নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খালিদ মোশারফ ,আইআর , ১৪ তম ব্যাচ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

খালিদ১২২

আমার সব কাজ সারা কোন একটা যেন বাকি রয়ে গেছে ......

খালিদ১২২ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আরণ্যকের জীবনী।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:০৮

আরণ্যকের আত্মজগতে শক্তি ছিল।চার দেয়ালের ভেতরে থেকে ওর মন পড়ে থাকত বনে ।যেন বনেই ওর সৃষ্টি হলে ভালো হত।দেখতাম ও স্কুলে সবার সাথে মিশত ।কিন্তু ওকে সবার মাঝে আলাদা মনে হত।আমি জানি ও আজ পড়া পেরেও স্যারের হাতে মার খাবে।
আমি ওর পিছু নিতাম । কিন্তু উকে ধরেও ধরতে পারতাম না।
স্কুলের প্রথম ক্লাসে পড়া পারা সত্তেও স্যার ওকে মারল কারণ
ও মাষ্টার মানুষের ছেলে । তাই উকে আরো মার খেতে হবে। তবেই তো ও আরো পড়া পারবে।বাবা শিক্ষককে মারার স্বাধীনতা দিয়েছি।আজ আরণ্যকের বুক জ্বলে গিয়েছে ঘামে। মার খেয়ে হাত পা কাপছে। শিক্ষক ক্লাসে আসলেই আরণ্যকের হাত পা কাপত । এখভাবেই কি আরণ্যকের কাব্য জগৎ তৈরি হবে একদিন?
আমি একজন লেখক। সব সময় আমার স্বভাব আগে ভাগেই সবকিছু বলে ফেলা ।লেখক হিসেব আমি ভালো নয় তা আমি জানি। কিন্তু আরণ্যককে ফ্রেমে বন্দী করতেই হবে। সেইজন্যে আরলণ্যকের পিছনে লাগলাম। ও সবাইকে মিশতে নিত। কিন্তু কায়দা করে সবাইকে এড়িয়ে চলত। আমার বয়স এখন দশ বছর । আরণ্যক আমার বাল্য বন্ধু -ছোট থেকেই ওর সাথে আমার চলাফেরা। প্রয়োজনে ওকে ফ্রেমে বন্দী করার জন্য আমি আরো সাহিত্য পড়ব।তবে আরণ্যককে উপরে তুলতেই হবে।
আমি জানি আরণ্যক মায়ের মারের ভয়ে স্কুল থেকে বাড়ী যাবে দেরিতে।আরণ্যক আমার বাড়ীর পাশের ছেলে।ছোট বেলায় থেকে দেখতাম আরণ্যক ছিল শান্ত । মার খাওয়া ওর স্বভাব। মা মারবে কারণ আরণ্যককে মানুষ হতেই হবে। বেশী মার খেলে আরণ্যক বেশী মানুষ হবে। আমি আরণ্যকের হাটা দেখতাম আর ভাবতাম আরণ্যক কতদূর যায় তাই দেখব। দেখতাম সে সাত পথ ঘুরে বহুদূর ঘেটে ঘেটে সন্ধার আড়ালে বাড়ী ফিরবে। বাড়ী ডুকলো মা নামাজ পড়ছে। বাবা বিছানায়। শুয়ে আছে। আরণ্যকের হাত পা কাপছে।
আরণ্যককে দৃশ্যে ডুকাবো। আরণ্যককে পটে আঁকব। আরণ্যকের ছবি আকব। এই আমার কল্পনা। হে সেটাই কি হবে? তবে যাই হোক মায়ের নামাজ পড়া শেষ হল। মায়ের নামাজ পড়া শেষ হল।“ হেরে আরণ্যক তুই কি টাকা চুরি করেছিস-তাই না?। ” মায়ের প্রশ্ন । আরষণ্যকের আর মাথা সরে না ।বাবা উপস্থিত। আরণ্যক অস্বীকার করতে পারেনি। বাবা বলল “ওকে দুটো গরু কিনে দিব। পড়া লেখা আর ওর দারা হবে না। “ মা যে ওকে মারল না আজ । এটা ওর বড় পাওনা।
যাইহোক সেই চোর আট টাকা চোর আরণ্যক চকলেট ,ঝালমুড়ি ও পাপুড় খেয়ে বাড়ী ফিরেছিল। বাবার কড়া্ শাসন ও মায়ের কড়া বকুনিতেও আরণ্যক খুশি । কারণ আরণ্যকের মাথায় পিঠে মার পড়েনি। সে খুব খুশি। বিশ্ব জগতে এটা যেন তার বড় ভাগ্য।
দেয়ালের আড়ালে দেয়াল থাকে কিনা জানিনা। তবে আরণ্যকের ভেতরে দেয়াল ছিল । আর সেই দেয়ালে আরণ্যক লিখেছিল যে আমার বাবার মা খুব টাকার অভাব। ছোট আরণ্যক এটুকু মাথায় ডুকেছিল।
আরণ্যক আবার বনে ফিরে যাবে । আর বাঘ বাঘ খেলা করবে। এই বই । এই তার বন। আরণ্যক মনের ভেতবে বনের ছবি আকত তা আমি জানতাম না

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৩১

রাতুল_শাহ বলেছেন: বেশ ভালো লিখেছেন

২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৪৯

কালীদাস বলেছেন: লেখাটা সিম্পল প্লটের উপর হলেও সুন্দর।
বেশ কিছু বানান ভুল আছে, ঠিক করে নেবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.