নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কয়েছ আহমদ বকুলের লেখা

কয়েছ আহমদ বকুল

কবিতার জন্য আমি বাঁচি

কয়েছ আহমদ বকুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাষ্ট্র আমাদের - ধর্মটা ও কিন্তু আমাদেরই

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:৫১

রাষ্ট্র আমাদের - ধর্মটা ও কিন্তু আমাদেরই

---------------------------------------------------



কয়েছ আহমদ বকুল



আশ্চর্য জনক হলেও সত্য আমাদের দেশটি আজ দুটি নষ্ট অভিধায় বিভক্ত হয়ে গেছে।

যদি কেউ দেশের কথা বলে স্বাধীনতার কথা বলে লাল সবুজ পতাকার কথা বলে কিংবা বলে বিচার চাই যুদ্ধাপরাধী নামক নাপাক শয়তানদের তাদের অভিধা হয় নাস্তিক।

প্রকৃত নাস্তিকদের বিরুদ্ধে কথা বললে রাসুলে করিম (স) কে নিয়ে নোংরা পোষ্ট প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলে কিংবা যুদ্ধাপরাধ বিচার প্রক্রিয়ার অসচ্চতা নিয়ে কোন কথা বললে অভিধা পাওয়া যায় তুই রাজাকার।



উভয় পক্ষই উন্মাতাল এবং বেপরোয়া।



রাষ্ট্র পরিচালনার সর্বচ্চো কাঠামোর নাম সরকার, বিপর্যস্ত এই সময়ে - নাগরিক অধীকার হনন ও হরনের এই ক্রান্তি লগ্নে আমাদের সরকার কোন এক অজানা আশা ও স্বপ্নে মতিত হয়ে উভয় পক্ষকেই উদর চড়িয়ে দুগ্ধ পান করানোর অভিপ্রায় মাথায় আদরের হস্ত স্পর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। রাস্তায় লাশ পড়ছে কখনো পুলিশ নামের অসহায় স্বল্প বেতনভোগী এক মানুষের কখনো মা বাবার নাড়ি ছেড়া শিবির নামের তরুন একটি ছেলের। দুটি মানুষই কিন্তু আমার দেশের নাগরিক। তাদের উভয়কেই স্বাভিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা দেয়ার দ্বায়িত্ব আমাদের রাষ্ট্র ও সরকারের। সরকার এই দ্বায়িত্ব পালনে ব্যর্থ, এই ব্যর্থতার সুযোগে আমরা কি আমাদের রাষ্ট্রকে ব্যর্থ হতে দিতে পারি?



শাহবাগের জাগরণ মঞ্চ যে কারণে আমার মধ্যে খুব ভাল কোন অনুভুতির জন্ম দিতে পারেনি বোধকরি সেই কারণটা বলার আজ সময় হয়েছে। দেশ স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষ মাত্রেই যুদ্ধাপরাধের বিচার চায় আমি জানি, সেই চাওয়াটা আমারও। কিন্তু বিচার মানেই যে মৃত্যুদন্ড তা মেনে নেয়াটা শুধু কঠিনই নয় কষ্টদায়কও।বিচার মানে বিচারই, সেটা মৃত্যুদন্ড হতে পারে হতে পারে অন্য শাস্তি হতে পারে মুক্তি ও। কাদের মোল্লার রায়ের পর শাহবাগে একটা আন্দোলন হলো, সর্বান্তকরনে সমর্থন দিলাম ঐ কর্মসূচীকে, কিন্তু যখন দিনে দিনে সপ্তাহ হয়ে শাহবাগের জাগরণ মঞ্চ মাসের দিকে এগুতে লাগলো আমার মানস পর্দায় ভেসে উঠলো ছিয়ান্নবই এর জনতার মঞ্চ। কেয়ারটেকার সরকারের দাবীতে কোন এক মিছিলের অগ্রভাগে আমিও ছিলাম সে সময়, জনতার মঞ্চ ছিলো আমাদের প্রেরণার উৎস কিন্তু প্রজাতন্ত্রের সাংবিধানিক কিছু রীতিনীতিকে উপেক্ষাকরে আজকের সরাষ্ট্রমন্ত্রী মহি উদ্দিন খান আলমগীর যখন রাষ্ট্রযন্ত্রের কিছু কর্মচারী নিয়ে জনতার মঞ্চে যোগ দিলেন রাজনীতির এক নগন্য ছাত্র হিসাবে তা মেনে নিতে পারলাম না। প্রকাশ্যেই অনেক কে বলেছিলাম আমাদের হাই কামান্ডের এটা একটি ভুল সিদ্ধান্ত। এবার যখন দেখলাম শাহবাগের মঞ্চে নাটক দ্বির্গায়িত হচ্ছে ধারনা করলাম আরেকজন মখা আসছেন, রাজিবের মৃত্যুতে পরম পুজ্য প্রধানমন্ত্রীর চোখ ভেজা আন্তরিক 'প্রথম শহীদ' অভিধা আমার ধারনাকেই পোক্ত করলোনা শুধু ইমরান এইচ সরকার কে পরবর্তী আওয়ামীলীগ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী হিসাবে ঘোষনাই দিয়ে দিলাম অনেকের কাছে। আপষোস করে এও বললাম 'হায়রে আওয়ামীলীগ এতো কিছুর পরও সাধারন মানুষকে বিশ্বাস করতে শেখা হলোনা তোমার'।



আজ হেফাজতে ইসলামের ভয়ে কিংবা ৯৫ ভাগ মুসলমানের দেশে নিজের অস্তিত্ব ঠিকিয়ে রাখার তাড়নায় শাহবাগের মঞ্চ ভাঙ্গার নির্দেশ আসছে কিন্তু পদ্মার জল কতটুকু গড়িয়ে গেছে তার কি কোন হিসাব আছে সরকারের কাছে?



ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তে অর্জিত এই দেশ এই স্বাধীনতা এটা এক চরম সত্য, এও সত্য স্বাধীন এই দেশের ৯৫ ভাগ মানুষ মুসলমান। আমাদের রাজনীতির কর্তা গিন্নিদেরকে বুঝতে হবে আমাদের জন্য রাষ্ট্র যেমন জরুরী বিষয় ধর্ম ও কিন্তু তার চেয়ে কম নয়।



পাদঠিকা: সরকার যুদ্ধপরাধের বিচার করবে সেটা সর্বজন গ্রহনযোগ্য কিন্তু রায়ের পর পরিস্তিতি সামাল দেবার কোন প্রস্তুতি থাকবে না এটা কেউ মেনে নিতে পারছেনা। দু'শো মানুষ মরে গেলো কেবল একজন অরাজনৈতিক ব্যক্তি মঞ্চ গুণে মন্ত্রী হওয়ার ফলে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.