নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খালিদ মোশারফ ,আইআর , ১৪ তম ব্যাচ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

খালিদ১২২

আমার সব কাজ সারা কোন একটা যেন বাকি রয়ে গেছে ......

খালিদ১২২ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামে ফিকশন বা সাহিত্য চর্চার অনুমতি আছে কিনা? সাহিত্য ও ধর্ম বনে না কেন?

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:২০



কল্পনা মিশ্রিত কাহিনী , সাইন্স ফিকশন, গল্প , উপন্যাস , কবিতা লেখা যাবে কিনা? যদি ইসলামে এর অনুমতি থেকে থাকে এর সীমানা কতটুকু। ইসলাম অনুমোদিত কতগুলো সাহিত্যর নমুনা পেলে ভালো হত। নজরুলের সাহিত্য , জসীমউদ্দেনের সাহিত্য ইত্যাদি ইসলাম অনুমোদিত সাহিত্য কিনা জানিনা। পৃথিবীতে যেগুলো বস্তুবাদী সাহিত্য যেমন মা, ইস্পাত, মানুষের মত মানুষ , মাধুকুরি ইত্যাদি। বস্তুবাদী বলতে বোঝাতে চাচ্ছি যে এগুলো আখেরাতকে টার্গেট করে রচিত হয়নি। আবার নকসী কাঁথার মাঠ, শিউলি মালা এগুলো ইসলামকে টার্গেট করে রচিত হয়নি। তাহলে ইসলামের উপযুক্ত সাহিত্য কোনটা। সেরকম বিখ্যাত সাহিত্য কি আছে কিনা?
এবার আমি দ্বিধান্বিত হলাম। ইসলামের সাহিত্যের মোডেল কোনটা।

সাহিত্য ও ধর্ম বনে না কেন? সাধারণত বলা হয় সাহিত্যিকরা নাস্তিক হয়। মানে তারা প্রথাগত ধর্মের অনুনারি হয় না। তাহলে ধর্মের সাথে সাহিত্য কি আলাদা?
গানের মাঝে প্রিয়সীর মুখ লুকিয়ে থাকা, বাদ্যযন্ত্র, কবিতাতে প্রিয়সীর অধিকার করে থাকা, গল্পতে কল্পনা মিশ্রণ, বিজ্ঞানের কল্পকাহিনী ইত্যাদি বিবেচনা করলে কি বিষয় বা ফলাফল আসবে জানিনা। ইসলামি সাহিত্যে সৃষ্টিকর্তার অধিকার কতটুকু? তাকে উদ্দেশ্য করে নিশ্চয় লিখেতে হবে?

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



শুধুমাত্র 'ফিকশনই' অনুমোদিত

২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



ঈশা (আ:) এক কানা লোকের চোখে বালি লাগায়ে দিলেন, লোকটা দেখার শুরু করলেন, ফিকশন অনুমোদিত

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৪০

খালিদ১২২ বলেছেন: চাঁদগাজি সাহেব । আমি বিষয়টা নিয়ে দ্বিধান্বিত বলেই প্রশ্নের অবতারণা করেছি।

৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:৩২

জাহিদ অনিক বলেছেন: ইসলামে তো অনেক কিছুই হারাম ।
কবিরা সেখানে আরো বেশি হারাম । কোরানে আয়াত আছে, পথভ্রষ্ট লোকেরাই কবিদের অনুসরণ করে।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৫

খালিদ১২২ বলেছেন: কুরআন কবিতার মত করে ছন্দে লিখিত বই। নবী স. ভালো কবিতা লিখতে বলতেন।

৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৫:১২

একজন সত্যিকার হিমু বলেছেন: ইসলামে তো দেখি সবকিছুই হারাম ।একটু কলম চালানোর উপায়ও নেই !

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৮

খালিদ১২২ বলেছেন: লেখা নিয়ে আমার মনে প্রশ্ন ছিল । তাই আমি বিষয়টা অবতারণা করেছি।

৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:২১

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আলী যখন কাফের দস্যু মারহাবের সাথে খন্ড যুদ্ধে লড়তে গেল তখন কবিতা আবৃত্তি করতে করতে গেল। আবার যখন তাকে কতল (নিহত) ফিরে আসল তখন কবিতা আবৃত্তি করতে করতে আসল।

ততকালীন পারস্য ও রোমান শক্তির অন্যতম আতঙ্ক ছিল খালিদ বিন ওয়ালিদ ( অনেক পাশ্চত্য পন্ডিত মনে করে, খালিদের বাহু বলের কারণেই ইসলাম পৃথিবীতে টিকে থাকতে পেরেছে। কারণ তৎকালীন পরাশক্তি পারস্য ও রোম খালিদের হাতে নাস্তানুবাদ হয়েছে) সেই খালিদের প্রশংসা করে জৈনিক কবি একটি কবিতা লিখেছিলেন। খালিদ খুসি হয়ে তাকে স্বর্ণ মুদ্রা দান করে ছিলেন। খলিফা উমর এই স্বর্ণ মুদ্রার উৎস বা কোথা থেকে আয় হয়েছে তা জিঙ্গেস করলে সে ঠিক মত হিসাব দিতে পারেনি। কারণ, খালিদ যুদ্ধে পাকা হলেও হিসেবের বেলায় ছিল উদাসিন। হিসাব ঠিক মত না দেয়ার কারণে খালিদের চাকরী চলে গিয়ে ছিল।

এখানে উল্লেখ্য যে, ওমর সেই কবির বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেননি। ইসলামী কবিতা রচনা করতে নিষেধ করা হয়নি। তবে, কারো কুৎসা, ব্যক্তি স্বার্থের পরিপন্থি হয় এ রকম কবিতা রচনা করতে নিষেধ করা হয়েছে, যেটির জন্য এখন আমরা গলা ফাঁটাচ্ছি এবং সামুও এই নীতি মেনে চলে।

অনেক সাহাবীও রাসূল (সা:) এর প্রশংসা করে কবিতা লিখেছেন। আরবী সাহিত্যের উৎসই হলো কাব্যিক রীতি।

পবিত্র কোরআনও এই নীতির ব্যতিক্রম হয়নি।

যেমন: সূরা ফাতিহা

আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আ’লামীন
আর রাহমানির রাহীমি
মালিকি ইয়াওমিদ্দীন
ইয়্যাকা না’বুদু ওয়া ইয়্যাকা নাস্তাঈন
ইহ্দিনাস্ সিরাতাল মোস্তাকীম
সিরাতাল্লাজীনা আন আমতা আলাইহিম -
গাইরিল মাগদূবি আলাইহিম-
ওয়ালাদ্দোয়াল্লিন আমীন

এখানে খেয়াল করলে দেখবেন যে, প্রতিটি লাইনের শেষে ছন্দ ঠিক রাখা হয়েছে।

কল্পনা মিশ্রিত কাহিনী , সাইন্স ফিকশন, গল্প , উপন্যাস , কবিতা লেখা যাবে কিনা

কল্পনা মিশ্রিত কাহিনী, সাইন্স ফিকশন, গল্প, উপন্যাস, কবিতা বলতে যদি বলা হয় সঠিক জ্ঞানের অনুসন্ধান তাহলে ইসলামী বিধি নিষেধ থাকার কথা না। আর যদি বলা হয় এই কাহিনীর পিছনে অসৎ কোন উদ্দেশ্য, সমাজের অমঙ্গল করা, মানুষের ক্ষতি করা তাহলে তা ইসলামের বিধি নিষেধ আছে।

আর কল্পণা মিশ্রিত কাহিনীগুলোতে দেখানো হয় অশুভ কোন শক্তির বিরুদ্ধে মানুষের যুদ্ধ। মানুষ যদি এই যুদ্ধে প্রযুক্তি দিয়ে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে তাহলে ঠিক আছে। যদি কোন অলৌকি শক্তি যা বিজ্ঞান অনুমোদন করে তা দিয়ে মোকাবেলা করে তাহলে ইসলামে নিষেধ আছে।

অনেকে ইসলামী স্কলারগণ টিভি, মুভি দেখা নিয়েও দ্বিমত করেন। টিভিতে যদি ভালো কিছু দেখানো হয় তাহলে যায়েজ আর খারাপ কিছু দেখানো হলে নাজায়েজ। আপনার প্রশ্নে উত্থাপিত বিষয়টি অনেকটা এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ।

পরিশেষে,

ইসলামী বিজ্ঞানের উৎস ইজমা ও কিয়াস
ইসলামে চিন্তা ও গবেষণার গুরুত্ব রয়েছে। এটা কোন ইসলামী পন্ডিত অস্বীকার করতে পারবে না।

(বি:দ্র: উপরে লেখা আমার চিন্তা শক্তি; এক্ষেত্রে কোরআন ও হাদীসের রেফারেন্স দিতে পারিনি। আমার সাথে অনেকে দ্বিমত করতে পারেন। তাদের মতের উপর আমার শ্রদ্ধা আছে।)




১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৬

খালিদ১২২ বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৭

খালিদ১২২ বলেছেন: তবে ইসলামি কয়েকটি সাহিত্যের নাম লিখতে পারতেন । তাহলে মোডেল হিসেবে নিতাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.