নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন সুন্দর করে সাজাও । আমি নারী তাই কথাও বলি নারীদের নিয়ে।

কামরুননাহার কলি

আমার নাম কামরুননাহার কলি, আমি একজন ভার্সিটির ছাত্রী। আমার সখ লেখালেখি আর বই পড়া। আমি দেশকে ভালোবাসি, ভালোবাসি দেশের মানুষদের।

কামরুননাহার কলি › বিস্তারিত পোস্টঃ

“একফোটা অশ্রু”

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:২৬

২য় পর্ব


পরের দিন ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায় রিয়াকে। আবারও রিয়াকে নিয়ে মা সেই সদর হাসপাতালেই গেলো। কিন্তু রিয়ার এই অবস্তা দেখে ডাক্তার সাহেবেরা কিছুই বলতে পারছে না। জরুরী ভাবে ঢাকায় পাঠাতে বলল। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী তারা নাকি এমন রোগ কখনও দেখেনি। তারা বলল আরো ভালো কিংবা বড় ডাক্তার দেখান। এই হয়তো রিয়ার মায়ের মনে ভয় ডুকে গেলো। সবাইকে রিয়ার বিষয়টি জানালো, রিয়ার বাবার কাছে ফোনে বলল, বাবা শুনে তো রেগে গেলো মায়ের উপর।

সবার পরার্মশে রিয়াকে নিয়ে ঢাকায় গেলো রিয়ার মা আর ছোট চাচু। বড় ফুফুর বাসায় উঠলো যেয়ে ওরা। সকাল বেলাই মা আর চাচু রিয়াকে নিয়ে হাসপাতালে ডাক্তারের কাছে গেলো। ডাক্তার রিয়াকে দেখে খুব আদর করলো, ডাক্তার বাবুর মনটা ভরে গেলো, কি সুন্দর ফুটফুটে একটা মেয়ে। কি নাম তোমার মামনি? রিয়া আমার নাম রিয়া; বাহ খুব সুন্দর নাম তোমার, কোন ক্লাসে পড়ো তুমি? ক্লাস ফোরে, গুড মেয়ে।

ডাক্তার অনেক কিছু চেকাপ করে দেখলো, তবে এই মূহুর্তে কিছু্ই বলতে পারছে না, ভালো ভাবে না দেখা পর্যন্ত। রিয়ার চাচুর হাতে কিছু টেস্টের কাগজ দিলো ডাক্তার বাবু। সেগুলোর রির্পেোট চেক করে এখনি দিতে হবে বলে দিলো। চাচু দৌড়িয়ে যেয়ে টেস্ট করে আনলো। কিন্তু ডাক্তার দেখলো এগুলো পজেটিভ কিছুই না, সবগুলোই নেগেটিভ আসছে। আবারও কিছু টেস্ট দিলো, আর বলে দিলো যত তারাতারি সম্ভব টেস্ট করে আনুন। আমার মনের জটিলতাটাকে দূর করতে হবে। আর আল্লাহকে ডাকেন যেনো আমার মনের ভয়টাই না আসে এই রির্পেোটে।

কিন্তু না হেরে গেলো ডাক্তার মনের সাথে, নির্ভাক হয়ে তাকিয়ে আছে ডাক্তার বাবু রিয়ার দিকে। মনটা মানাতে পারতো যদি রিয়া তার মেয়ের বয়সি না হতো। সে যদি বয়স্ক কিংবা মধ্য-বয়স্ক হতো। তাহলে আর মনের সাথে যুদ্ধ করতে হতো না। এতো তারাতারি নিভে যাবে রিয়ার এই ফুটফুটে সুন্দর জীবনটা। মেনে নিতে পারবে তো ওর মা-বাবা। বিধাতার এটা কেমন খেলা! এ কেমন পাপরে শাস্তি দিলো মেয়েটাকে বিধাতা। কিন্তু কিছু করার নাই যে, ওর মাকে তো বলতেই হবে তার মেয়ে কথা, না বলে তো আর পারা যাবে না।

দেখুন রিয়ার আম্মু, আপনি কিন্তু বেশ দেরি করে ফেলেছেন, ওর এমন একটি জটিল রোগ হয়েছে যার থেকে আপনি চাইলেও বাচাতে বা ফিরাতে পারবেন না। মৃত্যুর খুব কাছে আছে মেয়েটা। ওর বেচে থাকার আশাটি শেষ হয়ে গেছে। রিয়ার ব্লাড ক্যান্সার হয়েছে! রিয়ার মা সাথে সাথে অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেলো মেজেতে। রিয়া দৌড়িয়ে এসে মাকে জড়িয়ে ধরে বলল কি হয়েছে মায়ের, ডাক্তার আঙ্কেল? কিছু হয়নি মামনি, এই একটু মাথাঘুরে পড়ে গেছে। একজন র্নাসকে ডেকে মাকে বেডে শুয়ে দিলো। রিয়া মায়ের পাশে বসে আছে, ডাক্তার বাবু রিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। মনে মনে ভাবছে কত রোগি তো দেখলাম কিন্তু কারো জন্যই তো মনে এতো কষ্ট হয়নি, এতো মায়া হয়নি। তাহলে এই মেয়েটার জন্য আজ আমার এতো কষ্ট হচ্ছে কেনো, কেনো এতো মায়া হচ্ছে!

এদিকে ছোট চাচু রিয়ার দিকে অসহয়ের মতো তাকিয়ে আছে। কি বলবে রিয়াকে কিছুই বুজতে পারছে না, কোন ভাষাই নাই চাচুর মুখে। কেমন জানি ধোয়াশা হয়ে যাচ্ছে চারদিক। মনে মনে বিরবির করে ভাবছে সৃষ্টিকর্তা তুমি এতো নিষ্ঠুর, এতো সুন্দর নিষ্পাপ মেয়েটার সাথে তুমি এটা কেমন খেলা খেললে, এ তোমার কেমন নিয়তি।

এর মধ্যেই মায়ের জ্ঞান ফিরলো, মা তাকিয়ে দেখলো রিয়া পাশেই বসা। রিয়াকে জড়িয়ে ধরে মা বিলাপ করতে লাগলো। ‘কি হলো আমার মেয়েটার, আমি আগে কেনো বুজতে পারলাম না, না আমার এই লক্ষি মেয়েটা এতো তারাতারি শেষ হতে পারে না, আমি শেষ হতে দিবো না’। রিয়া তোর কিচ্ছু হবে না, সোনা আমার, আমি তোকে কিচ্ছু হতে দিবো না। শোন তোর বাবা না তোকে খুব ভালোবাসে, তোর ভাইদের থেকেও তোকে বেশি ভালোবাসে। তোর বাবাকে এখনি ফোন দিয়ে আসতে বলি, দেখবি সে তোর জন্য ঠিক চলে আসবে। তোকে আমার বুকে ফিরিয়ে দিবে। রিয়া মায়ের এই পাগলামীর মানিটা কিছু বুজতে পারছে না, কেনো মা এমন বিলাপ করছে, মা কেনো এভাবে কাদছে, রিয়া কিছুই বুজছেনা।

মা কেদে কেদে বাবাকে ফোনে বললো, তুমি চলে আসো, আমার মেয়ের ব্লাড ক্যান্সার! মায়ের মুখে এটা শুনে রিয়া মনে মনে ভাবলো এটা আবার কি রোগ, ব্লাড ক্যান্সার! এরকম রোগের নাম তো আগে কখনও শুনিনি। আর বাবাকেই বা কেনো দেশে চলে আসতে বলছে মা। আর যদি আমার অসুখ হয় তাহলে তো ভালো হয়ে যাবো, কিন্তু মা এতো কাদছে কেনো? মাকে তো আগে কখনও এভাবে কাদতে দেখিনি। তাহলে কি এটা অনেক বড় কোন রোগ আমার! আমি কি তাহলে মারা যাবো! সেই জন্যই কি মা এতো কাদছে। আর চাচুও এরকম করছে;

রিয়ার বাবা আজাদ সাহেব ২/৩ দিনের মধ্যে চলে এসেছে বিদেশ থেকে। আজ ১০ বছর পর বাবা মেয়ের টানে ছুটে এসেছে দেশে। গ্রাম থেকে চাচা/চাচি, খালা /খালু রিয়ার আত্ময়ি-স্বজন সবাই চলে এসেছে ঢাকায়, রিয়ার অসুখের কথা শুনে। এখন রিয়া আস্তে আস্তে বুজতে পেরেছে, আসল ঘটনাটি। রিয়ার অনেক বড় অসুখ হয়েছে এটা রিয়া খুব ভালোভাবে বুজতে পেরেছে। রিয়া আর হয়তো বাচবে না, কোন মরণব্যাধি রিয়াকে বেধে ধরেছে। ভাবতেই রিয়ার কাছে কেমন লাগছে, সবার দিকে অসহয়ের মতো তাকিয়ে আছে।
চলবে..........

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৩

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
বর্তমান পৃথিবীতে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ব্যাধি হচ্ছে ক্যান্সার।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:০০

কামরুননাহার কলি বলেছেন: এই ঘটনাটি অনেক আগের, ২০০৫/২০০৬ সালের। আমার । ছোট্টবেলার বান্ধবীকে নিয়ে লেখা।

২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:১৭

তারেক ফাহিম বলেছেন: পরের পর্বের অপেক্ষায়।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:২১

কামরুননাহার কলি বলেছেন: ওকে ভাইয়া।

৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:২২

তারেক ফাহিম বলেছেন: কবে নাগাদ পূর্ণ ঘটনা জানতে পারবো?

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:৩০

কামরুননাহার কলি বলেছেন: কাল/পরশু, একটু অপেক্ষা করুন ভাইয়া।

৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:০৩

পার্থ তালুকদার বলেছেন: ভয়ংকর রোগের নাম ক্যান্সার। শিশুদের হলে তো বড়ই দুঃখজনক ।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:১৪

কামরুননাহার কলি বলেছেন: হুম, ঠিক ভাইয়া।

৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:৪২

আলী নওয়াজ খান বলেছেন: জীবনের সুখ এবং দু:খ অনাগত ভবিষ্যতের আচল থেকে বের হয়ে আসে । ঠিক এমনই এক কঠিন অভিজ্ঞতা আমার জীবনের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছিল। আমার ছেলে রুহুল্লাহ বয়স এগারো বছর খুলনা জেলা স্কুলের মেধাবী ছাত্র পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র । হঠাৎ করেই জ্বর সে জ্বর আর সারে না ! গায়ের রং কিছুটা ফ্যাকাশে হয়ে যাচ্ছে, রক্ত পরীক্ষা করে তাকে খুলনা শিশু হসপিতালে র্ভতি করা হল । সেখানেও রোগ নিরক্ষনের উপযোগী ব্যবস্থা নেই। ঢাকাতে নিতে বললেন। বিভিন্নপরীক্ষা করতে করতেই তার অবস্থা আরো খারাপ হয়েগেল । অবশেষে বন্ধুদের পরামর্শে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হল। যখন ডাক্তার সাহেব বললেন , নিউ কেমিয়া বা ব্লাড ক্যান্সার , তখন আমার মনে হল পায়ের তলা থেকে যে জমীনটা সরে গেল। সে অনুভুতি ভাষায় প্রকাশ করার নয়। সাথে সাথে সেখানে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হল।
জীবনের সুখ এবং দু:খ অনাগত ভবিষ্যতের আচল থেকে বের হয়ে আসে । ঠিক এমনই এক কঠিন অভিজ্ঞতা আমার জীবনের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছিল। আমার ছেলে রুহুল্লাহ বয়স এগারো বছর খুলনা জেলা স্কুলের মেধাবী ছাত্র পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র । হঠাৎ করেই জ্বর সে জ্বর আর সারে না ! গায়ের রং কিছুটা ফ্যাকাশে হয়ে যাচ্ছে, রক্ত পরীক্ষা করে তাকে খুলনা শিশু হসপিতালে র্ভতি করা হল । সেখানেও রোগ নিরক্ষনের উপযোগী ব্যবস্থা নেই। ঢাকাতে নিতে বললেন। বিভিন্নপরীক্ষা করতে করতেই তার অবস্থা আরো খারাপ হয়েগেল । অবশেষে বন্ধুদের পরামর্শে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হল। যখন ডাক্তার সাহেব বললেন , নিউ কেমিয়া বা ব্লাড ক্যান্সার , তখন আমার মনে হল পায়ের তলা থেকে যে জমীনটা সরে গেল। সে অনুভুতি ভাষায় প্রকাশ করার নয়। সাথে সাথে সেখানে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হল।


ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসারত অবস্থায়

প্রাথমিক কেমো থ্রাপি শুরু হয়েগেল আল হামদুলিল্লাহ প্রথম পর্যায়ের কেমো সফলতার সাথে শেষ হয় । যেহেতু আমরা বিদেশে থাকতাম তাই দ্বিতীয় পর্যায়ের চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নিয়ে আসি । দীর্ঘ পাচ বছর চিকিৎসার পর গতবছর সে চিকিৎসা থেকে মুক্ত হয়ে মহান আল্লাহর ইচ্ছায় সুস্থ হয়েগেছে।
ঢাকা মেডিকেল চিকিৎসারত অবস্থায় এক জানোয়ার ডাক্তারের তিক্ত অভিজ্ঞতা আমাদেরকে অনেক কষ্ট দিয়েছিল এ্যানকোলোজী বিভাগের ড: ফরহাদ [ তবলিব জামায়াতে লোক চরম অসভ্য ] । পাশাপাশি ঐ একই বিভাগের ডাক্তার জনাব ড: নাজিম সাহেবের সহযোগিতাকে কৃতজ্ঞতার সাথে সারাজীবন স্মরণে রাখেছি।

প্রাথমিক কেমো থ্রাপি শুরু হয়েগেল আল হামদুলিল্লাহ প্রথম পর্যায়ের কেমো সফলতার সাথে শেষ হয় । যেহেতু আমরা বিদেশে থাকতাম তাই দ্বিতীয় পর্যায়ের চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নিয়ে আসি । দীর্ঘ পাচ বছর চিকিৎসার পর গতবছর সে চিকিৎসা থেকে মুক্ত হয়ে মহান আল্লাহর ইচ্ছায় সুস্থ হয়েগেছে।
ঢাকা মেডিকেল চিকিৎসারত অবস্থায় এক জানোয়ার ডাক্তারের তিক্ত অভিজ্ঞতা আমাদেরকে অনেক কষ্ট দিয়েছিল এ্যানকোলোজী বিভাগের ড: ফরহাদ [ তবলিব জামায়াতে লোক চরম অসভ্য ] । পাশাপাশি ঐ একই বিভাগের ডাক্তার জনাব ড: নাজিম সাহেবের সহযোগিতাকে কৃতজ্ঞতার সাথে সারাজীবন স্মরণে রাখেছি।
এতকথা লেখার উদ্দেশ্য হল বর্তমানে ব্লাড ক্যান্সেরের শিশু [ ৫-১৪ ] রোগীদের যদি যথাসময়ে সঠিক চিকিৎসা করা হয় তাহলে ৭০% রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যায় ।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:৫৭

কামরুননাহার কলি বলেছেন: আপনার ছেলের জন্য শুভ কামনা রকইলো । আমার এই এই ঘটানাটি আমার এক বান্ধবীকে নিয়ে লেখা। ছোটবেলার বান্ধবী -২০০৫-২০০৬/ এর ঘটনা।

৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:১৫

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আল্লাহ যেন আমার শত্রুকে এই ভয়াবহ ব্যাধি না দেন।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:০০

কামরুননাহার কলি বলেছেন: দোয়া করেন সবাইকে যেনো আল্লাহ ভালো রাখেন।

৭| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: বর্তমানে ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে অনেক বেশী। আমাদের বদলে যাওয়া জীবনযাপনের কারণে ক্যান্সার যে বাড়ছে তা অবশ্যই বলা যেতে পারে।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:০০

কামরুননাহার কলি বলেছেন: হুম ভাইয়া ঠিক বলেছেন।

৮| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:০২

রক বেনন বলেছেন: আমার এক খুব আপনজনেরও ক্যান্সার। সারাটা জীবন দুঃখের মধ্য দিয়ে জীবন কাটিয়ে যে মুহূর্তে সামান্য একটু সুখের দেখা পাবে ভেবেছিলাম সেই মুহূর্তেই দেখা দিল জীবনের সব থেকে বড় পরিহাস-ক্যান্সার!

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:১৯

কামরুননাহার কলি বলেছেন: আল্লাহ যেনো তাকে ভালো করে দেন।

৯| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:১৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:


ক্যানসার নিয়ে আমার একটা মর্মস্পর্শী গল্প আছে। আমরা চাই না, এ রোগটা আমার পরিচিত কারো হোক। গত ২৬ দিন আগে আমার খুব আপনজন মামাতো ভাইয়ের স্ত্রী মারা গেছেন। উনি এতো হাস্যোজ্জল আর ভাল ছিলেন বুঝাতে পারবো না। এর ১১ বছর আগে উনার স্বামীও ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। একমাত্র ছেলে ক্লাস নাইনে পড়ে। এছাড়া গত এক সপ্তাহ আগে আমার পাশের বাড়ির একটা ফুটফুটে মেয়ে ক্যানসারে মারা গেছে মাত্র ২৪ বছর বয়সে। বিয়ের তিন বছরের মাথায়। স্বামী হারা মায়ের একমাত্র ভরসা ছিল এই মেয়টি। এখন তিনি পাগলপ্রায়।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:১০

কামরুননাহার কলি বলেছেন: আহারে, দোয়া করি আল্লাহ যেনো তাকে বেহেস্ত বাসী করেন।

১০| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৩

প্রামানিক বলেছেন: ক্যান্সার রোগীর মৃত্যুর কষ্ট আমি দেখেছি। এ রোগ যেন আল্লাহ কাউকে না দেন।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:১১

কামরুননাহার কলি বলেছেন: হুম, এই রোগটি আল্লাহ যেনো কাউকেই না দেন। আল্লাহ তুমি সবাইকে রক্ষা করো।

১১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ব্লাড ক্যান্সার খুবই ভয়াবহ রোগ। শুনেছি বোন ম্যারো ট্র্যান্সপ্ল্যান্ট ছাড়া এই রোগের সফল কোন চিকিৎসা নাই। আশা করছি আগামী পর্বে রিয়ার চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে পারবো।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:০০

কামরুননাহার কলি বলেছেন: দেখি কি হয়।

১২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:০৮

সোহানী বলেছেন: মন খারাপ হয়ে গেল কলি, পরের পর্বে ভালো কিছুর আশায় থাকলাম।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:০০

কামরুননাহার কলি বলেছেন: হুম আপি মন খারাপের কথা।

১৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:১৪

শামচুল হক বলেছেন: ব্লাড ক্যান্সার খুব ভয়াবহ রোগ।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:০১

কামরুননাহার কলি বলেছেন: হুম, দোয়া করেন যেনো কারো এরকম না হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.