নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কয়েছ আহমদ বকুলের লেখা

কয়েছ আহমদ বকুল

কবিতার জন্য আমি বাঁচি

কয়েছ আহমদ বকুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্ষমা করো বাংলাদেশ

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৬:১৪

ক্ষমা করো বাংলাদেশ



বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজকাল খুবকরে যে কথাটি বলে তাঁর আশঙ্কার কথা ভয়ের কথা প্রকাশ করেন তা হচ্ছে 'এক এগারোর কুশীলবরা আবার সক্রিয়'

কুশীলব শব্দটির বিভিন্ন রকম মানের মধ্যে একটি হচ্ছে নাঠ্যাভিনেতা। মাননীয় সরকার প্রধান কোন অর্থে শব্দটা ব্যবহার করছেন তিনি ভালো বলতে পারবেন। আমরা তো যতদূর জানি এক এগারোর কারিগরদেরকে নানা ভাবে পুরস্কৃত করে বা বিতাড়িত করে দেশের বাহিরে পাঠিয়ে দিয়েছে এ সরকার তা হলে তাদের কে আর ভয় কেনো? নাকি ভয় নিজেকেই? এক এগারোয় সরকার পরিবর্তন হওয়ার কী তবে দরকার ছিলো না? এক এগারোর খেলোয়াড়দের দোষ দেবার আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভাবা উচিৎ নয় কী এক এগারো কেন হয়েছিলো, কারা এক এগারো করতে বাধ্য করেছিলো? তখন বি এন পি বা তৎক্ষালিন সরকারের যে ভূমিকার কারণে এক এগারো সংঘঠিত হওয়া বাঞ্চনিয় হয়ে পড়েছিলো বর্তমান সরকার কী সেই একই পথে এগুচ্ছে বলে দেশ প্রেমিক এক এগারোর কুশীলবদের কে এতো ভয়? এক এগারো নামক বাক্যটির সৃষ্টি না হলে দেশ আজ কি পরিস্থিতি পৌছাতো তা কী একবার ভাববার অবকাশ হবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর? এক এগারো যাঁরা জন্ম দিয়েছিলো তাঁরা রাজনীতি বুঝেনা, তাঁরা কূটনীতি বুঝেনা তাঁরা বুঝে লাল সবুজ পতাকার মর্যাদা রক্ষার সর্বশেষ দ্বায়িত্ব তাঁদের। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিগত এক এগারো যে প্রেক্ষিতে সৃষ্টি হয়েছিলো আপনারা যদি আবার সেই প্রেক্ষাপট নির্মাণ না করেন এক এগারোর সৈনিকদের কে ভয় করার তো আপনাদের কথা নয়।



আজ বিভিন্ন দৈনিকের শিরোনাম 'হাল প্রায় ছেড়ে দিয়েছে বি এন পি'। এটা আমাদের জন্য আমাদের গণতন্ত্র ব্যবস্থার জন্য সুখবর নয়। বি এন পি নানা কারণেই ব্যর্থ হচ্ছে তার মধ্যে অন্যতম কারণ তুলনামূলক নবীন ও তরুণ নেতাদের অনাকাঙ্খিত আচরণ এবং মূল সিদ্ধান্ত গুলোতে অনৈতিক হস্তক্ষেপ। অনলাইনে বি এন পির দুই প্রজন্মের দুই নেতা জনাব তারেক রহমান ও শমসের মুবিন চৌধুরীর লিক হয়ে যাওয়া ফোনালাপ শুনলাম। সিনিয়রদের সাথে জনাব তারেকর কথা বলার ধরন শুনে কিছুটা আঁচ করতে পারলাম কেন বেশীর ভাগ নেতাই বি এন পি প্রধানের আহবানে সাড়া দিতে পারেন না। বিশেষ করে ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে নিয়ে তারেকের বক্তব্য শ্রুতিকটুই নয় শুধু অসম্মানজনক ও বটে। ২৯ ডিসেম্বর গুলশানের বাসভবনে খালেদা জিয়া যখন পুলিশের মোকাবিলা করছিলেন তখন তাঁর পাশে একমাত্র কাজের বুয়া ছাড়া আর কেউ না থাকার জন্য কি একমাত্র তারেকের উদ্যতপুর্ণ আচরণই দায়ী?



২০১৩ সালটি বিদায় হয়েছে, প্রাপ্তির খতিয়ান দীর্ঘ অনেক, কিন্তু হারানোর ছোট তালিকাটিই কষ্ট দেয় বেশি। ১৫ পুলিশ সহ রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত শত শত সাধারণ মানুষেরতো এভাবে মরে যাবার কথা ছিলো না। তাজরিন দুর্ঘটনা সহ বিভিন্ন দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ও নিকট অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে বেশি। গণতন্ত্র হুমকির মুখে, রাজনৈতিক সংঘাত অনিবার্য প্রায়। এমন অবস্থায় নতুন বৎসর কে স্বাগত জানাতে যেয়ে লাল সবুজ পতাকার দিকে হাত উচিয়ে একটাই আকুল প্রার্থনা 'আমরা অসহায় আমরা খেলারামের খেলার পুতুল, আমাদের অযোগ্যতা ও অসহায়ত্য কে ক্ষমা করো বাংলাদেশ'।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:২৯

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: খালেদা বেগম হলো বস্তীর মহিলা, কাজের বুয়া তার সেক্রেটারী। মাফিয়া তারেকের ফাঁসী হবে গ্রেনেড আক্রমণের জন্য, ২৪ জনকে সে হত্যা করেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.