নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্ষণিকের দেখা, এ মায়াময় ভুবনে - ৬

০১ লা নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৮

ভ্রান্তিযজ্ঞ

২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাস। উত্তরা ক্লাবে শুভমিতা আর রুপঙ্কর এর মঞ্চসঙ্গীত শুনছিলাম সস্ত্রীক এবং সবান্ধবে, একাগ্রচিত্তে, বেশ আনমনা হয়েই। আমার আসনটি ছিল একেবারে ‘আইল’ এর কিনারায়, তৃতীয় সারিতে। হঠাৎ সামনের সারি থেকে লাল পোষাকে সজ্জিতা এক তরুণী উঠে এল। ভেবেছিলাম হয়তোবা সে পেছনের দিকে যাবে, যেখানে চা-কফি ইত্যাদির আয়োজন ছিল। কিন্তু না, মেয়েটি আমাকে অতিক্রম না করে, আমাকে অনেকটা চমকে দিয়ে হঠাৎ করেই আমার পা ছুঁয়ে সালাম করলো। সে সময়ে মঞ্চে গান গাচ্ছিলেন শুভমিতা, আমার দৃষ্টি নিবদ্ধ ছিল শিল্পীর গায়কির প্রতি, তাই মেয়েটির মুখের দিকে তাকানো হয়নি। সালাম করা দেখে অনুমান করে নিয়েছিলাম, হয়তো পরিচিত কোন আত্মীয়া হবে সে। সালাম শেষে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে মেয়েটি বললো,"নাজীব মামা না?" ততক্ষনে আমি বুঝে গেছি যে সে ভুল করেছে; সেও বুঝে গেছে আমি তার 'নাজীব মামা' নই। মেয়েটি 'স্যরি' বলে দ্রুত প্রস্থান করলো, আমিও অনেকটা হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম। পাশে বসা আমার স্ত্রী ঘটনার আকস্মিকতায় অবাক হয়ে একবার আমার দিকে, আরেকবার তরুণীটির দিকে তাকাচ্ছিল। বন্ধু এবং তার স্ত্রীও এই নিয়ে একটু মুখ টিপে হাসলো। কিছুক্ষণ পর মেয়েটি তার মা সহ পুনরায় এলো। তারা উভয়েই পরিচিতির এই ভ্রান্তিযজ্ঞে কিছুটা বিব্রত হলেও, হাস্যকৌতুকের ছলে ব্যাপারটা হাল্কা করে দিল। আমিও এই ভ্রান্তিবিলাসটুকু বেশ উপভোগ করলাম। অনুষ্ঠানশেষে বের হওয়ার সময় পুনরায় মেয়েটির দেখা পেয়েছিলাম। কাছে ডেকে তাকে বলেছিলাম, আমি 'নাজীব মামা' না হলেও একজন অনাত্মীয় মামা হিসেবে তার প্রতি আমার আশীর্বাদ রইল।

বেঙ্গল বাম

সে বহুদিন আগের কথা, আমি তখন পঁচিশ বছরের যুবক, রংপুর সেনানিবাসে কর্মরত। কোন পূর্বাভাস ছাড়াই একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি মেঝেতে পা ফেলতে পারছি না। বাম পায়ের গোড়ালির ঠিক একটু উপরে ভীষণ ব্যথা। ডাক্তারের পরামর্শ মত ব্যথানাশক ঔষধ খাওয়া শুরু করলাম। প্রথমে দুই একদিন অল্প ডোজের প্যারাসিটামল জাতীয় ব্যথানাশক, তার পরেও কাজ না হওয়াতে ব্রুফেন বা আইবুপ্রফেন জাতীয় উচ্চ ডোজের এ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি এ্যানালজেসিকস খাওয়া শুরু করলাম। এতে সাময়িক উপশম হচ্ছিল বটে, কিন্তু ৫/৬ ঘন্টা পর পর ব্যথার পুনরাবৃত্তি হতো এবং ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা অনুভব করতে থাকলাম। অবস্থা বেগতিক দেখে রংপুর সিএমএইচে ভর্তি হ’লাম। সেখানে নানা রকম পরীক্ষা নিরীক্ষার পর চিকিৎসা চলতে থাকলো, কিন্তু ব্যথার স্থায়ী কোন উপশম হচ্ছিল না। দিনে তাও ব্যথা মোটামুটি সহনীয় থাকে, কিন্তু রাত বাড়ার সাথে সাথে ব্যথা তীব্র হয়। যেখানে ব্যথা হতো, সে জায়গাটা লাল হয়ে সামান্য ফুলে যেত এবং শরীরের অন্যান্য অংশের চেয়ে গরম হয়ে থাকতো। মাঝে মাঝে ব্যথা এত তীব্র হতো যে রাতে বিছানায় বসে বিনিদ্র রাত কাটাতে হতো।

প্রতিদিন সকালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রাউন্ডে এসে আমাকে স্মিতহাস্যে জিজ্ঞেস করতেন, ‘আজ কেমন আছেন’? আমি চেষ্টা করতাম বলতে যে ভাল আছি, কিন্তু আমার চেহারা আর পায়ের দিকে তাকিয়ে উনি বুঝতে পারতেন যে আমি ভালো নেই। কিছুক্ষণ ব্যথার জায়গাগুলো স্পর্শ করে এবং রিপোর্টগুলো পর্যালোচনা করে তিনি গম্ভীর মুখে বলতেন, এটা এক ধরণের আন-স্পেসিফাইড আর্থ্রাইটিস, সারতে কিছুটা সময় নেবে। আমি মেনে নিতাম এবং উনি চলে গেলে আমার পাশের বেডের রোগীর সাথে গল্পে যোগ দিতাম। মেডিক্যাল এ্যাসিসট্যান্ট সময় মত এসে ঔষধ দিয়ে যেত। ঔষধে কোন কাজ হচ্ছিল না বলে খেতে ইচ্ছে হতো না, তবুও খেতাম। রাতের শিফটে ডিউটিতে আসতো অস্থায়ী ভিত্তিতে সদ্য নিয়োগ পাওয়া এক তরুণ ওয়ার্ডবয়। চেহারায় তার দারিদ্র্যের ছাপ সুস্পষ্ট, কিন্তু মুখে একটা সারল্যের হাসি লেগে থাকতো। রাতে আমার ব্যথা বেড়ে যাওয়াতে সে আমাকে ঘন ঘন দেখতে আসতো। তার সাথে আমি অনেক গল্প করতাম, সেও অকৃত্রিম সারল্যে আমাকে তার জীবনের গল্প বলে যেত। তার নাম ধাম আজ মনে নেই, কিন্তু চেহারাটা স্পষ্ট মনে আছে। আজও আমি তাকে দেখলে চিনতে পারবো। সে শুধু আমাকে বলতো, স্যার পায়ে ‘বেঙ্গল বাম’ মালিশ করেন। আমি তাকে মায়া করতাম বলে তার কথাটাকে একেবারে উড়িয়ে না দিয়ে একটু হেসেই বলতাম, “এতবড় ডাক্তার আমাকে প্রতিদিন দেখে যাচ্ছেন, সেটাতে ভাল হচ্ছিনা, আর তোমার ‘বেঙ্গল বাম’ মেখে আমি ভালো হবো”? সে একটুও দমে না গিয়ে বলতো, “স্যার, আমার বাবারও এ রোগ হয়েছিল, তিনি ‘বেঙ্গল বাম’ মেখে ভালো হয়ে গেছেন”।

আমার ব্যথার উপশম হচ্ছেনা দেখে সে একদিন রাতে আমাকে বললো, “স্যার আমি আজ একটা ‘বেঙ্গল বাম’ নিয়ে এসেছি, আপনি একটু মেখে দেখেন”। ব্যথার তীব্রতায় ভুগতে ভুগতে নমনীয় হয়ে আমি একটু নিমরাজী ভাব প্রকাশ করলাম। আমি বিছানায় বসে পায়ের গোড়ালিতে এবং পাতায় হাত বুলাচ্ছিলাম, এতে একটু আরাম হচ্ছিল। সে বললো, “স্যার, আপনি বালিশে মাথা রেখে শুয়ে পড়েন এবং পায়ের গোড়ালিটা কম্বল থেকে একটু বের করে রাখেন, আমি মালিশ করে দিচ্ছি”। আমি তাই করলাম। সে খুব সুন্দরভাবে আলতো করে মালিশ করা শুরু করলো। আমি কিছুটা উপশম বোধ করতে করতে নিদ্রার কোলে ঢলে পড়লাম। সেদিন এক ঘুমে সকাল হয়েছিল। ভোরবেলা আমাকে ঘুমন্ত রেখেই সে ডিউটি শেষ করে বাড়ি ফিরে গিয়েছিল। যাবার আগে সে ‘বেঙ্গল বাম’ এর কৌটোটা আমার বেডসাইড ড্রয়ারে রেখে যেতে ভুলেনি।

কথায় বলে, ‘বিশ্বাসে স্বর্গ মেলে, তর্কে বহু দূর’! জানি, আজকের এ বিজ্ঞানের যুগে এমন কথা বলাটা শুধু হাস্যকরই নয়, নিদারুণ বেকুবিও বটে। অনেকদিন পর সে রাতে আমি ভালো করে ঘুমিয়েছিলাম। পরের দিনটা আগের দিনগুলোর চেয়ে বেশ ভালো ছিলাম। পরের রাতে সে ছেলেটি আবার ডিউটিতে এসে প্রথমেই আমার কাছে এসে জিজ্ঞেস করল, “স্যার আজ কেমন আছেন”? আমাকে কিছু বলতে হলোনা, সে নিজেই বললো, “দেখে তো মনে হয় আজ আপনি আগের চেয়ে কিছুটা ভালো আছেন”। আমি হেসে বললাম, ‘যেমন দেখছো, তেমনই আছি’। এর পরে আরও সপ্তাহ খানেক হাসপাতালে ছিলাম। আমি সেই তরুণ ওয়ার্ডবয়ের প্রেস্ক্রিপশন অনুযায়ী নিজেই নিজের পায়ে ‘বেঙ্গল বাম’ মালিশ করে যাচ্ছিলাম। প্রতিদিনই একটু একটু করে অবস্থার উন্নতি হচ্ছিল। হাসপাতালের দেয়া ঔষধের কোন পরিবর্তন হয়নি, একই ঔষধ খাচ্ছিলাম, তবে গোপনে যোগ হয়েছিল সেই ছেলেটির দেয়া ‘বেঙ্গল বাম’ এর মালিশ। কোনটিতে কাজ হয়েছিল জানি না; হয়তো ঔষধে, নয়তো ‘বেঙ্গল বাম’ এ। কিংবা কোন ঔষধ না খেলেও হয়তো এমনিতেও ভালো হয়ে যেতাম। তবে মন বলে, সেদিন বিশ্বাস করে সেই ছেলেটির ‘বেঙ্গল বাম’ মালিশ করার পর থেকেই না আমি প্রথম ব্যথার উপশম অনুভব করেছিলাম। তারও দৃঢ় বিশ্বাস ছিল, ‘বেঙ্গল বাম’ মাখলে আমি ভালো হয়ে যাবো। জগতের অনেক অদৃশ্য সমীকরণ বোঝাটা অনেক সময় মানুষের সাধ্যের অতীত। আমি তার কোন স্বজন ছিলাম না। আমার ব্যথার উপশম করানোটা তার দায়িত্ব ও কর্তব্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল না। তথাপি সে স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে আমাকে কিছুটা রিলিফ দিতে এগিয়ে এসেছিল, শুধুমাত্র ভক্তি এবং মায়ার বশবর্তী হয়ে। হাসপাতাল ত্যাগের পরে সেই ছেলেটির সাথে জীবনে আর কখনো দেখা হয়নি, হয়তো হবেও না। কয়েক বছর পরে একদিন খোঁজ নিয়ে জেনেছিলাম, সে ঐ চাকুরি ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে, কারণ তার চাকুরিটি পার্মানেন্ট ছিল না। কিন্তু তার দয়ার কথা আমার পক্ষে ভোলা কখনো সম্ভব নয়। সে আজ যেখানেই থাক, আল্লাহ যেন তাকে ভালো রাখেন সুস্বাস্থ্যে, সপরিবারে!



ঢাকা
২৪ অক্টোবর ২০২১
শব্দ সংখ্যাঃ ৯৯৭

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৪৬

ইসিয়াক বলেছেন: চলার পথে অচেনা / স্বল্প চেনা মানুষের ভালোবাসা অনেক সময় নিখাঁদ হয়। কোন উপকারে স্বার্থ থাকে না সেটাতে । একসময় তারা হারিয়ে যায় চিরতরে।আমি আমার জীবন চলার পথে এমন অনেক মানুষের সান্নিধ্য পেয়েছি। যারা আমার দুঃখ কষ্টকে ভুলিয়ে দিতে সাহায্য করেছে নিঃস্বার্থ ভাবে। আল্লাহ হয়তো তাদেরকে উছিলা হিসাবে পাঠান।সবই আল্লাহর রহমত।

প্রিয় ব্লগার আপনার বর্ণিত ছেলেটি তেমনই একজন। এই সব মানুষগুলোর জন্য পৃথিবীতে আরও আরও অনেকদিন বেঁচে থাকতে ইচ্ছে হয়।

শুভ কামনা রইলো।

০১ লা নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৩৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথম মন্তব্য এবং প্রথম প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
পোস্ট পড়ে আপনার জীবনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করায় প্রীত হ'লাম। আপনার ধারণা সঠিক।

২| ০১ লা নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৩৮

জুল ভার্ন বলেছেন: অসাধারণ সুন্দর করে লিখেন আপনি!!!

০২ রা নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:১৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। প্রশংসা কে না চায়?
আপনার প্রশংসায় এবং পোস্টে দেয়া প্লাসে অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম।

৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর লেখা। পড়ে আরাম পাওয়া যায়।

০২ রা নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:১২

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত হ'লাম।

৪| ০১ লা নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:১৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: দুটি ঘটনাই মনে দাগ কাটার মত। ভালো লেগেছে লেখাটা।

০২ রা নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৩৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: "ভালো লেগেছে লেখাটা" - অনেক ধন্যবাদ। প্রীত ও প্রাণিত হ'লাম।

৫| ০১ লা নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:১৮

উদারত১২৪ বলেছেন: ভালো লাগলো

যে তাফসীরে কিতাব লেখার জন্য সাইয়্যিদ কুতুব (রহ:) কে ফাঁসি দেয়া হয়েছিল

০২ রা নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:০১

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা আপনার "ভালো লাগলো"- সেটা ভালো কথা। কিন্তু প্রত্যেকের পোস্টে গিয়ে আপনি কোন প্রসঙ্গ ছাড়াই লিঙ্ক বিতরণ করে আসছেন, এ অভ্যেসটা মোটেই ভালো নয়। যেমন, আমার এ পোস্টের সাথে আপনার দেয়া লিঙ্কটার প্রাসঙ্গিকতা কোথায়?
লেখা ভালো হলে পাঠক নিজেই তা খুঁজে বের করে পড়বে, লিঙ্ক বিতরণ করতে হবে না। আশাকরি, আমার এ স্পষ্টবাচনে আপনি মনোক্ষুণ্ণ হবেন না।

৬| ০১ লা নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:২২

শেরজা তপন বলেছেন: দুটো লেখা পড়েই ভাল লাগল।
প্রথমটা মজার হলেও এমন ভুল অনেকের হয়।
অতি সাধারন ঔষধ বা টোটকায় অনেক সময় বড় রোগের উপশমতো হয়!

০২ রা নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: "প্রথমটা মজার হলেও এমন ভুল অনেকের হয়" - জ্বী, ঠিক বলেছেন। কিন্তু ওনারা মা-মেয়ে খুব দক্ষতার সাথে বিব্রতকর পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠেছিলেন।

"অতি সাধারন ঔষধ বা টোটকায় অনেক সময় বড় রোগের উপশমতো হয়!" - একদম ঠিক বলেছেন। আমার বেলায়ও হয়তো সেটাই হয়েছিল।

মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৭| ০২ রা নভেম্বর, ২০২১ রাত ২:৪৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সুন্দর এবং সাবলীল প্রকাশ। খুব ভালো লাগল।

০২ রা নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমারও খুব ভালো লাগল, আপনার এমন চমৎকার প্রশংসা পেয়ে।
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

৮| ০২ রা নভেম্বর, ২০২১ ভোর ৬:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


বেশীরভাগ সময়েই ভালো কিছু ঘটে, এবং সেটা জীবনের অংশ হয়ে যায়।

০২ রা নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৪১

খায়রুল আহসান বলেছেন: "বেশীরভাগ সময়েই ভালো কিছু ঘটে, এবং সেটা জীবনের অংশ হয়ে যায়" - চমৎকার মন্তব্য। অনেক ধন্যবাদ।

৯| ০২ রা নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:০৪

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
২য়টা বেশি ভাল লেগেছে। লক্ষ টাকার ঔষধে কাজ হয়না ২ টাকার শিকরে কাজ হয়- অনেক সময় এরকম ঘটে জীবনে। বিশ্বাস জিনিসটা সবচেয়ে মূল্যবান। সেই ছেলেটির জন্য মঙ্গলকামনা।

০২ রা নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:১৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: "বিশ্বাস জিনিসটা সবচেয়ে মূল্যবান" - অবশ্যই! 'সেই ছেলেটি'র মঙ্গল কামনা করার জন্য ধন্যবাদ।

১০| ০২ রা নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৫৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,





চমৎকার সত্যের মতো একটি অনুভব - "জগতের অনেক অদৃশ্য সমীকরণ বোঝাটা অনেক সময় মানুষের সাধ্যের অতীত।"
আপনার এই ক্ষনিকের দেখাগুলো মনে দীর্ঘকালীন ছাপ রেখে যায়!

০২ রা নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:০৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্ট থেকে উদ্ধৃতি দেয়ায় এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হয়েছি।
"আপনার এই ক্ষনিকের দেখাগুলো মনে দীর্ঘকালীন ছাপ রেখে যায়!" - এ কথাটাতেও।
আন্তরিক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা....

১১| ০২ রা নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫২

সন্ধ্যা রাতের ঝিঁঝিঁ বলেছেন: আপনার লেখা সবসময়ের মত সহজ, সাবলীল আর ঝরঝরে। পড়ে ভালো লাগলো।

০২ রা নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:০৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেকদিন পরে পোস্টে আপনার মন্তব্য পেয়ে প্রীত হ'লাম।
জীবনে চলার পথে চারিদিকে যা কিছু দেখি, যা কিছু ভাবি, সেগুলোকেই সহজভাবে বলার (পড়ুন লেখার) চেষ্টা করি। এমনই একটা প্রয়াস আপনার ভালো লেগেছে, জেনে প্রাণিত হ'লাম।
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

১২| ০২ রা নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৮

সোহানী বলেছেন: আমার বিশ্বাস, এ ধরনের মালিশ অবশ্যই কাজে দেয়। এই যে এতো এতো ফিজিওথ্যারাপি ব্যবসা, তাতো অনেকটা বেঙ্গল বাম মালিশ করার মতো।

ওর বাপরে, উপরে ডাক্তার বাবু জিএস ভাই আছেন। এর চেয়ে বেশি ডাক্তারী ফলাতে গেলে উনি মানহানীর কেইস করে দিবেন..... হাহাহাহা

আসলে সত্যি কথা, ক্ষনিকের দেখা কিছু মানুষের পরিচয় আচার আচরন খুব দাগ কাটে যা কখনই ভোলা সম্ভব নয়। আপনি লিখে রেখে ও প্রকাশ করে বরং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছেন। আমিও একদিন আপনার মতো করে লিখবো অবশ্যই।

০৩ রা নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৩৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: "আমিও একদিন আপনার মতো করে লিখবো অবশ্যই" - জ্বী অবশ্যই, এবং আমি নিশ্চিত যে আপনি লিখলে সেগুলোর মান আরো অনেক ভালো হবে।
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

১৩| ০২ রা নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:২৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আসছি স্যার

০৩ রা নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:১৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: আসুন, অপেক্ষায় আছি।

১৪| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:০০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার প্রকাশ, জীবনে অভিজ্ঞতার ঝুলি সবার ই আছে আপনার মত সাবলীল প্রকাশ খুব আছে।
শুভ কামনা।

০৩ রা নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৪৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রেরণাদায়ক মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ। প্রীত ও অনুপ্রাণিত হয়েছি।
জীবনে চলার পথের দিকে যখন পিছু ফিরে তাকাই, তখন মনে রেখাপাত করে যাওয়া, ক্ষণিকের দেখা কিছু মুখের কথা মনে হয়, তাদের স্মৃতির কথা মনে পড়ে। এমন কয়েকজনকে নিয়েই লেখা হচ্ছে আমার এ সিরিজটা।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

১৫| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:৫৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




কথায় বলে, ‘বিশ্বাসে স্বর্গ মেলে, তর্কে বহু দূর’! জানি, আজকের এ বিজ্ঞানের যুগে এমন কথা বলাটা শুধু হাস্যকরই নয়, নিদারুণ বেকুবিও বটে। অনেকদিন পর সে রাতে আমি ভালো করে ঘুমিয়েছিলাম। পরের দিনটা আগের দিনগুলোর চেয়ে বেশ ভালো ছিলাম। - বিচিত্র কারণে আমিও আপনার সাথে একমত।

বেঙ্গল বাম ও জামবাক এর অভিজ্ঞতা আমার আছে। কি কারণে ও কেনো এতো উপকারী বাম ছিলো তার উদাহরণ ব্যাখ্যা করা প্রায় অসম্ভব বিষয়। স্মৃতিময় গল্পগুলো আমার পড়তে বেশ ভালো লাগে। আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৩৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: "স্মৃতিময় গল্পগুলো আমার পড়তে বেশ ভালো লাগে" - লেখাটা পড়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।

১৬| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:০৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: রেসপেক্টটেড স্যার,

আশাকরি ভালো আছেন।
আপনার এই সিরিজটা বেশ উপভোগ্য;অনুকরণীয় বটে। জীবনে চলার পথে এমনি কিছু মানুষের সঙ্গে এক মুহূর্তের সাক্ষাৎ হৃদয়ের ক্যানভাসে রয়ে যায় বহুবছর ধরে।আর এখানেই সাধারণ মানুষের সঙ্গে অনুভূতিশীলদের অভিব্যক্তি ভিন্নতর হতে বাধ্য। আমাদের যাদের দৃষ্টির গভীরতা নেই তারা অবশ্য এসবের মধ্যে বলার মতো কোনো কিছু খুঁজে পায়না। আপনার ভ্রান্তিবিলাশ সম্পর্কে তেমন কিছু এই মুহূর্তে মনে পড়ছে না। তবে বেঙ্গল বাম বা অনাত্মীয় ছেলেটি হৃদয় কাড়া ঘটনার প্রসঙ্গে একটা ঘটনা মনে পড়েছে। উড়িষ্যার কাশ্মীর বলে পরিচিত দারিংবাড়ি। গোপালপুর থেকে যার দূরত্ব ১৮০ কিমি। দীর্ঘ রাস্তায় যেতে যেতে ফল খাওয়ার প্লান নেওয়ার কারণে রাস্তার মাঝে কোনো এক স্থান থেকে নানারকম ফল কিনি। এমন সময় লক্ষ্য যায় দূরে এক মহিলা বিক্রেতার দিকে।যিনি শুধু নারকেল বিক্রি করছিলেন। উল্লেখ্য ওনারা বাংলা ভাষাটা বেশ বোঝে। পশ্চিমবঙ্গের বাইরে উড়িষ্যাতে ঘুরতে একারণে বেশি ভালো লাগে। যাইহোক ভদ্রমহিলা আমাদের ডাকলেন এবং অনুরোধ করতে লাগলেন যাতে আমরা ওনার কাছ থেকে নারকেল কিনি। আমরা আটজনের জন্য দুটি নারকেল কিনেছিলাম। কিন্তু উনি একটা ফ্রিতে আমাদের নিতে বলেন। আমরা তা নিতে অস্বীকার করলেও উনি অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে নারকেল কেটে পিস করে করে আমাদের হাতে একপ্রকার জোর করে ধরিয়ে দেন। ওনার সেই অকৃত্রিম স্নেহ আজো আমার চোখের সামনে ভেসে ওঠে। অচেনা অজানা পথচলতি একদল মানুষের মধ্যে উনি কি এমন পেয়েছিলেন জানিনা কিন্তু নারকেল বিক্রেতা আম্মা যে হৃদয়ে পাকাপাকি ভাবে স্থান করে নিয়েছেন তা অস্বীকার করতে পারিনা। আমরা কলকাতা বা তার আশপাশে মহিলাদের মাসি বলি। কিন্তু উড়িষ্যাতে ওরা আম্মা বলে। সেদিন প্রথম খেয়াল করি স্থানীয়রা মহিলাদেরকে আম্মু বলে সম্মোধন করছেন। ভালো লেগেছিল এমন ছিন্ন মলিন বস্ত্রের সহায় সম্বলহীন মানুষদেরকে এমন মিষ্টি করে আম্মা বলে ডাকতে।

ভালো থাকবেন স্যার সবসময়।

০৫ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:২৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ে আপনার উড়িষ্যার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। সেই স্নেহশীলা "আম্মা"কে শ্রদ্ধা ও সালাম!
বিশ্লেষণাত্মক মন্তব্য এবং প্লাসে প্রীত ও প্রাণিত হ'লাম। দোয়া এবং শুভকামনা.....

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.