নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কয়েছ আহমদ বকুলের লেখা

কয়েছ আহমদ বকুল

কবিতার জন্য আমি বাঁচি

কয়েছ আহমদ বকুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্পেন প্রবাসী 'মিনহাজুল আলম মামুন' এর একটি গবেষনাধর্মী লেখা

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:১২

স্পেন প্রবাসী 'মিনহাজুল আলম মামুন' এর একটি গবেষনাধর্মী লেখা

'''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''



প্রথম অংশঃ-



সাউথ আফ্রিকার জনগণের জন্য সত্যিই আফসোস হচ্ছে। নেলসন ম্যান্ডেলার মতো এক ‘নব্য রাজাকার’-এর জন্ম হয়েছিল। হতভাগা ওই দেশে আমাদের মতো বুদ্ধিজীবী ও চেতনাধারীদের জন্ম হয়নি !!!

"

নিজের দেশকে যতই গিট্টু দিয়ে বাঁধি না কেন অপরকে গিট্টু ছাড়া দেখে প্রশংসা করি। নেলসন ম্যান্ডেলার স্মৃতির প্রতি সম্মান ও ভালোবাসা দেখাতে ওবামা আর ডেভিড ক্যামেরনের দেশকেও ছাড়িয়ে গেছি। আমরা তিন দিন রাষ্ট্রীয় শোক পালন করেছি। যে প্রেসিডেন্ট ঘন ঘন স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর যাওয়া ছাড়া অন্য কোথাও যান না, তাকেও দক্ষিণ আফ্রিকায় পাঠিয়েছি। নেলসন ম্যান্ডেলাকে নিয়ে এ কাজ করা মোটেই উচিত হয়নি। কারণ নেলসন ম্যান্ডেলা যে কাজ করে আজকের নেলসন ম্যান্ডেলা হয়েছেন, তা পুরোপুরি ‘নব্য রাজাকার’দের কাজ। কারণ তিনি এমন ‘ভয়ঙ্কর রাজাকারদের’ ক্ষমা করেছেন যারা তার নিজের সম্প্রদায়ের ওপর শত শত মাসব্যাপী নির্মম রাজাকারি করেছে। দিনের পর দিন হত্যা করেছে, গুম করেছে, নির্বাসনে পাঠিয়েছে, ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়েছে। নি¤œপর্যায়ের একজন পুলিশ অফিসারও ছয় মাসের জন্য যে কাউকে জেলে পাঠিয়ে দিতে পারত। নেলসন ম্যান্ডেলা সেসব নিপীড়িতের একজন, যাকে দীর্ঘ ২৭ বছর জেলে কাটাতে হয়েছে। এমন ভয়ঙ্কর রাজাকার বা শত্রুদের ক্ষমা করা হয়েছে। উদ্দেশ্য বর্ণবাদের তিক্ত অভিজ্ঞতায় আহত ও বিভক্ত এমন একটি জাতিকে অতীতের সব তিক্ততা ভুলিয়ে সামনে নিয়ে যাওয়া। এই নেলসন ম্যান্ডেলা তার জনগণকে বুঝিয়েছেন এক ঘৃণা অন্য ঘৃণার জন্ম দেয়। অতীতের এক প্রতিশোধ ভবিষ্যতের জন্য আরো এক প্রতিশোধ স্পৃহা সৃষ্টি করে। মানবগোষ্ঠীর মধ্যে এটি হয়ে পড়ে একটা বেদনাদায়ক চক্র। এ চক্রে কোনো দেশ বা জাতি একবার ঢুকে পড়লে তা থেকে বের হতে পারে না। নেলসন ম্যান্ডেলা তার জাতিকে এই সর্বনাশা চক্র থেকেই বের করে এনেছেন।



এ কথা যদি নেলসন ম্যান্ডেলা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বলতেন, তবে তাকে নির্ঘাত জামায়াতের মহিলা আমিরের অনুকরণে জামায়াতের দক্ষিণ আফ্রিকার আমির হিসেবে ঘোষণা দিতেন আমাদের মতিয়া আপা কিংবা হাসানুল হক ইনু।

সাউথ আফ্রিকার জনগণের জন্য সত্যিই আফসোস হচ্ছে। নেলসন ম্যান্ডেলার মতো এক ‘নব্য রাজাকার’-এর জন্ম হয়েছিল। হতভাগা ওই দেশে আমাদের মতো বুদ্ধিজীবী ও চেতনাধারীদের জন্ম হয়নি। তাই যুগ যুগ ধরে অপমান-বঞ্চনার কাহিনী নিয়ে ওখানে কেউ কোনো উপন্যাস, নাটক, সিনেমাও বানাচ্ছে না। ‘কাঁদো সাউথ আফ্রিকান কাঁদো’ বলে কেউ বিলাপ করছে না। মানব ট্র্যাজেডির এত সব উপাদান ওদের ইতিহাসের পরতে পরতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলেও দক্ষিণ আফ্রিকায় গ্রুপ থিয়েটার, আর্ট ফিল্ম ওয়ালাদের কোনো দেখা মিলছে না। ফলে যুগ যুগ ধরে কৃষ্ণাঙ্গদের ওপর শ্বেতাঙ্গদের অনেক বঞ্চনার ইতিহাস মাটিচাপা পড়ে গেছে।"



দ্বিতীয় অংশঃ-



জাপানের লোকজনও সেই একই আবেগ ও চেতনা সঙ্কটে পড়েছে। এরা নোবেল প্রাইজ পাওয়ার মতো শত শত বিজ্ঞানী সৃষ্টি করতে পেরেছে; কিন্তু আমাদের মতো এমন আবেগসম্পন্ন একজন তারানা হালিমও সৃষ্টি করতে পারেনি,প্রতিদিন সবার আগে সূর্য উঠলেও এত দিনেও সেখানে একজন জাহানারা ইমাম, ডক্টর জাফর ইকবাল, নাসিরুদ্দীন ইউসুফ, মুনতাসীর মামুন, শাহরিয়ার কবীর বা গণজাগরণ মঞ্চের ডা: ইমরানের উদয় হয়নি। এ ধরনের আবেগ ও বোধহীন জাতির জন্য সত্যিই করুণা লাগে।

" যে আমেরিকা তাদের দেশে আণবিক বোমা মেরেছে, কিছু দিনের মধ্যেই বেহায়ার মতো সেই আমেরিকার সাথেই বন্ধুত্ব করে তথাকথিত উন্নতির চরম শিখরে আরোহণ করেছে! হিরোশিমা-নাগাসাকি দিবসে কিছুক্ষণ মাথা নত করে দাঁড়িয়ে থাকলেও মুখ দিয়ে কোনো কথা এরা উচ্চারণ করে না। হিরোশিমা-নাগাসাকিতে লাখ লাখ মানুষ আত্মাহুতি দিলেও সেখানকার টিভি চ্যানেলগুলো এখন পর্যন্ত একজন শহীদের সন্তান বা নাতি-নাতনীরও সাক্ষাৎকার নিতে পারেনি। বুকের ভেতর বেদনাকে ভালোভাবে সংরক্ষণ করে রাখতে পারলে শত বছর পরও হাউমাউ করে কেঁদে ফেলা সম্ভব। মনের মধ্যে এত বেদনা জমলেও এখনো কেউ দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের ডাক দেয়নি। এ ধরনের আবেগ ও বোধহীন জাতির জন্য সত্যিই করুণা লাগে !! "





ফেইস বুক থেকে সংগৃহিত

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৫০

মীর্জা প্রীয়ম বলেছেন: মোর বীনা ওঠে কোন সুরে বাজি, কোন নব চঞ্চল ছন্দে

২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৩৬

মীর্জা প্রীয়ম বলেছেন: জটিল, ফাটা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.