নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এক দেশে ছিলো এক রাজকন্যা....তার নাম ছিলো কঙ্কাবতী.....

কঙ্কাবতী রাজকন্যা

কঙ্কাবতী রাজকন্যা › বিস্তারিত পোস্টঃ

একি খেলা আপন সনে- ২

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:২৫


নতুন বাবার বাড়িতে যখন পৌছলাম তখন বেশ রাত। অবশ্য রওয়ানা দিয়েছিলামও আমরা ও বাড়ি হতে বেশ দেরী করেই। নয়তো ওয়ারী থেকে ধানমন্ডি কতটুকু আর দূরত্ব ছিলো? তখনকার দিনে আজকের মত এত যানজট তো ছিলো না। সব রাস্তাই ফাঁকা ফাঁকা লাগতো। গাড়ি ঘোড়াও এমন গিজগিজ করতোনা সারাটা পথ জুড়ে। আমি বসেছিলাম মায়ের পাশ ঘেষেই, গাড়ির পেছনের সিটে। আমার নতুন বাবা, মধ্যে মা আর জানালার কাঁচের ধারে আমি। গাড়িতে চড়লেই আমার সবচাইতে বেশি আনন্দের কাজটাই ছিলো রাস্তা বা বিপনী বিতানগুলির আলোকসজ্জা দেখা ও তাদের নামগুলো বানান করে করে পড়া। সিনেমা হলগুলোর সামনে বিশাল বিশাল রঙ্গিন সব ছবি আর তার নাম ধাম পরিচয় এ আমাকে এক বিশেষ আনন্দ দিত। সেদিনের ওয়ারী থেকে ধানমন্ডি ভ্রমনটুকুর অল্প ঐটুকু পথেই আমি যথারীতি দোকানের আলো আর নামগুলি দেখছিলাম। দেখতে দেখতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম, জানিনা। আমার বামদিক ছুঁয়ে বসেছিলেন মা। মায়ের নতুন লাল শাড়ী চোলির জরি, চুমকীর খসখসে ছোঁয়া এবং বিদেশী পারফিউমের সেই গন্ধের মাদকতাটা আজও মাঝে মাঝে কোথা থেকে যেন ভেসে আসে। আমাকে ফিরিয়ে নিয়ে যায় অতীতের সেই নতুন অধ্যায়ের সূচনার দিনটিতে।

গাড়ি ব্রেক করতেই আমার ঘুম ছুটে গেলো। চারিদিকে লোকজন, উৎসবের রই রই আমেজে ঐ মধ্য রাতেও সরগরম হয়ে উঠলো চারিপাশ। সবাই নতুন বউকে নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পড়লো। আমার নতুন বাবার রাশভারী মা ধান দূর্বা দিয়ে বরণ করলেন মাকে। পাও ভিজিয়ে দিলেন দুধ আলতার গামলায়। আমার দিকে কারো কোনো খোঁজই রইলোনা। হই হই এর মাঝে আমি মায়ের থেকে বিছিন্ন হয়ে পড়লাম। সবাই এগিয়ে নিয়ে চললো মাকে। আর আমি হতভম্ভের মত কিছুখন একা একা দাঁড়িয়ে রইলাম পিছে। আমার সামনে পড়ে রইলো দুধ আর আলতা মেশানো অপরূপ সেই শ্বেত পাথরের গামলা। যেই অদ্ভুত সুন্দর পৃথিবীর মায়াময় সেই রঙ তরলে মা পা ডুবিয়ে চললেন তার নতুন গৃহে। সেই হালকা গোলাপ ছোঁয়া রঙের মোহময় রঙ্গিন তরল পাত্র তির তির করে কাঁপছিলো তখনও আমার সামনে এক অদ্ভুত নিসঙ্গতায় আমাকে সঙ্গ দেবার জন্যই মনে হয়।

কিছুখন পর বুড়োমত এক লোক আমাকে দেখে হই হই করে উঠলো।
- আরে কি ব্যপার! কি সমস্যা এখানে দাঁড়িয়ে কেনো একা তুমি মা? তোমার মা কোথায়? কার সাথে এসেছো তুমি? কোন বাড়ির মেয়ে?
উনার এক গাঁদা প্রশ্নে আর মন খারাপ করা অকারণ অজ্ঞাত কারণে আমি ভ্যা করে কেঁদে ফেললাম। অনেক কষ্টে ফোঁপাতে ফোঁপাতে বললাম,
- আমি আমার মায়ের সঙ্গে এসেছি।
উনি উদ্বিগ্ন হয়ে বললেন,
- আচ্ছা আচ্ছা ঠিক আছে। মা তো আর হারিয়ে যান নি। চলো চলো ভেতরে চলো। আমি তোমাকে মায়ের কাছে নিয়ে যাচ্ছি।
উনার হাত ধরে ভেতর বাড়িতে চললাম আমি। বিশাল ঝাঁড়বাতিওয়ালা বিস্তৃত বসার ঘরের মাঝে তখন মানুষের ঢল নেমেছে। এত রাত্রীতেও এত আয়োজন! আমি ভড়কে গেলাম। ঘুম আমার তখন পুরোই ছুটে গিয়েছিলো। দেখলাম মা আর আমার নতুন বাবাকে পাশাপাশি বসিয়ে নানা বয়সী বিশেষ করে বর্ষীয়সী নারী পুরুষেরা মিষ্টি মুখ করাচ্ছেন। নানা রকম উপহার দিচ্ছেন। আশীর্বাদ করছেন।

উনি বললেন, কোথায় তোমার মা খুকি? খুঁজে বের করো এখন...
আমি দূর থেকে আঙ্গুল তুলে দেখিয়ে দিলাম মাকে। সাথে সাথে উনার চেহারা গম্ভীর হয়ে গেলো। উনি আমার হাত ধরে নিয়ে গেলেন কিছু দূরে দাঁড়িয়ে থাকা এক দঙ্গল মহিলা, বালিকা টাইপ মেয়েদের কাছে। ওদের মাঝে মিষ্টি চেহারার এক ২০/২৫ বছরের তরুনীকে ডেকে বললেন,
- এই মেয়েটি নতুন বউমনির আগের পক্ষের মেয়ে। একা একা কাঁদছিলো বাইরে দাঁড়িয়ে। এর খেয়াল রেখো।
উনার কথায় মেয়েগুলির মাঝে চাঞ্চল্যটা সেই বয়সেও বেশ খেয়াল করেছিলাম আমি। বুড়ো লোকটি সরে যেতেই তারা কানাকানি, ফিসফিস স্বরে নিজেদের মাঝে কি বলাবলি করে হাসাহাসি করতে শুরু করলো। শুধু মিষ্টি চেহারার সেই মেয়েটি এসে আমার হাত ধরলো, বললো তুমি কিছু খাবে? চলো তোমাকে তোমার ঘরে নিয়ে যাই। ঘুম পেয়েছে নিশ্চয় তোমার...

আমি কিছু বলার আগেই সে আমাকে হাত ধরে নিয়ে চললো। লম্বা করিডোর পেরিয়ে নিয়ে আসলো একটি বন্ধ দরজার সামনে। বন্ধ দরজার গায়ে কাঁঠের পদ্মফুলের কারুকাজ। এত অদ্ভুত সুন্দর কিন্তু কালো কুঁচকুঁচে সেই কাঁঠের দরজাটা দেখেই আমার মনে পড়ে গেলো বাবা মায়ের সেই দূর্বিসহ ঝগড়া বিবাদের দিনগুলোতে বাবাকে দেওয়া মায়ের সেই তীক্ষ্ণ গালমন্দগুলি। যার মাঝে একটি ছিলো তার ঘোর কৃষ্ণ বর্ন নিয়ে। মা বলতেন আবলুশ কাঁঠ। আমি নিজেকেই প্রশ্ন করলাম মনে মনে এটাই কি সেই আবলুসশ কাঁঠ?

আমার মন হঠাৎ এত দিন পরে বাবার জন্য কেনো যে মুচড়ে উঠলো। ঐ মেয়েটি তাড়া দিলো।
- যাও যাও তুমি ঘুমিয়ে পড়ো। ছোট মানুষ এত রাত কি জাগতে পারে?
আমার বলতে ইচ্ছা হচ্ছিলো, আমি একা একা ঘুমাতে পারবোনা, মায়ের কাছে যাবো। কিন্তু বলতে গিয়েও মনের কথাটা ঢোক গিলে ফেললাম সাথে সাথেই। আমি বুঝে গেলাম এই কথা বলার সময় মানে স্থান, কাল, পাত্র এখন নয়।

মেয়েটা আমাকে আমার বিছানা দেখিয়ে দিয়ে দরজা বন্ধ করে চলে গেলো। আমার রাতের পোষাক বা অন্যান্য কিছুই আমার সাথে নেই। আমি সেই জরি ঝকমকা জামাটা পরেই নরম তুলো তুলো বিছানার উপরে বসে রইলাম। বাইরের হট্টগোলের ক্ষীন আওয়াজ ভেসে আসছিলো এত দূরেও বন্ধ দরজা ভেদ করে।

আমার বুকের মাঝে এক অকারণ শূন্যতা। হু হু করে উঠলো সব কিছু ছাঁপিয়ে।

আমি আকুল হয়ে কাঁদছিলাম। সেই মধ্যরাতের বদ্ধ ঘরটির দরজা, জানালা, দেওয়ালগুলি নীরব সাক্ষী হয়ে রইলো ১১ বছরের সেই আমির আকুল কান্নার...
একি খেলা আপন সনে - ১

মন্তব্য ৭৬ টি রেটিং +২০/-০

মন্তব্য (৭৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৩৭

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: পরের ঘটনাগুলো বোধহয় ইন্টারেস্টিং হবে।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৩৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: জীবন মানেই ইন্টারেস্টিং নয় কি? নইলে এত দুঃখ বেদনা সয়েও মানুষ বাঁচে কেনো?

২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৪১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: নতুন বাড়ী, নতুন জীবন.........নতুন বাবা!!!
ছোটবেলায় এমন দুঃখ কেউ যেন না পায়। গল্প বা সত্যি যাই হোক, অন্তর ছুয়ে গেলো!!

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৪৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

৩| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৪২

বানেসা পরী বলেছেন: ওহ্! কি দু:সহ স্মৃতি!
কার দোষ যে দেবো তাও তো জানি না।
আর দোষ দিয়ে, গুণ দিয়ে তো লাভ নাই।
এসব স্মৃতি যার কষ্টটাও শুধুই তার।
আহা উহু বা কোন ভাষা ব্যবহার করে একষ্ট দূর করা যায় না।

অনেক সুন্দর করে লিখেছেন।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৪৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ বানেসা পরী।

৪| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:


কষ্টের পরিমাণ বাড়ছে

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:০৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ গাজীভাই।

৫| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:১২

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: এটা কি কোন গল্প নাকি সত্যি কাহিনী সেটা আপনি পরিষ্কার করেননি। সত্যি কাহিনী হয়ে থাকলে মেয়েটির জন্য সত্যিকার অকুন্ঠ সমবেদনা আর গল্প হয়ে থাকলে বলব- ভালই লিখছেন।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:১৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ সম্রাট। জানিনা কেনো লিখছি। বহুদিন পরে হঠাৎ ইচ্ছে হলো কিছু লিখি।

৬| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:১৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: এসময়ে এসেও লেখায় যে করুন অনুভুতিগুলির প্রকাশ হচ্ছে
তাতে করে সামনের পর্বগুলিতেও কষ্টের পরিমান বাড়বে
বলেই মনে হচ্ছে ।
দেখা যাক এই দু:খজনক পনিনতির জন্য শেষ পর্যন্ত দায়ী কে হয় !!!

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:১৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আপনি পড়েছেন জেনে ভালো লাগলো। দোয়া করবেন লেখার ইচ্ছেটুকু যেন শেষ পর্যন্ত বজায় থাকে।

৭| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৪৮

মলাসইলমুইনা বলেছেন: পড়লাম শেষ পর্যন্ত | যে কোনো সময়ই বন্ধ হয়ে যেতে পারতো পড়া (সেটা আপনার লেখার জন্য নয় নিশ্চই বুঝেছেন )| আমি প্রায় সব লেখায় একবারের বেশি পড়ি | আপনার এই পর্বটা একবারই পড়বো | এর বেশি আর কি বলবো ঠিক বুঝতে পারছি না | ভালো থাকুন |

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৫১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আমি বার বার পড়ি। নিজের লেখা লেখার সময় এবং লেখার পরেও যে কত বার পড়ি ইয়ত্বা নেই। আমি এটাও জানি সব লেখা পড়ে সব সময়ই কিছু বলা যায় না। কোনো কোনো লেখা শুধু অনুভবেরই। কিছুই বলার থাকে না।

৮| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৫৮

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
দেখা যাক, পরে আরও পাঠকের ভাগ্যে কি আছে !! অপেক্ষায় রইলম । :)

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:০০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: সাথে থাকবার জন্য ধন্যবাদ।

৯| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:০৩

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: :|

কি বলবো! শুধু একটা গানের কথা খুব মনে পড়ছে। শেয়ার করি?

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:০৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: গানটির জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

১০| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:১৩

মলাসইলমুইনা বলেছেন: যাক মন্তব্যের সময় আমার চিন্তাটা আপনি ঠিক ধরেছেন | সেটা না হলে আমার মন্তব্যটা খুব উদাসীন বা রুক্ষ মনে হতে পারতো | আপনার সাথে একটা জায়গায় আমার মিল আছে | আমিও কোনো লেখা শেষ হবার পর অনেক অনেক বার পড়ি | নিজের লেখায় আমার চেয়ে বড় পাঠক আর নেই | আমি যে খুব নার্সিসিস্ট তা কিন্তু একদমই নই | কিন্তু নিজের লেখা অনেক বার পড়ি | এই আশা করি বারবার পড়ার সময় যে লেখার ভুলগুলো আরো একটু হয়তো শুধরাতে পারবো, দরকারি চেঞ্জগুলো হয়তো বারবার পড়ার পর ক্লিয়ার হবে আর তাতে লেখাটা হয়তো আরো একটু ভালো হবে (শিওর হতে পারিনি অবশ্য কখনোই| কেউ কোনো লেখা পরে বলেনি আমি অসাধারণ লেখক) ! যাক আপনার ব্যাপারে সেটা কিন্তু সত্যি নয় সেটা জানবেন |

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:১৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ মলাসইলমুইনাভাই। প্রত্যেকেরই নিজের লেখা তার কাছে মহা মূল্যবান। অসাধারণ হবার দরকার কি? নিজের জন্যই লিখুন।

১১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৪৮

প্রামানিক বলেছেন: আহারে! এত ছোট বয়সেই দুঃখের জীবন শুরু হতে যাচ্ছে।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:১১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিকভাই।

১২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৫৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: কি ভীষণ মর্মস্পর্শী লেখা _
কোথায় একবার পড়েছিলাম "মা"য়েদের বোকা হওয়া এক ধরনের অপরাধ।

শুভকামনা !

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:১৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ মনিরাআপা।

১৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:১৮

সুমন কর বলেছেন: এ পর্বটিও ভালো লাগল। +।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:১৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: সাথে থাকবেন। অসংখ্য ধন্যবাদ।

১৪| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:২৭

জেন রসি বলেছেন: টাচি গল্প। পড়ার সময় আবেগটা টের পাওয়া যাচ্ছিল।













২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:১৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ জেন রসি।

১৫| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৫

জাহিদ অনিক বলেছেন:


১ম ও ২য় দুইটা অংশই পড়লাম।


কেমন যেন একটা বাচ্চার একাকীত্বের প্রকাশ পাওয়া গেল। অনেকের মধ্যে থেকেও সে একা। সে মায়ের সাথে থেকেও নেই। ফ্যমিলি থেকেও তার নেই। সে যেন দয়ার উপর বেঁচে আছে। করুন।


গল্প হলে গল্পই হোক এটা; ভালোলাগা রইলো।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:০২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ জাহিদ অনিক।

১৬| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৭

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: এরকমটা কেবল গল্পেই যেন হয়!


ভালো লিখেছেন!

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ বিলিয়ার রহমান।

১৭| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৭

জুন বলেছেন: মনে হয় ভীষন ভাবে বাস্তব কাহিনী । ভালোলাগছে । পরের পর্বের অপেক্ষায় ।
+

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:০৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৮| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৪৮

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

আপনি ভাল গল্প লিখেন। সবাই এটা পারে না। লেখাটাতে বাস্তবতা রয়েছে! ভাল লাগবেই!

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৫১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ ভ্রমরের ডানা।

১৯| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:১০

আহমেদ জী এস বলেছেন: কঙ্কাবতী রাজকন্যা ,



পড়ছি ।
দুধ আলতার গামলা যে আবলুশ কাঠের মতো কালো রংয়ের হবেনা সেটাতো প্রথম পর্বে আমার করা মন্তব্যের উত্তরেই বলে এসেছেন ।
এখানে শুধু বলি- "সুর নয় , ব্যথার রাগিনী........."

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:১৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: "সুর নয় , ব্যথার রাগিনী........."

কথাটাতে বেশ ধাঁধা আছে। এই লাইনটি নিয়ে একটু ভাবতে হলো। কোথায় যেন শুনেছিলাম লাইনটা। একটু কষ্ট করে মনে করতে হলেও নেক্সট লাইনে না কিন্তু প্রথম লাইনে খুঁজে পেলাম উত্তর।
ধন্যবাদ আহমেদ জী এস ভাই।

শৈশব আর কৈশোরে দেখা সেই কুঁচকুঁচে কালো রঙ আবলুশ কাঁঠ আর দুধ আলতার গামলা দুইই চোখে বিঁধে আছে। চোখ গেলো পাখির মত সেই সুরে ডাকতে পারিনি হয়তো তবুও চোখই গিয়েছিলো আমার সেই কঠোর কঠিন বৈপরীত্যে।

২০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:২০

কালীদাস বলেছেন: বিষন্ন।
ঝরঝরে বলতে সংকোচ অনুভব করছি কাহিনীর করুণ সুরের জন্য।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: সাথে থাকার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ কালীদাস.......

২১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:১৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: গল্পের প্রথম তিনটে শব্দ পাঠের মধ্য দিয়েই একটা দুঃখবোধ শুরু হ'লো, তা বয়ে চললো শেষ লাইনটির শেষ শব্দ পর্যন্ত।
এর আগের পর্বের ছবিটায় মেয়েটা ডান দিকে তাকিয়ে ছিল, এটায় বাঁঁ দিকে। একই আবহ, একই দৃষ্টি!
গাড়িতে চড়লেই আমার সবচাইতে বেশি আনন্দের কাজটাই ছিলো রাস্তা বা বিপনী বিতানগুলির আলোকসজ্জা দেখা ও তাদের নামগুলো বানান করে করে পড়া - ছোটবেলায় সবাই কি এরকমই করে?
আমার দিকে কারো কোনো খোঁজই রইলোনা - ঐ বয়সে এ অবহেলাটুকু অসহনীয় হবার কথা, তবে গল্পের নায়িকা (?) বোধহয় সেটা বেশ ভাল ভাবেই আত্মস্থ করে নিয়ছিলেন।
সেই হালকা গোলাপ ছোঁয়া রঙের মোহময় রঙ্গিন তরল পাত্র তির তির করে কাঁপছিলো তখনও আমার সামনে এক অদ্ভুত নিসঙ্গতায় আমাকে সঙ্গ দেবার জন্যই মনে হয় - খুবই চমৎকার analogy!
গল্পের শেষ দেড়টি লাইন শ্রাবন রাতের কথা মনে করিয়ে দেয়।
চমৎকার আঁটসাট গল্প। গল্প লিখনে শব্দের মিতব্যয়িতা ঈর্ষণীয়। + +

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৪৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: এতটা মনোযোগে পাঠ করায় রইলো কৃতজ্ঞতা। গল্পটা সুখ এবং দুঃখ নিয়ে বা স্বাভাবিক কোনো জীবন নিয়েই শুরু। তবে জীবনের প্রতি বাঁকে বাঁকে যে পরিবর্তনগুলো আসে তা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বয়সের তারতম্যে আসে। এই মেয়েটির জীবনটাও হয়তো ব্যাতিক্রম নয়। এ গল্প লিখে যখন আমি শেয়ার করেছিলাম আশে পাশের মানুষদের সাথে। তখন জেনেছিলাম আরও কিছু গল্প যা আমার গল্পের চাইতেও চমকপ্রদ।

ছবিতে কখনও এদিক কখনও ওদিকে ফেরানো মুখের ছবিই দিতে চেয়েছিলাম। পরের পর্বগুলোতে ছেলেবেলায় ফিরে গেলাম।

হ্যাঁ ছোটবেলার প্রায় সবারই প্রিয় কাজ থাকে সেটাই মানে বিপনীবিতানগুলোর নাম বা ছবি দেখা। এখনকার বাচ্চাদের কথা বলতে পারবোনা। তারা গাড়ি ঘোড়া স্টিমার যেখানেই চড়ুক আজকাল মুখ ডুবিয়ে রাখে সেলফোন বা ট্যাবে।


তার খোঁজ কেউ রাখবে না সেই উপলদ্ধির হয়তো সেটাই শুরু ছিলো। কাজেই আত্মস্থ করে নেওয়াটাই সঠিক পন্থা ছিলো মনে হয়।

সেই হালকা গোলাপ ছোঁয়া রঙের মোহময় রঙ্গিন তরল পাত্র লেখনীর সময় আমার চোখে ভেসেছে। আরও একটু বলি-
চারিদিক এক নিমিশে হই হই রই রই করে এক রাশ চাঞ্চল্য, আনন্দ কিংবা মুখরতার রেশ নিয়ে দূরে সরে গেলো-
পিছে ফেলে রেখে গেলো এই অনাহূত, রবাহূত ( হয়তো বা নিশ্চিত) এক রত্তি জীবন্ত মূর্তীটিকে-
চারপাশের সকল বিশালাকৃতি অনড় অটল মূক ও বধির দরজা জানালা আসবাবপত্র নিশচল চোখে তাকিয়ে ছিলো-
ওরই মাঝে ঐ গোলাপ ছোঁয়া রঙের মোহময় রঙ্গিন তরল পাত্র তার অপূর্ব আভা নিয়ে তির তির করে কাঁপছিলো।
ঐ ছিলো একমাত্র সচল ও জীবন্ততার প্রতীকীয় সৌন্দর্য্য যে মেয়েটিকে সঙ্গ দিয়েছিলো তার এক রাশ একাকীত্বে এক অপরুপ মোহমায়াময়তায়.....

২২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথম মন্তব্যটা সম্পর্কে বলতে চাই, এটাও কি কম ইন্টারেস্টিং হয়েছে?
বহুদিন পরে হঠাৎ ইচ্ছে হলো কিছু লিখি (৫নং প্রতিমন্তব্য)- এমন ইচ্ছেকে বাস্তবে রূপ দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। ভাল লিখছেন, লিখে চলুন।
নিজের লেখা লেখার সময় এবং লেখার পরেও যে কত বার পড়ি ইয়ত্বা নেই (৭নং প্রতিমন্তব্য) - আমার তো মনে হয় আমার পোস্টগুলোতে যে পঠিত সংখ্যা দেখানো হয়, তার ১০% কৃতিত্ব আমার নিজেরই! :)
"মা"য়েদের বোকা হওয়া এক ধরনের অপরাধ (১২নং মন্তব্য) - কথাটা নিয়ে ভাবার বেশ কিছু আছে, বোধকরি।

আপনার গল্পের মাত্র দুটো পর্ব পড়লাম। এ পর্যন্ত যেটা আমার দৃষ্টি সবচেয়ে বেশী আকৃষ্ট করেছে তা হলো গল্প কথনে (লিখনে) নিরপেক্ষতা ও বিশ্বস্ততা। দ্যাটস ব্রিলিয়ান্ট!

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৫২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অজস্র ধন্যবাদ খায়রুলভাই। একদা শুনেছিলাম মেয়েরা ভালো কবি হতে পারে না এই দেশে। মন খুলে লেখায় বা মনের ভাব প্রকাশ করায় তাকে সেখানেও বাঁধতে হয় মনের পায়ে দড়ি। হাতে পায়ে এত দড়ি দড়া বেড়ি বেড়া নিয়েও তাদের রক্ষা নেই মনের পায়েও কম দড়ি দড়া জঞ্জাল নেই তা বলা যায় না।

নিরপেক্ষতা ও বিশ্বস্তায় লেখা তাই কঠিন হয়ে পড়ে। আপনাকে ধন্যবাদ মন দিয়ে লেখাগুলি পড়ার জন্য।

২৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৩৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: বর্ননার স্টাইলটা বেশ সাবলীল । পরের পর্বে যাই ---

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৪৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ গিয়াসভাই।

২৪| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:০৫

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: পড়ছি ভাল লেগেছে এবারের পর্বটিও।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:১১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ সোহেলভাই।

২৫| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৪

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:




ভাল লিখছেন । উপন্যাস টাইপ লেখা । আর ছোট্ট ছোট্ট অনুভূতিগুলো সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলছেন ।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ কথাকথিকেথিকথন।

২৬| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:১৮

ফয়সাল রকি বলেছেন: প্রথম পর্ব পড়ার অনেকদিন পর দ্বিতীয় পর্ব পড়লাম, যদিও আপনি আগেই পোস্ট করেছেন।
ভাল লাগলো। পরের পর্বগুলো পড়ি।
+++

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ রকিভাই।

২৭| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:০২

জুলকারনাইন নাঈম বলেছেন: আপনার লেখা পড়তে খুব ভালো লাগছে।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ নাঈমভাই।

২৮| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩২

মিরোরডডল বলেছেন:



এ লেখাটা হৃদয়বিদারক ! এগারো বছর কিন্তু খুব ছোট না, সব বুঝতে পারে । আর সেকারনেই কষ্টটা ভয়াবহ । আমি যদি সেই পরিবারের কেউ হতাম, কখনোই এই বাচ্চা মেয়েকে মায়ের বিয়ের দিন সাথে দিয়ে দিতাম না । এটা ওয়াইজ ডিসিশন না ।

হয়তো বলবে মাকে ছাড়া থাকতে পারবে না কিন্তু আলটিমেটলি বিয়ের রাতে মায়ের সাথে থাকা হবেনা সেটা বাড়ীর লোক জানে । তারপরও কেনো তাকে দিদা অথবা দাদু বাড়ীর সবার কাছে আদর করে রাখলো না । বিয়ে হয়ে যাবার কিছুদিন পর বা পরের দিন বাচ্চা মেয়েকে মায়ের কাছে দিয়ে যেতে পারতো । এটা একটা চরম মানসিক প্রেশারের মধ্যে ফেলা হয়েছে বাচ্চাটাকে । আই ফীল ফর হার । আনবিলিভেবল পেইন !!!!!!!


১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হ্যাঁ দাদু দীদা চায়নি। কিন্তু মেয়েটা নাছোড়বান্দা ছিলো যাবেই যাবে।

যেমন গেছে তেমনই মজাও বুঝেছে .....

২৯| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১৬

একলব্য২১ বলেছেন: @মিরোরডল, এটা কঙ্কাবতীর জীবনী। আমি এই লেখা পুরোটা পড়েছি। কিন্তু কমেন্ট করিনি খুব একটা। কি কমেন্ট করা উচিত ঠিকঠাক বুঝিনি। কিন্তু আমি চাই ছিলাম আপনি উপন্যাসটি পড়েন আর আপনার মনে প্রশ্নটি থাকলে করেন। দেখা যাবে সেটা আমারও প্রশ্ন হবে। এই পর্বে আপনি একটা মারাত্মক প্রশ্ন করেছেন। আসলেই কি কঙ্কাবতী এগার বছর বয়সে মার বিয়ের দিনে নতুন বাবার বাড়ি গিয়েছিল। দেখি রাজকন্যা কি উওর দেন। বস্তুত: গল্পে উপন্যাসে সত্যের আড়ালে অনেক মিথ্যা জড়িয়ে থাকে।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হ্যাঁ গিয়েছিলো !!!

একলব্য কতদিন দেখিনি তোমায়??? তোমাদেরকে!!! কি ভয়ানক বিজি ছিলাম বলার মত না।

৩০| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০১

মিরোরডডল বলেছেন:



শুভ, আই ডোন্ট থিংক সো । জীবন থেকে নেয়া গল্প হতে পারে কিন্তু জীবনী না ।
সত্যর আড়ালে মিথ্যা না, কিছু সত্য ঘটনার অবলম্বনে কল্পনা দিয়ে গল্প । কল্পনা আর মিথ্যা এক না ।
আপুর ক্রেডিট হচ্ছে এতো সুন্দর করে লেখে যে ট্রু স্টোরি মনে হয় ।
এই পর্বটা খুবই ইমোশনাল ছিলো । দেখি পরের পর্ব কেমন হয় । আই উইশ এ সিরিজটা খুব সুন্দর হয়েছে । শুরুটা তাই বলে ।


১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ঠিক ঠিক
এই মেয়েটা এত বুদ্দিমতী কেনো!!!!!!!!!
তবে এ লেখার ৯৯% সত্য ১ % মিথ্যা সেই মিথ্যাটা মারাত্মক তবে গল্পে তা মহা মহা ইউজফুল ছিলো। :)

৩১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০১

একলব্য২১ বলেছেন: সত্যর আড়ালে মিথ্যা না, কিছু সত্য ঘটনার অবলম্বনে কল্পনা দিয়ে গল্প । কল্পনা আর মিথ্যা এক না ।

মিরোরডল,

একদম উপযুক্ত কথা হয়েছে। আমি হড়বড় করে বলতে গিয়ে সঠিকভাবে বলতে পারিনি। মিরোরডলের কমেন্টের ভক্ত হয়ে পড়েছি। চোখে যদি পড়ে মিরোরডল কিছু কমেন্ট করেছে তাহলে অনেক সময়ই পড়ি। একটা কথা বলি, দুধ বিক্রেতা দুধের সাথে জল মিশায়। রাজ হাঁসকে দুধমিশ্রিত পানীয় খেতে দিলে রাজ হাঁস শুধু দুধটাই খাবে। পাত্রে পরে থাকবে পানি। ঠিক তেমনি বিচক্ষণ দূরদৃষ্টিসম্পন্ন জ্ঞানী পাঠক একটা উপন্যাস পড়লে, সে কল্পনামিশ্রিত লেখা থেকে হয়তো নিগূঢ় সত্যটা বের করে ফেলতে পারবে। যেমন আপনি ধরতে পেরেছেন এগার বছরের মেয়ে নিশ্চয় তার মায়ের নতুন শ্বশুড় বাড়িতে বিয়ের দিন হয়তো যাইনি। না যাওয়াটাই স্বাভাবিক। আর এই কারণের আমি আপনার মন্তব্যের দিকে তাকিয়ে আছি।

হুম! সামু কেমন জানি গ্লুমি ঝিম মেরে গেছে। আমি সারাদিনে সামুতে একবার ঢুঁ মারার চেষ্টা করি। আগামীকাল আমার কভিড টেস্ট আছে। খুব একটা সময়ও আর হাতে নেই। কিছুদিন সামুতে হয়তো আসবো না। তবে আপনাদের উপস্থিতি আর লেখার উপর নজর থাকবে।

লেখিকার নতুন সিরিজটি নিয়ে আমাদের অনেক মজার দিন কেটে ছিল সামুতে। লেখিকা আমি আপনার লেখার দারুণ একজন ফ্যান।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: লাভ ইউ সো মাচ ভাইয়ু...... তুমি আমার লেখার এত বড় ভক্ত হলে তোমাকে উপহার দিতে পারলাম না।

এই বইটা আরও বইগুলি ঠিকানা দিলে পৌছে দিতাম তোমাদের দুজনকেই। আর চিলেকোঠারটা কখনও যদি পাবলিস করি আর কি।
সামুর সাথে এই গল্প আর আমি তোমার মনে চিরকাল থেকে যাবো বলেই কোনো গল্পেরই সেই ১% মিথ্যে টা তোমাকে না বলাই ভালো। তবে ইচ্ছা করে তোমাকে বলে দেই......

বা তোমাকে নিয়েই একদিন আমি সেই গল্পটা লিখবো......


সামু ঝিম মেরে আছে মনে হচ্ছে তোমার কাছে কারণ আমি নেই....... চিলেকোঠার গল্প নেই...... তুমি চাইলে বসন্তদিন সিরিজও ধরিয়ে দিতে পারি.......

তবে তুমি কনফিউজ হয়ে যাবে এই মেয়ের জীবনে দেখি একের পর এক গল্প হাহাহাহাহাহাহা

৩২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২৫

মিরোরডডল বলেছেন:



আগামীকাল আমার কভিড টেস্ট আছে।
কভিড টেস্ট কেনো শুভ ? ইউ ওকে ?

খুব একটা সময়ও আর হাতে নেই।
মানে কি ? কিসের সময় ? ডিটেলস বলবে শুভ ।

কিছুদিন সামুতে হয়তো আসবো না।
কেনো না ?

শুভ, হোয়ারেভার ইউ আর, হোয়াটেভার ইউ আর ডুয়িং স্টে সেফ ।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: শুভভাইয়ুর সব কিছু শুভ আছে......।

মিররমনি সে তোমার দেশে যাচ্ছে।

তোমার সাথে দেখাও হয়ে যেতে পারে ম্যাকোরি ইউনিভার্সিটিতে ......

৩৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৫

একলব্য২১ বলেছেন: দেশের বাহিরে যেতে গেলে ইমিগ্রেশনে কভিড১৯ নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেখাতে হয়। আর সেটা অথরাইজড ইন্সটিটিউট থেকে নিতে হয়। আমি আইসিডিডিআরবি থেকে নিয়েছি। আমার কভিড টেস্ট নেগেটিভ আসছে। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেশের বাহিরে চলে যেতে হবে। কভিড টেস্ট করতে যতটা ভয় পেয়েছিলাম। ততটা ভয় পাওয়ার কিছু নাই। আমি বিজি থাকবো। তাছাড়া আমার একটা ব্রেকেরও দরকার আছে। তবে আপনাদের উপস্থিতি ও লেখার উপর লক্ষ্য থাকবে। মিরোরডল ও লেখিকা আপনারা খুব ভাল থাকবেন। দুইজনই আমার প্রিয় মানুষ ও ব্লগার। বাই। :)

১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: শুভভাইয়ু!!!!!!!!!!!!!

চলে গেলে??? বলেও গেলে.....


কিন্তু দেখা হলো না...... আই ওয়াজ সো বিজি!!!!!!!!!!!!


যেখানেই থাকো আবার দেখা হবে ভাইয়ামনি!!!

৩৪| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১৫

মিরোরডডল বলেছেন:



সো ফাইনালি ইটস টাইম টু গো । ওকে শুভ । গুড লাক ।
Keep updating and keep in touch. Tc.

আমাদের প্রিয় গানটির ফিমেল কাভার ।






১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: মিররমনি
শুভভাইয়া মনে হয় এতখনে তোমার দেশেই চলে গেছে.......

আবার আসবে খুব তাড়াতাড়ি এখানে নিশ্চয়.......

৩৫| ১৯ শে জুন, ২০২১ রাত ১০:৫৫

ঢুকিচেপা বলেছেন: দোষ দিব কাকে ? তবে আমার দৃষ্টিতে দোষ যদি দিতেই হয় সেটা কঙ্কাবতীর নানার। টাকার মোহে পড়ে কতগুলো জীবন এলোমেলো হয়ে গেল।

১১ বছর বয়সের একটা বাচ্চার যে কষ্টের বর্ণনা দিয়েছেন এমন পরিণতি যেন আর কারো কপালে না আসে।

১৯ শে জুন, ২০২১ রাত ১১:৫০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: দোষের কথা বললে আমার আজকাল একটা ফানি কথা মনে পড়ে।

আসমাকে যদি বলি এমন করছো কেনো? এমন হলো কেনো?
সে বলে কারো দোষ নাই আফা। দোষ আমার কোয়ালের।

হা হা হা কোয়াল মানে কপাল। :P

৩৬| ২০ শে জুন, ২০২১ রাত ১২:০৫

ঢুকিচেপা বলেছেন: এক দোলন কে তাই জিজ্ঞেস করাতে ২১ পর্ব ধরিয়ে দিয়েছেন, সেটা টানতেই অবস্থা শেষ তাই আসমা কে আর জিজ্ঞেস করছি না, ঐ ওর কোয়াল নিয়ে থাক।

২০ শে জুন, ২০২১ রাত ১২:০৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা থাক আর কষ্ট করে পড়তে হবে না। এড্রেস দাও। বইটাই সিধা পাঠিয়ে দেই তোমার বাড়িতে।

৩৭| ২০ শে জুন, ২০২১ রাত ১২:১৬

ঢুকিচেপা বলেছেন: না না ওটা এমনি বলেছি। গল্পটা আমি পড়বো, কাহিনী ভালো লেগেছে সাথে লিখনি।

ঐ যে কথায় আছে না “বসতে দিলে শুতে চায়”, বই দিতে চাইলেন তাই অটোগ্রাফও চাই।

২০ শে জুন, ২০২১ রাত ১২:৪৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অটোগ্রাফও দিয়ে দেবো। অনেককেই দিয়েছি।

আসলে বইটা তো বিক্রির জন্যই বানাইনি। সব বিক্রির টাকাই প্রকাশক নিয়েছে।

আমি যা পেয়েছি সব গিফ্ট! :)

৩৮| ০৯ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৪৩

আরোগ্য বলেছেন: আজকে শুরু করেছি। ১ ও ২ শেষ করলাম। দেখি কতদিন লাগে। তবে ভালোই হল সব পর্ব পোস্ট করা আছে, অপেক্ষা করা লাগবে না, যখন খুশি পড়া যাবে। একটা সমস্যা আপু, পোস্টে আগের পর্বের লিংক না দিয়ে পরের পর্বের লিংক দিলে সুবিধা হতো, এক ক্লিকে পরের পর্বে যাওয়া যেত।

মানুষের জীবন এক অদ্ভুত পাঠশালা। নিজের জীবনের স্মৃতিচারন করলে এক গাদা সাহিত্যের সন্ধান পাওয়া যায় । প্রতিটা মানুষের জীবনই একটি সাহিত্যকর্ম কেবল আত্মোপলব্ধি প্রয়োজন।

আমার বাবা যখন মারা যান তখন আমার সাত বছর। আর আম্মুর কথাতো আগেই বলেছি, ডাক্তারি ভাষায় সিজোফ্রেনিক। তবে দিন দিন মাত্রা বাড়ছে। যাই হোক the show must go on......

মরীচিকা সিরিজের পর এই কোন সিরিজ এতো মনোযোগ দিয়ে পড়া শুরু করলাম।

০৯ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৩৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হুম।

পড়ো পড়ো।

সবগুলাই আছে ।:)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.