নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন নিয়মিত ব্লগার। মুক্তচিন্তার প্রকাশ ও চর্চা করি, গান শুনি, মুভি দেখি, আড্ডা মারি, ঘুরে বেড়াই আর জীবনকে উপভোগ করি। কারন জীবন তো একটাই। facebook.com/kamikaze.agnostic.blogger ব্লগ সাইটঃ thekamikazeblog.wordpress.com

কামিকাজি

চিত্ত যেথা ভয় শূন্য, উচ্চ যেথা শির, জ্ঞান যেথা মুক্ত, যেথা ধর্মের প্রাচীর

কামিকাজি › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুসলমানদের ডাবল স্ট্যান্ডার্ডের কারন কি?

১৪ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৬:৩২

কোন হার্ডকোর মুসলমান ধর্মের নামে আকাম করলে সবাই কান্না করে ওঠে যে
"সে মুসলিম নয়", "কেউ ধর্মের নামে খুন করলে সেখানে ধর্মের দোষ কোথায়"?

অনেকেই এই স্টেটমেন্ট রেডি রাখে আর গোপনে ইসলাম রক্ষার জন্য টেররিস্ট শহীদের জন্য দোয়া করে।

কিন্তু যারা কান্না করে একজনও বলতে পারবেনা কুরানে কয়টা সুরা আছে, অথবা হাদিস গ্রন্থগুলির নাম কি কি।

আবার কোন মডারেট, নন প্র্যাক্টিসিং অথবা ভিন্ন মতালম্বী মুসলমান ভাল কাম করলে তার মুসলিম পরিচয় সবার আগে তুলে ধরতে এরা পিছপা হয় না। শুধুমাত্র নামে মুসলমান হওয়ার কারনে সে মুসলমানদের হিরোতে পরিনত হয়।

আমেরিকায় ৫৩ জন নিরীহ মানুষ খুন করা সন্ত্রাসী ও মুষ্টিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলীর উদাহরণ লক্ষণীয়।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৬:৪৬

মোস্তফা ভাই বলেছেন: এখন কেউ কেউ শিৎকার করে বলে উঠবে আমেরিকা ইরাকে কয়েকশ বিলিয়ন নিরীহ মুসলমান খুন করেছে।

২| ১৪ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৮:৫৪

সাধারন জন বলেছেন: এই যে আমেরিকায় পেত্তেক বছর গুলিতে শয়ে শয়ে মানুষ মরে, মাঝে মাঝে দু একটা মাতাল সৈনিকও থাকে আবার স্কুল বয়ও থাকে। কই সেখানে তো খ্রীষ্টান সন্ত্রাসী ট্যাগ লাগান না, আমেরিকায় যেইখানে লিডাররা কইতেছে লেটস ওয়েট আনটিল গেটিং ডিটেইল ইনভেস্টিগেশন রেজাল্ট, সেখানে আপনি এরে মুসলিম সন্ত্রাসী ট্যাগ লাগাই দিলেন!! আপনারা বড় করিতকর্মা বটে। নরওয়েতে ঐ যে কি নাম Anders Behring Breivik , যে ছিলো ইসলামফোবিক, ধরে টরে বলে দিলো সে ছিলো সাইকোপ্যাথ। মানে কোন খ্রীস্টান (যা নাম থেকে বোঝা যায়) শুটার গুলি করে মারলে সে সাইকোপ্যাথ
আর কোন মুসলিম (যা নাম থেকে বোঝা যায়) শুটার গুলি করে মারলে সে ইসলামী সন্ত্রাসী।

ডাবল স্টান্ডার্ড কারা দেখায়!! খারাপকে খারাপ, ভালো কে ভালো বলতে শিখুন, দুনিয়া বদলে স্বর্গ হয়ে যাবে।

৩| ১৪ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১০:৩২

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: @সাধারন জন: সমস্যা্ হইলো, আমিরিকানরা যিশুর নাম নিয়া মারে না কিন্তু মুসলমানরা আল্লাহু আকবার বইলা জবাই করতে নাইমা যায়!

৪| ১৪ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৮

আল হাবসি বলেছেন: অরল্যান্ডোর ঘাতক ওমর মতিনের বাবা সিদ্দিকি মতিনেরও যোগ রয়েছে সন্ত্রাসের সঙ্গে? তেমনই তথ্য উঠে আসছে তদন্তে। সিদ্দিকি একটি রাজনৈতিক টিভি শো পরিচালনা করতেন। আফগানিস্তানের ভাষায় সম্প্রচারিত সেই টেলিভিশন শো-এ সিদ্দিকি তালিবানের হয়ে সওয়াল করতেন বলে জানা গিয়েছে।
অরল্যান্ডোর নাইট ক্লাবে ওমর মতিন গণহত্যা চালানোর পরই সিদ্দিকি মতিন ক্ষমা চেয়েছেন। দাবি করেছেন, সম্ভবত সমকামীদের উপর আক্রোশ বশতই এই ঘটনা ঘটিয়েছে ওমর। এর সঙ্গে ধর্ম বা কট্টরপন্থার কোনও যোগ নেই। কিন্তু ‘পয়াম-এ-আফগান’ নামের টেলিভিশন চ্যানেলে সিদ্দিকি যে সব রাজনৈতিক শো পরিচালনা করেছেন, সেই সব অনুষ্ঠানের ভিডিওতে চোখ রাখলে সম্পূর্ণ উল্টো ছবিই ধরা পড়ছে। সিদ্দিকি মতিন নিজে যে এক জন কট্টরবাদী, তা ইউটিউবে পোস্ট হওয়া ওই সব ভিডিওয় স্পষ্ট। তাই ওমর ধর্মীয় কট্টরবাদ থেকে হত্যালীলা চালায়নি বলে যে দাবি সিদ্দিকি করছেন, তা খুব একটা ধোপে টিকছে না বলে মার্কিন তদন্তকারীরা মনে করছেন।
পয়াম-এ-আফগান নামের যে টেলি‌ভিশন চ্যানেলে নিজের অনুষ্ঠান সম্প্রচার করতেন সিদ্দিকি মতিন, সেই চ্যানেলটি ক্যালিফোর্নিয়া থেকে চলে। সিদ্দিকির অনুষ্ঠানটির নাম ‘ডুরান্ড জিগরা’। দারি ভাষায় অনুষ্ঠানটি করতেন সিদ্দিকি। তাঁর নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে অনুষ্ঠানোর বিভিন্ন এপিসোডের ভিডিও পোস্ট করা রয়েছে। অনুষ্ঠান দেখে সিদ্দিকির সঙ্গে কেউ যোগায়োগ করতে চাইলে কোন নম্বরে ফোন করতে হবে বা কোন ঠিকানায় চিঠি পাঠাতে হবে, তাও জানানো হত অনুষ্ঠানে। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন সেই ফোন নম্বর সিদ্দিকির নিজেরই এবং পোস্ট বক্সের ঠিকানাটাও ফ্লোরিডায় তাঁর নিজের বাড়ির ঠিকানা।
‘ডুরান্ড জিগরা’ অনুষ্ঠানে দারি ভাষায় কী বলতেন সিদ্দিকি? ইউটিউবে ভিডিওগুলি দেখার পর তদন্তকারীরা বলছেন, অনুষ্ঠানে মাঝেমধ্যেই অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতেন সিদ্দিকি। এক প্রসঙ্গে থেকে হঠাৎই অন্য প্রসঙ্গে চলে যেতেন। একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, নিজেকে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করছেন সিদ্দিকি মতিন। কিন্তু যে তারিখে সেই ভিডিও ইউটিউবে এসেছে, তা আফগানিস্তানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রায় এক বছর পরের তারিখ। তবে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ যে তথ্য এই ভিডিও থেকে মিলেছে, তা হল সিদ্দিকি মতিন তালিবানের ঘোর সমর্থক। তিনি ‘ডুরান্ড জিগরা’র একটি পর্বে আফগান তালিবানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। বলেছেন, ‘‘আমাদের ওয়াজিরিস্তানের ভাইয়েরা, আমাদের তালিবান আন্দোলনের ভাইয়েরা এবং আমাদের জাতীয় আফগান তালিবানের উত্থান হচ্ছে।’’ এর পরে সিদ্দিকি বলেছেন, ‘ইনশাল্লাহ্‌, ডুরান্ড লাইন সমস্যার এ বার সমাধান হয়ে যাবে।’’
ডুরান্ড লাইন হল পাকিস্তান আর আফগানিস্তানের সীমান্ত রেখা। এই ডুরান্ত লাইন নিয়ে পূর্ব আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় জনজাতি পাশতুনদের মধ্যে ক্ষোভ দীর্ঘ দিনের। উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের ওয়াজিরিস্তান এবং খাইবার-পাখতুনখোয়া অঞ্চলেও পাশতুন সম্প্রদায়ের জনসংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। নিজেদের এলাকার পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের মধ্যে ভাগ হয়ে যাওয়া এই পাশতুন সম্প্রদায় মেনে নিতে পারেনি। তাই ডুরান্ড লাইনের অবলুপ্তির দাবি তাদের মধ্যে দীর্ঘ দিনের। পাশতুনদের পাখতুন বা পাঠানও বলা হয়। পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে ভাগ হয়ে থাকা গোটা পাশতুন অঞ্চলকে এক ছাতার তলায় আনার স্বপ্ন দেখিয়ে তালিবান ওই এলাকায় প্রভাব বিস্তার করেছে। সিদ্দিকি মতিনের অনুষ্ঠানে তার পক্ষেই সওয়াল শোনা গিয়েছে। তবে তিনি নিজে পাশতুন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
সু: আনন্দবাজার পত্রিকা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.