নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খালিদ মোশারফ ,আইআর , ১৪ তম ব্যাচ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

খালিদ১২২

আমার সব কাজ সারা কোন একটা যেন বাকি রয়ে গেছে ......

খালিদ১২২ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আরণ্যকের আজ মাস্টার্স ফাইনাল পরীক্ষার শেষ পরীক্ষা ।

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৮



প্রেম কিভাবে করতে হয়? অনেকেইতো প্রেম করে । আরণ্যকের আজ মাস্টার্স ফাইনাল পরীক্ষার শেষ পরীক্ষা । আরণ্যক পরীক্ষা দিতে যাচ্ছে। আজ হিমা তোমার সাথে শেষ দেখা। এর পরে আর দেখা হবে কিনা জানিনা। আচ্ছা হিমা তোমাকে পাবো বলে মনে হয়েছিল । পেলামনাতো।তাহলে তোমাকে কি পাবো? পেতেওতো পারি। আচ্ছা আমি মনোরোগে ভুগছি? কেযেন আমাকে মনে মনে বলেছিল হে আরণ্যক হিমা তোমার জন্য । আচ্ছা হিমা কি অন্য ছেলের সাথে প্রেম করে। ক্যাম্পাসে অচেনা একটি ছেলের সাথে তাকে দু চারবার গল্প করতে দেখেছিলাম। সেইকি হিমার প্রেমিক? আচ্ছা হিমা কি কারোর সাথে সেক্স করেনিতো? আরণ্যকের আর পা উঠছে না।পরীক্ষা শুরুর আর দু এক মিনিট বাকি আচ্ছে। পৃথিবীটা ঘুরছে। আরণ্যক ঘুরছে। আরণ্যকের ভাগ্য ঘুরছে। পথ বেকে গেছে কলা ভবন বেয়ে । আমাকে থামায়ো না বিধি। আমার বুক ঘেমে গেছে। আমার ভালবাসা কি বৃথা। আচ্ছা আমি কি দিয়ে তৈরি। আমার হাত পা কেটে কটে যদি গবেষণাগারে পরীক্ষা করে দেখি তাহলে কি পাবো। রক্ত । আর কি কিছু পাবো না? বুক কাটবো, হৃৎপিন্ড কাটবো তাহলে কি পাবো ? একটি আত্মভোলা মনোরোগ। মিথ্যা ছলনাকে সত্য হিসেবে ভাবার অপরাধ। আচ্ছা আমি কি মনোরোগী? আমি কি অটিস্টিক? আমি সবার চেয়ে কেন আলাদা?
আচ্ছা হিমা তুমি যদি আমার না হও। তাহলে আমার প্রতিদিনের ভা্বনার তুমি। তোমাকে নিয়ে আমি কি করব। হিমা তুমি যে আমার সকল ভাবনায় ছিলে। আমি কি করে তোমাকে পাবো? কিভাবে তোমাকে বোঝাবো আমি তোমাকে পাবো? তোমাকে ভালোবাসি।
আরণ্যক পরীক্ষা দিয়ে আজও সূ্র্যসেন হলে চলে আসবে।আজও হিমার সাথে কথা বলা হবে না। কেউ জানবে না যে আরণ্যক হিমাকে ভালোবাসে। কাউকে বলা হবে না। আরণ্যকের শূণ্য মাথায় । কিছু ভেবেও ভাবতে পারে না। একটু একটু করে চা মুখে দেয় । মনে হচ্ছে একটু একটু সিগারেট মুখে দেয় আর হিমাকে নিয়ে কবিতা লিখি।কিন্তু সিগারেট খাওয়া ইশ্বরের নিষেধ।ন প্রেমও ইশ্বরের নিষেধ। বিবাহ বহির্ভূত প্রেম্। আরণ্যক আটকে আছে। ইশ্বরের প্রেমে আরণ্যক আটকে আছে।
আরণ্যক কি তরুণ না বৃদ্ধ। সে কি সবার মত নয়?আচ্ছা ওকে দেখলে কথা বললে এমন মনে হয় কেন যে ওকে অন্য কেউ নিয়ন্ত্রণ করছে।
আরণ্যক বহুদীন পর মাথা উচু করল। আকাশের দিকে তাকালো । মনে হল ওর বয়স আজ একশ বছর পূর্ণ হল। আচ্ছা লেখা দিয়ে সব কিছু ‍কিছু কি বোঝানো যায়? আচ্ছা একটি ছেলে একটি মেয়েকে ছয়টি বছর ভালোবেসেছিল । তাকে বলতে পারেনি। তাকে বলা হয়নি। সে মেয়েটা জানতে পারেনি । সে মেয়েটির কি জানার অধিকার নেই? সে ছেলেটির কি বলার অধিকার নেই? ভালোবাসা ব্যস ব্যসার্ধ এত ছোট কেন?
নাকি আরণ্যক বুক ছোট। আরণ্যকের কাঁদতে জানে না। কেঁদে বুকের ব্যথা শূণ্য হয়না । কমতে পারে।আরণ্যকের কোন বন্ধু নেই । বন্ধুর তার দরকার নেই। ইশ্বর তার বন্ধু । সে নিজের বন্ধূ । মনে মনে সে ইশ্বরকে ডাকে। বিশ্রাম পেলে তার মনে হয় হিমাকে সে পাবেই। আসলে মানুষের মন কি জিনিস? এটার ভেতর কত কি হয়? সেটা কি কিছু ‍দিয়ে বা কোন ভাষায় প্রকাশ করা যায়? হে সেটা হয়তো সাহিত্য।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.