নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন নিয়মিত ব্লগার। মুক্তচিন্তার প্রকাশ ও চর্চা করি, গান শুনি, মুভি দেখি, আড্ডা মারি, ঘুরে বেড়াই আর জীবনকে উপভোগ করি। কারন জীবন তো একটাই। facebook.com/kamikaze.agnostic.blogger ব্লগ সাইটঃ thekamikazeblog.wordpress.com

কামিকাজি

চিত্ত যেথা ভয় শূন্য, উচ্চ যেথা শির, জ্ঞান যেথা মুক্ত, যেথা ধর্মের প্রাচীর

কামিকাজি › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিক্ষাক্ষেত্রে ভ্যাট - অবশ্যই দেয়া উচিত। একটু চিন্তা করে দেখুন !

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:২৮

শিক্ষাক্ষেত্রে ভ্যাট নিয়ে দেখলাম অনেক তোলপাড় হচ্ছে। রাস্তায় অবস্থান, গাড়ি চলাচল বন্ধ। পুলিশ গুলিও চালিয়েছে।

7.5% ভ্যাট নাকি মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য নাকি পাহাড়সমান। যেই পরিবার ৫-৬ লাখ টাকা খরচ করতে পারেন তার সন্তানের উচ্চশিক্ষার জন্য, তার জন্য ভ্যাট দেয়াটা কতটুকু কষ্টের আমি আসলেই বুঝতে পারছিনা।

শিক্ষা নাকি বাণিজ্য নয়, এর উপর ভ্যাট বসানো যাবেনা। অবশ্যই বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে শিক্ষা একটি বাণিজ্য। ছেলেমেয়েরা কেন প্রাইভেট ভার্সিটিতে পড়ে? জ্ঞান অর্জনের জন্য? অবশ্যই না। চাকরি পাওয়ার জন্য। অমুক ভার্সিটিতে পড়লে চাকরি পেতে সোজা, তমুক ভার্সিটিতে পড়লে প্রাইভেট ব্যাঙ্কে এপ্লাই করা যাবে। হতে চেয়েছিলেন শিল্পী, শুধু চাকরি পাওয়ার জন্য পড়লেন প্রাইভেট ভার্সিটিতে BBA। আমি নিজেও প্রাইভেট ভার্সিটিতে পড়েছি, এবং দিনের পর দিন লাইব্রেরি ফি, অমুক ফি, তমুক ফি দিয়েছি। টু শব্দটি করিনি, জানতাম লাভ হবেনা, হয়নিও।

ব্যাঙের ছাতার মতো বিভিন্ন দিকের নাম ( নাম বললাম না ) ছাড়াও আজগুবি ভার্সিটি গুলি কাদের পয়সায় চলছে? নিচতলায় কিন্ডারগার্ডেন, দোতালায় স্কুল অ্যান্ড কলেজ, তিনতলায় ইউনিভার্সিটি। এভাবেই চলছে ব্যবসা, শুধুমাত্র একটুকরো কাগজের আশায়। একটি সার্টিফিকেট। যদি চাকরির জন্য সার্টিফিকেটই কিনবেন, তাহলে ভ্যাট দিতে প্রব্লেম কোথায়?

বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট, প্রাইভেট হসপিটাল, কলরেট এছাড়াও অনেক প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত ভ্যাট দিচ্ছেন তো এখানে দিতে প্রব্লেম কি? আর ভ্যাটের টাকা তো নিজেদের দেশের কাজেই লাগছে, দিতে সমস্যা কোথায়? যে দেশের ০.২৫% মানুষ আয়কর দেয়, আপনারা সরকারের কাছে কি আশা করেন? দেশকে আমেরিকা বানিয়ে দেবে? টাকা পাবে কই? কয়দিন পরপর তো এই নাই, সেই নাই, এইটা চাই, ওইটা চাই বলে চিৎকার করেন।

কে বলেছে আপনাকে সামর্থ্য না থাকলে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে পড়তে? জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনেক ডিগ্রি কলেজ আছে, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় আছে ওখানে পড়তে প্রব্লেম কি? স্ট্যাটাসে লাগে? বলতে লজ্জা লাগে যে ডিগ্রি কলেজে পড়ি? প্রাইভেটে পড়ি বলতে আরাম লাগে । না?

বাঙ্গালির পাছায় কাপড় না থাকলেও চোখে সানগ্লাস চাই।

নিজেদের মাননীয় মন্ত্রীকে নিয়ে অজস্র কার্টুন, মেমে, গালাগালি, তুই তোকারি কোনটাই বাদ নাই। এই আপনাদের শিক্ষা? এই শিক্ষা নিয়ে দেশের মুখ উজ্জ্বল করবেন?
আর আপনাদের প্রতিবাদের ভাষা তো দেখলাম। যদি এই হয় প্রতিবাদের ভাষা, তবে আমি ওই দলে নই।
গড্ডালিকায় গা ভাসানো অনেক আগেই ছেড়ে দিয়েছি।
দুঃখিত।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৩৬

ইঞ্জিনিয়ার কবির আহমেদ মাধব বলেছেন: এটা একটু পড়ুন

http://www.somewhereinblog.net/blog/madhob1/30069375

২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৩৬

সন্যাসী পিপড়া বলেছেন: আপনার মত একজন দলে না থাকলেও চলবে। কারণ মীর-জাফরদের এরিয়ে চলাই শ্রেয়।

৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৪৮

ইঞ্জিনিয়ার কবির আহমেদ মাধব বলেছেন: মাইন্ড কইরেন না,আমাদের প্রতিবাদের ভাষা এমনি,প্রমান দিলাম

মাইন্ড কইরেন না,আমাদের প্রতিবাদের ভাষা এমনি,প্রমান দিলাম

৪| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:০৬

মারুফ তারেক বলেছেন: বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভ্যাট দিতেই হবে বলে জানিয়েছেন সজিব ওয়াজেদ জয়। উনি বলেছেন, "দেশের ৮৩টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬৩ শতাংশ শিক্ষার্থী পড়া লেখা করে সরকার তাদের জন্য কোন ধরেন ভর্তুকি দিবে না। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ভর্তুকি দিলে এটা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেয়ার হোল্ডারদের পকেটে চলে যাবে। শিক্ষার্থীদের কোনো লাভ হবে না।"

উনি তো দেখি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে কোন ধারণাই রাখেন না, অথবা না জেনে-শুনে সবাইকে বিভ্রান্ত করতে ভুল তথ্য দিয়েছেন। সঠিক তথ্য হচ্ছে, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকার কোন ভর্তুকি দেয় না। বরং শিক্ষার্থীদের বেতনের ওপর যে ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে- তার পূর্ন নাম 'Value-Added Tax' বা 'মূল্য সংযোজন কর'। ২০টাকা কেজি আলু কিনে তা ১১০টাকা কেজি সয়াবিন তেলে ভেজে ফার্স্টফুডের দোকানে যখন সেই পটেটো চিপস ১২০০টাকা কেজি দরে বিক্রী করা হয় তখন এই সযোজিত মূল্যের ওপর ভ্যাট ধার্য করা হয়। শিক্ষা কী পটেটো চিপসের মত পন্য? বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কী ফার্স্টফুডের দোকান? এখানে মিথ্যা ভর্তুকির দোহাই দিয়ে উনি কেমন করে ভ্যাট বসানোকে বাধ্যতামূলক করে দিচ্ছেন?

উনি না আমাদের তরুন প্রজন্মকে নিয়ে 'ইয়ং বাংলা' গড়েছেন? এই তার আসল চেহারা? যেহেতু বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন সরকারী ভর্তুকী দেয়া হয় না, তাই তার লাভের ভাগ তো কখনোই শিক্ষার্থীদের পকেটে আসার সম্ভাবনা ছিল না। কিন্তু উনার আরোপ করা এই ভ্যাটের টাকা তো আমাদের মত বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পকেট থেকেই দিতে হবে। উনি আমাদের লাভ না দেখলেও লোকসানটা ঠিকই বাধ্যতামূলক করে দিয়েছেন। ৮৩টি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৭৫টিই মধ্যবিত্ত আর নিম্ন মধ্যবিত্তদের উচ্চ শিক্ষার বিকল্প প্রতিষ্ঠান। এখানকার প্রায় ৭৫% শিক্ষার্থী প্রাইভেট ট্যুশনি করে বা খণ্ডকালীন চাকরী করে বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ জোগাড় করে। তাদের ওপর বছরে আরো ৩০/৪০ হাজার টাকার বোঝা চাপিয়ে দিয়ে উনি কেমন কাজ করলেন?

উনি কী তাহলে আমাদের পকেট কাটা জবরদস্তি ভ্যাটের টাকা দিয়ে উনার 'ইয়ং বাংলা' চালাবেন? সেইক্ষেত্রে উনার ইয়ং বাংলায় বাংলাদেশের ৯৫% তরুণের কোন অংশদারিত্ব থাকবে না।
-সংগ্রহ।
যারা শিক্ষার্থীদের সাথে নেই, তাদেরকে শুধু মার্টিন নেমলারের কবিতাটি শোনাতে ইচ্ছে করে।

যখন ওরা প্রথমে কমিউনিস্টদের জন্য এসেছিলো,
আমি কোন কথা বলিনি,
কারণ আমি কমিউনিস্ট নই।
তারপর যখন ওরা ট্রেড ইউনিয়নের লোকগুলোকে ধরে নিয়ে গেল,
আমি নীরব ছিলাম,কারণ আমি শ্রমিক নই।
তারপর ওরা যখন ফিরে এলো ইহুদিদের গ্যাস চেম্বারে ভরে মারতে,
আমি তখনও চুপ করে ছিলাম,কারণ আমি ইহুদি নই।
আবারও আসল ওরা ক্যাথলিকদের ধরে নিয়ে যেতে,
আমি টু শব্দটিও উচ্চারণ করিনি,কারণ আমি ক্যাথলিক নই।
শেষবার ওরা ফিরে এলো আমাকে ধরে নিয়ে যেতে,
আমার পক্ষে কেউ কোন কথা বলল না,
কারণ, কথা বলার মত তখন আর
কেউ বেঁচে ছিল না।

৫| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৫৩

মেঘ বালকের কথা বলেছেন: বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে শুধু ধনি পরিবারের সন্তানরা পড়েননা প্রচুর মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানরাও পড়ছেন। শিক্ষার ওপর ভ্যাট বসানো কোনো সভ্য রাষ্ট্রে হয়না!

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতে করো লজ্জাবোধ হবে এমন কি কোনো কারণ আছে? জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে করো সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্ন হয় বা হয়েছে আমার জানা নেই! একই ভাবে কোনো সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়লে সামাজিক মর্যাদা বাড়বে বা বেড়েছে আমনটিও দেখিনি!

গুটি কয়েক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় যেমন ভালো করছে ঠিক একই ভাবে ভালো সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যাও ঐ গুটিকয়েক। সর্টিফিকেট বিক্রি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ও হয়। ২০০৮ সালে এমনই একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এস.সি পাশ করে আসা আমার একজন জুনিয়ার কলিগ একদিনও ক্লাসনাকরে যখন ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স পরিক্ষায় বসলেন এবং পাশ করে এলেন তখন বিস্নিত হতেই হয়!

আমাদের দৃষ্টিঙ্গিটা পালটানো দরকার; একটা আন্যায় হচ্ছে আসুন এর প্রতিবাদ করি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.