নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খালিদ মোশারফ ,আইআর , ১৪ তম ব্যাচ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

খালিদ১২২

আমার সব কাজ সারা কোন একটা যেন বাকি রয়ে গেছে ......

খালিদ১২২ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আরণ্যক রাখাল সমগ্র। কবিতা।

২১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:৩৪




আমার কবিতার খাতা আরণ্যক রাখালকে
নিয়ে সহজেই পথে হাটা পাশ কাটা
দেখা হয়েছিল তার সাথে মহাকালের পাতাতে
পুরানের পাতাতে পাহাড়ের ঢালুতে
মহাজজ্ঞের মহা আরণ্যক, মহাকালের আরণ্যক
লতাপাতায় লুটোপুটি খাওয়া
কেচো সাপ কচ্ছপ মাখা আরণ্যক
আরণ্যকের সাথী ছিল , নদী ছিল
নৌকায় পাল তোলা
সমুদ্রের ভেতরে যাওয়া অসম্ভব
ছিল না তার কাছে
ছিল প্রভূর যপমালা
আরণ্যক সভ্যতার মাঝে কবে যাবে তুমি?
সেই যে রাগ করে ঘর ছাড়েলে
সবাই তোমাকে পাগোল বলেছিল বলে
দেখ আরণ্যকের সাথে থাকে
ধ্যানের জগতের হিরা রত্নের মনিমালা
এর পরেও কাচ ও তুলার মত প্রিয়সী তার
তাকে করেছিল অবহেলা
আরণ্যক মহাকালের সিজদার আরণ্যক
অতীত বর্তমান ভবিষ্যত মধুমাখা
গাছ পালা করে তার সাথে লুটোপুটি
এক আত্মা এক প্রাণ প্রভূর ধ্যানে মাখা।
আরণ্যক ঘরে ফেরো ,রাগ করো না
মন ও কাঁধ নিয়ে ফেরো আরণ্যক
অনেক ধ্যান হল তোমার
লতাপাতা গাছপালা লুটোপুটি মাখা।

প্রীয়সি অারণ্যক রাখালকে ঠেকিয়না
ঘুরে বেড়াতে দাও
খালি গায়ে পরনের কাপুড়ে
লেগে রোদ, বৃষ্টিতেও ভেজে অারণ্যক
চুলের বাধনে বেধ না তাকে
শাড়ীর বাধনে বেধনা
খুব কায়দা করে পথ চলা
পাশ কাটানো আরণ্যক রাখাল
বহুদিন থেকে ধ্যানের পাতা
দাড়ি ও আলো চেহারা
পাহাড়ের উপরে অরন্যের মাঝে
স্বর্গের এক চাবি পেল প্রভূর ক্ষমতাতে
পেল সম্পদ বৃদ্ধির চাবি
জ্ঞান বৃদ্ধির চাবি
দুশ্চিন্তা দূরিকরণে এক চাবি
আর কল্যানের চাবি
সাত বছর ধ্যানে থেকে
পাহাড়ে সে দেখেছিল আলো
হাতে তার লাঠি , বকরির পাল
খোলা আকাশটা কাছে
বুকে আরাধনা
প্রভূর দেওয়া জ্ঞান করে তার সাথে খেলা
জ্ঞান চিন্তায় তার প্রভুর ক্ষমা
প্রভূর আশীর্বাদ
প্রভূর দয়া ও ক্ষমতা
অফরন্ত দানকে স্বীকার করে
প্রভূর প্রশস্তি গাওয়া
আরণ্যক রাখাল।

যজ্ঞের রাখাল তরুন রাখাল প্রেমিক রাখাল
আমি আরণ্যক রাখাল
ধ্যান ভেঙ্গনা আমার
কাঠ খড়ি পুড়াচ্ছি
তিনটি জিনিস আমাকে নিয়ন্ত্রন করে
এক আমারে আত্মজগত
দুই আমার প্রিয়সী
তিন আমান প্রভূ
দেখ আমার যজ্ঞের পাশে প্রিয়সী
বাতি হাতে দাড়িয়ে
আমি আমার রিপু নিয়ে থাকি সবসময়
পূজিবাদের ধুলো আমার গায়ে
সবকিছু আপাতত ভুলে
যজ্ঞের মাঝে প্রভূর ধ্যানে
পাহাড়ের উপরে গাছের আড়ালে
দেখ প্রভূর বাণি ভাংছি
প্রিয়সী বাতি হাতে ফিরে যাও
হে আমার আত্মজগত তুমি রিপুকে ভুলে যাও
আমি প্রভূর প্রত্যেকটি আদেশ মানব
সেইজন্য আত্মনিয়ন্ত্রণের জায়গা খুজতে দাওে।

আরণ্যক রাখালের পায়ে দড়ি
হাতে সুতা বাধা
সময়ের সমদ্রে সে নিয়ম মাখা
হাতে তার ঘুড়ি
চলে আকাবাকা
টানলেই চলে আসে কাছে
তারুন্য মাখা
যেতে হবে মহাকাল
জবাবে ঢাকা
দ্বায়িত্ব কাধে নিয়ে রাখালের চলা
গরু বাছর বকরি তার আমানতে ঢাকা
এ আমানত মালিকের এ কথা মনে রাখা
মহাকালের মহাকাশ তার উপরে চাওয়া
অবাক এক আরণ্যক আত্মশুদ্ধি ঢাকা।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:৫২

আজনাদ মুন বলেছেন: ভালো লাগলো

২| ২১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:০১

টাইম টিউনার বলেছেন: ভালো লাগলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.