেডিক্যালে ভর্তি হয়েছিল, তারই সাথে দেখা করতে আর সেই সাথে ময়মনসিংহ দেখতে, সে বেশ অনেকদিন আগে, সারাদিন ঘুরাফিরা করে রাতে ফিরে আসি! তখন টাঙ্গাইল হয়ে যেতে হতো, আসার পথে টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম কিনে এনেছিলাম ! এর পর টাঙ্গাইল জামালপুর যাওয়া হয়েছে বেশ অনেকবার কাজে খাতিরে, ময়মেনসিংহ যাওয়া আর হয়নি। আপনার স্মৃতিচারণ পড়ে ভালো লাগলো, মনে হলো সুযোগ এলে কোনো একদিন আবার যাওয়া যায় !

০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৪৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। স্মৃতিচারণ পড়ে ভালো লেগেছে জেনে প্রীত হ'লাম।
শুভকামনা রইলো....

৩৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:০৭

কাতিআশা বলেছেন: সুন্দর স্মৃতিচারণ! খুব ভালো লাগলো... ++++

০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৩৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। স্মৃতিচারণ পড়ে ভালো লেগেছে জেনে প্রীত হ'লাম। প্রশংসায় অনুপ্রাণিত।
শুভকামনা রইলো....

৩৪| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:১৮

মিথী_মারজান বলেছেন: স্মৃতি সবসময় মায়ায় ঘেরা থাকে।
যে পরম মমতায় ঐ সময়ের ময়মনসিংহকে এঁকেছেন সেই সময়ের আপনাকেও খানিকটা দেখতে পেলাম আমরা।
ভালো থাকুক সকল স্মৃতির শহর।
ভালো থাকুক স্মৃতিকে ঘিরে বাঁচা মানুষেরা।
খুব ভালো লাগলো।:)

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: খুব ভালো লাগলো - আপনার স্বতঃস্ফূর্ত মন্তব্য থেকে সেটা খুব ভাল ভাবেই বুঝতে পেরেছি এবং বুঝতে পেরে প্রীত বোধ করছি। আর এটাও বুঝতে পেরেছি যে আপনি এ লেখাটা মন দিয়ে পড়েছেন, এবং সেজন্যে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
প্লাসেও অনুপ্রাণিত হয়েছি। :)
ভাল থাকুন। অনেক, অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা---

২৫ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১০:৫৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার কবিতা "প্রশ্ন" পড়ে একটা মন্তব্য রেখে এলাম। আশাকরি, একবার সময় করে দেখে নেবেন।
অনেকদিন ধরে ব্লগে অনুপস্থিত/অনিয়মিত আছেন। আশাকরি ভাল আছেন।

৩৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:২৬

করুণাধারা বলেছেন: আমার বাবা ছিলেন গণপূর্ত বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী। তাই কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় , মোমেনশাহী গার্লস ক্যাডেট কলেজ আর মেডিকেল কলেজ- সবগুলোর নির্মাণেই তিনি জড়িত ছিলেন, আমিও এর অনেক জায়গায় গেছি, বাংলাদেশের স্বাধীনতার আগে। আপনার প্রতিমন্তব্য পড়ে মনে পড়লো, আমাদের বাসাটা ছিলো ঈদগাহের পশ্চিম প্রান্তে। ঈদের দিনের দোতালার ঘর থেকে দেখতে পেতাম, মানুষ ঈদের নামাজ পড়ছেন- এ ছাড়া ঈদের নামাজ দেখার সুযোগ হয় তো জীবনেও হত না!

এই পোস্ট যেমন অনেক স্মৃতি জাগিয়ে তুলল, তেমনি মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য থেকেও অনেক সুপ্ত স্মৃতি জেগে উঠল। অসংখ্য ধন্যবাদ, চমৎকার পোস্টের জন্য।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমাদের বাসাটা ছিলো ঈদগাহের পশ্চিম প্রান্তে - বুঝতে পারছি ময়মনসিংহের কোথায় ছিলেন একসময়।
এই পোস্ট যেমন অনেক স্মৃতি জাগিয়ে তুলল, তেমনি মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য থেকেও অনেক সুপ্ত স্মৃতি জেগে উঠল - মন্তব্য/প্রতিমন্তব্যসহ লেখাটা পড়ার জন্য পুনরায় ধন্যবাদ। অনেক মন্তব্যের জিজ্ঞাসা থেকে আমিও সুযোগ পেয়েছি স্মৃতির ডালাটা আরেকটুখানি মেলে ধরবার। সেজন্য মন্তব্যকারীগণও ধন্যবাদার্হ।
আপনার শিক্ষা জীবনের স্মৃতি, মধ্যপ্রাচ্যের স্মৃতি, ইত্যাদি নিয়েও কিছু লিখে দেখতে পারেন। অথবা ভ্রমণ কাহিনী কিছু।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.