নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন নিয়মিত ব্লগার। মুক্তচিন্তার প্রকাশ ও চর্চা করি, গান শুনি, মুভি দেখি, আড্ডা মারি, ঘুরে বেড়াই আর জীবনকে উপভোগ করি। কারন জীবন তো একটাই। facebook.com/kamikaze.agnostic.blogger ব্লগ সাইটঃ thekamikazeblog.wordpress.com

কামিকাজি

চিত্ত যেথা ভয় শূন্য, উচ্চ যেথা শির, জ্ঞান যেথা মুক্ত, যেথা ধর্মের প্রাচীর

কামিকাজি › বিস্তারিত পোস্টঃ

হোলি ও বাংলাদেশের মুসলমানদের ডাবল স্ট্যান্ডার্ড

২৪ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৫৬


সার্বজনীন ধর্মীয় উৎসবের নামে যখন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা পুরান ঢাকায় হোলি খেলতে যায়, আমার খুব হাসি পায়। সবাই রঙ মেখে ছবি তুলে ফেসবুকে দিচ্ছে, কি আনন্দ সবার মনে। প্রশ্ন তুললেই বলে, এটা সার্বজনীন উৎসব। সব ধর্মের মানুষ চাইলেই পালন করতে পারে, এখানে ধর্ম টানেন কেন?

আসুন একটু হোলির ইতিহাস জেনে নেই। হোলির ২ রকম নৃতাত্ত্বিক ইতিহাস আছে, তবে এটি বেশি প্রচলিত।

হিন্দু অবতার শ্রীকৃষ্ণ একদিন বৃন্দাবনে রাধা এবং তার সখীদের সঙ্গে খেলা করছিলেন। সে সময় হঠাৎ শ্রী রাধা এক বিব্রতকর অবস্থার মুখোমুখী হয়ে লজ্জিত হন । শ্রীকৃষ্ণের মাথায় তখন একটি বুদ্ধি আসে। তিনি রাধার লজ্জা ঢাকতে এবং বিষয়টি তার সখীদের কাছ হতে শ্রী রাধা এবং তার সখীদের সাথে আবীর খেলা শুরু করেন । তাদের সবাইকে আবীর দিয়ে রাঙিয়ে দেন । শ্রীকৃষ্ণ-শ্রীরাধা এবং তার সখীদের এই আবীর খেলার স্মরণে হিন্দু সম্প্রদায় এই হোলি উৎসব পালন করে থাকে বলে প্রচলিত আছে।

এটি একটি সনাতন ধর্মীয় উৎসব, ঠিক যেমনটি লক্ষ্মী পূজা, সরস্বতী পূজা, দুর্গা পূজা।

ইসলাম ধর্মমতে, পৌত্তলিকদের কোন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা সম্পূর্ণভাবে মানা করা আছে। কিন্তু তারপরেও মুসলিমরা সব পূজাতেই যায়, মন্দিরের প্রসাদ খায়, হোলিতে রঙ মাখে।

কিন্তু আমার প্রশ্ন হল, সার্বজনীন উৎসব কি শুধুমাত্র মুসলমানদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য?

আমি তো কোনদিন বাংলাদেশে হিন্দুদের দেখিনি, ঈদ পালন করতে, রোজা রাখতে অথবা মেরি ক্রিসমাস পালন করতে। কিন্তু মুসলমানরা সব পালন করতে চায়।

ইসলাম ধর্মে এত বেশি বাধ্যবাধকতা যে একটু আনন্দ করবেন তার উপায় নেই। সঙ্গীত বলতে আছে ডাফলি, খেলাধুলা বলতে তীর চালনা আর ঘোড়সওয়ার। সব ধরনের এন্টারটেইনমেন্ট থেকে বঞ্চিত। তাই অনেকটা নিরুপায় হয়েই অন্য ধর্মের আশ্রয় নিতে হচ্ছে। কে চায় সারাদিন মসজিদে গিয়ে মাথা ঠুকতে যেখানে অন্য ধর্মের মানুষরা আনন্দের মাধ্যমে তাদের দেবতার সন্তুষ্টির চেষ্টা করে যাচ্ছে।

একটা লালন গানের কথা মনে পড়ে গেল, '' বাকির লোভে নগদ পাওনা কে ছাড়ে এই ভুবনে ''। আমাদের বাংলাদেশের মুসলমানদের জন্য কথাটি ১০০% সত্য। কে চায় দুনিয়ার এত আনন্দ, উৎসব ফেলে রেখে ঘরের কোনে একটি বইকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকতে?

কিন্তু সমস্যাটা হল, যখনি রঙ মেখে ভুত হয়ে বাসায় ফিরে গোসলটা শেষ, অমনি আসল রুপে ফিরে আসা।

হিন্দুদের মালু, মালাউন বলে গালাগালি, হিন্দুধর্ম একটি ফালতু ধর্ম। হিন্দু মেয়েদের ধর্ষণ করলে বেহেস্ত নিশ্চিত। হিন্দুদের ধরে ধরে ইন্ডিয়া পাঠিয়ে দেয়া উচিৎ।

এই ডাবল স্ট্যান্ডার্ড কেন?

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:০৭

বিজন রয় বলেছেন: মানুষ তার নিজ প্রয়োজনে সব করে বোধহয়।

২| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:১৬

রিপি বলেছেন:
বেশ ভালো্ই বলেছেন। এই ডাবল মরাল আমাদের এখন রক্তে রক্তে মিশে গেছে মনে হয়।
বিজন রয় ভাইয়ার মত আমারো মনে হচ্ছে....
মানুষ একন নিজের প্রয়োজনে সব করে

৩| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৪৩

বিপরীত বাক বলেছেন: নকলপ্রিয় জাতির ভন্ডামি।
কিন্তু সমস্যার শুরু আপনাদের মতো বোদ্ধাদের দ্বারাই। যখন কোন কিছু নকল করে এসেছে যেমন হিন্দী গান, নাচ তখন আপনাদের মত বোদ্ধারা হাততালি দিয়েছেন। বলেছেন, " বাহ সুন্দর পারে তো"।
এখন সেসবের সুদুর প্রসারী প্রভাব শুরু হয়েছে, আর আপনা ( বোদ্ধারা) রা দেখছেন অবস্থা বেগতিক।
তাই বোদ্ধা থেকে যোদ্ধা সাজার চেষ্টা করছেন।

কিন্তু এমন কয়লা কালো হয়ে গেছেন যে এখন আর হাজার ধুয়েও ময়লা যাচ্ছে না।

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ২:৪৭

কামিকাজি বলেছেন: আমি কখনই সাংস্কৃতিক আগ্রাসনে হাততালি দেইনি। আপনি কিভাবে আন্দাজ করে নিলেন যে আমি এইসবকে সাপোর্ট করি? আমাদের নিজেদের সংস্কৃতি এতটা ঠুনকো হয়ে যায়নি যে অন্যের সংস্কৃতি ধার করে চলতে হবে। আমি আগেও যোদ্ধা ছিলাম, এখনও আছি।

৪| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ২:০২

রেজা এম বলেছেন: এই জাতির আদৌ কোনো অস্তিত্ব আছে কি ???

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.