নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

মেলবোর্নের দিনলিপি - ৬ঃ মাউন্ট ড্যান্ডিনং রেঞ্জে এক পড়ন্ত বিকেলে (রিপোস্ট)

২৮ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:২০

এর আগের পর্বটি দেখতে পাবেন এখানেঃ মেলবোর্নের দিনলিপি - ৫ঃ নতুন বছরের (২০২০) প্রথম কয়েকটা দিন

প্রতি বছরের জানুয়ারী, ফেব্রুয়ারী ও মার্চ মাসের প্রথম শুক্রবারে ব্রাইটন বীচের বেলাভূমি সংলগ্ন ভূমিতে খোলা আকাশের নীচে “Soul Night Market” এর আয়োজন করা হয়। Night Market বা “নৈশ বাজার” কেবল নামেই, আসলে এটা শুরু হয় মধ্যাহ্নের পর পরই, শেষ হয় সূর্যাস্তের ঘন্টাখানেকের মধ্যেই। অনেকটা আমাদের গ্রামীন সাপ্তাহিক হাটের মত, একথা উল্লেখ করে এ বীচ ও বাজার সম্পর্কে এর আগের পর্বে কিছুটা উল্লেখ করেছিলাম। এ বছরের প্রথম শুক্রবারটিতে (০৩ জানুয়ারী ২০২০) আমরা সেখানে গিয়েছিলাম, মূলতঃ সাগর সৈকতে কিছুক্ষণ হেঁটে বেড়াবার জন্য, “নৈশ বাজার” সম্পর্কে কোন কিছু না জেনেই। এ বীচ এবং বাজার, উভয়টিই সারমেয় বান্ধব। মেলবোর্নের সব বীচে, লেইকে কিংবা সংরক্ষিত প্রাকৃতিক অরণ্যে কুকুর নিয়ে যাওয়া যায় না। কিন্তু এ বীচে সারমেয়কূলকে সগর্বে স্বাগত জানানো হয়েছে, যা বিজ্ঞপ্তির দ্বারা প্রবেশ পথের নোটিশ বোর্ডে এবং ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে ঘোষিত হয়েছে।

১৮৫৩ সালের ৩০শে জানুয়ারী Henry Burn নামের ৪৩ বছর বয়সী একজন ব্রিটিশ লিথোগ্রাফার লিভারপুল থেকে সাগর পথ পাড়ি দিয়ে মেলবোর্নে এসে পৌঁছেন। তিনি এর আগে ইংল্যান্ডে Architectural Draughtsman বা স্থাপত্য নক্সাবিদ হিসেবে জীবিকা অর্জন করতেন। মেলবোর্নে পৌঁছার পর এই ব্রাইটনেই তিনি বসতি গড়েন এবং এখানে বসে বসে তিনি মেলবোর্নের সমুদ্রতীর ও তটরেখার ছবি আঁকতেন। বীচের যে অংশে বসে তিনি ছবি আঁকতেন, ১৮৬২ সালে তাঁর সম্মানে সে অংশটির নাম Henry Burn Brighton Beach রাখা হয়। তার আঁকা একটি ছবি আজও সেখানে শোভা পাচ্ছে।

০৬ জানুয়ারী ২০২০, আজ সকাল থেকেই আকাশটা মেঘলা। ফযরের নামায পড়ে ব্যালকনিতে বের হয়ে বুঝলাম, আকাশ এত মেঘাচ্ছন্ন যতটা না জলীয় বাষ্পভরা মেঘের কারণে, তার চেয়ে বেশী অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় সঞ্চারমান দাবানলের কারণে। বাতাসে বাতাসে ধোঁয়াগুলো ভেসে ভেসে অনেক দূর পর্যন্ত এসেছে। বাতাসে পোড়া পোড়া গন্ধও পাওয়া যাচ্ছে। অবশ্য রাস্তার দিকে তাকিয়ে এটাও মনে হলো যে শেষ রাতের দিকে কিছুটা হাল্কা বৃষ্টিপাত হয়েছে। আজ আরমানের (ছেলে) ডিউটি ভোর ছয়টা থেকে শুরু হবে, তাই সে খুব ভোরে উঠে এই শীতের মধ্যেই চলে গেল। ০৭ তারিখ বিকেলে হাঁটাহাঁটির সময় পথের আশে পাশে ফুটে থাকা বিভিন্ন কিছু ফুলের ছবি তুললাম। ০৮ তারিখ রাতে “বাওয়ার্চি” রেস্টুরেন্টে সবাই মিলে একসাথে ডিনার করলাম। ০৯ তারিখে বিকেল তিনটায় রওনা হলাম “ড্যান্ডিনং রেঞ্জ” এর উদ্দেশ্যে। রেঞ্জটি মেলবোর্ন থেকে ৩৫ কিমি পূর্বে অবস্থিত, যেটি স্বল্প উচ্চতাসম্পন্ন কিছু পাহাড়ের সমন্বয়ে গঠিত। সর্বোচ্চ পাহাড়টির উচ্চতা ৬৩৩ ফুট, গাড়ী নিয়ে অনায়াসে যাওয়া যায়। সেখানে আগ্নেয়, পাললিক ও রূপান্তরিত-সব ধরনের শিলার সাক্ষাৎ পাওয়া যায়। ১৯৭০-৮০ এর দশকে এটি মেলবোর্নের একটি অন্যতম পর্যটক আকর্ষক কেন্দ্র ছিল। ১৯৯০ সালে এলাকাটির সংস্কার সাধন করা হয়, কিন্তু সংস্কারের পর রেঞ্জে নির্মিত স্থাপনা এবং ল্যান্ডস্কেপ পর্যটকদের কাছে মোটেই দৃষ্টিনন্দন মনে না হওয়াতে সেখান থেকে তারা মুখ ফিরিয়ে নেন। ধীরে ধীরে রেঞ্জটি পরিত্যাক্ত হতে থাকে, এবং ১৯৯৭ সালে এটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর, ২০০৪ সালে “পার্কস ভিক্টোরিয়া” এর সাথে এক চুক্তিবলে ৩৫ লক্ষ অস্ট্রেলিয়ান ডলার খরচ করে পুনঃসংস্কার কাজ সম্পন্ন করা হয়, যা ঐ বছরেরই ডিসেম্বর মাসে উদ্বোধন করা হয়। মাউন্ট ড্যান্ডিনং এর চূড়ায় “স্কাই হাই” নামে একটি আধুনিক রেস্টুরেন্ট স্থাপন করা হয়, যার ব্যালকনি থেকে মেলবোর্নের চারিদিকের খুব সুন্দর ভূ-প্রাকৃতিক দৃশ্য পর্যবেক্ষণ করা যায়। পর্যটক এবং প্রকৃতি প্রেমিকদের স্বল্পকালীন অবস্থানের জন্য সেখানে কিছু “স্কাই হাই এপার্টমেন্ট” এর ব্যবস্থাও রয়েছে। এখন যেখানে স্কাই হাই রেস্টুরেন্টটি অবস্থিত, সে স্থানটিই ১৮৬১ সাল থেকে (সর্বোচ্চ হবার কারণে) মেলবোর্নের ভূ-জরিপ কেন্দ্র (survey point) হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। সংস্কারের পর ২০০৪ সাল থেকে এর নাম "Mount Dandenong Observatory" পরিবর্তন করে আনুষ্ঠানিকভাবে "SkyHigh Mount Dandenong" রাখা হয়।

সংস্কারের অংশ হিসেবে নতুনভাবে ল্যান্ডস্কেপ করা এলাকাটির আশেপাশে প্রচুর গাছপালা রোপন করা হয়। ছোট ছোট কিছু কৃত্রিম ঝর্না সৃষ্টি করা হয়, পর্যটকদের স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরার জন্য কিছু পাথর বিছানো, আঁকাবাঁকা পথ তৈরী করা হয়। নতুন এ উদ্যানটির নাম রাখা হয় “ইংলিশ গার্ডেন”। সেখানকার টেরাসে কিছু বাইনোকুলার রাখা আছে, যার ভেতর দিয়ে পর্যটকগণ দূর দূরান্তে দৃষ্টি মেলাতে পারেন। আকাশ পরিষ্কার থাকলে সেটা দিয়ে সুদূর পোর্ট ফিলিপ এর সৈকত ও তটরেখা দেখা যায়। ‘স্কাই হাই’ এর প্রবেশ পথে কাঠের একটি “জায়ান্ট’স চেয়ার” রাখা আছে। কথিত আছে, বহু শতক ধরে Igor নামের এক ‘জায়ান্ট’ (সে মানুষ না পক্ষী সে সম্বন্ধে আমি নিশ্চিত নই) এর প্রিয় জায়গা ছিল এটি। সর্বোচ্চ এ স্থানটিতে এসে বসে থাকা এবং চারিদিকের দৃশ্য দেখা সেই Igor এর অন্যতম পছন্দের কাজ ছিল। তাই কর্তৃপক্ষ তার জন্য এই বিরাট চেয়ারটি তৈরী করে রেখেছেন। কিছুটা কৌতুকের সাথে তারা একটি সাইনপোস্টে লিখেছেন, পর্যটকরা সেখানে ইচ্ছেমত বসতে পারেন, ছবি তুলতে পারেন, তবে যদি কখনো Igor সেখানে ফিরে আসে, তখন অবশ্যই তার সম্মানে তাদেরকে সে চেয়ারটি ছেড়ে দিতে হবে!

The Australiana Tree নামে এলাকাটিতে একসময় প্রচুর ইউক্যালিপ্টাস প্রজাতির গাম জাতীয় সুউচ্চ বৃক্ষরাজি ছিল। ২০০৬ সালে বজ্রাহত হয়ে বেশীরভাগ গাছ মরে যায়। লী রয় কঙ্কী নামের এক অস্ট্রেলীয় কাঠ শিল্পী ৮ মিটার উচ্চ গাছের ওপর থেকে ৩ মিটার কেটে ফেলে কর্তিত অংশটুকু দিয়ে পর্যটকদের জন্য আসনের ব্যবস্থা করেন এবং বাকী অংশে “টোটেম পোল স্টাইল” এ খোদাই করে একটি কাঠ-ভাস্কর্য তৈরী করেন। ২০০৬ সালের মে মাসে তিনি এ কাজটি সম্পন্ন করেন। এ ছাড়া প্রাচীন বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে উদ্যানটিতে কিছু সাইনপোস্ট দেখা যায়, যেমন দ্য উইশিং ট্রী, দ্য উইশিং ওয়েল ইত্যাদি। কথিত আছে যে ঘন বৃক্ষে আচ্ছাদিত এ অঞ্চলটিতে একদিন বিলি লংটন নামে এক চার বছরের বালক খেলতে খেলতে নিখোঁজ হয়ে যায়। তার শোকাহত পিতা তাকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে এ গাছটির গোড়ায় এসে ‘উইশ’ করে, সে যেন তার ছেলেকে খুঁজে পায়। কিছুক্ষণ পর গাছটির এক বৃত্তাকার ফাঁক দিয়ে সে দেখতে পায়, তার ছেলে বিলি অদূরের creek সংলগ্ন মাটিতে বসে আছে। সেই থেকে স্থানীয় অধিবাসীদের মনে বিশ্বাস জন্মে যে এ গাছের গোড়ায় দাঁড়িয়ে কোন কিছু ‘উইশ’ করলে তা পাওয়া যায়। এটা অবশ্য খুব বেশীদিন আগের কথা নয়, ১৯০০ সালের কথা।

একইভাবে সেখানে রয়েছে একটি ‘উইশিং ওয়েল’, যার পানি মানুষ একই বিশ্বাসে পান করতো বলে জানা যায়। আমরা সেখানে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে ফিরে আসি।

(এই পোস্টটি ব্লগে গত ২২ মার্চ ২০২০ তারিখে পোস্ট করেছিলাম। পোস্টের পর লক্ষ্য করেছিলাম যে এই পোস্টের উপর কোন “সাম্প্রতিক মন্তব্য” ব্লগের সম্মুখ পাতায় দেখা যাচ্ছে না। বিষয়টি একটি ব্যক্তিগত মেইলে মডারেটরকে জানিয়েছিলামও, কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। আগের পোস্টে নজসু, সোহানী এবং মোঃ মোজাম হক – এই তিনজন ব্লগার মন্তব্য রেখেছিলেন এবং নজসু, সোহানী, মনিরা সুলতানা এবং কাল্পনিক_ভালবাসা- এই চারজন পোস্টটি ‘লাইক’ করেছিলেন। তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে পোস্টটি এখানে রিপোস্ট করলাম, কারণ আমার ধারণা যে পোস্টটি হয়তো কোন কারিগরি ত্রুটির কারণে অনেক পাঠকের গোচরে আসেনি। মন্তব্যকারী এবং 'লাইক' প্রদানকারী ব্লগারদের নিকট দুঃখ প্রকাশ করে আগের পোস্টটি মুছে দিলাম।)

মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া
১৭ মার্চ, ২০২০
শব্দসংখ্যাঃ ১০০১


হাঁটার পথে দেখা ফুল


হাঁটার পথে দেখা ফুল


হাঁটার পথে দেখা ফুল


হাঁটার পথে দেখা অস্ট্রেলীয় ম্যাগপাই


অস্ট্রেলীয় কাঠ শিল্পী লী রয় কঙ্কী এর কাঠ-ভাস্কর্য, বিবরণ পোস্টে।


ভাবুকদের জন্য এক আদর্শ জায়গা


নিরিবিলি সাঁকো ...


উইশিং ট্রী


টেরাসে রাখা এসব বাইনোকুলার দিয়ে পর্যটকগণ দূর দূরান্তে দৃষ্টি মেলাতে পারেন


"উইশিং ওয়েল"


“জায়ান্ট’স চেয়ার”


মেলবোর্নের ড্যান্ডিনং রেন্জের “স্কাই হাই ইংলিশ গার্ডেন” এ ঘুরে বেড়ানোর সময় কঠিন বাস্তবতার মাঝে মুখে হাসি ধরে থাকা এই নিঃসঙ্গ ফুলটি আমার চোখে পড়ে।


The Path That We Took

A narrow path it was,
Gravel strewn,
Lay quietly without any passer by.
A loose chain was hanging
Without any explicable purpose,
Just to look like a prohibitive fence, perhaps.
Tree boughs deviating from the main trunk
Gave the semblance of a ‘welcome arch’.

We took that path at the ‘English Garden’
Of the Mount Dandenong on a Summer afternoon.
A narrower stream barely visible,
Quiely flowed along, nourishing the plants.

On a wooden culvert I stood for a while,
Listening to the chirping birds,
Watching the frolicking, fluttering butterflies,
Forgetting for a moment, my fellow companions.

Time was running out,
Yet we sauntered on, without hurry.
Stood for a picture with a stone sculpture,
Of a loving mother embracing her child,
Hard stone that evoked soft feelings of love!
Unoccupied tables and benches on the wayside,
Made of sawed wood of ‘Australian Tree’s
Invited us for a much needed rest.

We sat for a while at the mouth of the defile
And read billboards explaining legends
Of a ‘Wishing Well’ and a ‘Wishing Tree’,
A history that we carried with us as memory!

Poet’s Notes: Visited ‘Sky High English Garden’ at the Mount Dandenong Range, Melbourne, Australia on 09 January 2020. The pictures were taken at the entrance of the garden. The poem is written in memory of the quiet time passed there.


Dhaka
27 April 2020

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: ছবি গুলো ঝকমক করছে না। তারপরও ভালো লাগলো।

২৮ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:০১

খায়রুল আহসান বলেছেন: ছবি গুলো ঝকমক না করার পরেও সেগুলো আপনার ভাল লাগলো? অনেক ধন্যবাদ এ উদারতার জন্য।
ভাল থাকুন, শুভকামনা---

২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৩২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: গোলাপগুলি জীবন্ত । লেখাও পড়লাম

২৮ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৫১

খায়রুল আহসান বলেছেন: গোলাপগুলি জীবন্ত - গোলাপের প্রশংসায় প্রীত হ'লাম।
লেখাটি পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৩| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:০৫

সোহানী বলেছেন: আগের লিখাটি পড়লেও আবার নতুন করে পড়তে ভালোলাগছে। তবে নতুন কিছু ছবিও মনে হয় এড হয়েছে। ছবিগুলো সুপারলাইক। ছবিগুলো দেখে বাইরে যাবার জন্য মনটা ছুটে যাচ্ছে।

আর পুরো ইতিহাস জেনে আরো আগ্রহ হচ্ছে সেখানে যাবার। যাবো কোন একদিন ঠিকই।

তবে একটা জিনিস, আপনি যেভাবে কোথাও গেলে তার ইতিহাস খুজেঁ বের করেন আমি তা কখনো করি না। যাবো দেখবো এনজয় করবো তারপর চলে আসবো.... ;) ;)

২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:৫৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি ঠিকই খেয়াল করেছেন, রিপোস্টে নতুন দুটো ছবি যোগ হয়েছে, সাথে একটি কবিতাও।
যাবো কোন একদিন ঠিকই - ইন শা আল্লাহ!
যাবো দেখবো এনজয় করবো তারপর চলে আসবো.... - আমিও তাই করেছি, শুধু মাঝে মাঝে কিছু নোটস টুকে রেখেছি- প্রায়ই গাড়ীতে বসে কিংবা কোন রেস্টুরেন্টে বসে অর্ডারের জন্য অপেক্ষা করার সময়। ইতিহাস ঘাঁটাঘাটি যা কিছু, তা পরে বাসায় ফিরে ধীরে সুস্থে করেছি। :)

৪| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৩৮

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: স্বাভাবিকভাবেই বর্ননাশীল বাচনভঙ্গি আপনার ট্রেডমার্ক! অথ্যের খুটিনাটি, বিভিন্ন জিনিসপত্র যা সাধারণত চোখের বাইরে থেকে যায় সেগুলো আপনার লেখায় আসে। এধরনের লেখা পড়তে খুবই ভাল লাগে। সাথে যদি কবিতা আর ফুল থাকে তবে তার আকর্ষণ আরও চিত্তাকর্ষক হয়ে ওঠে! বর্ননাব্যঞ্জক কবিতাটি চমৎকার লাগল! শুভেচ্ছা রইল সুপ্রিয় কবি!

২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: স্বাভাবিকভাবেই বর্ননাশীল বাচনভঙ্গি আপনার ট্রেডমার্ক! - এত সুন্দর একটা প্রশংসাবাক্যের জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমার এ লেখাটি পড়তে আপনার ভাল লেগেছে জেনে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
সাথে যদি কবিতা আর ফুল থাকে তবে তার আকর্ষণ আরও চিত্তাকর্ষক হয়ে ওঠে! - পোস্টের কোন কিছুই দেখছি আপনার নজর এড়ায় নি। অনেক, অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য।
অনেকদিন পরে বোধহয় ব্লগে এলেন। আশাকরি ভালই ছিলেন এবং আছেন। ভাল থাকুন সপরিবারে, শুভকামনা....

৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:১০

শোভন শামস বলেছেন: চমৎকার লাগল , শুভেচ্ছা রইল

২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:১৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। একই মন্তব্য দু'বার এসেছে বলে (একটায় সামান্য ভুলসহ) আগেরটা মুছে দিলাম।
আশাকরি, আগের ও পরের পর্বগুলোও পড়ে দেখবেন, যদি সময় পান।

৬| ১৭ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৩৮

জুন বলেছেন: খুব সুন্দর বিবরণ দিয়েছেন ড্যান্ডিনং রেঞ্জ এর। যদিও দেখার সৌভাগ্য হয়নি কিন্ত আপনার লেখায় এমন করে লিখেছেন যেন সবকিছু চোখের সামনে ভেসে উঠলো । ছবিগুলোও খুব সুন্দর। উইশিং ট্রি টা দেখে বিলির বাবার ব্যাকুল মুখটি ভেসে উঠলো। এবারের দাবানলে ইউক্যালিপটাস বা গাম ট্রির আগুনে পুড়ে যাওয়ায় প্রিয় প্রানী কোয়ালার জীবন হানিই শুধু হয়নি সেই সাথে ধ্বংস হয়েছে তাদের খাদ্য ও বাসস্থান। একটা ছবি দিলাম আমার গ্রুপ থেকে।

১৭ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:১১

খায়রুল আহসান বলেছেন: ছবিটা বড়ই কিউট! শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আমার ছবিগুলোর প্রশংসায় এবং পোস্টে প্লাস দেয়ায় প্রাণিত হ'লাম।
"আছো তো?" গল্পটা পুরনো হলেও, আধুনিক বলে মনে হলো। গল্প ভাল লেগেছে।
শুভকামনা....

০৭ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:৩৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: গত বছরের এ সময়ে অস্ট্রেলিয়ার সর্বগ্রাসী দাবানলে উদ্ভিদ ও প্রাণীকূলের যে ভয়ানক ক্ষতি হয়েছিল, তা ভাবতে গেলে এখনো শিউরে উঠি। বিশেষ করে নিরীহ প্রাণী কোয়ালা, ক্যাঙ্গারুদের সেই ভয়ার্ত চাহনি এখনো চোখে ভাসে।
আমরা যদিও দাবানলের স্থান থেকে বেশ খানিকটা দূরে অবস্থান করছিলাম, তবুও আকাশে বাতাসে কালো ধোঁঁয়াশা চোখে ভাসে আর কিছুটা পোড়া গন্ধও নাকে লেগে আছে যেন।
আপনার এ কিউট কোয়ালার ছবিটা দেখে মনে মায়া জাগে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.