নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন নিয়মিত ব্লগার। মুক্তচিন্তার প্রকাশ ও চর্চা করি, গান শুনি, মুভি দেখি, আড্ডা মারি, ঘুরে বেড়াই আর জীবনকে উপভোগ করি। কারন জীবন তো একটাই। facebook.com/kamikaze.agnostic.blogger ব্লগ সাইটঃ thekamikazeblog.wordpress.com

কামিকাজি

চিত্ত যেথা ভয় শূন্য, উচ্চ যেথা শির, জ্ঞান যেথা মুক্ত, যেথা ধর্মের প্রাচীর

কামিকাজি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঈসা নবী কি আসলেই নবী মুহম্মদের কথা বলেছিলেন? প্রমানসহ বিশ্লেষণ

২৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ১:৩৬

বাইবেলে যোহন 14:16 বলা আছে:

আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করবো,সে তোমাদের অন্য সাহায্যকারী পাঠাবেন, যে চিরকাল তোমাদের সঙ্গে থাকবে!

মুসলমানরা দাবি করে, এই অন্য সাহায্যকারী হল আহমাদ যার অর্থ ‘প্রশংসনীয়’ এবং মুহম্মদ এর অর্থও ‘প্রশংসনীয়’। যেহেতু দুটি শব্দেরই অর্থ এক সেহেতু বাইবেলে মুহম্মদের কথাই বলা হয়েছে।

প্রবীণরা যখন কোন শিশুর নামকরন করে থাকেন, তখন তারা শিশুর গুনের উপর নির্ভর করে নামকরন করেন না। কারন নবজাতক শিশুর গুন বিচার করে নামকরন করা অসম্ভবপ্রায়। যদি ছোটবেলায় কারো নাম ‘সম্রাট’ রাখা হয়, তার মানে এই না সে কোন সম্রাট।
ঠিক তেমনিভাবে শিশু মুহম্মদের নামকরন করেন তার দাদা আব্দুল মুত্তালিব। মুহম্মদ তার আসল নাম, কিন্তু কোন বৈশিষ্ট্য নয়, এটা মাথায় রাখতে হবে।

যেমন, রশিদ ( নির্দেশিত), বশির (সুসংবাদদাতা), রসুল (সংবাদ আনয়নকারী), মোস্তফা (মনোনীত), নবী (নবুয়তপ্রাপ্ত) এগুলো মুহম্মদের বৈশিষ্ট্য, কিন্তু তার আসল নাম নয়। তার আসল নাম মুহম্মদ, যেটা তার দাদা দিয়েছিলেন। বোকামির জন্য আমরা বন্ধু বান্ধবকে মজা করে ‘গাধা’ বলে ডাকি, তার মানে এই নয় এটা তার নাম।
এটাই মুহম্মদ এবং আহমাদ এর মধ্যে পার্থক্য।

সুরা আস-সফের ছয় নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে, ‘হে বনী ইসরাইল! আমি তোমাদের কাছে আল্লাহর প্রেরিত রসূল, আমার পূর্ববর্তী তওরাতের আমি সত্যায়নকারী এবং আমি এমন একজন রসূলের সুসংবাদদাতা, যিনি আমার পরে আগমন করবেন। তাঁর নাম হবে আহমাদ।’

কিন্তু এই আয়াতে বলা উচিৎ ছিল, এমন একজন নবী আসবে ‘যে হবে আহমাদ’, ‘তার নাম হবে আহমাদ’ নয়। এখানেই মূল প্যাঁচ। এখানে আহমাদ একটি নাম, কোন বৈশিষ্ট্য নয়।

আবার মুসলমানরা এমনও দাবি করে থাকে, ১) মুহম্মদ, আহমাদ শুনতে একই রকম ২) এবং আরামিক এরাবিক উচ্চারনে মুহম্মদ এর উচ্চারন হয় মেহমেদ, যা আহমেদ এর খুব কাছাকাছি।

ব্যাপারটা অনেকটা এমন, যদি কারো নাম হয় জরিনা, শহরে এসে নিজের নাম পালটে সে হয়ে গেল জেরিনা।

আমরা এমন অনেক উদাহরন দেখি, শুনতে একই শোনালেও অর্থ হয় ভিন্ন। এদেরকে বলা হয় হোমোনিমস/হোমোফোনস। যেমন দুটি শব্দ ‘sea’ এবং ‘see’ শুনতে একই শোনালেও দুটি শব্দের অর্থ কিন্তু ভিন্ন।
ঠিক তেমনি এরাবিক ‘মুহম্মদ’ এর সাথে এরামিক ‘মেহমেদ’ কে মিশিয়ে আহমাদ বানানোর কোন যৌক্তিক কারন নেই।

খ্রিস্টানরা দাবি করে, বাইবেলে ‘অন্য সাহায্যকারী’ বলতে পবিত্র আত্মাকে বোঝানো হয়েছে, মুহম্মদকে নয়, যেটা বাইবেলের (New international Version) দ্বারা প্রমানিত। মুহম্মদ একজন মানুষ যিনি ইসলাম ধর্মের নবী, তিনি কোন পবিত্র আত্মা নন।

এর পিছনে যুক্তিগুলো হল,

১) প্রায় ৫৬০০ গ্রীক ম্যানুস্ক্রিপ্টে সবগুলিতে ‘paraclete’ অর্থাৎ ‘ সাহায্যকারী’ বলা হয়েছে, ‘periclytos’ অর্থাৎ ‘প্রশংসনীয়’ নয়।

২) বাইবেলে স্পস্টভাবে একই উত্তরন যোহনে বলা আছে,
কিন্তু সেই সাহায্যকারী পবিত্র আত্মা, যাঁকে পিতা আমার নামে পাঠিয়ে দেবেন, তিনি তোমাদের সব কিছু শিক্ষা দেবেন, আর আমি তোমাদের যা যা বলেছি, সে সকল বিষয় তিনি তোমাদের স্মরণ করিয়ে দেবেন (যোহন 14:26)। এখানে স্বভাবতভাবেই মুসলমানরা পরাজিত। এখানে ‘সাহায্যকারী’ (যোহন 14:16) বলতে যীশুর অনুগামীদের সাহায্যের কথা বলে হয়েছে, ৫৫০ বছর পরের মুহম্মদের অনুসারীদের নয়। এবং এখানে উল্লেখ্য যে, মুহম্মদ যীশুর উম্মত ছিল না। মুহম্মদের বাবা দাদা এমনকি তার পূর্বপুরুষরাও ছিলেন পৌত্তলিক।

৩) যোহন 16 তে বলা আছে, এই পবিত্র আত্মা তাদের সাথে আজীবন থাকবেন। কিন্তু মুহম্মদ ৬০/৬৩/৬৫ বছর বয়সেই মারা যান।

৪) উত্তরীয় ১৭ তে বলা আছে, যীশু তার শিষ্যদের বলেছিলেন, তোমরা সেই সাহায্যকারীকে চেন। কিন্তু যীশুর উম্মতদের কেউ মুহম্মদকে চিনতেন না, কারন মুহম্মদ আরও ৫৫০ বছর পর জন্মগ্রহন করেছিলেন। এবং যীশু এও বলেছিলেন সেই সাহায্যকারী তার শিষ্যদের মধ্যেই কেউ হবে ( উত্তরীয় ১৭)। মুহম্মদ তার শিষ্যদের মধ্যে কেউ ছিলেন না এবং ৫৫০ বছর আগে তার আসার প্রশ্নই আসে না।

এমনকি মুসলমানরা হিন্দুদের গীতাতেও নাকি মুহম্মদের কথা বলা আছে বলে দাবি করেন ( জাকির নায়িকসহ)। গীতায় বলা আছে মধ্যপ্রাচ্য থেকে একজন মানুষ উটে চড়ে আসবে। মুসলমানরা এতে করেই দাবী করে নেয় এখানে মুহম্মদের কথা বলা হয়েছে। উটে চড়ে কেউ আসলেই সে যে মুহম্মদ, এই দাবী কতটা হাস্যকর তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।

সুতরাং এই ব্যাপারটা মোটামুটি স্পস্ট ঈসা নবী কখনই মুহম্মদ আসবে এমন কোন ইঙ্গিত দেননি। এমনকি আগের কোন নবীও এই ব্যাপারে কিছুই বলেননি। প্রাচীন কোন গ্রন্থে মুহম্মদের আসার কোন সুস্পস্ট ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি। মুসলমানরা বিভিন্ন উপায়ে জোড়াতালি দেওয়ার চেষ্টা করেন মাত্র যেটা অন্যন্য ক্ষেত্রেও করা হয়ে থাকে।

'' সত্য অনেক তিক্ত হলেও তা সত্যই থাকে ''

আমার ব্লগ

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ১:৫৩

সজিব্90 বলেছেন: Omg আন্নের দেহি অনেক জ্ঞান।হোতেন কেমনে ঘুম আইয়েনী।

২| ২৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ২:৫২

কামিকাজি বলেছেন: মাথার নিচে বালিশ দিয়ে ঘুমাই, আপনি?

৩| ২৯ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৫১

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: সালাম,

বাইবেলে হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আগমনের শুভ সংবাদ – Muhammad in the Bible

পথভ্রান্ত অধ:পতিত মানবজাতিকে সত্য সরল ও সঠিক পথে পরিচালিত করে একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর সমাজ জীবন গড়ে তুলে মানবতার উচ্চাসনে উন্নীত করার নিমিত্তে যুগে যুগে বিভিন্ন দেশে আল্লাহ্‌ প্রেরিত নবী রাসূল বা ভাববাদীগণের আবির্ভাব ঘটেছে। তাঁদের সংখ্যা কারো মতে একলক্ষ চব্বিশ হাজার আবার কারো মতে দুই লক্ষ চব্বিশ হাজার। বিশ্বনবী মানবতার অগ্রদূত হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা (সা.) এর আবির্ভাবের পূর্বে আল্লাহ্‌র বাণীবাহক এই সকল নবী রাসূলের মধ্যে হযরত ইব্রাহীম (আ.), হযরত মুসা (আ.), হযরত নূহ (আ.), হযরত দাউদ (আ.), হযরত ঈসা (আ.) এবং আরো কতিপয় নবী রাসূলের নাম পবিত্র কুরআন করীমে উল্লেখিত হয়েছে। উপরোক্ত নবী রাসূলগণের মধ্যে হযরত মুসা (আ.) এর প্রতি অবতীর্ণ তওরাত, হযরত দাউদ (আ.)-এর প্রতি অবতীর্ণ জবুর এবং ঈসা (আ.) এর প্রতি অবতীর্ণ ইঞ্জিল নামক গ্রন্থ অবতীর্ণ হয়েছিল। তিনটি গ্রন্থই হিব্রু ভাষায় অবতীর্ণ হয়েছে। এই সকল গ্রন্থ বহুলাংশে পরিবর্তিত, পরিবর্দ্ধিত ও বিকৃত হয়ে পুরাতন নিয়ম নামে বাইবেলের সাথে সংযুক্তাবস্থায় বিদ্যমান রয়েছে। মূলত: গ্রন্থগুলি হিব্রু ভাষায় হলেও বর্তমানে সেই হিব্রু ভাষা বলা কোন জনগোষ্ঠীর সন্ধান পাওয়া যায় না। উপরোক্ত গ্রন্থত্রয় রূপান্তরিত, পরিবর্দ্ধিত ও বিকৃত হওয়া সত্ত্বেও বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর আগমনের ভবিষ্যদ্বাণী সেই সব গ্রন্থে পরিলক্ষিত হয়। নিম্নে তার বর্ণনা সংক্ষেপে প্রদত্ত হলো :-

“আর আমি ইসমাইলের বিষয়েও তোমার প্রার্থনা শুনিলাম; দেখ, আমি তাহাকে আশির্বাদ করিলাম এবং তাহাকে ফলবান করিয়া তাহার অতিশয় বংশবৃদ্ধি করিব, তাহা হইতে দ্বাদশ রাজা (ইমাম বানাতে) উৎপন্ন হইবে ও আমি তাহাকে বড় করিব।” (আদি পুস্তক ১৭ : ২০ শ্লোক)

“আমি তোমার সহিতও পুরুষানুক্রমে তোমার ভাবি বংশের সহিত যে নিয়ম স্থাপন করিব তাহা চিরকালের নিয়ম হইবে।” (ঐ ৭ শ্লোক)

“পুরুষানুক্রমে তোমাদের প্রতি প্রত্যেক পুত্র সন্তানের আট দিন বয়সে ত্বকচ্ছেদ হইবে।” (ঐ ১২ শ্লোক)

উপরোক্ত শ্লোকে আল্লাহ্ তাআলা হযরত ইব্রাহিম (আ.) কে জানিয়েছেন যে, আমি তোমার প্রার্থনা মঞ্জুর করলাম এবং তোমার জ্যেষ্ঠ পুত্র ইসমাইলকে আশির্বাদ করলাম, তাঁর অতিশয় বংশ বৃদ্ধি করবো, তা থেকে দ্বাদশ রাজা (ইমাম বা নেতা) উৎপন্ন হবে এবং তার বংশাবলী বড় জাতিতে পরিণত হবে। বলাবাহুল্য যে, হযরত ইসমাইল (আ.) এর বংশে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা (সা.) এর আবির্ভাব হয়েছে। হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা (সা.) এর দ্বারা সে হযরত ইসমাইল (আ.) এর বংশধরগণ দুনিয়ার বুকে বড় বা গৌরবময় জাতি বলে গণ্য হয়েছে ইসলামের গৌরবময় ইতিহাস যার জ্বলন্ত সাক্ষী প্রমাণ বহন করছে। আর পুরুষানুক্রমে চিরস্থায়ী নিয়ম পুরুষের ত্বকচ্ছেদ করার কথা উল্লেখ থাকলেও বর্তমানে মুষ্টিমেয় ইহুদীগণ আর হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর অনুসারী মুসলমান জাতি ব্যতীত অন্য কোন জাতি ত্বকচ্ছেদ করে না।

“সদাপ্রভু তোমার ভ্রাতৃগণের মধ্য হইতে তোমার সদৃশ এক ভাববাদী উৎপন্ন করিবেন, তাঁহারই বাক্য অনুধাবন করিবে আমি তাহাদের জন্য তাহাদের ভ্রাতৃগণের মধ্য হইতে তোমার সদৃশ এক ভাববাদীকে উৎপন্ন করিব তাহার মুখে আমার বাক্য দিব, আমি তাহাকে যে যে আজ্ঞা করিব, তাহা তিনি উহাদিগকে কহিবেন” (তওরাত, ৫ পুস্তক ১৫-১৮শ্লোক)

তাছাড়া,
বাইবেলে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের আবির্ভাবের ভবিষ্যদ্বাণী ইসলামের সত্যতারই একটা প্রমাণ। এ ছাড়া সেটা বাইবেলে বিশ্বাসী মানুষদের চোখের সামনেও মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের নবুওতের একটা প্রমাণ।

Deutaronomy (দ্বিতীয় বিবরণ) এর ১৮ তে বলা হয়েছে, মুসা আ. বলেন: আল্লাহ তা‘আলা আমাকে বললেন: “তাদের জন্য তাদের ভাইদের মধ্য থেকে তোমার মত একজন নবীকে প্রেরণ করা হবে। আমি তার মুখে আমার কথা দিয়ে দেব। তিনি আমার নির্দেশিত বাণী দিয়ে কথাবার্তা বলবেন। আর যারা তার মুখস্থিত আমার কথা না শুনবে তাদেরকে আমি জিজ্ঞাসাবাদ করব।” (দ্বিতীয় বিবরণ, ১৮ : ১৮-১৯)

উক্ত উক্তির সারাংশ হলো— আবির্ভূত ব্যক্তির বৈশিষ্ট্য হচ্ছে:

১. তিনি হবেন মুসা আ. এর মত।

২. তিনি ইসরাইলীদের ভাইদের তথা ইসমাইলিয় বংশ থেকে আসবেন।

৩. আল্লাহ তা‘আলা নিজ বাণীকে তার মুখে দিয়ে দিবেন। তিনি তার নির্দেশিত বিষয়সমূহ মানুষকে জানিয়ে দিবেন।

এবার আসা যাক, হিন্দু ধর্মে

বী (সা.)-এর দুনিয়ায় আসার দুই আড়াই হাজার বছর আগে হিন্দু ধর্মের বেদ গ্রন্থে নবী করীম (সা.)-এর জন্ম থেকে মক্কা বিজয় পর্যন্ত প্রতিটি সঠিক ঘটনার ভবিষ্যদ্বাণী নিখুঁতভাবে ধারাবাহিকভাবে বর্ণিত হয়েছে।

“ভবিষ্যৎ অবতার কল্কি সম্বন্ধে মহাভারতে কথিত হইয়াছে কালক্রমে সম্ভল গ্রামে বিষ্ণুযশা ঃ নামক এক ব্রাহ্মণ উৎপন্ন হইবেন। মহাবীর মহানুভব কল্কি সেই ব্রাহ্মণ গৃহে জন্ম গ্রহণ করিবেন। তাঁহার মনন মাত্রেই সমুদায় বাহন, করচ, বিবিধ আয়ূধ ও ভুরি ভুরি যোদ্ধা উপস্থিত হইবেন। তিনি ধর্ম বিজয়ী ও সম্রাট হইয়া পর্যাকুল লোক সকলের প্রতি প্রসন্ন হইবেন। ক্ষয়কারী ও যুগ পরিবর্তক সেই দীপ্ত পুরুষ উত্থিত ও ব্রাহ্মনগণ পরিবৃত হইয়া সর্বত্র গত ম্লেচ্ছগণকে উৎসাহিত করিবেন।” বনপর্ব, মার্কয়ে সমস্যা পর্বাধ্যায়, ১৮৯ অধ্যায়। পুরাণে কল্কির মাতার নাম সুমতি । বিষ্ণুযশাঃ এবং সুমতি আবদুল্লাহ এবং আমিনার সংস্কৃত অনুবাদ। ধর্মদ্রোহী কাফিরগণকে ম্লেচ্ছ এবং মুসলমানকে ব্রাহ্মণ বলা হইয়াছে।” (ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ)

সনাতন ধর্মের মূলগ্রন্থ বেদ গীতা পুরান উপনিষদ ইত্যাদি গ্রন্থে শেষ অবতার বা শেষ নবীর আগমন সম্পর্কে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। সমবেদে যার কথা উল্লেখ করা হয়েছে তার নাম এভাবে বলা হয়েছে।

মদৌ বর্তিতা দেবাদ কারান্তে প্রকৃত্তিতা

বৃষাণং ভক্ষয়েৎ সদা সেদা শাস্ত্রের স্মৃতা

অর্থাৎ যে দেবের নামের প্রথম অক্ষর ম ও শেষ অক্ষর দ এবং বৃষমাংস ভক্ষণ সর্বকালের জন্য বৈধ করবেন। তিনিই হবেন বেদ অনুযায়ী সেই ঋষি। মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রথম অক্ষর ও শেষ অক্ষর বেদের নির্দেশ মতে ম ও দ তাকেই মান্য করে চলা শাস্ত্রের নির্দেশ।

কল্কি পুরাণ ২য় অধ্যায় ২৫ শ্লোকে বলা হয়েছে-

‘দ্বাদশ্যং শুক্লপক্ষস্য মাসি মাধবম।

জাতো দট্টশতুঃ পুত্রং পিতরৌ হৃষ্টমানসৌ।’

এখানে মাধব মাসের দ্বাদশী শুক্লপক্ষে জন্ম গ্রহণ অর্থ অন্তিম ঋষি মাধব মাসের (বৈশাখ) শুক্ল পক্ষের দ্বাদশী তিথিতে জন্ম গ্রহণ করবেন। নিঃসন্দেহে ইহা মুহম্মদ (সা.)-এর জন্মগ্রহণ সম্পর্কে বলা হয়েেেছ। হিসাব করলে দেখা যায়, ৫৭০ খৃ. ১২ রবিউল আউয়াল বৈশাখ মাস অর্থাৎ মাধবমাসের শুক্লপক্ষের দ্বাদশী তিথি।

অষ্টাদশ পুরানের মধ্যে ভবিষ্য পুরানে শেষ নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর আগমনের ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে এ ভাবেÑ

‘এতস্মিম্মন্তরে ম্লেচ্ছ আচার্যেন সমন্বিতঃ।

মুহামদ ইতিখ্যাত ঃ শিষ্যশাখা সমন্বিত ॥ ৫॥

নৃপশ্বৈব মহাদেবং মরুস্থল নিবাসিনম্

গঙ্গা জলৈশ্চ সং¯œাপ্য পঞ্চগব্য সমন্বিতৈঃ।

চন্দনাদিভিরভ্যর্চ্চ্যতুষ্টাব মনসা হরম ॥ ৬॥

অর্থাৎ- মহামদ নামে খ্যাত একজন ম্লেচ্ছ (বিদেশী) ধর্মগুরু শিষ্যগণসহ আবির্ভুত হইবেন । তিনি মরুভূমির (আরব মরুভূমি)নিবাসী মহাদেব নৃপতি (রাজর্ষি)। তিনি গঙ্গাজলে পঞ্চবৎগব্যসহ ¯œান করিয়া মনতুষ্টি করিবেন। (ইহা রূপকার্থে ব্যবহৃত। প্রকৃত অর্থ- পাঁচবারি পবিত্র পানি দ্বারা ওজু করে পাঁচবার নামাজ পাঠের দ্বারা মনতুষ্টি করিবেন।

অল্লোপনিষদের একটি স্থানে দেখা যায় :

হোতারমিন্দ্রো হোতারমিন্দ্রে মহাসুরিন্দ্রা ঃ

অল্লো জেষ্ঠং শ্রেষ্ঠং পরমংপূর্ণং ব্রহ্মাণ অল্লাম॥

অল্লোহ রাসূল মুহমদরঃকং বরস্য অল্লো অল্লাম।

আদল্লংবুকমে কং অল্লাবুকংনির্খাতকম॥ ৩॥

অর্থাৎ আমার অস্তিত্ব আছে। আমি মহা ইন্দ্রের ইন্দ্র। আমি জ্যেষ্ঠ, শ্রেষ্ঠ পরমপূর্ণ ব্রহ্ম। আমি আল্লাহ । আল্লাহর রাসূল মুহাম্মদের তুল্য আর কে আছে? আমি আল্লাহ। আমি অক্ষয়, অবিনশ্বর এক এবং স্বয়ম্ভু।

অন্কথা ঃ অন্ সংস্কৃত শব্দ, ইহার অর্থ ‘না’। “অন্ কথার” দ্বারা আল্লাহ ছাড়া অন্য কেই উপাস্য নাই এই কথা বুঝায় । হিন্দু সমাজে এখনও প্রচলিত প্রথানুসারে মরণোন্মুখ ব্যক্তিকে ঘর থেকে বের করে মুক্ত আকাশের তলে বিশেষ করে তুলসী গাছের তলায় রাখা হয়। সে ব্যক্তির প্রাণ বায়ু বেরোতে অধিক বিলম্ব বা কষ্ট হলে তার কানে কানে “অন্ কথা” পাঠ করে শুনানো হয়। এই অন্ কথার অর্থ অধিকাংশ লোকই জানে না। বাদশাহ আকবরের দরবারে পণ্ডিতদের এক বাদানুবাদ সভায় এক তর্কের জবাবে এক নওমুসলিম ব্রাহ্মণ পণ্ডিত “অন্ কথার” প্রকৃত তাৎপর্য সর্ব সমক্ষে ফাঁস করে দিয়ে “উত্তারায়ন” বেদ হতে নি¤েœাক্ত শ্লোক পাঠ করেনঃ

“লা এলাহা হরতি পাপম্ ইল্লইলহা পরম পদম

জন্ম বৈকুণ্ঠপর অপ্ ইনুতি ত জপিনাম মুহম্মদম।”

বঙ্গানুআদঃ “লা ইলাহা” কহিলে পাপ মোচন হয়, ইল্লাল্লøøা কহিলে উচ্চ পদবী লাভ হয় । “যদি চিরতরে স্বর্গে বাস করিতে চাও, তবে মুহাম্মদ নাম জপ কর।”

(প্রফেসর মফিজ সরকার- মাসিক মদীনা, জুলাই -৯৮)

এখানে আর বেশি কিছু বলতে চাই না। যদি মাথায় সামান্য খিলু থাকে তাহলে এতেই বুঝবেন।

৪| ২৯ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ২:৪৭

কামিকাজি বলেছেন: আপনার কপি পেস্ট মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার রুচি বোধ করছিনা। আমার চোখে আপনার এই কপি পেস্ট এর অনেক ভুল ধরা পড়েছে।

কিন্তু আপনার এই শ্লোকটি অনেক মজার ছিল,

“লা এলাহা হরতি পাপম্ ইল্লইলহা পরম পদম
জন্ম বৈকুণ্ঠপর অপ্ ইনুতি ত জপিনাম মুহম্মদম।”

আমার এক হিন্দু বন্ধু এই শ্লোক দেখে নদীতে ঝাপ দিতে গিয়েছিল, বহু কষ্টে তাকে থামানো গেছে।

৫| ৩০ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৭:৩৮

দ্বীন মুহাম্মদ সুমন বলেছেন: সারাদিন কি এগুলো নিয়ে বসে থাকেন ? ইসলামকে ছোট করতে করতে নিজে যে কবে অনেক বেশি ছোট হয়ে গেছেন সেই দিকে নজর আছে কি ? আল্লাহ আপনার হেদায়েত করুন

৬| ৩০ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৭:৫৯

নীলাকাশ ২০১৬ বলেছেন: এইসব তর্ক কেবলমাত্র সম্য নষ্ট করার জন্য। আদতে কাজের কোন কাজ হয়না।

৭| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৯

কচু+আলু+আদা বলেছেন: সাম্প্রতিককালে পাশ্চাত্যের একাডেমিশিয়ানরা প্রমাণ করেছেন, ঈসা, মূসা এরা ঐতিহাসিক কোন চরিত্র নয়, কাল্পনিক এবং পৌরানিক। এদের কথা আমরা জানতে পারি বাইবেল থেকে যে বাইবেলও কোন ঐতিহাসিক গ্রন্থ নয়। প্রায় সহস্র বছর ধরে বহু মানুষের হাতে সমসাময়িক লোককথা, জনশ্রুতি, পুরান থেকে বাইবেল লিখা হয়েছে। বাইবেলকে অধ্যয়ন করা যেতে পারে প্রাচীন কোন গ্রন্থ হিসেবে, প্রামাণ্য গ্রন্থ হিসেবে নয়। মুসলমানরা বাইবেলকে প্রামাণ্য গ্রন্থ হিসেবে স্বীকারও করে না। অথচ মুহাম্মদকে নবী হিসেবে প্রমাণ করার জন্য তাদের কাছে বাতিল হিসেবে পরিগণিত একটা প্রাচীন গ্রন্থকেই উদ্ধৃত করে যা মুসলমানদের একটা ভন্ডামী ছাড়া আর কিছুই না।

৮| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: সত্যের ছায়া মিথ্যুকটা আসলেই বিনোদন আর কপি পেস্টের মাস্টার। মাঝে মাঝে নিজেই মুফতি তাফসীর শুরু করে। এসব গরু গাধা জঙ্গি আসলেই ব্লগের বিনোদন

৯| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৬

জাহিদ হাসান বলেছেন: জাকির নায়েক বাইবেল, গীতা ও বেদ থেকে নানান গোজামিল দিয়ে বিভিন্ন উদ্ভট থিওরী রচনা করেছে।
সে গীতা ও বেদের রেফারেন্স দেয় কিন্তু গীতা ও বেদকে আল্লাহর বানী বলে মনে করে না। তার এইসব হিপোক্রেসির কারণে তাকে আমি বহু আগেই মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত করেছি।

১০| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৫৪

স্বপ্নডানা১২৩ বলেছেন: কামিকাজি বলেছেন: আপনার কপি পেস্ট মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার রুচি বোধ করছিনা। আমার চোখে আপনার এই কপি পেস্ট এর অনেক ভুল ধরা পড়েছে।

কিন্তু আপনার ( অসত্যের ছায়া) শ্লোকটি অনেক মজার ছিল,

“লা এলাহা হরতি পাপম্ ইল্লইলহা পরম পদম
জন্ম বৈকুণ্ঠপর অপ্ ইনুতি ত জপিনাম মুহম্মদম।”


আমার এক হিন্দু বন্ধু এই শ্লোক দেখে নদীতে ঝাপ দিতে গিয়েছিল, বহু কষ্টে তাকে থামানো গেছে।


=p~ =p~ =p~ =p~

১১| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৪

জাহিদ হাসান বলেছেন: “লা এলাহা হরতি পাপম্ ইল্লইলহা পরম পদম
জন্ম বৈকুণ্ঠপর অপ্ ইনুতি ত জপিনাম মুহম্মদম।”


এই শ্লোক শুনার পরে হাসতে হাসতে আমার পেটব্যাথা হয়ে গেছে।
ভাইরে মানুষ কেমনে পারে এত বিনোদন দিতে? সংস্কৃতের সাথে আরবি মিশাইছে কি সুন্দর কইরা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.