নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খালিদ মোশারফ ,আইআর , ১৪ তম ব্যাচ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

খালিদ১২২

আমার সব কাজ সারা কোন একটা যেন বাকি রয়ে গেছে ......

খালিদ১২২ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আরণ্যকের প্রথম স্কুল ।ভালো লেখার প্রচেষ্টায় আছি।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৯

স্কুলযে কত কঠিন এতটুকু ছোট বাবুর মনে এড়াই নি। সে ছোট হতে পারে। নিজেকে সে ভালোই লুকিয়ে রাখতে পারে। এই লুকিয়ে রাখা যেমন নিজের ছোট ছোট চিন্তা লুকিয়ে রাখা। আবার বাবা মার মারের ভয়ে পাশের বাড়ীতে লুকিয়ে থাকা। মা খুব মারে। বাবাও মারে। মা কয়দিন থেকে বাবুকে স্কুল যেতে বলছে। পাড়ার ছেলেদের সাথে। না কিছুতেই বাবু স্কুলে যেতে চাচ্ছে না। স্কুলের সময় হলেই বাবু স্কুলের ভয়ে পালিয়ে যায় পাশের বাড়ী না হয় আম বাগানে। বাবুর বয়স ছয় ছাড়িয়েছে। এখন স্কুলে না গেলে বয়স বেড়ে যাবে।
আজ সকালে বাবু দশটা বাজার আগেই চাচাদের বাড়ী পালিয়েছে। কারণ তাকে স্কুলে যেতে হবে। স্কুলে গেলে না জানি স্যাররা হয়ত ছাত্রছাত্রীদের খুব কতইনা মারে। যেন মারার জন্যেই স্যাররা স্কুল খুলে বসে আছে।স্কুল কিসের দরকার ? সারাদিন খেলাধুলো ও আম কুড়াতে ভালো লাগে। কিন্তু না আজ আর হল না। বাবা চলে এসেছে। চল তোকে স্কুলে নিয়ে যাবো। বাবু এবার এক দৌড়ে অন্য সেজ চাচার বাড়ীর গোলার আড়ালে লুকালো। বাবা তাকে খুঁজছে। তোমাদের বাড়ীতে বাবু এসেছে? তাকে স্কুলে দিয়ে আসি। হ্যা বাবা এখানেও হাজির। মারতে মারতে বাবা তাকে স্কুলে দিয়ে এলো । বাবার লাঠির আগাই আগাই বাবু দৌড়ায়। ইতিমধ্যে পিঠের উপর কয়েক বাড়ী পড়েছে। নাজ জানি এই পিঠে স্যাররো কত মারবে? বাবুর বুক ও হাত পা কাঁপছে। বাবা তাকে মারতে মারতে স্কুলে দিয়ে আসলো।বাবুকে বাবা ক্লাস পর্যন্ত পৌছে দিয়ে আসলো। নতুন ক্লাসে তার নিজেকে একা একা মনে হল । বাবা বলল এই ছেলে মানুষ করার দ্বায়িত্ব আপনাদের।
সবাই পড়ছে ।শিক্ষক বাবুকে একটা বই দিয়ে তাকে পড়তে বলল। বাবুর বুকের মধ্যে কাঁপছে। সে উপরের ছাদ ও মাটির দিকে তাকাচ্ছিল
আর ভাবছিল।কত বড় একটা বোঝা তার ঘাড়ে এসে পড়ল । স্যারেরা যাদের পড়া হচ্ছিল না তাদের খুব মারছিল। বাবুকে মারেনি । বাবু খুব খুশি । এইটা ছিল বাবুর ছোট একটি জীবনে খুব বড় পাওয়া। পাড়ার ছেলেদের সাথে স্কুল ছুটির পর বাবু বাড়ী ফিরে এলো। মা তাকে খেতে দিল। বাবু খেরা করতে গেল। খেলা করে বিকালে বাড়ী ফিরল । বাবা বারান্দায় বসে ছিল। বাবা বাবা আজ স্কুলে স্যারেরা আমাকে মারেনি। স্যাররা কত ভালো। বিশ্বজগতে স্যাররা যে মানুষ গড়ার কারিগর । তাদেরকে দুএক ঘাই মারতেই হয়।না মাররে শিক্ষার্থীরা পড়তে চাই না। ছোট বাবুর মনে ভয় ও আশঙ্কা ছিল । হয়তো স্যারেরা এই পৃথিবীতে শিক্ষার্থীদের পেটানোর জন্যেই পাঠশালা খুলে বসে আছে।কিন্তু না শিক্ষার্থীদের দুএকটি শাট মারা তাদেরই কল্যানে। বাবু সেটা বোঝেনি। শুধু বুঝেছে স্যারেরা যদি না মারত তাহলে কতেই না ভালো হত।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.