নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খালিদ মোশারফ ,আইআর , ১৪ তম ব্যাচ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

খালিদ১২২

আমার সব কাজ সারা কোন একটা যেন বাকি রয়ে গেছে ......

খালিদ১২২ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আরণ্যক কাব্য (নতুন)

২১ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:৪৬



1
শহ‌রের ইটে মা‌ঝে থাকা
বই পত্র টি‌ভি আর খেলা
আরণ্যক‌কে ক‌রে না আকৃষ্ট
আরণ্যকের মন দূ‌রে মেলা
সবাই ভা‌বে আরণ্যক পা‌গোল
আর আরণ্য‌কের হ‌বে না চলা
হাব ভাব তার অটিজ‌মে ভরা
আরণ্য‌কের মন প‌ড়ে থা‌কে কোথায়
একথা যায়‌কি বলা?
শহ‌রের আরণ্য‌কে মন প‌ড়ে থা‌কে মা‌ঠে
‌কোথায় যেন দে‌খে‌ছিল বক‌রির পাল
আকাশ সূর্য সম‌দ্র মেলা
আরণ্যক ভাসায় চিন্তার মা‌ঝে
‌চিন্তার ভেলা
‌তোমরা আরণ্যককে বেধে রাখ‌তে পার‌বে না
তা‌কে এনে বকরির পাল
সমুদ্র পাহাড় ,গাছ পাতা মেলা
ভ‌রে যা‌বে তার মন আনন্দ মেলা।
আরণ্য‌কের জগত ক্ষমা উদারতায় ভরা
ধ্যান জ্ঞা‌নে তার আছে শুধু
আকা‌শের অনুকর‌ণে উদারতা ভরা।
2
কাচ দি‌য়ে তৈ‌রি যেন আলো চেহারা
ধ্যা‌নে তার মন
ঘ‌রে ক‌রে প্রিয়সী অপেক্ষা
আরণ্যক ঘ‌রে ফে‌র
‌তোমার প্রিয়সী কর‌ছে অপেক্ষা
মধ্যরা‌তে ভে‌বে দেখ
প‌ড়ছে কি তার চো‌খের পল‌কের পাতা?
আরণ্যক ধ্যান ভঙ্গ কর
প্রভূ ধ্যান অনেক হল
লু‌টোপু‌টি ভা‌লোবাসা
এ‌দি‌কে ধ্যান ওদি‌কে প্রিয়সী
দু‌দি‌কে আরণ্যক স‌য়ে থাকা

‌পাহা‌ড়ে‌র ছে‌লে আরণ্যক
উচু পর্বত নদীর পা‌শে।
শহর ও সভ্যতার ছে‌লেরা
বই‌তে যা কিছু প‌ড়ে
আরণ্যক সে দৃশ্য হা‌তে
স্পর্শ ক‌রে ও চো‌খে বন্দী ক‌রে রা‌খে।
আরণ্যক গা‌য়ের ছে‌লে।
শহ‌রের ছে‌লেরা তোমরা
পার‌বেনা তার সা‌থে।



ধ্যা‌নে ব‌সে থাকা আরণ্যক
প্রকৃ‌তি‌তে কান পাতা আরণ্যক
পূ‌জিবাদের ধু‌লো না লাগা আরণ্যক
‌প্রিয়সির প্রে‌মে আট‌কে গে‌লে
পা‌ল্টে গে‌লে
সাত পা‌কে বে‌ধে দিল
আর বৃ‌ষ্টি‌তে ভিজ‌তে দিল না
রৌ‌দ্রে পুড়‌তে দিল না
আরণ্যক ফি‌রে এসো
পু‌জিবাদ আর রিপু থে‌কে
ধ্যা‌নে ফিরে এস‌ো
‌তোমার পূ‌জিবাদ ও প্রিয়সী‌কে সা‌থে ক‌রে।

কবিতার নায়ক আরণ্যক
রৌদ্রে লুটোপুটি, বৃষ্টিতে ভেজা
গাছের পাতা, লতা পাতা বোটা
উপস পেটে তার সুখ লক্ষী করে খেলা
একমুঠো হাতে তরুণ রাখালের লাঠি
সামনে তার বকরির পাল
আরণ্যকের চিন্তা করে খেলা
উপরে মহাকাশ চিন্তায় মহাকাল
বুকে তার সুখ তৈরির যন্ত্র
সবসময় শান্তি আর শান্তি
পূজিবাদের ধুলো তার গায়ে লাগেনা
লাগে কিছু তার প্রিয়সির গায়ে
শত ঝামেলার মাঝে দেখ
আরণ্যক আকাশে তাকায় মাঝে মাঝে
প্রিয়সির দেওয়া সাত কাজ
আর সংসারের তরি তরকারি আনার কাজেও
আরণ্যকের মাঝে সুখ তৈরির যন্ত্র খেলা করে।
আরণ্যক তুমি বৃষ্টিতে ভেজ তোমার জর হয় না?
আরণ্যক বাড়ী ফেরার দেরি হলে
তোমার প্রিয়সী বকে না?
এসবের উত্তর লাগে না
সাথে তার আছে যে সুখ তৈরির যন্ত্র
তাই নিয়েই আরণ্যক বেঁচে
এ এক অপার কৃপা অপার দান
বুকে তার বাজে।


মহাকালের মহা আরণ্যক
সৃষ্টিতত্বে ঢাকা
আরণ্যকের পায়ে তার প্রিয়সীর ছক বাধা
আরণ্যক পাহাড়ের ঢালে লুটোপুটি
লাঠি দিয়ে ছক আকা
আরণ্যক সব কিছু খেয়ে ফেলে
চিন্তার চাকা
প্রিয়সীকে সাথে করে ঘরে তার ফেরা
প্রিয়সীর কোলেও চিন্তা
লুটোপুটি খেলা
মাঝ রাতে ওঠে সে
হাত মুখ ধোয়া
প্রভূর কাছে নিজের আত্মকে
আপন করে সপে দেওয়া
হে পাহাড়ের আরণ্যক প্রিয়সীর আরণ্যক
এক ছকে আকা
আরণ্যকের চিত্রপট প্রভূতে ঢাকা।

আরণ্যক রাখালের পায়ে দড়ি
হাতে সুতা বাধা
সময়ের সমদ্রে সে নিয়ম মাখা
হাতে তার ঘুড়ি
চলে আকাবাকা
টানলেই চলে আসে কাছে
তারুন্য মাখা
যেতে হবে মহাকাল
জবাবে ঢাকা
দ্বায়িত্ব কাধে নিয়ে রাখালের চলা
গরু বাছর বকরি তার আমানতে ঢাকা
এ আমানত মালিকের এ কথা মনে রাখা
মহাকালের মহাকাশ তার উপরে চাওয়া
অবাক এক আরণ্যক আত্মশুদ্ধি ঢাকা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.