নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খালিদ মোশারফ ,আইআর , ১৪ তম ব্যাচ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

খালিদ১২২

আমার সব কাজ সারা কোন একটা যেন বাকি রয়ে গেছে ......

খালিদ১২২ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাধারণ কম্পার্টমেন্টের মত

০৩ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৪৪






সাধারণ কম্পার্টমেন্টের মত


অফিসে আমার সম্মান সাধারণ কম্পার্টমেন্টের মত
যত কাজই করি আর সবার মত আমার মূল্যায়ন
আর দশটা স্বামীর চেয়ে আমার মর্যাদা সংসারে
বেশী নয়, ঐ স্বাধারণ কম্পার্টমেন্টের মত

চির জীবন আমাকে সাধারণ কম্পার্টমেন্টের
ভেতরে দাড়িয়ে যেতে হয়েছে
মাঝে মাঝে ছিট পেতাম
তা ছেড়ে দিতাম শিশু ,বৃদ্ধ কিংবা নারীদেরকে
তাও ধন্যবাদ কিংবা সুনাম জোটেনি


অনেক ভালো কবিতা লিখলেও আমাকে
কেউ তুলে নেয়নি
কেউ একজন বলেছিল বাঙ্গালির প্রতি ঘরে ঘরে
তোমারে মত হাজার হাজার কবি আছে

ওগো আমার জেনারেল কম্পার্টমেন্ট
একটি সিটতো দাও
জীবনের সব ছিট ছেড়ে দিলাম
শিশু বৃদ্ধ ও নারীর জন্যে


রাস্তায় ঘরে অফিসে বাজারে মসজিদে
সেবচেয়ে পিছনের কাতারের লোক আমি
সবচেয়ে ভালো পোশাকটি পরলে দেখি
ঐ পোশাকটি সবচেয়ে কমা পোশাক
সবচেয়ে ভালো খাবারটি
আত্মীয়র বাড়ীতে নিয়ে যায়
দেখি সবচেয়ে নিম্মমানে খাবার সেটিই

ওগো আমার সম্মান পাওয়ার বাসনা
আমাকে আজীবনের জন্যে একটি সিট দাও
হক সেটা সাধারণ কম্পার্টমেন্টের রুমে
অন্তত সবার সিট হক একটি করে
শিশু বৃদ্ধ ও নারীর
আমারও একটি সিট হক
আমি আরাম করে ঘুমাবো।



ঐ গ্রাম থেকে আমি চলে এসেছি


ভয়ঙ্কর ঐ গ্রাম থেকে আমি চলে এসেছি
ঐ গ্রামে
রাত হলে বিধবা এক নারীর কান্নার শব্দ পেতাম
দূর থেকে
তার স্বামী নাকি ট্রাকের নীচে মারা গেছে
ছেলেটি মারা গেছে পানিতে ডুবে

প্রতিদিন খাদেম বাঁশিয়ালা গভীর রাতে
বাঁশি বাজাত
বিকট চেহারা একজন মানুষ
তার বাঁশির আওয়াজ কান্নার শব্দ হয়ে ভেসে
উঠত

রাস্তার ধারে মুচি ও মালোরা থাকত
প্রতিদিন তাদের ঝগড়া ও মারামারি হত
স্যাতস্যাতে পরিবেশে দেখতাম
শিশুগুলো অপুষ্টিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে
সন্ধ্যা আসার আগে পাড়াটা কেমন যেন
নিসব্ধ হয়ে যেত
শুনতাম ওখানে রাতে নাকি নষ্ট লোকদের
আড্ডা বসে ও নেশা চলে

ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা নদী পার হয়ে
শহরে যাবে সকাল সকাল
ছোট ছোট ফেরিয়ালা হয়ে তারা জিনিসপত্র
বিক্রি করবে
সন্ধ্যার আগে তারা দুটো চাল ও তরকারি
নিয়ে বাড়ি ফিরবে
তাদের নিস্তব্ধ জীবন ও সংকীর্ণতা
দেখে আমার বুক ফেটে যেত।

গ্রামে এক পাগোল ছিল
রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াতো
শুনেছিলাম তার মা জমীদারের হাতে
ধ্বর্ষিত হওয়ার পর আত্মহত্যা করেছিল
সেই দুঃখে সে নাকি পাগোল হয়ে গিয়েছে

আমি ঐ গ্রামে আর থাকতে পারিনি
চলে এসেছি শহরে
কোন সময় ঐ গ্রামের খোঁজ নিইনা
কোন সময় ঐ গ্রামের কোন লোকেদের সাথে
দেখা হলে আমি তাদেরকে এড়িয়ে চলি।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:১৭

বর্ষন হোমস বলেছেন:
দুটোই দারুণ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.