নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খালিদ মোশারফ ,আইআর , ১৪ তম ব্যাচ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

খালিদ১২২

আমার সব কাজ সারা কোন একটা যেন বাকি রয়ে গেছে ......

খালিদ১২২ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আরণ্যকের সংসার জীবন। খ‌ুব ছোট এক‌টি গল্প।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:১৩

আরণ্যক এখন বিবাহিত।চাকরির এক বছরের মাথায় এসে জোটুয়েছিল একটি অন্ধ মেয়েকে। অমনি প্রেম। এটা তার প্রথম প্রেম। ভেবেছিলাম প্রেম টিকবে না। বিয়েটাও করে ফেলেছিল অবশেষে। গোবেচারি আরণ্যকের খুব ইচ্ছে ছিল একটি সুন্দরী মেয়ে বিয়ে করবে। উর চেয়ে যে একটু বেশী লম্বা । উর উচ্চতা ৫ ফুট দুই ইঞ্চি। কিন্তু কোন মেয়ে উকে পাত্তায় দিল না। অবশেষে বিশ্ববিদ্যালয় ঘেটে ঘেটে একটি মেয়ে আরণ্যকের কপালে জুটলো না।
আজ আরণ্যকের চতুর্থ বিবাহ বার্ষিকী আমার সেখানে দাওয়াত ছিল। ভালো খেলাম। সুন্দর আয়োজন। অন্ধ বউ । বউটির দুটো চোখই অন্ধ।
জন্মের চার বছর পরে বসন্ত রোগে মেয়েটি অন্ধ হয়ে গিয়েছিল। মেয়েটি বিয়ে পাশ। অন্ধদের স্কুলে শিক্ষকতা করে। আরণ্যকের একটি মাত্র মেয়ে। তার নাম মেধা। আরণ্যক মেয়েটিকে আদর করে মা বলে ডাকে। ছোট বেলায় আরণ্যকের মা মরে গিয়েছিল। বারা মরেছিল অনার্স প্রথম বর্ষে এসে।
যাই হক আরণ্যক আবার কবিতা লেখা শুরু করেছে। একটি বই বাহির করেছে। খুব ভালো লাগলো ।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ও একটি মেয়েকে ছয় বছর ভালো বেসেছিল । মেয়েটির নাম ছিল হিমা। হিমা এখনো প্রশাসনে বড় অফিসার। আরণ্যক তাকে বলতে পারেনি। তার কাছে যেতে পারিনি। অনার্স প্রথম বর্ষে হিমায় তার সাথে প্রথম কথা বলেছিল। এই সুখে আরণ্যক ভিক্ষুককে একশ টাকা দান করেছিল। আরণ্যক হিমার খোঁজ এখনও নেই। হিমা জানত না আরণ্যক তাকে ভালোবাসে।
আন্যণ্যকের এই ক্ববিতাগুলো হিমাকে না পাওয়ার ব্যাথা নিয়ে । সেখানে একটি কবিতায় লেখা ছিল ,"তোমাকে না পেলে কি হবে, না পেলেই মরি মরি, না পেলেই ভালো আছি , সুখে আছি। "
আরণ্যকের সংসার জীবন । আর এক পাশে তার হিমাকে নিয়ে লেখা কবিতা । আজও হিমা জানেনা আরণ্যক তাকে কতটুকু ভালোবাসে।
আবার আরণ্যকের বউ স্বপ্নাও জানেনা আরণ্যক স্বপ্নাকে ভালোবাসে ঠিকই কিন্তু হিমাকে সে খুব মিচ করে।
জীবনে দুঃখে পড়ে আরণ্যক অন্ধ মেয়েকে বিয়ে করেছে।কারণ তার বি‌য়ে দেবার কেউ ছিল না।মা মরা ছেলেটির কেউ তেমন কেউ ছিল না। বিয়ে দেবে কে? একটি ভালো মেয়েও জোটাতে পারেনি। গোবেচারি। তাই সে দুঃখ করে একটি অন্ধ মেয়ে জুটিয়েছে। আনরণ্যক পেশার কিণ্ডার গার্টেন শিক্ষক। সংসার জীবনে সে একেবারে খারাপ নেই। সবচেয়ে বড় কথা মনের মূল্যই আসল। আরণ্যকের বউয়ের সাথে তার খুব মিল। আর অন্ধরাওতো মানুষ । তাদের জন্যে কেউ যদি এগিয়ে আসে। আরণ্যক সেই কাজটিই করেছে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:১১

ফাহমিদা বারী বলেছেন: অনেক বনান ভুল। ঠিক কী লিখেছেন সেটাও বুঝতে পারলাম না।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৩

খালিদ১২২ বলেছেন: বিষয়টা চিন্তায় নিলাম। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.